#ভালোবাসি_বলেই_তোমাকে_প্রয়োজন
লেখক-এ রহমান
পর্ব ২
গাড়ির হর্ন কানে আসছে মৃদু সরে। চোখের পাতা পিটপিট করে তাকাল সারিয়া। সূর্যের আলোটা চোখে লাগতেই আবার খিচে বন্ধ করে ফেললো।
–আর ইউ ওকে?
মেয়েলী কণ্ঠ কানে আসতেই ছোট ছোট চোখে তাকাল। মেয়েটি তার মুখের উপরে ঝুঁকে আছে। চোখে চশমা। কানের পেছনে গুছিয়ে রাখা কয়েক গোছা চুল ঘাড় পেরিয়ে সামনে ঝুলে পড়েছে। সারিয়া চিনতে পারল না। সে আগে কখনো মেয়েটাকে দেখেনি। উঠে বসল সে। এতক্ষন মেয়েটির কোলে তার মাথা ছিল। আশে পাশে তাকাতেই চমকে গেলো। প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন পথচারী তার দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেছে। তাদের প্রত্যেকের অনুভূতি এই মুহূর্তে যেন তারা ভুত দেখছে। সারিয়া সবার দিকে নিজের চোখ চালিয়ে নিয়ে পাশের মেয়েটির দিকে তাকাল। মেয়েটি তার দিকেই তাকিয়ে আছে। অধির আগ্রহে। মেয়েটির হাতের পানির বোতলটার দিকে চোখ পড়তেই তার মনে হল সে কত বছর যাবত তৃষ্ণার্ত। এক প্রকার কেড়ে নিয়ে পানি খেয়ে ফেললো। কেউ কোন কথা বলছে না। সারিয়া পানি খেয়ে ওড়নায় মুখ মুছে মেয়েটির দিকে তাকাল। বিষয়টা তার মাথায় ঢুকতেই লজ্জা পেলো ভীষণ। চোখ নামিয়ে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বলল
–সরি। পিপাসা পেয়েছিল।
–ইটস ওকে। এখন কেমন লাগছে?
মেয়েটির কণ্ঠে চিন্তার আভাস। সারিয়া বুঝতে পেরেই বলল
–আমি ঠিক আছি। আসলে খুব গরম তো তাই শরির খারাপ লাগছিল।
মেয়েটি ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে সারিয়ার ফোনটা তার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
–তোমার বোন আসছে। তোমাকে নিয়ে যাবে। ততক্ষন পর্যন্ত এখানেই থাকবে।
বলেই উঠে দাঁড়ালো। সারিয়া ফোনটা হাতে নিলো। মেয়েটি ভিড়ের দিকে একবার চোখ চালিয়ে সারিয়ার হাত টেনে এক পাশে ছায়ায় দাঁড় করিয়ে দিলো। প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে বলল
–বাঙ্গালির স্বভাব নাটক দেখা। কিছু হলেই এভাবে ভিড় জমিয়ে নাটক দেখে। হেল্প করার কোন ধান্দা নেই কিন্তু পরিবেশ অস্থির করে তুলতে পারে মুহূর্তেই। অসহ্য!
সারিয়া ব্যাগের ফিতাটা শক্ত করে চেপে ধরে মেয়েটির মুখভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করলো। মেয়েটি নাকের উপরে পড়ে থাকা চশমাটা ঠেলে দিয়ে সারিয়ার দিকে তাকাল। মুহূর্তেই কপালের ভাঁজ আরও গাড় হল। সারিয়ার তাকানোর ধরনে যে মেয়েটা বিরক্ত হল সেটা সারিয়া বুঝতে পারল। কর্কশ কণ্ঠে বলল
–কিছু বলবে?
সারিয়া কয়েকবার পলক ফেলে বলল
–আপু কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে। আমি এখানেই অপেক্ষা করবো। আপনি জান। আপনার হয়তো কোন জরুরি কাজ আছে।
মেয়েটি কোন কথা বলল না। পাশে বসার একটা সুন্দর জায়গা দেখে বসে পড়ল। সারিয়ার দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বলল
–বসো।
সারিয়াও বসে পড়ল। মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো
–এখানে কোথায় এসেছিলে?
–সাতকাহন পালিকেশনের অফিসে এসেছিলাম।
সারিয়া নামটা উচ্চারন করতেই মেয়েটা পেছন ফিরে একবার দেখে নিয়ে অতি আগ্রহের সাথে বলল
–এখানে? তুমি এখানে কেন এসেছিলে? চাকরি করো?
