#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_১৯
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
“কি রে এভাবে মন মরা হয়ে বসে আছিস কেনো…?? ”
নূর ইরিনের দিকে তাকিয়ে তারপর আবার ওর থেকে চোখ সরিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে আগের মতোই চুল করে বসে আছে।
ইরিনঃ কি হয়েছে বলবি তো!? এভাবে চুপ করে আছিস কেনো??
নূরঃ কিছু হয়নি।
ইরিনঃ তাহলে মুখের এক্সপ্রেশন ঠিক কর। আশেপাশের সবাই কেমন করে তাকিয়ে আছে। তকে দেখে মনে হচ্ছে জামাই মরছে।
নূরঃ চুপ থাক বেয়াদব মাইয়া!! আমার জামাই মরবো কা!! আজকে আবির ভাইয়ার বিয়ে…
ইরিনঃ তাহলে তো অনেক খুশির খবর। কিন্তু তুই এমন পেঁচার মতো মুখ করে আছোস কা!!
নূরঃ হরিণের বাচ্চা তুই বোঝস না কেরে মুখ এমন করে আছি…? আজকে ভাইয়ার বিয়ে আর আমি কলেজে ক্যান্টিনে বসে আছি!!
ইরিন রেগে বলে উঠলো, ” এই একদম হরিণ বলবি না। তোরে আসতে কে বলছে কলেজে।আসছোস কেনো!!??
নূরঃ আমার সখ যে বেশি তাই আসছি। ওই সাদা হনুমান আমারে অপমান করলো সবার সামনে তাই আমি রেগে চলে আসছি৷
ইরিনঃ সাদা হনুমান এইডা আবার কেডা??
নূর কিছু না বলে চুপ করে আছে। তখনি মনে হলো পাশে কেউ বসেছে।পাশে তাকিয়ে দেখে নীল এক গাল হেসে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
নূর দেখেও না দেখার মতো অন্য দিকে ফিরে গেলো।
“এই হরিণ!! কেমন আছো..??”
ইরিনঃ দুই ভাই বোন এই পাগল। একদম হরিণ বলবেন না বলে দিলাম!!। কাটা চামচ নীলের সামনে ধরে বললো।হরিণ বললে মুখ একদম সেলাই করে দিবো।
নীলঃ কাটা চামচ দিয়ে মুখ সেলাই করে কিভাবে হরিণ !!??
ইরিন রেগে দাড়িয়ে গেলো। [বেটা কানা (নীল সব সময় চশমা পড়ে তাই ওকে কানা ডাকে) তরে যদি এখন এই দুইতলা থেকে টুস করে নিচে ফেলে দিতে পারতাম ]”
নীল ইরিনের দিকে তাকিয়ে আছে।ইরিন নীলের তাকানো দেখে গটগট করে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে গেলো।
নীলঃ এভাবে মুখ ফুলিয়ে না রেখে চল।
নূরঃ তুই যা আমি যাবো না।
নীল অবাক হয়ে বললো,”কেনো সারাজীবন কি এখানেই থাকবি নাকি!!?”
নূরঃ নীলের বাচ্চা তোকে কখন বললাম যে সারাজীবন এখানে থাকবো। এক লাইন বেশি কেনো বুঝিস…
নীলঃ বইন আমি তো এখনো বিয়ে টাই করিনি৷ তুই আমার বাচ্চা পেইলি কই?? আর তুই বাসায় না গেলে আমি চলে যাই। বাসায় কিন্তু তোর জন্য অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ আছে। এখন তুই না গেলে তো আর জোর করে নিয়ে যেতে পারবো না।
নূর সারপ্রাইজ এর কথা শুনে লাফিয়ে বলে উঠলো, ” আরে আমি তো এমনি বলছি চল তারাতাড়ি বাসায় যাই।[ওই সাদা হনুমান এর ওপর রাগ করে আর যাই হোক সারপ্রাইজ মিস করতে পারবো না। আর ওই বেটার কি আমার যা ইচ্ছে আমি তাই করবো]
নূর রেগে বলে উঠলো, “এটা কি বাইক চালাচ্ছিস নাকি ঠেলা গাড়ি!!”
