দখিনের জানলা পর্ব -০৮

#দখিনের_জানলা (পর্ব-৮)
লেখনীতে— ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

১৫.
আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। বোধ হয় বৃষ্টি হবে। বেশ ঠান্ডা একটা বাতাস চমচমকে ছুঁয়ে দিল। চমচম রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছে। আজ সারাটা দিন সে অন্যমনস্ক হয়ে কাটিয়েছে। বাংলা মিস তাকে খুব বকেছে। ইংরেজী স্যার তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছে। আজ এত বেশি অমনোযোগী ছিল সে! থাকবে না-ই বা কেন? মাথায় তো তার হাম ভাইয়া ঘুরছে। ব’জ্জা’ত ছেলেটা সকালে এমন এক আচরণ করেছে যা সে কখনোই ভুলতে পারবে না। চমচমের মনে হলো তার খুব কান্না পাচ্ছে। হাম ভাইয়া তার শ’ত্রু হলেও মানুষ ভালো জানত সে। অথচ! আজ সে কি করল? চমচমের মুখ তেঁতো হয়ে যাচ্ছে। সেই যে সকালে একটু ব্রেড, চা মুখে দিয়েছিল। এরপর তো আর কিছু খাওয়া হয়নি। তার পেটের মধ্যে বেশ কয়েকবার গুটগুট শব্দও হয়েছে। চমচম ক্ষুধা হজম করার মেয়ে নয়। কিন্তু আজ সে হজম করেছে। অন্যদিন দুইটার দিকেই ছুটি হয়ে যায় কলেজ। আজ কিছু এক্সট্রা ক্লাস আর তারপর প্রাইভেট থাকায় চমচমের ফিরতে ফিরতে পাঁচটা বেজে গেছে। আকাশে ঘন কালো মেঘ। খুব জোরে বৃষ্টি বাদল হবে হয়তো। রাস্তায় কোনো রিকশা পাওয়া যাচ্ছে না। গেলেও ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি বলছে। চমচম তাই হাঁটছে। এখনও অনেক পথ বাকি আছে। চমচম আরেকবার মাথা উঁচু করে আকাশ পানে চাইল। টুপ করে তার চোখের পাতায় এক ফোঁটা পানি পড়ল। তাতে সে আ’ৎকে উঠল। সে অবশ্যই বৃষ্টিতে ভিজবে না, এখনও অনেকটা পথ বাকি। সাদা ড্রেস নিয়ে অবশ্যই ভেজা যায় না। রাস্তার ব’দ মানুষ গুলোকে তার ভালোই চেনা আছে। আশেপাশে কোথাও এমন কোনো ছাউনি নেই যে সে আশ্রয় নিবে। বৃষ্টির জোর বাড়ছে। গুড়িগুড়ি শুরু হয়ে গেছে। চমচম কি করবে দিশেহারা হয়ে গেল। সে দ্রুত হাঁটতে লাগল, সামনে বড় গাছটার নিচে গিয়ে দাঁড়ানোর জন্য। এমন বাতাস হচ্ছিল সেসময়, যে চোখ মেলেও কিছু দেখার উপায় নেই। হঠাৎ তার পাশে শব্দ করে একটা গাড়ি ব্রেক ক’ষে। সে পাশ ফিরতেই দেখল আব্রাহামদের গাড়ি। এটা আব্রাহামই চালায় শুধু। সে বিস্মিত চাহনি নিয়ে তাকিয়ে থাকল। গাড়ি থেকে আব্রাহামকে বের হতে দেখে সে আরো বেশি অবাক হলো। আব্রাহামকে সকালেও দেখেছিল খুব অসুস্থ এই অবস্থায় বের হলো কি করে? তাছাড়া সকালের নোং’রা কাজটা করার পর চমচমের সামনে সে কোন মুখে এসে দাঁড়ালো? অভিমানি চমচম আব্রাহামকে মুখ ঝা’ম’টা মে’রে নিজের মতো হাঁটতে লাগল। ততক্ষণে বৃষ্টির তে’জও আরেকটু বেড়ে গেছে। আব্রাহাম দৌঁড়ে গিয়ে চমচমের হাতটা চেপে ধরল। চমচম এতে ভীষণ রে’গে গেল। হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্ট করতে লাগল। আব্রাহামের হাতটা বেশ গরম। হয়তো জ্বর রয়েছে এখনও। চমচম বলল,

-‘হাত ছাড়ো! ছাড়ো আমার হাত।’

-‘ছাড়ব না। চল গাড়িতে ওঠ।’

-‘কখনোই না। ছিঃ তুমি আমার সামনে এসেছ কেন? মা’ই’র খাওয়ার সাধ হয়েছে?’

