#তনুশ্রী♥
#লেখক:হৃদয় আহমেদ
#পর্ব_৪
শেষ রাতে তূর ঘরে ডোকে। বসা থেকে শুয়ে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে তনু। তূর তনুর পাশে শুয়ে পড়ে। অনেক বড় একটা ঝামেলা মিটিয়ে এসেছে সে! ইশয়াখ খুন হয়েছে কথাটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তূরের। থামেনি আর এক মুহুর্ত, চলে যায় ইশয়াখকে দেখতে। সে ছাড়া তূর সহ মোড়লবাড়ির ব্যাবসা অচল!
নীশীথের পর আলোর ছটা নেমেছে পৃথিবী বুকে। সূর্য আজ সবটা দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছি প্রভাত স্নিগ্ধ আলো। পাখিদের কিচিরমিচিরের শব্দ জোড়ে জোড়ে কানে আসছে! বিশাল বিঘা সম্পূর্ণ এ বাড়িতে বড় গাছগুলোর মধ্যে একটা বটগাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। আর সেখানে বাসা বেঁধেছে টিয়া পাখি। সকাল বেলাটাই যেন তাদের শিশ দেয়ার সময়! ছোটপাখির কিচিরমিচির তাদের ঘর থেকেই কানে আসে! বিশাল বাড়িতে আনাচে কানাচে ভরা পাখির বাসা! দেয়ালের সৌন্দর্যে জন্য উপরে ফুটো দিয়ে তৈরি করা হয় ডিজাইন যা এখন পাখিদের বিরাট সাম্রাজ্য বিস্তারী প্রায়!
ঘরের জানালা বেয়ে ঝড়ছে আলোর ছটা! মুখশ্রী উজ্জ্বল হলুদ ওয়ে ওঠে তনুর। তীব্র আলোয় ঘুম ভেঙে যায় তার। হকচকিয়ে ওঠে! কিন্তু পারেনি উঠতে। তাকে পেছন থেকে শক্ত হাতে জড়িয়ে রেখেছে তূর! তনুর বুক কেঁপে ওঠে। তূরের বুকে ঠেকানো তনুর বুক। অজান ভয় জায়গা করে নেয় বুকে। ছাড়াবার জন্য উঠতে চায়, হয় তার বিপরীত! তূর আরও ঘেঁষে নেয় তনুকে। ভয়তক আকারে থাকে তনু কিছুক্ষণ! কিন্তু তূরের হাত ছাড়ার নাম নেই। জড়িয়েই আছে!
– ছাড়েন! এইযে?’
আস্তে করে বললো তনু। তবুও কোন প্রতিক্রিয়া নেই তূরের। সকাল সকাল শুদ্ধ মস্তিষ্কে খেলো গেলো দুষ্টু বদ্ধি তনুর। জোড়ে ডেকে উঠলো,
– ছাড়েননন!
হাত ছাড়িয়ে উঠে বসে তূর। বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকায় তনুর দিকে। তনু তৎক্ষনাৎ উঠে যায়। তূর মনে মনে রেগে আগুন! কিয়ৎপরিমাণ সময় চেয়াল খিচে নিয়ে আবারো লুটিয়ে পড়ে বিছানায়! সপ্নের রাজ্য ভ্রমন করে তুনুকে নিয়ে। তার পিচ্চি অর্ধাঙ্গিনিকে নিয়ে।
তনু শাড়ী সামলাতে পারেনা বললেই চলে। বছরে একবার থেকে দুবার পড়তো। এখন তার অবস্থা অনেকটা মিলির মতো। লতিফার চাচীর মেয়ে মিলি,পুচকি মেয়ে তবুও শাড়ি পড়ে! আর অবস্থা হয় কাহেল। তেমনি কাহেল অবস্হা তনুরও। শাড়ী পুরো ওলট পালট হয়ে গেছে। কে তসকে এখন সাহায্য করবে? আজ তনুর নামাজও হলো না! সকাল সকাল মন খারাপ নিয়ে জানালার দারে যায় তনু। বাইরের চিকচিক করা আলোতে বটগাছের পাতাগুলো জ্বলছে। পুরো বাড়ি ঝকঝকে তকতকে, শুধু বট গাছটাই একটু ঘোবরাটে। তবে বটগাছের নিচে পাতা নেই। কেউ সকাল সকাল পরিষ্কার করেছে। দূরে এ বাড়ির সিমানা দেয়াল দেখা যায়। মাটি রঙের দেয়াল! তনু ভাবছে, আজ তার নতুন বিয়ে, আর সে ঘরে বসে আছে। কে জানে সবাই কি ভাবছে?