নীলঃ কিইইই!! এতো বড় অপমান্স এটা মেনে নেওয়া যায় না!!।নূর তুই এভাবে বলতে পারিস না। আমি যথেষ্ট স্পিডে চালাচ্ছি। এর বেশি স্পিডে চালানো যাবে না।
নূরঃ ওই তুই বাইক ব্রেক কর।
নীল বাইক ব্রেক করতেই নূর বললো,” এবার নাম”
নীল নূরের কথা মতো নামলো।
নূর গিয়ে বাইকে বসে নীল কে বললো পিছনে বসতে।
বেচারা নীল ভয়ে একদম জমে গেছে।
নীলঃ বইন প্লিজ নাম। পাগলামি করিস না। আমার এতো তারাতাড়ি মরার সখ নাই। এখনো বিয়ে, বাচ্চা কোনো টাই হয় নাই!!
নূর বিরক্ত হয়ে বললো,” তুই বসবি নাকি তকে এখানে রেখে চলে যামু!..
নীলঃ তুই কি চাস বিয়ের আগেই আমার বউ বিধবা হোক,কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো।
নূরঃ ওকে! তুই থাক আমি গেলাম।
নীলঃ আরেহ্ না। বসতাছি তো।
নূরঃ সাবধানে বস।
নীলঃ আর সাবধান করে কি হইবো। আগে বলতি হরিণের কে আরেকটু জ্বালায়ে আসতাম ইসস আমি মরে গেলে ওই হরিণ কে জ্বালাবে কে??
নূরঃ ড্রামা শেষ…বলে বাইক স্টার্ট দিলো।
নীলঃ আ….আ…আ আস্তে আস্তে নূর।বাইকের স্পিড স্লো কর।
নূরঃ চুপ থাক। মেয়েদের মতো আ আ আ করবি না। এনজয় কর।
নীলঃ বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক এনজয় করতে পারমু। স্পিড কমা বইন।
নূরঃ তুই চুপ করবি নাকি আরো স্পিড বাড়িয়ে দিমু।
নীল বুকে এক হাত দিয়ে, আরেক হাত মুখে দিয়ে রেখেছে। যদি বেঁচে ফিরে আর কোনো দিন এই ডেঞ্জারাস মাইয়াকে কোনো দিন বাইকে উঠাবে না। মবে মনে আল্লাহরে ডাকতেছে।
বাইক গিয়ে থাকলো বাসার সামনে। নূর নেমে নীলের দিকে ভালো করে তাকালো। এখনো চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে আছে।
নূর শব্দ করে হেসে দিলো নীলের অবস্থা দেখে।
নীল চোখ খুলে দেখলো না ও এখনো বেঁচে আছে।
তারপর রেগে নূরের দিকে তাকালো।
নীলঃ বেয়াদব মেয়ে।আর কোনো দিন আমার বাইকের দিকে চোখ তুলেও তাকাবি না।আরেকটু হলে বউয়ের মুখ দেখার আগেই উপরে চলে যেতাম। বেচারা তোর জামাইটার জন্য খুব মায়া হচ্ছে। জীবনে কতো ভালো ভদ্র মেয়ে পেতো।কিন্তু তার কপালে পরবে একটা ডাইনী পিশাচিনী।
নূরঃ আমার জামাই নিয়া তুই ভাবতে হবে না নিজের চরকায় তেল দে। তোর ভাইকে তো আর বিয়ে করছি না।
নীলঃ আমার ভাই আসলো কই থেকে!! আর ভাই থাকলেও তোর মতো ডাইনীর হাতে তুলে দিতাম না।
নূরঃ একদম ডাইনী বললে ঘার মটকিয়ে দিমু।
নীলঃ আরেকটু হলে তো জান টাই নিয়ে নিতি।
নূরঃ এখন আফসোস হচ্ছে কেনো নেইনি।
নীল নূরের দিকে তাকিয়ে রেগে বাসার ভেতর চলে গেলো।
———
আদিবা কে খুব সুন্দর করে শাড়ি, চুরি,আর আবিরের আম্মুর সব গহনা দিয়ে সাজিয়ে রেডি করালো মাহি,মিম,শুভ্রতা ভাবি আর রিয়া।(রিয়া হলো ওর মেঝো আম্মুর বোনের ছোট মেয়ে।আবিরের বিয়ে তাই ওরা সবাই এসেছে)
নূর মুখ ভার করে রুমে ঢুকলো।ওকে ছাড়াই সবাই রেডি হয়ে গেলো।
মন খারাপ করে গিয়ে ঠাস করে রিয়ার মাঠায় তবলা বাজিয়ে ওর পাশে বসে পড়লো।
রিয়া রেগে বলে উঠলো, ” নূরির বাচ্চা আসতে না আসতেই তোর শুরু।”
নূর ভালো করে রিয়ার দিকে তাকালো। শাড়ি পড়েছে লম্বায় ৫,৩ ফর্সা শরীরে নীল শাড়ি খুব সুন্দর মানিয়েছে।তারপর সবার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেলো। সবাই নীল শাড়ি পড়েছে কিন্তু এই শাড়ি আনলো কোন সময়? ওকে ছাড়া মার্কেট ও করে চলে আসছে। মুখ ফুলিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। সব হয়েছে ওই বেয়াদব সাদা হনুমানের জন্য।
