#কহিনুর
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৭
অজানা উত্তেজনাতে কাঁপছে অধরা। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন আর আতঙ্ক। কহিনুর অভিশাপ কি আশির্বাদ আল্লাহ্ ভালো জানে।অধরা একদমে ডাইরির কয়েক পৃষ্ঠা পড়া শেষ করে পরবর্তী পৃষ্ঠা উল্টে সেখান থেকে শুরু করলো,
” অধরার মধ্যে আমি কখনও অদ্ভুত কিছু দেখিনি। স্বপ্ন তো স্বপ্নই হয়। শয়তানের ধোকা ছাড়া কিছু না। আমি সামান্য কারণে আমার বাচ্চা মেয়েটার জীবন নষ্ট করতে পারিনা। আমার একমাত্র মেয়ে যার মুখ দেখে আমার শুভ সকাল শুরু হয়। পারবোনা তাঁর জীবনটা এভাবে নষ্ট করতে। আমি চাই আমার মেয়েটা পড়াশোনা শিখুক। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজের ইচ্ছেতে কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করুক। এতেই আমার শান্তি। কিন্তু এরকম কিছু হলো না। বারবার দাদিজানকে দেখলাম। সেই এক কথা। আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠলাম। এতো বছর পরে বাবার খোঁজ নিলাম। ভেবেছিলাম বাংলাদেশ ফিরে গিয়ে উনার কাছ শুনবো এই পাথরের অভিশাপ কিভাবে কাটানো যাবে। কিন্তু পারলাম না। বাবা মারা গেলেন। আমাদের বিশাল সম্পত্তি ততদিনে সব মামা আর মামাতো ভাইয়ের দখলে। মা ওদের সঙ্গেই থাকেন। বাবা মারা যাওয়ার আগে আমাকে চিঠি লিখে গেলেন। হাতে পেলাম দুদিন পরে। বাবা চিঠিতে বারবার ক্ষমা চেয়েছেন। যেই সম্পত্তির জন্য উনি নিজের মায়ের প্রান বলি দিলেন সেই সম্পদ এখন পরের মানুষ লুটপাট করছে। মায়ের ভালোবাসা পেয়েও উনি হারিয়েছেন। একমাত্র ছেলে বাড়ি ছাড়া হওয়ার অপরাধে আমার মা,বাবার সঙ্গে কথা বলতেন না। শেষ বয়সে এসে উনি নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত। পাথরটা যে আমার কাছে এটা উনি জানেন। পাথরটার সামনে যেনো আমি কোনো আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ না করি হুশিয়ার করেছেন। কিন্তু আমি যে ভূল করেই ফেলেছি। পাথরটা উনি কোনো নদীতে ফেলে দিতে বলেছিলেন। লোকের হাতে পড়লে ঝামেলা হবে। ওই পাথরটার জন্য অনেকেই মুখিয়ে আছে। বাবার চিঠি পড়ে মেয়ের বিয়ে নিয়ে তোড়জোড় শুরু করলাম। একদিন ভালো পরিবার পেয়ে বিয়েও দিলাম। কিন্তু স্বপ্নের থেকে রক্ষা পেলাম না। দাদিজানের জায়গাই আমি অধরাকে দেখা শুরু করেছি। মেয়েটা বারবার বলছে বাবা আমাকে বলি হতে দিও না। তুমি না দাদিজানকে কথা দিয়েছিলে আমাকে রক্ষা করবে তবে কেনো করছো না? ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বাবা। আমার কহিনুরের র*ক্তে কহিনুরের শক্তি ফিরিয়ে নিবে।
