বেপরোয়া ভালোবাসা পর্ব -২৯

#বেপরোয়া_ভালবাসা
#পর্বঃ২৯
#লেখনীঃ #মনা_হোসাইন

মেয়েটার সাথে বেশিই বাড়াবাড়ি করা হয়ে গেছে। আদিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আদিবার প্রতি অবহেলার পরিমাণ টা বেশি হয়ে গিয়েছে। এটা যেন আজ সবাই বুঝতে পারছে।

নিজের মেয়েকে বাড়ির বাইরে রেখে কোন মায়ের মন শান্ত থাকতে পারে না। বুক ফেঁটে কান্না পাচ্ছে সাহানা বেগমমের। এত কিছুর সত্যিই কোন দরকার ছিল কী? কি দরকার ছিল এখানে থাকার? আদি চলে যাওয়ার পর নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেলেই তো হত…মেয়ে দুটোকে নিয়ে বাকি জীবন টা পার করা যেত না?আদিবার মা কাউকে কিছু না বললেও মনে মনে এসব ভাবছেন আর আপন মনে কেঁদে চলেছেন। আদি নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে আছে। অরিন নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না বারবার মনে হচ্ছে তার জন্যই এতকিছু ঘটেছে। আজ রাগের মাথায়,আদিবা যদি কিছু খারাপ কিছু করে বসে এর দায় কে নিবে..? মেয়েটার প্রতি বড্ড অবিচার করা হয়েছে।

আদির বাবা এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন এসবের ভীড়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন। নিজের ভাইয়ের শেষ আমানত রক্ষা করতে না পারার ব্যার্থতা ঘিরে ধরেছে তাকে। সারা বাড়িতে শোকের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

একমাত্র জুই আর সাদিয়া কিছুটা স্বাভাবিক আছে,
সাদিয়া,জুই কে নিয়ে বাইরে গিয়ে বলল,

-“জুই, এখন আমাদের কি করা উচিত বলতো..
সবাই যেভাবে হাত গুটিয়ে নিয়েছে আদিবাপুর না কোন ক্ষতি হয়ে যায়।

-“আমাদের কী আর করার আছে..? আমরা চাইলেই কি বা করতে পারব?

-“কোন অঘটন ঘটার আগে আদিবাপুকে খুঁজে বের করা দরকার..

-“কোথায় খুঁজব..?

-“চল ভাইয়াকে গিয়ে বলি…

-“তোর কি মনে হয় ভাইয়া বলবে..?
ভাইয়া আমাদের লাথি মেরে সোজা নেটওয়ার্কের বাইরে ফেলে দিবে কোন সন্দেহ নেই।আচ্ছা সাদিয়া একটা কথা বল ভাইয়া যদি তোকে সত্যিই বিয়ে করতে চায় তখন কী হবে…?

-“ভাইয়ার মুখে মুখে কথা বলার সাহস আমার নেই মা ও হয়ত আপত্তি করতে পারবে না।

-“তারমানে তুই ভাইয়াকে বিয়ে করবি..?

-“ভাইয়া চাইলে বিয়েটা হবে। এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই আমি চাই আর নাই চাই বিয়ে হবে। আর আমি এটাও জানি ভাইয়াকে এখন আটকানোর সামর্থ্য আমাদের কারো নেই একমাত্র আপুই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। যেভাবেই হোক আপুকে ফিরিয়ে আনতে হবে ওদের মাঝে ভুলবুঝাবুঝি মিটাতে হবে। আপুকে সামনে রেখে ভাইয়া এমন সিধান্ত কিছুতেই নিতে পারবে না।

-“তা ঠিক বলেছিস আচ্ছা চল যাই স্টেশন থেকে খুঁজা শুরু করি ছবি দেখিয়ে লোকদের জিজ্ঞাসা করব। কোন কোন একটা উপায় তো হবেই।

জুই আর সাদিয়া দুজনই আদিবাকে খুঁজতে বের হল…



এদিকে ঘড়ির কাঁটা এখনো নয়ের ঘর পেরোয় নি এর আগেই ফোনের তীক্ষ্ণ শব্দে ঘুম ভাংগল নিলয়ের।নিলয় একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুম ঘুম সুরে জিজ্ঞাস করল,

-“হ্যালো কে বলছেন…? এত সকালে কোন সেন্সে ফোন করেছেন? মানুষকে একটু ঘুমাতেও দিবেন না নাকি…?

