#অবৈধ_সম্পর্ক
#লেখাঃ_নুসরাত_জাহান(ফারিয়া_আলম_মিম)
#সিজনঃ_২
#পর্বঃ_৬
রিপা দরজাটা আটকে রুমের ভিতরে নিজেকে আটকে রাখলো। ইমরান সমানে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু কিছুতেই রিপা দরজাটা খুলছেনা। ধাক্কা দিতে দিতে ইমরানের হাতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলো।
তবুও এক মূহুর্তের জন্য ও থামছেনা। মাহি ইমরানকে আটকানোর চেষ্টা করছে তবু ও থামাতে পারছেনা।
-“রিপা প্লিজ দরজটা খোল। তুমি আমাকে ভুল বুঝছো। আসলে তুমি যেটা দেখেছো সেটা তোমার চোখের দেখার ভুলো। একবার দরজাটা খোল আমি তোমাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলছি।
ভিতর থেকে রিপার কোন সাড়া শব্দ নেই।
কিছুক্ষণ পরে,,,,,
রিপা দরজাটা খুলে দিয়েই ইমরানের শার্টের কর্লার টেনে ধরে এলোপাথাড়ি চড়,,থাপ্পর দিয়েই যাচ্ছে। আর মুখে যা আসছে তাই বলে যাচ্ছে।
প্রচন্ড কান্না করছে রিপা। ইমরানের দিকে তাকাচ্ছেই না সে।
ইমরান রিপাকে জাপটে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু রিপার বুকের ভিতরে যে ঝড় উঠেছে সেটা তো আর থামবার নয়।
-“যত খুশি মারো তবুও আমার কথাটা শোন। তুমি যা দেখেছো সেটা সত্যি নয়।
অগ্নিমূর্তির ন্যায় ইমরানের দিকে তাকায় রিপা।
-“তুমি কী বলতে চাচ্ছো?? আমি নিজের চোখে যেটা দেখিছি সেটা ভুল? তুমি মাহিকে কিস করোনি??
-“ইমরান রিপার গলা ধরে বললো,,,রিপা এসব তুমি কী বলছো?? মাহিকে নিয়ে বাজে কথা বলার আগে তোমার মুখটা একবার ও কাপঁলো না।
তুমি জানো মাহি আমার কে হয়??
-“আমি এত কিছু জানতে চাইনা। তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছো এর বেশি আমার জানার দরকার নেই।
-“রিপা মাহিকে আমি আমার ছোট বোনের মতো দেখি। মাহির চোখে কী যেনো ঢুকেছিলো আর সেটা বের করতেই আমি উঁকি মেরেছিলাম ওর দিকে আর তুমি সেটা দেখে ভাবলে ওর সাথে আমার রিলেশন চলছে। আর আমি ওকে কিস করছি।
সত্যি বিশ্বাস করো রিপা আমার সাথে মাহির ভাই বোনের সম্পর্ক শুধু।
-“মাহি এসে রিপার হাত ধরে বললো,,ভাবী তুমি ভাইয়াকে ভুল বুঝোনা। আমাদের সম্পর্কটা শুধুমাত্র ভাইবোনের মতোই।
-“রিপা হতভম্ভ হয়ে নিচে তাকিয়ে আছে।
মাহি রিপাকে বিছানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলো।
রিপার এমন কান্ড দেখে ইমরান ও শকড হলো।।এমনটা যে হবে সে কল্পনা ও করতে পারেনি।
রিপার পাশে গিয়ে ইমরান বসলো। রিপা চুপচাপ বসে আছে কোন কথা বলছেনা।
আর ইমরান ও রিপাকে কোন জোরাজোরি করছে না কথা বলার জন্য।
ইমরান ভয়ে ভয়ে রিপাকে জিজ্ঞাস করলো পানি খাবে??
