তুমি কবে আমার হবে পর্ব ১৫+১৬

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_১৫
লেখিকা #sabihatul_sabha

অফিসের সামনে দাড়িয়ে আছি।অফিসের বেতর গিয়ে কাগজপত্র জমা দিলাম।ইন্টারভিউ রুমের সামনে বসে আছি।

একজন একজন করে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে আর আমার বুক ধড়ফড় করছে।আমার সিরিয়াল নং ১২।এখন যে আসবে তারপরি আমার সিরিয়াল খুব নার্ভাস লাগছে।

এখন আমার সিরিয়াল নিজেকে শান্ত রেখে উঠে দাড়ালাম। দরজায় নক করে বললাম।

“আসবো”?

ভেতর থেকে একজন পুরুষ বললো,

” আসুন “।

বেতরে ঢুকে সালাম দিলাম, সালাম দিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি সামনে বসা ছেলেটাকে চেনা চেনা লাগছে, আরেকটু ভালো করে দেখেই মনে পরলো।এটা তো সে দিনের ছেলেটা যার সাথে সাফার জগরা হয়ে ছিলো।এই ছেলে কি তাহলে অফিসের বস!।

আমাকে আবার পুরুষটা বলে উঠলো,

‘বসুন ‘
আমি সামনের ছেলেটার দিকে তাকিয়েই বসে পরলাম।

শান্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এটা তো ওই বোম্বাই মরিচের সাথে ছিলো ওই দিন। এখানে কি করছে,আমিও গাধা এখানে মানুষ কি করতে আসে, বলেই নিজের মাথাটা একটু জাঁকালো।

পুরুষটি এভার জিজ্ঞাসা করলো,

আপনার নাম?

আমি বললাম,’উম্মে হাবিবা নূর। ‘
তারপর আরো অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলো।সব কিছুই ঠিকঠাক উত্তর দিলাম।

পুরুষটি এবার বললো,

আচ্ছা আপনি বাহিরে অপেক্ষা করুন একটু পর রেজাল্ট জানানো হবে।

আমি বাহিরে এসে আবার আগের জায়গায় বসলাম।

——

অভি বলে উঠলো, ‘নূর আমাকে ভালোবাসতো। ‘

রুদ্রের যেনো শ্বাস আটকে আসছে।সেই প্রথম দেখায় নূরের চোখের চাহনি,কথা বলার দরন,রাগ করে চোখ রাঙানো, সব ভালো লেগে যায়, জগরা তার পর ক্লাসে, বার্থডে পার্টিতে, বাসায় পৌঁছে দেওয়া। আসতে আসতে সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিনত হয়ে গেছে।

রুদ্র বলে উঠলো, ‘কি ভাবে জানলি। তকে কি নূর বলেছে?

অভি কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলো, ‘না! বলে নি কিন্তু। ‘

~কিন্তু কি?.

~আমি ওর একটা ডাইরি পরেছিলাম ওইটা পরেই জানতে পেরেছি।আমি ওদের বাসায় শেষ যখন যাই তখন ওর টেবিলের উপর একটা ডাইরি দেখি। ডাইরিটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। তাই কৌতুহলের বসে ডাইরিটা হাতে নেই।প্রথম পৃষ্ঠা উল্টে দেখি কিছু লেখা,

“এই একদম আমার ডাইরি হাতে নিবে না। যেখানে ছিলো রেখে দাও।”

পরের পৃষ্ঠায়,”তোমর সাহস তো কম না। আমি না করার পরেও আমার ডাইরি হাতে নিয়ে রেখেছো।”

তারপর কিছু পৃষ্ঠায় হাবিজাবি লেখা।হঠাত একটা পৃষ্ঠায় আমার চোখ আটকে যায়। সেখানে লেখা ছিলো,

“আজ জীবনের প্রথম কোনো ছেলেকে দেখে আমার হার্টবিট বেরে গেছে।ওফফ এতো কিউট ও ছেলে হয়।”

