#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১৬(রহস্য সমাধান -০১)
সব সময় মেয়ে দুটোকে নিজের মেয়ে বলে জেনেছে,
আজিজ রহমান কখনো বুঝতেই পারে না মাহিমা রহমান মেঘ আর রিমির সৎ মা,
সত্যি মাহিমা সেভাবে কখনো ব্যবহার ও করে নি।
এভাবে বড়ো হওয়া মেঘ আর রিমির।
মায়ের আদর পেয়ে,
কিন্তু বাবা মা দু’জন চাকরি করতো তাই দুই বোন দুই বোনের জান ছিল,
এভাবে দেখতে দেখতে আজ এতো দিন।
বর্তমান,
রিমির বাবার। কথা মন দিয়ে শুনছিল,
সব শুবার পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিমি,
— বাবা।
— হ্যাঁ।
— তুমি অনেক করেছো বাবা আমাদের দুই বোনের জান্য এখন আমাদের সময়।
— আমার মেয়ে দুইটা ত আমার ছেলের সমান।
— ভালোবাসি বাবা।
— আমিও আমার মেয়ে দু’টো কে ভিশন ভালোবাসি।
,
,
কোরিয়া,
–আমান বের হও তোমার অফিসের সময় হচ্ছে ত,
আমান ওয়াসরুমে গিয়েছে সেই কখন এখনো বের হবার নাম নেই,
মেঘের রাগ হচ্ছে,
— আরে তুমি কি আজ ওখানেই
থাকবে আমি বালিশ দিবো?( কিছুটা রেগে)
মেঘের রাগ শুনে আমান মাথা মুছতে মুছতে বের হয়,
— ঠিক করে গোসল ত করতে দেও,
— হ্যাঁ সময় ত তোমার ত জন্য বসে আছে,
মাথা মুছো নি কি জন্য,
আমান তার কাঁধের গামছা টা মেঘের কোমড়ে দিয়ে আমানের দিকে টান দেয় মেঘকে,
মেঘ আমানের বুকে গিয়ে পরে,
— মুছে দেও,
মেঘের অনেক কাছে গিয়ে,
— দিচ্ছি দেও,
মেঘ গামছা টা নিয়ে আমান কে মুছিয়ে দিতে শুরু করলো,
আমান অপলক দৃষ্টিতে মেঘকে দেখে চলেছে,
ভিশন সুন্দর এই মেয়েটা এই মেয়েটার প্রতিটা কাজ সুন্দর,
— নেও হয়ে গেছে,
— বাকি কাজ,
— দিচ্ছি করে,
মেঘ আমানকে কোর্ট পরিয়ে দেয়,
তার পর টাই বেঁধে দেয়,
চুল গুলো এক জন বিউটিশিয়ান ঠিক করে দেয়,
তার পর দু’জন নিচে চলে আসে,
আমান এর খাওয়া শেষ।
কিন্তু মেঘ এখনো খাচ্ছে,
— শেষ করো ভার্সিটি যাবা না।
— হু ম।
মেঘ ও খাবার শেষ করে দু’জন রওনা হয়,
আমান মেঘকে নামিয়ে দেয়।
তবে এবার মেঘের সাথে আছে ৫ জন গার্ড,
যেটা মেঘের এক দমি পছন্দ না।
কিন্তু আমানের কড়া নির্দেশ তাই কিছুই বলতেও পারছে না,
মেঘ ক্লাসে যায়,
মেহেজাবিন মেঘকে দেখে এগিয়ে আসে,
— আরে মেঘ তুমি ঠিক আছো।
আল্লাহ আমি তোমার জন্য কতো প্রে করেছি,
যদি আমানের বাসায় যাওয়া যেত ওভাবে তাহলে আমি গিয়ে তোমায় দেখে আসতাম।
আর তুমি হসপিটালে থাকা কালিন তোমার থাকা এড়িয়া তে কারোর প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল,।
— ও মেহেজাবিন আমি এখন এক দম ঠিল আছি তুমি কেমন আছো? এটা বলো।
— আমি আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি,
তোমার এই ঘটনার পর আমি ভিশন আপসেট ছিলাম
মেয়েটা এক দিনে কতো সুন্দর বন্ধু হয়ে গেছে মেঘের,
মেঘ আর মেহেজাবিন ক্লসে মন দেয়,
বাংলাদেশ,
— ম্যাম আমি আজও এটা বুঝতে পারলাম না মেঘ মেয়েটার সাথে আপনার শত্রুতা কিসের,
— ওর সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই আমার শত্রুতা আমানের সাথে,
— কিন্তু ম্যাম আমায় যদি একটু রহস্য খুলে বলতেন,
— সময়টা আমার বিয়ের সময়ের কথা,
আনার বিয়ে হবার কথা ছিল কোরিয়ার বিক্ষ্যাত বিজনেসম্যান আরিফ খানের সঙ্গে।
