#তুমিময়_প্রেম🥀♥
#PART_19
#FABIYAH_MOMO🍁
মাথায় হাত বুলিয়ে ঠোটঁ ছুয়িয়ে দিলো মুগ্ধ। গলায় আর তীক্ষ্ম মেজাজের আভাস নেই। নম্র গলায় আলতো করে মাথায় হাত ছুয়িয়ে দিচ্ছে সে। আমার মাথাটা বুকে আগলে ধরে কাটা হাত দিয়ে সামনে থেকে পানির বোতলটা নিলো মুগ্ধ। আমাকে পানি খাইয়ে সিটে হেলান দিয়ে বসিয়ে সে তাড়াহুড়ো করে হাতে রুমাল পেচালো। ভাঙা জানালা দিয়ে পানি এসে মুগ্ধের পান্জাবী ভিজিয়ে দিচ্ছে। মুগ্ধ কোনোমতো হাতে রুমাল বেধেঁ বৃষ্টির মধ্যেই গাড়ি স্টার্ট দিলো। প্রচুর অস্থিরতা কাজ করছে ওর মাঝে। কতক্ষণে গাড়ি ছুটিয়ে বাড়ি পৌছাবে সেই চিন্তাভাবনা মাথায় চেপে বসেছে। আমি কাটাছেড়া একদম দেখতে পারিনা। একটুও না। ওর হাতের দিকে একবার তাকালে আমার দম বন্ধ হয়ে নিশ্বাস আটকে আসে। কাচ দিয়ে গভীর করে কেটেছে হাতটা। অনেক গভীরভাবে কেটেছে। সেলাই পড়ে কিনা কে জানে?
.
.
বৃষ্টির মধ্যে পাড়ি দিয়ে রাত ঠিক একটার দিকে বাসার সামনে নামি। মুগ্ধের সাদা রুমাল আর সাদা অবস্থায় নেই। রক্তে মাখামাখি হয়ে গেছে সম্পূর্নটা। রক্ত শুকিয়ে চটচটে আকার ধারন করেছে। রুমালটা এনে বেসিনের ট্যাপের নিচে ভিজিয়ে চিপলে বেশখানিক তরল রক্ত পড়বে গ্যারান্টি! মুগ্ধ গাড়ির দরজায় ঠেস দিয়ে বামহাত দিয়ে কাটাহাত আকড়ে দাড়িয়ে আছে। অসহ্য জ্বালা করছে হয়তো!! আমি ওর অসহায় চাহনিটা একবার দেখে বাসার গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলাম। মুগ্ধ হয়তো চোখ দিয়েই বলছিলো, “প্লিজ যেও না! আচ্ছা না গেলে হয়না?? আমার কাছেই থাকো?? আমিতো তোমায় যেতে দিতে চাইনা!! প্লিজ থাকো!!”
সিড়ি দিয়ে উঠতেই সিড়ির জানালায় উকি দিলাম। মুগ্ধ কাটাহাতের দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভাবছে, “হাতটা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ওকে কাছে পেয়েছিলাম! এই হাতটার জন্য মুগ্ধ ধন্য!” দরজায় কলিংবেল দিতেই দেখি দরজায় একটা বড় তালা ঝুলানো। আব্বু আম্মু বাসায় নেই? আশ্চর্য উনারা কোথায় গেলো? আমার কাছে ব্যাগটাও নেই! ধ্যাৎ সেটা মনেহয় হলরুমের ওখানে দৌড়াতে গিয়ে ফেলে এসেছি! এখন কল করি কিভাবে? পায়চারি করতে লাগলাম আমি। কি করি ভেবে পা চালিয়ে একবার এইদিকে, একবার ওইদিকে হাটছি। মুগ্ধকে বলবো? নাহ্ দরকার নেই! ওর হাত কেটে গেছে, এক্ষুনি ড্রেসিং করাতে হবে! গরমে ঘেমে উঠছি আমি। কপাল বেয়ে কানের কাছে ঘামের তরল পড়ছে। আমি শাড়ির আচঁলে ঘাম মুছতেই ঘামের বদলে রক্ত দেখে শিউরে উঠলাম! একি!! আমার মাথাও কি ফেটেছে? মাথার কোথা রক্ত থেকে পড়ছে? আবারো মাথায় হাত দিয়ে ব্যথার পরিক্রমা বুঝার চেষ্টা করছি। আমার তো কোথাও ব্যথা জ্বালা করছেনা!! তাহলে কি মুগ্ধের হাত থেকে রক্ত এসে আমার মাথায় লেগেছে?? আল্লাহ ওর হাত…. আমি ধরফর করে সিড়ি দিয়ে নেমে গেটের বাইরে গেলাম। জোরে জোরে হাপাচ্ছি আমি। মুগ্ধ চলে যায়নি। ও দাড়িয়ে আছে। ঠিক ওভাবেই আছে যেভাবে আমি সিড়ির জানালা দিয়ে দেখেছিলাম। মুগ্ধ আমার দিকে তাকাতেই ভ্রু কুচকে প্রশ্নসূচক ভঙ্গিতে এগিয়ে আসলো। কন্ঠে বিষ্ময় গুলিয়ে বলে উঠলো,
— তুমি নিচে নামলে যে?? আঙ্কেল আন্টি বকেছে??
