তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব -০৬

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_০৬
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

অন্ধকার রুমের মধ্যে বসে আছে,কালো টি-শার্ট আর জিন্স পড়া একটি মেয়ে।ডিম লাইট অন করতে-ই নিভু নিভু আলোতে মেয়েটাকে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে।পেছনে থেকে একটা গান বের করে।একটি কালো পোশাক পড়া ভারি দেহের লোকের কপালে ঠেকিয়ে বলল।

–চিনিস আমাকে।আমি হলাম সাইকো কুইন।নিজের ভালোবাসার মানুষের জন্য সবকিছু করতে পারি।আর তোরা সামান্য দু’টো মানুষকে খুঁজে বের করতে পারছিস না।এটাই শেষ সুযোগ।আমার এই হাত দেখেছিস।এই হাতে উনিশ টা খুন একসাথে করেছি।তোকে মেরে বিশ টা পূর্ণ করে দিব।আমাকে আবার আগের রুপে ফিরে যেতে বাধ্য করিস না।সব কয়টার লাশ পড়ে যাবে।আর সাইকো কুইন,যখন রেগে যায়।তখন কি অবস্থা হয়।সেটা নিশ্চয় তোদের বলে দিতে হবে না।

মেয়েটির কথায় সবাই থরথর করে কাঁপতে শুরু করলো।

–ম্যাডাম আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।আপনি আমাদের কাজে দিয়েছেন।সেটা সঠিক ভাবে পালন করি নাই।এমনটা কোনোদিন হয়েছে।স্যার আর ম্যাডাম’কে এমন জায়গায় রাখা হয়েছে।তা আমাদের নাগালের বাহিরে।আমাদের আপনার হেল্প চাই ম্যাডাম।আপনি সাহায্য না করলে এই কাজে আমরা সফল হতে পারবো না।

–বীর তুমি মনে হয় ভুলে যাচ্ছো।সাইকো কুইন হারিয়ে গেছে।মরে গেছে সাইকো কুইন।তোমরা চাইলেও আর কোনোদিন সাইকো কুইন ফিরে আসবে না।

–কিন্তু ম্যাডাম আপনি…

–আহ,এত কথা বলছো কেনো।ওদের যদি পাতালে লুকিয়ে রাখে তাহলে পাতাল থেকে খুঁজে বের করো।যতদুর যেতে হয় যাও বীর।যতগুলো লাশ ফেলতে হয় ফেলে দাও।

–কিন্তু ম্যাডাম নিরপরাধ মানুষদের খুন করা আমাদের কাজ নই।

–তুমি আমাকে শেখাচ্ছ বীর।বীরের গলায় চাকু ধরে বলল মেয়েটি।

–সরি ম্যাডাম আমি আপনার কথার মানে বুঝতে পারি নাই।আমাকে মাফ করে দেন।আর হবে না।আমি বুঝতে পেরেছি।আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন।

মেয়েটি মুচকি হাসি দিলো।

–এই জন্য তোমাকে এত ভালো লাগে বীর।আমার এখানে থাকা নিরাপদ না।আমি তোমাদের সাথে আর দেখা করতে পারবো না।তোমরা ভুলেও আমার সাথে যোগাযোগ করবে না।শহরের অলিতে-গলিতে,কোণায় কোণায় লোক লাগিয়ে দাও।আমি আসছি।বলেই মেয়েটি চলে গেলো।

–ম্যাডাম কি বলে গেলো বীর।আমার মাথার মধ্যে কি গেলো না।বলল বিশাল।

–তোকে কি দেখে ম্যাডাম কাজে নিয়েছে।মাথা মোটা একটা।তুই কোনো কাজের না।ম্যাডামকে যদি তোর বকামির কথা বলি।আমি নিশ্চিত তোর গলা আলাদা করে দিবে।বলল বীর।

–একদম না।আমাদের ম্যাডাম অনেক ভালো।তিমি কখনো নিরপরাধ মানুষেদের শাস্তি দেয় না।উনি তাদের শাস্তি দেয় যারা পশুর থেকে-ও নিচে নেমে গেছে।বলল বিশাল।

–মাথা খাস না তো যা।আমাকে ভাবতে দে কোথায় লুকিয়ে রাখতে পারে ওনাদের।

–আচ্ছা বীর ম্যাডামের বিয়ে হয়েছে।তুমি কি কোনোদিন ম্যাডাম কে দেখেছো।

–আমি ম্যাডামকে ফোন করে দিচ্ছি ম্যাডাম আসলে জেনে নিস।

–সর্বনাশ বীর ভুলেও এ কাজ করো না।তাহলে আমাকে মেরেই ম্যাডামের বিশটা খুন করা পূর্ণ হবে।