সাথে সাথে ফোনের অপর পাশ থেকে কর্কশ কন্ঠ ভেসে আসল
-“তোর ঘুমের গুষ্টি কিলাই মানুষের জীবন লন্ডবন্ড করে দিয়ে এখন ঘুমানো হচ্ছে..?

কন্ঠ শুনে নিলয়ের ঘুম উবে গেল তাড়াতাড়ি উঠে বসল,

-‘ক ক কে বলছেন?

-“তোর যম…

-“অরিন তুমি আমায় ফোন করেছো? আমি তো ভাবতেই পারছিনা।

-“আপনি অনেক কিছুই ভাবতে পারেন না যাইহোক যেকারনে ফোন করেছি এখনি আমার বাসার সামনে আসুন।

-“হটাৎ এতদিন পর…?

-“আমার ভাল করেই মনে আছে আপনি আমার এক্স তাই প্রেম করার জন্য ডাকছি না। ছয় বছর আগে যে ঝামেলা তৈরি করেছিলেন সেটা মিটানোর জন্য ডাকছি।

-“মানে..? তুমি কি বলছো কিছুই তো বুঝতি পারছি না।

-“বুঝার কথাও না অপরাধী রা নিজেদের ভুল কখনো বুঝতে পারে না। যাইহোক আদিবা হারিয়ে গিয়েছে ওকে খুঁজতে হবে আমার একার পক্ষে সম্ভব না তাই আপনাকে আসতে বলছি।

-‘কি বলছো..? আদিবা হারিয়ে গিয়েছে মানে কী?

-“মানে বুঝানোর সময় আমার কাছে নেই। আমি বের হচ্ছি আগে আসুন তারপর সবটা বলছি।

জুই আর সাদিয়ার মত অরিনও কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে গেল।

কিছুক্ষনের মধ্যেই নিলয়ও আসল।
-“কি হয়েছে অরিন…?

অরিন সবটা খুলে বলল। অরিনের কথায় বেশ অবাক হল নিলয়।

-তুমি তো কোনদিন আমাকে এসব বলো নি অরিন..

-“আমরা কেউই জানতাম না ভাইয়া কেন বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিল আজ এতবছর পর ভাইয়া সত্যিটা বলল। ও সেদিন আদিবা কে আপনার সাথে দেখে মানতে পারে নি।তাই রাগে চলে গিয়েছিল।

-“এইটুকুর জন্য ছয়টা বছর বিসর্জন দিয়ে দিল?

-“ভালবাসার মানুষকে অন্য কারো সাথে দেখলে কেমন লাগে আপনি কি করে বুঝবেন? আপনি তো কখনো ভালবাসতেই শিখেন নি।

-“এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।

-“যাইহোক আপনার সাথে তামাশা করার জন্য ডাকিনি চলুন স্টেশনে যেতে হবে।




এদিকে আদিবা সিধান্ত নিয়েছে একটা বাসা ভাড়া নিবে তারপর একটা কাজের ব্যবস্থা করবে। এবার নিজের মত করে বাঁচবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ আদিবা বাসা খুঁজায় লেগে গেল। একটা রুমও পেয়ে গেল। আদিবার বাসাটা ভালই লেগেছে রুম দেখে বাড়িওয়ালার কাছে গেল কথা বলার জন্য।

-“আন্টি বাসা ভাড়া কত..?

মহিলা হেসে উত্তর দিল
-“পানি,বিদ্যুৎ,গ্যাস বিল সহ সব মিলে ৩৫০০ টাকা।

-“আন্টি একটু কম রাখা যায় না?

-“আচ্ছা ৩০০০ হাজার দিও শুধু তোমার জন্য ছাড় দিলাম। আজকাল এত দায়িত্বশীল মেয়ে তো দেখাই যায় না। মা বাবাকে নিয়ে থাকতে নিশ্চুই।

-“জি মানে…আন্টি আমি একাই থাকব

কথাটা শুনেই মহিলা মুখ কালো করে তাকাল।

-“একা থাকবে মানে..?মা বাবা কোথায়?

-“আমার বাবা নেই আন্টি।

-“ওহ আচ্ছা তাহলে মাকে নিয়ে এসো বাকি কথা তখনেই হবে। আমি একা মেয়েকে বাড়ি ভাড়া দিবনা।

-“আন্টি আমি একটু বিপদে পরে বাসা খুঁজতে এসেছি আমার মায়ের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে তাই তাঁকে নিয়ে আসতে পারব না।

-“তাহলে আমিও ভাড়া দিতে পারব না।

-“কেন দিবেন না আমি আপনার ভাড়া সময়মত দিতে পারব। আপনি বললে একমাসের ভাড়া অগ্রিম ও দিতে রাজি আছি।

-“বিষয়টা ভাড়ার না আমার অবিবাহিত ছেলে আছে। আমি কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না।

-“আন্টি আমাকে দেখে কি আপনার এমন মেয়ে মনে হচ্ছে..?

