তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:2
#Aayat

সারারাত ভয়ে ভয়ে কাটিয়েছে আরূ, নাজানি কোন নতুন বিপদের সম্মুখীন হতে হয় ওকে ৷ আরিশের ভয়টা বড্ড গ্রাস করছে ওকে ৷ আর তাছাড়া এই সমস্ত কথা যদি অভ্র জানতে পারে তাহলে অভ্র কখনোই ওকে বিয়ে করবে না, সে যতই অভ্র ওকে ভালোবাসুক না কেন ৷ হয়তো এটা আরূর ভুল ধারণা…..

অভ্র ইজিপ্টে থাকে, সেখানে ও কোন একটা কোম্পানিতে জব করে, আর বিয়ের পরে আরূ কে ও সেখানে নিয়ে যাবে এরকম একটা ভাবনা চিন্তা করে রেখেছে , এতে যদিও বা আরু বা ওর পরিবারের কোন সমস্যা নেই…..

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কলেজে যাওয়ার আগের মুহূর্তে ওর কাছে অন্য দিন অনেকটা আনন্দের হয় কিন্তু আজকে যেন তা সম্পূর্ণ অন্যরকম বলে মনে হচ্ছে ওর ৷
একটা আতঙ্কের সঙ্গে সময়গুলো পার করছে৷ মনে হচ্ছে এই বুঝি তার বড় কোন একটা ক্ষতি হয়ে গেল৷
ওর বাবা-মা ও চাইনা যে আরু আর বাড়ি থেকে বেরুক , যা যা হয়েছে পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেক তা নিয়ে কানাঘুষো করছে , তাই হাজারো কথা শোনার ভয়ে তারা এরকম একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন আরুকে৷

কিন্তু আজকে আরিশের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে না হলে কোন একটা বড় বিপদ হতে পারে সেটা ও ভালোই আন্দাজ করতে পারছে….
________________

রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছে রিক্সা নেওয়ার জন্য , সেখানে দাঁড়িয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরা আরুকে দেখে অনেক কানাঘুষো করছে ৷
আরুও নিজেকে তার মধ্যে কিছুটা অপ্রস্তুত মনে করলেও তা প্রকাশ করছে না ,না হলে তারা আরো চেপে বসবে ওর উপরে…..

_______________

অনেকক্ষণ ধরে আরূ দাঁড়িয়ে আছে আরিশ এর বাড়ির গেটের সামনে , কলিং বেলটা বাজানোর সাহস যুগিয়ে উঠতে পারছে না…..
ওর ভাবাবেগের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না , হঠাৎ ওর ফোনে ফোন আসতেই তাকিয়ে দেখল আরিস এর ফোন ৷

আরিসের ফোন দেখেই চমকে উঠল আরূ ,,,,,,,,

আরিশ: আরূপাখি বাইরে দাঁড়িয়ে কেন? শ্বশুর বাড়িতে ঢুকবেনা ?নাকি আমাকে নিয়ে আসতে হবে , তুমি লজ্জা পাচ্ছো তাই ৷

আরু : আমি আসছি, বলে কলিং বেল বাজাতেই একটা সার্ভেণ্ট এসে দরজা খুলে দিল ৷ আরু তাকে কিছু না জিজ্ঞাসা করতেই তিনি আরুকে বললেন যে, উপরের ডান দিকের ঘরটা আরিসের ৷

সিঁড়ি দিয়ে উঠছে আর ক্রমাগত পা দুটো কাঁপছে কারণ সারা বাড়িতে একটা মানুষজন ও নেই, সার্ভেণ্ট গুলো নিজেদের কাজে ব্যস্ত, ও যদি কোন বিপদে পড়ে তাহলেও কেউ যে ওকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসবে না , তা বুঝতে আর বাকি নেই ওর ৷

সারভেণ্ট এর কথামতো বড় রুমটার সামনে যেতেই দরজা খুলে আরিশ আরুর হাতটা টেনে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে নিল , তারপরে সঙ্গে সঙ্গে কোলে নিয়ে ওকে বিছানার ওপর ফেলে দিল ৷

আরিশ এখন আরূর উপরে , ওর গরম নিশ্বাস গুলো ক্রমাগত আরুর ওর মুখের ওপরে এসে আছড়ে পড়ছে ৷চোখে রয়েছে হাজারো রাগের প্রকাশ কিন্তু সেই রাগের কারণ আরুশির অজানা ৷অদ্ভুদ এক নেশা রয়েছে আরিশের চোখে ৷

আরু ভয়ে ভয়ে: আপনি প্লিজ আমার উপর থেকে সরে যান ৷

আরু আর কিছু বলতে পারল না কারণ তার আগেই আরিশ আরুর ঠোটদুটোকে আঁকড়ে ধরল , হাত দুটোকে বিছানা সঙ্গে চেপে রেখেছে আরিশ, আরুশি ছটফট করছে আরিশের হাতের বাধন থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য কিন্তু পেরে উঠছে না ৷