শুভ্রতা নূরের সামনে এসে বললো,” কি হয়েছে ছোটো ননদী মন খারাপ কেনো? ”
নূর অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
শুভ্রতা নূরের হাত ধরে রুম থেকে বেরিয়ে নূরের রুমে আসলো৷ নূরকে খাটে বসিয়ে আবার রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
কিছুক্ষন পর হাতে একটা নীল শাড়ি নিয়ে আসলো। পিছু পিছু মাহি ও আসলো মেকআপ এর সব জিনিস নিয়ে।
তারপর সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিলো।
মাহিঃ বাহ্ নূর তোকে তো একদম ছোটো মনে হয় না। খুব সুন্দর লাগছে চল কয়েকটা সেলফি তুলি। ফেসবুকে পোস্ট করমু।তখনি হৈচৈ করে সবাই এসে নূরের রুমে ঢুকলো।
রিয়াঃ নূর রে আমার যদি ভাই থাকতো তোরে ঠিক ভাবি বানিয়ে নিতাম। কতো সুন্দর লাগতাছে। তোর থেকে একটু হাইট আমাকে দিয়ে দে না!!
রিয়ার কথা শুনে সবাই শব্দ করে হেঁসে উঠলো।
নূর নিজের রুমে বসে আছে। সবাই আদিবার কাছে চলে গেছে। নূরও যাবে এমন সময় দরজায় ঠকঠক আওয়াজ শুনে তাকালো।
নূরঃ দরজা খোলাই আছে।
রুদ্র দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো।, ” ভেতরে আসবো”?
নূরঃ জ্বি ভাইয়া আসেন…[এই বেটার আবার আমার রুমে কি কাজ। নাকি কালকে পায়েস এ চিনির বদলে লবন দিয়ে পায়েস খাইয়ে ছিলাম তাই এসেছে]
রুদ্র সকালের ব্যাবহারের জন্য সরি বলতে এসেছিলো।কিন্তু নূরের দিকে তাকিয়ে মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে।শাড়ি পড়েছে কিন্তু আঁচল সরে গেছে। রুদ্র রেগে বলে উঠলো,”শাড়ি পড়তে কে বলেছে..?
হঠাৎ রুদ্রের এভাবে রেগে যাওয়াই নূর বোকে বনে গেলো। ও তো রেগে যাওয়ার মতো কিছু করেনি।
নূরঃ কেনো?? বাসার সব মেয়েরাই তো শাড়ি পড়েছে।
রুদ্রঃ সবাই শাড়ি সামলাতে পারে। তাই পড়েছে।তারাতারি শাড়ি পাল্টে অন্য ড্রেস পরো।
নূরের মন চাচ্ছে রুদ্রের মাতা ফাটিয়ে দিতে।কেনো রে তোর সমস্যা কি আমি শাড়ি পড়লে।খুলবো না আমি তুই কি করবি।এখন কি কাপড় পড়তে গেলেও তোরে জিজ্ঞেস করে পড়তে হব!!।কিন্তু না এই একটা কথাও ওর মুখ দিয়ে বের হলো না।মনের কথাগুলো মনেই রেখে বলে উঠলো, ” কেনো ভাইয়া!! শাড়িতে সমস্যা কি…?
রুদ্রঃ এই, বেয়াদব মেয়ে তুমি কি আমার কথা শুনবে।নাকি অন্যকিছু করবো!!পাঁচ মিনিটে তুমি শাড়ি চেঞ্জ করে গাউন পড়ে রুম থেকে বের হবে।
নূরঃ একদম না। ভাবি সখ করে শাড়িটা পড়িয়ে দিয়েছে।আর সবাই বলেছে শাড়িতে আমাকে খুব সুন্দর লাগছে। তাহলে শুধু শুধু আপনার কথায় আমি কেনো এটা খুলতে যাবো।
রুদ্র রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললো, ” শাড়ির আঁচল ঠিক করো। আর একবার যদি চেঞ্জ করবো না শুনি। এক থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো!!”
নূর তারাতারি নিজের আঁচলের দিকে তাকালো।শাড়ির আঁচল সামনে থেকে অনেকটা সরে গেছে। ইসস কি লজ্জা!! কি লজ্জা। লজ্জায় কাচুমাচু হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম,” ঠিক আছে ভাইয়া আমি চেঞ্জ করে নিবো..”