দরজায় কড়া! কেউ সজোরে ঠেলছে দরজাটা। তনু বিছানার পাশে দাড়ায়। শাড়ীর অবস্থা ভালো নয় খুব একটা। যদি পুরুষ কেউ হয় তখন? তার কি একবার বলা উচিত কে? ডাকবে? নাকি তার তূরকে ডাকা উচিত? কিছু ভেবে না পেয়ে তনু বলে ওঠে,
– কে?’
– মাইয়া এত বেলা ফর্জন্ত কেউ গুমায়? দরজা খোলো! ‘
মহিলার গলা আসতেই তনু সোজা দরজা খুলে দেয়। কোনমতে শড়ীটাকে হাতে আঁকড়ে ধরে দাড়ায় দু পা পিছিয়ে। তূরের মা রিমি আখতার একপ্রকার দৌড়ে ঘরে ডোকেন। আগে চোখ রাখেন বিছানায়। তূর ঘুমাচ্ছে দেখে তারপর তনুর দিকে তাকান উনি।
– মাইয়া শাড়ী ফরতে ফারো নাই? দরজা খোলোনের দরকার ছিলো ছিলো না তো?’
– আসলে..’
– বুঝছি! আলমাড়িতে শাড়ি আছে গোসল কইরা ফরো গিয়া। মাইয়ার লজ্জা সরম কিছু নাই গা। সোয়ামীর সাথে রাত…যাইহোক পইড়ো! আমি আসি। ‘
– মা!
বিরক্ত হয়ে দাড়ান রিমি। ঘুরে বলে ওঠেন,
– কি তা?
– আ্ আমি শাড়ি ফরতে পারি না তো..! ‘
মুহূর্তে চোখ লাল হয়ে ওঠে রিমির। কটাক্ষ করে বললেন,
– তোমার মায়ে বাপে মরতে পাঠাইছে? একখান শাড়ি ফরতে পারো নাই? এহন তোমার ওই অপবিত্র গায়ে হাত দেওন যাইবো? ‘
– তেমন কিছু নয়। ‘
– তার মানে? ‘
উত্তরে চুপ রয় তনু। রিমি আলমাড়ি থেকে একটা সাদা পাইর দেওয়া মিষ্টি কালারের জামদানী শাড়ি নিয়ে আসেন। তনুকে দিয়ে বলেন,
– গোসল কইরা আসো তারফরে শিহাইতেছি। ‘
– কলপাড়? ‘
– চলো আমার লগে! ‘
তনু হাটে না। শড়ীর এক- তৃতীয়াংশই খোলা প্রায়। বাইরে গেলে কেউ না কেউ দেখবেই। তনুকে থম মেরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রিমি রেগে যান। বলেন,
– খাড়াইছো ক্যা? ‘
– এই অবস্থায় ক্যামনে..’
– অন্দরমহলের কলপাড়ে কেউ আহে না। চলোতো মাইরা। দুনিয়ার ডং! ‘
রিমি তনুকে বাইরে এনে কলপাড়ে পাঠায়। নিজে বাইরে দাড়িয়ে থাকেন। গোসল শেষে তিনি নিজ হাতে তনুকে শাড়ি পড়িয়ে দেন। গ্রাম্য টাইপের শাড়ি পড়ে অসম্ভব সুন্দর দেখায় তনুকে। রিমি মুখে হাত রেখে বলেন,
– সুন্দর! কিন্তু স্বভাব চরিত্র ভালো পাইলাম না! ‘
চোল ছলছল করে ওঠে তনুর। সে কি এমন বেয়াদবী করলো? রিমি আবার বলেন,
– স্বামীর কাছে না যাওয়ার মানে কি জানো? বুঝবা! মরনের পরই বুঝবা। শুনছি তুমি নামাজও পড়ো। কই তেমন কিছুতো লক্ষ্যে আসলো না! ফড়ো তো আদেও? ‘
– শুধু ফজরেই আইলসিয়া…’
– এহেনে এমন আইলসিয়া থাকলে হইবো না। দুপুর থেকে নামাজ ফড়বা। বাড়ির সবাই পড়ে। খালি বাড়ির কিছু পোলা বাদ দিয়া! তুমি নিচে চলো। সকলকে সালাম করবা,দোয়া নিবা। আমি পরিচয় করাই দিমু। ‘
উত্তরে মাথা নাড়ায় তনু। রিমি আকতার তাকে নিয়ে যান একতলায়। সিড়ি দিয়ে নামার সময় একপলক নিচে তাকায় তনু। নিচের পুরো ঘর মানুষ আর মানুষ! পাড়াপড়শিও এসেছেন নতুন বউকে দেখতে। তনুকে নিচে নামতে দেখে অনেকে হাসলেন। আর অনেকে গালমন্দ করতে লাগলেন। এত দেড়ি করে নতুন বউ ওঠে নাকি? এটাই গালমন্দের মূল সম্প্রসারণ।
