পাথরের_বুকে_ফুল🍁
part_2+3
#writter_Hafsa_alam🍂🍂
.
.
.
আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে অরিএান। পিঠের দাগুলো দেখছে আর ঠোঁট বাকিয়ে টেড়ি স্মাইল দিচ্ছে। সাওয়ার নিয়েছে সকালে তাই চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। তবে সেদিকে তার মনোযোগ নাই।সে তার দাগ নিয়ে পরে আছে। ভাবছে মেয়েটার সাহস তার ভাবনার চাইতেও এক ইন্ছি বেশি।তবে ততে কি।এসব মেয়েদের সে ভাল করেই হেন্ডেল করতে পারে।কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কালো শার্টি গায়ে জড়িয়ে নেয়।তারপর তৌইরি হয়ে নেয়। আজ তার একটা পার্টি রয়েছে।সাধারণত পার্টি রাতে হয় তবে আজ দিনে হবে কারন সে আজ রাতে আমেরিকা উর্দ্দেশ্যে যাবে।তাই কালকের যে ডিলটা হয়েছে তার পার্টি আজই দিবে।
:
:
:
অরিএানের গাড়ি একটা বড় কটেজে এসে থামলো।সে গাড়ি থেকে নামতে দেড়ি কিন্তু মডিয়া তার পিছনে পড়তে দেড়ি হয় নায়।অরিএান বিরক্তি নিয়ে তার বডি গার্ডসদের দিকে তাকায়।সাথে সাথে তার ছয় গার্ডস সবাইকে সরিয়ে রাস্তা ক্লিয়ার করে দেয় আর অরিএান তার বাম চোখে পরে থাকা তর্কি কার্ট চুলগুলো ডান হাত দিয়ে সরিয়ে হেটে চলে যায়। সাথে তার পার্সোনাল দুই গার্ডসও।এই সব কিছুই মাদৌলি উপর থেকে দেখ ছিলো।অরিএানের সব কিছুই তাকে ঘায়েল করে।তার এটাটিউড,তার পার্সোনালিটি,তার স্টাইল,সবই মাদৌলিকে পাগল করে তুলে। তার উপর আজ অরিএান নিজেকে কালোতে সোজ্জাইত করেছে।ভিতরে ডুকতেই মেয়েদের চোখ আটকে যায় তার উপরে।সবইতো এখনি বেহুশ হবে মনে হয়।অরিএানকে সবাই স্বাগতম জানায়।তারপর যে যার মত পার্টি ইন্জয় করতে শুরু করে তারা যানে অরিএান ভীর একদম পছন্দ করে না। সে একা থাতেই পছন্দ করে।আর সবার কাছে অরিএানের পছন্দই সব।অরিএান স্যাম্পনের গ্লাস হাতে সামনের সুইমিংপুলের পাশে দাড়ায়।এদিকটা এক প্রকার নীড়িবিলি। চারিপাশে এই দিনেও লাইটিং এর জন্য রাত মনে হচ্ছে। কেউ বলবেনা এখন দুপুর দুইটা বাজে।তেবে সূর্যের কিরন পুলের উপরে পরছে এটা বাদে আর কোনো ভাবে দিনের বেপার বুঝা মশকিল।এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অরিএান কিছুর সাথে ধাক্কা খায়।আসলে অরিএান না ওই কিছুটাই ওর সাথে ধাক্কা খায়।ধাক্কাটা জড়ে পরলেও অরিএানের বডির কাছে কিছু না।কিন্তু কার এতো সাহস তাকে ধাক্কা দেয় এটা ভেবেই অরিএানের মাথা গরম।তাই রেগে সামনে তাকাতে তাকাতে বলতে লাগে…….
:
:
:
what the hell are you??
