#তোলপাড়💓
#সিজন২
#পর্বঃ০৫
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
(কোন ক্রমেই কপি করবেন না কেউ)
লাল টমেটো হাতে আহসানকে বাড়ি ফিরতে হলো। কি ভেবে বেড়িয়ে ছিল, আর কি হয়ে গেল! আহসান এখনো বুঝে উঠতে পারছে না ওর সাথে চোখের পলকেই কতকিছু হয়ে গেল। রিমির দেখা পেয়েও যেন পেলনা। যেভাবে দেখা পেতে চেয়েছিল সেটা আর হয়ে উঠলো না। তাই ভারাক্রান্ত মনে ফিরে আসতে হলো। এসেই জিসানের মুখোমুখি হতে হলো আহসানকে।
‘কিরে ভাইয়া! তোর মুড অফ কেন? কোথায় গিয়েছিলি আজ?’
‘নিশ্চুপ।’
‘কিরে কিছু বলছিস না কেন? তোর হাতে একটা টমেটো? নিশ্চয়ই ভেজিটেবল কিনতে গিয়েছিলি?’ জিসানের প্রশ্ন পর্বের মাঝে জান্নাত এসে হাজির হলো।
‘এইতো ভাইয়া চলে আসছে। কোথায় গিয়েছিলি রে? কিরে এভাবে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?’
আহসান জান্নাতের প্রশ্নের ও জবাব দিলনা। তাই জান্নাত এবার জিসানকে জিজ্ঞেস করল,
‘জিসান ভাইয়া তুমি বলোতো ভাইয়ার কি হয়েছে? তোমরা নিশ্চয়ই স্ট্যাচু স্ট্যাচু খেলছো?’
‘তোর মাথা। তোর মতো আমরা এখন আর বাচ্চা নেই যে এসব গেম খেলবো।’
‘তাহলে ভাইয়া মুভ করছে না কেন? দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।’
‘জানি না ভাইয়া আমার কথারও কোনো সাড়া শব্দ করছে না। দেখ হাতে একটা টমেটোও আছে। আমার কি মনে হয় জানিস?’
‘কি?’
‘ভাইয়া ভেজিটেবল শপে গিয়েছিল। হয়তো সেখানে কোনো এক গন্ডগোল বাধিয়ে এসেছে। তাই মেবি ওটারই পুনরাবৃত্তি করছে। গুরুতর কিছু একটা হয়েছে।’
‘তাই নাকি? তাহলে তো খুব বড় সমস্যা হয়ে গেছে। বাড়ির সবাইকে ডাক দেওয়া উচিত তাহলে।’
‘ধুর পাগলী মেয়ে।’
‘কি হলো আবার?’
‘আমি অনুমান করে বলেছি কথাটা। খামখেয়ালি বানানো। এটার জের ধরে বাড়ির সবাইকে অস্থির করার মানেই হয়না। অন্যভাবে কাজ করতে হবে।’
‘কিভাবে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।’
‘তোর গোবর মাথা কিছু বুঝবেও না। চল আমরা দুজন ভাইয়ার দু কানের কাছে গিয়ে জোরে জোরে ডাকি, তাহলে মেবি ভাইয়া ভাবনা কাটিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
‘ভাইয়া কি অসুস্থ নাকি যে সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে?’
‘এখন খানিকটা তাই বোঝা যাচ্ছে। আর আমার মতে মানুষ শরীরের দিক দিয়ে অসুস্থ হয়না শুধু। মনের দিক দিয়েও হয়। যা দেখা না গেলেও পরিলক্ষিত।’
‘বুঝলাম না ভাইয়া।’
‘বুঝতে হবে না। আমি যা বলছি এখন শুধু তাই কর তুই।’
‘ওকে।’ জিসান ও জান্নান প্লান মাফিক আহসানের কানের কাছে গিয়ে ভাইয়া বলে স্বাভাবিক ভাবে চিৎকার দিল যাতে বাড়ির কেউ বুঝতে না পারে। বাড়ির অন্য কারো কানে না গেলেও আহসানের কানের বারোটা বেজে গেল। মুহুর্তেই আহসান মূর্তি থেকে সচল রূপ ধারণ করলো। তারপর দু পাশ থেকে জিসান জান্নাতকে দুহাত মেলে দিল দুটো চড়। তারপর বলল,
‘আমি কি কানে বধির নাকি যে কানের কাছে এসে চেঁচাতে হবে!’