সারিয়া না সুচক মাথা নাড়ল। মেয়েটি মাথাটা পিছিয়ে সারিয়াকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
–ডোন্ট টেল মি দ্যাট ইউ আর এ রাইটার। তোমাকে দেখে কিন্তু সেরকম কিছুই মনে হয় না।
সারিয়া মুখে আচল চেপে হাসল। বলল
–আমি গল্প লিখি। সম্প্রতি ওনাদের পাবলিকেশন আমার গল্প বই আকারে ছাপিয়েছে।
মেয়েটির চোখে মুখে আকাশসম বিস্ময়। সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারল না সারিয়া লিখতে পারে। বিস্ময় মাখা কণ্ঠে বলল
–তোমার আর তোমার গল্পের নাম কি?
–আমার নাম সারিয়া। আর আমার গল্পের নাম ভালবাসি_বলেই_তোমাকে_প্রয়োজন।
সারিয়ার কথা শুনে মেয়েটির চেহারা অদ্ভুত ভাবে বদলে গেলো। চাহুনির পরিবর্তন হয়ে গেলো তার। মিহি সরে বলল
–সারিয়া! তোমার উপন্যাস পড়েছি।
সারিয়া অবাক হয়ে তাকাল। উতফুল্য কণ্ঠে বলল
–আপনি পড়েছেন?
মেয়েটা অদ্ভুত ভাবে হাসল। তার হাসির মাঝের রহস্যটা সারিয়ার দৃষ্টিগোচর হলেও মস্তিস্ক ধরতে পারল না উপযুক্ত কারন। মেয়েটি ঠোট ভাঁজ করে সামনে তাকিয়ে বলল
–পড়েছি। তুমি খুব ভালো লেখো। আচ্ছা তোমার বাসা কোথায়? কে কে আছে বাসায়?
–আমার বাসা এই এলাকায়। বাসায় আমি, বাবা আর আপু থাকি?
–আর মা?
সারিয়ার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েটি প্রশ্ন করলো। তার প্রশ্নের ধরন অন্য রকম ছিল। যা এক মুহূর্তের জন্য সারিয়াকে ভাবিয়ে তুলল। মেয়েটি আকাশের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে প্রশ্নটি করেছিল। সারিয়া তার দিকে তাকিয়েই ভাবনার মাঝে থেকেই উত্তর দিলো
–মারা গেছে অনেক আগে। আমি তখন অনেক ছোট।
মেয়েটি এবার তার দিকে তাকাল। বলল
–তুমি দেখেছ মাকে?
সারিয়া মাথা নাড়ল। সে তার মাকে দেখেনি। বাবার কাছে শুনেছে তার জন্মের সময় মা মারা গেছে। তাই মায়ের চেহারা তার মনে নেই। মেয়েটি উঠে দাঁড়ালো। মৃদু হেসে বলল
–তোমার বোন এসেছে। আমি আসছি।
সারিয়া উঠে দাড়িয়ে বলল
–আপনার পরিচয়টা জানতে পারি আপু?
মেয়েটি সারিয়ার গালে আলতো করে হাত রেখে বলল
–তোমার আশে পাশেই থাকি। আজকের মতো ভাগ্যচক্রে আবার দেখা হতে পারে। তুমি নিজেই ঠিক একদিন খুজে নেবে আমাকে।
বলেই পাশে দাড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা গাড়িতে চড়ে চলে গেলো। সারিয়া মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত আচরন। প্রথম থেকে সবই ঠিক ছিল কিন্তু তার পরিচয় দেয়ার পর থেকেই কেমন যেন বদলে গেলো। কেমন একটা রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী। শারমিন ব্যস্ত ভঙ্গিতে এসে বলল
–কি রে তোর কি হয়েছে?
সারিয়া বাস্তবে ফিরে এলো। শারমিনের দিকে তাকিয়ে বলল
–তেমন কিছু না। গরমে শরীর খারাপ লাগছিল।
বলেই নিচে তাকাল। তার পায়ের কাছে একটা ভিজিটিং কার্ড পড়ে আছে। নিচু হয়ে সেটা কুড়িয়ে নিয়ে ভ্রু কুচকে তাকাল। কার্ডের উপরে বড় বড় করে নাম লেখা আছে আরেফিন অরন্য। নামটা দেখেই সারিয়ার চোখ ঝলমল করে উঠল। নামকরা ডিরেক্টর। খুব কম বয়সে ডিরেক্টর হিসেবে মিডিয়াতে জয়েন করে বেশ সাড়া পেয়েছে। শারমিন কার্ড টা এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়ে চোখ বুলিয়ে বলল
–এটা তো বেশ নামকরা একজন ডিরেক্টর।
সারিয়া হাত বাড়িয়ে একটা সি এন জি থামাল। হাত ধরে টেনে শারমিন কে সেদিকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলল
–আমি জানি আপু ওনার নাটক দেখেছি। তুমি চল।
সি এন জিতে উঠে বসল তারা। কিছুদুর যেতেই সারিয়ার মাথায় আসলো মেয়েটিকে সে আগে কখনো দেখেনি তাহলে শারমিনকে সে চিনল কিভাবে? শারমিনের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে কয়েকবার পলক ফেলে বলল
–তুমি মেয়েটিকে চেন আপু?
