প্রেমাধিকার পর্ব ২০

প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
[ 2nd capter ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr[ Mêhèr ]
Part: 20……….

দেখতে দেখতে প্রায় ১ মাস চলে যায়। আইরা এখন অনেকটাই সুস্থ। রাজ যতটা না আইরার সাথে মিশেছে তার চেয়েও আইরা রাজের উপর ডিপেন্ড হয়ে পরেছে। আরিয়াকে আইরা না চাইলেও রাজকে ওর চাই। রাজ ওর খেলার সাথীতে পরিনত হয়েছে। আর রাজের ও এক অবস্থা আরিয়ার প্রতি রাজের রাগটা যতটা তার চেয়ে বেশি মায়া জন্মছে আইরার প্রতি। নিশ্বাসের সাথে মিশে গেছে মেয়েটা। রাজ নিজের সমস্ত না পাওয়া পুরন করছে আইরাকে দিয়ে।

আইরা: এই সিনচেং এর বাবাই তুমি এত দেরি করলে কেন???

রাজ: সরি মামনি কাজ ছিল তাই একটু দেরি হয়ে গেল।

আইরা: তুমি জানো আমি না খেয়ে তখন থেকে তোমার জন্য বসে আছি।

রাজ আরিয়ার দিকে তাকায়…..

আরিয়া: আমার হাতে খায়নি…. [ মাথা নিচু করে মৃদু কন্ঠে ]

রাজ: ওকে মামনি আপনার সিনচেং এর আব্বু এসে গেছে এবার খাবেন তো।

আইরা: হুমম… তবে…. 🤔🤔🤔

রাজ: কি??? 🙄🙄🙄

আইরা: খাইয়ে দিতে হবে।

রাজ: সেটা তো সবসময় দি…..

রাইরা: তাইলে আমিও খাব….. 😁😁😁

রাজ আইরাকে পরম মমতায় খাইয়ে দেয় আইরাকে। আর আরিয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে। কিছু করার নেই। সন্তানের চাওয়ার কাছে বাধা। তাছাড়া রক্তের টান না চাইতেও রাজ আর আইরাকে এক করে দিয়েছে। কেউ কাউকে চিন্তো না কিন্তু নিজের অজান্তেই তারা এখন স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ……..

রাজ আরিয়াকে জালানোর জন্য বলে…..

রাজ: আচ্ছা মামুনি তোমার মা ও তো ছিল তাহলে কেন খেলে না???🤔🤔🤔

আইরা: ওনি পচা শুধু আমাকে বকে। কিন্তু তমি ভালো আমাকে কত্ত আদর করো একদম বকো না।

রাজ: ওমা তাই নাকি। আচ্ছা তোমার মামনি যদি তোমাকে নিয়ে চলে যায় তখন…….

আইরা গিয়ে রাজকে জড়িয়ে ধরে। আমি তোমার কাছেই থাকব। আমি যাব না তোমার থেকে……

রাজ: ওকে ওকে মামনি যেতে হবে না। তোমার মামুনি চাইলেও দেব না কেমন???

আজ আইরাকে দেখে নিজের ছোটবেলা মনে পরে গেল। ও তো এমন জেদি ছিল ওর বাবা এভাবেই ওর জিদ রাখত…….

রাজ: আজ ওকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হবে।

আরিয়া: হুমম আমি নিয়ে যাব ওকে……

রাজ: সেটা ভুলেও ভেব না।😡😡😡

আরিয়া: মানে….

রাজ: আমি আইরাকে দেব না।

আরিয়া: এসব কি বলছ তুমি😡😡😡 ও আমার মেয়ে। কোনো অধিকার নেই ওর উপর তোমার।

রাজ: ঠিক আছে ওর উপর নেই তো কি হয়েছে তোমাকে তো বাধ্য করতে পারি। তুমি যখন আইরাকে আমার কাছে থাকতে দিবে না তখন আমিও চাইনা ও তোমার সাথে থাকুক…..

আরিয়া: মানে…..

রাজ: আইরা আজ থেকে আমার সাথে থাকবে। আর তুমি ওর থেকে আলাদা। আমার মনে হয় না আইরার কোনো সমস্যা হবে। আর এটাই তোমার যোগ্য শাস্তি……
,
,
,
,

,,
,

,,
,
,
তারপর রাজ আইরাকে নিয়ে চলে যায়। আরিয়া কোন দিশা না পেয়ে রাজের বাড়ি যায় কিন্তু রাজ ওকে নিয়ে সেখানে যায় না। ও আইরাকে নিয়ে অন্য কোথাও রাখে। রাতে রাজ নিজের বাড়িতে এসে দেখে আরিয়া রুমে বসে কাদছে। রাজকে দেখা মাত্র ও ছুটে যায় কিন্তু আইরাকে কোথাও দেখতে পায় না কারন রাজ আইরাকে আনেনি।

আরিয়া: রাজ আইরা কোথায়…??? [ কাদতে কাদতে ]

রাজ: আমার কাছে…..