আমার হাপানো শেষ হয়নি। আমি এখনো মুখ হা করে নিশ্বাস ছাড়ছি। মুগ্ধ আমার হাত ধরে বলে উঠলো,
— চলো আমি দেখছি! ব্যাসিক্যালি ফল্টটা আমার। আমিই আঙ্কেল আন্টিকে বোঝাবো। দরকার পড়লে আরো দশটা থাপ্পর খাবো তবুও চলো প্লিজ।। আমি আঙ্কেলকে খোদ বুঝাবো!
থাপ্পড়ের কথা মনে উঠতেই আমার চোখ যেয়ে ওর গালের দিকে আটকালো। গালে পুরোপুরি পাচঁটা আঙ্গুলের ছাপ বসেছে। লাগাতার দুটো কষিয়ে চড় দেওয়াতে রক্ত জমে গেছে গালে। মুগ্ধ আমার হাত ধরে গেটের জন্য পা বাড়াতেই আমি বলে উঠলাম,
— উনারা বাসায় নেই। দরজায় তালা।
কথা কানে পৌছাতেই মুগ্ধ আমার হাত ছেড়ে অবাকচোখে তাকালো। রাতের একটারও খুব বেশি বাজে আর উনারা বাসায় নেই! ব্যাপারটা স্ট্রেন্জ! মুগ্ধ কিছুক্ষন চুপচাপ তাকিয়ে থেকে ঠান্ডা কন্ঠে বলে উঠলো,
— আচ্ছা তুমি চলো। আমি থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমি থাকতে তোমাকে টেনশান ভোগ করতে দিবো না।
আমি ওর সাথে যাবো যাবো করলেই যাওয়াটা মোটেই ঠিক হবেনা আমার। প্রথমত আব্বু আম্মু কোথায় আছেন জানতে হবে, কেনো এতো রাতে উনারা বাইরে গিয়েছেন, কোনো আপদ এসে বিপত্তি করলো কিনা খোঁজ নিতে হবে। মুগ্ধ আমার ভাবুক দুনিয়ায় ছেদরেখা টেনে বলে উঠে,
— গাড়িতে উঠো! এইবার কথা না শুনলে নিজের বুকে ছুড়ি ঢুকাবো!
.
.
–হ্যালো ইসু? ইসু? তুই শুনতে পাচ্ছিস!! আমার একটা হেল্প লাগবে!! হ্যালো….হ্যালো ইসু…
কল রিসিভ করে কোনো কথা বলছেনা ইসু। আমি এইযে চেচিয়ে ইসু ইসু করছি কোনো লাভ হচ্ছেনা। মুগ্ধ গাড়ি চালাচ্ছেন। রাস্তাঘাট পুরো নিরব। শুধু আমাদের গাড়ি ও কেবল আমরা। মুগ্ধ পাশ থেকে ড্রাইভ করতেই বলে উঠলো,
— তুমি এই মেয়েটাকে আর কক্ষনো কল করবেনা পাকনি। মেয়েটা ভালো না।
আমি অবাক হয়ে গেছি। মুগ্ধ আমার ইসরাতকে নিয়ে কিভাবে খারাপ কথা বললো! ইসু আমার বেস্টু! আমি জবাবের আশায় কপাল কুচকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলে মুগ্ধ সামনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,
— ক্যাম্পাসে তোমার নামে যতপ্রকার কুটনামি হয়েছে তার জন্য ইসরাত দায়ী। তুমি জানো কিনা ডোন্ট নো, বাট ইসরাত আমাদের গ্যাংয়ের কাছে তোমার কিছু গোপন তথ্য শেয়ার করেছে।
— কি তথ্য??
— সেটা সিক্রেট! জাস্ট এটুকু শুনে রাখো মেয়েটা তোমার জন্য ভয়ঙ্কর। প্লিজ নিজেকে মেয়েটার কাছ থেকে দূরে রাখো। আই বেগ ইউ!
