প্রিয় তুমি শেষ পর্ব

#প্রিয়_তুমি❤
#মেঘা_আফরোজ

#পর্ব-৮(শেষ পর্ব)
.
🍁
.
আকাশ রুমে এসে প্রিয়ন্তীকে পেলো না। ফ্রেশ হয়ে আফিয়ার রুমে গিয়ে দেখলো ওখানেও নেই। আফিয়া চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আকাশ গিয়ে ওর কপালে হাত দিতেই চোখ মেলে তাকালো উঠে বসে মৃদু হেসে বললো

__ভাইয়া কখন এসেছিস?

__কিছুক্ষণ হলো এসেছি। তোরা একা ছিলি বাড়িতে তাই চলে এলাম। তোর শরীরে তো জ্বর নেই। কেমন বোধ করছিস এখন?

__আমি তো এখন ভালোই আছি কিন্তু তোর বউটাই তো আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না।

__কেনো আমার বউটা কি করেছে?

__কি করেনি সেটা বল,আমার জ্বর হওয়ার পর থেকে পাশেই তো থাকে সব সময় আর একটু পরপর বলে আপু শরীর ঠিক লাগছে তো এখন,খারাপ লাগলে আমাকে বলবে কিন্তু।কিছু খাবে বলো আমি এখনি করে আনছি। আমি খেতে না চাইলেও একটু পর পর এটা সেটা এনে খাওয়াচ্ছে। ভাইয়া আমার কি মনে হচ্ছে জানিস ভাবির এমন আদুরে অত্যাচার আমার এই জ্বর সহ্য করতে পারেনি। তাই খুব তাড়াতাড়ি পালিয়েছে।

আকাশ জোরে হেসে উঠে বললো
__দেখতে হবে না বউটা কার।

__খুব তো বউ বউ করিস,পেরেছিস কি বউয়ের মান ভাঙাতে?

__পেরেছি মানে আমি তো ভেবেছিলাম আরো বেশি খাটতে হবে বাট বউয়ের তো তার আগেই মান ভেঙেছে। আজ বাড়িতে আসার পর দারুন সারপ্রাইজ পেয়েছি আমি।

আকাশ সবটা বললো আফিয়াকে। আফিয়া অবাক ভঙ্গিতে বললো

__কি বলছিস ভাইয়া! তারমানে ভাবি আর অভিমান করে নেই তোর ওপর। আমি তো ভাবিও নি আমার কথাগুলো এতো তাড়াতাড়ি কাজে দেবে।

__তোর কথা কাজে দেবে মানে?

আফিয়া আকাশের কাছে সব বললো প্রিয়ন্তী আর ওর মাঝে কি কি কথা হয়েছে। আকাশ সব শুনে আফিয়ার গাল টেনে বললো

__আমার বোন তো দেখছি আমার থেকেও ওপরে। এই জন্যই তো তোকে এতো ভরসা করি আমি আর সব শেয়ার করি। লাভ ইউ বোনটি।

__হয়েছে বোনকে আর পাম না দিয়ে যা নিজের বউকে পাম দে। আর শোন তোর মায়াপরীর স্টোরিটা বলে দিস ভাবি হয়তো মনে মনে মায়াপরীকে নিয়ে কনফিউশনে আছে।

__হুম বলবো বলার সময় এসে গেছে। কিন্তু প্রিয়ন্তী কোথায় এখন?

__ভাবি নিচে গিয়েছে ডিনার রেডি করতে। আমি যেতে চাইলাম বললো চুপচাপ শুয়ে থাকতে। আর যদি ওর কথা না শুনি তাহলে নাকি মাকে ফোন করে বলে দেবে আমি অসুস্থ।