এই পযর্ন্তই লেখা ছিল ডাইরিতে। অধরার চোখে পানির ধাঁরা নেমে আসলো। বাবা ওর জন্য কতটা চিন্তিত ছিল বোঝা যাচ্ছে। এই কাহিনী শুরু হয়েছিল বহুকাল আগে থেকে কিন্তু এই বাড়ির সঙ্গে ওই পাথরের কি সম্পর্ক আছে বুঝতে পারলো না। আরমান ফারুকী জেনে বুঝে ওকে এই বাড়িতে এনেছে এটা পরিস্কার। মস্তিষ্ক কাজ করছে ওর। নিজের সঙ্গে বাচ্চাটার জীবনের ঝুঁকি আছে বুঝতে অসুবিধা হলো না। এই বাচ্চাটাকে ওরা মেরে ফেলবে। অধরার শরীর কাঁপছে। কিভাবে রক্ষা করবে নিজের সন্তানকে? সবাই যে স্বার্থপর। শাশুড়ি মাকে ও হাজারটা ধন্যবাদ দিলো। এই বাড়িতে থাকা ওর চলবে না। এই বাড়ির রহস্য ওর পিছনে ছাড়বে না মনে হচ্ছে। অধরা দ্রুত ডাইরি লুকিয়ে ফেলল। হাতে এখনো সময় আছে। ভাবতে হবে।
☆☆☆☆☆☆
বোবা হিসেবে অটিস্টিক স্কুল কলেজে পড়ার কথা ছিল মারিয়া ফারুকীর কিন্তু জুবায়ের কখনও চায়নি ছোট বোনটাকে এভাবে আলাদাভাবে মানুষ করতে। ও নিজ দ্বায়ীত্বে বোনটাকে নরমাল ছেলেমেয়েদের সঙ্গেই মানুষ করেছে। বোনটাকে ও খুব স্নেহ করে। সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করে। মেয়েটার বুদ্ধিমত্তাটা সাধারণ মেয়েদের মতো না। সহসা সে রাগে না। রাগলেও কাঁদে না। মন খারাপ বিষয়টা একদম এড়িয়ে চলে। জুবায়ের প্রতিদিন বোনকে ইউনিভার্সিটির গেটে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যায়। ক্লাস শেষে বোনকে নিতে আসে। কখনও এর এদিক ওদিক হয়না। আজও ওর ভুল হয়নি। বোনকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। মারিয়া মাথায় মাফলার চাপিয়ে চুপচাপ ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেলো। ক্লাসের সামনে ওর সহপাঠীরা জড় হয়েছে। ওকে নিয়ে আলোচনা করছে। কেউ জানেনা আধরা কথা বলতে জানেনা। ওরা ভেবেছে মেয়েটা ইচ্ছে করে সবাইকে অপমান করছে। ক্লাসে যাওয়ার আগে সবাই মিলে ওকে আচ্ছা করে কথা শুনিয়ে দিলো। মারিয়া ঠোঁটে হাসি রেখে সবাইকে দেখেছে। চুপচাপ ক্লাস করে যখন বেরিয়ে আসবে ঠিক তখনই পাশ থেকে একটা ছেলে এসে ওর সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো। ছেলেটার চোখেমুখে বিস্ময়। মারিয়া ইশারা করলো কি চাই। ছেলেটা ভ্রু কুচকে বলল,
> কথা বলতে পারো না কিন্তু শুনতে নিশ্চয়ই পারো?
মারিয়া চমকে উঠলো। এই সত্যিটা জুবায়ের ছাড়া কেউ জানেনা। কিন্তু এই ছেলেটা জানলো কিভাবে?
মারিয়া থমকে গিয়ে আবারও হাটতে শুরু করলো। ছেলেটা দমে গেলো না। দ্রুত ওর পিছু নিয়ে বলল,
> ভয় পাচ্ছ তুমি? আমি তোমার ক্ষতি করবো না। আমি জানি তুমি শুনতে পাও। আমি দেখেছি কেউ ডাকলে তুমি সেদিকে তাঁকাও। উচ্চ শব্দ হলে কানে হাত রেখে প্রতিরক্ষা করো। ঠিক বলছি না! বলো তুমি?
ছেলেটা হড়বড় করে কথা বলে চলেছে। মারিয়া দৌড়ে গেলো গেটের দিকে। ছেলেটাও কম যায়না ওর পেছনে ছুটছে। জুবায়ের বোনকে নিতে এসেছিল হঠাৎ ওকে দৌড়াতে দেখে হুট করে গাড়ি থেকে নেমে নিজেও এগিয়ে গেলো। বোনের হাত ধরে পেছনে তাঁকিয়ে ভ্রু কুচকে বলল,
> কি চাই!ওকে বিরক্ত করছেন কেনো?
ছেলেটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। কোনো রকমে ওষ্ঠে হাসি এনে বলল,
> সরি আমি ওর সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলাম। ও অযথাই আমাকে ভয় পাচ্ছে। বন্ধুত্ব করতে চাইলাম। আসলে ওতো একা থাকে।
জুবায়ের মুখটা কঠিন করে বলল,
> ওর থেকে দূরে থাকবেন। নিজের জন্য ভালো হবে। আমার বোন কথা বলতে পারে না। বন্ধুত্ব করতে চাইলে অন্যদের সঙ্গে করুন।
জুবায়ের আর অপেক্ষা করলো না। দ্রুত ওকে গাড়িতে তুলে বেরিয়ে আসলো। দিন যাচ্ছে সময়টা কঠিন হচ্ছে। সুলতান বাড়ির মেয়েদের জন্য যে ভালোবাসা বিয়ে বা সংসার করা ভাগ্যে নেই। ওরা যেতেই ছেলেটা চোখ বন্ধ করলো। এই মারিয়া ফারুকীকে ওর চাই। যেভাবেই হোক চাই।
☆☆☆☆☆☆☆
ডাইরি পড়ার পরে অধরার দুবার বমি হয়েছে। অতিরিক্ত টেনশনে পেশার কমে গেছে। অশান্তি লাগছে। শরীর বেশ দুর্বল। খেতে ইচ্ছে না হলেও ও খাওয়া বন্ধ করছে না। এই মূহুর্তে শরীর ঠিক রাখা জরুরি। সারাদিন জুবায়ের এই রুমে আসেনি। যখনই আসে তান্ডব করে যায়। অধরা জানে লোকটা না আসলেও ওর উপরে নজর ঠিকই রাখছে। ওর মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে আয়নাটা লাথি দিয়ে ভেঙে দিতে। এই বাড়ি থেকে যাওয়ার দিন ও এই মহান কাজটা ঠিকই করে যাবে। কথাগুলো ভেবে ও বিছানা থেকে উঠে পড়লো। ঘোমটা টেনে মুখ ঢেকে নিয়ে বের হলো। এই বাড়িতে রাত হলে আধার নেমে আসে। আলোর ব্যবহার যদিও এই বাড়িতে খুব কম। এরা কিভাবে এই অবছা আলোতে থাকতে পারে আল্লাহ্ ভালো জানে। অধরা সেদিনের সেই যুবকের খোঁজ করতে নেমেছে। পাশের রুমে জুবায়ের ঘুমিয়ে আছে। অধরা উঁকি দিয়ে দেখে নিলো। ছেলেটা নিচের রুমে ছিল ও সেদিকেই এগিয়ে গেলো। চুপচাপ রুমে ঢুকে পড়লো। কিন্তু আজ এখানে কেউ নেই। নিস্তব্ধ লাগছে। অধরা আশেপাশে তাঁকিয়ে দেখলো। মাঝারি রুম মাঝখানে বড়সড় একটা খাট। দেয়ালের সঙ্গে আলমারিটা লটকানো আছে। রুমটাতে কোনো বেলকনি নেই। অধরা হতাশ হয়ে পড়লো। ফিরে আসতে চাইলো কিন্তু হঠাৎ আলমারির মধ্যে খুট করে শব্দ হতেই ফিরে আসলো। দ্রুত আলমারির দরজা খুলে হতবাক। এখানে আরেকটা দরজা আছে। ও দ্রুত দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো। নিচের দিকে সিঁড়ি। অধরা চুপিচুপি নেমে পড়লো। বেশ কিছু সিঁড়ি পার করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলো। এখানে উপরের মতো পাশাপাপাশি তিনটা রুম। রুমে কোন জানালা নেই। অধরা একটা রুমে ঢুকে পড়লো। বিশাল বড় রুম। চারদিকে দামিদামি আসবাবপত্রের ছড়াছড়ি। এখানে কেউ থাকে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। অধরার গা ছমছম করছে। ও আশপাশ যখন গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছিল হঠাৎ ওর কাধে কারো নিশ্বাস পড়লো। অধরা চমকে উঠে পেছনে তাকিয়ে অবাক হলো। সেদিনের সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে। অধরা ভয়ে কাঁপছে। ছেলেটার মধ্যে কোনো বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল,
> এখানে কি তোমার? রুমে যাও।
অধরা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
> কে আপনি?
ওর প্রশ্ন শুনে ছেলেটা হয়তো মজা পেলো। ওষ্ঠে হাসি এনে বলল,
>কেনো চিনতে অসুবিধা হচ্ছে? আমি সুলতান জুবায়ের ফারুকী,তোমার স্বামী।
অধরা বিরক্ত হলো। জুবায়েরের চালচলন ওর খুব ভালো করে রপ্ত আছে। জুবায়ের কখনও এমন শান্ত থাকে না। অধরার কপালে ভাজ পড়লো। মুখটা কঠিন হয়ে আসলো। রাগে দাঁত চেপে বলল,
> মিথ্যা বলার একটা লিমিট থাকে। আমি জানি আপনি জুবায়ের ফারুকী না তাই ভনিতা রেখে নিজের ফর্মে আসুন। বলুন কে আপনি? এভাবে লুকিয়ে চুরিয়ে থাকার মানে কি? চারদিকে এতো রহস্য ছড়িয়ে কি প্রমাণ করছেন আপনারা?