কৌতুহল যেনো বেরে গেলো, কে এই ছেলে জানার জন্য আবার পৃষ্ঠা উল্টে দেখি লেখা,

“ইসস এতো খোঁজার পরেও আপনাকে পেলাম না,এদিকে মা বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে আমি এখন কি করবো। আমি তো মনে মনে ঠিক করেই নিয়েছি। আপনি ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না।আপনা কে তো আমি খুঁজে বের করবোই।”

এতো টুকু পরেই আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।ইসস মেয়েটা কাউকে ভালোবাসতো কিন্তু আমার জন্য সে-ও তার ভালোবাসার মানুষটিকে পেলো না।দেখি আর কিছু লেখা আছে কিনা,

“আমি ভাবতেও পারিনি। আল্লাহ তোমার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া। যাকে ভালোবাসি তাকে এভাবে পেয়ে যাবো ভাবতেও পারিনি। অভি আমি আপনাকে কতো খুঁজেছি যানেন?থুর আমিও না আপনি জানবেন কিভাবে।আপনি তো ডাইরেক্ট বিয়ে করতে চলে আসছেন। আজ মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমি সব থেকে সুখী মেয়ে যে কিনা ভালোবাসার মানুষটিকে বিনা পরিশ্রমে পেয়ে গেছি।”

অভি:আমি এবার স্তব্ধ হয়ে গেছি। আমি!! কিন্তু আমার তো মনে হয় না। বিয়ের আগে আমি ওকে কোথাও দেখেছি। তাহলে ও আমাকে ভালোবাসে কিভাবে?আবার পৃষ্ঠা উল্টালাম যদি এ বিষয় কিছু লেখা থাকে,

কিন্তু না এ বিষয় আর কিছু লেখা নেই, অনেক গুলো পৃষ্ঠা উল্টানোর পর আবার দেখলাম কিছু লেখা,

“দেয়ালের ক্যালেন্ডার বদলেছে। পৃথিবীর আবহাওয়াও বদলেছে, আরো বদলে যাচ্ছে আমাদের সম্পর্ক। যা কিছু প্রয়োজন সব গুছিয়ে রাখি প্রতি দিন তোমার জন্য, অফিস ফেরত ক্লান্ত হয়ে আপনি এসে আমায় জরিয়ে দরে চুমু খাবে সেই আশায়।
ঘরের জানালা দিয়ে আজকাল সূর্যাস্ত দেখি। আরো দেখি তিনটে ছাদ পেরিয়ে দুটো মানুষের কপাল ঠেকিয়ে চুমু খাওয়া।
কতশত বার নিজেকে বুঁজিয়েছি আপনি ফিরে আসবেন এটা বলে।আপনার ফিরে আসার প্রতি আস্থা রেখে পথ চেয়ে চেয়ে পরিচিত রাস্তা ভুলে গেছি আমি।
তারপর কতো বেলা ডুবেছে।বারান্দার টবে কতবার ফুল ফুটেছে। রাত হচ্ছে দিন যাচ্ছে।
অথচও,
আপনার ফিরে আসার কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না।
তাই আপনাকে মুক্তি দিয়ে দিবো,জোর করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না। আমি না হয় আপনার সুখেই সুখী হলাম।”

তারপর আর কিছু লেখা নেই।আমি ডাইরিটা যেখানে ছিলো সেখানেই রেখে দিলাম।

এবার রুদ্র বললো,’তার মানে নূর তকে ভালোবাসতো?’

অভি আকাশের দিকে তাকি বললো,’হুম বাসতো ঠিক যতটা ভালোবাসা আমি আগে ওর চোখে দেখেছি আমার জন্য। এখন ঠিক ততটাই ঘৃনা দেখি ওর চোখে।ও এখন আর আমাকে ভালোবাসে না।

এই কথা শুনে রুদ্র বললো,’আর তোই?

~আমি কখনোই ওকে ভালোবাসিনি, তবে ওকে আমার ভালো লাগে।ওর ঘুমন্ত মুখটা দেখতে ভালো লাগে,ওর কথা শুনতে, ওর হাসি,অভিমান,কেয়ার,সব কিছুই ভালো লাগে।আর মা’র জন্য হলেও আমার ওকে আবার চাই।আর ভালোবাসা আসতে আসতে হয়ে যাবে।এক ছাদের নিচে থাকলে ভালোবাসা এমনি হয়ে যাবে।

——

~বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।চাকরিটা হয়েছে আম্মুকে বলার পর আম্মু অনেক খুশি হলো।

আম্মু:তুই কি আর বাহিরে যাবি?