__ভালোই বলেছে অসুস্থ শরীর নিয়ে উঠতে হবেনা। আচ্ছা তুই থাক আমি যাই দেখি আমার মায়াপরীটা কি করছে।

__হ্যা যা বউ তো আজ থেকে আবার নতুন তাইনা। তারপর আবার বাড়ি ফাকা সময়টা ভালোই কাটবে। তাইনা ভাইয়া?

__ওই আমি তোর বড় ভাই হই ওকে,আর তুই আমাকে এসব বলছিস।

__তুই আমার ভাইয়া+বন্ধু সো বলতেই পারি। আমাদের মতো ভাই বোনের সম্পর্ক খুবই কম হয় হু।

__হুমম কথাটা ঠিক বলেছিস। আমার সেই ছোট্ট বোনটা আজ কতো বড় হয়ে গিয়েছে। এখন আমাকে আমার এই বোন+বন্ধুর জন্য কিছু করতে হবে। আর তা খুব তাড়াতাড়ি করবো আমার বোনের কোনো আশা অপূর্ণ রাখবো না। তুই যেনো হাসি খুশিতে থাকিস সেই ব্যবস্থাই করবো।

আফিয়া মাথা নিচু করে হাসলো কিছু বললো না। আকাশ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
.
🍁
.
আফিয়া ওয়াশরুম থেকে ফোনের রিংটনের শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে ফোন রিসিভ করতে নিলে কেটে গেলো। আবারো বেজে উঠলে তখনি রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে বলে উঠলো

__আফিয়া তুমি ঠিক আছো তো,জ্বর কমেছে?

__হুম আমি ঠিক আছি আর হ্যা জ্বর ও কমেছে।

__ফোন ধরছিলে না কেনো কোথায় ছিলে?

__ওয়াশরুমে ছিলাম। আচ্ছা তুমি দুপুর থেকে কি করছিলে একবারো কল করলে না যে?

__ভার্সিটিতে একটু বিজি ছিলাম।আর জানোই তো বিকেলে ফ্রেন্ডদের সঙ্গে একটু আধটু আড্ডা চলে। এখন বাসায় এসে ফ্রি হয়ে কল দিলাম।

__হুম আচ্ছা শোনো না একটা গুড নিউজ আছে।

__গুড নিউজ! বাবাহ এতো মিল আমাদের মাঝে! আমারো তো একটা গুড নিউজ দেওয়ার আছে তোমাকে।

__কি গুড নিউজ বলো?

__উহু আগে তুমি বলো,তারপর আমি বলবো।

__ওকে, শোনো ভাবির অভিমান ভেঙেছে,আজ নাকি ভাইয়া ভাবিকে জড়িয়ে ধরেছিলো ভাবি কিছুই বলেনি।ভাইয়া তো খুব খুশি আজ।

__কি বলো কিভাবে সম্ভব?

__দেখা হলে বলবো ফোনে এতো কিছু বলা যায় নাকি।

__আচ্ছা দেখা হলেই বলো। তো তোমার ভাইয়া ভাবির তো সব প্রায় ঠিক হতে চলেছে। আমাদের টা কবে ঠিক হবে কবে যে তোমাকে নিজের করে পাবো?অবশ্য তোমাকে নিজের করে পেতে খুব বেশি দেরি নেই।

__খুব বেশি দেরি নেই এতোটা শিওর হচ্ছো কি করে?

__আকাশ কিছু বলেনি তোমাকে, তোমার আমার রিলেশনের ব্যাপারে?

__কই নাতো ভাইয়া তো কিছু জানেই না কি বলবে।ভাবি জানে কিন্তু ভাবি তো ভাইয়াকে কিছু বলেনি।

__আকাশ সব জানে পিয়াস ওকে আজ বলে দিয়েছে সবটা। আমি তো ভেবেছিলাম আকাশ আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেবে না। বাট আমাকে অবাক করে দিয়ে ও বললো।
অনিক আমার ফ্রেন্ডদের মধ্যে আমার সব থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড তুই। আমি যতোটা জানি তোর আর তোর পরিবার সম্পর্কে আশা করি আমার বোনটা ভালো থাকবে। আর আকাশ এটাও বলেছে তোমার বাবা মা দেশে ফিরলেই আমাদের বিয়ের কথা বলবে।

__ও মাই গড!!অনিক আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না ভাইয়া মেনে নিয়েছে!এই জন্যই কি ভাইয়া কিছুক্ষণ আগে বলে গেলো আমার কোনো আশাই অপূর্ণ রাখবে না। আমি যেনো হাসি খুশি থাকি সেই ব্যবস্থা করবে।

আকাশের বন্ধু অনিক আফিয়াকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করতো। আফিয়াও মনে মনে পছন্দ করতো অনিককে। আফিয়া যেদিন নিঝুমের থেকে শুনেছে অনিক কাউকে ভালোবাসে তারপর থেকে আফিয়া অনিককে এড়িয়ে চলতো দেখা হলেও কথা বলতো না। অনিক একদিন ভার্সিটি থেকে আফিয়াকে প্রোপজ করে। আফিয়া কিছু না বলে চলে এসেছিলো। ঠিক তার দুদিন পরে নিঝুমের থেকে জানতে পারলো অনিক অন্য কাউকে নয় আফিয়াকেই পছন্দ করে আর ওকেই ভালোবাসে। ব্যাস তারপর থেকেই অনিক আর আফিয়া রিলেশনে বাধা পড়লো।

__কার সঙ্গে কথা বলছো আপু নিশ্চই অনিক ভাইয়া তাইতো?

প্রিয়ন্তী খাবার হাতে নিয়ে রুমে ঢুকতে ঢুকতে কথাটা বললো। আফিয়া তখনো অনিকের সঙ্গে কথা বলছিলো ফোন কেটে দিয়ে বললো
__হুম। ভাবি ভাইয়া সব জেনে গিয়েছে অনিক আর আমার ব্যাপারে। ভাইয়া নাকি মেনে নিয়েছে।

__বাহ এ তো ভালো কথা। তোমার ভাইয়া মেনে নিয়েছে তাহলে তো বাবা মা ও মেনে নেবে। আপু তুমি বিয়ে করে চলে গেলে আমি কার সঙ্গে সময় কাটাবো?

__আমি তো এখনি যাচ্ছি না গো ভাবি। আর আমি না থাকলেই বা কি ভাইয়া তো আছে সময় কাটানোর জন্য তাইনা

__তোমার ভাইয়া দেবে আমাকে সময়!হুহ।

__দেবে দেবে আজ যেমন দেরি করে দরজা খুলেছো বলে ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরেছিলো। আর বলেছে কাল থেকে তাড়াতাড়ি ফিরবে। কি জন্য তাড়াতাড়ি ফিরবে বলো তোমার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই তো।

__ওও জিরো সাহেব সব বলে দিয়েছে তোমাকে। কি লোক রে বাবা! থাক বাদ দাও তো,নাও খাবারটা খেয়ে নাও।

__ওহো ভাবি সন্ধার একটু আগেই তো খেলাম আবারো?

__হুমম আবারো,এখন কথা না বলে অল্প করে হলেও খেতে হবে। তোমার ভাইয়া বলে দিয়েছে না খেলে একটু পর এসে তোমাকে খুব করে বকে দেবে।

প্রিয়ন্তী জোর করে আফিয়াকে খাইয়ে বেড়িয়ে যেতে নিলে আফিয়া বলে উঠলো

__থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাবি।

__আপু হঠাৎ থ্যাংক ইউ কেনো?

__ভাইয়ার ভালোবাসাকে বুঝতে পেরে আপন করে নিতে চেয়েছো নিজের জায়গাটা বুঝে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছো তাই। আচ্ছা শোনো ভাবি এখন যাও ভাইয়াকে সময় দাও। আমি এখন একদম সুস্থ আছি আমাকে নিয়ে আর চিন্তা করো না।

প্রিয়ন্তী কিছু বললো না একটু হেসে বেড়িয়ে গেলো।
.
🍁
.
প্রিয়ন্তী ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে আর গুনগুন করে গান গাইছে। আকাশ ওর পাশে দাড়িয়ে বললো
__আমার বউয়ের এই গুনটার কথা তো জানা ছিলো না! তুমি গান ও গাইতে পারো?

