পাথরের_বুকে_ফুল🍁 part_29

0
2942

পাথরের_বুকে_ফুল🍁
part_29

#writer_hafsa_alam🍂🍂

:
:
:
রোদের আলো ওয়াসেনাতের চোখে মুখে পড়তেই ওয়াসেনাতের ঘুম ভেঙে যায়।চোখ খুলে ওয়াসেনাত নিজেকে নিজের রুমের খাটে আবিষ্কার করে।রোদটা তার রুমের জানালা দিয়ে আসছে।ওয়াসেনাত ধড়পড়িয়ে উঠে বসে।আর ভাবে অরিএান গেল কই?তবে কি সে স্বপ্ন দেখেছে?কিন্তু তার তো মনে হয়েছিল বাস্তবে।তবে তো সে ছাদে ছিল বিছানায় কিভাবে, কখন এল?ওয়াসেনাতের মাথা ঘুড়ছে।সে আবার বিছানায় চোখ মেলে শুয়ে পরে।তার মাথায় এটা ডুকছে না কই গেল লোকটা?আজিব লোক একটা। কখন উদয় হয় আবার কখন গায়েব হয়ে যায়।
:
:
:
ওয়াসেনাত তার মার কথা শুনেই বুঝতে পারে অরিএান সত্যেই এসেছিল। তার মার মুখে অরিএান কখন গেছে কথাটা শুনে তার বেশ লজ্জাও লেগেছিল।আজ অনেক দিন পরে ওয়াসেনাত ভার্সিটি যাবে। বিয়ের অনুষ্ঠানের ডেট পিছানো হয়েছে।তাই ওয়াসেনাত ভার্সিটি যাবে বলে ঠিক করেছে।ওয়াসেনাত রেডি হয়ে মোবাইল ব্যগে ডুাকাতেই তার মনে পরে যায় অরিএান তো কালকে ব্যথা পেয়েছিল।একটা কল করবে কি না ভাবছে?বেশি ভেবে কাজ নেই। তাই ওয়াসেনাত অরিএানের নাম্বারে কল দিয়ে বসে।দুই তিন বার রিং হওয়ার পরে অরিএান রিসিভ করেই বলে উঠে……
__ও মাই গড জান সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে? তুমি নিজে থেকে আমাকে কল করেছ। ভাবা যায়!!
__এই আপনার ভাবা ভাবি নিয়ে আমার কাজ নাই আগে বলেন আপনি কি কালকে এসে ছিলেন?আর আসলেও চলে গেলেন কেন?? একবার বলে যাওয়ারও প্রয়োজন মনে হল না?আর আপনার ব্যথার জায়গা গুলোতে মেডিসিন লাগিয়েছেন??
__কুল বেবি কুল এত প্রশ্ন একসাথে করার মানে কি? একটা একটা করে কর?আমিও একটা একটা করে জবাব দিবো।তো তোমার প্রথম প্রশ্ন আমি কি এসে ছিলাম নাকি?? আচ্ছা তোমার কি মনে হয় স্বপ্নে এসেছিলাম?? যদি তাই মনে হয় তবে সেটাই। আর সেকেন্ড প্রশ্ন আমি বলে যাই নি কেনো?তার জন্যে সরি জান আসলে কাজ ছিল তোমাকে ডাকতে গিয়েও আর ডাকতে পারি নি।কি সুন্দর করে ঘুমাও তুমি। ইশশশ তোমার ঘুমন্ত মুখ দেখেই আমার জীবন পারকতে পাড়বো। তোমাকে কোলে করেই আমি নিয়ে এসেছি সো ভয় পাওয়ার কারন নেই।কেউ দেখেও নি।আর দেখলেও কি আমার বউ আমি কোলে নিয়ে ঘুড়ি বা মাথায় নিয়ে কার বাপের কি?আর তৃতীয় প্রশ্ন মেডিসিন? তা তো তোমার কাছ থেকেই নিয়ে এসেছি।তোমার ছোঁয়া পেয়েই ব্যথারা ফুসসস।আর আজকে আমার কিছু কাজ আছে তাই তোমাকে ভার্সিটি নিতে পারবো না কিন্তু আমি আসার সময় নিয়ে আসবো। গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। গাড়িতে করেই যাবে।গড ইট।
