#তুমি_গহীন_অনুভব
#পর্ব_৯
#লেখিকা_আজরিনা_জ্যামি
আইজান রুমে গিয়ে দেখলো ইরজা চুপ করে শুয়ে আছে। হয়তো ঘুমোচ্ছে এই ভেবে আইজান আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো যাতে ইরজার ঘুম না ভেঙে যায়। কারন ইরজার খুব ঘুম পাতলা। সবে মাত্র আইজান হাতের ঘড়িটা খুলেছে তখন ইরজা বলল,,
“শুভ্রপরীর প্রেমিক পুরুষ কি আজ তার শুভ্রপরীকে নির্জনে হাঁটতে নিয়ে যেতে পারবে? তার শুভ্রপরীকে যে ভিশন বিষন্নতা ঘিরে ধরেছে। তার শুভ্রপরী যে প্রেমিক পুরুষ এর সাথে সব বিষন্নতা মুছে ফেলতে চাইছে। প্রেমিক পুরুষ কি তার সঙ্গ দেবে?”
তখন আইজান মুচকি হেসে ইরজার দিকে এগিয়ে এসে বলল,,
“শুভ্রপরীর জন্য যে তার প্রেমিক পুরুষ সব করতে পারে তাহলে সে কি আর এইটুকু করতে পারবে না।”
ইরজা কিছু বললো না। তখন আইজান আবার বলল,,
“আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ঘুমিয়ে গেছো? ”
“আপনি বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত আমি কখনো ঘুমিয়েছি। ”
“মন খারাপ?”
“উঁহু! আজকে তো আমাদের খুশির দিন বাবার হত্যাকারী যে আজ জেলের ভেতর। আচ্ছা আপনারা শরীফুল আলম কে অনেক মেরেছেন তাইনা।”
“উঁহু আমি মারিনি তোমার ভাইয়েরা মেরেছে। আর বলেছে তোমার পক্ষ থেকেও নাকি তারা মেরে দিয়েছে। তুমি নাকি বলেছো তোমার পক্ষ থেকে মারার জন্য।”
“হুম কারন সেদিনের এক্সিডেন্ট এর পেছনে উনার হাত ছিলো। তাই ওনার কত বড় সাহস আপনাকে আঘাত করে। তারওপর ও আমার বাবাকে মেরেছে ওকে কি করে ছাড়তাম আমি। শুধু আমি যেতে পারিনি ওখানে নাহলে ওকে কি করতাম আমি নিজেও জানি না।”
“রিল্যাক্স ইরজা এমনিতেও সে ছাড় পাবে না।”
“আচ্ছা খুন টা কি শরীফুল আলম-ই করেছিল নাকি আরো কারো হাত আছে।”
“উনি সব দোষ স্বীকার করেছেন। উনিই ছিলেন ওনার সাথে আর কেউ ছিল না। আর এক্সিডেন্টের সেদিন ফোন উনিই দিয়েছিলেন ভয়েস চেন্জ করে কথা বলেছেন আমাদের সাথে।”
“তার মানে সব দিক থেকে একমাত্র উনিই দোষী। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে অন্যকিছু। যাক বাদ দিন আমাদের ওপর থেকে সব চিন্তা সরে গেল। এখন আমি ভাইয়ারা একটা নরমাল জীবন কাটাতে পারবো। সেদিন আপনারা না থাকলে তো বাবার সাথে আমিও আল্লাহর কাছে চলে যেতাম।
“ইরজা যা হয়েছে তা হয়েছে আমার সামনে একদম এসব কথা বলবে না। আর মরে যাওয়ার কথা তো নয়ই।”
“আচ্ছা বাবা বলবো না।”
“আচ্ছা সেদিন কি হয়েছিল এখনো তো শোনাই হয় নি।”
“বলছি সেদিন আমি আর বাবা,,
ফ্ল্যাশব্যাক,,
“বাবা তুমি তাড়াতাড়ি ভাইয়াদের বাড়ি আসতে বলো? সবসময় এতো কিসের কাজ বলোতো। আমি এসেছি কয়েকমাস হলো আর ভাইয়াদের দেখো !”