:
:
বলেই তাকাতেই সে স্তব্ধিত।অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে থাকা ব্যক্তি দিকে।হে এক ব্যক্তিই তাকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে এটা যে সুধু ব্যক্তি তা নয় রীতিমতো এক মেয়ে।যাকে দেখতে এখন হুরের চাইতেও সুন্দর মনে হচ্ছে না অরিএানের কাছে।সে মনে মনে ভাবছে………
:
:
মেয়েরা সুন্দর হয় এটা তার যানা আছে।এনিয়ে তো কম মেয়ের সাথের রাত কাটাইয় নি সে। তাই মেয়েদের সুন্দোর্য্য সম্পর্কে তার চাইতে তো ভাল খুব কম মানুষই যানবে।তবে এ কে?? একি মেয়ে নাকি রুপকথার পরী।দেখেতো সাধারণ মেয়ে মনে হয় না।তবে কি তার মতো ভয়ংকর প্রানিকে যব্দ করতে এবার হুরপরী এলো??বেপারটা ভাবার বিষয়।তবে এখন সে ভাবতে পাড়ছেনা। সে তো তার সামনে আগত হুরপরীকে দেখতে বেস্ত।গাড়ো লালা গোরা গায়ের রং মনে হচ্ছে,চোখগুলোতে হালকা আকাশি আর গাড়ো নীলের মিক্সরোনের দুটি জোতি রয়েছে। কি অসাধারন চোখ।যা পৃথিবীতে খুব রেয়ার।খুব কম মানুষেরই এমন চোখ হয়।তবে অরিএান এ প্রথম দেখেছে এমন চোখ।চোখের পাপড়ি গুলো প্রচুর ঘন।মনে হবে আলাদা আইলেস লাগিয়েছে, চৌখা নাক,লাল টকটকে দুটি ঠোঁট।গাল দুটি,নাকের গুড়া,আর জামির নিচে স্টোব্যারির মত লাল।সাদা সিল্কের জামার সাথে সাদা জর্জেট হিজাব।মোটা ভ্রু গুলো কুঁচকে আছে বিরক্তি নিয়ে কারন মেয়েটির সম্পূর্ণ গায়ে ফেরি লাইট আটলা পরে আছে।যা খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে সে বারবার পরাজিত হচ্ছে। চেহারাটা দেখেয়ে বুজা যাচ্ছে আর একটু হলেই কেঁদে দিবে।মুখশ্রী লাল আভায় আবৃত হয়ে আছে।তার উপর ফেরি লাইটের কারনে মনে হচ্ছে হিরে ঝরছে গা থেকে।কেমন আদ্ভুত মাতালোতা কাজ করছে অরিএানের তা সে নিজও বুঝতে পারছেনা।মেয়েটার কথায় অরিএান তার ভাবনার জগৎ থেকে বাহিরে আসে…………….
:
:
:
এই যে পোলা একটু খুলতে সাহায্য করেন। কি হাবার মত তাকিয়ে আছেন তো আছেনই।(বিরক্তি মার্কা মুখ করে বলো)
:
:
অরিএানতো অবাক তাও নিজের উপর কারন সে তো কখনো কোনো মেয়েকে এত গবেষনা করে দেখার মানুষ না।তাহলে এই মেয়ের থেকে চোখ কেনো সরাতে পাড়ছেনা। কেনো,why,how, কিউ,ক্যাসে,কিছুই তার মাথায় ডুকছেনা।কিভাবে ডুকবে তার সমস্ত জুড়ে মেয়েটার চিন্তা ঘুরছে। ভাবনার মঝে আবার মেয়েটা বলে উঠে……………………….
:
:
:
ওয়াসেনাত :আরে আপনি কি কানে শুনেন না,বোবাও নাকি।(কিছুক্ষণ অরিএানকে দেখে বলে উঠে…)আহারে লাট সাহেব টাইপের হিরো হিরো দেখতে হলে কি হবে বেচারা বোবা সাথে বয়রাও।ভাবা যায়। আল্লা কখন করে কি করে কে যানে(দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করে এবার আর মুখে না হাত দিয়ে ইশারা করে বেচারি মনে করছে আমাদের হিরো সত্যি বোবা😂😂)
:
:
মেয়েটার হাত নাচানাচি দেখে অরিএানের রাগ হওয়ার কথা তবে কেনো যে তার রাগ উঠছে না তা তার অজানা।এবার সে নিজের উপরই বিরক্ত। কারন তার এখনকার কার্যকলাপ তার আসল ক্যারেক্টারের সাথে যায় না।যেখানে কেউ তার সাথে ভয়ে কথা বলতে চায়না আর এত যা মুখে আসছে তাই বলছে।আর আবাক করা বেপার ও কিছুই বলছেনা মেয়েটাকে।না এবার বলতে হবে বলেই বলে উঠে………….