–তুমি আর একটা কথা বললে আমি তোমাকে দু’টুকরো করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখবো।

বিশাল বুঝতে পারলো বীর রেগে গেছে।এখানে থাকা মানে নিজের মৃত্যু নিজে ডেকে আনা।তাই কোনো কথা না বলে মানে মানে কেটে পড়লো।বীর নিজের কাজে মনযোগ দিলো।

ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরলো অধরা।খেয়ে কোনোরকমে ঘুমিয়েছে।রাত বাজে দুইটা।তখনি অধরার ফোনে কল আসলো।তার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে।ডক্টর বলেছে,পনেরো দিনের মধ্যে অপারেশন না করতে পারলে তার বাবা মারা যাবে।কথাটা শোনা মাত্রই কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় অধরা।মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।এতগুলো টাকা কোথায় থেকে জোগার করবে।অধরার চাকরির পরেনো দিন হয়েছে।একমাস ও পূর্ণ হয় নাই।ছয়মাসের আগে কম্পানি তাকে ঋন দিবে না।তাহলে নানি-কে বলবো।নানি মরে যাবে।তবু্ও দিবে না।কি করবো।আশরাফুল স্যারের সাথে যোগাযোগ করবো।উনি নিশ্চয় আমাকে সাহায্য করবেন।রাতে আর ঘুম হলো মা অধরার।সকালে না খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে গেলো।

–আহান তুমি অফিসে যাচ্ছো।

–হ্যাঁ আব্বু কেনো কিছু বলবে।

–কাজ কেমন করছো।বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগছে না।আমি’ও তোমার সাথে আজ অফিসে যাব।

–আব্বু তুমি পাগল হয়ে গেছো।তোমার অসুস্থ শরীর নিয়ে আমি তোমাকে কিছুতে-ই অফিসে যেতে দিব না।আমার কথা না শুনলে আমি খুব রেগে যাব।বলে দিলাম।আমি আসছি আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।বলে’ই আহান চলে গেলো।

অধরা তাড়াতাড়ি করে আসতে গিয়ে একটা বাচ্চার সাইকেলের সামনে পড়ে যায়।বাচ্চাটার মাথায় বেশ আঘাত লাগে।অধরা তাড়াতাড়ি করে বাচ্চাটাকে তুলে বলল।

–তোমার লাগে নাই তো।কোথায় ব্যাথা পেয়েছো।

–না আন্টি আমার লাগে নাই।মাথায় হালকা ব্যাথা পেয়েছি।তোমার হাত কেটে রক্ত ঝরছে তো।

–সমস্যা নেই কিছু হবে না।আমি গ্রামের মেয়ে আমার এতটুকুতে অভ্যাস আছে।

–কিন্তু আন্টি তোমার অনেক কেটে গেছে।চলো তোমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাই।

–হয়েছে আর এত পাকা পাকা কথা বলতে হবে না।আমার অফিস আছে।দেরি হয়ে যাচ্ছে।তুমি থাকো আমি আসি।বলে-ই অধরা চলে আসলো।অধরার হাত থেকে টপ টপ করে রক্ত ঝরছে।চিন্তায় মাথা কাজ করছে না।এতগুলো টাকা কিভাবে জোগার করবে।হাতে ব্যাথা শুরু হলো।অফিসে গিয়ে কিছু একটা দিয়ে হাত বাঁধতে হবে।অধরাকে দেখেই আদিল বলল।

–একি মিস অধরা।আপনার হাত কেটে গিয়েছে কিভাবে।আসুন আপনার হাতে ঔষধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই।অধরা নিষেধ করলে আদিল জোর করে অধরার হাত ধরে ঔষধ লাগতে যাবে।তখনি আহান হুংকার দিয়ে উঠলো।

–মিস্টার আদিল সাহেব আপনাকে লাস্ট বারের মতো বলছি।নিজের চাকরি টা বাঁচাতে চান।তাহলে এসব ভুল থেকে বিরত থাকুন।মিস অধরার হাত ছেড়ে দিন বলছি।রেগে চিৎকার দিয়ে বলল।