মেয়ের কথা শুনে আজাহার মির্জা হেসে বলল,,
“কেন মা তোমার ভাইয়াদের লাগবে কেন? তোমার বাবা কি তোমায় সময় দিচ্ছে না!”
“ব্যাপারটা তেমন না বাবা আমি তোমাদের সবার সাথেই সময় কাটাতে চাই কিন্তু হয়ে উঠে না। আজ তো তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ বাড়িতেও নেই।”
“কেউ বাড়িতে নেই যখন তখন চলো আমি আর তুমি মিলে আজ রান্না করি ! তোমার ভাইদের সারপ্রাইজ দিবো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা ভাইয়াদের সাথে মিস্টার আইজান ও আসবে নাকি?”
“বোধহয় আসবে।”
“আচ্ছা চলো এখন রান্না শুরু করি!”
দুই বাবা মেয়ে মিলে রান্না শুরু করলো। ইরজার মা মারা যাওয়ার পর আজাহার মির্জা আর বিয়ে করেননি।কারন তিনি তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসতেন। রান্না বান্না ও তিনি করতে পারেন। দু’জনে মিলে রান্না শেষ করে ওপরে গেল। ইরজা ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুমে এসে দেখলো ওর বাবা আগে থেকেই বসে আছে। আজাহার মির্জা কাছে মেয়েকে কাছে ডেকে বলল,,
“আইজানের ব্যাপারে তোমার কি মত? তোমাদের বিয়েটা কিন্তু ছোটবেলায় ঠিক করা হয়েছিল যদিও ইশতিয়াক এর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। না থাকলে কি হবে আমি আমার কথা রাখবো। কিন্তু তুমি যদি মত না দাও তাহলে অন্য কথা।”
তখন ইরজা বলল,,
“মিস্টার আইজান যেমন ছেলে যেকোন মেয়ে ওনার জীবনসঙ্গী হতে চাইবে ওনাকে আমারো ভালো লাগে। কিন্তু বড়বাবার কি তোমার কথা মনে আছে!”
“সে হয়তো কাজের চাপে ভুলে গেছে। সমস্যা নেই তাতে কি হয়েছে আমি তো মনে রেখেছি।”
“তুমি জানলে কিভাবে মিস্টার আইজান-ই বড়বাবার ছেলে।”
“ওর বাবার আর ওর নাম দেখেই তাছাড়া ইশতিয়াক এর সাথে ওর চেহারার মিল আছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
“ওহ হো আমি তো ভুলেই গেছি আমাকে একটা কল করতে হবে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে তুমি রুমে গিয়ে কল করে এসো।”
“আচ্ছা।”
ইরজা রুমে চলে যায়। ও রুমে গিয়ে কথা বলতে থাকে তখন কিছু লোক একটা গাড়ি নিয়ে ওদের বাড়িতে আসে ইরজা ভাবে ওর ভাইয়ারা বোধহয় এসে পরেছে । তাই ও কথা শেষ করেই নিচে আসবে বলে মনস্থির করে কিন্তু কিছুক্ষণ পর ও একটা গুলির শব্দ শুনতে পায়। ও ফোন রেখেই তাড়াতাড়ি করে নিচে যায়। তখন ওর বাবাকে নিচে পড়ে থাকতে দেখে আর হাত বুক থেকে মাথা দিয়ে রক্ত পরছে আর আশেপাশে কয়েকজন মুখোশধারী লোক। ওর সামনেই আজাহার মির্জার মাথায় আঘাত করে আর বুকে আবার আরেকটা গুলি করে আর তা দেখে ও চিৎকার দেয় “বাবা” বলে । ও দৌড়ে ওর বাবার কাছে যায় ওর বাবা নিভু নিভু চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। তখন আজাহার মির্জা অনেক কষ্ট করে বলল,,
“আমার সময় বোধহয় ফুরিয়ে এসেছে। আজকে ইশতিয়াক কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আমার রুমের ড্রয়ারে একটা চিঠি আছে ওটা ইশতিয়াক কে দিও। ওটা আমি কাল ওকে পাঠাতাম আর হ্যা আমি বোধহয় তোমাদের বিয়ে দেখতে পারবোনা তুমি আইজান কে বিয়ে করে নিও। আর হ্যা এখন তুমি পালাও ওরা এখানেই আছে। আমাকে ভেবে একদম কাঁদবে না।তুমি না স্ট্রং গার্ল।
“বাবা তুমি প্লিজ কথা বলো না!”