__আপনি কিভাবে জানলেন আমি ভার্সিটি যাবো?
__আমি তো তোমার মুভমেন্ট দেখেই সব বুঝতে পারি জানেমান।আর তুমি যে ভার্সিটি যাওয়ার জন্যেই মোবাইল ব্যাগে ডুকাতে যাচ্ছে তা আমি যানি তা না হলে তুমি যে মেয়ে মোবাইল এক দেশে তুমি আর এক দেশে।এখন খাওয়া দাওয়া করে যাও। বাই কাজ আছে..
:
:
:
ওয়াসেনাত হাবুলের মত মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছে।কি হল তার সাথে এটা তার জানা নেই।মনে হচ্ছে হঠাৎ বৃষ্টি এল আবার চলেও গেল।আজিব ব্যাপার 😂😂
:
:
প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। পিছডালাই রাস্তাটার রং টাও বৃষ্টির পানিতে বেশ সুন্দর মনে হচ্ছে। ভার্সিটির ক্লাস শেষে সব মেয়ে ছেলে রা ছাঁউনিতে দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু ওয়াসেনাত বৃষ্টিতে ভিজছে। বৃষ্টি তার অতি প্রিয়।তাই এভাবে ভিজা। রিমি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে টাইয়াড। ওয়াসেনাত সূক্ষ দৃষ্টিতে বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা উপভোগ করছে।হাঠৎ এক বিশাল গাড়ি তার সামনে এসে দাড়ায়।ওয়াসেনাত কিছুটা দূরে শরে দাড়ায়।গাড়ি থেকে একজন লোক একটা ছাতা নিয়ে বাহিরে আসে। সে মনে হচ্ছে বডি গার্ডস অপর পাশের দরজা খুলে অরিএানকে দেখে উপস্থিত সবাই মোটামোটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।সাথে ওয়াসেনাতও।অরিএানের হাতে খুব সুন্দর একগুচ্ছ সাদা গোলাপ… যাতে খুব সুন্দর করে সাজানো ফুটন্ত সাদা গোলাপ।উপস্থিত সবাই অতি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে।অরিএান ফর্মাল লুকে আছে।কালো ব্লেজার, কালো পেন্ট সাথে কালো সু। ভিতরে সাদা শার্ট যার কলার জড়িয়ে কালো টাই যার নাট হালকা ডিলা হয়ে আছে।শার্টের উপরের কিছু বুতাম খোলা।সবুজ চোখগুলো কালো সানগ্লাসে আবৃত।অরিএান ধির পায়ে হেটে ওয়াসেনাতের সামনে এসে দাড়ায়।ওয়াসেনাত অবাক হয় এটা দেখে অরিএান এসেছে ভালো কথা কিন্তু ফুল হাতে কেন?অরিএান বাঁকা হেসে তার হাতের ফুলগুলো এক হাতে নিয়ে নিজের ব্লেজারট খুলে ফেলে তারপর নিজের বডি গার্ডসের হাতে দিয়ে দেয়।শুধু ব্লেজার খুলে নি টাই টাও খুলে ফেলে। এবার সে নিজের হাতা ভাজঁ করা শুরু করে।সানগ্লাস টা বডি গার্ডসের হাতে দিয়ে তাকে ছাতা নিয়ে সরে দাড়াঁতে ইশারা করে। কিন্তু বডি গার্ডস বলে উঠে……
__স্যার বড় স্যার বলেছে আপনার কাছে কাছে থাকার জন্যে।
:
:
অরিএান জবাব না দিয়ে সবুজ চোখজোড়া লাল করে তাকাতেই সে সরে দাড়ায়।অরিএান এবার ওয়াসেনাতের সামনে বরাবর দাড়ায়।রাস্তার আশেপাশে সবার দৃষ্টি তাদের দিকে।ওয়াসেনাত চারিপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়।বৃষ্টির ফোটাগুলো ওয়াসেনাত আর অরিএান দুজনকেই নিজেদের আপন রংয়ে সাজিয়ে যাচ্ছে। ওয়াসেনাত আগেই ভিজে চপচুপে হয়ে গিয়েছিল।এখন তো তার সাথে অরিএানও নিজেকে ভিজিয়ে ফেলেছে।