ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -২১

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২১
.
.
(৪১)
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে মেঘ ফোনে কথা বলছে সে সময় ফারহা রুমে এসে পা টিপে টিপে মেঘের পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পেছন থেকে মেঘকে জড়িয়ে ধরে তখনি মেঘ ফারহার স্পর্শ বুঝতে পেরে মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে গম্ভির কন্ঠে বলে ওঠে,” কর্তব্য পালন করা এতো তাড়াতাড়ি কি করে শেষ হলো ফারুপাখি?”

মেঘের যে অভিমান হয়েছে তা বুঝতে পেরে ফারহা আরো শক্ত করে মেঘকে জড়িয়ে ধরে বলে,” আই এম স্যরি মেঘরাজ৷ তোমাকে না বলে যাওয়ার জন্য বাট ট্রাস্ট মি আমি বলে যেতাম কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলে আর তাই তোমাকে…” বাকিটা বলার পূর্বে মেঘ বলে ওঠে,” তাই কি? ফারুপাখি? ঘুমিয়ে ছিলাম বলে আমাকে জানাও নি তাই তো?”

” প্লিজ মেঘ আমি তোমাকে ঘুম থেকে তুলে না বললেও তোমার জন্য চিরকুটে সবটা লিখে গিয়েছি নিশ্চয়ই দেখেছো? আর একটা কথা আমি তোমাকে ভালোবাসি মেঘ কিন্তু তার মানে এই নয় আমি আমার সব দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবো না৷ ”

মেঘ হঠাৎ ফারহাকে রেগে যেতে দেখে মেঘের ভ্রুযুগল কিঞ্চিৎ কুচকে আসে৷ যেখানে ফারহা তার রাগ ভাঙাবে সেখানে কিনা উল্টো নিজে রাগ করে মুখ ফুলিয়ে আছে! বিষয়টা মেঘের হজম হলো না৷ মেঘ জানে ফারহা বিশেষ কোন কাজ করতে গিয়েছে নাহলে এভাবে ও ছুটে যেত না৷

এদিকে ফারহা চোখ বন্ধ করে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেঘের দু’গালে হাত রেখে কমল গলায় বলতে লাগলো,” মেঘরাজ আমি জানি তুমি আমার উপর অভিমান করেছো৷ সব স্বামীরাই চায় তার স্ত্রীর নরম ঠোঁটের ছোঁয়ায় তাদের ঘুম ভাঙবে৷ কিন্তু আমি তা করতে পারছি না কিন্তু তা বলে তুমি ভেবো না আমি আমার কর্তব্য পালন করেনি৷ মেঘরাজ আমার সম্পর্কে তোমাকে এখনো অনেক কিছু জানানোর বাকি আছে৷ তুমি হয়তো সবটা শুনলে আমাকে আর কখনো ভালোবাসবে না৷ চিরদিনের জন্য হয়তো আমাকে ঘৃনা করবে৷ তবে সত্যি বলতে আমার ভালোবাসায় কোন খাত নেই মেঘরাজ৷ আমার অস্তিত্বে মিশে গেছো তুমি৷ ভালোবাসি তোমায়৷ বড্ড বেশি ভালোবাসি৷ ”

ফারহা মেঘের ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে বলে,” এখনো কি তোমার ফারুপাখির উপর রেগে থাকবে? একটুও ভালোবাসবে না?”

