ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ৬

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_০৬

—“এই কাগজটা কোথার থেকে বের হলো? দেখে ত লাগছে আমার প্রশ্নের সব উওর এই কাগজের টুকরার পুরো অংশ দিতে পারবে।
আবরার সব ফাইল গুছাতে গিয়ে একটা ছিঁড়া কাগজের টুকরা ফেলো। সেটা উঠিয়ে অর্ধেক অংশটা দেখে চমকে গেল। এতোক্ষণ এতো মেয়ের ডুকমেন্টস দেখল সব মেয়ের ভর্তি ফোর্ম এ সাল দেয়া ছিল দুইবছর আগে ভর্তি হয়েছে। অথচ একবছর আগের ভর্তির কোনো কথা ডুকমেন্টস এ ছিল না।

—“সব ফাইল ত দেখছিলাম এটা ত চোখে পড়ল না যতোই হোক খুঁজবোই!….সব ফাইলস গেঁটে দেখতে থাকে। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে একটা ফাইল বের হলো যা অন্য ফাইলের সাথে লাগানো ছিল বলে ফাস্টে চোখে পড়ল না। সে ফাইলটা পুরো খুলে দেখে সেখানে কাগজটার প্রথমের অর্ধেক অংশ যা দেখে হতাশ হয়ে গেল। তার হাতে থাকা কাগজের টুকরাটা ছিল শেষের অংশ। সে প্রথম আর শেষের অংশ মিলিয়ে নে। কিন্তু মাঝের অংশটা পাই না। যে অংশে মেয়েটার ছবি দেয়া ছিল।

—“ব্যাপার না ছবির কি তোরে ত আমি আমার মনের মধ্যে এঁকেছি শুধু এক পলক নজর পড়া বাকি! বলেই বাঁকা হাসল।

আবরার দেখল ফাইলটার মধ্যে মেয়ের নাম দেয়া ‘জা’ এর বাকিটুকু নেই ছিঁড়া ছবিসহ। “হুমম জা নতুন বছরে নতুন নাম রেখেছিস তাহলে ! যাক সফলতার পথেই আছি এখন গুটির সেনাদের মারার চাল চালানো বাকি।

(সো আবরার আর কেউ নয় সে হচ্ছে অচেনা লোকটা যে ভার্সিটি ক্যানভাসে আসার কথা ছিল। সেই এসেছে তার খেলার পুনরাবৃত্তি করতে। একবছর আগে যে মেয়ে নদীতে পড়ে গিয়েছিল সেই মেয়ের পিছে পড়ে ছিল আবরার। কিন্তু এখন মেয়ে টা কোথায়? আবরার এর সাথে সেই মেয়ের সম্পর্কটা কি এই প্রশ্নগুলি সকলের মনে নাড়া দিবে ! তা আমি ভালোই জানি। এটা আপাত ত মনেই থাক। এখনই সব বলে দিলে গল্পের মজা পাবেন না 😜। ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন তাই চলেন ফিরে আসি গল্পে)

আবরার কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়। স্যার-ম্যাডামদের সাথে পরিচয় হয়ে সে বাসায় ফিরে আসে। বাসায় আসতেই তার গার্ডস দরজা খুলে দিল। তার পিএ জ্যাক এসে হাজির হলো। আবরার তাকে দেখে মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরে।

—“দোস্ত খবরটা দিয়ে মন খুশি করে দিলি।

(জ্যাকই আবরারকে খবর দিয়েছিল চট্টগ্রামের ভার্সিটিতে একবছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেই মেয়েটিকে পাওয়া যাবে)

—“তাই বলে শুকরিয়া আদায় কর।

—“অবশ্যই কিন্তু তোর ভাবিকে পাওয়ার পর।

—“ওকে ত ভাবিকে কবে আনবেন শুনি?