“আজ বলতে না পারলে আর বলতে পারবো না। ভালো থেকো সবাইকে নিয়ে! আল্লাহ তায়ালা তোমাদের সাথে আছে।”
এইটুকু বলেই আজাহার মির্জা চোখ বন্ধ করলেন। ইরজা কাঁদতে কাঁদতে বলল,,
“বাবা চোখ গুলো বাবা শুনতে পাচ্ছো তোমার কিছু হবে না তোমার মেয়ে তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে।”
তখন পেছন থেকে আওয়াজ আসলো,,
“আমরা যেতে দিলি না তুই তোর বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবি।”
তখন ইরজা কাঁদতে কাঁদতে বলল,,
“প্লিজ আমার বাবাকে ছেড়ে দিন।”
“তোর বাবাকে ছেড়ে দিলে যে আমাদের মরতে হবে মামনি। অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছি এখন কি এই জায়গা থেকে সরে দাড়াবো।কখনো না আমার স্বার্থে আঘাত লাগলে আমি কি করতে পারি তোর ধারনাও নেই।”ওহ হো তাহলে এই মেয়েকে আজাহার লুকিয়ে রেখেছিল। সমস্যা নেই আজ থেকে এই মেয়ের কথা কেউ জানতে পারবেনা কারন এই মেয়েকে আজ আমি শেষ করে ফেলবো। আজাহার এর সাথেই।”
শরীফুল আলম আরো কিছু বলবে তার আগেই ওনার একটা কল আসে উনি কথা বলে একজন কে বলে,,
“ওকে শেষ করে ফেল আমার কাজ আছে আমি আসছি।”
বলেই শরীফুল আলম ওখান থেকে চলে যায়। তখন একজন ইরজার দিকে এগোতে থাকে তা দেখে ইরজা ওর বাবাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় আর ওপরে দিকে দৌড়াতে থাকে। ও নিজের রুমে যেতে থাকে। তখনি কেউ ওর পায়ে গুলি করে। ও ওখানেই নিচে পড়ে যায়। তখনি একজন গিয়ে ওকে উঠিয়ে থাপ্পর মেরে বলে,,
“বারে তোর দেখি খুব সাহস আমার থেকে পালাতে চাস আমার হাত থেকে কেউ এখনো পালাতে পারে নি আর তুই কি পারবি।”
ইরজা লোকটাকে ধাক্কা মারে তখন লোকটা এক হাত পেছনে চলে যায় লোকটা উঠে এসে ইরজাকে ইচ্ছে মতো চর থাপ্পর মারতে থাকে। কিছুক্ষণ পর দরজা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইরজার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরছে। ওর ব্যাথায় শরীর আসাঢ় হয়ে আসে। ও নিভু নিভু চোখে ওর বাবার মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে আছে।আর শেষের কথা গুলো ভাসছে। লোকটা বন্দুক উঠিয়ে ইরজার দিকে তাক করে তখনি আইজান আর ইরজার ভাইয়েরা আসে লোকটাকে ধরে। ইরজার ভাইয়েরা গিয়ে প্রথমে ইরজাকে ধরে। তারপর ওর বাবার দিকে তাকাতেই আতকে উঠে। আজ ওরা এতিম হয়ে গেল। আইজান ওর টিম নিয়ে এসেছে কারন ইরজা আইরিন এর সাথে কথা বলছিল তখন ও ফোনের মাঝে গুলির শব্দ শুনতে পায় আর ইরজার কোন আওয়াজ না পেয়ে ও আইজানদের খবর দেয় আর ওরা তাড়াতাড়ি ইরজাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু তাড়াতাড়ি এসেও কিছু করতে পারে নি ।আইজান ইরজার অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। তারপর ওকে হাসপাতালে ভর্তি করে আজাহার মির্জার দাফন করা হয় কিন্তু এই খবর টাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। ইরজার জ্ঞান ফিরলে ও কেমন যেনো অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে। আর ওর বাবার কথা মনে পরতেই ও ওর ভাইদের জানায়। ইরজাকে এখান থেকে দূরে পাঠাতে হতো কারন ইরজা মারা গেছে বলে শরীফুল আলম কে জানানো হয়েছে। তাই ইরজা আর আইজান বিয়ে করে নেয়।
___________________
বর্তমান,,
ইরজা এমনি কাঁদলেও আজ কাঁদছে না চোখ মুখ শক্ত করে বসে আছে। আইজান ইরজার অবস্থা দেখে বলল,,
“ইউ নো ইরজা তুমি তোমার নামের মতোই স্ট্রং।”
“চলুন না আকাশ দেখি!”
