ফিলোফোবিয়া পর্ব -১১

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির)

১১.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

প্রেমের দরজা খুলো না
ভালোবাসি বলো না

তুমি দুরে দুরে আর থেকো না
এ চোখে চেয়ে দেখো না

তোমার প্রেমে আমি প্রজাপ্রতি হবো
ফুলে ফুলে উড়ে ভালোবাসার কথা কবো [২]

তুমি আমায় কাছে ডাকোনা
প্রেমের সুরভী মাখো না

তুমি দুরে দুরে আর থেকো না

টিভির পর্দায় channel16 ভেসে। গান চলছে একের পর এক। তখনকার দিনে বাবা মায়েরা কিশোরীদের খুব একটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতোনা। শহরে গুটিকয়েক কিশোরীদের হাতে দেখা গেলেও। গ্রামের দিক অনেকটাই অসাধ্য প্রায়। তখনকার দিনে ইন্টারনেট ওয়াইফাই’য়ের ব্যবহার ছিলনা অত। সকাল বিকাল নতুন জনপ্রিয় হওয়া শিল্পী ইলিয়াস, পূজা, ইমরানদের গান গুলো চ্যানেল সিক্সটিনে চালানো হতো বারবার।
মনযোগ দিয়ে গানটা শুনছে প্রিয়। গানের প্রত্যেক বাক্য যেন তারই মনবচন। বুকে অভিমানের বরফ জমেছে। সেই যে শতাব্দ ঢাকায় গেল। আজ পনেরদিন কোন খোঁজখবর নাই তার। কথা ছিল প্রতি সাপ্তাহে আসবে একবার। শতাব্দের কথা ভাবতে ভাবতেই ছবির এলবামটা ফ্লোরে আছড়ে রাখলো।
আজ শুক্রবার। ছুটিরদিন। সেই সাথে ঘরবাড়ি পরিষ্কারেরও দিন। রোজ শুক্রবারের মত সকাল সকাল নাস্তা সেরে খালার সাথে ঘর পরিষ্কারে হাত লাগিয়েছে। বসার ঘরে ছোট কাঠের আলমারিটা খুলেছে আজ। পুরানো কাগজপত্র, দলিলপত্রাদি আছে এখানে। সেই সাথে আছে অনেক আগের ছবির এলবাম। আলমারি পরিষ্কার কর‍তে গিয়ে ভেতর থেকে একটা ছবি ছিটকে পড়ল। বেশ পুরানো। প্রিয় ভ্রু কুঁচকে হাতে নিয়ে দেখল। ছবিতে খালাকে চিনতে পারছে। কিন্তু খালার পাশে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে দেখেনি আগে! কে এই লোক? খালার সাথে কি সম্পর্ক তার? কোন বন্ধু! প্রিয়’র মনে প্রশ্ন জাগলো। ছবি উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল খালাকে,
‘ খালা। ছবিতে তোমার সাথে এই লোকটা কে?’
খালার ফুরফুরে মেজাজটা দমে গেল হঠাৎ। রাশভারি হয়ে এলো চোখমুখ। গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
‘ কেউনা। এসব কিছু ঘাটাঘাটি করতে হবেনা তোকে। আরেকটু পর আজান দিবে। যা গোসল করে নামাজ পড় গিয়ে।’
‘ হাতের কাজটা শেষ করে যাই?’
খালা আগের মত গম্ভীর হয়েই বললেন,
‘ তোকে করতে হবেনা। করছি আমি।’
খালা রেগে গেছে। প্রিয় কথা বাড়ালো না আর। উঠে ঘরে চলে গেল চুপচাপ।