-“দেখো মা একা মেয়ের কোন ভরসা নেই। যখন তখন অঘটন ঘটতে পারে তুমি ভাল হলেও সমাজ তো ভাল না। কারো কুনজর পড়লে তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।নিজেও বিপদে পড়বে আমাকেও ফেলবে।তুমি আমাকে আন্টি বললে তাই একটা উপদেশ দেই মা। তোমাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হচ্ছে তাছাড়া তুমি দেখতে মাসাল্লাহ সুন্দরী তোমার পক্ষে একা থাকা সম্ভব না। দুদিন আগে বা পরে কারোর না কারোর নজর পড়বেই। আর যখন দেখবে তুমি একা। এই সমাজ তোমাকে ছিঁড়ে খাবে।

-“আন্টি….?

-“কথাটা অপ্রিয় হলেও এটাই সত্যি। কথায় আছেন ছেলেরা রাগলে বাদশা, আর মেয়ের রাগে ব্যা**শ্যা হয় ।ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে যাও মা।

আদিবা আর কথা বাড়ল না বেরিয়ে আসল। মহিলার কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও মন্দ বলে নি। আদি তার ভাই তবু তার কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা আদিবার ছিল না আর বাইরের কেউ যদি তার দিকে নজর দেয় কি হবে তখন?

ভাবতে ভাবতে আদিবা আরও কয়েকটা বাসা দেখল কিন্তু সবার একি কথা একা মেয়েকে ভাড়া দিবে না। দেখতে দেখতে সারাদিন কেটে গেল আদিবা সারাদিন বাসা খুঁজে বেরিয়েছে কিন্তু সবার এক কথা একলা একটা মেয়েকে বাসা ভাড়া দিবে না।গার্জিয়ান নিয়ে যেতে হবে।আদিবা বাসা খুঁজে না পেয়ে সিধান্ত নিল পরের দিন মেয়ের হোস্টেলে সীট খুঁজবে কিন্তু তার আগে আজ রাতটা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আদিবা একটা হোটেলে গেল। আদিবাকে দেখে রিসিপশনের লোকটি বলল,

-“ম্যাডাম বলুন আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি..?

-“আমার একটা রুম দরকার।

-“সিংগেল রুম নাকি ডাবল..?

-“সিংগেল…

-“আচ্ছা ১৫০০ টাকা ভাড়া ম্যাম।

-“সমস্যা নেই দিয়ে দিন।

-“ঠিক আছে আপনার আইডি কার্ড দিন ম্যাডাম।

-“আইডি কার্ড মানে..?

-“আপনার পরিচয় কনফার্ম করার জন্য আইডি কার্ড দিতে হবে।

-“আমার কাছে কোন আইডি তো নেইম

-“আপনি কী জানেন না আইডি ছাড়া কোন হোটেলে রুম বুক করা যায় না..

-“আইডি ছাড়া কোনভাবে রুম দেওয়া সম্ভব না?

-“একা মেয়েকে হোটেলে রুম দেওয়ায় নিষিদ্ধ আজকাল মেয়েরা যেসব ব্যবসা শুরু করেছে। ক্লাইন্ড নিয়ে হোটেলে এসে… যাইহোক আইডি ছাড়া রুম দিলে পুলিশি ঝামেলা হয়ে যাবে। সরি আপনাকে কোন সাহায্য করতে পারছি না। আপনি এখন আসতে পারেন।

আদিবা আর কোন হোটেলে গেল না। এভাবে নিজেকে অসম্মান করার মানে হয় না। তবে কী আদি ঠিক বলেছিল একা মেয়ের জন্য সমাজ টা আসলেই এতটা জটিল…? হাতে টাকা থাকা সত্ত্বেও মাথা গোঁজার একটু জায়গার ব্যবস্থা করতে পারল না? এতটাই অসহায় সে? এখন কি করবে? কোথায় যাবে? বাসায় ফিরে যাওয়া উচিত?