তনুকে আনা হয় নিচে। নিচের অনেকগুলো বড় বড় বসার জায়গা। এসব কি তনুর জানা নেই। তবে মানুষে কিলবিল করে পুরো রুম জুড়ে। সময় পরপর ভেসে আসে খিচুড়ির স্নিগ্ধ গন্ধ। পাশেই কোথাও রাধা হচ্ছে হয়তো। রিমি আখতার তনুর হাত ছাড়লেন। চেয়ারে বসা মইনুলের দিকে হাত দেখিয়ে বললেন,
– এনাকে তো চেনো! তোমার শশুর মসাই। যাও গিয়া সালাম করো। ‘
বাধ্যতা গ্রহনযোগ্য বলে সালাম করে তনু। রিমি আক্তার আবারো বলেন,
– ওইযে পাশে বইসা আছে উনি হইতাছে তোমার এ বাড়ির কর্তা। মানে তোমার দাদাশশুড়। ‘
তনু তাকেও সালাম করে আসে। রিমি একে একে মইনুলের মেজো ছেলে ও ছোট ছেলের সাথে আলাপ করে দেন। তাছাড়াও এ বাড়িতে রয়েছে তিনজন পুরুষ! তারা এখন নেই। উনারা মইনুলের ভাই হন। বাড়ির বউরা সকলে এক কোনে দাড়িয়ে। তনু লক্ষ্য করলো তাদের। একপলক তাকাতেই তাদের একজন এক হাত দেখিয়ে ডাকলো। সকলে গল্পে ব্যাস্ত! তনু চলে যায় তাদের কাছে। সবার অঙ্গে অঙ্গে সোনার গহনা। তনুর গায়ে অত নেই, তবে আছে কিছু! মহিলা চারজনের মধ্য একজন বললো,
– তুমার নাম তিনু তাইনা? ‘
– হু। ‘
– এ বাড়ি কেমন লাগে? ‘
– ভালা। ‘
– খালি ভালা? ‘
– অন্নেক সুন্দর! ‘
– বাগানে যাইবা? ‘
আরেকজন বলে উঠলো,
– নতুন বউরে এহন না নেওয়াই ভালো। শোন তনু, আমি হলাম তূরের মেজো ভাইয়ের বউ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তূর দেড়িতে বিয়া করছে তূর। তুই হইলা বড় বউ। আর এনারা হইলো চাচীশাশুড়ী। এনাগোর সব কথা মাইন্না চলবা। তাইলেই স্বামীঘরে সুখ পাইবা বুঝলা? ‘
চম্পা নিজে বড় বউয়ের মতোন করে বললো কথাগুলো। তনুর চাচীশাশুড়ী তিনজনই হেঁসে দিলো চম্পার কথায়। তনুর থেকে তাদের বয়স হবে পাঁচ থেকে ছয় বছরের বড়। আরেকজন বললো,
– না গো নতুন বউ। তুমি আমাদের সাথে থাকবা এটা ঠিক। না থাকলেও সমস্যা নাই। কিন্তু থাকতে হইবো।
___________________
আজিদের বাড়িতে লোকসংখ্যা কমেছে। রয়েছেন শুধু লতিফার কিছু আত্মীয়। পরশু রাতেই ইশয়াখের অমন অবস্থা শুনে চলে গেছেন ইশা আম্বানি। বাড়িতে ইশয়াখ ছাড়া আর কেউ নেই। তাই তিনি দাড়ায়নি আর এক মুহুর্ত! চলে গেছেন রাতেই! লতিফা একচোখে তাকিয়ে বাইরে। চোখের কোনে শিশির বিন্দুর মতন নোনা পানি। ফরসা মুখে তা চকচক করছে। মায়ের থেকে তনু হাজারগুন সুন্দর হলেও লতিফা এখনো নিজের উজ্জ্বলতা হাড়াননি। তার চোখে পানি মানায় না। কিন্তু মেয়ের জন্য তার বুক হু হু করছে। কোথায় বসতে পারছে না ঠিকমতো। আনচানে ফেটে পড়ছেন উনি। এদিকে আজিদের ব্যাস্ততার সমাধি শেষ হয়নি এখনো। লাফিয়ে লাফিয়ে কাজ করছেন। রঙিন কাপড় খোলা হচ্ছে বাড়ি থেকে। রাধার লোক সকালে বাসমতী চালের ভাত আর গরু জবাই করে রাধা হয়েছে গোস্তো। সকলে পেট পুরে গোস্তো ভাত খেয়ে চলে গেছেন।
– বইসা আছো যে? কাজকামে তো হাত দেওনের নাম নাই। সব নিজ হাতে সামলাইতে হইতাছে। ওই তোমার চাচী কাজলের মা চইলা যায়। তোমারে ডাকে। যাও তারাতাড়ি! ‘
মাথা তুলে তাকায় লতিফা। দেড়ি হচ্ছে বলে কাজল, কাজলের মা ঘরে চলে আসেন। লতিফা আজিদের থেকে চোখ সরিয়ে কাজলকে দেখই উঠে দাড়ায়। কাজলের মা বলেন,
