“অদ্ভুত_মুগ্ধতা ”
পর্ব – ৯
মিশু মনি
.
মর্ম খুব জোরে বাইক ছেড়ে দিলো।এভাবে চললে তো কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌছানো সম্ভব।মিশু মর্মকে বলল,আমরা যদি একটু দেরি করে বাসায় ফিরি সমস্যা হবে?
প্রশ্নটা শুনে মর্ম’র চোখ ঝিকমিক করে উঠল।মনে মনে ভাবল,সারারাত বাইরে থাকলেও সমস্যা নেই।আমার নিজেরি তো ইচ্ছে করছে তোমার সাথে আরো কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়াই।তারপর মিশুকে জিজ্ঞেস করলো, কেন?
মিশু বলল,একটু ঘুরে আসতাম দূর থেকে।
– সত্যি! বলো কোথায় যাবে?
– একটু দূর থেকে ঘুরে আসি।সোজা যাবো আর চলে ও আসবো।
– ওকে।
মর্ম বাইক অন্যদিকে ঘোরালো। খুশিতে আগডুম বাগডুম নাচতে ইচ্ছে করছে।মিশুর সাথে গল্প করতে বেশ লাগছে।আর কখনো তো এভাবে রাত্রিবেলা কাউকে বাইকে নিয়ে ঘোরা হয়নি,তাই অনুভূতি টাই অন্যরকম।মর্ম মিশু কে জিজ্ঞেস করলো,তোমার প্রিয় কাজ কি?
– ঘুরে বেড়ানো, ঘুরে বেড়ানো আর ঘুরে বেড়ানো।
– বাহ! জানতাম এটাই বলবে।তাই আমিও জিজ্ঞেস করলাম।ভ্রমণের খুব শখ বুঝি?
– একেবারে প্যাশন বলতে পারেন।
– তা কয়টা দেশ ভ্রমণ হয়েছে এ পর্যন্ত?
– উহু দেশের বাইরে এখনো যেতে পারিনি।নিজের দেশেই সেরকম ঘুরতে পারিনি।
– আমার ও ভ্রমণের নেশা অনেক। মাঝেমাঝে অনেক সুযোগ ও আসে।তুমি চাইলে আমার সাথে যেতে পারো।
মিশু খুশি হয়ে বলল,সত্যি! নিয়ে যাবেন আমায়?
– যদি তোমার আপত্তি না থাকে।মাত্রার বিয়ের পরেই তাহলে ঘুরতে যাওয়া যাবে।
মিশু অনেক টা নাচানাচি শুরু করে দিয়ে বলল,রাঙামাটি যাবেন? ঝুলন্ত ব্রিজ আছেনা ওখানে? আমার খুব ইচ্ছে ওখানে যাওয়ার।
– আচ্ছা তুমি বাসায় ম্যানেজ করে নিও।তুমি আমি আর তানিন মিলে ঘুরতে যাবো রাঙামাটি।
মিশু অসম্ভব রকমের খুশি হলো।মাকে বললে মা কখনো ই আপত্তি করবে না।সমস্যা হচ্ছে ভাইয়া।কিন্তু মৈত্রীকে বললে সে ঠিকই ভাইয়াকে রাজি করিয়ে ফেলবে।তাহলে এবারের সফর রাঙামাটি! ভাবতেই শিউরে উঠল মিশু।
এমন সময় মর্ম খুব জোড়ে ব্রেক কষতেই মিশু শক্ত করে ধরে ফেললো ওকে।মর্ম দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলল,নামো।
– এখানে?
মিশু আশেপাশে তাকালো।একটা ক্যাফে দেখা যাচ্ছে।এখন কি তাহলে কফি খাওয়া হবে? মর্ম সত্যিই বেশ মজার মানুষ।মিশুর ওকে খুব করে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে।
দুজনে কফিশপের দিকে এগিয়ে আসলো।চারিদিকে সুন্দর গাছপালায় ঘেরা,একদম নির্জন একটা জায়গায় ক্যাফেটেরিয়া! দোকানের বাইরে কিছু গোল টেবিল আর চেয়ার পাতা।টেবিলের মাঝখানে সুন্দর আলো জ্বলছে।পাশেই হারিকেন ও ঝুলছে।চারিদিকে তাকিয়ে একটা প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেললো মিশু।
মর্ম বলল,বসো।
মিশু খুঁজে খুঁজে অন্ধকার একটা টেবিলে বসে পড়লো।মর্ম কফির অর্ডার দিয়ে এসে বসল।চারিদিকে আলো জ্বলছে অথচ তাদের টেবিল টা আবছা অন্ধকার।আকাশে অসংখ্য তারা মিটমিট করে জ্বলছে।ছোট চাঁদ ও উঠেছে! সবমিলিয়ে অনেক মনোমুগ্ধকর একটা পরিবেশ।পাশে মিশুর মত একজন কথাময়ী বালিকা!