‘তুইতো আমাদের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছিলিস না, তাইতো এটা করা।’ জিসান বলল।
‘আমার কোনো দোষ নেই। সব জিসান ভাইয়ার দোষ। ওই আমাকে এসব শিখিয়ে দিয়েছে করার জন্য।’
‘কি সমস্যা তোদের দুজনের? আমার পেছনে পরে থাকিস কেন অলটাইম? আর জিসান যেন দিন দিন ছোট হচ্ছিস। কতবার বলবো আমার সাথে মজা করতে আসবি না কেউ?’ আহসান যেন মূর্তি থেকে অগ্নিমূর্তি হয়ে গেছে।
‘সরি রে ভাইয়া। আর হবে না। আসলে তুই কোনো আন্সার দিসনি বলে আমি জান্নাতের সাথে মিলে এটা করা ফেলি। আচ্ছা বাদ দে এটা। তুই বল তোর হাতে একটা টমেটো কেন? আমরা তো সেটা ভেবেই পাচ্ছি না।’
আহসান টমেটোটার দিকে দিকে তাকিয়ে আনমনে বলল, ‘আমিই আহসান। তোদের কি মনে হয়? আমি ছদ্মবেশী?’
জিসান ও জান্নাত দুজন একসাথে বলে, ‘মানে?’
‘কিছু না।’ বলে টমেটো টা জান্নাতের হাতে দিয়ে নিজের রুমে চলে যায় আহসান।
এদিকে জিসান আর জান্নাত হা হয়ে তাকিয়ে রইলো আহসানের চলে যাওয়ার দিকে।
________________________________________________________
‘কিরে তুই এখনো মশারী টানাসনি কেন?’
চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বলল রিমি।
‘আহারে, আমি যেন সব কাজ করবো! গতকাল আমি টানিয়েছিলাম। আজ তোর পালা।’
‘বাড়িস সব রান্না থালা বাসন ধোঁয়া সব আমি করেছি ওকে!’
‘আমিও তো কত কাজ করেছি। ঘর মোছা, ঝাড়ু দেওয়া, পানি ফুটানো,মসলা আনতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।’
‘সাথে করে একটা মক্কেলকেও নিয়ে এসেছিলি।’
‘এভাবে বলিস না আপু। উনি খুব ভালো একজন লোক। আমাকে বাজে ছেলেদের থেকে বাঁচালো। আমার মনে হয়না উনি ছদ্মবেশ ধরে এসেছে বলে। বরং মনে হচ্ছে ভাইয়া যা বলেছে সত্যি বলেছে।
উনিই আসল আহসান।’
‘ওই বাজে ছেলেও এরই ভাড়া করা বুঝলি? এসব ছেলেদের মাথা যেন কোন সাধারণ মাথা না, এক একটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বুলেট।’
‘না তুই জানিস না বলে এই কথা বলছিস। ওই ছেলেগুলো অনেক আগে থেকেই মেয়েদের বিরক্ত করতো। আমার অনেক ফ্রেন্ডসদের সাথেও এমন করেছে। আজ আমার সাথেও হলো। তাই না জেনে কাউকে ব্লেম দেওয়া উচিত নয়।’
‘তুই বল যে ছেলে গতকাল একটা সাধারণ ফ্যামিলির ছেলে ছিল, সে রাতারাতি আহসান তালুকদার কিভাবে হয়ে যায়?’
‘বিষয়টা সত্যি ভাবার। কিন্তু আমি নিশ্চিত তুই যদি ভাইয়াটার কথা একটু শুনতিস তাহলে সবটা পরিষ্কার হয়ে যেতো। সবার কথাই শুনতে হয়। এমন ওতো হতে পারে, মানুষ যাতে ভাইয়াকে চিনতে না পারে তাই ওভাবে গেটাপ বদলে ঘুরে বেড়িয়েছিল।’
‘তাই বলে গেটাপ বদলানোর কি আছে শুনি?’
‘আছে, কারণ আমাদের মতো ফ্যামিলির কাছে তারা কোনো সুপারস্টার থেকে কম নয়। এজন্য লোকের অ্যাটেনশন থেকে বাঁচার জন্য মেবি গেটাপ বদলেছে।’
‘জানি না কিন্তু একবার খোঁজ নিয়ে দেখতে হয়। আগামীকাল যাব আমি। ওই বাড়ির দারোয়ানের কাছে জিজ্ঞেস করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।’
‘হুম তাই কর। এটাই বেস্ট হবে। আপু, যদি উনিই আহসান হয় তাহলে কি করবি তুই?’
‘আমার মনে হচ্ছে না। গতকাল ওর কথাবার্তা শুনে তেমন কিছু ডাউট হয়নি। ৯৯% সিওর আমি যে ও আহসান নয়।’
‘আর বাকি ১%?’