–আসলে স্যার অধরার হাত কেটে গিয়েছে।প্রচুর রক্ত ঝরছিলো তাই।

–কোনো কৈফিয়ত শুনতে চেয়েছি।আদিলে হাত থেকে ঔষধের বক্স নিতে নিতে বলল।

–থাক না আদিল।সমস্যা নেই।আমি গ্রামের মেয়ে আমার এসবে অভ্যাস আছে।বলে-ই অধরা চলে গেলো।অধরা নিজের কেবিন বসে নিজের জিনিস ঠিক করছিলো।তখনি আহান আসে অধরার কেবিনে।আহানকে দেখে অধরা দাঁড়িয়ে যায়।

–স্যার কিছু বলবেন।আপনার দরকার থাকলে আমাকে বলতে পারতেন।আমি গিয়ে দেখা করে আসতাম।

–বসো।

অধরা আহানের দিকে তাকিয়ে আছে।

–কি হলো আমার কথা কানে যাচ্ছে না।

আধরা কোনো কথা না বলে,চুপচাপ বসে পড়লো।যত্ন সহকারে অধরার হাতে ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো।

–স্যার!

–হ্যাঁ বলো।

–আপনার বাবা আর অফিসে আসবেন না।

–না বাবা অসুস্থ বাবা আর আসবে না।এখন থেকে অফিসের দিকটা আমি সামলাবো।বাবার বয়স হয়েছে।বাবা আর কত কাজ করবে।

–ওহ্।

–কেনো কিছু হয়েছে।কয়টা দিন হলো দেখছি চুপচাপ আছো।কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলতে পারো।আমি সমস্যার সমাধান করে দিব।

–কিছু হয় নাই স্যার।আপনি এবার আসুন আমার কাজের দেরি হয়ে যাচ্ছে।এখন শুরু না করলে শেষ করতে পারবো না।

আহান কিছুক্ষণ অধরার দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো।আশরাফুল চৌধুরীকে অফিসে দেখে সবাই বেশ খুশি হলো।সবাই কথা বলার জন্য এগিয়ে আসলো।সবার সাথে টুকটাক কথা বলছেন উনি।তখনি আহান এসে রেগে সবাইকে সবার কাজে পাঠিয়ে দেয়।

–এত কঠিন বস হলে হবে বাবা।সবার সাথে কোমল ব্যবহার করবে।

–বাবা তুমি জানো না।এরা কাজ করে না।গল্প,আড্ডা এটা ওটা করে সময় কাঁটায়।এর জন্য কাজে আমরা কতটা পিছিয়ে পড়ছি তুমি জানো।আমি সবাইকে বকাবকি করি না।যারা একটু ঘাড় ত্যাড়া তাঁদের ওপরে রেগে যাই।

–আমার ছেলে এত বুঝমান আগে জানলে কবেই তোমাকে অফিসে বসিয়ে দিতাম।

–তোমাকে অফিসে আসতে নিষেধ করছিলাম।অসুস্থ শরীর নিয়ে তা-ও কেনো আসছো।

–আমি তো কাজ করতে আসি নাই বাবা।আমি সবকিছু দেখতে এসেছি।তুমি যা-ও নিজের কাজ করো,আমি একটু সবকিছু ঘুরে দেখি।আহান চলে গেলো।আশরাফুল চৌধুরী অধরার কাছে আসলো।

–কেমন আছো মা।

আশরাফুল চৌধুরী কে দেখে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে এমনটা মনে হলো অধরার কাছে।অধরা তো আশরাফুল চৌধুরীর সাথে কথা বলার জন্যই অপেক্ষা করছিলো।

–স্যার আপনি,কেমন আছেন।আপনার শরীরের অবস্থা কেমন।

–আলহামদুলিল্লাহ মা আল্লাহ ভালো রাখছে।তোমার কি অবস্থা দিনকাল কেমন যাচ্ছে।

–স্যার আমার আপনার সাহায্য চাই।অধরার এমন কথার অপেক্ষাই করছিলেন আশরাফুল চৌধুরী।তিনি চিন্তিত হবার ভান ধরে বললেন।

–কি হয়েছে মা আমাকে বলো।আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবো।

–স্যার আমার কম্পানি থেকে দশ লাখ টাকা ঋন চাই।

–হোয়াট!তুমি পাগলো হয়ে গেছো।তোমার চাকরীর একমাস ও হয় নাই।তুমি এভাবে কি করে ঋন প্রস্তাব করতে পারো।আমরা ছয়মাসের আগে ঋন দেই না।

–স্যার প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন।না হলে আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে পারবো না।টাকার অভাবে আমি আমার বাবা হারাতে চাই না।আপনি আমার বেতন থেকে প্রতি মাসে টাকা কেটে নিবেন।আমি আপনাকে কথা দিলাম।আপনার টাকা যতদিন না পরিশোধ করতে পারবো।ততদিন আপনার কম্পানি ছেড়ে কোথাও যাব না।আমার যতই কষ্ট হোক না কেনো।

