#জলপদ্ম
#কুরআতুল_আয়েন
|৩৩|
কাল রিমঝিমদের রাশিয়ায় চলে যাওয়ার সবকিছুই কনফার্ম হয়ে গিয়েছে।কথাটা শুনে রিমঝিমের অস্থিরতা কমার বদলে বরং বেড়ে গেলো।এর মাঝে মাঝখানে একটা দিন কেটে গিয়েছে।এই একটা দিন রিমঝিমের কাছে হাজার হাজার বছরের মতো মনে হয়েছে।সময় যেনো যাচ্ছিলোই না।আর,না পারছিলো কোনো কিছু করতে।রক্তিমও হাসপাতাল থেকে বাসায় আসে নি।বিভিন্ন টেস্ট করতে হচ্ছে তাকে।তাই,নিঃশব্দে নিজের রুমেই কেটেছে রিমঝিমের সময়।তবে,মা’র মুখে চলে যাওয়ার কথা শুনে রিমঝিমের হাত পা অসাড় হয়ে আসার উপক্রম।ইচ্ছে করছে এক ছুটে রক্তিমের কাছে চলে যেতে।সেলিনা আহমেদ একপলক তাকালেন রিমঝিমের দিকে।পরমুহূর্তেই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আলমারির দিকে এগিয়ে গেলেন।আলমারি থেকে ব্যাগ টা নামিয়ে এক এক করে রিমঝিমের কাপড়চোপড় গুলো গুছাতে লাগলেন।রিমঝিম ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে কিন্তু কিছু বলতে গিয়েও যেনো পারছে না।এদিকে একটু পর পর বমির বেগও আসছে।সেলিনা আহমেদ কড়াচোখের চাহনি নিক্ষেপ করে বললেন,’এভাবে তাকিয়েও কোনো লাভ হবে না।শুধু মনে রাখিস আমরা তোর ভালো চাই।ভালোর জন্যই করছি এসব।বাবা-মা কখনো সন্তানের খারাপ চাইতে পারে না।’রিমঝিম মনোযোগ দিয়ে কথা টা শুনলো।মা’র কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চেয়েছিলো,আমিও চাই না আমার সন্তানের কোনো ক্ষতি হোক।কিন্তু,তা আর বলা হয়ে উঠলো না।মুখ খোলার আগেই বমি করে দিলো।রিমঝিমকে বমি করতে দেখে সেলিনা আহমেদ কাপড় রেখে দৌড়ে আসলেন।রিমঝিমকে ধরে রাখলেন কিছুক্ষণ শক্ত করে।এই সময় টায় এইরকম হয়েই থাকে।তবে,রিমঝিম একদফা বমি করে হাঁপিয়ে উঠেছে।ক্লান্ত হয়ে ঢলে পড়লো মা’র বুকে।সেলিনা আহমেদ রিমঝিমকে আগলে নিতেই রিমঝিম ডুকরে কেঁদে উঠলো।জড়িয়ে ধরে ক্রন্দনরত গলায় বললো,’মা!আমাকে এই শাস্তি দিও না।আমি রক্তিম ভাইকে ভালোবাসি।আমাদের সন্তানকে নিয়ে আমরা একসাথে থাকতে চাই।প্লিজ মা!একটু বুঝার চেষ্টা করো।’সেলিনা আহমেদ চোখ,মুখ শক্ত করে নিলেন।এমতাবস্থায় বললেন,’এইসব কথাবার্তা যেনো তোর মুখ থেকে আর না শুনি।নিজের মনকে শক্ত কর।প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও পরে ঠিক হয়ে যাবি।আবার আগের মতো লাইফ লিড করতে পারবি।’রিমঝিম আরো কিছু বলতে নিলেই সেলিনা আহমেদ থামিয়ে দিয়ে শক্ত গলায় পুনরায় বললেন,
‘এইসব নিয়ে আর একটা কথাও বলবি না।জামা নিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আয়।ঠিকমতো তো খাওয়াদাওয়াও করছিস না।আমি খাবার নিয়ে আসছি তুই ফ্রেশ হতে যা।আর,সাবধান রক্তিমের কথা আর মাথায় আনার চেষ্টাও করবি না।’
কথাটা বলেই সেলিনা আহমেদ রুম থেকে বেরিয়ে পড়লেন।সেলিনা আহমেদ যেতেই রিমঝিম দৌড়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো।ঝর্ণার ট্যাপ টা ছেড়ে দিয়ে দেয়াল ঘেঁষে বসে পড়লো।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।হঠাৎ শরীরে কাঁপন ধরতেই রিমঝিম নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিলো।তবে,উঠার সাহস পাচ্ছে না।দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে বিরবির করে বলতে লাগলো,