:
:
:
অরিএান :what ravishe?who are you???you know who am i??
:
:
:
ওয়াসেনাত :ওরে আল্লা বেটা বোবা না। এই তাইলে আপনি না আপনারে আপনি বলমু না তুই কমু। আচ্ছা বজ্জাত লোক তো তুই। একটা মেয়ে তোর কাছে help চাইছে আর তুই বোবা সেজে বসে আছস।তোরে তো পরে দেখে নিমু।আগে আমারে এগুলো থেকে ছাড়া।আর কি যেনো বলছিলি আমি তোরে চিনি কিনা।আরে আমি তোরে কেন ছিনতে যামু। বরং তুই আমারে চিন। আমি ওয়াসেনাত জাহান হায়াত। ওয়েডিং প্লেনার বুঝতে পারছেন। এবার খুলতে সাহায্য করুন তাড়াতাড়ি। আর আম sorry তুই বলছি আসলে রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না।আর তুই যানোস আমি টানা ১ঘন্টা এখানে আটকা পরে আছি। আধা ঘন্টা তো তোর মানে sorry 🙄আবার তুই বলে পেলেছি। আপনারে help এর জন্য বলছি কিন্তু আপনিত ভাবনার দুনিয়ায় আছেন তো আছেনই।😐😐আচ্ছা সব বাদদেন আমর এগুলো খলেননননন plzzz(ফেরি লাইট গুলো টানাটানি করতে করতে বললো)
:
:
:
অরিএান জাস্ট হতবাগ। এটা কেমন মেয়েরে বাবা।পাগল নাতো।আর আমাকে চিনে না। অরিএান খান কে চিনে না।এমন মেয়ে এই শহরে আছে তা অরিএানের যানা ছিলোনা। সে রাগী লুকে তাকাতেই ওয়াসেনাত বলে উঠে……….
:
:
ওয়াসেনাত:ভাই তাড়াতাড়ি খুলতে সাহায্য করেন। নাইলে ওই কি যেনো নাম 🤔🤔আরে যে পার্টিটা দিয়েছ 🤔🤔ওওও মনে পড়েছে অরিএান না পরিএান সে আমার চাকরি নট করিয়ে ছাড়বে শুনেছি হালা না মানে 🙄বজ্জাতটা নাকি হেব্বি রাগী,সিংহের মত হিংস্র। যাই হক আসল কাথা কি যানেন শালা আবাল।আমার তো আবার গরুও মনে হয়। কি দেখে যে মাইয়ারা cursed খায় কে যানে। মাইয়ারা নাকি পাগল তার জন্য। আমার কি মনে হয় যানেন। ওই বিলাই বুড়া হই বো।টাকার লাইগা মাইয়ারা ফিদা ইতার জন্যে না। তবে আপনে কিন্তু খারাপ না দেখতে। যান এবার তারিফও করে দিয়েছি এবার help করেন(কথা গুলো বলার সময় একা বার ফিসফিস করে বলছে তো একবার জোড়ে জোরে বলছে।অরিএানের নামের গুলো ফিসফিস করে বলেছে যাতে কেউ না শুনে)
:
:
অরিএান এবার কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছ না। নিজের অজাতেই সে ওয়াসেনাতের কোমরে হাত দিয়ে টেনে তার কছে নিয়ে আসে। ওয়াসেনাতো এবার ভয় পেয়ে যায়। তাই ছাড়াতে চায়।তবে পারে না।কিছু বলতে যাবে তাকে বলতে না দিয়ে তার নরম ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে বলে………..