বিকালে ছাদে রেলিং-এ পা তুলে বসে ছিল প্রিয়। উদাসীন মন। বাতাসে তিরতির কাঁপছে ওড়নার পাড়। হ্ঠাৎ এমন সময় জুবাইদা তানহার আগমন হলো। দুজনকে দেখে প্রিয় ভ্রু কুঁচকালো।রেলিং থেকে নেমে ভারী কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ দুজন জোট বেঁধে এসেছিস। কোন কান্ড বাঁধাবি নিশ্চয়ই। সত্যি সত্যি বল কেন এসেছিস?’
জুবাইদা চেয়ারে গা এলিয়ে। টি টেবিলে পা তুলে দিয়ে বসলো। ভণিতা করে বলল,
‘ কি ঠোঁট কাটা মেয়ে দেখেছিস তানহা? মেহমান এসেছে কই চা বিস্কুট আনবে না। তা না! কেন এসেছি জিজ্ঞেস করছে। বলছি আদবকায়দা কি উঠে গেছে দুনিয়া থেকে?’
কথা শেষ হতেই দুজন খিলখিল করে হেসে উঠল। বিরক্ত হলো প্রিয়। এক সকাল থেকে খালার মেজাজ গরম। শুধু শুধু কথা শোনাচ্ছে। তার উপর শতাব্দের চিন্তায় বিকল হয়ে আছে মাথা। এখন এদের ঠাট্টা মশকরাতে আরো মেজাজ খারাপ হচ্ছে। কন্ঠে বিরক্তি ঢেলে বলল প্রিয়,
‘ মজা ভালো লাগছে না। বন্ধ কর।’
তানহা জুবাইদার সাথে তাল দিলো। প্রিয়’কে ঠেস মেরে। জুবাইদার মত ভণিতা করে বলল,
‘ আমরা মজার মানুষ ভাই। আমাদের অত প্যারা নাই। যার ভালোবাসার মানুষ দূর শহরে প্যারা নিবে সে।’
হতভম্ব হলো প্রিয়। গোলগোল বিস্মিত চোখে দু’জনের দিক তাকাল। প্রিয়’র এমন চাহনিতে কিটকিটে হেসে উঠল তারা। জুবাইদা বলল,
‘ তুই কি ভেবেছিস! আমার ভাইয়ের সাথে প্রেম করছিস। তুই না বললে জানবো না আমি? সব দেখেছি। সেদিন ভাইয়ের ওইভাবে রেগে যাওয়া দেখেই বুঝতে পেরেছি।আরিফ ভাইকে কি ঝাঁরাটাই না ঝাঁরলো। বাপরে! কি দোষ ছিল বেচারা! নরমাল হাই হ্যালো। সামান্য ফ্লাটিং-ই তো করছিল। ‘
বিস্ময় কাটিয়ে চোখে মুখে বিরক্তি রেখা টানল প্রিয়। কন্ঠ রাশভারি করে বলল,
‘ বাজে কথা। উনার সাথে প্রেম করতে যাবো কেন।’
‘ আচ্ছা! তাহলে সেদিন সবাই যাওয়ার পর ছাদে কি চলছিল?’
অবাক হওয়ার ভান করে বলল জুবাইদা। প্রিয় ইনিয়েবিনিয়ে কথা কা*টাতে চাইল। শুনলো না তারা। এটাওটা বলে খোঁচাখুঁচি শুরু করল। কপাল কুঁচকে বসে রইল প্রিয়। জুবাইদা হ্ঠাৎ বলল,
‘ পরশু ভাইয়ের জন্মদিন।’
চমকাল প্রিয়। মন আকুম-বাকুম নেচে উঠল। চোখেমুখে প্রকাশ করল না কিছু। গম্ভীর হয়েই উত্তর দিলো,
‘তো? আমি কি করবো।’
জুবাইদা ভনিতা করে বলল,
‘যদি না জেনে থাকিস তাই জানালাম।’
খানিক চুপ থেকে, আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করল,
‘ আগামীকাল আসবে সে?’
‘ তুই জেনে কি করবি? এসবে তোর মাথাব্যথা নাই। তাইনারে প্রিয়?’
মুখ ফুলিয়ে বসে রইল প্রিয়। জুবাইদা তানহার সাথে সারা বিকাল আড্ডা দিলো। সন্ধ্যা নামতেই তানহারা চলে গেল।
রাতে পড়ার টেবিলে বসে সেদিনের কথা ভাবছিল প্রিয় । কি ভ*য়টাই না পেয়েছিল!
চেয়ারম্যান বাড়ির ছেলেমেয়ে সহ শতাব্দের বন্ধুবান্ধবও উপস্থিত ছিল সেখানে সেদিন। ছাদে মুরগী পোড়াচ্ছিল। সেই সাথে গিটার গান বাজনাও ছিল। ছেলেমেয়েদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বেশ জমজমাট ঝমকালো আয়োজন। খাওয়া দাওয়া শেষে। প্রিয় জুবাইদাদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। এমন সময় শতাব্দের এক বন্ধু এসে পাশে বসলো। প্রথমে স্বভাবিক ‘হাই-হ্যালো’ কুশল বিনিময় করলে পরবর্তীতে বেশ গায়ে পড়ে কথা বলছিল। ব্যপারটা বুঝতে পেরে প্রিয় বিনয়ী ভাবে এড়িয়ে যেতে চাইলে। ছেলেটা আরো বেশি ছলাকলা শুরু করল। প্রিয় ভীষণ বিরক্ত হলো। এক পর্যায় জায়গা ছেড়ে উঠে গেল। ছেলেটাও পিছন পিছন এলো। সরাসরি প্রেম নিবেদন করে বসল। প্রথমদিকে এসব কিছু খেয়াল না করলেও প্রপোজালের ব্যাপারটা চোখে পড়ল শতাব্দের। ক্ষি*প্ত বাঘের মত এগিয়ে আসলো। চোখমুখ ভয়ংকর লাল। দেখে ঘা*বড়ে গেল প্রিয়। ভ*য়ে হাত কচলাতে শুরু করল। হাত পা কাঁপছে অনবরত।