মেঘ এতোক্ষণ যেন এক ঘোরের ভিতর ছিলো৷ ফারহার প্রত্যেকটা কথা মেঘের হৃদয়ে গিয়ে বিধছে৷ তার ফারুপাখি তাকে এতোটা ভালোবাসে সেটা মেঘ সত্যি জানতো না৷ এমন নয় মেঘ ফারহার সম্পর্কে কিছু জানে না! গতকাল যখন ফারহা তার মম ড্যাডকে ফারহা তার আর ফারিহার অতিতের কথা বলছিলো তখন মেঘ সেখানে উপস্থিত ছিলো৷ ফারহার বলা প্রত্যেকটা কথা মেঘের কর্ণগোচর হয়েছে৷ মেঘের তখন ইচ্ছে করছিলো ফারিহা আর কিং ফায়ারকে জ্যান্ত মাটিতে পুতে ফেলতে৷ কিন্তু তা করেনি মেঘ কারণ তখন মেঘের মাথায় একটা ফারহাকে নিজের করে নেওয়া ভাবনাটাই ঘুরছে৷ এবার যদি ফারহাকে মেঘ তার সাথে জুরতে না পারে তাহলে হয়তো সারা জীবনের জন্য তার ভালোবাসার মানুষটাকে হাড়িয়ে ফেলবে৷ এই ভয়ে মেঘ আর কোন রিক্স নিতে রাজি হয়নি৷ আপুসে হোক বা জোর করে ফারহাকে বিয়ে করে ছাড়বে মেঘ৷ এই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করে মেঘ৷

মেঘ তার ভাবনার জগত থেকে বের হয়ে ফারহার দিকে তাকাতে ফারহা মেঘের চোখে মুখে দুষ্টুমির হাসি দেখে ভ্রু জোড়া কুচকে বলে,” এভাবে হাসছো কেন তুমি?”

মেঘ ঠোঁটের কোনে দুষ্টুমি হাসি ফুটিয়ে রেখে বলল,” দ্যাট ইজ দ্য রিজেন আই লাভ ইউ সো ম্যাচ ফারুপাখি৷ তোমাকে না বলতে তুমি সব কিছু বুঝে যাও আমার কখন কি লাগবে ৷”

ফারহা একমিনিট মেঘের কথাটা ভালো করে ভেবে বলে,” ইউ লুচু ৷ তুমি আমার সাথে এতোক্ষণ নাটক করছিলে? ”

” উমম মাঝে মাঝে যদি নাটক থেকে দারুণ কিছু হয় তাহলে আমি রেগুলার নাটক করে যাবো৷ তবে এখন আপাদতো আমার না ভিষণ প্রেম প্রেম পাচ্ছে ৷” বলে ফারহাকে কোলে তুলে নেয় মেঘ৷ আর ফারহা! মেঘের থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে লাগলো৷

মেঘ ফারহাকে বেডে শুইয়ে দিয়ে ফারহার হাত জোড়া চেপে ধরে ফারহার আরো কাছে আসতে দরজায় কেউ নক করে৷ মেঘ বিরক্তি মার্কা মুখে দরজার দিকে তাকিয়ে বলে,” এই এই এসে গেলো আমার রোমান্সের শত্রু ৷ এই বাড়িতে আমি আমার বউয়ের সাথে শান্তিতে একটু রোমান্সও করতে পারবো না ধ্যাত! ”

ফারহা মেঘের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসতে লাগলো৷ তা দেখে মেঘ কড়া চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে,” আমার সামনে একদম ঠোঁট কামড়াবে না ফারুপাখি৷ ইচ্ছে করে ওই নরম ঠোঁট জোড়া কামড়ে খেয়ে ফেলি৷”

মেঘের কথা শুনে ফারহার মুখের হাসি উধাও হয়ে গেল৷ সাথে সাথে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে দরজার দিকে ইশারা করলো৷ কারণ দরজা এখনো কেউ নক করছে৷

মেঘ রাগি রাগি মুখ নিয়ে দরজা খুলে দেখে রাফি দাড়িয়ে৷ বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে রাফি মেঘকে বলে,” জিজু আপনাদের আমি ডিসট্রার্ব করলাম নাতো?”