আরিয়া: তুমি আমার মেয়েকে আমার থেকে দুরে রাখতে পারো না।

রাজ: চাইনি তো শুধু চেয়েছিলাম নিজের কাছে রাখতে এখন তুমি তো হতে দিতে চাইলে না আমি কি করতে পারি।

আরিয়া: প্লিজ আইরাকে আমার কাছে এনে দেও। এতটুকু মেয়ের তার মাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হবে।

রাজ: তার মাকে ছাড়া আইরা ভালোই থাকবে….

আর কোনো কথা বলে না রাজ আরিয়ার সাথে চলে যায়।

এভাবে কেটে যায় ৩ দিন আইরাকে না পেয়ে আরিয়ার পাগল প্রায় অবস্থা। কিন্তু একদিনের জন্য রাজ আইরাকে ওর সামনে আনেনি। আরিয়ার ছটফটানি মন গলাতে পারেনি রাজের।

রাজ আইরাকে অন্য একটি জায়গায় রেখেছে। ওর দেখা শোনার জন্য মানুষ তো আছেই। তাছাড়া আইরা রাজের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। ওর কলিজার একটা অংশ। আরিয়ার প্রতি যতই রাগ থাকুক না কেন আইরাকে এক বিন্দু আচর লাগতে দেবে না।

,
,

,
,

,,

,
,
,
,প্রতিদিনের কাজ শেষে রাজ আইরার কাছে যায়। আইরা বিছানায় বসে বসে খেলছিল।

রাজ: কি করছে আমার মামুনি…..

আইরা:…… [ গাল ফুলিয়ে ]

রাজ: রাগ করেছে আমার মামুনি।

আইরা: তুমি খুব পচা সিনচেং আব্বু….

রাজ: কেন মামুনি….???

আইরা: তুমি আমাকে বলেছ এখানে মামুনিকে নিয়ে আসবে কিন্তু মামুনি তো এলো না। [ কাদো কাদো মুখ নিয়ে ]

রাজ: তারমানে আমার মামনির মন খারাপ করছে তার মাম্মামের জন্য…..

আইরা:……… [ নিচের দিকে গাল ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে। ]

রাজ: ঠিক আছে মামনির যখন মাম্মাম চাই তবে এনে দিব কেমন???

আইরা: সত্যি…. [ বেশ খুশি হয়ে ]

রাজ: হুমম😁😁😁

আইরা গিয়েই রাজকে জড়িয়ে ধরে বলে…. তুমি খুব ভালো।

রাজ: ঠিক আছে… 😁😁😁 [ আরিয়াকে কষ্ট দিতে চাইলেও আমি তোমাকে কোনো কষ্ট দেব না মামুনি….. ] আচ্ছা তাহলে এবার খেয়ে নেও।

তারপর রাজ আইরাকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। দিন যতই যাচ্ছে রাজ ততবেশি মেয়েটার মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। যেন কত আপন ওর….. ওর নিষ্পাপ মুখটা দেখলে ওর সমস্ত ক্লান্তি নিমিষেই চলে যায়। ওর কপালে আদর করে রাজ ওকে কোলে নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে। তারপর ওকে বাড়ি নিয়ে এসে আরিয়ার কাছে নিয়ে আসে……..

আইরাকে দেখে আরিয়ার বুকে প্রান ফিরে আসে। যেন তৃষ্ণাত্ব মরুতে পানি পেয়েছে আরিয়া। আরিয়া ওকে কোলে নিয়ে কাদতে চাইলে রাজ আরিয়ার মুখ চেপে ধরে……

রাজ: ও এখন ঘুমুচ্ছে। আর আমি চাই না ওর ঘুম ভেঙে যাক। ঘুম ভেঙে গেলে কান্না করবে।

আরিয়া রাজের কথায় অবাক হয়ে দেখে। মাত্র কটা দিন হলো অথচ এমন করছে যেন কতদিন ধরে আইরাকে ও মানুষ করছে। এমন ভাবে বলছে যেন এতদিন আইরাকে ও নিজে বড় করেছে……. রাজ একটু এগিয়ে এলে আরিয়া ভয় পায়। আবার যদি রাজ নিয়ে যায়। কিন্তু রাজ রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আইরাকে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে ওর গায়ে কাথা টেনে দেয়। আর আরিয়া অবাক হয়ে দেখতে থাকে। তারপর আরিয়াকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে……