প্রিয়’র দিক রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। সামনের ছেলেটার দিক ক্ষি*প্ত হয়ে তাকাতেই। ছেলেটা আমতা আমতা করে বলল,
‘ ভাই এতো সিরিয়াস হচ্ছিস কেন? শুনলাম জুবাইদার বন্ধু তাই টাইমপাস করছিলাম জাস্ট।’
ছেলেটার কলার চেপে ধরল শতাব্দ। দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে ক্রু*দ্ধ কন্ঠে বলল,
‘ তোর চেনাজানা যেই সেই মেয়ে না ওঁ। প্রিয় ফ্যামিলি মেম্বার। ও আমার। বন্ধু বলে ছাড় দিচ্ছি। অন্যকেউ হলে টেনে চোখ তুললাম।’
ছেলেটা ঘাবড়ে দু’পা পিছিয়ে গেল। মাথা নুয়ে বেরিয়ে গেল। ভারী ভারী ক্ষিপ্ত নিশ্বাস ফেলছে শতাব্দ। ভয়*ঙ্কর রেগে আছে তখনো।
ততক্ষণে গানবাজনা বন্ধ হয়ে গেছে সব। এদিকেই তাকিয়ে আছে সবাই। চুপচাপ রেলিং চেপে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়। শরীর কাঁপছে থরথর।
রাত দুইটা তিন পর্যন্ত পার্টি চলবে কথা ছিল। দশটার পর পরই থেমে গেল। পরিস্থিতী দেখে বাতি নিভিয়ে, সবকিছু গুছিয়ে সবাইকে নিয়ে নেমে যাচ্ছিল সমুদ্র। সুযোগ বুঝে প্রিয়ও পা বাড়াল। এমন সময়ই শতাব্দের গম্ভীর গর্জনী কানে এলো,
‘ আমি যেতে বলিনি প্রিয়।’
প্রিয়’র বাড়ন্ত পা’জোড়া থেমে গেল। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এক এক করে সবাই নেমে গেল। মূর্তির মত প্রিয় দাঁড়িয়ে রইল ঠাই! খানিকক্ষণ এভাবেই কাটলো। রেলিং চেপে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়।
রাগ দমিয়ে একটু সময় নিয়ে। পাশে এসে দাঁড়াল শতাব্দ। জোসনা রাত। আকাশে পূর্ণ চাঁদ। চাঁদের উজ্জ্বল আলো মুখ ছুঁইছে প্রিয়’র। ভীতু ভীতু মুখটা দেখতে মায়াবী ভীষণ। রেলিং -এর উপর রাখা প্রিয়’র হাতটার উপর হাত রাখলো শতাব্দ। আদুরে স্বরে ডাকলো। ভীতু পিটপিট দৃষ্টি তুলে তাকালো প্রিয়। চোখে চোখ রাখলো। প্রিয়’র চোখমুখে এখনো একরাশ ভয়। আলতো করে তার তুলতুলে গালে আঙ্গুল ছুঁয়ে দিতে দিতে। শতাব্দ গভীর কন্ঠে বলল,
‘আমি কোন বাঘ ভাল্লুক না। সাধারণ একজন। কিন্তু যদি কেউ আমার পছন্দের জিনিসে নজর দেয়! আমি ভ*য়ানক হিং*স্র হবো। এখানে না থাকলেও তোমার উপর নজর থাকবে আমার। তোমার প্রত্যেক মিনিটের মিনিটের খবর পৌঁছাবে! বি কেয়ারফুল।’
শেষের কথা গুলো অনেকটা শা*সিয়েই বলল শতাব্দ। ঘা*ড়বে গেল প্রিয়। ভ*য়ে চোখমুখ নামিয়ে ফেলল। কোমর টেনে কাছে আনল শতাব্দ। চিবুক তুলে প্রিয়’র চোখ চোখ রেখে বলল,
‘ এই চোখে ভয় না প্রেম দেখতে চাই প্রিয়। অসীম প্রেম। এতটা প্রেম, যতটা আগামী বিরহ ভুলাতে যথেষ্ট।’
প্রিয় উত্তর দিলোনা কোন। শতাব্দের অদ্ভুত সুন্দর চোখ জোড়ায় চেয়ে রইল শুধু। মনে মনে বলল,’ এতো সুন্দর কেন আপনি? ইচ্ছে করছে হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেই। একটু ছুঁয়ে দিলে খুব অন্যায় হবে কি!’