মেঘ দাঁত কিড়মিড় করে রাফিকে বলে,” না শালা সাহেব আপনি একদম আমাদের ডিসট্রার্ব করেন নি৷ কথাটা উচ্চস্বরে বললেও পরে গলার খাদ নামিয়ে আবার বলে , বজ্জাত ছেলে আমার রোমান্সের তেরটা বাজিয়ে আবার জিঞ্জাসা করা হচ্ছে আপনাদের আমি ডিসট্রার্ব করলাম নাতো? স্টুপিড৷” ফারহা মেঘের মুখ দেখে বুঝতে পারলো মেঘ ভিতরে ভিতরে কতো টা বিরক্ত৷ ফারহা রাফির কাছে গিয়ে বলে,” বল কি বলার জন্য এসেছিস?”

” আপু নিচে এক ভদ্রলোক এসেছেন৷ লোকটা বলতে তিনি নাকি তোর সাথে বিদেশে এক সাথে পড়াশুনা করতো৷”

রাফির কথা শুনে ফারহা চোখে মুখে গম্ভীরতা ফুটে ওঠে ৷

” নাম বলেছে ভদ্রলোক?”

” হ্যাঁ বলেছে আগুন নাম৷”

নামটা শুনে ফারহার চোখ মুখের রং পাল্টে গেল৷ জিব্বাহ দিয়ে ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে রাফিকে বলল,” রাফি তোর জিজুর খাবারটা রুমে নিয়ে আয় ৷ আর মেঘ তুমি খাবারটা খেয়ে নেও আমি নিচ থেকে একটু আসছি৷”

মেঘ কোন বাধা দেয় না ফারহাকে; ফারহা রাফি রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে মেঘ ও রুম থেকে বের হয়৷ দো’তালায় দাড়িয়ে দুর থেকে ড্রইংরুমে বসা সাদা চামড়ার হ্যান্ডসাম ছেলেটির ছবি তুলে নিয়ে রুমে চলে যায়৷

রাফি সারভেন্টকে বলে মেঘের খাবার টা উপরে পাঠিয়ে দিয়ে রাফি অফিসে চলে যায়৷ এদিকে ফারহা আগুনের সামনে দাড়িয়ে রক্তিম চোখে তাকিয়ে রইল আগুনের দিকে; আগুন ফারহাকে দেখে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে ফারহাকে জড়িয়ে ধরতে নিলে ফারহা দু’পা পিছিয়ে যায়৷

” ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মি আগুন৷ ” রাগি গলায় বললো ফারহা৷ ফারহা কথা শুনে আগুন হাত দু’টো উপরে তুলে বলে,” ওকে ডিয়ার যাস্ট সি আ’ম নট টাচ ইউ৷ এখন বলো কেমন আছো আরুপাখি? আর শুনলাম তুমি নাকি বিয়ে করেছো?”

” ঠিকি শুনেছো আগুন আমি বিয়ে করেছি৷”

” বিয়ে করেছো নো প্রব্লেম বাট কাকে করেছো নিশ্চয়ই জানো? গোয়েন্দা বিভাগের প্রথম শ্রেনীর একজনকে? যে কিনা আমাকে আমার দলকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে আছে?”

ফারহা আগুনের সামনে সিঙ্গেল সোফায় বসে পায়ের উপর পা তুলে আগুনকে ইশারা করে বসার জন্য, আগুন ফারহার এমন এটিটিউড দেখে ভিতরে ভিতরে ভিষণ রেগে গেল৷ কিন্তু সেটা বাইরে প্রকাশ করলো না৷ আগুন বড় সোফায় বসার পর ফারহা বললো,” লিসেন আগুন আমি কাকে বিয়ে করবো আর কাকে করবো না দ্যাটস নট ইউর লুক আউট৷”

আগুন গলার খাদ খানিকটা নামিয়ে ফারহাকে বলে, ” নো বেইব ইটস মাই লুক আউট বিকজ আই লাভ ইউ৷”

” বাট আই ডোন্ট লাভ ইউ ৷ এখন এই ভালোবাসার ড্রামা না করে বলো কেন এসেছো এখানে?”