অসংখ্য কামড়ে ভরিয়ে দিচ্ছে আরূশি ঠোটদুটোকে, আরুশী ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে , তবুও আরিশৈর সে দিকে খেয়াল নেই ৷ একপর্যায়ে আরুশির ঠোঁট কেটে রক্ত বেরচ্ছে দেখে আরিশ আরুকে ছেড়ে দিল ৷

আরুশি উঠে বসতেই ওর মুখে হাত দিয়ে দেখল ঠোঁট কেটে রক্ত বেরোচ্ছে ৷রক্ত টা দেখে আরু কেঁদে ফেলল ৷

আরিস আরুশির কাছে গিয়ে আরুশির ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে বলল: আরুপাখি খুব ব্যথা পেয়েছে তুমি?

আরূ কিছু বলছে না শুধু কেদেই চলেছে , বলার ভাষা টুকুও নেই ৷ আরিশ আর কি কি করতে পারে সেটা ওর ধারণায় চলে এসেছে ৷ এখন এখান থেকে যেকোন ভাবে ও বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ,এমনিতেও যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে নতুনভাবে কিছুই হওয়ার আর বাকি নেই…..

আরু ক্রমাগত কেদেই চলেছে তা দেখে আরিশ চেঁচিয়ে বলল :
কাঁদছো কেন তুমি? আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছি ! আরিশ যেন আর নিজের মধ্যে নেই ৷

আরু ভয়ে চমকে গেল , ওর কান্না যেন আরো বেড়ে গেল ৷

তারপরে ও কাঁদতে কাঁদতে বলল : আপনি প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন , আর আমার সমস্ত ভিডিও আপনি ডিলিট করে দিন, আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি , তাহলে আপনি কেন আমার সঙ্গে এরকম করছেন ? প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন…..

আরুর কথা শুনে আরিশ হো হো করে হাসতে লাগলো তারপরে বলল:
তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো আমি এখানে আনিনি সুইটহার্ট , আজকে আবার বাসর না করে তোমাকে কি করে যেতে দিই বল?

” বাসর “কথাটা শুনে আরুশি বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে দরজার দিকে পালাতে গেলেই আরিশ আরুর হাতটা ধরে ফেলল ৷

আরিশ : এখানে এসেছ নিজের ইচ্ছায় কিন্তু যাবে আমার ইচ্ছা হলে, তাই কোন পালানোর চেষ্টা না করে যা বলছি তাই শোন ৷ আশা করি তোমারই ভালো হবে….

” ঠিক দুই দিন পর তোমার আর অভ্রের যেমন বিয়ে হওয়ার কথা ঠিক তেমনটাই হবে , শুধু বিয়ের দিন বিয়েটা অভ্রের সাথে নয় আমার সাথে হবে ৷ আর আমার কথার বাইরে যদি একটা কিছুও হয়েছে তো তোমার বাবা মাসের শেষে যে পেনশনটা পান সেটাও আর পাবে না , তোমার ভাইয়া তার হসপিটালের চাকরি টা হয়তো হারিয়ে ফেলবে, বাড়িঘর সব নিলামে উঠে যাবে, রাস্তায় গিয়ে নামবে তোমরা ৷ আর তোমার অভ্র তার কথা না হয় আমি বাদই দিলাম ৷ ”

আরুশি এবার জোরে চেঁচিয়ে বলল: আমার সাথে আপনার এত কিসের শত্রুতা যে আপনি তার প্রতিশোধ নিচ্ছেন?

আরিশ : তোমার সাথে আমার কিসের শত্রুতা?আর আমি তোমার শত্রু এই কথাটা তুমি আমাকে বলতে পারলে আরুপাখি ! আমি না তোমাকে কত ভালোবাসি, একটু আগেই কত আদর করলাম মনে নেই , নাকি কম পড়ে গেছে ৷ বলে একটা হাসি দিতে লাগল ৷

আরুশি: আমি এ সব কিছুই করতে পারবো না৷( কাঁদতে কাঁদতে)

আরিশ : যদি না করো তো আমি যা বললাম আমি আমার কাজটা করে দেখাব,বাকিটুকু তোমার ব্যাপার৷ বলে আরিশ আরূর ঠোঁটে ছোট্ট করে কিস করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল…..

আরিশ চলে যেতেই ফ্লোরে বসে কাঁদতে লাগলো, ওর জীবনে এত বড় একটা পরিবর্তন হবে এটা ও ভাবেনি কখনও ৷ একদিকে অভ্র আর আরেকদিকে তার পরিবার…..