~হুম আম্মু একটু সাফাদের বাসায় যেতে হবে। ক্লাসের নোট গুলো সাফার কাছে।

আম্মু:আজ কে আবার তোর নামে পার্সেল এসেছে।

~কখন এসেছে?

আম্মু:তুই বাসা থেকে বের হওয়ার পর।

~আচ্ছা দাও।

আজকের পার্সেল বক্সটা মাঝারি সাইজের।খুলে দেখি,

খুব সুন্দর এক জোরা পায়েল।সাথে একটা চিরকুট।

চিরকুটটা খুলে দেখি লেখা,,

“তোমায় দেখেছি কাল,তোমার গায়ে কালো শাড়ি।হাত ভরতি কাঁচের চুরি।কানে পাথরের দুঁল।খোঁপা করা ছিলো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো।ঠোঁটে ছিলো প্রকৃতির সাজ।কাজঁল ছিলো চোখে।পায়েল তুমি পরোনি।ঐ পায়ে রাঙাবো আমি নীল রঙে হারানো গৌধুলি।প্রতি দিন আমি অল্প করে সূর্যের লাল আভাঁ ঢেলে দিবো তোমার পায়ে।রক্তিম ছোঁয়ার পরর্শে।
ভয় পেও না সূর্যের উত্তাপ ধোঁয়া টা আমি আমার দেহে বহন করে নিবো।তোমায় রাঙিয়ে।
কখনো কখনো তোমার অভিমানে পায়েল হয়ে সুর বাজিয়ে রাগ ভাঙ্গাবো।
কত ভাবে চাই আমি তোমাকে। ”

চলবে….

হাতের লেখা ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_১৬
লেখিকা #sabihatul_sabha

সাফার থেকে ক্লাসের নোট গুলো নিতে ওদের বাসায় আসলাম। আন্টি বাসায় আছে আঙ্কেল অফিসে। আন্টির সাথে কথা বলে সাফার রুমের দিকে যাওয়ার সময় একটা রুম থেকে গিটারের টুংটাং শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে গেলাম।চুপিচুপি সেই ঘরে উঁকি দিলাম। রুমের বেতরটা একদম অন্ধকার হয়ে আছে।তবে রুমে ঢুকেই বুঝা যাচ্ছে রুমে কেউ নেই।আরেকটু সামনে গিয়ে দেখি রুদ্র স্যার বেলকনিতে চেয়ারে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে গিটারে টুংটাং আওয়াজ তুলছেন।চুপিচুপি আবার বেরিয়ে আসার সময় গানের সুর আমার কানে আসলো।আমি থমকে গেলাম।

‘সখি, ভাবনা কাহারে বলে?
সখি, যাতনা কাহারে বলে?
তোমরা যে বলো,
দিবস-রজনী,ভালোবাসা, ভালোবাসা।
সখি,ভালোবাসা কারে কয়?
সে কি কেবলই যাতনাময়?

খেয়াল করে দেখলাম স্যারকে আজকে অন্য রকম লাগছে।কেমন যেনো একটা আচ্ছন্ন ভাব।কোনো কিছু নিয়ে হয়তো মন খারাপ। কিন্তু উনার গানের সুর আমার ঘোর লেগে যাচ্ছে। হার্টবিট বেরে যাচ্ছে। আমি মনে মনে অনুভব করলাম আজ কাল স্যারকে নিয়ে যেনো একটু বেশিই ভাবছি।এমন তো নয় যে আমি আবার স্যারের প্রতি দূর্বল হয়ে পরছি।না না এমনটা যেনো না হয়।
হঠাৎ ইংলিশ গানের সফট মিউজিক বেজে উঠতেই চমকে যাই।ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকাতেই দেখি স্যার এখনো মন দিয়ে টাইপ করছে।আগের গানটা কখন শেষ হলো খেয়ালি করিনি।এখানে বেশিক্ষন দাড়িয়ে থাকা বিপজ্জনক। স্যার দেখার আগেই আমি কেটে পরলাম।

সাফা মুখ ভার করে বসে আছে ওর সামনেই আমি হাশি আটকাতে না পেরে হেঁসে দিলাম।

সাফাঃ এভাবে দাত বের করে হাসতেছিস কেনো!!আমি কি কোনো জোক্স বলছি তোকে?

