কল্পনায় হলেও শুধু আমারি থেকো💖 পর্ব ৯

#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_০৯

–প্রথম দিন হয়ত একটু সমস্যা হবে কিন্তু এখানে তোমায় নিজের জন্য নাম গড়তে হবে বুঝতে পেরেছো।
আমান মেঘের হাত ধরে বলে,
মেঘ হেসে সম্মতি জানায়।
–আর হ্যাঁ শুনো সব সময় মাক্স পরে থাকবে না হলে হয়ত,
আমনের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে মেঘ বলল
–হয়ত কোন সমস্যা হতে পারে তাই ত।
–হ্যাঁ ( আমান হেঁসে )
–ঠিক আছে আমি সামলে চলবো সব সময় ইনশাআল্লাহ সমস্যা হবে না।
–আচ্ছা ঠিক আছে,
ভেতরে গিয়ে বাম দিকে দুই তালায় তোমার ডিপার্টমেন্ট ওকে।
–ওকে,
আমান মেঘের কপালে চুমু দিয়ে মেঘকে নামিয়ে দেয়।
মেঘ ভেতরে চলে আসে,
আমানে কথা মতো ভেতরে এসে বামে গিয়ে সোজা দুই তালায় চলে যায় মেঘ,
সেখানে তার ক্লাসে চলে যায়।
সবাই অনেক সুন্দর শ্রিঙ্খল।
সবাই ভিশন সুন্দর ভাবে নিজের কাজ করছে,
মেঘ গিয়ে একটা সিটে বসে পরে,
ক্লাসের মাঝে প্রোফেসর প্রায় তাদের মাতৃভাষায় কথা বলছিল যে গুলো মেঘ সত্যি বুঝতে পারে নি ঠিক কি বলছিল তারা।
কিন্তু তাও সে পুরোটা ক্লাসে মনোযোগ স্থির করেছে।
প্রথম ক্লাস শেষ হতে মেঘের পাশে একটা মেয়ে এসে বসে,
–তুমি বাংলাদেশি? ( মেয়েটা )
–হ্যাঁ তুমিও কি বাংলাদেশি? ( মেঘ )
-হ্যাঁ বেশ ভালো হলো আমি এখানে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না জাস্ট কিছুই না।
তোমায় পেয়ে শস্তি হচ্ছে।
এখানে কেউ বাংলা বুঝে না।
আর ইংরেজিতে আমি আমার মনের ভাষা ভালো করে ব্যাক্ত করতে পারি না। ( মেয়েটা)
— আহা রে আমারো সেই একি সমস্যা।
–কই তুমি ত বেশ ভালোই পারো।
–কই থেকে দেখলে?
–আমি ত ওই জায়গায় বসে ছিলাম।
তোমায় ফলো করছিলাম এখানের সবার থেকে তুমি বেতিক্রম। ( মেয়েটা )
–ও মা তাই। ( মেঘ)
–হ্যাঁ সবাই সুন্দর এখানে কিন্তু তুমি একটু বেশি সুন্দর। ( মেয়েটা )
–হ্যাঁ তুমিও। ( মেঘ )
–আয় পাম দিও না। ( মেয়েটা )
–পাম কেন দিবো? ( মেঘ )
— তুমি বিবাহিত? ( মেয়েটা )
–কেন বলো ত? ( মেঘ )
–না এই যে তোমার দুই হাতে চুড়ি।
সাধারণত বাংলাদেশি মেয়েরা বিয়ের পর দুই হাতে চুড়ি পরে।
মেঘ খেয়াল করে দেখলো যে দিন ওদের বিয়ে হয়েছিল সে দিন থেকেই দুইটা সোনার চুড়ি তার হাতে সব সময়।
মেঘ মুচকি হেঁসে বলল,
–হ্যাঁ।
–ও তোমার বর তোমায় এখানে পড়াশোনা করতে আসতে দিলো?
–কেন দিবে না।
–না মানে বিয়ের পর তুমি এক জায়গায় তোমার বর এক জায়গায়।
–আমি ওর সাথেই থাকি আমার হাসবেন্ড সাউথ কোরিয়ায় থাকেন।
মানে তিনি এখানের নগরীক।
–ও মা কি বলো তাই।
–হ্যাঁ।
–নাম কি তোমার হাসবেন্ড এর?
–আমান খান।
–আমান খান!
–হ্যাঁ।
–এই এক মিনিট এটা ওই বিজনেসম্যান আমান নয়তো?
–হ্যাঁ এটা সেই।
–আল্লাহ কি বলো (মেয়েটা চিল্লিয়ে)
–আস্তে বলো
( মেঘ ভয় পেয়ে )
–ও সরি।
–তুমি মেসেস খান.?
–হ্যাঁ।
–আল্লাহ তোমার কি কপাল আমার ক্রাশ তোমার বর।
মেঘ কিছুটা মেয়েটার দিকে আড় চোখে তাকায়।
–সত্যি কি কপাল তোমার।
–তোমার নাম কি?
–মেহেজাবিন আরফা।
–ওহ মেহেজাবিন সুন্দর নাম
–আর তোমার নাম?
–জান্নাতুল মেঘ।
–ওহ হ্যাঁ তোমায় দেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু তোমাদের বিয়ের খবরে এতোই কষ্ট পেয়েছিলাম যে তোমায় দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল না।
আর এখন ত তুমি মাস্কে আছো।
–হুম।
–মেঘ একটা কথা বলব।
—বলো।
–আমি অনেক কথা বলি তাইনা?
মেঘ এবার হেসে দিলো মেহেজাবিন এর কথায়।
–তুমি অনেক মিষ্টি মেহেজাবিন।
–আহা তাই।
–হ্যাঁ এক দম।
–ত চলো ক্লাস ত শেষ আমরা যাই।
–হুম চলো।
মেহেজাবিন আর মেঘ বেরিয়ে আসে,
বাইরে আসতে মেঘের জন্য আমানের ড্রাইভার কে অপেক্ষা করতে দেখে মেঘ।
মেঘ মেহেজাবিন কে বিদায় জানিয়ে চলে আসে,
গাড়ি সোজা তাদের বাসায় চলে আসে,
মেঘ কাপড় ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়,
,
,
,
দুপুর ২ টা,
আমান বাসায় চলে আসে,
এসে ফ্রেশ হয়ে মেঘকে নিয়ে খেতে বসে,
দু’জন খাবার শেষ করে রুমে আসে,
–মেঘ।
–হুম।
–প্রথম দিন কেমন কাটালে?
–খুবই সুন্দর।
–আচ্ছা কি কি করলে,
মেঘের হাত ধরে আমানের কাছে বসিয়ে মেঘের কোমড় জড়িয়ে ধরে আমান।
মেঘ একটু কেঁপে ওঠে,
আমান মেঘের কানের কাছে ফু দেয়,
–আআ।
–কি।
বলো কি কি করেছো