– আমরা আসি। মেয়ের জন্য কান্দিস না। ভালো শশুড়বাড়ী পাইসে। আসি হ্যা? ‘
লগিফা মাথা নাড়াতেই বেড়িয়ে পড়ে ওরা। আজিদও বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছে লতিফার কথায় থেমে যায়,
– শান্তি হইসে তাইনা? মেয়েরে বিয়া দিয়া কত টেকা পাইসো? ‘
– লাতিফা বন্ধ করো আজেবাজে কথা। ‘
– ক্যা? থামমু ক্যান আমি? আর তুমি যে কি কাজ করো আমি ভালা কইরাই জানি। ইশয়াখের সাথে হাত মেলাইছো তাইনা? এত এত পাপ করতেছো, আল্লা সইবে না! সইবে না আল্লায়! ‘
উত্তর না দিয়েই চলে যায় আজিদ। মাটিতে পড়ে কেঁদে ওঠেন লতিফা! হু হু করে কেঁদে ওঠেন। জমানো কষ্ট উপচে পড়ছে তার। ঠিক নেই! কিছু ঠিক নেই। সাজানো সংসার ভেঙে গুড়ো গুড়োর পথে।
_______________
মোড়লবাড়িতে বাগান নেই। রাশি রাশি ফুল গেড়ে রাখেনি কেউ। তবে আছে সূর্যমুখিফুলের এক আশ্চর্যকর বাগান। এলোমেলো ভাবে বেড়ে ওঠা বাগানে চম্পা, জুঁই, চুমকি, টগর আর তনু গেছে। অপ্সরা মতো লাগছে তনুকে। তিন বউ মাথায় সূর্যমুখী ফুল গুজেছে। তনুকে দেখে তিনজনই কিছুটা হিংসে করছে। চম্পা তনুকে মালা গেঁথে সাজাচ্ছে। কয়েক মুহুর্তে তনু যেন আপন হয়ে উঠেছে সবার। মোড়ল বাড়ির বউরা কখনো নিজের মতো শাড়ী পড়তে পারে না। বাড়ির রীতিমত গ্রাম্যভাবে সকলে গুছিয়ে শাড়ী পড়ে। মোড়লবাড়ীর সব বউকেই অপ্সরার থেকে কোন অংশে কম কিছু লাগে না। বাড়ির উত্তরে কয়েকটা সুপাড়ি গাছ। আর তারপর বিসৃত খোলান। [খোলান অর্থ ধান শুকানোর জায়গা]
– তনুশ্রী!
চম্পা তনুর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো কথাটা। তনুর মেজো শাশুড়ী জু্ঁই বলে,
– তার মানে কি চম্পা?
– কিছু না। আল্লাহ না করুক এই ফুটফুটে বড় বউটাকে যেন ছাড় দেয় ওনারা।
চম্পার কথায় চুমকি মুখে হাত গোজে। জুঁই আবারো বলে,
– এসব বলিশ না।
– কেন? কিসের ছাড়ের কতা কইতাছেন আপনেরা?
বালিকা সরল তনুর মুখে প্রশ্ন জাগে। চুমকির চোখে পানি টলটল করছে। মোড়ল বাবু ঘোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যেন তনুকে কিছু না বলা হয়। চম্পা কথা ঘোড়ায়,
– মানে বলছি তোমায় যদি তূর বিদেশে নিয়ে যেতে চায় যাইবা? ‘
– না আমি যামু না। আপনাগো থুইয়া ওহেনে কি করুম আমি? ‘
– হুম! ঘোর আপত্তি করবা। যাইতে রাজি হইবা না। কেমন? ‘
বললো চুমকি। জুঁইও বললো,
– নাকোচ করবা সরাসরি আমরা তোমারে ছাড়তে পারবো না তনু। তোমারে খুব ভালো লাগছে। ‘
– আচ্ছা আমরা যে এইহানে বইয়া আছি আম্মাতে কিছু কইবো না? না মানে কাজ…’
– নতুন বউরে কেউ কাজে কয়? ‘
– তবুও..’
– তোমার বিকেলে ভাত কাপর হবে তারপর থেকে শুরু কাজ বুঝলা? ‘
– কিন্তু ভাত কাপড় তো হিন্দুদের হয়। ‘
– আমাদের হয়েছে, তোমারও হবে!
#চলবে…..
যেহেতু পুরোনো গল্পের থিম তাই কুসংস্কারের ছটা থাকবে। আর আমি দুঃখীত। গল্প কাল পরশু নাও দিতে পারি। মোবাইল গেছে এক্কেরে! আপু ফোন থেকে কথাটুকু লিখলাম হ্যাপি রিডিং💓