–এভাবে তোমাকে টাকা দিতে পারবো না অধরা।আমাদের কম্পানির এমন কোনো নিয়ম নেই।

–স্যার প্লিজ,আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।

–আমি তোমাকে টাকা দিতে পারি আমার একটা শর্ত আছে।তুমি যদি রাজি থাকো।তাহলে তোমাকে আমি টাকা দিয়ে ভরে দিব।

–কি শর্ত স্যার।

–আমার ছেলেকে বিয়ে করতে হবে তোমার।

অধরা দু’পা পিছিয়ে গেলো।

–স্যার এটা কেমন শর্ত আপনি জানেন আমি বিয়ে করবো না।তাহলে এমন শর্ত কেনো দিচ্ছেন স্যার।বিয়ের শর্ত বাদে আপনি অন্য কোনো শর্ত দিন। সবকিছু পালন করবো।তাছাড়া আপনার ছেলে আমাকে সয্যই করতে পারে না।দু’টি মানুষের মধ্যে যদি ভালোবাসা-ই না থাকে তাহলে তার সাথে আমি কি করে সংসার করবো।

–দেখো অধরা আমাকে তুৃমি মাফ করবে।আমার ছেলের জন্য আমাকে এতটুকু স্বার্থপর হতেই হবে।মনে মনে বললেন আশরাফুল চৌধুরী।তোমাকে আমি আমার শর্তের কথা জানালাম।এখন তুমি কি করবে।সেটা সম্পূর্ন তোমার বিষয়।আজ আমি আসি।আমার ছেলে খুব রাগ করবে।যদি দেখে অসুস্থ শরীর নিয়ে এখনো অফিসে আছি।আর হয়তো অফিসে আসা হবে না।

–স্যার প্লিজ যাবেন না।আমাকে এই সাহায্য টা করে যান।সারাজীবন আপনার কাছে ঋণী থাকবো।

–দেখো যা বলার আমি বলে দিয়েছি।তুমি রাজি থাকলে তবে আমার সাথে যোগাযোগ করবে।বলেই হাঁটা শুরু করলেন।

অধরা দৌড়ে ওনার কাছে গিয়ে বলল।আমি রাজি।আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করবো।তাহলে আপনি আমাকে টাকা টা দিবেন তো।আশরাফুল চৌধুরী খুশি হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন।

–তুমি সত্যি বলছো মা।তুমি আমার ছেলেকে বিয়ে করবে।তোমার কত টাকা লাগবে তুমি আমাকে বলো।

–দেখলেন স্যার নিজের স্বার্থ ছাড়া কেউ এক পা হাঁটেন না।আপনি-ও প্রমাণ করে দিলেন।হ্যাঁ আমি বিয়েটা করবো।তবে আমার একটা শর্ত আছে।

–কি শর্ত।

–আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করবো ঠিকি।কিন্তু আমি আপনাদের বাসায় থাকবো না।আপনার ছেলে আপনার মতো আর আমি আমার মতো আমার নানির বাসায় থাকবো।

–এটা কেমন কথা হলো।

–আপনি আমাকে যেমন টা বলেছেন।এখন আপনি যদি এভাবে রাজি থাকেন ভালো কথা।আর না হলে আমাকে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।

আশরাফুল চৌধুরী ভাবলেন আগে বিয়েটা হোক।পরে না হয় এটা নিয়ে ভাবা যাবে।তখন তো অধরার মন বদলে যেতে পারে।আজ অধরা আমাকে ভুল বুঝলো।একদিন ঠিক বুঝবে।আমি কোনো ভুল কাজ করি নাই।

–আচ্ছা বেশ,আমি তোমার শর্তে রাজি।তোমার কত টাকা লাগবে।

–আমার দশ লাখ টাকা লাগবে।পনেরো দিনের মধ্যে।আমাকে আজকে দিলেই খুব ভালো হয়।

–আগে বিয়ে হবে তারপরে,টাকা দিব।

–আপনি বিয়ের ব্যবস্থা করুন।

–তোমার বাবা-মা রাজি হবে তো।

–আপনি নানির সাথে কথা বলে নিন।আমি বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলবো।

ওকে তাহলে আমি এখনি তোমার নানির কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছি।শুভ কাজে দেরি করতে নেই।বলে গটগট করে চলে গেলেন।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here