মিশুর কথা শুনে ও চমকে উঠল, এই কি ভাবছেন?
– জায়গা টা কেমন?
– খুউউউব সুন্দর। আমার সত্যি ভীষণ ভালো লাগছে।
– কফি খেয়ে দেখো আরো ভালো লাগবে।
– থ্যাংকস এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।
এমন সময় একটা বেয়ারা অনেক গুলো হ্যালো চকোলেট ও কিটক্যাট চকোলেট দিয়ে গেলো মিশুকে।মিশু অবাক হয়ে বলল,এতগুলা চকোলেটের কি দরকার ছিল?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
– ব্যাগে রেখে দাও।
– জানেন,একটা নাটকে ঠিক এরকম ই একটা দোকান দেখেছিলাম।আমার খুব ভালো মনে আছে।এরকম হারিকেন ছিল পাশে,দোকান টাও এমন ই আর চারিদিকের পরিবেশ টাও এরকম ই ছিল অনেক টা।
– নাটকে দোকান আর পরিবেশ ও খেয়াল করা হয়?
– হ্যা।জায়গা টা সুন্দর বলেই খেয়াল করেছিলাম।আসার ও ইচ্ছে হয়েছিল।কিন্তু কখনো সত্যি এরকম জায়গায় আসতে পারবো এটা ভাবিনি।
– নাটকের নাম মনে আছে?
– নাহ।তবে তিশা অভিনয় করেছিল আমার বেশ মনে আছে।তিশার বন্ধু একজন আর্টিস্ট ছিল সম্ভবত।অতটা মনে নেই আমার।
মর্ম মুচকি হাসলো।তারপর কফিতে চুমুক দিয়ে বলল,দারুণ কফি বানায়।খেয়ে দেখো।
মিশু একবার চুমুক দিয়েই বলল,বাহ! সত্যিই চমৎকার। যেমন পরিবেশ তেমনি কফি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মর্ম হেসে কফি খেতে লাগলো।মিশু ধীরেধীরে কফিতে চুমুক দিচ্ছে।আর মুখটা তুলে এমন ভাব করছে যেন জীবনে এত ভালো কফি সে খায়নি! মর্ম হাসি মুখে দেখতে লাগলো ওর খাওয়া।
মিশু কফি শেষ করতেই মর্ম বলল,এবার যাওয়া দরকার।নিশ্চয় বাসায় পৌছে সকলে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
– এত তাড়াতাড়ি চলে যাবো? আরেকদিন নিয়ে আসবেন আমায়?
– আচ্ছা নিয়ে আসবো।
বলেই মর্ম হাসলো।মিশুও লাজুক ভঙ্গী তে হাসি দিলো। তারপর আবারো শুরু হলো তাদের বাইক ভ্রমণ!
★
মৈত্রী বসে বসে কাজ করছে।একজন সিজোফ্রেনিয়াক রোগীর চিকিৎসার জন্য ওকে খুব ঘাটাঘাটি করতে হচ্ছে।কিন্তু পেশেন্টের রোগটা সিজোফ্রেনিয়ার পাশাপাশি আরো অন্য রোগের বৈশিষ্ট্য ও বহন করে।একটা ফাইল ঘাটতে গিয়ে মৈত্রীর হঠাৎ মনে হল,আচ্ছা মিশুর সিজোএফেক্টিভ ডিসঅর্ডার হয়নি তো? কিন্তু ওকে দেখে তো বুঝার উপায় নেই ও মেয়েটার কোনো রোগ আছে।একবার ব্যাপার টা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।এফেক্টিভ ডিসঅর্ডার হলে মৈত্রী নিজেই ওকে সুস্থ করে তুলতে পারবে।কিন্তু ওকে তো এভাবে ই মানিয়েছে বেশ।খুব চমৎকার একটা মেয়ে! রোগ সারিয়ে তুলতে গিয়ে যদি ওর চঞ্চলতা হারিয়ে যায়?