‘জীবন এতো অদ্ভুত কেনো।যখন যেটা খুব করে চাই তখন সেটা কিছুতেই নিজের কাছে ধরা দেয় না বা সঙ্গ দেয় না।তিলে তিলে কষ্ট পেতে হয়।পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও আজকে কতোটা দূরে থাকতে হচ্ছে।আর,যখন ভালোবাসার মানুষ টা কাছে ছিলো তখন তাকে কদর করতে বুঝি নি।অবহেলা করে দূরে সরিয়ে দিয়েছি।সব ভুল আমার রক্তিম ভাই।আমি রাগ আর জেদের বশে আপনাকে অবহেলা করেছিলাম।কতটা ভুল করেছি আমি তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছি।আমি আপনার থেকে দূরে যেতে চাই না রক্তিম ভাই।’
—
হাসপাতাল থেকে আজকে রক্তিম বাসায় ফিরবে।সবগুলো টেস্ট করিয়েছে।দু’তিনের মধ্যে এগুলোর রিপোর্ট আসবে।তবে,এখন মাথা ব্যথা কম আছে।কিন্তু,খেতে গেলেই বমি হয়।রক্তিম ভেবে পায় না,তার সাথে কি হচ্ছে এসব।একবার মাথা ব্যথা তো আরেকবার বমি।টেস্টের রিপোর্ট গুলো আসলেই বাঁচে।আপাতত এখন রিমঝিমের কাছে যেতে চায়।ওইদিনের পর থেকে রিমির সাথেও আর তেমন একটা কথা হয় নি।মাথায় হাত ঠেকিয়ে ডাক্তার ইব্রাহীমের চেম্বারে বসে আছে রক্তিম।আসলেই কথা বলে বেরিয়ে পড়বে।পাক্কা পাঁচ মিনিট পর ডাক্তার ইব্রাহীম এসেছেন।রক্তিম এবার কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো।রক্তিমকে দেখে ডাক্তার ইব্রাহীম প্রথমে মুচকি হাসলেন,তারপর বললেন,
‘একেবারে রিপোর্ট গুলো জেনে যেতে পারতে রক্তিম।’
রক্তিমও আলতো ঠোঁটে হেসে জবাবে বললো,
‘আংকেল!আমি বাসায় যেতে চাই।হাসপাতালে আর একদন্ডও থাকতে পারছি না।’
‘এটাই স্বাভাবিক।হাসপাতাল কি থাকার জায়গা নাকি!নিজের রুম,বাসা ছাড়া কোথাও আর শান্তি পাওয়া যায় না।নিজের যদি কুঁড়েঘর থাকে তাও সেটা শান্তির জায়গা।তাই!আমিও তোমায় বেঁধে রাখবো না।যেতে পারো।তবে,সাবধানে থাকবে।মাথা ব্যথা,বমি কিন্তু ভালো লক্ষ্মণ না।রিপোর্ট গুলোর অপেক্ষায় আছি।’
‘এতো চিন্তা নেই আংকেল।রিপোর্ট ওদের মতোই আসুক।দেখবেন আমার কিছুই হয়নি।নরমালই হবে সবকিছু।কিন্তু,এখন যদি বাসার উদ্দেশ্যে আর রওনা না দেই তাহলে কিন্তু আমি এবনরমাল হয়ে যাবো।’
‘যেভাবে বলছো মনে হয় স্পেশাল কাউকে রেখে এসেছো বাসায়।’
‘অনেকটাই সেরকম।’
‘ঠিকাছে যাও।আবার দেখা হচ্ছে।তবে,মাথা ব্যথা উঠলে আর অবহেলা করো না।মেডিসিন গুলো ঠিক মতো খেয়ে নিবে।’
রক্তিম মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে পড়লো ডাক্তার ইব্রাহীমের চেম্বার থেকে।দ্রুত গতিতে হেঁটে চলেছে।রিমঝিমের সামনে যেতে পারলেই অস্থিরতা মন টা একমুহূর্তের জন্য শান্ত হয়ে যাবে।রক্তিম মিটিমিটি হাসছে আর বলছে,আমি আসছি।আর কোনো সমস্যা হতেই দিবো না।নিজেকে অনেক পাওয়ারফুল মনে হচ্ছে।বাবা হওয়ার আনন্দ টাই অন্যরকম।
—