-‘অলরেডি ভিজে গেছিস পুরোটা। প্লিজ গাড়িতে ওঠ। তুই আমাকে ভুল বুঝছিস চমচম।’

-‘উঠব না!’

-‘তোর সবকিছুতে জো’র জবর’দ’স্তি এত ভালো লাগে কেন?’

আব্রাহাম একপ্রকার টে’নে হিঁ’চ’ড়ে চমচমকে গাড়িতে তুলল। কাঁধ থেকে ব্যাগটাও নিয়ে নিল চমচমের। তারপর দৌঁড়ে গাড়িতে গিয়ে উঠে লক করে দিল। চমচম বের হতে পারছে না দেখে চেঁচামেচি শুরু করে দিল। আব্রাহাম গাড়ি চালু দিতেই এবার মুষলধারে বৃষ্টি হতে লাগল। সেদিকে তাকিয়ে চমচম চুপ হয়ে গেল। গাড়ির ভেতরটা অন্ধকারে ছেয়ে আছে। একটু পর পর বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে। আর চমচমকে সেই আলোয় দেখা যায়। ভীত চোখে চমচম আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। চমচম কী ভ’য় পাচ্ছে? আব্রাহাম গলা ঝেরে বলল,

-‘চমচম শোন! আমার তোর কাছে কিছু এক্সপ্লেনেশন দেওয়ার আছে।’

-‘চাই না আমার।’

-‘আমি তো চাই। চমচম! আই আম রিয়েলি ভেরি স্যরি। আমার কাজটা করা ঠিক হয়নি। বাট তুই যেটা ভাবছিস তেমন কিছু আমি করিনি। ট্রাস্ট মি!’

চমচম শীতল দৃষ্টি ফেলল আব্রাহামের উপর। বলল,

-‘আমি নিজের চোখ দেখেছি। তুমি বা’জে ভাবে তাকিয়ে ছিলে আমার দিকে।’

-‘হ্যাঁ তাকিয়েছিলাম। কিন্তু!’

আব্রাহামের অ’স্ব’স্তি হচ্ছে। জীবনে যে কোনো দিন চমচমের সাথে এমন বিষয়ে আলোচনা করবে সে কল্পনাও করেনি। সকাল থেকেই সে উ’ন্মা’দ হয়ে আছে। চমচমের দিকে সে তাকিয়েছিল। এমনকি তাকে হট ও বলেছিল সে। কিন্তু চমচমের বিউটি বোনস্ দেখে। মোটেও অন্যদিকে তাকায়নি সে। চমচম যা ভাবছে সেটা ভুল। আব্রাহাম চমচমের গো’প’ন অঙ্গের দিকে তাকায়নি। চমচম যখন ক্রস বেল্টের উপর হাত দিয়ে ছিঃ বলে উঠল তখনিই আব্রাহামের গা কাঁ’টা দিয়ে ওঠে। যদিও সে ওই দিকে চোখ দেয়নি কিন্তু তারপরেও তো! চমচমের বিউটি বোনস্ দেখার অধিকার তো তার নেই! অথচ সে বে’শ’র’মের মতো সেদিকে অপলক তাকিয়ে ছিল। গতকাল রাত থেকে তো এমনিতেও অ’প’রা’ধবোধ কাজ করছিল আজ যেন সেটা আরো বেড়ে গেল। সারা দিন সে ছটফট করেছে। দুপুর দুইটা বাজতেই ঘর ছেড়ে বেরিয়েছে। মা খুব মানা করে তারপরেও সে বের হয়। চমচমের কলেজের সামনে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেছিল। এরপর সেখান থেকে চমচমকে দল বেঁধে প্রাইভেটে যেতে দেখলে সে পিছু নেয়। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে রেস্টুরেন্টে যায়। সেখান থেকে এসে দেখে ছেলে-মেয়েরা সব দল বেঁধে বের হচ্ছে। একজনের কাছে চমচমের খোঁজ করতেই জানালো চমচম বেরিয়ে পড়েছে আরো আগেই। ততক্ষণাৎ সে গাড়ি নিয়ে ছোটে। ততক্ষণে অবশ্য আকাশ মেঘলা হয়ে গিয়েছিল। সে বারবার দোয়া করছিল চমচম যেন রিকশা না পায়। রিকশা পেয়ে গেলে তো আর কথা গুলো বলা হতো না। সে চমচমকে চেনে। চমচম তাকে ধরা দিত না আর।

