#দুষ্টু_মেয়ে_যখন_পার্ফেক্ট_বউ
#লেখিকা_দিয়া_মনি
#অন্তিম_পর্ব
তূর্য মেঘলার পাশে শুয়ে পরল।কিন্তু লাইটের আলোতে ঘুম আসছে না।একটু পর পর এপাশ অপাশ করছিল তূর্য।উঁকি দিয়ে দেখছিল মেঘলা ঘুমিয়ে গেছে কিনা।
একটু পরে তূর্য দেখল মেঘলা লাইটটা অফ করে দিলো।তারপর তূর্যকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
—– আমাকে ভালোবাসো তার মানে এই না যে তোমাকে একাই কষ্ট করতে হবে।লাইটের আলোর জন্য ঘুমাইতে পারছো না এইটা আমাকে বললেই পারতে।পাগল একটা।
তূর্য ওর কপালে একটা চুমু খেল…
মেঘলা তূর্যের টি-শার্টটা টেনে ধরে তূর্যের বুকের মধ্যে মুখ লুকালো।তূর্য বেশ অনুমান করতে পারছে তার বউয়ের লজ্জামিশ্রিত মুখটা কেমন হয়েছে!
—– আচ্ছা একটা কথা বলতো।(মেঘলা)
—— কি কথা বলো?(তূর্য)
—– মনে করো,,, তুমি মারা গেলে উপরে কার সাথে তোমার দেখা হবে।(মেঘলা দুষ্টুমি করে বললো)
—– স্বর্গের অপ্সরা। (মুচকি হেসে বললো তূর্য)
—– আচ্ছা আমি মরলে উপরে কার সাথে দেখা হবে।(মেঘলা)
—– তোমার কোন এনাকুন্ডা এলিয়েন গাদারাম বান্দর এর লগে দেখা হয়তে পারে।(বলেই তূর্য হাসতে লাগলো)
—– তোমার কত্তো ভালো কপাল, পৃথিবীতেই অপ্সরা, আর উপরে গিয়েও অপ্সরা, আর দেখো আমার কপালে দুনিয়াতেই বান্দর উপারেও বান্দর জুটলো।(মেঘলা)
—- কি আমি বান্দর? (তূর্য)
—– তাই নয় তো কি বান্দর একটা। (মেঘলা)
ওরে আমার দুষ্টু পার্ফেক্ট বউ বলেই তূর্য মেঘলাকে তার কাছে টেনে নিলো।মেঘলার ঠোট নিজের আয়ত্বে করে নিল তূর্য।
আর তূর্য মনে মনে ভাবতে লাগলো।
আজ থেকে সারাজীবন ওকে আগলে রাখার দায়িত্ব শুধু আমার।এই মেয়েটাকে কখনোই কষ্ট দেয়া যাবেনা।কখনোই না”#দুষ্টু_মেয়ে_যখন_পার্ফেক্ট_বউ_আমার।
সমাপ্ত।