-“রিপা নিশ্চুপ।
মাহি বাসা ছেড়ে গিয়ে ফ্রিজ খু্লে ঠান্ডা পানির বোতলটা বের করে গ্লাসে ঢাললো।
লেবু দিয়ে শরবত করে রিপার সামনে মগটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো,,,ভাবী এটা খেয়ে নাও। ভালো লাগবে। আর মাথাটা ঠান্ডা করে রিলাক্স হয়ে আমরা যে কথাগুলো বললাম সেগুলো একটু ভাবো। দেখবে সব কিছুর উত্তর পেয়ে যাবে।
এতক্ষণ কাঁদতে কাঁদতে রিপার গলা একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নিলো।
রিপাকে দেখে মাহি বুঝতে পারলো সে আরো পানি খাবে। তাই সে আবার গিয়ে ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানির বোতলটা হাতে নিয়ে রিপার কাছে দিলো।
বোতলের মুখ খুলে গ্লাস ছাড়া ঢকঢক করে পুরো পানিটা খেয়ে নিলো।
রিপার পানি খাওয়া দেখে মনে হচ্ছে কয়েকদিন ধরে সে পানি খায়নি।
ইমরান এসে রিপার পাশে বসলে রিপা ভয়ে শিউরে উঠলো।
-“ইমরান প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
-“হুম।
মাহি রিপার হাত ধরে অনুরোধের সুরে বললো,,,ভাবী তুমি ইমরান ভাইয়াকে ভুল বুঝোনা।
সবাই চলে গেলে ফ্লোরের উপরে হাত পা বিছিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বসে আনমনে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকলো রিপা।
হঠ্যাৎ করে মাহি তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রিপার রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়। পায়ের শব্দে মুখটা ঘুরিয়ে মাহির হাতে ব্যাগ দেখে অনেকটা হতবাক হয়ে যায়।
মাহি রিপার পাশে এসে বসলো। তারপরে রিপার হাতটা ধরে চুমো দিয়ে বললো,,,ভাবী আমাকে তুমি ভুল বুঝোনা। সত্যি ইমরানকে আমি আমার ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি। আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট পাইনি তাই তোমাদের বাসায় আসলাম। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি যদি একটু ও আন্দাজ করতে পারতাম যে তুমি এমনটা করবে?? তাহলে আর এখানে আসতাম না। আমি আসার কারনে তোমাদের ভিতরে ভুল বোঝাবুঝি হলো। প্লিজ ছোট বোন মনে করে ক্ষমা করে দিও।
– রিপা মাহির মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মনে মনে ভাবলো তাহলে হয়তো আমারই ভুল হয়েছে।
আসলে অনেক সময় চোখে যা দেখে সেটা সত্যি হয়না।
-“না বোন। আমাকে তুমি মাফ করে দাও। আসলে আমি তোমাদের ভুল বুঝেছি।
-তাহলে ভাবী আমি এখন যাচ্ছি। যদি কখন ও সুযোগ হয় তাহলে আবার আসবো তোমার সাথে দেখা করতে। আর একটা রিকুয়েস্ট তোমার এই ছোট বোনটাকে ভুলে যেও না।
-“না বোন তুমি চলে যেও না। কিছুদিন থেকে যাও।
-“না ভাবী। মা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
মাহির হাত ধরে রিপা ইমরানের রুমে ঢুকলো।
ইমরান উল্টো পাশ করে কপালে হাত দিয়ে বসে আছে।
-ইমরান।
-“হুম।
-“আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। তোমাদের ভাইবোনের সম্পর্কে আমি খারাপ ভেবেছি।
-“তোমার কোন দোষ নেই রিপা। তুমি তো বুঝতে পারোনি।
-“আচ্ছা। মাহি চলে যাচ্ছে তুমি প্লিজ ওকে বাসে তুলে দিয়ে এসো।
-“তুমি ও সাথে চলো রিপা।
-“না গো তুমি যাও আমার যেতে ইচ্ছে করছেনা।
-“ঠিক আছে আমি তাহলে দিয়ে আসছি।
ইমরান চলে গেলো।
রিপা গিয়ে সোফার উপরে গুটিসুটি মেরে বসলো।
ইমরান তো চলে গেলো কিন্তু মনের ভিতরে ছন্দের যে পতন হলো সেটা ফিরে আসতে হয়তো অনেক সময় লাগবে।
রিপা তবুও নিজেকে মানিয়ে ইমরানকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নিজেকে সাজাতে মরিয়া হয়ে উঠলো। যে ঘটনা ঘটে গেলো সেটাকে ভুলে যেতেই আজকে নিজেকে সাজাচ্ছে। ইমরান শাড়ী পছন্দ করে তাই রিপা আজকে শাড়ী পড়লো। কপালে কালো টিপ পড়লো,,,ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক দিলো। চুলগুলো বান স্টাইলে সিঁথি করে দুপাশে রাখলো।
নিজেকেই নিজের কাছেই ভালো লাগছে।
আজ ইমরান এসে দেখলে ভীষণ খুশি হবে।
রাত ১১ টা বেজে ১০ মিনিটে ইমরান বাসায় আসলো।
ইমরান রিপার দিকে তাকালো। রিপা ইমরানের মুখের দিকে না তাকিয়ে বললো,,,এত দেরী হলো যে??