ভাবতে ভাবতে মিশুকে কল দিলো মৈত্রী।মিশু রিসিভ করতেই বলল,আমার রুমে একটু আসো তো।কাজ আছে।
– আমিতো এখনো বাসায় পৌছাই নি।
মৈত্রী অবাক হয়ে বলল,এখন কোথায় তাহলে?
– রাস্তায়।
– এত সময় লাগছে কেন?
– আমরা কফি খাচ্ছিলাম।
– ও আচ্ছা।বাসায় এসে একবার দেখা করে যেও।
কল কেটে দিয়ে মৈত্রী হাসল।অচেনা একটা ছেলের সাথে কফি খেতে গিয়েছে।একদম সবাইকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ফেলে এই মেয়েটা।ওর স্বভাব টা বড্ড ইনোসেন্ট!
তারপর আবারো নিজের কাজে মন দিলো ও।
★
খুজিন্তা গুন গুন করে গান গাইছে আর চুল বাধছে।মাত্রা বিছানায় বসে থাকতে থাকতে একেবারে অধৈর্য হয়ে বলল,কই গো? আসো তাড়াতাড়ি।
– এত তাড়া কেন বাপু? আসবো তো।
বলেই মিষ্টি করে হাসলো।তারপর আবারো গুনগুন করে গান গাইতে লাগলো। মাত্রা এবার থাকতে না পেরে উঠে এসে পাশে দাঁড়িয়ে বলল,আমার ভালো লাগেনা তোমার থেকে দূরে থাকতে।
– ওমা! কাছেই তো আছি।
– একদম চোখের কাছে থাকতে হবে।তোমার নিঃশ্বাস যেন আমার বুকে লাগে।
খুজিন্তা আবারো মিষ্টি করে হাসল।কিছু বুঝে উঠার আগেই মাত্রা ওর পায়ের কাছে ধপ করে বসে পড়লো। তারপর আস্তে করে খুজিন্তার একটা পা তুলে নিয়ে নিজের হাটুর উপরে রেখে খুব সন্তর্পণে একটা নূপুর পড়িয়ে দিলো ওর পায়ে।
খুজিন্তা অবাক হয়ে বলল,ওমা! এত সুন্দর নূপুর!
মাত্রা এবার আরেকটা পায়েও নূপুর পড়িয়ে দিলো। খুজিন্তার বিস্ময়ের সীমা নেই।ওর চোখে আনন্দে পানি এসে গেছে।ও অবাক হয়ে মাত্রার দিকে তাকিয়ে আছে।ওর গাল বেয়ে টপ করে গড়িয়ে পড়লো এক ফোটা জল!
★
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ওনার স্ত্রী’র দিকে তাকিয়ে বললেন, আমাদের বিবাহ বার্ষিকী কবে যেন?
ওনার স্ত্রী একটু অবাক হয়ে তাকালেন স্বামীর দিকে।তারপর বললেন, আর দুই দিন পরেই তো।ভুলেই গিয়েছিলাম আমি।
– এবার কিন্তু একটা দামী গিফট চাই তিন্নি।বুড়ি হয়ে গেছো তাই বড় গিফট।
– আমি বুড়ি হয়ে গেছি?
– হ্যা।শাবানা,কবরী,ববিতা’র ছবি সিনেমা হলে গিয়ে দেখলাম। ওরা বুড়ি হলে তুমি কি ইয়ং লেডি থাকবে?
– আমাকে বুড়ি বলবা না একদম। আমার চুল এখনো কাচা,শরীর এখনো অনেক ফিট।
– রেগুলার ইয়োগা টিয়োগা করতে জন্য এখনো অতটা ফিট।নয়ত কবেই পটল তুলতে।তুমিও পটল তুললে না,আমার ও আরেক টা বিয়ে করা হলোনা।
– কি বললে! কি বললে তুমি!
– তোমাকে সিস্টেমে মরতে বললাম।
ওনার স্ত্রী এতটাই রেগে গেছেন যে কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না।রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেলকুনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন অনেক্ষণ।সাফায়েত উল্লাহ সাহেব হাসছেন আর ভাবছেন,এবার সিনেমার ডায়ালগ ঝাড়তে হবে।নয়ত এত সুন্দর রাতটা ও বেলকুনিতে দাঁড়িয়েই কাটিয়ে দেবে।তিন্নি টা প্রচুর জেদি!
★
বাসায় ফিরেই মর্ম ওর ল্যাপটপ টা মিশুকে দিয়ে বলল,একটা নাটক প্লে করে দিচ্ছি।দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যেও কেমন?