‘যা সর তো। আমাকে টেনশনে ফেলিস না। নইলে রাতে ঘুমাতে না পারলে তোকেও ঘুমাতে দেব না।’
‘আচ্ছা চিল। আমি আর কিছু বলছি না এটা নিয়ে।’
#তোলপাড়💓
#সিজন২
#পর্বঃ০৬
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
রিমি কথামতো তালুকদার বাড়ির গেটের কাছে চলে আসলো। তারপর আশে পাশে তাকিয়ে দারোয়ানকে খুঁজতে লাগলো। কিন্ত কোথাও দেখতে পেল না।
‘কোথায় গেলেন দারোয়ান আঙ্কেলটা? কোথাও গিয়েছে কি?’ বলে উঁকি ঝুঁকি মারলো বাড়ির ভেতর। পুরনো অভ্যাসটা যেন তাজা হয়ে গেল রিমির। ছোট বেলায়ও এভাবেই উঁকি মেরে দেখতো। কিছুক্ষণ পর কারো কর্কশ গলা শুনে রিমি পেছনে তাকালো।
‘কি চাই এখানে?’
দারোয়ান লাঠি হাতে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে রিমির দিকে। রিমি ছোট বেলায় যেই দারোয়ানকে দেখেছিল সে শান্ত প্রকৃতির বৃদ্ধ একটা লোক ছিল। এখন যাকে দেখছে সে মধ্যবয়স্ক অচেনা একজন। আহসানরা চলে যাওয়ার পর রিমি এদিকে আর পা বাড়াতো না তেমন। তাছাড়া স্কুল পেড়িয়ে কলেজে যাওয়ার পর এই পথে আর আসা হয়নি রিমির। রিমি দারোয়ানকে দেখামাত্র বুঝে গেল উনি নতুন। তাই ওকে চোর টোর মনে করার আগেই বলে ওঠে,
‘আসলে আঙ্কেল আমি এখানে একটা কাজে এসেছি।’
‘কি কাজ?’
‘আপনি কি আমাকে আহসান স্যারের সাথে দেখা করিয়ে দিতে পারবেন?’
‘স্যার বাড়িতে নেই। আহসান স্যার তার বাবার সাথে বেড়িয়েছে।’
‘ও কোথায় বেড়িয়েছে জানেন কি?’
‘কেন? এতো জেনে কি করবেন আপনি? কি চাই?’
‘আমার খুব প্রয়োজন ছিল আহসান স্যারের সাথে দেখা করার।’
‘স্যার নেই। আসলে বলবো। উনি যদি চায় তাহলেই দেখা করতে পারবেন।’
‘তা ঠিক। উনি না চাইলে তো আর দেখা করতে পারবো না। কিন্তু কথা হচ্ছে আমার এখন খুব প্রয়োজন তাই দেখা হলে ভালো হতো।’
‘আজব মেয়ে তো! স্যার নেই বললাম তো। আমাকে রাগিয়ে দিও না মেয়ে। আগামীকাল যোগাযোগ কইরেন।’
‘আমি বলছি না এখন দেখা করবো। আমি বুঝতে পারছি এখন ওনাকে পাওয়া যাবে না। আচ্ছা অন্যভাবে দেখা করানো যায় না?’
‘কি বলছেন? অন্যভাবে কিভাবে দেখা করবেন?’
‘অন্যভাবে বলতে ওনার কোনো কার্ড নেই আপনার কাছে? মানে ওটা দিলেই হবে। আমার কাজ হয়ে যাবে।’
‘কার্ড কেন চাই?’
‘উফ খুব প্যাচাল ক্যাচাল টাইপ লোক দেখছি। কার্ড দিয়ে দিলেই হলো আমি চলে যেতাম।’ মনে মনে।
‘কি হলো বলুন?’
‘আপনি ওনার একটা কার্ড দিলে আমার উপকার হতো। আমি চলে যেতাম এখন। ওইখানে নিশ্চয়ই স্যারের ছবি আছে তাইনা?’
‘আছে সাথে কার্ডে স্যারের নাম্বারও আছে। তাই দিতে পারলাম না। স্যারকে যদি ফোন দিয়ে বিরক্ত করেন, তাহলে স্যার আমার চাকরী কেড়ে নিতে পারে। তাই পারলাম না। যান এখান থেকে। যা বলেছি তাই, কাল এসেন দরকার থাকলে।’
‘প্লিজ আঙ্কেল দিন না। দেখুন আমি আপনার মেয়ের মতো। মনে করেন আপনার মেয়ে সাহায্য চাইছে। প্লিজ দয়া করে দিননা। তারপর আমি কোনো সমস্যা পাকাবো না। ডিরেক্ট চলে যাব।’
‘মহাজ্বালায় পড়লাম তো দেখছি। আচ্ছা দিতেছি দাঁড়ান। কিন্তু স্যারের নাম্বারে কল দিবেন না বলে দিলাম।’
‘আচ্ছা দেব না। আপনি চাইলে নাম্বারটা ঢেকে শুধু মুখটা দেখাতে পারেন।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে।’ বলে পকেট থেকে অনেক কিছু বের করে। টিস্যু,কলম, আর কয়েকটা কার্ড এমন কিছু জিনিস। সেখান থেকে খুঁজে আহসানের কার্ডটি বের করে বলল, ‘এইতো পেয়ে গেছি। এই নিন বলে কার্ডটি এগিয়ে দিল। কার্ডটি দেখে রিমি প্রশস্ত একটা হাসি দিয়ে হাত বাড়ালো। কিন্তু কার্ডটি হাতে নেওয়ার আগেই দারোয়ান পুনরায় কার্ডটি টেনে নিয়ে আসলো।
‘কি হলো আঙ্কেল? এভাবে নিয়ে গেলেন যে?’