:
:
:
অরিএান :তুমি কি অরিএান কে দেখেছ কখনো??সে কিন্তু সত্যিই সিংহের মত।ভাবোও যদি তোমার কাথা গুলো শুনে কি হবে।(ঠোঁটে নিজের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে)
:
:
ওয়াসেনাত :এই আআপননি এমন করছেন কেনো। দুরে যান।আর ওই পরিএান কে আমি ভয় পাইনা(অরিএানের হাত সরাতে সরাতে ভাবনিয়ে বল্লো)
:
:
অরিএান :দূরে যাবো কেনো আমি তো তোমাকে হেল্প করছি।so এখানে এভাবে দাড়াও।একদম মচরামুচরি করবা না।(হুংকারের সাথে বলে উঠে আর ওয়াসেনাতের গা থেকে তারগুলো খুলতে লাগে)
:
:
ওয়াসেনাত আর কথা বরালো না তাই ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।অরিএান তারগুলো খুলছে আর ওয়াসেনাতকে দেখছে।ওয়াসেনাতের আবস্থা দেখে কেনো যেনো তার খুব হাসি পাছে।তারপরও তা চেপে রেখেছে।
:
:
তাদের এভাবে আরও দুজন দেখছে। একজন আবাক হচ্ছে আর একজন হিংস্র হায়নার মতো ফুলছে। রিমন অরিএানের এই রুপ দেখে রীতিমত শিহরিত বিমোহিত। সে আবাক চরম ভাবে।আজ 10 বছরের বন্ধুতে সে আজ নতুন অরিএানকে নিজের সামনে দেখছে।প্রথম থেকে সব দেখেছে সে।কোথায় ভেবেছে এই মেয়ের বকবক শুনে তাকে অরিএান শুট করবে তা না করে চুপ তো ছিলো ছিলো তার উপর হালকা পাতলা রোম্যান্সও করেছে। আবার সাহায্য করছে ভাবা যায়। যে ছেলে রাতে বেড পাটনার ছাড়া কখনো মেয়ে দের দিকে তাকায় না সে কিনা। না আর ভাবতে পারছে না রিমন।তার মাথা হ্যাঙ্গ লাগছে।তহলে কি তার হিংস্র, ভয়ংকর, দায়া মায়া বিহিন বন্ধুর জীবনে নতুন সূর্যের উদয় হবে নাকি কালো মেঘে ডাকা থাকবে………………………………………….💓
:
:
💘💘~~~:[পরের পর্বে যানানো হবে]~~~💘💘
#পাথরের_বুকে_ফুল🍁🍁
#writter_Hafsa_alam🍂🍂
#part_3
:
:
:
লাস্ট একটা তাড় ওয়াসেনাতকে পেঁচিয়ে রেখেছে।তাও তার কোমরে।অরিএান তাড়টা খুলতে ওয়াসেনাতকে নিজের আরও কাছে টেনে আনে।যা দেখে ওয়াসেনাত আবার চিৎকার করে উঠে…………..
:
:
:
ওয়াসেনাত:এই এই আপনি আবার আমার কাছে আসছেন কেনো??দুরে যান।মেয়ে দেখলেই ইটিস পিটিশ করতে মন চায় না?যত সব সেরেন(নিজেকে ছাড়াতে চাইছে)
:
:
অরিএান:এই তোমাকে আমি কম কথা বলতে বলেছি না।আমি বেশি কথা একদম পছন্দ করি না। চুপ থাকলেও তোমাকে আমি এভাবে ধরে রাখবো আর চিৎকার করলেও আমি এভাবে ধরে রাখবো।soচুপ থাকা butter। আর তা না করলে আমি তোমাকে এখনই পুলে ফেলে দিবো।আসা করি বুঝতে পেড়েছ। (কোমরটা শক্ত করে চেপে ধরে কথা গুলো বলছে)
:
:
ওয়াসেনাত: আচ্ছা আচ্ছা চুপ থাকবো।এবার কোমর ছাড়েন ব্যাথা লাগছে।🙄🙄(কোমর থেকে অরিএানের হাত ছাড়াতে ছাড়তে)
:
:
ওয়াসেনাতের কথায় এবার অরিএান ওর কোমরটা হালকা ছেড়ে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে।তারপর ওয়াসেনাতের কোমর থেকে ফেড়ি লাইটের তাড়টা খুলতে শুরু করে।তাড় খোলা শেষ হলে দাড়িঁয়ে যায়।আর ভাবে একটা মেয়ের কোমরও কি করে এত আকর্ষণীয় হতে পারে???যেখানে
মেয়েরা ওয়েস্টার্ন dress পরে তাদের ফিগার দেখিয়ে তাকে ঘায়েল করতে চায়, যেখানে তাদের ছুঁয়েৈও সে আকৃষ্ট হয় না, সেখানে এই মেয়ের সামান্য কোমরের ছোঁয়ায় সে ঘায়েল। বেপারটা আসলেই ভাবার বিষয়।তাকে এত গভীর ভাবনায় ওয়াসেনাত রাখতে চায় না তাই তো বলে উঠে…………
:
:
:
ওয়াসেনাত: হাবার মত তাকিয়ে আছেন কেনো।তার গুলো গোছাতে সাহায্য করেন।(তাড়গুলো ঠিক করতে করতে)