১৬.
আজকে রাস্তাটা অন্য দিনের তুলনায় খালি। হাতে গোণা দুই তিনটা গাড়ি আসা যাওয়া করছে। আব্রাহাম রাস্তার একপাশে গাড়ি থামায়। ভেতরের লাইটটা চালু করতেই চমচম চোখ খিঁচে ফেলল। আব্রাহাম পেছনের সিট থেকে একটা প্যাকেট হাতে নিল। চমচম আড়চোখে তাকিয়ে দেখল প্যাকেটের গায়ে তার প্রিয় রেস্টুরেন্টের লোগো দেখা যাচ্ছে। আব্রাহাম প্যাকেটটা চমচমের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

-‘ধর। এটা এখনিই ফিনিশ করবি।’

চমচম বি’র’ক্ত চোখে তাকালো। আব্রাহাম তার এই দৃষ্টি দেখে মৃদু হেসে প্যাকেটটা খুলল। চমচম দেখল তার প্রিয় চিকেন চিজ্ ব্লা’স্ট বার্গার। হঠাৎ করেই তার ক্ষুধাটা মাথা নাড়া দিয়ে উঠল। কিন্তু পরক্ষণেই সে নিজেকে স্বাভাবিক করল। আব্রাহামের কাছ থেকে সে আর কখনোই কিছু নেবে না তাই মুখ ফিরিয়ে নিল। আব্রাহাম চমচমকে এমন মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখে অনেক রে’গে গেল। বলল,

-‘এখন যদি তুই এটা না খাস তবে সত্যি বলছি তোকে গাড়ি থেকে বের করে দিব। মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভেজা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না তখন।’

চমচমও রা’গ দেখিয়ে বলল,

-‘আমি উঠতে চেয়েছিলাম তোমার গাড়িতে? নিজেই জোর করে তুললে। এখন বের করার হু’ম’কি দিচ্ছো?’

-‘হু’ম’কি নয়। সত্যিই বের করে দিব। তুই তো চিনিস আমাকে।’

চমচম বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল। আব্রাহামও চুপ ছিল। হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল,
-‘তুই কথা শোনার মতো মেয়ে না। যা তোকে বের করেই দিচ্ছি!’

আব্রাহামকে সিরিয়াস হতে দেখে চমচম বার্গারটা হাতে নিল। এরপর বার্গারে কা’মড় বসালো। আব্রাহাম তা দেখে মুঁচকি হাসে। কোকা কোলার ক্যানটা চমচমের সামনে গাড়ির উপর রাখল। চমচমের খুব ক্ষিধে পেয়েছিল! বার্গারটা খেতেই সে বুঝল আসলে কতটা ক্ষুধার্ত ছিল সে। মনে মনে একটু কৃতজ্ঞ হলো সে আব্রাহামের প্রতি। তবে মুখভঙ্গিতে বি’র’ক্তিই প্রকাশ করল। আব্রাহাম পুনরায় গাড়ি চালু দেয়। ড্রাইভ করতে করতেই বলল,

-‘দ্যাখ চমচম! তখন সত্যি আমি তোর দিকে তাকিয়েছিলাম। বিশ্বাস কর! আমি মোটেও সেদিকে তাকায়নি যেদিকে তুই ভাবছিস। আই ওয়াজ জাস্ট লুকিং এট ইউর বিউটি বোনস্! নট এনিহোয়্যার এলস্। বিশ্বাস কর!’

চমচম বাঁকা চোখে তাকালো। বলল,
-‘তাকালেই বা কেন?’

কথাটা বলেই চমচম পুনরায় বার্গারে কা’মড় বসায়। আব্রাহাম মাথা নেড়ে বলে,

-‘সেটাই তো। তুই বল! আমি তোকে বা’জে চোখে কেন দেখব? তুই তো আমার ছোট বোনের মতো। জ্বরের ঘোরে হুশ হারিয়ে ফেলেছিলাম। নয়তো এমন কি করতাম?’

চমচম মুখের বার্গারের অংশটা তাড়াতাড়ি গি’লে বলল,
-‘ছোট বোনের মতো কি? ছোট বোনই তো হই।’

-‘হ্যাঁ। তুই তো আমার ছোট বোন।’

-‘তুমি কালকে আমাকে কিস করেছিলে। সেটাও তো বি’শ্রী একটা কাজ ছিল।’

-‘স্যরি। আসলে আমার মাথায় বোধহয় সমস্যা হয়েছে।’

-‘বোধ হয় না। তোমার মাথাতে সমস্যা আছেই। আমি আগে থেকেই জানতাম। ডাক্তার দেখাও জলদি।’

-‘ভাবছি এবার ডাক্তার দেখাতেই হবে। তুই বল! তুই আর রে’গে নেই তো?’