ছেলেটা ঘাবড়ালো না। প্রাণখুলে হাসলো। ওর মধ্যে না আছে উত্তেজনা আর না আছে সত্যি প্রকাশের ভয়। কোনরকম হাসি থামিয়ে অধরার চোখে দৃষ্টি রেখে বলল,
> মনে আছে সেই তুষারপাতের রাতের কথা? তুমি বন্দী হয়ে আটকে ছিলে নির্জন রাস্তায়। তোমার গায়ে ছিল সাদা শুভ্র পোশাক। আধার কালো রাত্রীর বুক চিরে মনে হয়েছিল তুষারের উপরে কোনো পরি নেমে এসেছিল। আমার হার্ট ধুকপুক করছিল। ভেবেছিলাম একটু ছুয়ে দেখি। কিন্তু পারলাম না। মায়ায় জড়ানো যে আমার জন্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তোমাকে সাহায্য করেছিলাম। মনে আছে?
অধরা এবার ঢোক গিলল। এসেছিল এক রহস্য ঘাটতে এখানে এসে আরেক ঝামেলায় জড়িয়ে গেলো। নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলল,
> কবে কোথায় কি হয়েছে সেসব আমার মনে নেই। দয়াকরে সেসব এখন টানবেন না। আমি শুনতে ইচ্ছুক না। তাছাড়া আমি আপনার ভাইয়ের স্ত্রী। আশাকরি সম্মান করবেন।
অধরার করা শুনলে ছেলেটা আবারও হাসলো। বিড়বিড় করলো” বাঘিনী”। অধরার ভয় করছে কিন্তু প্রকাশ করছে না। নির্জন এই কক্ষে শুধু একটাই ভরসা। আর যাইহোক এই বাড়ির কেউ ওর ক্ষতি করবে না। এখনো সেই সময় আসেনি। ছেলেটা সোফায় গিয়ে বসতে বসতে বলল,
> অনুমতি থাকলে তোমাকে আমার করতে এক সেকেন্ডও লাগতো না। আফসোস তুমি আমারই ভাইয়ের স্ত্রী। বিষয়টা খুব জঘন্য তাই না? একই জঠরে জন্ম নিয়েও ও কতসুন্দর জীবনযাপন করছে অথচ আমি এই অন্ধকারে সঙ্গী বিহীন। সময় আমারও আসবে। আচ্ছা ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ের অনুমতি আছে তো তাই না?
অধরা জ্বলে উঠলো লোকটার এরকম জঘন্য কথাবার্তা শুনে। ছিঃ এটা কি মানুষ। জুবায়ের খারাপ হোক কিন্তু এতটা জঘন্য না। অধরা চোখমুখ কঠিন করে বলল,
> তাঁর আগে জেনো আমার মৃত্যু হয়। দরকার নেই আপনার পরিচয় জানার। আপনি যে কতটা জঘন্য যেটা বুঝতে আমার বাকি নেই। জুবায়েরের দৃষ্টি চনচল,বদ মেজাজী তবে আপনার মতো ঘৃণ্য না।
> তাই নাকি? কিন্তু ও যে তোমার সঙ্গে এতবড় বিশ্বাসঘাতকতা করলো তাঁর বেলা?
> চোখ বন্ধ করে মানুষ বিষ খেয়ে নিতেও দ্বিধা করে না। আমার তো মনে হচ্ছে ওকে দিয়ে আপনারা করিয়ে নিচ্ছেন। প্রয়োজন শেষে ওকে ছুড়ে ফেলতে সময় নিবেন না। যেমন আপনার বাবা করেছিলেন। উনি জমজ ভাইকে সরিয়ে তাঁর জায়গাই নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন। দারুন বুদ্ধি কিন্তু।
ছেলেটা এবার চোখ শক্ত করে নিলো। এই মেয়েটা অনেক কিছু জেনে ফেলেছে। এতোটা জানার দরকার ছিল না। ও এতক্ষণ মেয়েটাকে মূল বিষয় থেকে সরিয়ে নিতে আজেবাজে বকেছে কিন্তু না মেয়েটার লক্ষ্য ঠিক আছে। ওর চোখ দুটো লাল হয়ে উঠলো। ঝঙ্কার দিয়ে বলল,
> জুবায়ের রুমে অপেক্ষা করছে। সময় মতো না পৌঁছনোর ফল আশাকরি ভালো হবে না। শুনো বড় মায়ের কক্ষে আর কখনও যাবে না। এতো কৌতূহল ভালো না। আমি তোমাকে রক্ষা করবো প্রমিজ করছি। এখন যাও।
অধরা চুপচাপ চলে আসলো। এই লোকটার সামনে ও দ্বিতীয়বার আর পড়তে চাই না। খারাপ অভদ্র লোক। রুমে গিয়ে আবার জুবায়েরের ঝামেলা। অধরা দৌড়ে উপরে আসলো। ভাবলো জুবায়ের যদি জানতে পারে তবে তান্ডব লাগিয়ে দিবে।
চলবে