হৃদমাঝারে তুমি পর্ব -০৪

#হৃদ_মাঝারে_তুমি
#পর্ব_০৪
#Written_by_Mehebin_Nira (ছদ্মনামী)

নিরা অনেক্ষণ সময় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়। চোখ মুখ ফুলে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে আছে। যেনো দুই গাল দুই টা লাল টমেটো! আশা জানে সে নিরার মন ভালো করতে পারবে না তাও ব্যর্থ চেষ্টা করে। কিছুক্ষণের মাঝে এসব যে কি হয়ে গেলো নিরা তা ঠিক ভাবে বিষয় টা এক্সপ্লেইন ও করতে পারছে না। নরমালি নিতে পারছে না সে কোনো ভাবে।

‘নিরা আমি জানি তোর খারাপ লাগছে কিন্তু এভাবে মন খারাপ করে থেকে এখন কিছু হবে? যা হওয়ার হয়ে গেছে। প্লিজ আর মন খারাপ করিস না!’

‘না রে!’

‘চল ছাঁদে যাই!’

‘আমার আসলে ভালো লাগছে না এসব! আমি না যাই?’

‘এসব ভাবলে একা একা আরো বেশি মন খারাপ হবে। যা হয়েছে দুঃস্বপ্ন মনে করে ভুলে যা। আমার সাথে চল। আর তোকে একা ছাড়তে পারবো না আমি!’

‘যা হওয়ার তো হয়েই গেছে এখন একা থাকলে আর কি হবে?’

‘তখন আমি কাজে আটকে গিয়েছিলাম তাই তোকে একা ছেড়েছি এখন আমি টোটালি ফ্রি সো চল! আর একটাও কথা বলবি না!’

আশা জোড় করে নিরা কে ছাঁদে নিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।

এদিকে আদ্রাজ আর রাতুল কে আসতে দেখে প্রিয়া ইশারা করে তাদের ডাকে।

‘কোথায় ছিলি এতোটা সময়?’

‘ঐ….

‘তোকে ও পাচ্ছি না আবার রোহান ও নেই গেলি টা কোথায় তোরা সব বলতো?’

রোহানের নাম টা শুনে রেগে চোয়াল শক্ত করে ফেললো আদ্রাজ। প্রিয়া আর রাতুল সেটি খেয়াল করলো। প্রিয়া এটা দেখে কিঞ্চিৎ অবাক হয়!

‘কি হলো আদ্রাজ?’

রাতুল বলল,
‘আপু আমি বলছি!’

আদ্রাজ হেঁটে ছাঁদের অন্যপাশে চলে যায়। রাতুল সমস্ত টা খুলে বললো প্রিয়া কে। সব টা শুনে মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় সে। রোহান এতো বড় একটা কাজ করতে গিয়েছিলো ভাবতেই পারছে না।

‘এসব কি বললে রাতুল?’

‘যেটা সত্যি এবং স্ব-চক্ষে দেখা তাই বলেছি আপু! আদ্রাজ যদি না যেতো তখন নিরার সাথে অন্য কিছু হয়ে যেতে পারতো।’

‘আমি জানতাম রোহানের দৃষ্টি নিচু। এই জন্য আমি ওকে ইনভাইট ও না করতে চেয়েছিলাম পরে না পারতে ইনভাইট করি। বেয়াদব টার কু নজর যে নিরার দিকে পড়বে তা আমার কল্পনায় ও নেই!’

রাতুল চুপ করে রইল। প্রিয়া আবারো বলল,
‘এখন কোথায় রোহান?’

‘তোমার কি মনে হয় আপু এতো মার খাওয়ার পর ওর সাহস হবে ফের এই বাড়িতে স্থির থেকে দাঁড়ানোর? আদ্রাজের চোখের সামনে আর একবার পড়লে ওর মৃত্যু নিশ্চিত!’

‘ইচ্ছে তো আমার ও করছে বেয়াদব টার গালে জুতা মারতে! ইডিয়েট কোথাকার! নিরা এখন কেমন আছে?’

‘আমি জানি না আপু আমি তো ঐ টাইমে আদ্রাজ কে নিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম! এখন ওবধি আর দেখি নি!’

‘তুমি গিয়ে ওকে নিয়ে আসো না ভাই! মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগছে!’

‘ওকে ট্রাই করছি! তবে আ’ম সিউর ও আসবে না!’

‘বলবে আমি ডেকেছি!’

রাতুল আদ্রাজ কে ‘আসছি’ বলে নিচে চলে যায়। প্রিয়ার ও মন টা খারাপ হয়ে গেলো। রাতুল চলে যাওয়ার পর আদ্রাজ ধীর পায়ে এগিয়ে আসলো।

___________________

রাতুল শেষ সিঁড়ি তে আসতেই চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলো সে যে জন্য নিচে যাচ্ছে তারা আসছে। নিরার দিকে একপলক তাকিয়ে মনের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করলো! নিরার দিক থেকে চোখ সরিয়ে বললো,

‘উহুঁম ততটা ভালো না!’