রক্তিমকে বাসায় দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলো সাদিক আহমেদ।রক্তিম যে আজকেই চলে আসবে তা জানা ছিলো না।উনি তো চেয়েছিলেন,রক্তিমের অগোচরে রিমঝিমকে নিয়ে রাশিয়ায় চলে যাবেন।কিন্তু,এখন তা পারবেন কিনা তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন সাদিক আহমেদ।বারবার চোখ যাচ্ছে রিমঝিমের রুমের দরজার দিকে।দরজাটা বন্ধ আছে বলে এখনো কিছুটা শান্তি পাচ্ছেন।রক্তিম আঁড়চোখে তাকালো সাদিক আহমেদের দিকে।ছোটবাবার চোখে ভয় দেখে মনে মনে কিছুক্ষণ হাসলো।জাহানারা আহমেদ রান্নাঘরে ব্যস্ত আছেন।রক্তিমের প্রিয় প্রিয় খাবার গুলো রান্না করছেন।মনে হচ্ছে কতোদিন বাদে রক্তিম বাসায় এসেছে।সোফার উপরে পা তোলে বসে সাদিক আহমেদের উদ্দেশ্যে রক্তিম বললো,
‘শুনলাম রাশিয়ায় নাকি চলে যাচ্ছো ছোটবাবা।এতো তাড়াতাড়ি তো যাওয়ার কথা ছিলো না।আরো কয়েকদিন তো থাকার কথা ছিলো।’
সাদিক আহমেদ চমকে তাকালেন রক্তিমের দিকে।চলে যাওয়ার ব্যাপার টা যে রক্তিম আগে থেকেই জানে সেটা বিন্দুমাত্রও মাথায় আসে নি।তবে,রক্তিমের উপর অনেকটাই ক্ষেপে রয়েছেন।থমথমে মুখ করে বললেন,
‘তা তোকে বলতে বাধ্য নই রক্তিম।আমার মতামতের উপর কেউ কথা বলুক তা আমি একদমই পছন্দ করি না।’
‘ছোটবাবা তুমি তো এমন ছিলে না।আমার সাথে তো খুব ফ্রেন্ডলি ছিলে আর আজকে তোমার কথায় অন্যরকম মনে হচ্ছে।’
সাদিক আহমেদ কিছু না বলে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন।যাওয়ার আগে রক্তিমের দিকে একপলক তাকিয়ে বললেন,’তোর কাছ থেকে এই কাজ টা একদমই আশা করি নি রক্তিম।তুই আমার কলিজায় হাত দিয়েছিস।’কথাটা বলেই ধপাধপ পা’য়ে এগিয়ে গেলেন সাদিক আহমেদ।
রক্তিম অসহায় চোখ নিয়ে তাকিয়ে রইলো।নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে।পরক্ষণেই ভাবে,ভালোবাসা তো কোনো অপরাধ না।আর,তারা তো পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ আছে।মানছে,পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করাটা উচিত হয় নি।তাই বলে,তাদের ভালোবাসা টা তো আর মিথ্যে নয়।
—
বিছানায় মনমরা হয়ে শুয়ে ছিলো রিমঝিম।মনের মাঝে কতো চিন্তা আঁকিবুঁকি করছে তার কোনো হিসেব নেই।বাহিরে রক্তিমের গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠলো রিমঝিম।একপ্রকার হুড়মুড়িয়ে বিছানা থেকে নামলো।দরজার সামনে যেতেই বিপত্তি বাজলো।সেলিনা আহমেদ কোথা থেকে এসে রিমঝিমের হাত ধরে আঁটকে দিলেন।গলা শক্ত করে বললেন,
‘একদম বের হবি না রুম থেকে।’
‘মা!প্লিজ আমাকে যেতে দাও।রক্তিম ভাই এসেছেন।’
‘চুপ একদম।রুমের বাহিরে বের হতে পারবি না তুই।’
রিমঝিম শুধু কান্না করেই যাচ্ছে।উঁকিঝুঁকি বেয়ে রক্তিমের মুখটা একটু দেখতে পেলো।তখন রক্তিমও রিমঝিমের দিকে তাকালো।দু’জনের চোখাচোখি হলেও তৃষ্ণা যেনো রয়েই গেলো।মনে হচ্ছে,কতদিন বাদে দেখতে পেলো।সেলিনা আহমেদ রিমঝিমের হাত ধরে রুমে নিয়ে গেলেন।শুধুমাত্র কালকের অপেক্ষায় আছেন।
🍁🍂