আরিসের বাড়ি থেকে অনেকক্ষণ আগেই বেরিয়েছে আরোশী , এখন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে কারণ কলেজ টাইম অনেকক্ষণ আগেই পার হয়ে গেছে আর এখন যদি ও বাড়ি ফিরে যাই তাহলে হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বাড়িতে , যা আরুশি একদমই চায়না ৷ এখন কিভাবে সমস্যা থেকে সমাধান পাবে সেটাই ভাবছে…..

কোন কিছু একটা ভেবে ফোনটা অভ্র কে ধরালো, প্রথমবার রিং হতে ফোনটা না ধরলেও দ্বিতীয়বার রিংয়ে ফোনটা ধরলো ৷ তারপর বেশ মিষ্টি কথায় কন্ঠে অভ্র বলে উঠল,,,,,,,

অভ্র: আমার বউটা হঠাৎ আমাকে মনে করেছে তার কারণটা কি জানতে পারি?

আরূ: আপনি একটু আমার সাথে দেখা করতে পারবেন একটা জরুরী দরকার আছে….

অভ্র: নিশ্চয়ই আসতে পারবো ,এই কদিন ই তো আমি ফ্রি আছি , তাছাড়া বিয়ের দু’দিন পরেই তো আমরা ইজিপ্টে চলে যাচ্ছি ৷ তাই একসাথে কোন সময় কাটাতে সমস্যা কোথায় ! তুমি বল কোথায় আসতে হবে আমি আসছি ৷

আরুশি : নিউ মার্কেটের দিকে যেতেই লেকের পাশে যে পার্ক টা রয়েছে ওখানেই আসুন ৷ আমার কিছু কথা আছে আপনার সাথে ৷

অভ্র : তুমি একটু ওয়েট কর, আমি এক্ষুনি আসছি….

________________

অনেকক্ষণ ধরে দুজন পাশাপাশি বসে আছে অভ্র আর আরূ৷
আরূ কথাটা যেন কোনোভাবেই বলে উঠতে পারছেনা, একটা দ্বিধা ওর মধ্যে কাজ করছে কিন্তু কথাটা অভ্রকে না জানালেও নয়…..

অভ্র এবার একহাত দিয়ে আরুর কোমর টাকে চেপে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসতে গেলেই আরূশী অভ্রের হাত ছাড়িয়ে একটু সরে বসল দূরে৷

অভ্র: কি হলো , সরে গেলে যে?

আরুশি অপ্রস্তুত হয়ে: আসলে আমার আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল ৷( আসলে অভ্রর ছোঁয়ার ব্যাপারটা আরুশির ঠিক ভালো লাগল না , তাই অপ্রস্তুত হয়ে কিছুটা সরে গেল দূরে….

অভ্র বিরক্তি হয়ে : বল ৷

আরূ বলতে শুরু করল: দেখুন আমার সাথে আপনার বিয়ে হওয়ার আগে আমার সম্বন্ধে আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই…..

অভ্র: কি বলতে চাও?

আরু: আমার বিয়ে হয়ে গেছে, আর তার সঙ্গে আমি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি, যদিও বা আমার অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছে ঘটনাটা, এতে আমার কোন হাত ছিল না , জোর করেই সমস্ত কিছু আমাকে দিয়ে করানো হয়েছে….
এখন আমার সঙ্গে আপনার বিয়েটা ঠিক হয়ে গেছে তাই আমি ভাবলাম আপনাকে কথাটা জানানো উচিত না হলে আপনাকে সারা জীবনের জন্য ঠকানো হবে৷ তাই জন্য আমি আপনাকে বললাম ৷ এবার আপনি ভেবে দেখুন আপনি আমাকে বিয়ে করবেন কি করবেন না ৷

অভ্র ফিসফিস করে : ওটাই তো তোমার ভবিষ্যৎ৷

আরূ: আপনি কি কিছু বললেন আমাকে?

অভ্র : কই না তো , আমি তো বলছিলাম যে কার এত সাহস যে তোমাকে বাজে ভাবে স্পর্ষ করে ,তার নামটা বল আমি তাকে ছাড়বো না ৷

আরুশি: আপনার কিছু করার দরকার নেই, আপনি শুধু বলুন আপনি আমাকে বিয়ে করবেন কি করবেন না !

অভ্র আরূর কাছে সরৈ এসে আরূর হাতে হাত রেখে বলল :একটা ছোট্ট ঘটনায় তোমার আর আমার সম্পর্কের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হতে পারে না, আমি তোমাকে অবশ্যই বিয়ে করব, তারপর তোমাকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাব , তখন এই সমস্ত কোন দুঃঘটনাই আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না…..

আরূর চোখে কৃতজ্ঞতা ছাপা অভ্রের প্রতি ৷ চোখের কোনে জল জমে আছে , কেবল গড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায় ৷ সবকিছু জেনেও অভ্র যে তাকে বিয়ে করছে এর থেকে বড় কিছু হতে পারে না….