আশা বললো,
‘কি ভালো না?’

‘উপপ্স সরি। ও হ্যাঁ আমি তো তোমাদের কেই ডাকতে যাচ্ছিলাম!’

‘কেন?’

‘প্রিয়া আপি ডাকছে স্পেশালি নিরা কে!’

‘তার মানে আমাকে ডাকছে না! ইউ মিন আমার না যাওয়া উচিত রাইট?’

‘ইয়াহ!’

আশা খানিকটা রেগে গেলো।

‘নিরা চলো তো তুমি আমার সাথে!’

‘ও আমার বান্ধবীর সাথে আপনার কি হ্যাঁ? আমাকে নিষেধ করার আপনি ই বা কে আমি তো একশ বার যাবো হুহ। চলরে নিরা!’

এক প্রকার টেনে জোড় করে উপরে উঠে গেলো আশা। রাগে ফোঁস ফোঁস করে আওয়াজ হচ্ছে। রাতুল তা দেখে পেছনে দাঁড়িয়ে হাসছে। নিজে নিজেকে বললো,

‘রাতুল তোর ভূতনি কে রাগলে খারাপ লাগে না! সো সুইট!’

নিচের দিকে তাকিয়ে উঠে আসলো নিরা। প্রিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে খুঁজছে যা আদ্রাজ লক্ষ্য করলো।

‘কি খুঁজছো তুমি?’

নিরা কে আসতে দেখে সে বললো,
‘ঐ তো চলে এসেছে!’

‘কে?’

‘নিজে দেখলেই তো পারিস অযথা আমাকে ঘাটাচ্ছিস কেন?’

আদ্রাজ চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে দুটো মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে নিজের বোন টা কে চিনতে দেরি হলো না আদ্রাজের। আর অন্যজন নিচের দিকে তাকানো। নীল কামিজ আর সাদা সেলোয়ার এন্ড গলায় ধবধনে সাদা উড়না টা জড়ানো। চুল গুলো কে একপাশে ছেড়ে দেওয়া, সেই রমনীর উপর চোখ পড়তেই থমকে যায় আদ্রাজ। ভয়ংকর সুন্দর মানিয়েছে জামা টা তাকে। যেনো এই জামা টা শুধু নিরার জন্য ই বানানো হয়েছিলো। কারো নজর না লেগে যায়! প্রিয়া আদ্রাজ কে ধাক্কা দেয়। প্রিয়া খেয়াল করে তার বলার পর আদ্রাজ হা হয়ে নিরা কে দেখছে। প্রিয়া ফিসফিস করে বললো,

‘যাকে সহ্য করতে পারিস না তাকে এভাবে দেখিস না। প্রেমে পড়ে যাবি! শুনেছি ভালোবাসার প্রথম ধাপ রাগারাগি!’

হুঁস ফিরে আদ্রাজের। এই কথাটা রাতুল বললে হয়তো এতোক্ষণে অলরেডি তার কানের নিচে একটা পড়তো। কেননা কথা টা শুনতেই মেজাজ পুরো বিগড়ে গেছে।

‘ভেরি ফানি! এই আদ্রাজ আহমেদ এর প্রেম এতো সোজা নয়! আর এই মেয়ের উপর তো একদমি নয়!’

‘আরে কই যাচ্ছিস?’

‘এই মেয়ে যেখানে থাকবে সেখানে আমি নাই!’

‘ভালো তো ঠিক ই বাসিস!’

‘কি বললে তুমি? প্রেম পর্যন্ত ঠিক ছিলো ভালোবাসা? হাউ ইস ইট পসিবল?’

‘সব ই পসিবল। নাহলে তুই নিরার বিপদে ওকে সেইফ করতে ছুটে গেলি কেন?’

‘ঐ মেয়ের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে ও আমি সেইম কাজ টা করতাম!’

বলে আদ্রাজ উঠে অন্য দিকে চলে যায়।

প্রিয়া নিরা কে কাছে ডাকে। তার কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমা চায়। কেননা সে এখানে নিরা কে ইনভাইট করে তার সুরক্ষা দিতে পারে নি। নিরা মৃদু হেসে বলল,
‘ইট্স ওকে আপু!’