না এই যুদ্ধে হার মানবে না আদিবা দরকার হলে স্টেশনে রাত কাটাবে তবুও বাসায় ফিরে যাবে না ভাবতে ভাবতে আদিবা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাল। মনটা বেজায় খারাপ তাই কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হল না।আদিবা না খেয়েই স্টেশনের একটা ব্যাঞ্চে ব্যাগ মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়ল। কিন্তু চোখে ঘুম নেই রাত যত বাড়ছে আদিবার আঁতংক তত বাড়ছে। চারদিক নীরব হতে শুরু করেছে।

রাত ১১ টার ঘর পেরিয়েছে। বাসার সবাই আদিবাকে খোঁজার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নিলয় পুলিশ কেস ও করেছে কিন্তু তার সন্ধান মিলেনি। তাই সবাই বেশ দুচিন্তা করছে তবে এই ব্যাপারে একজনের বিন্দু মাত্র হেলদুল নেই।অরিন বাসায় ফিরেছে, সাদিয়া আর জুঁই এখনো ফিরে নি এদের কাউকে নিয়েই আদির কোন মাথা ব্যাথা নেই। আদি আদিবাকে খোঁজতে যাওয়া তো দূর সারাদিনে নিজের ঘর থেকেও বের হয় নি। কেবল বের হল।

বেরিয়ে এসে টেবিলে বসে খেতে শুরু করেছে।
আদির এমন আচারন দেখে আদিবার মা অবাক হলেন তিনি বেশ রেগেই বললেন

-“তুই কী মানুষ? মেয়েটা সারাদিন বাসায় ফিরে নি কোথায় আছে কী করছে কিছু জানি না আর তুই নিচিন্তে খেতে বসেছিস।

-“তাহলে কি আদিবার শোকে অনশনে বসা উচিত ছিল?

-“শুধু আদিবা না জুই আর সাদিয়াও ফিরে নি।

-“বাহ তবে তাদের এই অভিনব বুদ্ধিটা কে দিয়েছিল আদিবাকে খোঁজার?

-” তুই তবুও যাবি না?

-” আমি বলেছিলাম নাকি তাদের যেতে..? তাহলে আমি খুঁজতে যাব কেন? তাছাড়া তোমার মেয়েরা একটু বেশি বুঝে এতে আমার কী করার আছে…

-“আজ আমার একটা ছেলে থাকলে এভাবে বসে থাকতে পারত না।ছেলে নেই বলে এতটা অসহায়ের মত অন্যের কাছে দয়া ভিক্ষা যাইতে হত না।

-“ইমোশনালি ব্ল্যা*ক*মেইল করার চেষ্টা করে লাভ নেই আমি তোমার বড় মেয়েকে খুঁজতে যাব না। তিনি নিজে নিজেই ফিরবে…শুধু সময়ের অপেক্ষা।

-” আদিবার জন্য নাই বা গেলি সাদিয়া আর জুই এর জন্য অন্তত যা…

আদি কিছু না বলে বেরিয়ে গেল।

ঘড়িতে প্রায় ১২ টা বাজে আদিবা কেবল চোখ টা বন্ধ করেছে এর মধ্যেই কারোর স্পর্শে আংতকে উঠল তাড়াতাড়ি উঠে বসল আর অবাক হল একটা মাতাল টাইপের তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।দেখে আদিবা আমতা আমতা করে বলল,

-“ক ক কাকে চাই…?

লোকটা নেশাক্ত গলায় বলল,
-“রেট কত তোর..? চল আজ আজকের জন্য তোকে কিনে নিলাম।

-“ক ক কী করছেন হাত ছাড়ুন।আপনি ভুল করছেন আমি ওইসব মেয়ে না।

-“স্টেশনে থেকে আবার ভাব দেখাচ্ছিস? তোদের সবাই চিনে আচ্ছা ঝামেলা করিস বা রেটের চেয়ে কিছু বাড়িয়ে দিব নি।

আদিবা আর কিছু না বলে কোনমতে লোকটার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়াতে লাগল। লোকটা মাতাল থাকায় আদিবার পিছু নিতে পারে নি। আদিনা পিছন দিকে বারবার তাকাতে তাকাতে ছুটছে হটাৎ কিছু একটার সাথে ধ্বাক্কা খেয়ে ধপাস করে নিচে পড়ল। সাথে সাথেই একজন বলে উঠল

-“কি ব্যাপার ম্যাডাম রেটে মিলেনি? আরও বাড়িয়ে দিতে হবে?

কন্ঠ শুনে মুখ তুলে তাকিয়ে অবাক হল,
-“ভ ভ ভাইয়া আপনি..?

-“ভাইয়া নই কাস্টমার…এক রাতের জন্য কত লাগবে?



চলবে…!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here