—“খুব তাড়াতাড়ি। ভ্রু কুঁচকে বাঁকা হেসে জ্যাক এর দিকে তাকাল। জ্যাক দেখে হালকা কেশে তাকে নিয়ে বার এ চলে যায়।

দিন-রাত মিলিয়ে দুইবার বারে যাওয়া আবরার এর একটা বদঅভ্যাস। বার এ গিয়ে মেয়েদের সাথে ডান্স করা,,ড্রিংক করা,, রাগ উঠলে মারামারি ঝগড়া বিবাদ করা তার কাছে ব্যাপার নাহ্,,মাঝমধ্যে মেয়ে কে বুক করে রাখে রাত কাটানোর জন্যে। যা তার মনে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটার প্রতি তৃপ্তি দে।

আজও বিপরীত হয় নি। আবরার কল করে বারে একটা রুম বুক করে বিদেশি মেয়েকে আনার ব্যবস্থা করতে বলে সেখানকার মেনেজারকে। মেনেজার তার কথামত রুমে একটা মেয়ে পাঠিয়ে দে।

আবরার জ্যাক এর সাথে অনেকক্ষণ বারে থেকে রুমে চলে যায়। জ্যাক দেখে দূর থেকে আবরার কে চিয়াসসস বলল।

—“চিয়াসস। হাতে থাকা ওয়াইন এর গ্লাস দেখিয়ে বলে আবরার রুমে ডুকে পড়ে।

জ্যাক দেখে মনে মনে বলে—“আবরার এখন খুশি আছে ঠিকিই কিন্তু যখন আমি বেড নিউজ শুনাবো তখন না জানে কি করে বসে? ও গড কই আছে মেয়েটা?

কথাটা ভেবেই জ্যাক রেগে দুই বোতল লেবুর মিক্স ড্রিংক খেতে লাগে।

__________________

—“জারা খাবার নিয়ে আয়। মিসেস রাহেলা তার স্বামী আর মেয়েকে নিয়ে টেবিলে খেতে বসে জারাকে হুকুম দিল।

জারাও কথামত খাবার পরিবেশন করে তার চাচাকে আলাদা ভাবে সব খাবার বেড়ে দিয়ে চাচির দিকে বাকি সব প্লেট বাটি এগিয়ে দে।

—“আরে তোর চাচাকে কেন দিচ্ছিস না এগুলো? মিসেস রাহেলা ভ্রু কুঁচকে বলে।

—“দেয়া যাবে না রে বুইড়া চাচি। জারা পিছের চুল চুলকাতে লেগে কথাটা আস্তে করে বলে কিন্তু মিসেস রাহেলা খানিকটা শুনে বলে।

—“কি বলছিস? আমি কি!

—“আপনি মহান উদার ব্যক্তি এটা বলছি। ঠেকা লাগে নাই আপনারে উদার বলে উদারতার বেইজ্জত করার। কথাটা আস্তে বলে।

—“হুম খেতে বস।

সবাই খেতে শুরু করে। জারা ত খাওয়ার সময় বার বার মিসেস রাহেলা আর মেহরাবের দিকে তাকাছিল।মেহরাব কিছুটা আন্দাজ করে ফেলে জারার ভাবভঙ্গি দেখে কিন্তু জারার করা প্লেন/ব্যবস্থা টা সেটা কি কেউ জানেন? চলেন বলি!

—“মাম্মা আমার পেটে গুড়ুম গুড়ুম হচ্ছে কেন😣?
মেহরাব অর্ধেক খেয়ে আর খেতে পারছে না এক হাত দিয়ে পেট চেপে ধরে কথাটা বলে।

মিস্টার নায়েমান মেহরাবের দিকে তাকিয়ে বলে—“কি হয়ছে মা খাবার খাচ্ছো না যে?

—“এতো খা…খাবো পাপ…..পা..মেহরাব আর না পেরে দৌড়ে ওয়াশরুমে যায়। মিসেস রাহেলা জারার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“খাবার ঠিকভাবে রেঁধেছিস ত? মেহরাব এর পেটে গুড়ুম কি তুই করাইছিস! চাচির এমন কথায় জারা খানিকটা অবাক হওয়ার ভান করে বলে।

—“মেহরাবের পেটে গুড়ুম হচ্ছে এর সাথে আমার সম্পর্ক কি? আমি কি মেহরাবের পেট🙄!
অবাক হয়ে চোখজোড়া সরু করে মিসেস রাহেলার কে বলল।