আগুন এবার চোখে মুখে রাগ ফুটিয়ে তুলে ফারহাকে প্রশ্ন করে৷

” হোয়ার ইজ মারু? ”

” মারু কোথায় সেটা আমি কি করে জানবো আগুন? মারুকে তোমার লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে তাহলে আমি জানবো কি করে? আর আমাকে বা এই প্রশ্ন করছো কেন?”

” বিকজ মারু পালিয়েছে৷”

” ওয়াট! ওয়াট আর ইউ সেইয়িং আগুন? মারু পালিয়েছে মানে কি? কি করে পালালো? আর তোমরা ওকে পালাতে দিলে কেন?” রাগি গলা প্রশ্ন করলো ফারহা৷ ফারহার রাঙ্গানিত চোখ মুখ দেখে আগুন দৃষ্টি কিছুটা শীতল হয়ে আসে৷ ফারহা না জানার ভান করে আগুনের সাথে অভিনয় করে যাচ্ছে৷ যেটা আগুন মটেও টের পাচ্ছে না৷

অন্যদিকে দো’তালার পিলারের পেছনে দাড়িয়ে তনু সবটা দেখছে আর শুনছে৷ ফারহার মম ড্যাড ফারহার রিসেপশন নিয়ে নিজেদের রুমে বসে ডিসকাস করছে নিচে কি হচ্ছে তাদের সবটাই অজানা৷ অন্যদিকে বাড়ির বাকি সারভেন্টরা দুপুরের রান্নায় ব্যস্ত এদিকে তাকানোর কোন সুযোগ তাদের নেই৷

” মারু কোথায় কিং ফায়ার?”

প্রথমবার ফারহার কন্ঠে কিং ফায়ার নামটা শুনে চমকে ওঠে কিং ফায়ার ওরফে আগুন৷ ফারহার চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে৷ কিং ফায়ার ওরফে আগুন ফারিহার উদ্দেশ্য কিছু বলতে যায় তার পূর্বে ফারহা বলে,” আমার বোনকে সুস্থ অবস্থায় আমার কাছে ফিরিয়ে দিবে আগুন৷ নাহলে..”

” নাহলে কি আরু?”

” নাহলে তোমার সম্রাজ্ঞ্য ধ্বংস করতে আমি দুবার ভাববো না কিং ফায়ার৷”

ফারহার আগুন ঝড়া কন্ঠে এমন থ্রেট শুনে কিং ফায়ারের চোখ মুখ লাল হয়ে ওঠে৷

” আরু তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমার সব কথা আমি শুনি কিন্তু তার মানে এই নয় তুমি আমার এবং আমার দলের ক্ষতি করতে চাইবে আর আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো? আমার দলের কিঞ্চিৎ ক্ষতির হলে তোমাকে রাস্তা থেকে সরাতে আমি দ্বিতীয়বার ভাববো না৷ ”

” ওয়েল৷ আজ থেকে আমি তোমার দলে আর নেই কিং ফায়ার৷ এখন তুমি আসতে পারো৷”

” আরু ভুলে যেও না আমি তোমার এবং তোমার পরিবারের সাথে ঠিক কি কি করতে পারি?”

ফারহা কিং ফায়ারের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো ইতালির এক ছোট্ট শহরে যে তোমার ছোট্ট বোন ইমরোজ আর তোমার মা একা থাকে সেটা নিশ্চয়ই তুমি জানো কিং ফায়ার ?”

ফারহার কথা শুনে কিং ফায়ার এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হতবিহ্বল স্তব্দ হয়ে গেল৷ ফারহা যে তার পুরো ডিটেইলস বের করে ফেলবে এটা কিং ফায়ার কখনো ভাবতে পারেনি৷ আসলে কিং ফায়ার ওরফে আগুনের পরিবারের খোজ কখনো কেউ বার করতে পারেনি কিন্তু আরু(ফারহা) পারবে এটাও কখনো কল্পনা করেনি কিং ফায়ার ৷

” কি হলো কিং ফায়ার কথা বলছো না কেন?”

