#অপরাজিতা
#১৯তম_পর্ব
#স্নিগ্ধতা_প্রিয়তা
রাজিতা বের হয়ে যেতেই নিশাদ আনানকে বলতে লাগলো,
–“তুই রাজিতার থেকে ব্যাপারটা লুকোচ্ছিস কেন? দেখতে পাচ্ছিস না এই বিষয়টি নিয়ে ও কি পরিমাণ ঘাটাঘাটি করছে। সবটা জেনে গেলে তোকেই ভুল বুঝবে। সময় থাকতে সবটা ওকে জানিয়ে দে। এখনো দেরি হয়নি। পরে পস্তাতে হবে!”
নিশাদের কথাশুনে আনান বলল,
–“আমিতো ওকে এর আগে অনেকবার জানাতে চেয়েছি। কিন্তু ওর সামনে গেলেই ভয়ে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। মনে হয় রাজিতা সবটা জানতে পারলে আমাকে ভুল বুঝবে! ”
–“ও কেন তোকে ভুল বুঝবে? তুই কাউকে ভালবাসতি! আর সে মারা গেছে! এতে তোর দোষটা কোথায়? ”
–“আমি কাউকে ভালবাসতাম এটা দোষের নয় হয়ত! সে মারা গেছে এটাও দোষের নয় হয়তো! কিন্তু..”
–“কিন্তু কি?”
–“সমস্যাতো একটাই! ওদের দুজনের চেহারায় অনেকটা মিল আছে! ”
–“আরে এতে প্রবলেটা কোথায়? বুঝিয়ে বলবি আমাকে?”
–“তুই কিছুই বুঝতে পারছিস না? সুবহা দেখতে রাজিতার মতো ছিলো, আর আমি সুবহাকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসতাম! এটা রাজিতা শুনে কি অতো সহজেই মেনে নিবে ভেবেছিস! ও এটা ভেবে বসে থাকবে যে, সুবহার মতো দেখতে বলেই আমি ওকে ভালো বেসেছি!”
–“সত্যিই কি তাই? না মানে সুবহার মতো দেখতে বলেই কি তুই রাজিতাকে বিয়ে করেছিস?”
–“নিশাদ! আর কেউ জানুক আর না জানুক! তুইতো জানিস যে, রাজিতাকে আমি কোন সিচুয়েশনে বিয়ে করেছি! তারপরেও তুই এটা কীভাবে বলতে পারলি!”
–“তুই আমার কাছেও লুকোবি? সত্যকে চাপা রাখতে হয়ন! কারণ তা নিজেই নিজের পথ খুঁজে নিয়ে একদিন না একদিন বেড়িয়ে আসে! ”
–“আমি মানছি যে, পা নষ্ট হওয়ার নাটকটা আমি রাজিতাকে পাওয়ার জন্যই করেছিলাম৷ হ্যাঁ, তখন সুবহার মতো দেখতে জন্যই আমি ওকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম! কিন্তু বিশ্বাস কর, এই কয়দিনেই আমি রাজিতাকে ভালবেসে ফেলেছি! সুবহার মতো দেখতে বলে নয়! আমি রাজিতাকেই ভালবেসে ফেলেছি! ও যখন আমার পাশে থাকে তখন মনে হয় পুরো পৃথিবীটাই আমার৷ ও যখন কথা বলে তখন মনে হয় যে, ওর এইকথা সারাজীবন শুনলেও একটুও বিরক্ত হবোনা। ওর মুখে হাসি দেখলে মনে হয় পুরো পৃথিবীটাই যেন আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে! আর ওর চোখে পানি দেখলে আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসে! ”
–“তাহলে তুই ওকে সত্যিট কেন বলে দিচ্ছিস না?”
–“ভয়ে! রাজিতাকে আমি হারাতে পারবো না। সুবহাকে হারিয়েছি! এখন রাজিতাকে হারালে আমি বেঁচেই থাকতে পারবো না। সুবহার মৃত্যুর পর আল্লাহ হয়তো আমাকে রাজিতার জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছিলো! সুবহাকে হারিয়ে আমি পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম! তুইতো দেখেছিস সব! ”
–“সব দেখেছি জন্যই বলছি। রাজিতাকে সব সত্যিটা বলে দে। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। ট্রাস্ট মি!”