অরিএানের সাদা শার্টে বৃষ্টির অগণিত ফোটা পড়ে তা ভিজিয়ে ফেলেছে..যার কারনে শার্ট বেদ করে তার সিক্সপ্যাক বডি দৃশ্য মান।শুধু যে মেয়েরা তাকিয়ে আছে তা কিন্তু নয় ছেলেরাও তাকিয়ে আছে অরিএানের দিকে।দুজনের চোখের পাপড়ি বেয়ে পানি পরছে।অরিএান এবার হাটুগেড়ে পিছডালাই করা রাস্তার উপড় ওয়াসেনাতের সামনে বসে পড়ে।আকর্ষীক এমন ঘটনায় ওয়াসেনাত সহ সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।অরিএান মুচকি হেসে ফুলগুলো ওয়াসেনাতের সামনে বাড়িয়ে দেয় আর নিজের কোমল গলায় বলে উঠে………..
__তোমায় প্রথম দেখেছিলাম একঝাঁক আলোক রশ্মির মাঝে…তখনও আমি ছিলাম গন্তব্য বিহিন এক পথিক…যার না আছে কুল না আছে ডাল…অন্ধকার আছন্ন ছিল আমার গন্তব্য বিহিন জীবন…তুমিই প্রথম আলোক বর্শন করেছিলে আমার মাঝে…তখনও কিন্তু আমি তোমার প্রেমে পাগল হই নি..তখন তো ছিল এক ঘোড় লাগানো নেশা…যা তোমার প্রতি আমাকে টানতো….প্রেম জিনিসটা কি তা আমার জানা নেই… তবুও পড়েছি সেই সোনালি আলোর আভা যুক্ত পরীর কোমল চাহনির…প্রেমে পড়েছিলাম..সেই হলুদ কড়ির..যে কিনা মার্কার কামড়ে বাচ্চাদের পড়াতে মগ্ন ছিল….তোমার প্রতিটা স্টেপস আমাকে প্রেমে পড়তে বাদ্ধ করেছে…ঘায়েল করেছে আমার মনের একুল ওকুল সব কুল…তুমি ছাড়াতো আমি এখন কুল খিঁজেই পাই না…(কথাটা বলে হালকা মাথা ঝাঁকিয়ে হেসে উঠে)তবে সব প্রেমে পড়া ছাড়িয়েছে তোমার নীলাভ চোখের কাজল..এই চোখের কাজল আমাকে শুধু ঘায়েল করে নি… করেছে নিঃশেষ… আমি তো মরেছি তখনই…যখন তুমি কাজল রাঙা নীলাভ চোখ তুলে তাকিয়ে ছিলে….ইশশশশ..এই জায়গাই সেদিন শেষ হয়েছি তোমাতে(বুকের বা পাশে হাত দিয়ে)…..কিন্তু এখন আর তোমার প্রতি প্রেম আসে না!!না আমি তোমার প্রেমে পড়ি!!প্রেম কি যানো??প্রেম অপূর্ণতার প্রতিক….. যা পূর্নতা পায় না তাই প্রেম….আমার জীবনে তুমি নামের মানুষটি কিন্তু এখন আর অপূর্ণতায় ভাস না…কি ভাবে ভাসবে বল??এখন তো তুমি আমার জীবনে পূর্নতা…এখন আমি প্রতি নিয়ত তোমার প্রেমে নয় ভালোবাসায় ডুবি…প্রতিটি মুহুর্তে তোমার ভালোবাসায় মরি…তুমি এখন নিজের প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে প্রেমে ফেলনা… নাকি ঘায়েল করো…তুমি এখন আমাকে ভালোবাসার মায়া জালে আটকে রাখ।আমি কখনো কাউকে ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজের ফিলিংস প্রকাশ করতে দেখি নি…নাকি নিজে কখনো করেছি…সো বাকি সবার মত তোমাকে আমি আমার ফিলিংস ব্যক্ত করতে পারবো না।কিন্তু নিজের মত করে বলতে পারবো।কারন আমি জানি আমার তুমি যে মানুষটা তার কাছে পৃথিবীর কঠিন কিছুই জায়গা পায় না।পৃথিবীর তেমন কোনো কিছু তাকে তেমন টানে না।করন তার কাছে মানে হয় এত কিছু জেনে বা বুঝে কি হবে প্রয়োজন শুধু মনের সাথে মনের মিল,মায়ার সাথে মায়ার ভাব,অশ্রুর সাথে অশ্রুর টান,ভালোবাসার সাথে ভালোবাসার বাঁধন…..তাই আমিও তাকে ভালোবাসার বাঁধনে বাধতে চাই….