“তুমি না বললে নির্জনে হাঁটবে চলো তাহলে নির্জনে হাঁটি।”
“হাটবো তো তার আগে আপনার কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ দেখতে চাই।”
“তোমার কি খুব মন খারাপ? ফায়জা বলল তুমি নাকি সকাল থেকেই চুপচাপ।
“উঁহু বাবা বলেছে মন খারাপ না করতে সবসময় হাসিখুশি থাকতে। সকাল থেকে একটু চুপচাপ কারন আজকের দিনটা বাকি দিন গুলোর থেকে আলাদা
সেদিনের কথা গুলো মনে পারছিল তাই। এখন মন খারাপ নেই। তাছাড়া আপনি আছেন তো আমার মানসিক শান্তি।”
“কফি খাবে?”
“এখন! এখন তো ডিনার টাইম সবাই হয়তো আমাদের জন্য ।”
“হ্যা তা ঠিক বলেছো! আচ্ছা তোমার বাবা আমার বাবাকে কি চিঠি লিখেছে?”
“জানিনা আমি বাবাকে জিজ্ঞেস করেছি উনি বলেন নি।”
‘আচ্ছা চলো নিচে যাই এখন!”
“আপনি তো ফ্রেশ হননি যান ফ্রেশ হয়ে আসুন তারপর যাবো?”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
আইজান ফ্রেশ হয়ে আসলে ইরজা আর আইজান নিচে চলে যায় । সবাই বিনার করতে বসেছে। শুধু ইসহাক চৌধুরী কোথাও একটা বেরিয়েছে। কেউ কিছু বলে নি তাকে। খেতে খেতে ইশতিয়াক চৌধুরী বললেন,,
“ইরজা তাহলে কাল তোমার ভাইদের আসতে বলো।”
ইশতিয়াক চৌধুরীর কথা শুনে সবাই ইরজার দিকে তাকালো। ফায়জা বলল,,
“ভাবির ভাই ও আছে। কই আমরা তো কিছু জানি না। অবশ্য ভাবি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না।”
তখন ইশতিয়াক চৌধুরী বললেন,,
“হুম ইরজার মা বাবা কেউ নেই মারা গেছে ওর শুধু দুই ভাই আছে।”
তখন ইরজা বলল,,
“শুধু দুই ভাই না এক ভাবিও আছে।”
সবার খাওয়া শেষে আইজান বলল,,
“মা আমরা এখন একটু ঘুরতে যাবো!”
তখন আয়েশা চৌধুরী বললেন ,,
“এখন রাতে?”
“যেতাম না কিন্তু তোমার বউমা একটু আবদার করেছে ঘুরতে যাবে ।
“থাকনা রাত হয়েছে তো?”