~ওকে এই দেক মুখে হাত দিয়ে দিলাম আর হাসবো না।কিন্তু তুই প্রেগন্যান্ট কবে হলি একবার জানালিও না।

সাফাঃ নূরের বাচ্চা ওটা জাস্ট ওই গাধাকে ফাঁসানোর জন্য বলছি কিন্তু আমি কি জানতাম না-কি যে নিজেই ফেঁসে যাবো।

~মেঘা,মেঘ এর ভাই তাহলে আবরার আহমেদ শান্ত।

তুই নাম জানলি কিভাবে,? বলেই ব্রু কোচকে আমার দিকে তাকালো সাফা।

আরে তকে তো বলাই হয়নি।আজ আমি ইন্টারভিউ দিতে গেলাম না। ওই অফিসের বস হলো,আবরার আহমেদ শান্ত। আমি তো প্রথম দেখেই টাস্কি খেয়ে ছিলাম।

সাফাঃ ওহহ আচ্ছা। তো তর জব কি হয়েছে?

হুম হয়েছে। দুই দিন পর থেকে জয়েন করবো।

——

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলাম।আসার সময় আন্টি খাবার খাওয়ার জন্য অনেক বার বললেন আমি বললাম আরেক দিন আসলে খাবো তারপরও আন্টি না খায়িয়ে ছারলেন না।স্যারের সাথে আর দেখা হয়নি রুদ্র আর রুম থেকেই বের হয়নি।চোখ বন্ধ করতেই চিরকুটের কথা মনে পরলো।কাল একবার কুরিয়ার অফিসে গিয়ে খুঁজ নিয়ে আসবো। কে এই ব্যক্তি।

——
রুদ্রের চোখে ঘুম নেই।চোখ বন্ধ করলেই নূরের চেহারা বেশে উঠে।এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে উঠে বসলো।ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে ১:৪৫বাজে।ও আমার বন্ধুর বউ ছি আমি কি করে ওকে ভালোবাসতে পারি। কাল থেকে ওর থেকে দূরে দূরে থাকবো।একদমি ওর দিকে তাকাবো না।
আবার নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করলো ‘আচ্ছা নূর কি এখনো অভি কে ভালোবাসে?আর অভি তো ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।এখন তো আর অদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।আমি কি নূর কে জিজ্ঞেস করবো ও অভি কে ভালোবাসে কি-না।যদি নূর অভির কাছে ফিরে যেতে চায় তাহলে আমি নিজেই ওদের এক করে দিবো। আর যদি না যেতে চায় তাহলে, কি অভিকে বলবো ওকে ভুলে যেতে।?
ওফফ নিজের এই সব অদ্ভুত ভাবনার উপর নিজেই বিরক্ত হয়ে আবারো শুয়ে পরলো।কিন্তু না তাও ঘুম আসছে না।আজ হয়তো আর আমার ঘুম হবে না। বলে উঠে বেলকনিতে চলে গেলো। শুয়ে থাকার রাতের আকাশ দেখা অনেক ভালো।

——
অভি বসে বসে ভাবছে কিভাবে নূর কে কালকে ইমপ্রেস করবে।কি করলে নূর আবার ওর কাছে ফিরে আসবে।