……..এহে অপ্সরী আমি কি তোমার নীলাভ চোখের ভালোবাসায় নিজেকে আটকাতে পারি??আমি কি আমার হৃদয়ে তোমার মত ফুলকে অনুমতি নিয়ে স্থান দিতে পারি??আমি যে তোমাকে আমার ফেইড়িপরী বানিয়েছি। চাই তুমি শুধু আমার বুকের ফুল হয়ে থাক।যানি না তোমায় কতটুকু যত্নে রাখতে পারবো!!শুধু যানি আমার হৃদয়ের প্রতিটি ভালোবাসায় শুধু তুমি।……
💞ভালোবাসি💞হে তোমাকে আমি ভালোবাসি….কতটুকু ভালোবাসি বলতে পারবো না….কিন্তু যতটুকু ভালোবাসি তা আমার এবং তোমার জন্যে যথেষ্ট এবং অপূর্ন্ত। আমি ওই আল্লাহ যিনি আমাকে তোমাকে সবাইকে সৃষ্টি করেছে,তাকে এবং আকাশ,বাতাস,মেঘের আড়ালে লুকাইত সূর্য,এই বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা,এই জনতা, আর এই হৃদয়ের বিশ্বাসকে সাক্ষী রেখে বলছি….আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি…যা অনন্ত কালের জন্যে…তুমি আর একবার আমার সাথে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাও যা প্রেমকে ভালোবাসার নাম দিয়ে পূর্নতা দেয়???(এক হাতে ফুল আর এক হাতে একটি চুড়ি নিয়ে বলে উঠে)
:
:
:
পরিবেশ এখন পিনপিনে নিরব।ঝিড়িঝিড়ি বাতাসের উত্তাপ চলছে…. বৃষ্টি অপন গতিতে বয়ে চলেছে…রাস্তায় দাঁড়ানো সকল মানুষের মনে এক রকম উৎসাহ উৎসাহ ভাব…এখানের বেশিরভাগ মেয়েরই অরিএান ক্রাশ কিন্তু অরিএানের এমন হৃদয় কাপাঁনো অনুভূতি মিক্সিত ভালোবাসা প্রকাশের ধরন দেখে সবার মনেই একটি চাওয়া ওয়াসেনাতের মুখে হ্যাঁ। সবাই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কারো চোখের পাতা পড়ছে না। রিমিতো পারছেনা ওয়াসেনাতকে ঠাটিয়ে চর বসিয়ে দিতে।শালি এত সুন্দর করে তোরে প্রপোজ করছে আর তুই ভেবাচেকা খাইয়া দাঁড়াইয়া আছিস।ভাবতেই রিমির মাথা ফেটে যাচ্ছে। অরিএান এখনো বসে আছে।তার মাঝে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও বিরক্তির কোনো ছাপ নেই ভাব দেখে মনে হবে সারা জীবন এভাবে হাটুগেড়ে বসে থেকেই কাটিয়ে দিতে পাড়বে। ওয়াসেনাত বাকরুদ্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।অরিএানের সবগুলো কথাই তার কোমল হৃদয়ে গেঁথে গেছে।