পরের দিন স্কুলে গিয়ে। অনেক তালবাহানা বুঝিয়ে তানহাকে দিয়ে সিম কিনে আনলো প্রিয়। তানহা বুঝল। কিন্তু প্রকাশ করল না কিছু। মিটমিটিয়ে হাসলো শুধু। বাড়ি এসে রাতে খালা ঘুমিয়ে যাবার পর। চুপিচুপি খালার ঘর থেকে মোবাইল আনলো। খালা প্রেসারের রুগী। ঘুমের একটু এদিক সেদিক হলেই সমস্যা। তাই স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমায়। সকাল অবধি টের পাবেনা কোন। তখন রাত এগারোটা ছাপ্পান্ন। মোবাইলে নতুন সিম লাগিয়ে শতাব্দের নাম্বারে ডাইল করল প্রিয়। দুইতিন বার বাজতেই তাড়াতাড়ি করে কেটে দিলো। তার ভয় করছে খুব। এসব কিছু কোনদিন করেনি আগে। হাতপা কাঁপছে অনবরত। দুই তিনবার হাত ফসকে ফোন পড়লো জমিনে । কাঁপাকাঁপি হাতে ফোন তুললো।
আরেকবার ফোন করবে কি? নাকি ছোট করে একটা ম্যাসেজ পাঠাবে! অনেক ভেবেচিন্তে ম্যাসেজ পাঠানোর সিন্ধান্ত নিলো প্রিয়। কাঁপাকাঁপি হাতে ম্যাসেজ টাইপ করল,
‘ Happy birthday’
চোখ বুজে সেন্ড করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। মিনিট দু’এক পরেই শতাব্দের নাম্বার থেকে ফোন এলো। ফোনের শব্দে কেঁপে উঠল প্রিয়। তাড়াতাড়ি করে রিসিভ করে কানে ধরতেই। অপর পাশ থেকে চিরপরিচিত সেই আওয়াজ ভেসে এলো,
‘ কেমন আছো প্রিয়?’
ভড়কে উঠল প্রিয়। বিস্মিত স্বরে বলল,
‘ আ…আপনি কি করে বুঝলেন ‘এটা আমি’?’
শতাব্দ ঠোঁট মেলে হাসলো। বলল,
‘ কোন একভাবে বুঝলাম।’
‘ শুভ জন্মদিন’
‘ থ্যাংক ইউ।’
‘ জেগে ছিলেন?’
‘ হ্যাঁ পড়ছিলাম। নাম্বারটা কার?’
‘ তানহাকে দিয়ে কিনেছি আজ।’
‘ কেন?’
‘ আপনার জন্মদিনে তা….
মুখ ফসকে বলতে যেয়ে থেমে গেল প্রিয়। শতাব্দ হাসলো। বলল,
‘ আমার জন্মদিনের কথা কে জানালো?’
‘ জুবাইদা’
‘ ওদের যত বাড়াবাড়ি! বার্থডে সেলিব্রেট করা পছন্দ না আমার। এদের য*ন্ত্রণায় এই দিন বাড়ির বাহিরেই সময় কা*টাই। এতটুকু কারণে এত রাত অবধি জেগে থাকার প্রয়োজন ছিলনা প্রিয়’
প্রিয়’র মন ছোট হয়ে এলো। এত রাত অবধি জেগে থাকাটা দেখল। কেন থাকলো কারণটা দেখলো না শতাব্দ। তাকে উইশ করার জন্যই তো জেগে ছিল। বিরবির করে জিজ্ঞেস করল প্রিয়,
‘ আপনি আসবেন কাল?’
‘ তুমি কি চাও! আসি?’
প্রিয় মনে মনে চিৎকার করে বলল, ‘ হ্যাঁ! হ্যাঁ আমি চাই আপনি আসেন। অনেকদিন দেখিনা আপনায়! চোখে তৃষ্ণা জমেছে দেখার।’ মুখে কিছু বলল না। চুপ করে রইল শুধু।
অপর পাশ থেকে আদুরে কন্ঠে ডাকল শতাব্দ। বলল,
‘ প্রিয়! আসলে, বার্থডে গিফট পাবো তো?’
কিছু না বুঝে তড়িঘড়ি জিজ্ঞেস করল প্রিয়,
‘ কি গিফট চাই আপনার?’
প্রমত্ত কন্ঠে বলল শতাব্দ’ স্পেশাল কিছু।’

চলবে…..

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি: Farhana tabassum আপু🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here