” তুমি কি করে তাদের খোজ পেলে আরু?”

” সে এক লম্বা কাহিনি অন্য কোন দিন না হয় গল্প করা যাবে৷ এখন বলো আমার পরিবারের ক্ষতি করবে তুমি? চাইলে করতেই পারো কিন্তু এটা ভেবো না আমি তোমাকে বা তোমার ফ্যামিলিকে ছেড়ে দিবো৷ আমার ফ্যামিলির কিঞ্চিৎ পরিমান ক্ষতি হলে তোমার ফ্যামিলিকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিতে আমার দুমিনিট সময় লাগবে না ইউ নো৷”

কিং ফায়ার তার চোখের অগ্নিকোণ ধারা যেন ফারহাকে এখুনি ধ্বংস করে দিচ্ছে৷ কিন্তু ফারহার ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি যেটা কিং ফায়ারের পুরো শরীর জ্বালিয়ে দিচ্ছে বারংবার৷

হঠাৎ কিং ফায়ার ফারহার দিকে দু’পা এগিয়ে বলে,” আমার ফ্যামিলির যদি বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় আরু(ফারহা) তাহলে তোমাকে আমি ছাড়বো না৷”

কথাটা বলে হন হন করে হেটে খান মন্জিল থেকে বেড়িয়ে গেল কিং ফায়ার৷ কিং ফায়ারকে এভাবে নাস্তানাবুদ করতে পেরে ফারহার মুখে তৃপ্তির হাসি৷

” কিং ফায়ার তুমি যেভাবে নিরিহ মানুষদের মেরে তাদের পরিবার ধ্বংস করেছো আমিও ঠিক তোমাকে ধ্বংস করে পুরো মানব জাতীকে বাচাঁবো৷ যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ৷” ফারহা গুন গুন করতে করতে উপরে উঠতে তনু ফারহার হাত ধরে টেনে তার রুমে নিয়ে যায়৷

(৪২)
অর্নিল ফারিহাকে তার বাড়িতে এনে নিজের রুমে নিয়ে বেডে শুইয়ে দেয়৷ ফারিহা উঠতে নিলে অর্নিলের ধমকানিতে ফারিহা বেড থেকে আর ওঠার সাহস পায় না৷

” সুইটহার্ট তুমি অসুস্থ তাই ভুলেও বেড থেকে এক পা নিচে রাখার কথা চিন্তাও করবে না৷ যদি করো তাহলে আমি তোমার চিন্তা ধারাকে খুন করে ফেলবো৷”

ফারিহা হতবিহ্বল হয়ে পড়লো অর্নিলের কথা শুনে৷ ফারিহা ভেবে পায় না যে ছেলে কানের কাছে ভালোবাসি ভালোবাসি কথা বলে কানের পোকা নাড়িয়ে দিতো৷ যা বলতো তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতো কখন উচু স্বরে কথা বলতো না৷ সে ছেলে আজ তাকে ধমকাচ্ছে ভয় দেখাচ্ছে৷ অর্নিলের ভিতুরাম সর্দার থেকে এমন সাহসী হওয়ায় ফারিহার একদম ভালো লাগছে না৷ ফারিহা কপাল কুচকে অর্নিলকে বলে,” আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছো অর্নিল?”

” বাসর করতে নাইস না?”

ফারিহা রাগি চোখে অর্নিলের দিকে তাকাতে অর্নিল হু হা করে হাসতে হাসতে বলে,” আ’ম জোকিং সুইটহার্ট তবে বাসর তো হবে আমাদের বিয়ের পরে৷”

” বিয়ে মাই ফুট৷ আমি এখুনি এখান থেকে চলে যাবো৷” এই বলে ফারিহা বেড থেকে নেমে দরজা দিকে এগোতে হঠাৎ হাতে টান পড়তে ফারিহা….
.
.
.
#চলবে…………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here