রাতে রিমির সাহায্যে রক্তিম রিমঝিমের রুমে ঢুকলো।বিছানার মাঝখানে গুটিসুটি মেরে রিমঝিমকে শুয়ে থাকতে দেখে রক্তিমের খুব মায়া হলো।চোখের কার্ণিশে পানি ভিজে আছে।রিমি বাহির থেকে মিহি গলায় চেঁচিয়ে বললো,
‘ভাইয়া!আমি থাকবো নাকি চলে যাবো।’
রক্তিম দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো,
‘তুই চলে যা রিমি।আর,ওইদিকটা একটু খেয়াল রাখিস।’
‘ঠিকাছে ভাইয়া।’
রিমি চলে যেতেই রক্তিম দরজাটা নিঃশব্দে বন্ধ করে দিলো।গুটিগুটি পা’য়ে রিমঝিমের কাছে এগিয়ে গেলো।কপালে হাত রাখতেই রিমঝিম কিছুটা নড়েচড়ে উঠলো।তা দেখে রক্তিম মুচকি হাসলো।রিমঝিমের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,
‘আর কষ্ট পেতে হবে না।আমি এসে গেছি।’
রক্তিমের কন্ঠ পেয়ে রিমঝিম তড়িঘড়ি করে চোখ মেলে তাকালো।তাড়াহুড়ো করে উঠতে নিতে গেলেই রক্তিমের মাথার সাথে বেশ বড়সড় একটা বারি খেলো।হঠাৎ এমন হওয়ায় রিমঝিম চোখ,মুখ কুঁচকে নিলো।এদিকে রক্তিম মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে।রিমঝিম অন্যদিকে ফিরতে নিলেই রক্তিম জাপটে জড়িয়ে ধরলো।রিমঝিম রক্তিমের ছোঁয়া পেয়ে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলো না।উল্টো ডুকরে কেঁদে উঠলো।রক্তিম কপালে কয়েকটা চুমু খেয়ে বলতে লাগলো,
‘হুশ!আর একদম কান্না করবে না।এই সময় টা কান্না না উপলব্ধি করতে হয়।’
‘ভেবে নিন!আমি কান্নার মাধ্যমেই এই সময়টাকে উপলব্ধি করছি।’
‘আমি চাই আমার বাচ্চার আম্মুর চোখের কার্ণিশ থেকে পানি যেনো না পড়ে।’
রিমঝিম মাথা নিচু করে নিলো।এখন বেশ লজ্জা লাগছে।রক্তিম রিমঝিমের হাবভাব দেখে হাসলো খানিকটা সময় নিয়ে।রিমঝিমের থুঁতনীটা ধরে মুখটা উঁচু করে ধরে অপলক তাকিয়ে রইলো।রিমঝিম শুধু আতঙ্কে চোখ,দুটো খিঁচিয়ে বন্ধ করে আছে।হঠাৎ করেই রিমঝিম কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললো,
‘আচ্ছা রক্তিম ভাই আপনি ঠিক আছেন তো।মাথা ব্যথা কি এখনো হয়।’
‘যে মেয়েটা একটু আগে এতোটা লজ্জা পেলো আর তার এখন কিনা রূপ পাল্টে গিয়েছে।’
‘উফফ!রক্তিম ভাই কথা না ঘুরিয়ে সোজাসাপ্টা বলুন তো।’
‘টেস্ট দিয়েছি।রিপোর্ট দিলে বোঝা যাবে আমার কি এমন হয়েছে।’
রিমঝিম মাথা ঠেকিয়ে দিলো রক্তিমের বুকে।এমতাবস্থায় আলতো কন্ঠে বলে উঠলো,
‘আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম রক্তিম ভাই।আপনার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছিলো।’
‘ভয় নেই!আমি ঠিক আছি।’
‘রক্তিম ভাই আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।কাল মা-বাবা আমাকে নিয়ে রাশিয়ায় চলে যাচ্ছে।কিন্তু আমি যেতে চাই না।আপনাকে ছাড়া আমি নিজেকে আর একদন্ডও ভাবতে পারবো না।’
‘একবার যেহেতু প্রেয়সীর মনটা পেয়েছি তাহলে এখন আর কোনো ভুল করবো না।’
রিমঝিম নিঃশব্দে রক্তিমের সাথে মিশে রইলো।রক্তিমও রিমঝিমকে নিজের সাথে মিশিয়ে রেখেছে।সারাদিনের সব ক্লান্তি অশান্তি সবকিছুই যেনো দূর হয়ে গেলো।এই সময় টার জন্যই তো দু’জনে অপেক্ষা করে ছিলো।
চলবে..
[