———
বিয়ে পড়ানো অনেক আগেই শেষ। সব চেয়ে মজার বেপার হলো আবির ভাইয়ার বিয়েতে ফায়াজ স্যার ও এসেছেন। ভাইয়া কল দিয়ে এনেছে। আসার পর থেকেই নূর চোখে চোখে রাখছে। স্যার হয়তো সেটা বুঝে গেছেন। তাই নূরকে পাহাড়া দিয়ে দুই বার মাহির কাছে কথা বলতে গিয়ে ছিলো। কিন্তু বেচারার কপাল ভালো না দুইবার নূর গিয়ে মাহির পাশে দাড়িয়ে গেলো।
সেই বিকেলে এসেছে এখন রাত নয়টা বাজে। এখনো মাহির সাথে কথা বলতে পারেনি। তবে কথা বলার কম চেষ্টা করেনি।হয়তো মনে মনে নূরকে শ’খানেক বকা দেওয়া ও শেষ ফায়াজের। নূর ফায়াজের অবস্থা দেখে মনে মনে খুবি আনন্দ পাচ্ছে। আহা্ প্রিয় মানুষের আশেপাশে থেকে তার সাথে কথা না বলতে পারা এটা যে এক অসহ যন্ত্রণা।
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ছাঁদে আড্ডা দিচ্ছে।
কি আজব বিয়ে!! বিয়ের দিন বউ থাকবে লম্বা এক ঘোমটা দিয়ে খাটের মাঝখানে। স্বামী ঘরে প্রবেশ করলে ভয়ে বুক কেঁপে উঠবে, ধুকপুক করা শুরু হবে, অজানা ভয়ে শিউরে উঠবে।কিন্তু এখনে তো বউ আর জামাই সব ছাঁদে। অবশ্য ওদের কি দোষ। ওদের কে জোর করে ছাঁদে এনে বসিয়ে রেখেছে।
আবির আর আদিবা পাশা পাশি বসে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আবির আর ওর দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আদিবা।
ফায়াজ বার বার চেষ্টা করছে মাহির সাথে একটু কথা বলতে কিন্তু মাহির নজর রুদ্রের মাঝে আবদ্ধ।
রুহি খুব রেগে আছে নূরের উপর। আজ ওর কারনে সে শাড়ি পরে একটুও মজা করতে পারেনি। কোমরের জন্য ভালো করে হাঁটতেও পারছে না। খুব বেশি ব্যথা পেয়েছে কাল কে।আদি বিরক্ত হয়ে অন্য দিকে ফিরে একটা সিগারেট ধরালো। এখন এই সিগারেটের ধোঁয়া তার নিত্য দিনের সঙ্গি।
আবির বলে উঠলো, ” নূর একটা গান হয়ে যাক..”
নীল এনে নূরের হাতে গিটার দিয়ে বললো,” শুরু করেন আফা”
নীলের কথা শুনে নূরে হেসে গিটার নিলো,
“🎶কথা হবে দেখা হবে,প্রেমে প্রেমে মেলা হবে
কাছে আসা আসি আর হবে না।
চোখে চোখে কথা হবে,ঠোঁটে ঠোঁটে নাড়া দেবে
ভালোবাসা-বাসি আর হবে না।
শত রাত জাগা হবে, থালে ভাত জমা রবে
খাওয়া দাওয়া কিছু মজা হবে না।
হুট করে ফিরে এসে,লুট করে নিয়ে যাবে
এই মন ভেঙে যাবে জানো না।
আমার এই বাজে স্বভাব,কোনোদিন জাবে না
আমার এই বাজে স্বভাব,কোনোদিন যাবে না।
গান গাওয়ার মাঝেই সবার দিকে তাকালো। আদিবা মুগ্ধ হয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। ফায়াজ চোখ আবদ্ধ মাহির দিকে। মাহি আর চোখে বার বার রুদ্রের দিকে তাকাচ্ছে। রুহি মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আদি সিগারেট খাচ্ছে আর ধোঁয়া আকাশের দিকে ছাড়ছে।নীল মোবাইল রেখে নূরের দিকে তাকালো। নূর মুচকি হেসে আবার গাওয়া শুরু করলো,
ভুলভাল ভালোবাসি
কান্নায় কাছে আসি
ঘৃনা হয়ে চলে যাই থাকি না
কথা বলি একা একা,
সেধে এসে খেয়ে ছ্যাঁকা
কেনো গাল দাও আবার বুঝি না….