অভি আবারো নূরের নাম্বারে কল দিলো কিন্তু কোনো লাভ হলো না। নূর সিম পাল্টে ফেলেছে।
নূরের সাথে কথা বলবে ভেবে আজ আবার একটা নতুন সিম কিনে ছিলো।কিন্তু এখন তো দেখে নূর নিজেই সিম পাল্টে ফেলেছে।
অভি বলে উঠলো, ‘আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো হয়তো এখন অভিমান করে আছো খুব জলদি আমি আবার তোমায় আমার করে নিবো।এবার আর কোনো কষ্ট তোমায় ছুঁতে পারবে না।আর এক ফোঁটা জল আমি পরতে দিবো না তোমার চোখ দিয়ে।আমি কালকেই তোমার সাথে দেখা করবো।আমার কাছ থেকে যতই পালিয়ে বেরোও না কেনো শেষে আমার কাছেই এসে ধরা দিতে হবে।

——

সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে। বাগানে কিছুক্ষন হাটাহাটি করে রুমে চলে আসলাম।

সকালের নাস্তা করে কলেজের জন্য বেরিয়ে গেলাম।

মেঘাঃ কি হলো! দাঁড়িয়ে পরলি কেনো?
সাফাঃদেখ মেঘা সব মেয়েরা Western ড্রেস পড়ে এসেছে।আর আমি ইসস তারাহুরো করে এটা পরে চলে এসেছি সবার মাঝে আমাকে কেমন যেনো লাগছে।

মেঘাঃ ধুর চলতো।
সাফাঃ আচ্ছা ওয়েট ওয়েট
মেঘাঃ আবার কি?
সাপাঃ চুল গুলো খুলে বিলিয়ে দিলো।বেগ থেকে লিপস্টিক বের করে দিয়ে নিলো।
মেঘাঃ হা করে তাকিয়ে আছে।
সাফাঃ মেঘা কে একটা চিমটি দিয়ে,ওই কি হলো হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো। মশা ঢুকবে হা বন্ধ কর।
মেঘাঃ তোর সাথে আর কথায় পারা যাবে না, ভাইয়ার বউ হয়ে কবে আসছিস সেটা বল?
সাফাঃ কিসের ভাইয়ের বউ হা ওই গাধাকে কে বিয়ে করবে হা।
মেঘাঃআমার ভাইকে একদম গাধা বলবি না।
সাফাঃ তো কি বলবো?
মেঘাঃ সেটা সময় হলেই বুঝবি এখন চল তো।
সাফাঃ হুম চল।

ওদের সাথে আমিও গিয়ে হাটা শুরু করলাম।
~কোথায় যাচ্ছিস তোরা?
সাফাঃ এই তো সামনে থেকেই ঘুরে চলে আসবো চল।

হাঁটতে হাঁটতে আমার চোখ একটা কেট্রোস গাছের উপর পরলো।আমি গাছটির কাছে গিয়ে ভালো করে দেখছিলাম, বেশি বড় হয়নি গাছটি। চারটে ডাঙা বেরিয়েছে মাত্র হঠাৎ বাতাসে আমার ওড়না গিয়ে পরে কট্রোস গাছের উপর। গাছটির পুরো শরীর কাটায় আবৃত।তাই ওড়নাটা ছারাতে পারছি না।এই দিকে ছুটালে ওইদিকে লেগে যাচ্ছে। ওড়না ছুটাতে ব্যস্ত আমি।
আমার মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ডাকছে বা কিছু একটার শব্দ হচ্ছে। আমার আবার কানে হেডফোন যার জন্য কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।
পিছনে ফিরে তাকাবো ঠিক সেই সময়। হঠাৎ কে যেনো এসে আমাকে সরিয়ে নেয়।আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।শুধু মিউজিকের পাশাপাশি একটা কর্কট শব্দ শুনতে পেলাম।
চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি,একটা দোকান ভেঙে গাড়িটাও দুমরে মুচরে গেছে।
এবার খেয়াল করলাম কারু শরীরে মাথা ঠেকিয়ে আছি আমি।
মাথা তুলে তাকিয়ে বলে উঠলাম,’স্যার আপনি?’

রুদ্রঃ are you mad? কখন থেকে সবাই বলছে সরে যেতে আর তুমি কিনা।
২সেকেন্ড only ২সেকেন্ড যদি লেট হতাম না আমি, তাহলে এতোক্ষনে বলেই আবার নূর কে জরিয়ে ধরলো।

চলবে…

হাতের লেখা ভিশন কাঁচা, ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here