-” আজকে আসার পথে রাহাত কল করেছিলো তুর্জ নাকি ক্লাবে পার্টি রেখেছে তাই সেখানে গিয়েছিলাম।
ইমরানের কথাগুলো কেমন জানি লাগছিলো তাই মুখটা তুলে ইমরানের দিকে তাকায় রিপা।
-“ইমরান তুমি ড্রিংকস করেছো??
-“আমি আসলে করতে চাইনি তুর্জ আমাকে জোর করে খাইয়ে দিলো। বিশ্বাস করো রিপা আ…..মি ইচ্ছা করে খাইনি। ইমরান কথা বলছে আর ঢুলছে।
রিপার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। আজকে শুধুমাত্র ইমরানের জন্য সেজেছে সে। কিন্তু সব কিছু তার ভেস্তে গেলো। ইশ কত সুন্দর করে শাড়ী পড়েছিলো।
ইমরানকে রিপার কাঁধে ভর করিয়ে নিজের রুমে নিয়ে গেলো।
রিপা ইমরানকে বিছানায় বসিয়ে দিতে গেলে সে তার বুকের উপরে পড়লো।
ইমরান চোখ বড় বড় করে রিপার দিকে তাকিয়ে রইলো।
ইমরানের ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলো রিপা। ভয় কাটিয়ে ওঠার পরে চোখ খুললো রিপা।
এবার ইমরান হাসিমুখে রিপার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু চোখে লেগে থাকা নেশাটা যেনো আরো তীব্র হয়ে আসছে। চোখে ঘুম ঘুম ভাব তার।
রিপা ও ইমরানের চোখের মোহে পড়ে গেলো। সে ও চোখ ফিরাতে পারছেনা। রিপার ও ইচ্ছে করছে ইমরানকে কাছে পাবার।
হঠ্যাৎ খেয়াল হলো কুচিতে টান পড়ায় তার শাড়ী খুলে গেছে। আর ইমরান কুচির দিকে তাকিয়ে হাসছে। রিপা শাড়ীর কুচিগুলো এক করার চেষ্টা করতেই শাড়ীর আঁচলে লাগানো পিনসহ খুলে গেলো।
ইমরান এক টানে রিপাকে বুকের উপরে ফেলে এলোপাথাড়ি চুমো খেতে লাগলো। রিপা তো পুরোই হকচকিয়ে গেলো। তারপরে রিপা ও ইমরানকে জড়িয়ে ধরে হারিয়ে গেলো সমুদ্রের অতুল গভীরে।
.
পরেরদিন,,,,,,
রিপা ঘুম থেকে উঠে পা বাড়তে গেলেই ইমরান রিপার হাত দুটো টেনে ধরলো।
পিছনে তাকিয়ে বললো,,,এই ইমরান হাতটা ছাড়ো না। সকাল সকাল কী শুরু করেছো। সারারাত ভালোবেসে ও মন ভরেনি তোমার।
-“একদম না। তোমাকে যতই ভালোবাসি আমার মন যে ভরেনা। আরো বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।
ইমরান শোয়া থেকে উঠে বিছানা দিয়ে নেমেই রিপাকে কোলে তুলে নিলো।
-“কী করছো ইমরান??? কোলে নিলে কেনো???
-“ইমরান নিজের নাক দিয়ে রিপার নাক ঘষে দিয়ে বললো,,,আজকে আমরা একত্রে শাওয়ার নিবো।
-‘রিপা শরমে চোখ নামিয়ে নিলো।
ওয়াশরুমে ঢুকে রিপাকে নামিয়ে দিয়ে ঠোঁটে চুমো এঁকে দিয়ে বললো,,,চকলেট টা তো দারুণ লাগছে বলেই ঝরণাটা ছেড়ে দিয়ে দুজনে ভিজলো।
তারপরে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসলো।।
-‘ইমরান রেডী হচ্ছে তখনি ইমরানের কল বেজে উঠলো।
-“হ্যালো।
-“স্যার আমি মুন্না বলছিলাম।।স্যারে আপনাকে আজকেই অফিসের কাজে সিলেটে যেতে বলেছে। আপনি না গেলে কোম্পানির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
-“আচ্ছা স্যারকে বলো আমি সিলেটে যাবো। তাকে চিন্তা করতে বলোনা।
রিপা এসে ইমরানের কাছে দাঁড়ালো।
-“কী হয়েছে ইমরান??