মুগ্ধ গাড়ির স্পিড আরো বাড়িয়ে দ্রুত চালালো। আমি থতমত খেয়ে জানালায় তাকিয়ে রাতের অন্ধকার দেখছি। গাড়িতে থাকতেই মুগ্ধ একটা কল করে বসলো,
— হেই রিনি! আর ইউ স্লিপিং? প্লিজ! আই নিড হেল্প নাও! বেব্ তোর বাসায় আসছি। হ্যাঁ আমি গাড়িতে। আমার সঙ্গে…আমার সঙ্গে কে আছে সেটা পরে দেখিস প্লিজ আগে থাকার ব্যবস্থা কর! থ্যাংকিউ সো মাচ্ বেব! থ্যাংকিউউ! আমি আসছি!!
.
.
আভিজাত্য সোসাইটির শৌখিন রাস্তা ধরে গাড়ি ঢুকলো মুগ্ধের। রাস্তার দুধারে অসংখ্য ল্যাম্পপোস্টের বাতি জ্বলছে। মুগ্ধ একটা বিল্ডিংয়ের কাছে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি পার্ক করতে পার্কি লটে গেলো। আমি বিল্ডিংয়ের মেইন গেটের কাছে মুগ্ধের জন্য অপেক্ষা করছি। সুন্দর একটা নয়তলা বিল্ডিং। নিখুঁত নিপুণতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বিল্ডিংয়ের দেয়ালে দেয়ালে। নাম, “আজগর ভিলা”। বোঝাই যাচ্ছে খুব ভালোমানের প্রকৌশলী দ্বারা বিল্ডিং নকশা করা হয়েছে। মুগ্ধ গাড়ি পার্ক করে আমার হাতটি ধরলো এবং “চলো” উক্তি শুনিয়ে গেটের ভেতরে নিয়ে গেলো। লিফটের ছয়নাম্বার বাটন চেপে দিলো মুগ্ধ। লিফট উপরে উঠছে। মুগ্ধ নিচের ঠোটটা দাঁতে চেপে খিচ মেরে আছে। ওর হাত কি প্রচন্ড জ্বালা করছে? করতেই পারে! অনেক খানি কেটেছে!
বড় একটা কাঠের দরজার সামনে দাড়িয়ে বেল দেওয়া হলো। বেল বাজাতে দেরি চট করে দরজা খুলতে সময় লাগলো না। গোলাপি রঙের টিশার্ট ও লাল রঙের ট্রাউজার গায়ে দরজা ধরে দাড়িয়ে আছে রিনি। চোখ বিশাল আকারে বড় করে দেখছে আমাকে, চোখ ঝুলে গেছে ওর। মুগ্ধ রিনিকে দরজা থেকে সরতে বলে ভেতরে ঢুকলো আমার হাত ধরে। রিনি হতভম্বের মতো তাকিয়ে আছে এখনো। মুগ্ধ ওকে স্বাভাবিক হতে বলে রুম দেখাতে বললো। রিনির দেখানো গেস্টরুমে গিয়ে বেডে বসলাম। মুগ্ধ সোফায় গিয়ে পা তুলে বসলো। রিনি সার্ভেন্ট ডাকিয়ে লেমনেড আনালো। মুগ্ধ ফোনে ব্যস্ত। চুটিয়ে চ্যাটিংয়ে করছে ফোনে। রিনি আমতা আমতা করে বলে উঠলো,
— মুগ্ধ তুমি এই অবস্থায় কেনো? কোথায় ছিলে? পান্জাবীতে রক্ত কিসের? হাত! হাতে কি হয়েছে??
— মাই গড! রিনি থাম তো! চেচাস না প্লিজ। আমি ইর্ম্পট্যান্ট একটা কাজে ছিলাম। হাতে কিছুই হয়নি। নরমাল ইন্জুরি।
— না ! এটা নরমাল না মুগ্ধ! তোমার সাদা রুমালটা ব্লিডিংয়ে ভরে গেছে! দেখি হাতটা দেখাও দেখি!!
— দূরে থাক! কাছে আসবি না! একটা ফাস্ট এড বক্স দিয়ে যা প্লিজ। বাকিটা ও দেখবে! গো!
রিনি আমার দিকে ভ্রু কুচকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চিকিৎসা বাক্স আনতে ছুটে গেলো। রিনি যেতেই দরজা ঠেলে দিলো মুগ্ধ। ওর ফোনটা আমার হাতে বললো,
— আরেকটা বার ট্রায় করো দেখো! যদি আঙ্কেল ফোন পিক করে!! নাও ধরো!