—“তাও ঠিক।

—“আমি বেঠিক বলিও কবে? এক শান্তির নিশ্বাস ফেলে সে চাচি জানের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“একটু আগে মেয়ে গিয়েছে এখন মায়ের যাওয়ার টাইম মিসেস মেহরাবের মাম্মা। জারা কথাটা মনে মনে ভেবে খাবারের মধ্যে থেকে ভেজিটেবল সুপ টা রাহেলার সামনে রাখে।

কিন্তু হঠাৎ জারার চোখ কপালে উঠে গেল। চাচির আগে সুপটা তার চাচা নায়েমান হাতে নিয়ে প্লেটে বাড়তে লাগে। জারা দেখে বসা থেকে উঠে যায়।

—“আল্লাহ গো চাচু যদি সুপটা খাই তাহলে একসেকেন্ডও বসে থাকতে পারবে না এমনেই ডায়াবেটিস রোগী জামাল গুটির পাউডার মিশানো খাবার খেলে জীবন আশঙ্কাও হতে পারে। না আমি এ কখন হতে দেবো না।
মনে মনে ভেবে সে তার চাচার কাছ থেকে প্লেটসহ বাটিটা কেড়ে নিল।

—“আরে মা নিয়ে নিছিস কেন? নায়েমান বাচ্চাদের মত ফেস করে আদর এর সুরে জিগ্গেস করল।

—“আব……আসলে চাচ্চু এখানে বেশি চিনি দেয়া হয়ছে তুমি খেলে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে। এটা খেয়েও না অন্যকিছু খাও এই…..এটা খাও (টেবিল থেকে হালিম এর বাটিটা নিয়ে নায়েমান কে দিল)

নায়েমান মুচকি হেসে সেটাই খেতে লাগে। জারা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাচির কাছে এসে বলে

—“চাচি এটা খাবেন না?

—“হুম দে।

চাচিকে দিয়ে সে বসে পড়ে। চাচি খেয়ে দেয়ে জোরে একটা ঢাকুর দেয়ে। নায়েমান আর জারা মুচকি হাসল। চাচি খেয়ে রুমে চলে যায়। জারা রুমে এসে বসে হাতে গুণনা করতে শুরু করে এক…..দুই…..তিন।

—“ও খোদা আমার মেহরাবের আব্বু তাড়াতাড়ি ডাক্তার কে কল করো!
মিসেস রাহেলা টয়লেটে বসে চিল্লাচিল্লি করে কথাগুলো বলতে থাকে।

নায়েমান শুনেও না শুনার ভান করে বেডে শুয়ে পড়ে।

জারা মুচকি হেসে সেও শুয়ে পড়ে।
—“ব্যস দুইঘণ্টা একটু কষ্ট হবে মেরি পিয়ারি চাচিজান আর মেহরাব সোনা মুনু। শুকরিয়ি আদায় করা উচিত তোমাদের জামাল গুটির পাউডার পুরো পেকেট ঢেলে দে নি। নইতো দুই ঘণ্ঠা কি পুরো দুই দিন টয়লেট থেকে বের হতে পারতে না! বাট আমি তোমাদের মত অমানুষ না যারা শীর্তাত, রুগন মেয়ের সাথে কতকিছু করতে পারে।

ভাবতে ভাবতে তার চোখ বন্ধ হয়ে যায়।

________________

ফায়যান ওয়ালেদ এর গলা চেপে ধরে তার মুখে কাপড় পেঁচিয়ে ধরে। সে হকচকিয়ে উঠে লোকটার কান্ডে।

ওয়ালেদ শব্দ করতে থাকে। কিন্তু ফায়যান নিজের মত কাজ করতে থাকে।
সে তার পাশে একটা ব্যাগ রাখল। সেটা খুলে সেখান থেকে একটা কাঁচি,,স্যাভনল,,ডেটল,,ব্যান্ডেজ বের করল। ওয়ালেদ ভয়ে ঘামতে থাকে লোকটার কান্ডে।

ফায়যান তার ডান হাত ধরে পাঁচ আঙুল ভালোভাবে দেখতে থাকে।
—“আচ্ছা বল ত তোর লাইফে বেস্ট ফিঙ্গার কোনটা?…..হুমম বল। ওয়ালেদ এর দিকে তাকিয়ে। ওহ তুই বলবি কি করে মুখ ত বেঁধে রাখছি। আইম তরি উকে?