চলবে…..
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_২০
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
“কে আপনি?? বার বার ফোন দিচ্ছেন কেনো? সমস্যা কি!!??”
নীল কোনো কথা না বলে চোখ বন্ধ করে ফোনটা কানে চেপে ধরে আছে।
~ ফাইজলামি করেন এতো রাতে ফোন দিয়ে। কথা যখন বলবেন না তাহলে ফোন দেন কেন বার বার!! আরেক বার ফোন দিলে মোবাইলের ভিতর দিয়ে গিয়ে মেরে ভর্তা বানিয়ে আসবো। আজাইরা পাবলিক।
নীল এবারের কথাটা শুনে মুচকি হাসলো। তারপর খট করে ফোনটা কেটে দিয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। জ্বলজ্বল করে বেসে উঠেছে “হরিন” নামটি।মেয়েটার বোকা বোকা কথাগুলো মনে করে আবারো হেঁসে উঠলো নীল।তারপর সবার দিকে তাকালো।
আদিবা আর আবিরকে অনেক আগেই রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে। সত হলেও বাসর তো আর ছাঁদে সবার সামনে সারতে পারবে না। রাত ২টায় ওদের রুমে পাঠিয়েছে।
নূর কথা বলতে বলতে রেলিঙে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। নীল গেলো নূরকে ডাকতে। কিন্তু তার আগেই আদি এসে বললো, ” নীল ওকে ডাকতে হবে না। ঘুমিয়ে পড়েছে আমি নিয়ে রুমে দিয়ে আসবো।”
আদির কথা শুনে মাহির চোখ মুখ আসতে আসতে লাল হয়ে আসছে। কত বড় সাহস আবারো ওর ছোট্ট বোনটার কাছে আসার কথা কোন মুখে বলছে এই ভাই নামের নরপিশাচ!!….
আদি নূরের হাত ধরবে। মাহি কিছু বলার আগেই রুদ্র বলে উঠলো, ” আদি তোর বউ ডাকছে নিচে। তুই তোর বউয়ের কাছে যা। আমি নূরকে দিয়ে আসছি। বলেই নূরকে কোলে নিয়ে নিলো।
আদি শান্ত চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। নূর রুদ্রের শার্ট খামচে ধরেছে। আদি চোখ সরিয়ে নিলো। চোখ খুব জ্বালা করছে। আচ্ছা শুধু কি চোখ জ্বালা করছে?? ওহু বুক টাও খুব জ্বালা করছে!!
রুদ্র নূরকে নিয়ে নিচে চলে যেতেই আদি আর নীল নেমে গেলো।
মাহি চলে যাওয়ার জন্য ওঠে দাঁড়াতেই ফায়াজ এসে দাঁড়ালো মাহির সামনে।
সামনে কয়েকটা ফুল গাছ আছে। ফুল ও ফুটে আছে।সব গুলোই গোলাপ।নূরের গোলাপ খুব পছন্দ। তাই এই গাছগুলো ও নিজে যত্ন করে।
“কাল থেকে এত গুলো কল দিলাম। একটাও কল ধরলে না কেন??”
মাহি ফুল গাছ থেকে চোখ সরিয়ে বিরক্তকর দৃষ্টিতে ফায়াজের দিকে তাকালো। এই লোক কাল থেকে আজ পর্যন্ত না হলেও ১০০+কল দিয়েছে।বিরক্ত হয়ে ফোনটাই বন্ধ করে রেখেছে মাহি।
~বার বার কল কেনো দিয়েছেন?? আমার জানা মতে আপনার সাথে তো আমার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই য়ে বার বার কল দিতে হবে!”
ফায়াজঃ ওওহ আচ্ছা!! সম্পর্ক নেই তাই কল ধরবে না? এতো এতো কল দিলাম মানবতার খাতিরে ও তো একবার ধরতে পারতে।আর সম্পর্কের কথাই যখন বলছো। তুমি চাইলে সম্পর্ক হতে পারে…
মাহিঃ অনেক রাত হয়েছে ঘুমানো দরকার। সকালে আবার ভার্সিটিতে যেতে হবে।
ফায়াজঃ রুদ্র বলছিলো। তোমার নাকি একটা টিউটর ধরকার…?
মাহিঃ হুম দরকার তো ছিলো!