শারমিন ভ্রু কুচকে তাকাল। বলল
–কোন মেয়ে?
–যে মেয়েটা এতক্ষন আমার সাথে ছিল। তোমার সাথে কথা হয়েছে তার।
শারমিন ঠোট উল্টে বলল
–তোর ফোন কেটে যেতেই আমি আবার ফোন করেছিলাম। তখন একটা মেয়ে ধরে বলল তুই অসুস্থ। ঠিকানা দিয়ে বলল আমি যেন তাড়াতাড়ি চলে আসি।
মস্তিস্ক গোলমেলে চিন্তা ভাবনায় আবৃত হয়ে গেলো। মেয়েটা শারমিন কে চিনল কি করে? আর চিনলেও দেখা করলো না কেন?
————-
ধোঁয়া উঠা গরম কফিতে একবার চুমুক দিতেই ডাক পড়ল অরন্যর। ব্যস্ত ভঙ্গিতে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই সামনের মানুষটাকে হাত উঁচিয়ে বলল
–ফাইভ মিনিটস।
লোকটা এগিয়ে এসে তার সামনের চেয়ারে বসল। অরন্য ল্যাপটপের কয়েকটা বোতাম চেপে কিছু একটা করে কিছুক্ষন সেদিকে তাকিয়ে থেকে দাঁত বের করে হাসল। শুভ তার ঝলমলে চেহারার দিকে কৌতূহলী চোখে তাকাল। বলল
–কি হয়েছে?
–নতুন নাটকের জন্য প্লেস সিলেক্ট করে ফেলেছি। একদম গা ছমছমে পরিবেশ।
ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই কথাটা বলল অরন্য। শুভ আহত দৃষ্টিতে তাকাল। হতাশ গলায় বলল
–প্লেস চেঞ্জ করতে হবে। স্যার ডাকছে।
অরন্য স্তব্ধ দৃষ্টিতে তাকাল। অবুঝের মতো প্রশ্ন করলো
–চেঞ্জ করতে হবে মানে?
–স্যারের সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবি। পরের নাটক রোম্যান্টিক। এরকম গা ছমছমে পরিবেশে রোমান্টিকতার ফালুদা হয়ে যাবে।
কথা শেষ করে শুভ উঠে গেলো। অরন্যর রাগে চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেলো। বেশ শব্দ করে ল্যাপটপের শাটারটা ডাউন করে দিয়ে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নিলো। মাথার দুই পাশে চেপে ধরে রাগ দমন করার চেষ্টা করলো কিছুক্ষন। এভাবেই স্যার নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে সময়ে নিজের খেয়াল খুশী মতো চেঞ্জ করে। অরন্যর বেশ বিরক্ত লাগে। কিন্তু কিছু বলার থাকে না। কারন সে তো একজন কর্মচারী মাত্র। তার এসব নিয়ে কথা বলা সাজেনা।উঠে গেলো সে। রুমের সামনে এসে নিজের শার্ট টেনেটুনে ঠিক করে দরজায় নক করলো। ভেতর থেকে গম্ভীর আওয়াজ আসল।
–কাম ইন।
অরন্য দরজা ঠেলে মাথা বাড়িয়ে দিলো। সীমান্ত চেয়ারে বসে ল্যাপটপে কিছু একটা মনোযোগ দিয়ে দেখছিল। তার ঠোঁটের কোনে অমায়িক হাসি। যার অর্থ তার চোখের সামনের জিনিসটা তাকে অতিশয় আনন্দ প্রদান করতে সক্ষম। ঠোট গোল করে একটা বিরক্তিকর শ্বাস ছেড়ে অরন্য ঘরে ঢুকে পড়ল। সামনে দাড়িয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলল
–ডেকেছিলেন স্যার?
সীমান্ত তাকাল। চোখে মুখে উচ্ছাস তার। চোখের ইশারায় বসতে বলল। অরন্য চেয়ারে বসতেই সে বলে উঠল
–সারিয়া শাহরিন কে চেন?