সেও অনেক কথা বলতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না।কেনো যেনো তার মুখ দিয়ে কথাই বেড় হচ্ছে না। মনে হচ্ছে কথাগুলো গলায় আটকা পরছে।হাতটাও বারাতে পারছে না।তার নিজেকে রোবট মনে হচ্ছে। মালিক রিমোট টিপা ছাড়া সে লড়তেও পারবে না এমন। আমাদের আমজনতা এবার ওয়াসেনাতের উপড় বিরক্ত তাদের মাঝে এক মেয়ে বলে উঠে……
__কি হল আপনি কিছু বলছে না কেন??এত সুন্দর করে প্রপোজাল দিতে তো আমি জীবনেও দেখি নি তার উপর সোজা বিয়ের। ইশশশ কি কিউট লাগছে অরিএানকে। অরিএান আপনি আমার ক্রাশ। দেখেন কবি সাহিত্যিকরা বলেছে…. তাকেই ভালোবাসেন যে আপনাকে বেশি ভালোবাসে…তাকে নয় যাকে আপনিই বেশি ভালোবাসেন…সো আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি আমাকে এভাবে প্রপোজ করে না(দাতঁ কেলিয়ে বলে উঠে)
__তাই নাকি।কিন্তু আমি তো বুকিং সো নো চান্স। এই মায়াবি রানী প্রপোজ এক্সেপ্ট করলেও আমি তার না করলেও আমি তার। তাই আর কিছুই করার নেই।এই মেয়ে বাদে অরিএানের বুকের ফুল আর কেউ হতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।এবার উপড়ওয়ালা কি করে তা তো বলা যায় না।আর এই মেয়েকেই আল্লাহ আমার পাঁজরের হাড় দিয়ে তৈরি করেছে সো উপড়ওয়ালাও এটাই চায়।(ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে উঠে)
__আচ্ছা আপনি কিভাবে যানেন যে ওকেই আপনার পাঁজরের হাড় দিয়ে আল্লাহ তৈরি করেছে।
__মনে হয় তুমি আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুননি আমি কিন্তু বলেছি আর একবার বিয়ের কথা…সো ও কিন্তু আমার ওয়ান এন্ড অনলি বউ…কি বউ ঠিক বলছি না?(ভ্রু নাচিয়ে বলে উঠে)
:
:
:
এবার সবাই চিৎকার করে বলে উঠে……হ্যাঁ বলে দিন, বলে দিন প্লিজ বেচারা আর কতক্ষণ এভাবে থাকবে।অরিএান এখনও ওয়াসেনাতের দিকে তাকিয়ে আছে।এবার সে বলে উঠে…….
__হ্যাঁ না বলার হলে সমস্যা নেই কিন্তু আর বেশিক্ষণ এভাবে থাকলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাবে।সো না বলার হলে বলে দেও।তোমাকে আমি এভাবে ভিজতে দিতে পাড়বো না।যা খুশি বল ফাস্ট…..
:
:
রিমি এবার না পারতে মাথার উপড়ে হাত দিয়ে ছাঁউনি থেকে নেমে এসে ওয়াসেনাতকে ধাক্কা দিয়ে বলে উঠে……