অভ্র ; আমি নারীকে সম্মান দিতে জানি তাই তোমার এই অসম্মান মুছে দেওয়ার কর্তব্যও আমার, তাই তুমি চিন্তা করো না সঠিক সময়ে আমাদের বিয়ে হবে ভালো ভাবেই৷ বাইরের কোনো লোক কোন কিছু ঝামেলা করতে পারবে না , আর আমি তোমাকে ইজিপ্টে নিয়ে গেলে তো তোমাকে আর কোন চিন্তা করতে হবে না….
বলে একটা বাঁকা হাসি দিল ৷ এই মুহূর্তে হয়তো এর অর্থ আরূর বোঝার ক্ষমতার বাইরে…..
________________

রাত 11:30,,,,,,,,,

ড্রয়িংরুমে আরিশের বাবা আর মা দুজনেই বসে আছে , অপেক্ষা করছে আরিশের বাড়ি ফেরার৷ কারণে এটা তার নিত্যদিনের কাজ ৷ আরিশ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এই সময়ে বাড়ি ফেরে,তবে ওনারা ঠিক করলেন যে আজ এর একটা ব্যবস্থা করেই ছাড়বেন ৷
সারা জীবন তো আর এইভাবে চলতে পারে না, এখন যদি তারা হাল না ধরেন তাহলে ভবিষ্যতে আরিশকে পাল্টানো খুব মুশকিল হয়ে পড়বে….

গাড়ির চাবিটা আঙুলে ঘোরাতে ঘোরাতে বাড়িতে ঢুকতেই আরিশ দেখতে পেল ড্রইংরুমে ওর বাবা-মা বসৈ আছে,,,,,, উনাদেরকে দেখে গুড নাইট বলে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে যাচ্ছে তখনই আরিশের বাবা বলে উঠলো:
আফজাল সাহেব : এইভাবে আর কতদিন ?তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারো না ?আর এই সমস্ত বাজে সঙ্গ ত্যাগ করো, না হলে তোমার ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারে নিমজ্জিত তা আমি বেশ ভালই বুঝতে পারছি ৷

আরিশ এর মা: তুই জানিস তো আমার ব্লাড প্রেসার টা হাই থাকে , সবসময় তোকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমার না কোন দিন কি হয়ে যায় ৷ সেদিন দেখবি ৷( চোখের জলটা শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে)

আরিশ ওর মায়ের কাছে গিয়ে ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বলল : তুমি এত চিন্তা করো কেন আমাকে নিয়ে? আমি তো ঠিক আছি তাই না!

আফজাল সাহেব: না তুমি ঠিক নেই , আমার বয়স হচ্ছে, তোমার মা অসুস্থ ৷ ব্যবসার কাজটা তো তুমি সামলাতে পারে তাই না ? পড়াশোনায় ভালো বলে যে ছোটখাটো একটা জব তুমি করবে সে আশায় তো আর আমরা থাকতে পারবো না, আমার নিজের ব্যবসাটার হাল তোমাকেই ধরতে হবে না হলে তো আমার আর কোন ছেলে নেই যে তার দায়িত্ব টা আমি তার ওপর দেবো ৷ সানা পারলে ওকেই দিতাম ৷ এগুলো যদি এখন তুমি না বোঝ তাহলে আর কবে বুঝবে?বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কী?

আরিশ কোমরে হাত রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল: আচ্ছা আমি কালকে থেকে অফিস যাব, এবার হ্যাপি তো? এখন আমার খুব খিদে পেয়েছে আমার রুমে খাবারটা পাঠিয়ে দাও, বলে রুমের দিকে যাবে তখন ‘ আরিশের মা বলে উঠলো: একসাথে ডিনার করবো , বস, এখুনি সবাইকে খাবার দিচ্ছে…

আরিশ ওর বাবা মা আর বোন সানাকে খুব ভালোবাসে তাই উনাদের কথা ফেলতে পারেন না কখনো , তাই ও বসে গেল ওনাদের সঙ্গে ডিনার করার জন্য…..

_________________

কোনো রকম কোনো খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও অল্প একটু খাবার খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে আরু, চোখটা যেই বন্ধ করতে যাবে তখনই মোবাইলে মেসেজ আসার শব্দে মেসেজে চেক করতেই দেখল আরিশ এর মেসেজ ৷ ও ভাবল যে আরিশ নিশ্চয় কোনো না কোনো থ্রেড দিবে ওকে তাই মেসেজটা চেক না করেই ঘুমিয়ে পড়ল……

আরিশ : মেসেজটা চেক করলেন না আরুপাখি, অনেক বড় ভুল করলে , রেডি থাকো….

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here