–আজ একটা মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে মেহেজাবিন নাম।
মেয়েটাও বাংলাদেশি।
বেশ মিষ্টি।
-;আচ্ছা তার পর।
মেঘের কোমড়ে স্লাইড করতে করতে,
মেঘ এবার ফ্রিজ হয়ে গেছে আমানের কাজে,
কি করছে এই লোক।
মেঘের হাত পা কাপছে,
আমান মেঘকে টান দিয়ে নিজের নিচে ফেলে,
–হুম ত বলো আমায় ভালো লাগে না।
–ইয়ে মানে,
–কিসের মানে।
মেঘের অনেক কাছে গিয়ে।
আমানেী নিশ্বাস মেঘের উপর পরছে,
মেঘ শিউরে উঠছে,
ভেতরে একটা শীতল হাওয়া বয়ে চলেছে বারে বার।
অনুভুতি গুলোর নাম সত্যি মেঘের জানা নেই।
আমান মেঘের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,
–একটা প্রিন্সেস হলে মন্দ হয়না বলো
,
মেঘ চোখ বন্ধ করে ফেলে,
,
,
,
বাংলাদেশ,
রিমি পরিক্ষার জন্য পিপারেশন নিচ্ছে।
বেশ কিছু পড়া বাকি রয়েছে এখনো।
ইচ্ছে না থাকা সত্তেও পড়ালেখা করছে এক নাগাত।
একেই বলে স্টুডেন্ট লাইফ।
তামা তামা বানিয়ে ছাড়বে এক দম।
রিমির ভিশন ঝিম ঝিম ধরেছে,
এই মুহুর্তে একটা চা লাগবে লাল চা,
–মা৷
ও মা।
মা আম্মু কোথায় তুমি আছো কি ওদিকে,
মা।
রিমি বেশ অনেক ক্ষন মাহিমা রহমান কে শব্দ দেয় কিন্তু বিপরীতে কোন সারা না পেয়ে উঠে আসে,
ড্রইং রুমে আসতে দেখতে পায়।
মাহিমা বেগম বাইরে থেকে আসছে,
–কি গো মা কোথায় গেছিলা?
–এই একটু সবজি কিনতে।
–কাল না গেলে আর সবজি কিনতে গেলে সবজি কই?
–তোকে এতো কৈফিয়ত কেন দিবো আমি।
গিয়ে পড়তে বস।
রিমি অবাক হয়।। সামান্য একটা প্রশ্নের জন্য মা এমন ব্যবহার কেন করলো

আর রিমির কথায় ত যুক্তি ছিল তাহলে।
রিমি ওতো না ভেবে নিজেই একটা চা বানিয়ে নিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।
,
মাহিমা রহমান রুমে ঢুকতে ঢুকতে বক বক করছেন,
–মেয়ে হয়েছে কথায় কথায় প্রশ্ন কথায় কথায় প্রশ্ন।। ওকে কি আদও আমি জন্ম দিয়েছিলম।
সব গুলো বাপের সভাব পেয়েছে।
আমার ত কোন ইচ্ছে অনইচ্ছে নেই।
রিমি পড়ার ফাঁকে মায়ের কন্ঠ পেয়ে চা টা হাত থেকে রেখে মায়ের রুমে যায়।
মাকে এমন রাগতে দেখে সত্যি অবাক রিমি,
–মা তুমি এতো রেগেছো কেন?
আমি ত তেমন কিছু প্রশ্ন করি নি।
আর প্রশ্ন করলাম আমি তুমি বাবাকে গালি দিচ্ছো কেন?
–রিমি তুই ঘরে যা আমার মাথা এমনি গরম তোকে মারবো কিন্তু আমি।
রিমি যেন আকাশ থেকে পরলো

হয়েছে টা কি মাহিমা বেগমের,
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here