–“আরে আমি কি কম চেষ্টা করেছি! কিন্তু রাজিতাকে হারানোর ভয় আমাকে কুড়ে-কুড়ে খায়! ওকে সবসময় চোখে-চোখে রাখি! মনে হয় যে,চোখের আড়াল হলেই বুঝি সুবহার মতো রাজিতাও আমার জীবন থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে। আর সুবহার কথা শুনলে ও হয়তো কাঁচের মতো টুকরো-টুকরো হয়ে যাবে! আমি ওকে কোনো কষ্ট দিতে চাইনা! ”
–“কিন্তু ওর থেকে সত্যটা লুকিয়ে তুই আরো বড় ভুল করছিস! যেদিন ও পুরো সত্যটা জানতে পারবে সেদিন ও সত্য জানার থেকে বেশি কষ্ট কোনটায় পাবে জানিস?”
–“কোনটায় কষ্ট পাবে?”
–“তুই কাউকে ভালবাসতি সেটায় না যতটা কষ্ট পাবে, তারচেয়ে বেশি কষ্ট পাবে এটা ভেবে যে, তুই ওর থেকে এতগুলো সত্য গোপন রেখেছিস!”
–“তুই আর আমি ছাড়া এই সত্যগুলো আর কেউ জানে না। বিলিভ মি! ”
–“কিন্তু তাই বলে তুই ওর কাছে গোপন রাখবি?”
কথাগুলো শুনেই আনান পাঁচ বছর আগের সময়টায় চলে গেলো….
নিশাদের এক কাজিনের বিয়েতে সুবহাকে প্রথম দেখে আনান। তখন সবে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স ভর্তি হয়েছে। সুবহাকে দেখেই আনান যেন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। সিঙ্গেল লাইফের অবসান ঘটাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিলো আনানকে। কারণ সুবহা অন্যান্য সাধারণ মেয়ের মতো ছিলো না। প্রেম-ভালোবাসা এসব নিয়ে ও ইন্টারেস্টেড ছিলো না। আর অনেক লাজুক প্রকৃতির ছিলো। কারো সাথে তেমন কথা বলতো না।
কিন্তু আনানের ভালবাসার কাছে হেরে গিয়ে সুবহাও আনানকে ভালবেসে ফেলে। কিন্তু সেটা অন্যকাউকে জানাতে নারাজ ছিলো সুবহা। ও প্রেম করে শুনলে সবাই কি ভাববে! এটা ভেবেই গোপন রেখেছিলো ওদের রিলেশনশীপ।
চোরের মতো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে হতো আনানকে সুবহার সাথে। তারপরও ওদের সম্পর্কটা ভালই যাচ্ছিলো।
দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে যায়। সুবহার সাথে লুকিয়ে দেখা করাটা যেন আনানের নেশায় পরিণত হয়ে গেলো। আনানের ক্যাম্পাস থেকে সুবহার ক্যাম্পাস বেশি একটা দূরে ছিলো না জন্য প্রায় প্রতিদিন ওরা দেখা করতো।
সুবহা সব সময় একটাই স্বপ্ন দেখতো! আর সেটা হচ্ছে ওদের ভার্সিটিতে টিচার হিসেবে জয়েন করা। আনানের আবার টিচিং প্রফেশন অতোটা পছন্দ ছিলো না।
নিশাদ, আনান আর সুবহা ছাড়াও ওদের সম্পর্কটা আরো একজন জেনে যায়৷ আর সে ছিলো সুবহার একটা ফ্রেন্ড ফাহিম। ফাহিম ছিল অনেকটা দুষ্ট প্রকৃতির! সুবহার রিলেশন আছে শুনে ও সুবহাকে নিয়ে অনেক মজা করতে শুরু করে। ওর মতো চুপচাপ একটা মেয়েরও বয়ফ্রেন্ড আছে! এসব বলে হাসাহাসি করে। ফাহিম এটাও জানায় যে, ও সবাইকে জানিয়ে দেবে যে সুবহা ইন এ রিলেশনশিপ! আর তারপর থেকে ফাহিম সুবহাকে প্রচুর বিরক্ত করতো। যেখানে-সেখানে ফলো করতো। বিভিন্ন কথা শুনাতো! ওর আর আনানের ছবি তুলে সেগুলো দিয়ে সুবহাকে ভয় দেখাতো৷ যদিও ওদের তেমন কোনো ছবি ছিলো না যা লোকে দেখলে খারাপ ভাববে! তবুও সুবহা প্রচুর ভয় পেতো ফাহিমকে!
সুবহা চাইতো না যে, ওর ফ্রেন্ডরা কেউ ওর রিলেশন সম্পর্কে জানুক। খুব লাজুক টাইপের ছিলো। আনান ওকে অনেক বোঝায় যে, সবাইতো রিলেশন করে, সবাই জানে! ওদেরটা জানলেও কিছুই হবেনা! কিন্তু সুবহা তবুও মানতে চায়না!একটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সুবহা যে এত সিরিয়াস হবে তা আনান কল্পনাও করতে পারেনি! তার উপর ফাহিমের বিরক্ত করা দিনদিন বাড়তেই থাকে!