:
:
অরিএানের এবার মাথা ঘুড়াবে ঘুড়াবে ভাব।এই মেয়ে কি তাকে দেখে একটুও ভয় পাচ্ছেনা???কেনো??এই কেনোর উওর অরিএানের কাছে নেই।কি হচ্ছে তার সাথে কিছুই বুঝতে পাড়ছে না।নিজের এত পরিবর্ত দেখে সে নিজেই হতবাগ। প্রথম দেখায় কোনো মেয়ে কারকে এত পরিবর্ত করতে পারে তা তার জানা ছিলনা।তার তো জানা আছে মেয়েরা বহুরুপি। তাহলে কি এটাও ওর একটা রুপ??হতেই পারে মেয়েরা পারে না এমন কিছু নেই।হতে পাড়ে তাকে ফাসাতে চাইছে নিজের রুপ দিয়ে।কিন্তু অরিএান ফাঁসবে না।তাই কিছু কঁড়া কথা শুনাবে বলে রেডি হয়েছে but বলতে পাড়ে নায়।তার আগেই ওয়াসেনাত বলে বসে…………………
:
:
ওয়াসেনাত:থাক আপনাকে আর সাহায্য করতে হবে না।আমি সব গুছিয়ে পেলেছি।যা করেছেন তার জন্য এক বালতি thanku . আমি যাই অনেক কাছ আছে।ওই পরিএানের পার্টি বলে কথা।কাজ শেষ হলেও থাকে(তাড়গুলো হাতে গুছিয়ে নিতে নিতে বলে উঠে)
:
:
অরিএান :ওটা পরিএান না অরিএান হবে।(দাঁতে দাঁত চেপে চোখ মুখ শক্ত করে বলে উঠে)
:
:
ওয়াসেনাত :ওরে চান্দু আপনার নাম তো আর ভেঙ্গাই নাই! তাইলে আপনার এত লাগে কা।ওই পোলারে তো আমি পরিএান এই ডাকমু।দেখি কার বাপের কি??হুু।আরে আপনিতো যানেন না কেনো ওনার নাম পরিএান দিছি।আমার বান্ধুবি রিমি আছে না ও তো এই লোকের জন্যে পাগল।সারা দিন কানের কাছে হালার নামে পক পক করে, ছবি দেখাতে চায়।কিন্তু আমিও কম না দেখবো না মানে দেখবো না।এসব আবাল সাবালরে আমি দেখি না।আচ্ছা আমি যাই।ওই আবার ওই শালার কছে এগুলো বলিয়েন না।চাকরী যাইবো গা।আমার😑😑(বলেই হাতে ফেড়ি লাইট গুলো নিয়ে সামনে চলে যায়। আবার ফিরে তাকিয়ে একটা মন কাড়া হাসি দিয়ে হাত তুলে টাটা👋 যানায়)
:
:
শেষ আর কি লাগে😁। অরিএান শেষ হয়ে নিজেই পরিএান হয়ে গেছে😁😁।এত সুন্দর হাসি হয়।বুকে হাত দিয়ে পাশের থাকা চৌফায় বসে পড়ে।আর ওয়াসেনাতের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে এবং মনে মনে ভাবে মেয়েটা কি আসলেই এত সুন্দরী না কি।তার কাছেই এমন মনে হচ্ছে।দেখে মনে হয় আল্লাহ স্পেশালি তৈরি করেছে মেয়েটা কে।মেয়েটার কথাগুলো শুনলে পেট ফেটে হাসি পায়।তার উপর আবার অরিএান এর নতুন নাম দিয়েছে পরিএান। কথাটা ভেবেই হালকা হাসলো অরিএান। তার এমন হাসি দেখে আকাশ থেকে পড়লো রিমন।অনেক আগেই অরিএানের পাশে এসে বসে পরে তবে অরিএান ভাবনার জগৎ এ এতোই busy তার চারপাশে কি হচ্ছে তার কোনো খবর নাই।রিমন এত সময় ধরে সব খেয়াল করছিলো।এবার বলে উঠলো……………
:
:
রিমন:কিরে কার কথা ভাবা হচ্ছে??🤨
:
:
অরিএান:ফেড়িপরীর কথা।মেয়েটা অনেক বাছাল।(আন মনে কথা গুলো বলে উঠে)
:
:
রিমন:তাই নাকি।🤔মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর তাই না।
:
:
অরিত্রান :হুম অনেক(বলতেই তার হুশ আশে। পাশে তাকাতেই একটু অবাক হয়। নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠে)তুই এখানে, কখন এলি।
:
:
রিমন:তুই যখন সুন্দরীর ভাবনায় বিভোর ছিলি(হালকা ধাক্কা দিয়ে)😊
:
:
অরিএান:what ravished.বেশি কথা বলা বন্ধ কর।(রাগী চোখে তাকিয়ে)
:
:
রিমন:না আমি এমনেই বলছিলাম আর কি।🙄আচ্ছা আজ তো তোর আমেরিকায় যাওয়ার কথা।private বিমান রেডি আছে। তুই কখন বের হবি পার্টি থেকে??
