দৃষ্টি_কোণ
পর্ব ২
রাইটার আদিল_খান
।
।
।
কিছুক্ষন শুয়ে থাকার পর মিম তার রুমে কারো উপস্থিত টের পেয়ে তারাতাড়ি উঠতে যাবে তখনি কেউ ওকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।
দিয়ে মুখ চেপে ধরলো।
।
মিম অনেক চেষ্টা করেও সেই হাত তার মুখ থেকে সরাতে পারলো না। অন্ধকারে আপছা আপছা দেখেই
বুঝতে পারলো এটা আর কেউ নয়।
তার দুলাভাই সোহান।
ভয়ে একদম চুপসে গেলো মিম।
।
মনে মনে ভাবছে আজ রেহাই নেই তার।
।
মুখ চেপে ধরে মিমের মুখের কাছে মুখ নিয়ে সোহান বললো,,,
কি হলো…..?
ভয় লাগছে?
হাহাহা
।
মিম চুপ,,,
।
নাহ,,,, আমি তোকে এভাবে চাই না,,,,
আমি চাই তুমি নিকেই এসে আমাকে ধরা দে।
আর আমি জানি তুই একদিম আসবিই।
তাই যোর জুলুম করে কি লাভ?
।
মিম এখনো চুপ,,,,,, চোখ বেয়ে পানি পরছে মিমের।
।
তারপর সোহান মিমের মুখ ছেড়ে দিয়ে বিছানায় বসে পড়লো।
।
মুখ ছেড়ে দেওয়ার পর মিম হাঁপাচ্ছে।
।
কিছুক্ষন বসে থাকার পর চলে গেলো সোহান।
।
তাই মিম উঠে,,,, ওয়াশ রুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে কিছুক্ষন সেখানে আয়নার সামনে দাড়িয়ে কান্না করলো।
আর মনে মনে আল্লাহকে ডেকে বললো,,,,
আল্লাহ আমাকে এই লোকটার হাত থেকে বেহাই দাও।
।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে মিম
ফজরের নামাজ পরে
জানালায় দাড়িয়ে আছে।
এমন সময় রাজিবের কল
।
মিম কলটা পিক করে
।
হ্যালো
।
নামাজ পড়ছো?
।
হুমমমম
।
কি করো এখন?
।
দাড়িয়ে আছি
।
ওওও,,, তোমার কণ্ঠ এমন লাগছে কেন?
।
কই নাহ,,,, সকালে তো তাই মনে হয় এমন লাগছে।
।
আচ্ছা নাস্তা করছো?
।
নাহ
।
যাও,,, নাস্তা করে আমাকে কল দিও
।
হুমমমমমমমম
।
লাইনটা কেটে গেলো।
মিম দারিয়ে আছে আর ভাবছে,,,,,
।
এসবের মাঝে রাজিবকে রাখাটা কি ঠিক হবে?
মানে সোহান তো একদিন না একদিন তাকে স্পর্শ করবেই। আমাকে অপবিত্র করবেই।
আর আমি সেই অপবিত্র দেহ মন নিয়ে কি করে রাজিবের সামনে দাড়াবো??
ছেলেটা অনেক ভালো,,, সব সময় নামাজ পড়ার কথা বলে।
কোরাআন তেলাওয়াতের কথা বলে।
এতো ভালো একটা চেলের সাথে এরকম প্রতারণা করতে পারবো না আমি।
নাহ।
আজ কলেজে গিয়ে রাজিবকে বলে ব্রেকআপ করে দেব।
।
এসব ভাবতে ভাবতে সূর্য় পূর্ব দিকে উঠে পরেছে।
সূর্যের লাল আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
।
তাই মিম আর দেরি না করো ব্রেকফাস্ট রেডি করতে চলে গেলো।
কারণ এসব তাকেই করতে হয়।
আয়শা তো অসুস্থ, বিছানা থেকেই উঠতে পারে না।
।
ব্রেকফাস্ট রেডি করে আয়শার রুমে গেলো।
।
দিয়ে দেখে সোহান আয়শা কি নিয়ে যেন ঝগড়া করছে।
আয়শা টকার কথা বলছে,,, আর সোহান বলছে টাকা নেই।
।
মিম মনে মনে ভাবলো,,, হয়তো তার ফ্রমফিলাপের টাকার কথাই হচ্ছে।
।
তাই মাথা নিচু করে ওদের নাস্তা দিয়ে আবার তার রুমে চলে আসলো।
।
এসে বসে পড়লো তার খাটের এক সাইডে।
।
বসে বসে ভাবছে,,,,,, এসব কি?
আমার জন্য আজ প্রথম আপু এবং দুলাভাইয়ের মাঝে ঝগরা শুনলাম।
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
।
আর এই ঝগড়ার প্রধান করণ আমি।
টাকা।
আমার শরীর।
।
তাহলে আমার জন্যই এই অসান্তির শুরু?
।
কিন্তু আমি কি করবো?
বিলিয়ে দেব আমাকে,,, ঐ লোকটার কাছে?
।
আর এটা করলেই কি সব সমাধান হবে?
।
কলেজ টাইমের আগে মিম কলেজ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে,,,,
এমন সময় আয়শার ডাক
মিম…..?
।
হুমম আপু আসতেছি
।
আচ্ছা,,,
।
মিম আয়শার রুমে গিয়ে,,,,,
বলো আপু
।
আয়শা মাথা নিচু করে বললো,,,,
তোর দুলাভাই টাকা দেবে না বললো,,,,,,
আচ্ছা তোর ফ্রমফিলাপের করতে কতো টাকা লাগবে?
।
৫২০০ টাকা
।
আমার কাছে তো এতো টাকা নেই।
২ হাজারের মতো হবে।
।
ওওও,,,, আমার কাছেও এখন টাকা নেই।
আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না,,
আমি ব্যাবস্থা করে নেব।
বলেই মিম চলে আসলো।
।
তারপর কলেজের জন্য বেরিয়ে পড়লো।
।
কলেজে গিয়ে রাজিবকে জন্য ওয়েট করতে লাগলো।
।
বেশ কিছু ক্ষন পর আসলো রাজিব।
।
তারপর মিম বললো,,,,
আমার ব্রেকআপ চাই রাজিব
।
কেন!!!
।
জানিনা
।
কোন কারণ তো দেখাও
।
আমি নিজেকে তোমার যোগ্য মনে করি না।
।
চর দেখছো?
হাত উপরে তুলে
।
মারো চর মারো যতো খুশি মারো,,,, কিন্তু আজ থেকে আমাকে নিয়ে আর ভেবো।
কারণ আমি ভালো মেয়ে না।
বলেই চলে গেলো মিম কাঁদতে কাঁদতে।
।
কি হলো না হলো রাজিব কিছুই বুঝলো না।
।
বাসায় চলে আসলো মিম,,,,,,
।
রাত ১০ টা
বসে বসে ভাবছে মিম,,, কাল ফ্রমফিলাপের শেষ দিন।
কিন্তু আমার হাতে একটা টাকাও নেই।
আবার আমার জন্য দুলাভাই আপুর সাথে খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করছে।
আজ সন্ধায় আপু টাকা চাইলে তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে সোহান।
।
এসবের একটা মানে,,,
আমি
আমার শরীর।
ওকে
তাই হবে সোহান যা চায়।
।
কিছুক্ষণ বসে থাকার পর মিম উঠে সোহানের কাছে গেলো।
।
গিয়ে সোহান কে ডেকে নিয়ে আসলো তার রুমে।
।
সোহান মনে মনে ভাবছে,,,
এটাই তো চাই আমি।
.
.
চলবে?