__তোরে এক বিশাল লাথি দিয়ে দেশের বাইরে পাঠাই দিমু। ভাইয়া আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকবে??
__বসাটা সমস্যা না ওর ভিজাটা সমস্যা। আর আমি সারা জীবন এভাবে বসে থাকতে পারবো এটা কোনো সমস্যা না।
:
:
ওয়াসেনাত এবার অরিএানের সামনে হাটুগেড়ে বসে পরে।তার লং জামাটা মাটিতে লুটিয়ে পরেছে।ওয়াসেনাত কাপাঁ কাপাঁ হাতে ফুলগুলো নেয়। আর নিজের হেজাবে আবৃত মাথাটা ঝাঁকানো শুরু করে যার মানে এটাই হ্যাঁ আমি রাজি।চোখগুলো তার পানিতে ভিজে উঠেছে।ঠোঁট এক অদ্ভুত হাসি ঝুলে আছে।।অরিএান তার ঠোঁট গুলোকে পোসারিত করে হালকা দাতঁ বের করে হাসে। তারপর হাতের চুড়িটি ওয়াসেনাতের হাতে পরিয়ে দেয়।সবাই রাস্তা কাপাঁনো করতালি দিতে থাকে।কয়েক জন এই বৃষ্টিতে নেমে আসে।তারপর অরিএানকে উদ্যেশে করে একজন বলে উঠে……
__ভাইয়া আপনার ভালোবাসা দেখে আমি তো ফিদা।আর আপনাদের দাড়ুন মানিয়েছে। দেখেই বুঝা যায় মেড ফর ইচ আদার।তবে একটা কথা বুঝলাম না আপনাদের তো বিয়ে হয়েছে তবে আবার বিয়েই বা কেন আর এভাবে প্রপোজই বা কেন??
__বিয়েটা একটু ভিন্ন ভাবে হয়েছে তাই আবার বিয়ে।এখন এটা বল না কিভাবে।বলতে পারবো না।আর প্রপোজ ওকে বিয়ের আগেই একবার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তখন ব্যাপারটা অন্য রকম হয়ে গেছিল।তাই ভাবলাম ভালো যখন বেসেছি তবে কেন নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করবো না।আর আমি সব সময় আমার ভালোবাসা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চাই। কারন আমার ভালোবাসা সবার চোখে সিকৃতি পাক এটাই আমি চাই।আড়ালে ভালোবাসা থাকে না ভালোবাসা তো প্রকাশের জিনিস।
__ওয়াওওও ভাইয়া আপনার কথায় আপনার মতই দমের। যাই হোক এটা বুঝলাম না আংটির বদলে চুড়ি কেনো???
__দাদিজানের চুড়ি। বংশ পরম্পরা ক্রমে এসেছে তাই এটা দিয়েই প্রপোজ করলাম যাতে ভালোবাসা এবং দোয়া মিক্স থাকে।যাই হোক ভাই আমার বউ ভিজে কুপোকাত হয়ে গেছে সো এখন গণমাধ্যমে বসতে পারবো না।(বলেই হাসা শুরু করে।সবাই হাসছে।কার পূর্নতা দেখলে মানুষের মনে আলাদা সুখ জাগে।প্রকৃতির নিয়ম এটা)
……………………………………….🍁
:
:
:
অরিএান এবার ওয়াসেনাতের কাছে গিয়ে দাড়ায়।ওয়াসেনাত অরিএানের উদ্যেশে করে বলে উঠে………