সুবহার মৃত্যুর দিন আনানকে ফোন করে জানায় যে, ফাহিম ওকে ছাদে ডেকেছে, কি যেন বলবে। আনান ওকে মানা করে ফাহিমের সাথে দেখা করতে। ছেলেটাকে ওর সুবিধের মনে হয়না। কিন্তু সুবহা বলে যে, কিছুই হবেনা। সুবহা ফাহিমকে বুঝিয়ে বললেই শুনবে। কিন্তু সেইদিনের পর আনান আর সুবহার মিষ্টি কণ্ঠটা শুনতে পায়নি! ওর মিষ্টি মুখটা দেখতে পায়নি! সুবহার থেতলে যাওয়া মুখটিই আনানের স্মৃতির পাতায় সারাজীবনের জন্য সেটে যায়!
ফাহিমকে নিয়ে আনানের সন্দেহ ছিলো। তাই ফাহিমের নাম্বার যোগাড় করে পরিচয় গোপন রেখে আনান এটা বলে ধমকি দেয় যে, সুবহাকে যে ওই মেরেছে তা আনান জানে। ওকে এক লাখ টাকা দিলে প্রমাণগুলো ফাহিমকে দিয়ে দিবে।
আনানের ফোন পেয়ে ফাহিম ভয় পেয়ে যায়। ফাহিম এটাও জানায় যে, ও ইচ্ছে করে সুবহাকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়নি। কথা বলার এক পর্যায়ে ফাহিম সুবহার সাথে মজা করে যে, ওকে ছাদ থেকে ফেলে দিবে! কিন্তু সুবহা সেটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে ভয় পেতে থাকে। ওদের ছাদে কন্সট্রাকশনের কাজ চলছিলো, আর সুবহা যেদিকে দাঁড়িয়ে ছিলো সেদিকে কোনো রেলিং ছিলো না। আর ভয় পেয়ে সুবহা পিছনে যেতে যেতে এতটাই পিছনে চলে যায় যে, যেখান থেকে ফেরার আর কোনো উপায় ছিলো না।
সুবহা পড়ে যেতেই ফাহিম তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে সরে পড়ে আর ভীড়ের মাঝে মিশে যায়। তাই ছাদে গিয়ে কেউ ওকে খুঁজে পায়না।
ফাহিমের কথাগুলো শুনেও আনান বিশ্বাস করতে পারে না।শেষমেশ ফাহিম জানায় যে আনানের সাথে দেখা করবে ও। আনানও রাজি হয়ে যায়। তবে ও জানায় যে, সুবহার যেখান থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সেখানেই দেখা করবে!
ফাহিম নিজেই সিকিউরিটি গার্ডের থেকে চাবি নিয়ে আনানকে নিয়ে ছাদে চলে যায়। আনান মাস্ক পড়ে থাকায় ফাহিম প্রথমে ওকে চিনতে পারে না। কিন্তু একটু পরেই আনানকে চিনতে পারার পর ফাহিম আর আনানের মধ্যে তর্ক শুরু হয়ে যায়। সুবহার মৃত্যুর জন্য আনান ফাহিমকে দোষারোপ করতে থাকে৷ আর ফাহিম সেটাকে একটা দুর্ঘটনা বলে চেঁচাতে থাকে।
দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়৷ আনান ফাহিমকে ভয় দেখায় যে, সবাইকে জানিয়ে দেবে সেদিন সুবহার সাথে ছাদে ফাহিমও ছিলো৷ ফাহিম রেগে গিয়ে বলতে থাকে যে, সুবহাতো এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে, কিন্তু আনানকে ও নিজহাতেই মেরে ফেলবে! কেউ জানতেও পারবে না! সবাইকে এটা জানিয়ে দিলেই হবে যে, সুবহার আত্মহত্যা সহ্য করতে না পেরে সুবহার বয়ফ্রেন্ড ও সেইমভাবে আত্মহত্যা করেছে! বলেই হাসতে থাকে ফাহিম। আনান নিজেকে বাঁচাতে গেলে ফাহিম নিজেই নিচে পড়ে যায়!