রাজ: তুমি যদি মনে কর তোমার কথায় আমি আইরাকে নিয়ে এসেছি ভুল ভাবছ। আইরা জেদ করছিল তাই। আর আমি আইরার চোখে পানি দেখতে চাই না।

আরিয়া:…… [ রাজের দিকে তাকিয়ে আছে ও কি বলবে বা বলা উঠিত বুঝতে পারছে না। ]

রাজ: তাছাডা কাল আমি একটা কাজে দেশের বাইরে যাচ্ছি তাই আমি চাইনা ও একা থাকুক…. তাই তোমার কাছে দিয়ে গেলাম।

আরিয়া: তুমি ভুলে যেওনা ও আমার মেয়ে।

রাজ: Whatever…. তোমার মেয়ে অন্য কারো যার হোক না কেন আইরাকে আমি দিচ্ছি না। আমি যে কয়দিন দেশের বাইরে থাকব সে কয়দিন তুমি আর আইরা এখানেই থাকবে। আর যদি তুমি আইরাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করো তাহলে রাজের সবচেয়ে খারাপ রুপটা তুমি দেখবে।😡😡😡

আরিয়া:……..

আরিয়া নিরবতা দেখে রাজ একটু শান্ত হয়।

রাজ: দেখ আরিয়া আমি চাইনা কিছু করতে আমি শুধু চাই আইরা আমার কাছে থাকুক। আমি জানি ওর উপর আমার অধিকার হয়ত নেই। কিন্তু আমি চাই ও আমার কাছে থাকুক। এইটুকু জিনিস আমি তোমার থেকে চাইছি প্লিজ……..

আরিয়া:………

রাজ: রাত অনেক হয়েছে যাও ঘুমিয়ে পরো।

,
,
,
,

,
,
,

তারপর রাজ নিজের যাবতীয় জিনিস গুছিয়ে নেয়। তারপর আইরার কাছে গিয়ে দেখে আরিয়া আইরাকে বুকের মধ্যে নিয়ে শুয়ে আছে। দুজন মা-মেয়ে ঘুমোচ্ছে। রাজ আর ওদের ডিস্টার্ব না করে অন্য রুমে গিয়ে শুয়ে পরে।

রাজ: সত্যি যদি আইরা আমার মেয়ে হত। এখন আর অন্যকিছু ভালো লাগে না। আইরাকে পেয়ে জীবনের নতুন মানে পেয়েছি। আমি কিছুতেই আইরাকে ছাড়ব না। কিন্তু আরিয়াকে কি দেবে আমাকে আইরাকে। [ ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে রাজ ]
,
,

,
,
,,

,
,
,
,

,
সকালে আরিয়া ঘুম থেকে উঠার আগেই আইরাকে আদর করে বেড়িয়ে যায় রাজ এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। সকাল ১০টায় ওর ফ্লাইট।

রাজ এয়ারপোর্টে ডুকে কিছু একটা দেখে থমকে যায়। সামনে গিয়েও কয়েকপা পিছনে যায় মানুষটাকে দেখে। হ্যা মানুষটা আর অন্য কেউ না ইশাদ…….. রাজ এটা বুঝতে পেরেছে ও দেশের বাইরে থেকে এসেছে। রাজ ওকে দেখে নিজের রাগটা আর কন্ট্রোল করতে পারল না। রাজ গিয়েই ওকে একটা ঘুশি মারল। ঘটনার আকস্মিকতায় ইশাদ কিছু বুঝে উঠতে পারল না। মাটিতে পরে গেল। রাজ ওকে তুলে আরেকটা ঘুষি মারার আগেই ইশাদ ওর হাত ধরে ফেলল….. এবার ইশাদ লোকটা দেখল…. রাজ ওকে টেনে এয়ারপোর্টের বাইরে নিয়ে এলো। কিন্তু ইশাদের ব্যাপারটা বুঝতে সময় লাগল।

ইশাদ: আপনি…… [ বেশ অবাক হয়ে ]

রাজ: তোর ভরসায় আমি আরিয়াকে ছেড়ে ছিলাম আর তুই কিনা ওকে একা রেখে চলে গেছিস….. একবার ও ভাবিসনি ও একা একটা মেয়ে ওর বাচ্চাকে নিয়ে কি করবে???😡😡😡 [ ইশাদের শার্টের কলার ধরে ]

ইশাদ রাজের কথার আগামাথা কিছুই বুঝল না। রাজ আরেকটা ঘুশি মারতে ধরলে এবার ইশাদ নিজেই ওকে ছাড়িয়ে ঘুশি মারে।