কিন্তু আরিফ পছন্দ করতো আমার ছোট বোন মিতুকে।
বাবা কথা বলেছিল আমার আর আরিফের,
ভেবেছিলাম বাবার কথার উপরে আরিফ মিতুকে চাইবে না৷
কিন্তু সে দিন যা ঘটেছিল তা সত্যি আমার জন্য একটা সরনিয় দিন ছিল,
অতিত,
— রাইমা বেগম (আরিফ খানের মা) আমি চাই আমার বড়ো মেয়ে মাহিমার সঙ্গে তোমার বিয়ে হোক।
— কিন্তু আমার ছেলে ত আপনার ছোট মেয়েকে ভালোবাসে,
আর ওরা দু’জন ত রিলেশন এ আছে,
— কি বলেন আপু কবে থেকে।
— আমরা কোরিয়া যাবার পর থেকেই,
আমার ছেলেটা আপনার মেয়েকে ভিশন ভালো রাখবে,
না করবেন না।
মাহিমার বাব কিছু সময় থম থেকে বলে,
— আমি আমার মেয়ের কাছে শুনে নি।
— অবশ্যই তা ত অবশ্যই।
আরিফের মা চলে যায় সে দিন,
মাহিমার বাবা সেদিন দুই বোন কে সামনে রেখে মিতুকে প্রশ্ন করেছিল মিতু বলেছিল হ্যাঁ সে আরিফ কে ভালোবাসে,
আর মাহিমার হৃদয় সেদিন ভেঙেছিল।
তার পরে যেদিন ওদের বিয়ে হলো সে দিন মাহিমার সত্যি পৃথিবী ভেঙে যাচ্ছিল।
মাহিমা আরিফ কে ছোট্ট বোনের বর হতে দেখতে কখনোই পারে না।
বিয়ের এক বছরের মাথায় মিতু আর আরিফের ঘর আলো করে জন্ম হয় আমানের,
মাহিমা তখন ও বিয়ে করে নি মাহিমা তখন ও একা,
এক বছর ধরে ছোট বোনের উপর খোব আটকে রেখেছে আর আমানের দাদা দাদির মৃত্যুর প্রস্তুতি করেছে,
আমানের বসয় তখন ৬,
আমান প্রথমবার বাংলাদেশে আসে,
বাবা মায়ের সাথে,
ওদের শুখের পরিবার দেখে সবাই হাসিখুশি ই থাকে,
সেদিন আজিজ রহমান এসেছিল ( আজিজ রহমান মাহিমা এবং মিতুর চাচাতো বোনের স্বামী মাহিমা আর মিতুর চাচতো এক মাত্র বোন ছিল মেঘের মা )
আজিজ রহমানের এক মাত্র মেয়ে মেঘ তার বয়স তখন ৩ বছর,
ছোট্ট মেঘকে নিয়ে এসেছিল,
আমান মেঘের সে দিন প্রথম দেখা হয়েছিল,
মেঘ একটা সাদা ফ্রগ পরে হাসছিল কিছু একটা নিয়ে আমান মেঘের পাশে বসে,
— কেমন আছো তুমি আমার নাম আমান ।
– – আমাল নাম মেঘ ,
— বাহ সুন্দর নাম তোমার ।
— জানু জানু মাম্মাম বলে আমি তাল ছব থেকে মিছটি বাচ্চা ।
— তাই।
–হ্যাঁ তুমাল বাসা কই,
— আমার বাসা কোরিয় তে ।
— কুলিয়া কুথাই ?
— কুলিয়া না কোরিয়া ।
— ওই ত।
সবাই সে দিন সুন্দর একটা দিন কাটালেও মাহিমার ভেতরে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন।
সবাইকে এতো হাসিখুশি সে সহ্য করতে পারছিল না সত্যি সহ্য হচ্ছিল না সবার হাসি।
বর্তমান
— ম্যাম তার পর,
— তার পরের কথা পরে হবে আমার মাথা ধরেছে আমার জন্য গরম কফি নিয়ে আসতে বল।
মাহিমা হ্যাঁ সেই অচেনা মহিলা টা মাহিমাই ছিল,
কোরিয়া,
মেঘ ভার্সিটি শেষ করে বের হলো ,
— জানো মেহেজাবিন যদি এটা বাংলাদেশ হতে তাহলে আজ তোমায় নিয়ে ফুচকা খেতাম ।
— বাহ তাই আমারো ইচ্ছে করে কিন্তু এখানে কি আর সেই কপাল আছে,।–
— হ্যাঁ কপাল ত আমাদের ১৬ আনা ই খারাপ ।
— যাক ভালোই কিন্তু কোরিয়া।
আচ্ছা আমার উনি চলে আসছে আমি যাই ।
— আচ্ছা বাই ,
মেঘ মেহেজাবিন কে বিদায় দিয়ে চলে আসে ,
–কেমন কাটলো তোমার দিন ।
মেঘ সিট বেল্ট দিতে দিতে আমান কে প্রশ্ন করে ,
কিন্তু আমান মেঘকে কোন উত্তর দেয় না ,
আমান কে উত্তর না দিতে দেখে মেঘ বেশ অবাক হয় ।
— কিছু হয়েছে কি ?
— না ( গোমড়া মুখে )
মেঘ চুপ হয়ে যায় ।
আমান ত এমন কখনো করে না । ।
#চলবে