চোখ জোড়া মেলে গেলো অরন্যর। স্তম্ভিত চোখে তাকাল। নামটার চেয়ে সীমান্তর মুখভঙ্গি তাকে বেশী ভাবাচ্ছে। সীমান্ত উতফুল্য কণ্ঠে বলল
–এবারে তার উপন্যাস নিয়ে নাটক বানাতে চাই। পুরই একটা রোম্যান্টিক উপন্যাস। এটার জন্য প্লেস সিলেক্ট করো। আমি তোমাকে পুরো প্লট সেন্ড করেছি। চেক করে দেখো।
অরন্য কোন কথা বলল না। সে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সীমান্তর দিকে। তার চোখের চাহুনি। কথা বলার ঢং সব কিছু মিলে অরন্যর মনে হল সব থেকে বিরক্তিকর মানুষটার সামনে বসে আছে সে। একটা শ্বাস ছেড়ে ছোট্ট করে বলল
–ওকে স্যার। আমি দেখছি।
রুম থেকে বের হয়ে এসেই অরন্যর রাগটা চাড়া দিয়ে উঠলো। নিজের রুমে এসে বসে পড়ল। স্থির ভাবে সব কিছু ভাবছে সে বিষয়টা তার মোটেই ভালো লাগেনি। শুভ এসে রুমে ঢুকেই অরন্যর চেহারা দেখে আঁতকে উঠলো। চোখে মুখে রাগের তীব্রতা ভীষণ ভাবে ছেয়ে গেছে। শুভ কৌতূহলী কণ্ঠে তাকিয়ে বলল
–কি রে? এতো রেগে আছিস কেন?
অরন্য চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করে নিলো। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলল
–কিছু না। ভাবছি নতুন নাটকের প্লেস নিয়ে।
কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলো নীরবে। অরন্য আঙ্গুলের ফাকে ধরে রাখা কলমটা দ্রুত নাড়াচাড়া করছে। বেশ শব্দ করে কলমটা টেবিলে রাখতেই শুভ চমকে গেলো। বিরক্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে বলল
–কিসের রাগ ঝাড়ছিস একটু বলবি?
অরন্য প্রশস্ত হেসে তার দিকে তাকাল। বলল
–গা ছমছমে পরিবেশে রোমাঞ্চটা কিন্তু বেশ জমে ওঠে বন্ধু। ভেবে দেখ রাতের পরিবেশ। আশে পাশে ভুতের ভয়। দূর থেকে বন্য প্রাণীর ডাক। নায়ক নায়িকা পাহাড়ের ঢালে বসে গল্প করছে। ঠিক পেছন থেকে ভেসে এলো অদ্ভুত এক পাখির ডাক। পরিবেশ গম্ভীর হয়ে উঠলো। খুব কাছেই কোন ক্রন্দনরত ছোট বাচ্চার আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে নায়িকা চিৎকার করে নায়ক কে জড়িয়ে ধরল।
টেবিলে শব্দ করতেই শুভ চমকে তাকাল। অরন্য হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা। অরন্য এমন ভাবে উপস্থাপন করছিলো তার কথা শুনে শুভ নিজেকে সেই জায়গায় রেখেই ভাবতে বসেছিল। আচমকা শব্দ পেয়ে চমকে উঠল। অরন্য হাসি থামিয়ে বলল
–এবার রোমাঞ্চ হবে জঙ্গলে। গেট রেডি।
———–
দুপুরে খাওয়ার পরে পুরদমে একটা ঘুম দিয়ে উঠল সারিয়া। দুপুরে বেশী ঘুমালে শরীরটা খারাপ লাগে। মাথাটা খুব যন্ত্রণা করে। বিছানা ছেড়ে নামতেই শারমিন দুই কাপ চা হাতে নিয়ে এলো। সারিয়া বেশ খুশী হল। এই সময় এটার খুব প্রয়োজন ছিল। তাই আর অপেক্ষা না করেই কাপটা হাতে নিয়ে নিলো। চায়ে চুমুক দিতেই তীব্র শব্দে সারিয়ার ফোন বেজে উঠলো। হাতে নিয়ে প্রকাশনীর ম্যনেজারের নাম্বার দেখেই ভ্রু কুচকে এলো তার। নতুন উপন্যাস নিয়ে কিছু বলতে ফোন করেছে কিনা সেটাই ভাবল সে। ফোনটা ধরতেই অপাশ থেকে বেশ ব্যস্ত ভঙ্গিতে কিছু একটা বলল। শারমিন ভ্রু কুচকে কান এগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছু শুনতে পেলো না। সারিয়া ‘আচ্ছা ঠিক আছে’ বলেই কান থেকে ফোনটা নামিয়ে অদ্ভুত ভঙ্গিত বলল
–এটা অসম্ভব। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
চলবে……