রাহুল ফায়যান এর ফাজলামির মত কথাগুলো শুনে মজা নিচ্ছে আর মনে মনে ওয়ালেদকে গালিতে ভরায় দিচ্ছে।
—“এক্করে ভালা কাম করবে আমাদের ফায়যান স্যার। অন্যায় করছস কেন বে কেন? এবার ভোগ আমি ত গান শুনি!

রাহুল ব্লুটুথ অন করে “BTS” এর “Dynamite” সং প্লে করে শুনতে থাকে। কারণ সে জানে ফায়যান এখন এমন একটা কাজ করবে যার ফলে ওয়ালেদ চিৎকারাতে থাকবে।

ফায়যান —“উফ এখন কোনটা কাটব? মানুষের পাঁচ আঙুলই ত বেস্ট ওহহ একটা আঙুল সবচেয়ে বেশি জরুরি। কোনটা জানিস? ওয়ালেদ এর গাল চেপে ধরে।
ওয়ালেদ নিজের মাথা ডান-বাম নাড়িয়ে না বলে।
—“মধ্যমা আঙুল। হ্যাঁ এটাই অনেক দরকার। বিটিএস বল, হলিউড, বলিউড সব মুভি তে পোলারা শুধু এই ফিঙ্গারই দেখায়। এডা দিয়ে তারা কি বুঝায় সেডা ত তুই জানসই তাই না?

ফায়যান কথা বলতে বলতে জট করে ওয়ালেদ এর মধ্যমা আঙুল কেটে দিল। রক্ত ফ্লোরে পড়ে ছুর ছুর করে ছিটিয়ে যাচ্ছে। ফায়যান তার সামনে চেয়ার টেনে বসে তার মুখের উপর থেকে কাপড় টা খুলে বলে।

—“তোদের পাঠাইছে কে? আমার ওয়াল্ডে এসে আমার সাথেই পাঙ্গা নেয়ার সাহস করছস তোরা। কিন্তু তোরা ত বজ্জাতের হাড্ডি গোবর ভরা মগজ কার হুলে ঢুকতে আছস নিজেরাই জানিস না হাহাহাহাহা। ফায়যান হেসে ওয়ালেদ কে আবারও বলে।

—“এবার মুখ খুলবি নাকি সারাজীবন এর জন্যে বোবা করে দেবো?
ভ্রু কুঁচকে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে।

—“এই……এ…এই কাজ আমাদের আরমান স্যার করতে বলেছে।

আরমানের নাম শুনতেই ফায়যানের পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় চোখজোড়া লালবর্ণ ধারণ করে। সে হুট করে দাঁড়িয়ে গার্ন বের দেওয়ালে পয়েন্ট করে গুলি চালায়। ওয়ালেদ ভয়ে নিচের জায়গা থেকে পেন্ট ভিজিয়ে ফেলে।

রাহুল মাস্ক পড়া ছিল না সে বিকট এক গন্ধ পেয়ে ওয়ার্ক ওয়ার্ক করতে থাকে গার্ডস ও গন্ধের জন্যে এদিক ওদিক থাকায় গন্ধটা কোথার থেকে আসতেছে খোঁজার জন্যে। কারণ ফায়যান যদি এমন কোনো গন্ধ পাইছে তাহলে তাদের কের নেই। সে নিট এন্ড ক্লিন থাকতে পছন্দ করে।

রাহুল পিছে ফিরে দেখে ওয়ালেদ এর চেয়ারের নিচে পানির মত কিছু ভিজা দেখা যাচ্ছে।
—“ওয়ালেদ মামা ভয়ে হিসু করে দিল। ওরে ভয় রে এমন অন্যায় কাজ করতে কে বলে? তোরা করস বলেই ত ফায়যান স্যারও সেইম ভাবে বাঁশ দে। ইসস রে কিলার রুমটা র্দুগন্ধ করে দিল। কিন্তু বাঁচা গেল ফায়যান স্যার মুখে মাস্ক পড়ে আসে। আমাদের ত বেহাল অবস্থা হচ্ছে ওয়ার্ক ! রাহুল একহাত দিয়ে বুক চেপে আরেক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে।

ফায়যান টেবিলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকে। রাহুল এক ঢোক গিলে ভয়ে তার পাশে এসে বলে।

—“স্যার এই পোলারে কি কোবরার কাছে দেবো নাকি বাঁচাইয়া রাখব?