মুগ্ধের ফোন দিয়ে এই পযর্ন্ত বহুবার কল দিয়েছি। আব্বু আম্মু কেউই কল রিসিভ করছেনা। কি হলো উনাদের? আমার তো এখন কাদঁতে ইচ্ছে করছে! উনারা কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেলো?? ফোন ধরলো না কেউ। বাজতে বাজতে কেটে গেলো কল। মুগ্ধ আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে চার্জিং সকেটে বসালো। জানালা দিয়ে দুমকা হাওয়া আসছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে উঠছে বারবার। আমি সেদিকে তাকিয়ে আছি। চোখের বাধ মানছেনা কিছুতেই। গালের উপর দিয়ে নোনা বিন্দু গড়াতে লাগলো নিমিত্তে। মুগ্ধ আবারো ব্যস্ত হয়ে উঠলো। প্রতিবার এই মানুষটা অস্থির হয়ে উঠে কেনো? আমার মন খারাপের প্রতিটা প্রহরে সেও কি অনুভব করে ক্ষনে ক্ষনে? মুগ্ধ আমার খুব কাছে এসে বসলো। বাতাসের প্রবাহে মুখের উপর থেবড়ে পড়া চুলগুলো আলতো করে কানের পিছনে সরিয়ে দিলো মুগ্ধ। আমার থুতনিতে হাত রেখে মুখটা সম্পূর্ন তার দিকে ঘুরিয়ে ঝট করে আমাকে চমকে দিয়ে ঠোঁট ছুয়িয়ে দিলো কপালে। আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে!! মুগ্ধ চোখের পলকে কি করলো !! আমি এক ধাক্কা দিয়ে ওকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিলাম। ঠোঁট কুচকে থাপ্পর মারার জন্য হাত উঠালে মুগ্ধ খপ করে আমার হাত ধরে নিজের দিকে টান মারে। কাটাহাত দিয়ে আমার ঘাড়ের উপর আগলে ধরে মুখের উপর চুলগুলো আঙ্গুল দিয়ে সরিয়ে মুগ্ধ বলে উঠে,
— থাপ্পর মারবে না পাকনি। উহু!!এই ভুল করবেনা!! আদর করবো কিন্তু…আদর!! তুমি থাপ্পর মারলেই চটান করে চুমু বসিয়ে দিবো!! এন্ড বাকিটা ইতিহাস..
আমি ছাড় পাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করছি। মুগ্ধ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমাকে ধরে রেখেছে ওর সাথে। আমি ছুটার চেষ্টা করলে মুগ্ধ আরো দ্বিগুণ শক্ত করে চেপে ধরে। নিজের সাথে মিশিয়ে ধরে। আমাদের মধ্যে ছোটোখাটো দস্তাদস্তি শুরু হতেই কেউ দরজার কাছে ভ্যাবাচেকা দৃষ্টিতে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো,
— মুগ্ধ? ততুমি মমকে জড়িয়ে ধরেছো কেনো?
মুগ্ধ রিনির কন্ঠ পেয়ে তৎক্ষণাৎ আমাকে ছেড়ে দিলো। লজ্জায় মিশে যাচ্ছি আমি! মুগ্ধ রিনির দিকে ঝাঝালো সুরে বলে উঠলো,
— ইডিয়েট! ড্যামিশ! রুমে ঢুকার আগে নক করতে হয় মেনার্স জানিস না! গেট আউট ইডিয়েট! আই সেইড গেট লস্ট!
-চলবে♥
#গল্প শেষ হয়নি।পুরো গল্প পড়তে অপেক্ষা করুন..
Eita ki hoilo….eto ta interesting nia portasi…..baki part koi….????? Baki part taratari den….plzzzzzz
প্রিয় পাঠকগণ আজ গল্পটি পোস্ট করা হবে এবং অসমাপ্ত ভালোবাসা চ্যানেলে লিংক শেয়ার করা হবে পুরোটার আপনারা পড়ার জন্য প্রস্তুত হন
Golper baki part gulo taratari den plz….
Please send next part
প্রিয় পাঠকগণ আজ গল্পটি পোস্ট করা হবে এবং অসমাপ্ত ভালোবাসা চ্যানেলে লিংক শেয়ার করা হবে পুরোটার আপনারা পড়ার জন্য প্রস্তুত হন
Kire boin naki part gula koi haraiya geche?
প্রিয় পাঠকগণ আজ গল্পটি পোস্ট করা হবে এবং অসমাপ্ত ভালোবাসা চ্যানেলে লিংক শেয়ার করা হবে পুরোটার আপনারা পড়ার জন্য প্রস্তুত হন
Please next part gulo din.🙏🙏🙏🙏
golpota denna keno……..pls apu
Ki holo apu golpo koi r o golpo toh chilo koi galo
প্রিয় পাঠকগণ আজ গল্পটি পোস্ট করা হবে এবং অসমাপ্ত ভালোবাসা চ্যানেলে লিংক শেয়ার করা হবে পুরোটার আপনারা পড়ার জন্য প্রস্তুত হন