ফায়াজঃ তুমি চাইলে আমি তোমাকে পড়াতে পাড়ি।
মাহির মুখটা চুপসে গেলো সে তো চেয়েছে রুদ্র ওকে পড়াক। কিন্তু রুদ্র ওর জন্য অন্য জন দেখে ফেললো। আর এই বেটা তো পড়াবে ধুর আমার মুখের দিকে হা করেই তাকিয়ে থাকবে। মনে মনে কতগুলো বলে মাহি ভাবছে কি উত্তর দেওয়া যায়। ‘না’ বললে ওকে অপমান করা হবে তাই বাধ্য হয়ে বললো,” আচ্ছা ” (শুধু একবার পড়াতে আসো চান্দু দুই দিনে পালাবে। পড়ানোর সখ মিটে যাবে।)
———
আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আদিবা কে বললো ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পরতে। অনেক রাত হয়ে গেছে। কাল আবার অফিসে যেতে হবে।
আদিবা আবির কে কিছু জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলো না। আজ বিয়ে হয়েছে কাল কি অফিসে না গেলে হয় না। কিন্তু মনের কথা মনে রেখেই ওয়াশরুম ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আবির শুয়ে পরেছে। আদিবা গিয়ে আবিরের বিপরীত পাশে শুয়ে পরলো।
———
সকালে আবিরের ঘুম ভাংগে আদিবার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে। বিরক্ত হয়ে পাশ ফিরতেই চোখ আটকে গেলো আদিবার মাঝে।মিষ্টি কালার শাড়ি পরেছে,সাথে দু’হাতে ভর্তি মিষ্টি রঙের চুড়ি।চুড়ি হাতে দিয়ে মাথা আঁচড়ানোর ফলে রিনঝিন শব্দ হচ্ছে। আবির তাকাবে না তাকাবে না করেও বার বার তাকাচ্ছে।
আবির চোখ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই আবার চোখ আটকে গেলো। আদিবার হাত উঁচু করার কারনে উন্মুক্ত পেট দেখা যাচ্ছে। আবির নেশা ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।আবির নিজের মাথায় নিজে বার কয়েক বারি দিলো ওর এমন নেশা নেশা কেনো লাগছে। আজ আদিবাকে পুরাই অন্য রকম লাগছে। বউ বউ লাগছে।বউ কে তো বউ এই লাগবে আবার ভাবলো ওতো আমার বউ তাহলে এতো জড়তা কীসের!! আমি চাইলেই এখন ওকে আমার কাছে টেনে নিতে পারি।ভালোবাসায়,ভালোবাসায় রাঙিয়ে দিতে পারি। নিজের এই অদ্ভুত ভাবনা গুলোকে এক সাইডে সরিয়ে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলো।
হটাৎ দরজার ঠকঠক আওয়াজে নূর লাফিয়ে উঠলো। সে যানে রুদ্র বাদে আর কেউ ওর রুমের দরজা খোলা থাকলে পারমিশন নেয় না। রুদ্র একমাত্র ওর রুমে পারমিশন নিয়ে আসে। আজ আবার রুদ্রের কি কাজ ওর রুমে। খুব সুন্দর করে আয়নার সামনে বসে সাজগোজ করছিলো নূর। সাজগোজ প্রায় শেষ ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে, চোখে কাজল দিচ্ছিল।
~দরজা খোলা আছে…
রুদ্র নূরের রুমে ঢুকে হা করে তাকিয়ে আছে।
~কি হলো ভাইয়া এভাবে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?? কিছু বলবেন??
রুদ্র কিছু না বলে নূরের সামনে এসে দাঁড়ালো। একদম সামনে নিজের বৃদ্ধ আঙ্গুল নিয়ে ওর ঠোঁটে ছোঁয়িয়ে দিলো।
রুদ্রের হটাৎ এমন কাজে নূর একদম জমে গেছে।
ঠোঁটের আশেপাশে লেপ্টে থাকা লিপস্টিক মুছে দিয়ে রুদ্র সরে গেলো।
রুদ্রঃ এমন ভূত সাজার কারন কি??
নূরঃ ভূত!!
রুদ্রঃ হুম! আমি তো প্রথম দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম। তুমি দেখতে এমনিতেই পেত্নী, ডাইনী,পিশাচিনীদের মতো আর আজকে সেজে তো একদম ভূত হয়ে গেছো।দাঁড়াও এক মিনিট বলে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফটাফট নূরের কয়টা ছবি তুলে নিলে। আর নূর বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে। ওর কি রিয়াকশন দেওয়া উচিৎ সে বুঝতে পারছে না। ওকে অপমান করে আবার ওর ছবি নিজের মোবাইলে তুলে নিলো। কি উচ্চ লেভেলের বেয়াদব ছেলে।
নূর কিছু বলবে তার আগে রুদ্র বলে উঠলো, “যাও ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে আসো”
নূরঃ আপনি বলবেন আর আমি শুনবো ভাবলেন কিভাবে।!!?কালকে আপনার জন্য আমি কোনো মজা করতে পারিনি তাও আপনাকে কিছু বলিনি। তাই বলে আপনি আজকেও আমার আনন্দ মাটি করতে পারেন না। আজ আমি খুব সুন্দর করে সাজলাম কই একটু প্রসংশা করবেন তা না।
রুদ্রঃ তুমি কি প্রসংশা নেওয়ার জন্য সেজেগুজে বাহিরে যাচ্ছ??