প্রিয়ার হলুদ সন্ধ্যার সব আয়োজন তোড়জোড় করে শুরু হয়। হলুদ মাখামাখি তে সবার অবস্থা হালুয়া হয়ে গেছে। আদ্রাজ কেউ হলুদ লাগিয়ে দিয়েছে সবাই। বেশি অবস্থা খারাপ প্রিয়ার। তাকে সবাই যেনো হলুদের ড্রামের ভেতর হালকার মধ্যে গর্জিয়াস করে চুবিয়ে রেখেছে। নিরা একপাশে দাঁড়িয়ে সবার কান্ড দেখছে। এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল সবাই হাসি তামাশা দেখে। হুট করে কোথা থেকে একটা ছেলে এসে নিরার সামনে দাঁড়ায়। নিরা খানিক টা ভয় পেয়ে আঁতকে উঠে। ছেলে টা আর কেউ নয় যাইফ নিজে। সম্পর্কে সে প্রিয়ার কাজিন। সে বললো,

‘হেই ব্লু এন্ড হোয়াইট কুইন রিল্যাক্স! আমি কোনো বাঘ ভাল্লুক নই!’

নিরা আকস্মিক ঘটনায় তড়িঘড়ি করে উপর দিকে চোখ তুলে তাকায়। দেখলো সে যা ভয় পেয়েছিলো তেমন কিছু নয়। এটা অন্য কোনো ছেলে! তবে সম্পূর্ণ অপরিচিত! সে যেই হোক ছেলে তো! ভয়ে কাঁপতে থাকে নিরা। হাসি যেনো গায়েব হয়ে গেলো!

‘আর ইউ ওকে?’

‘ই-য়ে-স। বাট হু আর ইউ?’

‘মাই নেইম‌ ইস যাইফ। ইউ?’

‘নিরা!’

‘নাইস নেইম! নিরা আমি কি তোমাকে একটু হলুদ লাগিয়ে দিতে পারি?’

‘হোয়াট!’

‘ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ!’

নিরা কিছু বলার আগে যাইফ হলুদ নিয়ে এসে তার গালে লাগিয়ে দিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকে। নিরা পিটপিট চোখ মেলে তা দেখছে। ভয় তার এখনো কাটেনি। আজকের ঘটনায় তার মনে হচ্ছে সব ছেলেই তার ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সবাই এক নয়। তড়িৎ গতিতে কেউ এসে নিরার হাত টেনে ধরে। এই ঘটনায় নিরা এবং যাইফ দুজন ই হতভম্ব। রাগী চোখ জোড়া জ্বলজ্বল করছে রাগে। আদ্রাজ..! নিরা কিছু বলার আগেই শক্ত করে তার হাত টেনে ধরে নিয়ে যায় আদ্রাজ। সে দূর থেকে এসব লক্ষ্য করছিলো। মাঝখানে ছেলেটা এসে নিরার গালে হলুদ লাগাতেই যেনো সে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। একদমি না!

‘কি করছেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে? ছাড়ুন আমার হাতে লাগছে!’

ছাঁদের এক কোণায় নিরা কে নিয়ে আসে আদ্রাজ। রক্ত চক্ষু নিয়ে বলল,

‘তোমার মতো মেয়েদের থেকে এর থেকে বেশী আর কি ই বা আশা করা যায়?’

‘মানে?’

‘একটু আগে একটা ঘটনা ঘটলো আর তুমি ঐ খানে ঐ ছেলে টার সাথে এখনি ফষ্টিনষ্টি করতে শুরু করে দিয়েছো? ওয়ান্ডারফুল! তোমাকে বাঁচাতে গিয়ে মেবি আমি ভুল ই করেছি! বাবা মা কিছু শিক্ষা দেয় নি তো তাই এই হাল! পরিবারের শিক্ষা না থাকলে তোমার মতো মেয়েদের আসলে এই অবস্থা-ই হয়! কেমন বাবা মা তোমার? মেয়ে কে এই শিক্ষা দেয় ছেলেদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করতে? লো ক্লাস একটা..!’

আদ্রাজ রাগের মাথায় অনেক গুলো কথা শুনিয়ে দেয় নিরা কে। যা শুনে নিরার চোখের পানি চলে আসে। তার সম্পর্কে আদ্রাজের এই ধারণা? তাও নিজ পর্যন্ত ঠিক ছিলো বাবা মা পরিবারের কথা বলায় নিরার খুব গায়ে লাগে। চুপচাপ চোখের পানি ফেলতে থাকে। ঠোঁট কামড়ে আঁকড়ে ধরে থাকে শব্দ করে কান্না কে! আদ্রাজ উত্তর না পেয়ে রাগে গজগজ করতে করতে আবারো বলল,

‘কি সব সত্যি বলে দিয়েছি, তাই আর কিছু বলার মতো পাচ্ছো না এই তো? আসলে তোমার পরিবার…

‘ব্যাস এনাফ ইজ এনাফ! আপনার যা বলার আমাকে বলুন! আমার পরিবারের উপর আঙ্গুল তোলার কোনো অধিকার আপনার নেই! আমাকে তখন বাঁচিয়ে দিয়ে অনেক বড় উপকার করেছেন! সে জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনার পরিবার ও কি আপনাকে এই শিক্ষা দিয়েছে যে অন্যের পরিবারের দিকে আঙ্গুল তুলতে? ওয়েল! যেখানে আমার জন্য আমার বাবা মা কে কথা শুনতে হয় সেখানে আমার না থাকাই ভালো!’