__গুনগুন করলেই গান গাওয়া হয় নাকি। কি থেকে কি শুনেছেন।

__আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম তুমি গান গাইছিলে। গানের কথাগুলো তো আমি শুনেছি। গানটা নিশ্চই আমাকে উদ্দেশ্য করে গাইছিলে তাইনা?

__মটেও না আপনাকে উদ্দেশ্য করে কেনো গাইতে যাবো। এই মুহুর্তটা ভালো লাগছিলো তাই আর কি।

__হুমমম ভালোলাগা মুহুর্তেই ভালোলাগার মানুষটিকে মনে পরে। তোমার ক্ষত্রেও কি সেটাই হয়েছে? আমার যতটা মনে হয় তোমার ভালোলাগার মানুষটি আর কেউ নয় আমি,কি ঠিক বলেছি তো?

প্রিয়ন্তী মুচকি হেসে বললো
__জানি না।

__ইসস এভাবে হেসো না গো,তোমার ওই পাগল করা হাসিতে অনেক আগেই মারা পড়েছি। আবারো কি মারতে চাও?

__আমি আপনাকে কেনো মারতে চাইবো হুম?

__ঠিক বলেছো মনের মানুষকে তো মারা যায় না,আমি তো তোমার মনের মানুষ।

__এ কথা কখন বলেছি আপনাকে?

__বলতে হবে কেনো আমি কি বুঝিনা,তাছাড়া তুমি তোমার গানের কথাতেই তো তা বলে দিলে। উমম কি গান যেনো গাইছিলে….হ্যা মনে পড়েছে তোমার গানের কথাগুলো ছিলো””প্রিয় তুমি ছাড়া আমার কেহো নাই,আমি শুধু তোমাকেই চাই””।

__হয়েছে বাদ দিন,মায়াপরী কে সেটা বলুন,আজ বলতেই হবে।

__মায়াপরী, তার কথা আর কি বলবো বলো,তার কথা বলে তো শেষ করা যাবে না। সে যে আমার মনের মায়াপরী ভালোবাসি তাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি।

প্রিয়ন্তীর চোখ জোড়া ছলছল করে উঠলো,বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠছে। প্রিয়ন্তী মনে মনে বলতে লাগলো
__ওও তারমানে উনি সত্যি আমাকে করুনা করছে। বউ বলা আমার কাছে আসা আমার এতো কেয়ার করা সবটাই আমাকে অসহায় ভেবে করছে।

__কি হলো কি ভাবছো?

প্রিয়ন্তী কেঁপে উঠলো আকাশের কথায়,হাসার চেষ্টা করে বললো
__কিছুনা আমার ঘুম পেয়েছে যাচ্ছি আমি।

প্রিয়ন্তী চলে যেতে নিলে আকাশ প্রিয়ন্তীর হাত ধরে কাছে টেনে নিলো। প্রিয়ন্তী ছুটার জন্য ছটফট করছে কিন্তু আকাশ ছাড়ছে না। আকাশ ওকে আরো কাছে টেনে নিয়ে কোমড় জড়িয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো

__আমার সামান্য ভুলের কারনে আমি আমার মায়াপরীকে নিজের করে নিতে পারিনি। আমি যদি জানতাম আমার সেই মায়াপরীটাই আমার বউ হয়ে এসেছে তাহলে কখনোই আমি তাকে আঘাত দিয়ে কথা বলতাম না।

প্রিয়ন্তীর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো
__আপনার মায়াপরী আপনার বউ মানে?

__মানেটা হলো তুমিই আমার মায়াপরী বুঝেছো বউ?

প্রিয়ন্তী প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশ মৃদু হেসে প্রিয়ন্তীকে সামনে দাড় করিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। প্রিয়ন্তী আকাশের এমন অবাধ্য ছোয়াতে কেঁপে উঠছে। আকাশ ওর কাধে থুতনি রেখে মায়াপরীর ব্যাপারে সব কিছু বললো।