নূরঃ অবশ্যই।
রুদ্রঃ চুপচাপ ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হও। আমি নিচে অপেক্ষা করছি।
নূরঃ নাআআআআআআআআ! না! আমি আজকে কলেজ যাবো না। আজ কিসের কলেজ!! বাসায় বিয়ে রেখে আমি কলেজ কি করবো!!
রুদ্রঃ বাসায় বিয়ে রেখে মানে!!?কাল তো বিয়ে হয়ে গেছে। আর বিয়েটা তোমার না। যে তুমি থাকতে হবে। তারাতারি এই সব ধুয়ে একদম নরমাল সাজে নিচে আসবে।
রুদ্র রুম থেকে বের হতেই নূরের রাগে মন চাচ্ছে সব কিছু ভেঙে চুরমার করে ফেলতে।এই লোকের সমস্যা কি? আবির ভাইয়ার মতো এই লোকের গলায় ও বউ ঝুলিয়ে দিতে হবে। না হলে শান্তিতে কিছুই করা যাবে না। এই লোকের বিয়েতে ইচ্ছে মতো সাজগোজ করে সারা বাড়ি টইটই করে ঘুরে বেড়াবো।হুম আজকেই বড় আম্মুকে বলবো উনার বিয়ের কথা।
———
আবির সকালে অফিসে চলে গেছে। ওর নাকি খুব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ পরে গেছে না গেলেই নয়। তবে কাজটা শেষ করেই বাসায় চলে আসবে।
মাহি গেলো আদিবার রুমে।
আদিবা এসে মাহিকে জড়িয়ে ধরলো।
মাহিঃ এই ছাড় বলছি। একদম ধরবি না। আমি কি তোর জামাই নাকি..?এভাবে জামাই কে ধরিস (চোখ মেরে বললো)…
আদিবাঃ না ছাড়বো না জান্স।তোকে জড়িয়ে ধরে যেই শান্তি পাই জামাই কেও মনে হয় জড়িয়ে ধরে এই শান্তি পাবো না!!
মাহিঃতুই আমার কাছে এসে যদি সব শান্তি নিয়ে নিস আমার জামাইর কি হবে!! আর কাল রাতে কি কি হয়েছে বল..? দুষ্টু হেসে…
আদিবাঃ মাহির বাচ্চা লুচু মেয়েদের মতো হাসবি না!!
মাহিঃ আরেহ্ বাহ্ তোমরা কিছু করবা সেটা দোষ না আর আমি শুনলেই দোষ হয়ে গেলো। এটাই বুঝি তোর ভালোবাসা!!
আদিবাঃ থুর!! তোর ভাই তো পুরাই নিরামিষ ভালো করে হাতটাও ধরে নি…আর অন্য কিছু…
মাহিঃ কি বলিস!! সত্যি!!!…?
আদিবা উপর নিচ মাতা দুলিয়ে বুঝালো সত্যি।
মাহিঃ আহারে ভাই না হয় নিরামিষ তুই তো আমিষ নিজে হাতটা ধরতে পারলি না…. তোদের এই নিরামিষ বাসরের গল্প শুনে আমার তো বিয়ে করার ইচ্ছে টাই চলে গেলো।
আদিবা মাহির মুখের অবস্থা দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলো। আর মাহি ওর হাসির দিকে তাকিয়ে আছে। কতদিন পর মেয়েটা এমন মন খোলে হাসছে। আদিবা নিজের হাসির শব্দে নিজেই অবাক হয়ে গেলো।
———
নূর এক গাল হেসে বললো,”থ্যানক্স ভাইয়া।”
রুদ্র চোখ ছোটো ছোটো করে তাকিয়ে আছে, ” কি বেপার ওর তো রেগে থাকার কথা। এতো সুন্দর হাসি দেওয়া হচ্ছে। মনে মনে কি খিচুড়ি পাকাচ্ছে..?এই মেয়ে!!