চমচম কিছুক্ষণ ভাবল। হাম ভাইয়া এমনিতে ভালোই। আগে তো কখনো এমন করেনি। হয়তো সত্যিই মাথায় কোনো সমস্যা হয়েছে। থাক! এই যাত্রায় মাফ করে দেওয়া যায়। পরে যদি আবার এমন করে তখন না হয় পি’টিয়ে পিঠের ছাল তুলবে। চমচমকে চুপ থাকতে দেখে আব্রাহাম আবারও বলল,

-‘এই চমচম! কিছু তো বল!’

-‘ঠিক আছে। এবারে মাফ করছি। আর কখনো যদি এমন করো তাহলে সত্যি বলছি গ’লা টি’পে দিব তোমার।’

-‘না না। আর এমন হবে না। সত্যি!’

চমচম আপনমনে বার্গার খেতে লাগল। আব্রাহাম ফাঁকে ফাঁকেই আড়চোখে চমচমকে দেখছে। মেয়েটা এখন একদম শান্ত। এমন থাকলেই তো ভালো লাগে। এর চঞ্চলতা আব্রাহামের অপছন্দ। শান্ত চমচমকেই ভালো লাগে। নিজের এমন ভাবনাতে আব্রাহাম নিজেই অবাক হয়। চমচম যেমন ইচ্ছা তেমন থাকুক তার কী? সে কেন এত ভাবছে? তার কিছু কথা ক্লিয়ার করার ছিল সে করেছে। এরপর আর ভাবা ভাবির তো কিছু নেই!

বার্গার শেষ করে চমচম কোকাকোলার ক্যানটা হাতে নিল। দুই চুমুক খেয়ে আব্রাহামের দিকে তাকালো। বলল,

-‘তোমার এত জ্বর! আন্টি বের হতে দিল?’

-‘জোর করে এসেছি।’

-‘কেন?’

জবাবে আব্রাহাম চমচমের মুখের দিকে তাকালো। চমচম অনেক আগেই গাড়ির ভেতরে জ্ব’লা লাইটটা নিভিয়ে দিয়েছিল। তাই এখন চমচমের মুখে বিদ্যুৎের ঝ’ল’কানির আলো এসে পড়ছে। আব্রাহামের কেমন কেমন লাগল। জ্বর বাবাজি আবার নতুন কোনো ফ’ন্দি আটছে। এখন হয়তো আরেকটা ভুল সে করে ফেলবে। সে চোখ সরালো চমচমের থেকে।

কিছুক্ষণ পর চমচম বলল,

-‘উফ! তোমার গাড়িতে গান টান নেই? কি বোরিং লাগছে!’

চমচম নিজেই একটা গান চালু করল। নীরব, নিস্তব্ধ গাড়িটাতে হঠাৎ করেই একটা দারুন পরিবেশ তৈরি করে বেজে উঠল অরিজিৎ সিং এর গাওয়া গান——-

“হাম তেরে বিন আব রেহ নেহি সাকতে
তেরে বিনা ক্যায়া ভাজুদ মেরা…
তুঝসে জুদাগার হো জায়েঙ্গে তো
খুদসে হি হো জায়েঙ্গে জুদা!”

আব্রাহামের অন্যরকম লাগছিল। সে গানটা বদলাতে গেলেই চমচম খপ করে তার হাতটা ধরে ফেলে। ক’ড়া গলায় বলে,

-‘বদলাবে না। আমার প্রিয় গান!’

আব্রাহাম মনে হয় পা’গ’ল হয়ে যাবে। সে আবারও উল্টা পাল্টা ভাবছে। শ্রদ্ধা আর আদিত্যের বৃষ্টিতে ভেজা চু’ম্বনের কথা তার মনে পড়ছে। সে আবারও আড়চোখে চমচমের দিকে তাকালো। চমচম জানালার কাঁচে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির ফোঁটার গড়িয়ে পড়া দেখছে মন দিয়ে। আর আব্রাহাম দেখছে তাকে।

বাসার সামনে আসতে আসতেই বৃষ্টি থেমে গেল। চমচম গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর আব্রাহাম অনুভব করল এতক্ষণ তার হার্টবিট হচ্ছিল খুব দ্রুত। এখন বোধহয় স্বাভাবিক হচ্ছে। উহু! এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। তার ভি’ম’র’তি হয়েছে। চমচমকে নিয়ে আজেবা’জে ভাবছে। সে কালকেই চলে যাবে। চোখের আড়াল তো মনের আড়াল। দুই দিনেই এসব থেকে সে বের হয়ে আসতে পারবে। শ’য়’তা’নের ফাঁ’দে সে আর পা দিচ্ছে না!

#চলবে।

(এই মন্তব্য করেন না কেন কেউ? আমি তো অপেক্ষায় থাকি আপনাদের মন্তব্যের। একটু কিছু তো বলা দরকার নাকি!)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here