প্রিয়ন্তী সব শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে। আকাশের মনে ও এতোটা জায়গা জুড়ে আছে সেটা হয়তো কখনোই ভাবেনি। প্রিয়ন্তী তো বিয়ের পর আকাশকে দেখেছে,ভালোবেসেছে। আর আকাশ বিয়ের আগে থেকেই অচেনা অজানা এক মায়াপরীকে নিজের মনের মাঝে ঠাই দিয়েছে এখনো আকাশ তার মায়াপরীকে ভালোবাসে। শুধু আকাশের একটু ভুলের কারনে ওদের সম্পর্ক আজ এখানে এসে পৌছেছে।

আকাশ প্রিয়ন্তীর ঘাড়ে মুখ গুজে দিয়ে বললো
__আ’ম সো সরি মায়াপরী,আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। প্লিজজ আমাকে তুমি মাফ করে দাও।

প্রিয়ন্তী আকাশের দিকে ঘুরে চোখে চোখ রেখে বললো
__মাফ কেনো চাইছেন আপনি তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এটাই অনেক। আচ্ছা আমাকে আগে কেনো বলেন নি আপনি বিয়ের আগেও দেখেছেন আমাকে আবার একটা নামও দিয়েছেন?

__আমি তো এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম তাই বলিনি।

আকাশ প্রিয়ন্তী কপালে চুমু খেয়ে শাড়ির আচঁলটা মাথায় তুলে দিয়ে বললো
__আই লাভ ইউ মায়াপরী, আই লাভ ইউ সো মাচ।

প্রিয়ন্তী প্রতিউত্তরে কিছু বললো না মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরলো আকাশকে। আকাশ নিজের বাহু দ্বারা প্রিয়ন্তীকে জড়িয়ে নিয়ে বললো
__আমি আমার উত্তরটা পেয়ে গিয়েছি বউ। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো।

বাইরের ঠান্ডা হাওয়া আকাশ প্রিয়ন্তীকে ছুয়ে যাচ্ছে। চাঁদের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়েছে ওদের গায়ে। এই মুহুর্তে কতোই না সুখি লাগছে ওদের দুজনকে।
আকাশ প্রিয়ন্তীকে একহাতে বুকে জড়িয়ে অন্য হাতে প্রিয়ন্তীর হাত ধরে তাকিয়ে আছে ওই দূর আকাশের বুকে রুপালী চাঁদটার দিকে।

__এ বুকের ভেতর কান পেতে শোনো হৃদয় আমার ডাকছে তোমায়””এই চোখেতে চেয়ে দেখো না তুমি আছো মনিকোঠায়””প্রিয় তুমি ছাড়া আমার কেহো নাই,আমি শুধু তোমাকেই চাই।

প্রিয়ন্তী অবাক হয়ে তাকালো আকাশের দিকে আকাশ হেসে বললো
__কি গানটা মিলেছে তো, তুমি এই গানটাই গাইছিলে তখন তাইনা?

__হুম মিলেছে। থামলেন কেনো আপনার কন্ঠে তো শুনতে খুবই ভালো লাগছিলো গানটা।

__এখন গান গাওয়ার সময় নাকি হুম,এটুকু তো তোমাকে চমকে দেওয়ার জন্য বলেছি। এখন আর কথা নয় রুমে যেতে হবে। আমার মায়াপরীকে আমি অনেক আপন করে নিতে চাই সে সুযোগটা কি পাবো?

প্রিয়ন্তীর মুখে লজ্জার আভা ভেসে উঠেছে,মাথা নিচু করে রইলো। আকাশ হুট করেই প্রিয়ন্তীকে কোলে তুলে নিলো। প্রিয়ন্তী চোখ খিচে আকাশের টি শার্টের কলার খামচে ধরলো।

ভালোবাসার জোড় আসলেই অনেক বেশি রাগ অভিমানও হার মানতে বাধ্য এই ভালোবাসার কাছে। প্রিয়ন্তীর মনে আকাশের জন্য,যে অভিমান জমা হয়েছিলো আজ তার বাধ ভেঙেছে। আকাশ তার মায়াপরীকে নিজের করে পেয়েছে। আর প্রিয়ন্তী পেয়েছে তার প্রিয় তুমিকে।

❤সমাপ্ত❤

______প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আমার পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবাই।_____

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here