———
আদিবা কে ওর শাশুড়ী অনেকের সাথেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আর ইশারায় সালাম করতে বলছে।এক এক করে সবার সাথে পরিচয় হলো। সবাই খুব পছন্দ করলো আদিবা কে৷ অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে আদিবার আব্বু আম্মু কি করে?? উওরে ওর শাশুড়ী বলেছেন ওর আব্বু অনেক নাম করা উকিল ছিলো। কিন্তু একটা এক্সিডেন্টে ওর আব্বু আম্মু মারা গেছে। ওর মামা-মামী মেয়ের মতো করে ওকে বড় করেছে।
———
নূর আর ইরিন ক্লাস শেষ করে গিয়ে ক্যান্টিনে বসলো।
ইরিন কয়েকটি শাড়ির ছবি নূরের সামনে রাখলো এমন সময় ওদের সাথে এসে যোগ হলো নীল।
ইরিন নীল কে দেখেও না দেখার মতো করে নূরকে বললো,” দেখ তো কোনটা বেশি সুন্দর!!? ”
নূর কিছু বলার আগেই নীল বলে উঠলো, ” এই হরিণ এইগুলো কি তোমার বিয়ের শাড়ি নাকি..?
ইরিনঃ জ্বি ভাইয়া! নূর কোনটা সুন্দর বল তো..?
নূরঃ সব গুলোই তো সুন্দর। কিন্তু এগুলো কার জন্য..?
নীলঃ বিয়ে তে শাড়ির ছবি পাঠিয়েছে বলে এমন ধেই ধেই করে ছবি গুলো নিয়ে নেচে নেচে সবাইকে দেখানোর কি আছে??আর নূর তকে বলি তুই একবার ভাব তো এই যে তোর বেস্ট ফ্রেন্ড, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো একবার ও তকে বললো?? না। আজকে বিয়ের শাড়ির ছবি এনে তকে দেখাচ্ছে। কেমন মেয়েকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে ছিস। দিন দিন তুই ক্যারেক্টারলেস হয়ে যাচ্ছিস।শেষ পর্যন্ত আমি কি না ক্যারেক্টারলেস এর ভাই হলাম তাও বড় ভাই ছি!ছি!….
ইরিনঃ বলা শেষ আপনার!! এখন আমার সামনে থেকে যান তো প্লিজ।
নীল রেগে ফুসফুস করতে করতে বললো, ” সত্যি কথা বললে কেউ পছন্দ করে না..”
ইরিন রেগে বলে উঠলো, “নূরের বাচ্চা তোর এই ক্যারেক্টারলেস ভাইটাকে বলবি আমার সামনে থেকে যেতে!!”
———
মাহি ভার্সিটি থেকে এসে দরজায় কলিং বেল টিপ দিলো। আজকে কখনোই ভার্সিটিতে যেতো না। কিন্তু আজ পরিক্ষার কিছু নোট দিবে তাই বাধ্য হয়ে যেতে হলো।
আনিতা বেগম দরজা খোলে মাহির দিকে তাকালো তারপর সাথের ছেলেটার দিকে।
আম্মু তোমাকে বলে ছিলাম না ওই দিন রাস্তা এক্সিডেন্ট এর কথা।
আনিতা বেগম হ্যাঁ বললেন।
এই হলো মাহিন ওই দিন আমাকে যে বাঁচিয়ে ছিলো তার সাথে মাহিন ও ছিলো। আজ বাসার সামনে দেখা হয়ে জোর করে নিয়ে আসলাম।
আনিতা বেগমঃ খুব ভালো করেছিস। আসো বাবা ভেতরে আসো।
মাহিন ভদ্র ছেলের মতো সালাম দিলো।
ইতি মধ্যে মাহিন সবার সাথে ভালোই ভাব জমিয়ে ফেলেছে।
মাহি এসে বললো, ” মাহিন ভাইয়া চলেন আপনাকে আমারদের নতুন ভাবির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।”
মাহিন মাহির সাথে আদিবার রুমের সামনে দাড়িয়ে আছে।
মাহিঃ নতুন ভাবি দেখো কাকে নিয়ে এসেছি?
আদিবা মাহির মুখে ভাবি ডাক শুনে ভূত দেখার মতো পিছন ফিরলো।
আদিবা কে দেখে মাহিনের বুক কেঁপে উঠল। এটাই কি মাহির নতুন ভাবি!! না!না! এটা কিছুতেই হতে পারে না৷ হাত মুষ্টি বদ্ধ করে তাকিয়ে আছে আদিবার দিকে৷
পিছন থেকে রিয়া বলে উঠলো, ” তুহিন ভাইয়া..!!??
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।