-“আরে বলো না আমাকে এখনি অফিসের কাজের জন্য সিলেটে যেতে হবে। কিন্তু তোমাকে একা রেখে কীভাবে যাই সেটাই ভাবছি।
-“জরুরী হলে যাও। আমি থাকতে পারবো।
-“ওহ্ আচ্ছা। তাহলে তো মনে সাহস পেলাম।
তারপর ইমরান তার জিনিসগুলো গুছিয়ে রিপার কপালে চুমো দিয়ে বললো,,নিজের খেয়াল রেখো।
-“হুম।
ইমরান চলে গেলো।
প্রায় ২০ দিন পরে……
প্রতিদিন ইমরানের সাথে কথা হয়। আজ ও কথা বলে ফোনটা রাখার পরে রিপার মাথাটা কেমন জানি ঝিমঝিম করছে। আস্তে আস্তে বিছানার উপরে গিয়ে বসলো।
রাতে খেতে বসলো রিপা। হঠ্যাৎ তার বমির বেগ আসলে দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো। বমি করে বেরিয়ে এসে মাথায় চক্কর কাটলে লাগলো।
এভাবে প্রায় ৭ দিন যায়। একই অবস্থা রিপার শরীরের কোন উন্নতি নাই।
রিপা তার এক বান্ধবীকে কল দিলো। ওকে সব খুলে বলার পরে বললো,,,রিপা একটা কথা বল তো তোর কী গত মাসে পিরিয়ড হয়েছিলো???
-‘কিছুক্ষণ ভেবে বললো,,,না রে।
-“তাহলে তোর যে কান্ডিশন তাতে মনে হয় তুই প্রেগন্যান্ট।
-“কী বলিস তুই??
হুম তুই ফার্মিসিতে গিয়ে বলবি একটা প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ দিতে। তারপরে তুই বাসায় এনে টেস্ট করিয়ে দেখ রেজাল্ট নেগিটিভ নাকি পজিটিভ । তারপরে না হয় ডক্টরের কাছে যাবি।
-“আচ্ছা।
সন্ধ্যার পরে রিপা ফার্মেসিতে গিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ কিনে সকালে পরীক্ষা করলো। রেজাল্ট পজিটিভ আসলে রিপা চমকে উঠলো। তার মানে আমি প্রেগন্যান্ট??? কিন্তু ইমরান যে বললো এত তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিবেনা?? তাহলে এখন কী হবে??
না না আমি কিছুতেই এর্বোশন করতে পারবোনা।
আমার সন্তানকে আমি কিছুতেই নষ্ট করতে পারবোনা।
.
রাতে ইমরান কল দিলো….
ফোনটা রিসিভ করে কিছুক্ষণ কথা বলে রিপা বললো,,,
ইমরান একটা গুড নিউজ আছে।
-“তাই! তা কিসের গুড নিউজ???
-“তুমি বাবা হতে যাচ্ছো।
-“হোয়াট দ্যা হেল টক টু ইউ??
তোমার মাথা কী ঠিক আছে?? এটা কীভাবে সম্ভব?? তুমি তো প্রোটেকশন ইউজ করেছিলে তাহলে প্রেগন্যান্ট হলে কীভাবে?তার মানে তুমি পিল খাওনি??
তুমি আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছো?? আমি এখন কোন বাচ্চাকাচ্চা নিবোনা। আমার বাবা হওয়ার বয়স হয়নি। দাঁড়াও আমি কালকে আসছি। আর এসেই তোমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো। আর বাচ্চাটাকে এর্বোশন করিয়ে নষ্ট করে ফেলবো বলেই টুট টুট করে ফোনটা কেটে দিলো।
.
মোবাইলটা হাত দিয়ে রেখে বিছানার উপরে শুয়ে পড়লো রিপা। পেটের উপরে হাত দিয়ে বললো,,,না না আমি এই বাচ্চাটা মেরে ফেলতে পারবোনা। আল্লাহ কত মানুষকে বাচ্চা দেয়না। তারা সবমসময় বাচ্চার জন্য হাহাকার করে কাঁদে আর আল্লাহ আমাকে ভালোবেসে দিয়েছেন আর আমি তাকে দুনিয়ার আলো দেখাতে পারবোনা???
আমি বাচ্চাটাকে দুনিয়ার আলো দেখানোর জন্য যা যা করণিয় সব কিছু করবো ইনশাআল্লাহ।
চলবে………….😭😭😭