ফাহিমকে নিচে পড়ে যেতে দেখে আনান ভীষণ ভয় পেয়ে যায়৷ সিকিউরিটি গার্ড ফাহিমের সাথে ওকে আসতে দেখেছে! ফাহিমের ফোনে ও কল করেছিলো! এগুলো ভাবতে ভাবতে ফাহিমের ফোনটা আনানের চোখে পড়ে। ফাহিমের ফোনটা হাতে নিয়ে আনান পালাতে থাকে।
সিকিউরিটি গার্ড শব্দ শুনে তার উৎপত্তি খুঁজতে থাকে। আর সেই সুযোগে আনান ওখান থেকে পালিয়ে আসে।
সিকিউরিটি গার্ড হয়তো নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে আনানের কথা গোপন রাখে। কারণ অতোরাতে তিনি কাউকে ছাদে কেন যেতে দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নটার উত্তর উনার জানা ছিলো না। তারপর কারো ডেথ হয়ে গেছে! কেস যদি উল্টো উনার দিকেই আসে।আর নিউজে ফাহিমের বলা কথাগুলোই প্রকাশ হতে থাকে।
ফাহিমের মৃত্যুতে আনান এটা ভেবে প্রশান্তি পায় যে, সুবহার মৃত্যু যার জন্য হয়েছে সে আর এই পৃথিবীতে নেই!
আনান যেন প্রাণখুলে হাসতে ভুলে যায়, প্রাণখুলে কথা বলতে ভুলে যায়৷ সবসময় কেমন চুপচাপ থাকে৷ ওর মা-বাবা একমাত্র ছেলের ওইরূপ সহ্য করতে পারেনা। তখন নিশাদ উনাদের সবটা জানায়। সবটা জেনে উনারাও ভীষণ কষ্ট পায়!
আনান মাস্টার্স কম্পলিট করেই সুবহাদের ভার্সিটি মানে রাজিতাদের ভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে জয়েন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। নিজের জন্য নয়! সুবহার স্বপ্ন পূরণ করতে! পুরো দুইবছর কঠিন চেষ্টার পর আনান সফল হয়।
এরমধ্যে ওর বাবা-মা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে, আনান রাজি হয়না। অবশেষে ওর বাবা ওর দাদুর শেষ ইচ্ছের কথা জানালে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আনান রাজি হয়ে যায়। মেয়েকেও দেখতে যায়না। ওর বাবাকে জানিয়ে দেয় যে, ওর দাদু যেহেতু ঠিক করে গেছেন যেমনি হোক ও বিয়ে করবে! ও বিয়েতে রাজি হয়েছে শুনে ওর বাবা-মা ভীষণ খুশি হন!
আনানের বিয়ে ঠিকঠাক হওয়ার দুইদিন আগে ওর ইন্টারভিউ ছিলো। আর ইন্টারভিউ দিয়ে ফেরার পথে ওর চোখে পড়ে রাজিতা। ক্ষণিকের জন্য ওর মনে হতে থাকে যে, ও সুবহাকে দেখতে পাচ্ছে! অনেক বছর পর ওর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে যা মিথ্যে নয়৷ একদম মন থেকে আসা প্রকৃত হাসি!
কিন্তু ওর মুখের হাসি নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। কেননা ও অলরেডি বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দিয়েছে। রাজিতার খোঁজ নিয়ে যখন জানতে পারে যে, ও যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে তার-ই চাচাতো বোন রাজিতা। আনান তখন রাজিতা আর ওর পুরো পরিবারের খোঁজ খবর নেয়, কে কে আছে! কে কেমন! কিন্তু নিয়নের সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে পারেনা। কারণ ও দেশের বাইরে।
রাজিতাদের পুরো খোঁজ খবর নেওয়ার পর বিয়ের দিন আনান একটা রিস্ক নেয় রাজিতাকে পাওয়ার। আর পা নষ্ট হওয়ার নাটকটা করে যেন নিলা ওকে বিয়ে করতে মানা করে দেয়। আর নিলা মানা করে দিলে রিমি কখনো রাজি হবেনা, কারণ ও অলরেডি একজনকে ভালবাসে৷ তাহলে লাস্ট অপশন থাকবে রাজিতা! আনানও বিয়ে না করে আসবে না! আর পরিবারের সবার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজিতা না করতে পারবে না!কিন্তু আনানের প্লানটা যে এভাবে কাজ করে যাবে তা ও ভাবতেও পারেনি! রাজিতাকে ও এত সহজেই পেয়ে যাবে! তাও আবার সারাজীবনের জন্য নিজের করে!
–“কি হলো? কিছুতো একটা বল। তুই না বলতে পারিস আমাকে বল! আমি ওকে পুরোটা বুঝিয়ে বলব! আমার বিশ্বাস, এখনও রাজিতাকে বুঝিয়ে বললেই ও বুঝবে। ”
নিশাদের কথায় অতীতের সাগর থেকে বর্তমানে ফিরে আসে আনান।
চলবে…….
(আনানে আর সুবহার রহস্যটা আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ)