তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায় পর্ব ১৭+১৮

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_১৭
…রাতের কালো নিকষ অন্ধকারে মাঝে দূরে বিল্ডিং গুলো আর দূরে রাস্তার থেকে টিম টিমে আলো ভেসে আসছে। বারান্দায় রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বেলা এক দৃষ্টিতে দূরে দিকে তাকিয়ে আছে। সে ওই দূরের অন্ধকারের মধ্যে নিজেকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একসময় তার জীবন আলোয় আলোয় ভরা ছিল। আর এখন সেখানে শুধুই অন্ধকারে ঢাকা। এক ধ্যানে দূরের দিকে তাকিয়ে আছে।
.
. হঠাৎ করে কিছু চোখে পড়তে তার দৃষ্টি সরিয়ে একটু নিচে করতে দেখতে পায় । দুটো লাভ শেপ এর বলুন নিচু থেকে একদম তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেছে। আর তার পর আবার কিছু বেলুন এসে থেমে গেছে। বেলুন গুলোর মধ্যে বিভিন্ন লাইটিং ভরা। জ্বলছে নিভছে। বেলা হঠাৎ এমন হতে দেখে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আবার ও তাকাতে দেখে আবার অনেক গুলো একসাথে উড়ে আসছে। তার সমান সমান আসতে আসতে দেখতে পায়। প্রত্যেক টাই “ আই লাভ ইউ বেলা “লেখা আছে। বেলা অবাক হয়ে দেখছে। হটাৎ পিছন থেকে দুটো হাত তাকে পেচিয়ে ধরেছে। নড়ে ওঠার ও সময় পাইনি বেলা। কানের কাছে উষ্ণ নিশ্বাস পড়তে বেলা কেঁপে ওঠে। বেলা বুঝতে পেরেছে তার পিছনে কে আছে। এই স্পর্শ তার বহু দিনের চেনা।
.
–” আই লাভ ইউ জান। ফিস ফিস করে বলে ওঠে সাঁঝ ।
.
.সাঁঝ এর ফিসফিসিয়ে বলাতে বেলার শরীরে রোম রোম শীতল স্রোত বয়ে যায়। হালকা কেঁপে ওঠে চোখ বন্ধ করে নেই বেলা। এই সুযোগে সাঁঝ বেলার কাঁধের থেকে চুল সরিয়ে হালকা বাইট বসিয়ে দেয়। বেলা মুখ থেকে মৃদু আওয়াজ করে সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে তার সাথে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে। বেলার ঘাড়ে ঠোঁট ছুয়ে রেখে এক হাত দিয়ে বেলার মুখ টা সোজা করে দেয়। সাথে বেলা দেখতে পায়। সামনে আতসবাজি শুরু হয় আর তার মাঝে লেটার ভেসে ওঠে। প্রথমে “আই” তারপরে ভেসে ওঠে “লাভ” আর তারপরে ভেসে ওঠে “ইউ” আর একদম শেষে “ওয়াইফি”। সাথে সাথে আবার ও ফিস ফিস করে ওঠে।
.
–“আই লাভ ইউ বউ।
.
. বেলা এবার আগের তুলনায় আরো বেশি করে কেঁপে ওঠে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। সাঁঝ এর মুখ থেকে এই থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ড শোনার জন্য একসময় বেলা খুব উতলা উন্মুখ হয়ে থাকতো। আর আজ সেটা সে শুনতে পাচ্ছে হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছে সাঁঝ এর মুখে থেকে। বেলার চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছে। তার মধ্যে এখন কেমন ফিলিংস কাজ করছে সেটা ও বুঝতে পারছে না। হটাৎ করে না পাওয়া কিছু যখন পেয়ে যায় তখন কার ফিলিংস টা একদম অদ্ভূত আকারে প্রকাশিত হয়। আর এখন সেটা বেলার সাথে হচ্ছে। দু হাত মুখে চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে বেলা। সাঁঝ পিছন থেকে কোনও কথা না বলে বেলার কাঁধে অনবরত চুমু বর্ষণ করতে থাকে শক্ত করে চেপে ধরে। ।
.
. বেলা চোখ বন্ধ করতে তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই পিষে যাওয়া গোলাপের বুকে। সেই অপমান গুলো। সাথে সাথে তার মুখ থেকে পরিবর্তন হতে শুরু করে। চোখের সামনে বারবার স্লাইড হতে থাকে পিষে ফেলা ফুল আর ওই এসএমএস গুলো সাঁঝ এর সাথে থাকা দিশার ছবি গুলো। সাথে সাথে বেলা হাত উঠিয়ে মাথায় থাকা কাটা ক্লিপ খুলে নিয়ে সামনে ভেসে থাকা বেলুন গুলো তে মেরে ফাটিয়ে দেয়। আর বেলার হটাৎ এই পরিবর্তন এর জন্য সাঁঝ কোনো কথা বলে না। আর না আটকাচ্ছে বেলা কে ।সে জানত বেলার এমন প্রতিক্রিয়ায় হবে। তাই সে বেলা কে আলতো করে জড়িয়ে ধরে দেখছে। সে চাইছে বেলার মনে জমে থাকা অভিমান রাগ গুলো বেরিয়ে আসুক।
.
. বেলা সাঁঝ কে ধাক্কা মেরে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। সামনে ঘুরে সাঁঝ এর কলার টেনে ধরে তার সমান সমান করে নিয়ে চোখে চোখ রেখে বলে ওঠে।
.
–“আই হেট ইউ। শুনতে পেয়েছেন। আই হেট ইউ। বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–“আই লাভ ইউ টু। সাঁঝ মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ এর এই গা জ্বালা ধরানো মুচকি হাসি আর বলা কথার জন্য রেগে গিয়ে সাঁঝ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুমে ঢুকে যায়। এদিকে সাঁঝ দু হাত পকেটে ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেলার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
–” আই লাভ ইউ। আমি জানি তোমার ওই হেট ইউ এর মধ্যে কত টা রাগ আর কতটা ভালোবাসা ছিল। ওই কথার মধ্যে রাগের থেকে বেশি আবেগ মিশ্রিত ভালোবাসার প্রকাশ ছিল। সেটা আমি জানি। তোমাকে আমি এত বছর থেকে দেখে আসছি। তুমি আমার থেকে দূরে থাকলে ও আমি প্রতিটা মুহূর্ত তোমার পাশে তোমার কাছে ছিলাম শুধু তোমাকে বুঝতে দেয় নি। আমি চাইনি তোমার ওই বয়সে ভালোবাসা নামক বেড়া জালে আটকে গিয়ে তোমার ফোকাস হারিয়ে ফেলো। আমি জানি আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছ। আমি তোমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবো জান। তোমার মনে আমার ভালোবাসার ওপর জমে থাকা ইট সিমেন্ট পাথর বালি সব সরিয়ে আবার ও আমার নামের ফুল ফুটিয়ে তুলব। তোমাকে করে নেবো সাঁঝের বেলা। এখন আমি তোমাকে কোনো সত্যি বলব না। আমি দেখতে চাই আমার ভালোবাসার ক্ষমতা বেশি নাকি একটা মিথ্যের জোর বেশি। আমার ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে নিয়ে তবেই আমি অতীতের রাজ খুলব। আর আমার কলিজায় যে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে তাকে তো আমি জানে মারব না একটু একটু ধুকে ধুকে মারব। সেও দেখবে এবার সাঁঝ রওশন কি জিনিস। এবার তো শুরু হবে আসল গেম। সাঁঝ প্রথমে কথা গুলো আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে বললে ও শেষের কথা গুলো দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে। চোখ মুখ হিংস্র হয়ে ওঠে।
.
.
–“আজকে আমি তোমাকে আমার নেশায় আসক্ত করে দেবো। ভাসিয়ে নিয়ে যাব আমার ভালোবাসার সাগরে। যেখানে তুমি শুধু আমার আদর আর ভালোবাসায় ভাসতে থাকবে। সেখানে চারিদিকে শুধু আমার আসক্তি ভরা অতিরিক্ত নেশা মাখা ভালোবাসা আদরে মুড়ে যাবে সুইটহার্ট। আবারও বেলার উদ্দেশে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. এদিকে বেলা রুমে এসে পুরো থমকে দাঁড়িয়ে গেছে। পুরো রুমের ভোল বদল হয়ে গেছে। পুরো রুমে মৃদু আলোয় ভরা চারিদিকে ক্যান্ডেল দিয়ে ভরা। রুমে মাঝের ফাঁকা জায়গা টা টেবিল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তার ওপর চার কোণে চারটে স্ট্যান্ড দিয়ে সাদা পর্দা দ্বারা ডেকরেট করেছে টেবিল এর চারিদিকে। আর তার সাথে ঝুলছে সাদা আর গোল্ডেন টুনি বাল্ব। আর ওপর থেকে সাদা সাদা চিক চিকে কাঁচ কাগজ কুচি। আর এর ওপর একটা স্পট লাইট থাকায় আরো বেশি ঝলমলে হয়ে উঠেছে। টেবিলের ওপর একটা পাত্রে পানির ওপর ভাসছে লাল হলুদ জারবেরা ফুল আর তার সাথে ক্যান্ডেল। এক পাশে আছে একটা বড় রেড রোজ এর বুকে। আর তার পাশে একটা পাত্রে শ্যাম্পেন এর বোতল। মানে সব মিলিয়ে পুরো একটা জাঁকজমক ক্যান্ডেল লাইট ডেট।
.
. বেলা রুমের চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখছে। মুখে ফুটে আছে অবাক আর বিস্ময় এর এক্সপ্রেশন। দরজার দিকে চোখ পড়তে দেখে ওখানে বড় বড় গ্রিটিংস করে আই লাভ ইউ লেখা আছে। চারিদিকে পুরো মহময়ী সুন্দর লাগছে। সাঁঝ গুটি গুটি পায়ে বেলার পাশে এসে দাঁড়ায়। বেলার মুখে এই এক্সপ্রেশন দেখে বাঁকা হাসতে থাকে। হটাৎ করে বেলা কে হ্যাচকা টান মেরে নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়। বেলা হঠাৎ এই আক্রমণ এর জন্য হকচকিয়ে যায়। মুখের কথা মুখে রয়ে যায়। আর বাইরে বের হয় না। অবাক হয়ে শুধু সাঁঝ কে দেখতে থাকে। সাঁঝ এর মুখে থাকা ওই বাঁকা আর মুচকি মিশ্রিত হাসি দেখতে থাকে। এই মৃদু আলোয় যেনো সাঁঝ কে আরো আকর্ষণীয় লাগছে বেলার কাছে। বেলার চোখ পড়ে সাঁঝ এর ঠিক কানের পাশে থুতনির নিচে থাকা তিল এর দিকে। সাঁঝ এর ওই ফোর্সা চামড়ার ওপরে যেনো তিল টা জল জল করছে। বেলার ঘোর লেগে যাচ্ছে। সে ডুবে যাচ্ছে সাঁঝ এর ওই গভীর সমুদ্রের মতো নীল চোখের মাঝে। সাঁঝ এর ওই গোলাপি গোলাপি ঠোঁট দুটো ও যেনো আজ তাকে খুব করে টানছে। কি হচ্ছে তার সাথে। সে চেয়ে ও পারছে না সাঁঝ এর থেকে চোখ সরিয়ে নিতে।
.
. সাঁঝ বেলার দৃষ্টি অনুসরণ করে মুখের হাসি টা আরো প্রসারিত করে। এক হাত দিয়ে পকেট থেকে রিমোট বের করে মিউজিক সিস্টেম অন করে। তবে সং হচ্ছে না শুধু ইন্সট্রুমেন্ট মিউজিক গুলো বাজছে টন হিসাবে। সাঁঝ বেলা কে নিজের সাথে আরো একটু চিপকে নিয়ে এক হাত বেলার শার্ট সরিয়ে কোমরে হাত দিয়ে ধরে একটু শক্ত করে। এতেই বেলা কেঁপে ওঠে। সাঁঝ শুধু বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে পর পর নিজের কাজ করে যাচ্ছে। বেলা কে নিজের সাথে রেখেই মাঝের দিকে একটু সরে এসে। নিজের গলায় গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন
জিন্দেগি কি সাকসে লু
কুছ হাসিন পাল মে চূন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর গলায় গান শুনে অবাক হয়ে গেছে। সাঁঝ যে এত সুন্দর গান গাইতে পারে সেটা বেলা কোনো দিন জানতে পারেনি। এত সুন্দর গলার আওয়াজ। যে শুনতে ঘোর লেগে যাচ্ছে বেলার। সাঁঝ বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে বেলার মাথা তার বুকের বাম পাশে চেপে ধরে। আর তার পর আবার ও গেয়ে ওঠে।
.
.🎶 দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন
জিন্দেগি কি সাকসে লু
কুছ হাসিন পাল মে চূন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন 🎶

. বেলা শুধু অবাক এর ওপর হচ্ছে সে যেনো আজকে অবাক এর নদীর মধ্যে ডুবে যাবে। সাঁঝ যেনো আজকে তাকে চমক এর ওপর চমক দিয়ে যাবে। সাঁঝ এর বুকে মাথা রাখতে বেলার কানে আসে সাঁঝ অতিরিক্ত মাত্রায় ধুকপুক করা হার্ট এর শব্দ। এটাও যেনো বেলার কাছে নেশার কাজ করছে। এক অন্য রকম মাদকতার সৃষ্টি করছে। সাঁঝ বাঁকা হেসে বেলা কে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে বেলার পিট লাগিয়ে বেলার কাঁধে নিজের মুখ লাগিয়ে দেয়। এক হাত বেলার কোমরে রেখে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে।
.
. 🎶জো ভি জিতনে পাল জিও
উনহে তেরে সাঙ্গ জিও
জো ভি কাল হো আব মেরা
উসে তেরে সাঙ্গ জিও
জো ভি সাসে মে ভারু
উনহে তেরে সাঙ্গ ভারু
চাহে জো হো রাস্তা
উসে তেরে সাঙ্গ চালু

দিল ইবাদত কার রাহা হে
ধাড়কানে মেরে শুন
তুঝকো মে কারলু হাসিল
লাগি হে এহি ধূন🎶
.
. বেলা নিজেকে সাঁঝ এর থেকে সরিয়ে নিতে গেলে সাঁঝ বেলা কে টেনে এনে বেলার দু হাতে নিজের হাত শক্ত করে মুঠো মেরে ধরে রেখে নিজের সাথে লাগিয়ে বেলা কে উচু করে তুলে ধরে ঘুরে যায়। বেলা ঘাড় ঘুরিয়ে সাঁঝ এর বাঁকা হাসি দেখতে থাকে। সাঁঝ বেলা কে নামিয়ে রাউন্ড রাউন্ড করে ঘোরাতে থাকে। শেষে বেলা কে টেনে এনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বেলার কাঁধে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করাতে বেলা কেঁপে ওঠে। নিজের কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে গায়ের জোর দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সাঁঝ কে সরিয়ে দেয়। বেলা সাঁঝ এর দিকে আগুনে চোখে তাকিয়ে আঙুল তুলে দুরে থাকার ইশারা করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
. আর এদিকে সাঁঝ বুকে হাত দিয়ে বিছানায় পড়ে যায়। বেলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে বলে ওঠে।
.
–“হায়ে মেরি জান তোমার ওই রাগী চোখের চাহনিতে আমি আরো মাতাল হয়ে যাচ্ছি। সবে তো শুরু। এর পরে আরো বাকি আছে আমার আসক্তি ভরা ভালোবাসার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া। তোমাকে আমার নেশায় পাগল করে দেবো। শুধু দেখতে থাকো সাঁঝের বেলা।
.
.
.
. 💝💝💝
. #তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৮
… বেলা সকালে উষ্ণ ভেজা স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পিট পিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে তার ওপর ঝুঁকে আছে পাগলটা । বেলা তাকাতে টুকুস করে বেলার ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে নেয়। বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকাতে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং বেবি । বলে বেলার সামনে ধরে এক গুচ্ছ ফুল। লাল হলুদ এর ডালিয়া তুলে নিয়ে ছোট্ট বুকে মত বানানো।
.
. বেলা অবাক হয়ে যায়। সকাল সকাল এই মিনসেটার হলো টা কি। হটাৎ এত পিরিত দেখায় কেনো। এগুলোই ভাবছে সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে। ঠোঁটে থাকা মুচকি হাসি টা অনেকটাই সতেজ আর প্রাণবন্ত লাগছে বেলার কাছে। বেলা কোনো কথা না বলে পাশ ফিরে উঠে যেতে নেয়। বেলা কে উঠে যেতে দেখে সাঁঝ এর মুখের হাসিটা মিলিয়ে যায়। হটাৎ বেলা যেতে গিয়েও পিছন ফিরে সাঁঝ এর হাতে থাকা ছোট্ট ফুলের বুকে টা নিয়ে নেয়। আর সাথে ছেলের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বেলা কোনো কথা না বলেই ওয়াশরুমে চলে যায়।
.
.বেলা ওয়াশরুমে থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল মুছছে। এদিকে যে দরজায় দাঁড়ানো কারোর বেলার এই রূপ দেখে পাগল প্রায় হওয়ার অবস্থা। তার মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বেলার এই রূপ দেখে। আজ প্রথম নয়। এই রূপে বেলা কে যতবারই দেখে তখনই আরো বেশি বেশি বেলার নেশায় আসক্ত হয়। দম আটকে আসে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মাথার ভেজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি ঝরছে। কপাল থেকে গড়িয়ে পড়ছে যেটা গাল বেয়ে গলা হয়ে নেমে গেছে আরো গভীরে। এতে যে কতটা মাতাল করে দেয় সেটা হয়তো জানে না। তার এই রূপ দেখে তার ইচ্ছে করে তার বেলার মাঝে ডুব দিতে। চুলের পানির জন্য হোয়াইট শিফন ট্রান্সপারেন্ট আনারকলি স্যুট এর পিঠের দিকে পুরোটাই ভিজে গেছে। এখন বেলার পরনের ড্রেস ও দৃশ্যমান হচ্ছে। সাঁঝ গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে বেলার দিকে। পিছন থেকে বেলার চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়। হাতে থাকা চায়ের কাপ টা এগিয়ে দেয় বেলার দিকে।
.
. বেলা হঠাৎ করে সামনে চায়ের কাপ আর ঘাড়ে কারোর উষ্ণ নিশ্বাস এর আভাস পেয়ে আয়নাতে তাকাতে দেখে সাঁঝ তার চুলে মুখ ডুবিয়ে রেখেই চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়েছে। বেলা চা দেখে অবাক হয়ে গেছে।
.
–“মশালা চা । বেলা বিস্ময় নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ ।তোমার জন্য আমি বানিয়েছি। টেস্ট করে দেখো। সাঁঝ
.
–“আপনি কি করে জানলেন? বেলা প্রশ্ন করে।
.
–” আমি অনেক কিছুই জানি। সেটা এখন তোমার না জানলে ও চলবে। টেস্ট করে বল কেমন হয়েছে। সাঁঝ উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে দেয় চা এর কাপ বেলার দিকে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর থেকে কাপ নিয়ে নেয়। একবার কাপ আর একবার সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে চুমুক দেয়। আর এদিকে সাঁঝ বিছানা থেকে টাওয়েল নিয়ে বেলার চুল মুছে দিতে থাকে। বেলা কোনো কথা না বলে চায়ে চুমুক দিতে থাকে। আর আয়ানাতে দেখতে থাকে সে ঘোর লাগা ভাবে তার চুল মুছিয়ে দিচ্ছে। সাঁঝ বেলার চুল মুছে দিয়ে ঘাড়ে নিজের ঠোঁট ছুয়ে দেয়।
.
. বেলা এতক্ষণ থেকে ভেবে যাচ্ছিলো হঠাৎ করে এই সাঁঝ এর হল টা কি। কাল রাত থেকেই তাকে দেখে যাচ্ছে কেমন একটা পাগলামি পাগলামি ভাব করছে। একটু বেশি কেয়ার করছে একটু বেশি ভালোবাসা দেখাচ্ছে। কিন্তু কেনো। কেনো আবার ও সে তাকে তার দিকে টানছে। কেনো আবার ও দুর্বল করে দিতে চাইছে তাকে। আবার ও তাকে কষ্ট দিতে চায় নাকি মানুষটা। না আর ভাববে না।
.
. বেলা সাঁঝ এর থেকে সরে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাতে কাপ ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় বেলা। এদিকে সাঁঝ কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে বেলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আর হাতের কাপ এর দিকে তাকাতে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কাপে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে চা পড়ে আছে। ঠিক যেদিকে দিয়ে বেলা চুমুক দিয়েছিলো সেখানে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করায়।
.
–“চা টা ভালো হয়েছে। থ্যাঙ্কস । বেলা আবার ও ঘুরে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে পাশে থেকে দেখছিল সাঁঝ কে । তার খাওয়া বাকি চা টা সে খাচ্ছে। এটা দেখেই বেলার মুখে ফুটে ওঠে একটা চমৎকার হাসি। সে ইচ্ছা করে কাপে কিছু টা চা রেখেছিলো। সাঁঝ এর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। না তার এখন মনটা ফুরফুরে লাগছে। ঠিক তার চুমুক দেয়া জায়গায় সাঁঝ ঠোঁট রেখেছিলো। বেলা মুচকি হাসছে আর কাজ করছে।
.
.
. বেলা কিচেনে ব্রেকফার্স্ট বানাচ্ছে। হটাৎ করে পায়ে শুড়শুড়ি অনুভূতি হয়। তবে অতটা পাত্তা দেয় না। কিন্তু কি জ্বালা এত আরো বাড়ছে বই কমছে না। এবার অনুভব করতে থাকে আসতে আসতে তার আনারকলির লোয়ার পোর্শান তা পায়ের থেকে আসতে আসতে উপরে দিকে উঠে যাচ্ছে। আর তার সাথে এবার স্লাইড হিসাবে অনুভব করছে। পাশে তাকিয়ে দেখে। তার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে সাঁঝ পিলারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার পা দিয়ে তার পা স্লাইড করছে। বেলা একবার রাগী চোখে তাকিয়ে আবার ও নিজের কাজে মন দেয়। বেলা জানে এখুনি কিছু বলতে গেলে হামলে পড়বে আরো বেশি বেশি করে করবে। তাকে বিরক্ত করে যেনো সে বিশাল সুখ পায়। বেলার এই রাগী চাহনি দেখে সাঁঝ বাঁকা হেসে আরো জ্বালাতন করতে লেগে যায়। বেলার পিছন এসে দাঁড়িয়ে বেলার কোমরে দু দিকে দিয়ে শক্ত করে ধরে। কোমরে থেকে ট্রান্সপারেন্ট পার্ট টা থেকে কিছুটা খুলে খালি পেটে নিজের হাত দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। এদিকে বেলা হাতের থেকে চামচ টা পড়ে যায়। চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে নেয়। সাঁঝ বেলার কাঁধে নিজের ঠোঁট এর স্পর্শ দিতে থাকে গভীর ভাবে। এদিকে বেলার অবস্থা খুব খারাপ।
.
–“মিষ্টি ভাবি।
.
. বাইরে থেকে সারা গলা পেয়ে বেলা চমকে ওঠে। কিন্তু দেখে ডাকাত ছেলে টা এখনও তার নেশায় ডুবে আছে। বেলা সাঁঝ তার পেটের ওপর ধরে থাকা হাতে একটা রাম চিমটি কাটে। সাঁঝ মৃদু আওয়াজ করে সরে দাঁড়াতে। বেলা নিজের ড্রেস ঠিক করে রাগী চোখ দেখিয়ে বেরিয়ে যায়। এদিকে সাঁঝ বেলার চিমটি দেয়া অংশ মুখে পুরে নেয়। মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বলে ওঠে।
.
–“তুমি শেষ ঘরওয়ালি তুমি আসতে আসতে আমার নেশায় আসক্ত হচ্ছ। আমার ওপর তোমার আবারো ফিদা হতে বেশি সময় লাগবে না।
.
.
–” মিষ্টি ভাবি তুমি খাচ্ছ না কেনো। কি হয়েছে। সারা বেলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা এখন এই মুহূর্তে মুখ কাচু মাচু করে বসে আছে। খেতে ও পারছে না। রাগে ফুসছে। এদিকে সাঁঝ বাঁকা হাসি দিচ্ছে। সাঁঝ বেলার কোমরে হয়ে ডান হাত চেপে রেখেছে শক্ত করে। বেলা চাইলে ও ছাড়াতে পারছে না। তাই বেলা অসহায় হয়ে বসে আছে।
.
–“মিষ্টি। কি হল খাও। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–” আরে বাবা আমার হাতে খাবে বললেই হতো। আমি কি না করেছি সাঁঝ বেলার মুখের সামনে খাবার তুলে ধরে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেলা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে সাঁঝ এর থেকে চোখ মুখ রাগে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। সাঁঝ বেলার পেটের সাথে ধরে থাকা হাত টা আরো শক্ত করে ধরে। বেলার হাত নিজের হাতের সাথে ধরে রেখেই বেলার পেটে স্লাইড করে যাচ্ছে আর এতে বেলা কেঁপে উঠছে। সাঁঝ চোখের ইশারায় খেতে বলে না হলে এর থেকে আরো বেশি কিছু করবে। বেলা এবার চারিদিকে তাকিয়ে দেখে দুষ্টু গুলো তাদের দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে ।বেলা একবার সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে হা করে খেতে থাকে। রাগী চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ বেলা কে খাইয়ে দিতে দিতে নিজে ও খায়।
.
–“বেলা চল লেট হয়ে যাচ্ছে। আজ কেউ স্পেশাল আসতে চলেছে ইউনিভার্সিটিতে। বেদ টেবিল ছেড়ে উঠতে উঠতে বলে ওঠে।
.
–” তোমরা একটু ওয়েট করো আমরা এখুনি আসছি। আজ আমি ওকে ড্রপ করে দেবো। সাঁঝ কথা টা বলেই বেলার মুখ নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে কোলে তুলে নেয়। এদিকে ওখানে থাকা সব দুষ্টু গুলো সিটি বাজিয়ে ওঠে। বেলা হতভম্ব হয়ে দেখতে লাগে।
.
–” জিজ । ওয়ান সেকেন্ড। পোজ প্লিজ। রুহি বলে ওঠে।
.
.আর এদিকে সাঁঝ বেলা কে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে নেয় পুরো। আর তারপরে পোজ দেয়।
.
–” ডান। হেসে বলে ওঠে রুহি
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলা কে নিয়ে রুমে চলে যায়। বেলা কে কোল থেকে নামিয়ে আবারো নিজের কাছে টেনে নিয়ে বেলার ঠোঁটের চারপাশে লিক করতে থাকে। খাওয়ানোর সময়ে ঠোঁটের আসে পাশে লেগে গেছিলো। সেটা নিজের ঠোঁট দ্বারা ক্লিন করিয়ে দেয় সাঁঝ। আর তারপর গভীর ভাবে শুষে নেয় বেলার ঠোঁট। কিছুক্ষণ পর বেলা কে নিয়ে নিচে চলে আসে।
.
. আজ বেলার বাইক সাঁঝ চালাবে আর পিছনে বেলা। সাঁঝ তার অফিস কাজ ছেড়ে এখন বেলা তে ডুবে আছে। তার পাগলির মান ভাঙ্গতে লেগে আছে। বেলা সাঁঝ কে বাইকে চড়ে বসতে দেখে অবাক হয়ে যায়। তার সাথে কি হচ্ছে সে বুঝতে পারছে না। সব তার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সাঁঝ হেলমেট মাথায় দিয়ে বেলা কে এখনও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেলার হাত টেনে নিজের পিছনে বসিয়ে দেয় তার হাত সামনে টেনে এনে তার কোমরে সাইড থেকে ধরিয়ে দেয়। বেলা সরে যেতে নিলে সাঁঝ বাইক স্টার্ট দেয়।
.
. বাকি গুলো আজ মজা পেয়ে গেছে। তারা শুধু বেলার হ্যাবলা মুখ দেখে মজা পাচ্ছে আর সাথে সাঁঝ এর রোমান্স দেখে। বেলা কে নিয়ে এত পজেসিভনেশ দেখে তারাও খুব খুশি হয়েছে।

——————-

সবাই এখন ইউনিভার্সিটি প্রিন্সিপাল রুমে দাঁড়িয়ে আছে বেলা বেদ ওম রুহি নিশান। সামনে তাদের প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। সাথে আছে মিস্টার রবি।
.
–“আর এম মিউজিক গ্রুপ থেকে একটা লাইভ রেকর্ড এর কনট্রাক এসেছে। আমাদের ইউনিভার্সিটি বেস্ট ব্র্যান্ড হিসাবে তারা প্রথমে তোমাদের লাইভ পারফরম্যান্স দেখবে। তাই তোমাদের দুদিন এর মধ্যে সং রেডি করতে হবে। এটা আমাদের ইউনিভার্সিটি এর বেস্ট চান্স এর ব্যাপার। এবং সেখানে আর এম নিজে তোমাদের পারফরম্যান্স দেখবে। যদি তোমরা সিলেক্ট হতে পারো তাহলে তোমাদের নিয়ে তিনি কন্ট্রাক্টড সাইন করবেন তোমাদের রেকর্ড এর। প্রিন্সিপাল স্যার বলে ওঠে। তাদের দিকে তাকিয়ে।
.
. এদিকে বেদ নিশান তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তারা ভাবতেই পারছেনা তাদের সাথে সং রেকর্ড এর কন্ট্রাক্টড সাইন করবে আর এম গ্রুপ। এটা তাদের জন্য অনেক বড় খুশির খবর। বেলা চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে কথা গুলো তার মাথায় ঢুকলেও সেটা মাথায় গিয়ে পৌঁছুতে পারেনি। তার মাথায় এখনও সাঁঝ এর কান্ড কারখানা গুলো চলছে হঠাৎ করেই এরকম তিনশো ষাট ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল ঘুরে গেলো কি করে। এত পুরো তার মত পাগলামি চিহ্ন মনে হচ্ছে। একসময় সে নিজে যেমন পাগল হয়েছিলো। এখন কি তাহলে সাঁঝ সত্যি সত্যি তার প্রতি আসক্তি হয়েছে তাঁকে কি তাহলে সত্যি ভালোবাসে। এখন শুধু এই কথা গুলো বেলার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

—————-

–“স্যার আপনি যে নিউজ গুলো চেয়েছিলেন তার সব রিপোর্ট চলে এসেছে। আকাশ বলে ওঠে।
.
–” ওহ গুড আকাশ । সাঁঝ ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলে বলে ওঠে।
.
–“আচ্ছা তাহলে ওই রিপোর্ট গুলো তিনটে পার্টে ডিভাইড করো। প্রথম টা এখনই পাবলিশ করো আর বাকি দুটো রেখে দাও। ওটা হবে পরের বোমহাস্ত্র। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–“ওকে স্যার। বলেই আকাশ বেরিয়ে যায়।
.
. সো কাউন্ট ডাউন ইস বিগিন অ্যান্ড লেটস হ্যাভ সাম ফান বেবি। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
. তারপরেই মুহূর্তে সাঁঝ চোখ মুখ পরিবর্তন করে ফেলে আসতে চোখ মুখ লাল হিংস্র ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে
.
–” আর মাত্র কিছু ঘন্টা তারপরেই বুঝতে পারবে সাঁঝ রওশন কি জিনিষ। আগুনে হাত বাড়ালে হাত তো পুড়বে। আর এই সাঁঝ রওশন পুরোটাই আগুন। সেখানে আসতে গেলে তো পুরো ঝলসে যাবে। সবে তো শুরু ধীরে ধীরে দেখতে থাক এর পর আর কি কি হয়। ঠিক যতো টা আঘাত করেছ আমার এই বুকে আমার জান এর ওপর তার থেকে শত গুণ বেশি আঘাত হানব আমি। তিলে তিলে শেষ করব প্রত্যেকটা অপমান কষ্টের শোধ আমি নেবো। হিংস্র ভাবে ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে সাঁঝ।
.
.
.
.💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊😊😊

#
. চলবে…
.
.ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊

(বিঃদ্রঃ- সাঁঝ বেলার ভর পুর রোম্যান্স এর সফরে আপনারা ও ঘুরে আসুন। তবে দেখবেন বেলার মত আবার ডুবে যাবেন না। আজ পুরোটাই সাঁঝ বেলার নামে করে দিলাম। তাই মন ভোরে সাঁঝ বেলার রোম্যান্স দেখুন। আর একটু কষ্ট করে মন খুলে কমেন্ট করুন যাতে আমার ছোটো মন টাও একটু খুশি হয়ে যায় 😍😍😍। আজকের জন্য এটুকু। দেখা হচ্ছে পরের দিন। গুনীত এভরিওয়ান। 😊 😊 😊)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here