ইশাদ: এসব কি যাতা বলছেন??? অনেক সহ্য করেছি আর না। একবার তো আপনার জন্য দেশ ছেড়েছিলাম আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিলেন। এবার যখন ফিরে এসেছি তখন আবার এসেছেন????😡😡

রাজ: সেদিন আমি যখন আরিয়াকে তোর কাছে দিয়ে গেলাম তারপর তুই কোথায় গিয়েছিস ওকে ছেড়ে😡😡😡

ইশাদ এবার প্রচন্ড ক্ষেপে যায়। ও নিজেই গিয়ে রাজকে মারতে থাকে।]

ইশাদ: পেয়েছেনটা কি আমাকে??? 😡😡😡 দুজনে মিলে আমার লাইফটা নষ্ট করে দিয়েও শান্তি হয়নি আপনাদের। সেদিন যখন আমি মার খেয়ে আপনার বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলাম। সেদিনি ঠিক করেছিলাম ভালো কথায় আপনি মানবেন না তাই যে করেই হোক আরিয়া আমার কাছে নিয়ে আসব। কারন ততদিনে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আরিয়া আপনার সাথে সুখী নেই। আপনি জোর করে ওকে নিজের কাছে রাখছেন। তাই ওকে নিজের কাছে আনার জন্য সমস্ত ব্যাবস্থা করে ফেলেছিলাম। কিন্তু যখন আপনি ফোন করে বলেছিলেন আপনি আরিয়াকে আমার হাতে তুলে দিতে চান। আমার বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু তবুও শেষ বারের জন্য বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম। সারারাত অপেক্ষা করেছিলাম সেখানে যেখানে আপনি দাড়িয়ে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু পুরো রাত অপেক্ষা করার পরও আরিয়া আসেনি। আমি পুরো রাত দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু আরিয়ার দেখা পাইনি।

ইশাদের কথা শুনে রাজের মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। কারন ও নিজে দিয়ে এসেছিল।

রাজ: তারমানে আরিয়া সেদিন তোমার কাছে যায়নি……..

ইশাদ: নাহহ ভেবেছিলাম আপনি আমাকে মিথ্যে বলেছেন। জোর করে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু আমার সেই ধারনা ভুল প্রমান করে আরিয়া নিজে।

রাজ: মানে…..

ইশাদ: সকালে আরিয়ার জন্য আমি যখন আপনার বাড়িতে যাব। ঠিক তখনি আমার নাম্বারে একটা কল আসে। আর সেটা আরিয়া করেছিল। ও আমাকে জানায় যখন বিয়েটা আপনার সাথে হয়েছে তখন ও আপনার সাথেই থাকতে চায়। বিশ্বাস করুন ওর মুখে এই কথাটা শুনে আমার কলিজা ছিদ্র ছিদ্র হয়েছিল। তাও নিজেকে শান্তনা দেবার জন্য বলেছিলাম ফিরে আসার কথা। কিন্তু ওর উত্তরে আমি আর পারিনি কিছু বলতে।

রাজ: তোমার মনে হয়নি আরিয়া মিথ্যে বলছে……

ইশাদ: আরিয়াকে আমার চেয়ে ভালো কেউ চেনে না। আমি ওর নিশ্বাস শুনে বলতে পারতাম ও মিথ্যে বলছে নাকি সত্যি। ও আপনার সাথে থাকতে চায় কথাটা আমার বিশ্বাস হয়নি কিন্তু আমার সাথে থাকতে চায় না সেটা বুঝতে পেরেছিলাম।

রাজ:………

ইশাদ: তারপর ভেবেছিলাম হাজার হলেও মেয়েতো বিয়ের পর হয়ত নিজেকে চেঞ্জ করে নিয়েছে স্বামী সংসারের প্রতি মায়া জন্মেছে। ও আরেকটা কথা তো বলা হয়নি। ও আমাকে এটাও বলেছিল আমি যেন আপনার কাছ থেকে ওর খবর নেওয়ার চেষ্টা না করি। হয়ত আপনাদের সমস্যা হবে তাই।

রাজ:…… [ ওর কথার উত্তর নেই রাজের কাছে ]

ইশাদ: তারপর আর কি এখন জিবন থেকে কেউ চলে গেছে বলে তো জিবন থেমে থাকবে না। আর আমার স্কলারশিপের মেয়াদো ততদিনে যায়নি। তাই আঞ্জুম ভাই বলল আমাকে স্কলারশিপ নিয়ে চলে যেতে। আমিও না করিনি এমনিতে আর কার জন্য থাকব। তাই চলে গিয়েছিলাম।

রাজ:…….