‘আপনি কালই এসেন তো। আমার আপনাকে সুবিধার লাগছে না।’ বলে শার্টের পকেটে পুরে নিল।
‘এরকম করতে পারলেন? কতো করে বললাম। কতোভাবে বোঝালাম। আর আপনি আমাকে এভাবে ধোকা দিলেন? আমার ফিরকি নিলেন?’
‘আর একটাও কথা না। এখান থেকে যানতো।’ ধমক দিয়ে বললেন।
রিমি এবার আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। এক থাবায় দারোয়ানের পকেট থেকে কার্ডটি হাতিয়ে দিল ভোঁ দৌড়। দারোয়ান বেকুবের মতো তাকিয়ে রইলো। কি হলো যেন বুঝতে পারলো না। খানিক বাদে চেঁচিয়ে বলল, ‘দুইদিনের মেয়ে আমার চোখে ধুলো দিয়ে কার্ড ছিনতাই করে নিয়ে গেল? এই রহিম খন্দকারকে বেকুব বানালো? আবার পেয়ে নেই মেয়ে তোকে। হাত গুড়ো করে দেব।’
রিমি দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে অনেক দূর চলে আসলো। রাস্তার মধ্যে একটা মেয়েকে এভাবে দৌঁড়াতে দেখে কিছু মানুষ ভূত দেখার মতো তাকিয়ে রইলো। রিমি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে শ্বাসকার্য স্বাভাবিক করলো। তারপর এদিক সেদিক চেয়ে দেখলো লোকজন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দেখে বেশ উচ্চস্বরে বলল, ‘সবাই কি দেখেন হুম? আমি যগিং করছিলাম, আহামরি কিছু করছিলাম না। নিজেদের কাজ করুন।’ কিছু লোক দাঁত চেপে হাসছে। ভাবছে বেলা ১১টায় আবার কিসের যগিং। রিমির তাতে কোনো প্রক্ষেপ নেই। ও ভাবলেশহীন ভাব করে কার্ডটি চোখের সামনে ধরলো। মুট করে ধরায় কার্ডটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রিমি টেনে টুনে টানটান করে দেখার চেষ্টা করলো। কার্ডের লোকটিকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখামাত্র রিমির হিচকি উঠে গেল। একদম চোখের সামনে নিয়ে দেখার চেষ্টা করলো। এবার বুকের বাম পাশটা ধুক করে কেঁপে ওঠে।
‘কি ব্যাপার? একে ওই ছদ্মবেশী মক্কেলটার মতো লাগছে কেন? আমি কি ভুল দেখছি? হয়তো আমার চোখে সমস্যা। বলে চোখ কোঁচলে আবার দেখলো। হায় হায়! আমি এটা কি করলাম? আহসানকে আহসানের ছদ্মবেশী বানিয়ে ফেললাম? না জেনে কতো কি বললাম। এবার কি হবে? আমি তো ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করেও দিয়েছিলাম? আল্লাহ গো, আমি ফেঁসে গেলাম মাইনকার চিপায়। এবার কি হবে? আমাকে নিয়ে তো আহসান যা তা ভাবছে। ভাবছে আমি কেমন মেয়ে! আমি নিশ্চিত আমাকে খুব খারাপ ভাবছে। এবার কি করি? হাত পাতো কাঁপছে রীতিমতো। এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। আজ আর ভার্সিটি গিয়ে কাজ নেই। বাড়িতে যাই গিয়ে তিয়াসাকে গিয়ে বলি। মাথা তো আর চলছে না আমার। ও যদি কোনো আইডিয়া দেয়। রিমির মুখটা নিমিষেই হাওয়া ছাড়া বেলুনের মতো চুপসে গেছে। মাথায় এক ঝাঁক চিন্তা। পায়ের গতি কমে এলো বলে রিকশা নিল।
#চলবে,,
#