—“যারা আমার সাথে ঠকামি করে তাদের বাঁচার কোনো অধিকার আমি দেয় নাহহ। বলেই সে কাঁচিটা ওয়ালেদ এর কপাল বরাবর ছুঁড়ে মারে। তার টার্গেটও খুব তীক্ষ্ণ সুষ্ঠুভাবে গিয়ে লাগল ওয়ালেদের কপালে।
সে সেখানেই মারা যায়।

ফায়যান নিজের পরা সবকিছু খুলতে খুলতে বলে—“লাশটার ঠিকানা লাগায় দে।
—“আচ্ছা তবে স্যার আরমান কে আসলে?
—“এটার উওর আজৌও আমার কাছে নেই। আগে বাবা মারা……… বলতে গিয়ে ফায়যানের চোখজোড়া নয়নে পূর্ণ হয়ে যায়। সে কথাটা পাল্টিয়ে বলে। তোকে যা বলছি তাই কর গিয়ে।
—“ওকে স্যার।

ফায়যান নিজের রুমে এসে শার্ট খুলে ফেলে। সেখান থেকে কিরিং করে জারার রিং নিচে পড়ে যায়। সাউন্ড পেতেই সে রিং টা নিয়ে দেখে বলে।

—“Mission of Ms.Deri Is Started..মুচকি হেসে সে তড়িঘড়ি ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে যায়।

রাহুল গেইটের দিকে ফায়যান কে হাসি মুখে দেখে বেশ অবাক হয়ে যায়। সে তার পাশে থাকা গার্ডকে দেখে বলে।

—“তোরাও কি ওইটাই দেখছস যেটা আমি দেখছি?
—“নো স্যার আমরা আপনার গোপন জিনিস আপনার অনুমতি ছাড়া দেখব না।

রাহুল গার্ড এর মুখে এমন কথা শুনে ভেবাছ্যাকা খেয়ে নিজের পেন্টের দিকে তাকিয়ে নে। বাপ রে ভাবছি কোনো সত্যি সত্যি দেখা যাছিল কিনা? সে নিজেকে স্বাভাবিক করে সেখান থেকে ফায়যানের হাসির মুখ খানি নিয়ে ভাবতে ভাবতে চলে যায়।

ফায়যান গাড়ি চালায় চালায় রিংটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বাঁকা হাসতে থাকে।

—“মিস দেরি তোমার বাসায় আসছি খুব তাড়াতাড়ি । ব্যস একবার তোমার খুঁজটা পেয়ে যায়। দেন দেরি নোট ভেরি সুন তুমি আমার চোখের সামনে পড়বে। ডেভিল স্মাইল দিয়ে সে রিংটা হাতের মোড়ে নিয়ে আনমনেইই হাসতে থাকে।

—“ওই মহারাণী জারা দরজা খুল গিয়ে দেখ বাহিরে কে আসছে?

মিসেস রাহেলা পেট ব্যথার কারণে শুয়ে চিল্লান দিয়ে জারাকে বলে। জারা তখন কুড়েঘরে ছিল না। সে রেস্ট করে বাসায় ঢুকে কিচেনে কাজ করতে যায়। দরজায় বেল বাজায় মিসেস রাহেলা কথাটা বলল।

জারা চাচির অবস্থার মজা নিয়ে মুখ টিপে হেসে হেসে দরজা খুলে বাহিরে তাকায়।

—“নাআআআআআ……..জারা জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে সামনে যাকে দেখল……….

…………..চলবে………….

[বিঃদ্র–“সবাই জানতে চেয়েছিলেন ফায়যান আর আবরার এক কিনা? তাহলে বলে দি তারা কিন্তু এক নয়। দুইজনই আলাদা দেহের মানুষ। তাদের এক এক জনের এক এক রহস্য আছে। আর হারিয়ে যাওয়া মেয়ে টার ব্যাপারে এখনোও ঠিক বলতে পারছি না সে আছে কি নেই😪? তবে অবশ্যই আমি গল্পটা স্পষ্ট বুঝে উঠার মত সাজিয়ে উপস্থাপন করব যাতে সবার মজা আর আনন্দ লাগে ইনশাআল্লাহ। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here