ইশাদ: কিন্তু এসব আপনি আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছেন??? আমি তো আপনাদের সুখে বাধা হয়নি চলে গিয়েছি। নিজের দেশটাকে ছেড়ে।

রাজ: ও যদি তোমার সাথে না যায় তবে আইরা….. আইরা কার মেয়ে……. মানে আইরা আমার…..

ইশাদ: মানে…..

রাজ: আরিয়া তোমাকে মিথ্যে বলেছে ও…. [ আর কোনো কথা না বলে চলে আসে রাজ বাড়িতে।]

ইশাদ: রাজ…. রাজ…..

,
,

,
,
,
,
,

,
,
,রাজ বাড়িতে গিয়ে দেখে আরিয়া আইরার সাথে খেলছে। রাজ কোনোমতে নিজেকে শান্ত করে আইরার কাছে যায়।

রাজ: আইরা মামুনি…..

আইরা: আরে তুমি…. তুমি না চলে গেলে।

রাজ: আমার মামুনির জন্য ফিরে এসেছি। আচ্ছা মামুনি তুমি তোমার সাদ আংকেলের সাথে গিয়ে খেলা করো। [ আসার সময় রাজ সাদকে সবটা জানায় আর সাদ আসে। ]

আইরা: নাহহহ….

রাজ: মামুনি আমার কথা রাখবে না।

আইরা: হুমম কিন্তু….

রাজ: যদি চকলেট দেই তাইতো।

আইরা: হুমম😁😁

রাজ: ওকে সাদ আংকেল কিনে দিবে। এবার যাও…… [ আইরার কপালে চুমো দিয়ে ]

আইরা: আচ্ছা….. [ আইরা সাদের সাথে চলে যায়। ]

,
,
,
,

,
,
আইরা চলে যেতেই রাজের চোখ লাল হয়ে যায়। আরিয়া বেশ ভয় পায়।

আরিয়া: কিহল ফিরে এলেন যে??? আর আইরাকে বের করে দিলেন কেন???

আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই একটা থাপ্পড় মারে।

রাজ: আমি চাইনা আইরার ছোট মনে কোনো আচ লাগুক….

আরিয়া: মানে কি???

রাজ: আইরা কার সন্তান আরিয়া.।।।।😡😡

আরিয়া: আ… মার…

রাজ আরেকটা থাপ্পড় মারে।

রাজ: ওর বাবা কে???

আরিয়া:….. [ মাথা নিচু করে কাদছে ]

রাজ: ঠিক আছে তাহলে নিজের মেয়েকে দেখার আশা ভুলে যাও। ওকে আর কোনোদিন দেখবে না তুমি….

আরিয়া: রাজ না। [ কান্না করে ]

রাজ: ওর কার সন্তান…. মিথ্যে বলো না কারন আমি ইশাদের কাছ থেকে সবটা শুনেছি।

কথাটা শুনেই আরিয়ার বুক কেপে উঠে।

আরিয়া: ও…..

রাজ: কার সন্তান…..[ চিল্লিয়ে ]

আরিয়া: তোমার.।।। [ বলেই মাটিতে হাটু গেড়ে বসে কান্না করে দেয়। রাজ ও আর দাড়িয়ে থাকতে পারে না। মাটিতে বসে পরে ]

রাজ: কেমন তুমি আরিয়া। একটা বারের জন্য এটা জানতে দেওনি আমার সন্তান আছে। একটা বারের জন্য না। হয়ত অন্যায় করেছিলাম যা ক্ষমার যোগ্য না। তাই বলে এত বড় শাস্তি। নিজের সন্তানের চিকিৎসার টাকাটা আমাকে তুমি দিতে দেওনি। ধার চেয়েছিলে। কোনো বন্ধন না থাকা সত্ত্বেও আমি আইরার জন্য মায়ায় পরতাম অথচ তুমি একবারো বললে না ও আমার মেয়ে। বরং নিয়ে যেতে চেয়েছ।

আরিয়া:……

রাজ: নাহহ আমি দেব না আমার মেয়েকে….. [ বলে বেড়িয়ে যায়। তারপর সাদের কাছ থেকে আইরাকে নিয়ে চলে যায় গাড়িতে করে। ]

আইরা: কোথায় যাব???

রাজ: যেখান থেকে আমার মামুনিকে কেউ নিতে পারবে না।

আইরা: কিন্তু……..

ওদিকে আরিয়া পাগলের মত ছুটে যায় গাড়ির পিছনে কিন্তু পায় না ওদের ঠিক তখনি একটা গাড়ি আরিয়াকে………..
,
,
,
,

,
,
,

,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here