“যাই না ইরজা এমনিতে তো কোথাও যায় না। আজ একটু আবদার করেছে একটু রাখি।
“আচ্ছা ঠিক আছে। তবে সাবধানে।”
“ওকে মা টেনশন করো না। আল্লাহ হাফেজ।”
“আল্লাহ হাফেজ।”
________________________
আইজান আর ইরজা প্রথমে লং ড্রাইভে এসেছে তারপর একটা ফাঁকা জায়গা দেখে গাড়ি থেকে
থামালো। আইজান গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা খুলে ইরজার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল ।ইরজা মুচকি হেসে আইজানের হাত ধরে নামলো। আইজান বলল,,
“তো মিসেস চলুন একসাথে নির্জনে হাঁটা বিলাস করি?”
“নির্জনে হাঁটা বিলাস এটা আবার কেমন কথা হলো জনাব।”
“আরে মানুষ কতো রকমের বিলাস করে বাগানে বসে বাগান বিলাস, চাদ দেখলে বলে চন্দ্রবিলাস,বৃষ্টি তে ভিজলে বলে বৃষ্টি বিলাস আমরা যেহেতু নির্জনে হাটবো তাই আমরা করবো নির্জনে হাঁটা বিলাস।”
আইজানের কথা শুনে ইরজা হাসলো। এটার মাথায় মনে হয় সমস্যা আছে। ইরজা আইজানের এক হাত জরিয়ে ধরে আইজানের সাথে হাঁটতে লাগলো। হুট করে আইজান বলল,,
“শুভ্রপরী আমি তোমায় ভিশন ভালোবাসি!”
ইরজা মুচকি হেসে বলল,,
“তা হুট করে ভালোবাসি বলতে ইচ্ছে হলো কেন?”
“যদি আর কোনদিন বলতে না পারি!”
আইজানের এমন কথা শুনে ইরজার পা থেমে গেল। ও আইজানের দিকে তাকালো। আইজান অসহায় চোখে ইরজার দিকে তাকিয়ে আছে। তা দেখে ইরজার বুকটা ধক করে উঠলো। ও আইজানের গালে হাত রেখে বলল,,
“কি হয়েছে আপনার এমন কথা বলছেন কেন?”
ইরজার মুখটা কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল। তা দেখে আইজান ফিক করে হেসে উঠলো। আর বলল,,
“আরে শুভ্রপরী আমি তো মজা করছিলাম তুমি সিরিয়াস হচ্ছো কেন?”
আজানের কথা শুনে ইরজার রাগ হলো আর বলল,,
“আমি বাড়ি যাবো আমি আর হাটবো না আপনার সাথে।”
আইজান বুঝতে পারল ইরজা রেগে গেছে তাই ও বলল,,
“সরি সরি আরে আমি তো যাস্ট একটু,,, তোমার প্রেমিক পুরুষ তোমার থেকে দূরে যাবে না।”
“আপনার সাথে কথা নেই এমন মজা কেউ করে!”
“আচ্ছা বাবা সরি এই দেখো কান ধরছি আর এরকম মজা করবো না প্রমিস।”
আইজান ইরজার সামনে এসে কান ধরললো। ইরজা এক দৃষ্টিতে আইজান কে দেখছে হুট করে ইরজা আইজান কে জরিয়ে ধরে বলল,,
‘আমিও আপনাকে ভালোবাসি আপনি প্লিজ এরকম কথা আর বলবেন না। আমার কষ্ট হয় এরকম কিছু ভাবলে। আপনাকে সাথে নিয়ে বাঁচতে চাই আমি আপনাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারি না।”
ইরজা আইজানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল যেন আইজান ওর থেকে পালিয়ে যাবে। আইজান ও ইরজাকে জড়িয়ে ধরল।ইরজার মনে আছে কেউ একজন বলেছিলেন কাউকে জড়িয়ে ধরলে একদম শক্ত করে জড়িয়ে ধরবেন হতেও পারে এটা তার শেষ জড়িয়ে ধরা। হতেও পারে এটা ওদের শেষ জড়িয়ে ধরা।
~চলবে,,
বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম। । আজ বোধহয় পর্বটা ছোট হয়েছে। আসলে আজ আমি গল্পটা গোছাতে পারছি না। সব কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে। যতোটুকু পেরেছি ততটুকু দিয়েছি। পর্বটা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।