:
:
অরিএান :cancel .(দাড়াঁতে দাড়াঁতে বলে উঠে)
:
:
রিমন:what.মনে কি?😲(অবাক হয়ে,সাথে সাথে দাড়িয়ে বলে)
:
:
অরিএান :আমার মনে হয় তুই English বুঝতে পাড়ছ।
:
:
রিমন:কিন্তু কেনো তা তো বল।
:
:
অরিএান:আমার ইচ্ছা। ভিতরের কি অবস্থা। পার্টি কতদূর।
:
:
রিমন:জানি না। তোর পিছনে পিছনে যে আসলাম আর তো যাই নাই।(বিড়বিড় করে বলে উঠে)
:
:
অরিএান :এই কি বিড়বিড় করছ।
:
:
রিমন:বলছিলাম কি মেয়েটা সুন্দর না?(দাতঁ কেলিয়ে😁)
:
:
অরিএান :তুই আবার……(বলতে না দিয়ে)
:
:
রিমন:ভাবছিলাম প্রপোজ করমু।কি বলছ(😁😁😉😉)
:
:
অরিএান কিছু বলছে না।সে রাগে ফুলছে তাই রিমন আবার বলে উঠে……………
:
:
রিমন:আচ্ছা যা করমু না।তোর কি মেয়েটারে বেশি পছন্দ হইছে??আমাকে বল। আজই তোর বেড পার্টনার বানামু। 😶
:
:
অরিএান:রিমন বেশি হচ্ছে কিন্তু। 😡😡
:
:
রিমন:sorry sorry bro.
:
:
অরিএান আর কিছু না বলে ভিতরে চলে গেলো।রিমন তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কি যেনো ভাবলো।তারপর ও মিষ্টি মিষ্টি হাসতে হাসতে তার পিছনে পিছনে যেতে লাগলো।
ভিতরে গিয়ে কিছু লোকের সাথে কথা বলে আবার বসে পরে সেম্পিনের গ্লাস হাতে নিয়ে।কিছুক্ষণ পরেই মাদৌলি তার পাশে এসে বসে।সব মেয়েরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।কারন কারও এখনও পর্যন্ত সাহস হয় নায় অরিএানের পাশে বসার। তবে মাদৌলিকে যে সবার থেকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগছে এটা সবার যানা আছে।প্রথমে সে লাল রং এর জামা পরলেও পরে অরিএানের সাথে মিলিয়ে কালো রং এর হাটুর উপরে একটি ওয়েস্টার্ন dress পড়েছে।সবার দৃষ্টি তার দিকে থাকলেও অরিএান তো তার দিকে ফিড়েও তাকায় না।পাশে বসে তারপর বলে উঠে…………
:
:
মাদৌলি :hello. ( হাসি হাসি মুখ করে)
:
:
অরিএান একবার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আবার সামনে তাকায়। যেনো সে কিছুই শুনতে পায়নি।তার এমন ভাব দেখে মাদৌলির প্রচুর রাগ হলো তাও নিজের রাগ দমন করে আবার বলে উঠে……..