__এত ভালোবাসা কথা থেকে আসে বলবেন প্লিজ(বেঙ্গমা করে বলে উঠে)
__এখান থেকে(বুকে হাত দিয়ে)
__আপনি যে পাগল তা কিন্তু আমি সখে বলিনি।যানেন??
__হুম জানি।রান্না যে করে সেইতো আগে টেস্ট জানবে তাই নয় কি(ভ্রু নাচিয়ে)
__মনে
__তুমিইত পাগল বানালে সো তুমি জানাটাই কি সাভাবিক নয়।(ঠোঁট শয়তান হাসি ঝুলিয়ে)
__হোয়াট!! আমি পাগল বানিয়েছি মানে কি?(রাগি ভাবে)
__তা নয় তো কি বেবি।এই হসান আমার ব্লেজারটা দেও(বডি গার্ডসকে উদ্যেশ করে বলে উঠে)
:
:
ওয়াসেনাত চোখমুখ শক্ত করে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে। অরিএান তার ব্লেজার দিয়ে ওয়াসেনাতের বাহু ডেকে দেয়।তারপর ছাতাটা তার আর রিমিরকে উদ্যেশ করে বড়িয়ে দেয়।রিমি ছাতা হাতে নিয়ে ওয়াসেনাতকে ধাক্কা দিতে দিতে গাড়ির সামনে নিয়ে উঠে বসতে বলে।ওয়াসেনাত প্রচণ্ড রাগ মাথায় নিয়ে অরিএানের গাড়িতে উঠে।তার এখন অরিএানকে কাচাঁ চিবাইতে মন চাচ্ছে। পাগল করেছে মানে কি??এই ব্যাপারটা সে মানতে পারছে না।আবার আজকে অরিএানের বলা কথা গুলো তার কানে বাজতেই সে মুচকি হাসি দেয়।যাবে বলে তৃপ্তিময় হাসি।ভালোবাসার তৃপ্তিতে দুজনই হাসছে।কেউ লু্কিং গ্লাসে প্রিয়সির বৃষ্টির ফোটা যুক্ত চেহারা দেখে আবার কেউ প্রিয়তমর ভালোবাসা মিক্সত কথা মনে করে……….

#চলবে……………………………🍁

প্রথমেই কালকের একটা ভুল লেখার জন্যে সরি।আসলে দ্রুত লিখতে গিয়ে ভুলেই গেছিলাম আমি কাকে কেমন চরিএ দিয়ে ছিলাম।ওয়াসেনাতের মায়ের চোখের ব্যাপারটা মাথা থেকে আউট হয়ে গেয়েছিল।তাই ওমনটা লিখে ফেলেছি।আসা করি আপনারা সমস্যাটা বুঝবেন।এবার কথা হচ্ছে একজনে বলেছে নায়িকা নাকি নেকা নেকা, পালতু, কেমন যানি ভালোলাগছে না এই সব বলেছে।আগের পর্বে নায়িকার কোনো নেকামি দিয়েছি কিনা মনে তো পরছে না।তবে হ্যাঁ কান্না টাইপের কিছু দিয়েছিলাম।এখন এক এক জনের মানুষিকতা এক এক রকম।আমার মতে কান্না ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম কারন আয়নার সামনে দাড়িয়ে ঠোঁট প্রশারিত করলেই হাসি না আসলেও হাসার মত মনে হয়।কিন্তু মানুষের কান্না না আসলে জোড় করে আনা যায় না।আমি কিন্তু প্রথমেই বলছি প্রেমে আমি কাচাঁ প্লেয়ার। আসলে জীবনেও এই আজাইরা বস্তুতে নিজের নাম লেখায় নাই সো অতসত বুঝিও না পারিও না।আমার কাছে ভালোবাসা মনে কান্না কারন একটা আছে।আর সেটা আম্মু। আমার আম্মু আমাকে যাই করে কিন্তু আমি ব্যথা পেলে বা হাত পা ছিঁড়েটিরে বাসায় আসলে আম্মুুুু চোখের পানি ফেলে আর মুখের এফএম রেডিও অন করে বসে।একবার তো কানের দুলের কারনে আমার কান থেকে রক্ত ছড়েছে আম্মুুুু তো সেই কান্না।যাই হো পার্সোনাল কথা বলতে চাই না। আসলে আমার মনে হয় না ওয়াসেনাত নেকামি কিছু করেছে।তবে ও একটু চুপচাপ হয়ে গেছে আসলে অনেক কিছু একসাথে ঘটেছে তো তাই।আর আপনারাই ওয়াসেনাত আর অরিএানের প্রেম দেখতে চেয়েছেন। আর প্রেমেতো লতুরপুতুর থাকেই।সো এতে কিন্তু আমার দোষ নেই।আমার প্রেমের শিক্ষাগুরু হলো কিছু ভালো লেখক আর লেখিকা আপু,বই,আর মুভি।সো আমার গল্প ভালো না লাগলে বলেন আর লিখবো না।আপনারাই সব………দেরিতে দি কারন আম্মু আমারে মোবাইল ধরতে দেয় না। পড়া টোরা শেষ করেই পরানের পরান টারে হাতে পাই।তাই সরি গো যারা অপেক্ষায় থাকেন……..

ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here