মিশু মাথা নেড়ে ল্যাপটপ টা নিয়ে নিজের ঘরে আসলো।তারপর নাটক টা দেখা আরম্ভ করলো। এটাই সেই নাটক যেটার কথা ও মর্ম কে বলেছিল।সত্যিই সেই কফিশপ টাই।যে ছেলেটা ওকে চকোলেট দিয়ে গিয়েছিল,তাকেও এক ফাকে দেখা গেলো। মিশু অবাক হয়ে ভালো ভাবে নাটক টা দেখে ঘুমিয়ে পড়লো। মৈত্রীর সাথে দেখা করার কথা মনেই রইলো না।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মিশু ও খুজিন্তা ছুটাছুটি করে নাস্তা তৈরী করে ফেললো।ইতিমধ্যে ই দুজনের বেশ ভাব জমে গেছে।একসাথে কাজ করতে দেখলে মনে হচ্ছে যে কতকালের বান্ধবী! সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ওদের কান্ড দেখছেন আর হাসছেন।ওনার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠার আগেই এরা সব তৈরী করে ফেলেছে।এমন টাই তো চাই! মিশুকে ওনার একটা ছেলে বিয়ে করে ফেললে ব্যাপার টা মন্দ হবেনা।
ভাবতেই আরেক দফা হেসে নিলেন উনি।তারপর টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে লাগলেন।ওনার স্ত্রী উঠে এসে এতসব কান্ড কারখানা দেখে হাসবেন নাকি প্রশংসা করবেন বুঝতে পারলেন না।তবে বেশ খুশি হয়েছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে।উনি তিন ছেলেকে ডেকে তুলে নাস্তা খেতে ডাকলেন।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব বসে বসে মিশুর সাথে আলোচনা করছেন প্রথমে কোন কোন কাজগুলো সেরে ফেলতে হবে।আজকের প্রথম কাজ হচ্ছে কার্ডের ডিজাইন পছন্দ করা।ডিজাইন বাছাই করে অর্ডার দিয়ে দিতে হবে।কার্ড পছন্দ করার জন্য সকলেরই ভরসা তানিন।এসব আলোচনা করতে করতেই সকলে নাস্তা খেতে চলে আসলো।
মৈত্রীর সাথে চোখাচোখি হতেই মিশু বলল,গুড মর্নিং।
মৈত্রী উত্তরে মুচকি হাসল।তারপর বসে পড়লো। মর্ম ও মৈত্রী পাশাপাশি বসেছে।তাদের পাশে তানিন।তানিনের পাশেই খুজিন্তা ও মাত্রা।মিশু ও সাফায়েত উল্লাহ সাহেব পাশাপাশি বসেছেন।মর্ম, মৈত্রী দুজনেই মিশুর একদম সামনে।মিশু একবার মৈত্রীর দিকে তাকাচ্ছে,একবার তাকাচ্ছে মর্ম’র দিকে।তারপর বলল,মর্ম ভাইয়া আমি কাল নাটক টা দেখেছি।ওই কফিশপের কথাই বলেছিলাম।দুপাশে হারিকেন আর বাশের বেড়া দেখেই বুঝেছিলাম।কিন্তু আমি যে ওটার কথা ই বলেছি আপনি কিভাবে বুঝলেন?
মৈত্রী বলল,কারণ ওই নাটক টার পরিচালক মর্ম নিজেই।
কথাটা শুনেই মিশু এতটা চমকে গেলো যে ওর হিচকি উঠে গেলো। সেই হিচকি চলতেই লাগলো। সাফায়েত উল্লাহ সাহেব হেসে নিজেই পানির গ্লাস এগিয়ে দিলেন মিশুর দিকে।এত বড় একটা চমক শুনে মিশু সত্যিই দারুণ অবাক হয়ে গেছে।যে নাটক দেখে মিশুর সে জায়গাটায় ঘুরতে যাওয়ার শখ হয়েছিল,সে জায়গা টাতেই সে সেই নাটকের ডিরেক্টরের সাথেই গিয়ে ঘুরে এসেছে! কিন্তু সবই অজান্তে! এত বড় একজন ডিরেক্টরের সাথে অনেক রাত অব্দি বাইকে ঘুরে বেড়িয়েছে,কাঁধে হাত রেখে চিমটি কেটেছে,ভাবলেই মিশুর হার্টবিট বেড়ে যেতে লাগলো।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ব্যাপার টা বেশ উপভোগ করছেন!
চলবে…