:
:
মাদৌলি :আমাকে চিন্তে পড়ছেন??? অরিএান।
:
:
অরিএান নিজের নাম এর মুখে শুনে প্রচুর রেগে যায়। ওয়াসেনাত নামের মেয়েটাও তো তার নাম নিয়ে কথা বলেছে তখনতো এত রাগ লাগে নায় তবে এখন কেনো এত রাগ লাগছে। ভেবে পাচ্ছেনা সে।তোবুও কথা বলছে না।কারন তার এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা। মাদৌলি মনে হয় আজ শপথ করেছে অরিএানের সাথে কথা বলবেই। তাই আবার বলে উঠে……………….
:
:
মাদৌলি:যানেন কাল আমার আর ঘুম হয়নি।সুধু আপনার কথা মনে পরেছে।আপনার স্পর্শ গুলো আমাকে রাতে আর ঘুমাতে দেয় নাই।(কিছুটা লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে)আপনার ও কি আমার ক……………………
:
:
অরিএান :অরিএান খান পতিতাদের কথা মনে রাখে না।যেখানকার জিনিষ সেখানেই ভুলে যায়। so i don’t know who are you????(ভয়ংকরী ভাবে রেগে কথা গুলো বলে উঠে সামনের দিকে হাটতে শুরু করে।)
:
:
ওয়াসেনাত তো রাগে ফেটে যাচ্ছে।তাকে পতিতা বলেছে।ভাবতে তার সব কিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।তোবুও নিজের রাগ কন্ট্রোল করে সামনের টেবিলে ভুল করে রেখে যাওয়া মোবাইলটা হাতে নিয়ে অরিএানের পিছু পিছু যায়।তার সুধু একটাই চিন্তা যে কোরেই হোক অরিএান কে নিজের করা।
:
:
অরিএানের এখন কিছু ভাল লাগছে না।তার মন এবং মস্তিষ্ক জুড়ে ওই একটা মেয়েরই বসবাস।কিন্তু কেনো তা তার যানা নেই। তার উপর এই মেয়ের পালতু কথা, তার মন চেয়েছে ঠাটিয়ে কয়েকটা চর বসিয়ে দিতে।তবে এখন তার mood প্রচণ্ড খারাপ তাই এর সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না।তাই নিজে থেকে চলে এসেছে। হঠাৎ কিছুর সাথে তার বুক ধাক্কা খায়।এমনেতেই তার মেজাজ খারাপ তার উপর আবার ধাক্কা।আর নিতে না পেড়ে সামনে থাকা ব্যক্তিকে টেনে ঠাসসসসস করে চর বসিয়ে দেয়।তারপরও কিছু বলতে নিভে তখনই সামনের ব্যক্তিকে দেখে অরিএান থমকে দাড়ায় কারন সামনে আর কেউ না ওয়াসেনাত গালে হাত দিয়ে তার নীলাভ চোখের ছলছল পানি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।যা দেখে অরিএানের বুকে ধাকধাক করে উঠে।আসলে সব রাগ একসাথে মাথায় ভর করেছে তাই থাপ্পড়টা জড়েই পড়েছে। পুরো মুখ লাল টুকটুকে হয়ে গেছে মুহুর্তে।অরিএান কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাদৌলি এসে হাজির।অরিএান ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে।গভীর ভাবে দেখছে তাকে।একটা মেয়ে কে চোখের পানিতে এত সুন্দর লাগতে পারে এটা তার যানা ছিলো না।সে তো অনেক মেয়েকে তার জন্যে কাদঁতে দেখছে কই তখন তো এত কষ্ট হয় নাই তবে এখন কেনো হচ্ছে। আর ওয়াসেনাতের তো মাথা গরম হয়ে আছে।সামান্য ধাক্কার জন্যে তাকে এত জড়ে থাপ্পড় দিলো লোকটা।তার এখন খুব কান্না পাচ্ছে।তার ইচ্ছা করছে এই লোকের নামে থাপ্পড় মারার অপরাধে কেইস করতে।কিন্তু সে এমন কিছুই করতে পাড়ছে না।তাই তার ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাদঁতে ইচ্ছে করছে।তার সব ইচ্ছেতে দুই বালতি পানি মেড়ে মাদৌলি অরিএানের মোবাইলটা তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে উঠে……………….