নিরা এক নাগাড়ে কথা গুলো বলে দৌড়ে ছাঁদে থেকে নিচে নেমে যায়। আদ্রাজ দেখেছে নিরার চোখের কোণে পানি চিকচিক করছিলো। ছাঁদ থেকে সে এও স্পষ্ট দেখছিলো যে নিরা সত্যি সত্যি বাসা থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। নিচে লাইটিং করার ফলে বিভিন্ন রঙ্গের আলোয় তাকে দৌড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।

আদ্রাজের রাগ পানি হয়ে যায়। আশা পেছন থেকে এসে বলে,

‘ভাইয়া নিরা কোথায়? তুমি দেখেছো ওকে?’

আদ্রাজ নিশ্চুপ! আশা তাকে ধাক্কা দেয়।

‘কিছু তো বলো!’

‘হ-হ্য-হ্যাঁ..?’

‘নিরা কে দেখেছো?’

আদ্রাজ কিছু বলছে না দেখে আশা পুনরায় আতঙ্কিত হয়ে অন্য দিকে চলে যায় নিরা কে খুঁজতে। এভাবে নিরা কে একা ছাড়া মোটেও ঠিক হবে না! রাগের মাথায় যা তা বলে কত বড় ভুল করে ফেলেছে বুঝতে পারলো সে। আদ্রাজ ও দৌড় দেয়। একটু ও লেট করা ঠিক হবে না তার। রাতুল সেটা দেখে বলল,

‘কিরে আদ্রাজ কোথায় যাচ্ছিস?’

‘একটু কাজ আছে!’

আদ্রাজ যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি নিয়ে বের হয় বাসা থেকে। ফুল স্পিডে গাড়ি চালিয়ে রাস্তার এপাশ ওপাশ দেখতে থাকে। কিছু টা দূর যাওয়ার পর রাস্তার ধারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কেউ একজন কে দেখলো সে। চিনতে দেরি হলো না এটাই নিরা। স্বস্তি পেলো কিছুটা।

নিরা কান্না করছে। মন টা হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেছে। তার সম্পর্কে আদ্রাজের এতো বাজে ধারণা কি করে হলো? তার উপর আদ্রাজ পরিবার কে নিয়ে ও খারাপ বলেছে দেখে নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগছে। কান্না যেনো থামছেই না। আদ্রাজের কথা গুলো শুনার পর এখন আর নিজের জন্য কোনো ভয় কাজ করছে না। যা হওয়ার হয়ে যাক। কোনো ভয় ভীতি তাকে জাপটে ধরতে পারছে না। এক মনে হেঁটে চলছে নিরা। নিরব নিস্তব্ধ রাত। ল্যাম্পপোস্ট না থাকলে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে যেতো সব। হঠাৎ নিরা দেখলো পেছন থেকে গাড়ির হর্নের শব্দ আসছে। সেই সঙ্গে তার মাথা টাও ঝিম মেরে আসলো।

আদ্রাজ ভাবলো নিরা কে থামতে বলবে। পরে ভাবলো নিরা এখন নিশ্চয়ই তার উপর রেগে আছে। তাই তার কথা ও শুনবে না। অবশ্য নিরার জায়গায় সে থাকলে সে ও এই কাজ টাই করতো।

‘নিজের রাগ টা সামলা আদ্রাজ। নিরা যার সঙ্গে ইচ্ছে কথা বলুক তাতে তোর কি? আর যাই হোক একটা মেয়ের পরিবার নিয়ে কথা বলতে কি তোর পরিবার তোকে শিখিয়েছে? এক্ষুনি গিয়ে নিরা কে সরি বলবি! ক্ষমা চাইবি ওর কাছে ব্যাস!'[মনে মনে]

কথা গুলো নিজেই আওড়ালো। আদ্রাজ স্পিড কমিয়ে আস্তে আস্তে ড্রাইভ করতে থাকে। সে দেখলো নিরা হুট করে থেমে গেছে। ভ্রুঁ কুঁচকে তাকায় আদ্রাজ। কি হলো ওর?

আদ্রাজ কে চমকে দিয়ে নিরা হঠাৎ ই টাল সামলাতে না পেরে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে যায়। হুট করে গাড়ি ব্রেক করে আদ্রাজ! সে দৌড়ে যায় নিরার কাছে..!

আদ্রাজ নিরার কাছে গিয়ে যা দেখলো তাতে সে খুব ভয় পেয়ে যায়! কারণ….!

চলবে———————

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here