#তারে_আমি_চোখে_দেখিনি
#পর্বঃ২৪
#Mst_Liza
মায়া কাঁদতে কাঁদতে রুসার রুমে চলে আসে। তারপর দরজাটা বন্ধ করে মেঝেতে বসে পরে।মায়া অনেকক্ষণ মুখ টিপে নিঃশব্দে বসে কাঁদে।আর ভাবে, এতোটা নিচু মনের কাউকে কিভাবে ভালোবাসলো? এতো রাতে ঠাট্টা করতে এসেছিলো আমার সাথে? মজা বানিয়ে রেখেছে অনুভব আমার জীবনটাকে। কিন্তু আর নয় মায়া পারছে না আর এতো অপমান সহ্য করতে।তাই মায়া চলে যাবে। এই বাড়ি ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে, অনেক দূরে।থাকুক অনুভব তার স্নিগ্ধাকে নিয়ে।এখানে থাকলে চোখের সামনে স্নিগ্ধাকে অনুভবের সাথে দেখলে মায়া আরো কস্ট পাবে।তার চেয়ে বরং দূর থেকেই ভালোবাসবে।যেমনটা আগে ভালোবাসতো।যেই ভালোবাসায় কোনো প্রতারণা ছিলো না।ছিলো শুধু এক নিছক মায়া।যা ভেতর থেকে মায়াকে শুধু টানতো। মাঝেমধ্যে আসতো আর কিছু একটা বলে চলে যেতো।
মায়া চোখমুখ মুছে উঠে দাড়ায় তারপর অনুভবকে নিয়ে লেখা ডায়েরিটা বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়।আর আনমনা হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকে।মায়ার দুচোখ গড়িয়ে শুধু অশ্রু পরছে।আজ কোনো বাঁধ মানছে না মায়ার চোখের পানির।মায়া প্রায় দুই ঘন্টার মতো পথ চলেছে।এমন সময়ে মায়ার খেয়াল আসে সে চলতে চলতে একটা নিরিবিলি পরিবেশে মধ্যে ঢুকে পরেছে।পুরোনো একটা গোডাউনের কাছে এসে মায়া আসেপাশের দিকে তাকায়।দেখে অন্ধকার গলি।ভয়ে মায়ার কলিজা শুকিয়ে আছে।এতো রাত্রে আসেপাশে তাকিয়ে আর কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।চোখ তুলে সামনে তাকিয়ে ভাবে, রাগ করে এ আমি কোথায় চলে আসলাম? মায়া ভয়ে একপা দুপা করে ফেলছে আর বলছে, কেউ আছেন? এমন সময় হঠাৎ করে চার, পাঁচ জন ছেলে এসে মায়ার হাতদুটি পেছন থেকে শক্ত করে ধরে বসে।তারপর মায়া কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা মায়ার নাকের কাছে একটা রুমাল চেপে ধরে।আর মায়া বেহুশ হয়ে যায়।আর ছেলেগুলো মায়াকে পুরাতোন গোডাউনটার ভেতরে নিয়ে যায়। মায়া জ্ঞান ফিরতেই যা দেখে সেটা দেখে মায়া অবাক।
মায়া দেখে তার বাবা-মা চেয়ারের সাথে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় পরে আছে।মায়া চিৎকার করে তাদেরকে ডাকে,
মায়াঃ মা, বাবা তোমরা এখানে? কে বেঁধে রেখেছে তোমাদের? ছাড়ও আমাকে। আমার বাবা-মায়ের কাছে যেতে দাও?
মায়ার খেয়ার করে তার নিজেরও হাত, পা বাঁধা। তাই মায়া তার বাবা-মায়ের কাছে যেতে পারে না।মায়া শুধু হাত,পা ছুড়তে থাকে আর চিৎকার করতে থাকে।ছেলেগুলো মায়ার চিৎকার শুনে ছুটে আসে।আর সয়তানি হাসি দিয়ে মায়ার বাঁধনটা খুলে দেয়।মায়া কিছু বুঝতে পারে না এখন কি করবে? তারপর নিচ থেকে এক মুঠো ধূলো উঠিয়েই ছেলেগুলোর চোখে মেরে দেয় মায়া।আর চোখে ধূলো যাওয়ার ফলে ছেলেগুলো চোখ ডলতে থাকে আর এই সুযোগে পাশে পরে থাকা রশ্মি উঠিয়ে মায়া তাদের সবাইকে এক রশ্মিতে বেঁধে ফেলে।তারপর বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে তাদের বাঁধনগুলো খুলে দেয়।তারপর ছেলেগুলোর মধ্যে একজনের ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দিলে কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে আসে।আর এসে ছেলেগুলোকে এ্যারেস্ট করে নিয়ে যায়।এবং ছেলেগুলো শিকার করে সবকিছু স্নিগ্ধার কথায়ই করেছে।এখন মায়ার কাছে সব পরিষ্কার মাহির যা যা করেছে সবই স্নিগ্ধার ব্লাইকমেলে করেছে।
চলবে,,,,,
মন ভালো নেই তাই ছোট করে দিলাম😥