:
:
মাদৌলি:এই স্টাফ আমাদের কয়েকটা ছবি তুলে দেও তো।(অরিএানের বাম হাতটা ধরে কথাটা বলে)
:
:
অরিএান এখনো ওয়াসেনাতের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।তাই তার আশেপাশে কি হচ্ছে সেদিকে তার খবর নায়।ওয়াসেনাত মোবাইলটা নেয় তবে তাদের কোনো ছবি তোলে না। সে চোখের পানি ভালো করে মুছে মনের মত নিজের কয়েকটা সেলফি তুলে নেয় 😁😁।হিহি তার ধারনা একদম ঠিক কাজ করেছে সে।একে তো তাকে থাপ্পড় দিছে। আবার বেটার gf কয় ছবি তুলে দিতে।(ওয়াসেনাত ভেবেছে মাদৌলি অরিএানের gf। আর মোবাইলটা যে আরিত্রানের তাও সে যানে না)
:
:
ওয়াসেনাত:কচু দিমু তোরে শয়তান মাইয়া। আমি কি তোর ভাড়া করা photographer? যে তুই কইলি আর ছবি তুলে দিমু। হুম..দিমু না।আহারে বেচারি 😁😁by the রাস্তা আমার ছবি গুলা কত সুন্দর আসছে শালির মোবাইলে।এখন নিমু কেমনে তার উপর I phone 😣 নিতে পারমুনা। থাক delete করে দি।(মনে মনে কথা গুলো বলছে)
:
:
যেই না delet করতে যাবে তার আগেই অরিএান নিজের মোবাইলটা নিয়ে নেয়।ওয়াসেনাত তো ভোঁ দৌড়।তারে আর পায় কে।অরিএান প্রচণ্ড রেগে মাদৌলির হাত ঝাড়া দেয় আজ এই মেয়ের জন্যে সে ওয়াসেনাতের গায়ে হাত তুলেছে।ভাবতেই তার মাথাটা গরম হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে কন্ট্রোল করে সে ওয়াসেনাতের কাছে যেতে লাগে কিন্তু তার আগেই চারিপাশে গান বেজে উঠে আর মাদৌলি অরিএানকে ধরে নাচতে শুরু করে। যেই না অরিএানের বুকের বা পাশটায় হাত দিতে যাবে তার আগেই অরিএান ঠাসসসসসস,ঠাসসসসসস করে দুটি চর বসিয়ে দেয় তার গালে।চারিপাশে গানের সাউন্ড হলেও তাদের দিকে সকলেরই দৃষ্টি ছিলো তাই সম্পর্ন পার্টি সুনসান নিরব হয়ে গেছে।অরিএান সেদিকে লক্ষ না করে।মাদৌলিকে ধাক্কা দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে বাহিরে চলে যায়।আর মাদৌলি তো রাগের সপ্তম আকাশে আছে।তার বাবা দৌড়ে আসে তার কাছে।রিমন বেপারটা অনেকটাই বুঝতে পেড়েছে। তাই পার্টি সমাপ্ত ঘোষনা করে সেও বাহিরে চলে আসে।আর মাদৌলি তো সেখানেই দাড়িঁয়ে আছে………………………💖
:
:
:
:
:
[💖”””বাকিটা পরের পর্বে জানানো হবে””💖]
নায়িকার নাম নিয়ে একজনে বলেছে তার ভাল লাগে না।সবার কি একি মতামত তা যানাবেন।আসলে নামটা ইরানি নাম। ওয়াসেনাত নামের অর্থ সৌন্দর্য্যে মণ্ডিত। এখানে মণ্ডিত মানে ভিতর এবং বাহিরে দুটি দিকের সৌন্দর্য্যের কথা বলা হয়েছে।আর আমি নায়িকার মধ্যে দুটি গুনই দেওয়া চেষ্টা করবো।তাই এই নাম দেওয়া।তারপরও আপনাদের ভালো না লাগলে change করবো।যদি বেশি পাঠকের ভাল না লাগে।💞💞ভুল গুলো মহান আল্লাহর দেওয়া গুনের মাধ্যমে ক্ষমার চোখে দেখবেন।💞💞