#পূর্ণতার_মাঝেও_অপূর্ণতার_ছোয়া
#লেখিকাঃশুভ্রতা_শুভ্রা
#পর্বঃ০৪
আদিল বলল,- “যা তুই আসছি আমরা”
নুসরাত চলে যেতে নিয়েও থেমে গেল। শুভ্রার সামনাসামনি দাড়িয়ে শুভ্রাকে বলল –
“আমার ভাই আর ভাবি কে আর কিভাবে সেটা তোর বর বুঝিয়ে দিবে। আর দোস্ত প্রথম রাত কেমন গেল সেটা কিন্তু আমাদের বলতে ভুলিস না।”
শুভ্রা চোখ গরম করে নুসরাতের দিকে তাকাল। নুসরাত মিটমিট করে হাসছে। নুসরাতের হাসি দেখে শুভ্রার মেজাজ আরো গরম হয়ে গেল। শুভ্রা কিছু বলতে নিবে তার আগেই নুসরাত দিল এক দৌড়। আচমকা দৌড় দেওয়াতে শুভ্রার ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগল। সে ব্যাপারটা বুঝতেই নুসরাতের পিছনে দৌড় দিতে নিবে কিন্তু সে পারল না কেউ তার হাত ধরে আটকে দিল! শুভ্রা পিছনে তাকিয়ে দেখল আদিল! সে আদিলের চোখের দিকে তাকাল। আদিলে চোখ কেমন লাল হয়ে আছে। শুভ্রা প্রশ্নবিদ্ধ চোখে আদিলে দিকে তাকিয়ে বলল –
“আচ্ছা আপনার চোখ এতো লাল হয়ে আছে কেন!” আদিল শুভ্রার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল-
” ফ্রেশ হয়ে নেও তাড়াতাড়ি আম্মু ডাকছে।”
“নিচ্ছি কিন্তু তার আগে বলেন নুসরাত আপনার কে হয়। ”
“ও তোমার একমাএ ননদ মানে আমার একমাএ বোন।”
শুভ্রা কিছুটা কপাল কুচকালো কারণ তার জানা মতে নুসরাত তো তার বাবা মায়ে একমাএ মেয়ে। শুভ্রা আরো কিছু বলতে নিবে কিন্তু তার আগেই আদিল বলল –
“এতো কিছু নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে না তোমার যেইটুকু জানা দরকার ওইটুকু জানলেই হবে!” বলেই আদিল শুভ্রার হাত ছেড়ে হনহন করে নিচে চলে গেল।
শুভ্রা ফুস করে নিশ্বাস ছাড়ল কারণ সে বুঝে গেছে এই পোলা সুবিধার না। কখন কি বলবে কখন কি করব বোঝা বড় দায়!শুভ্রা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কার্বাট থেকে আরেকটা জামা নিয়ে পরে নিচে আসল।
নিচে নেমেছে এমন সময় দেখল সিড়ি অধেক রাস্তায় নুসরাত সেই ও নিচেই নামছে। শুভ্রা নুসরাত কে ডাক দিল। নুসরাত দাড়িয়ে গেল। শুভ্রা নুসরাতের পাশে গিয়ে দাড়াতেই নুসরাত আবার হাটা শুরু করল। শুভ্রা খেয়াল করল একটু আগে নুসরাত হাসিখুশিই ছিল কিন্তু এইটুকু সময়ের মধ্যে কি এমন হলো যে ওকে মন মরা লাগছে। নুসরাত শুভ্রাকে খাবার টেবিলের কাছে নিয়ে এসে বসতে বলল। শুভ্রা দেখল টেবিলে আগের থেকে একজন ভদ্রলোক আর একজন ভদ্রমহিলা বসে আছেন। কালকেও শুভ্রা ওনাদের দেখেছিলেন। আর আদিলের কথা অনুযায়ী এরা আদিলের বাবা মা।
শুভ্রা নম্র শুরে -“তাদের সালাম দিল দুইজনই অনেক সুন্দর করে ওর সালামের উত্তর দিল।” আছিয়া মাহমুদ মানে আদিলের মা মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বললেন-
” মা কাল তোমার কোনো অসুবিধা হয় নি তো। “শুভ্রা মৃদু শুরে বলল –
“না কোনো সমস্যা হয় নি।”
আলি মাহমুদ মানে আদিলে বাবা বললনে-” মা নাস্তা খেয়ে নেও তোমাকে তো আবার তোমার বাসায় যেতে হবে। তোমার বাবা মা ওখানে তোমার অপেক্ষায় আছেন। ”
শুভ্রা খাওয়া শুরু করল। এখানে আদিলে মা বাবা নুসরাত সবাই আছে কিন্তু আদিল কোথায় আদিলকে তো আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। শুভ্রার চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল নাহ আদিল এখানে নেই।
নুসরাত বলে উঠল “ভাইয়া তোর জন্য বাহিরে দাড়িয়ে আছে খেয়ে নে তোকে তোর বাসায় রেখে আসবে। ”
নুসরাতের আকস্মিক কথায় শুভ্রা কিছুটা ঘাবড়ে গেল। এখানে বড়রা আছে তারা কি মনে করবেন। শুভ্রা আর কিছু বলতে পারল না চুপচাপ একটু খেয়ে উঠে পরল। শুভ্রা উঠতেই নুসরাত বলল-
” এখন সোজা রুমে গিয়ে কার্বাট থেকে বোরকা নিয়ে পরে নিচে আয়। “শুভ্রা নুসরাতকে বলল –
“কোনো রুমে!” নুসরাত বিরক্তি মাখা কন্ঠ বলল-
“কেন বুঝতে পারছিস না কোন রুম?যেই রুমে এতোক্ষন ছিলি সেই রুম।”
শুভ্রা কিছু না বলে গুটিগুটি পায়ে রুমে চলে গেল।
——————-
রনি কাচুমাচু করে বলল -“বস কাল থেকে ম্যামের কোনো খোঁজ পাচ্ছিনা।” কথাটা শুনেই পিছনে ঘুরে থাকা ব্যক্তি রনির দিকে তাকালো।
এতোক্ষন রনি মাথা নিচু করে ছিল। সামনে ব্যক্তির কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে সে চোখ তুলে তাকাল। তাকাতেই যেন তার অন্তরাত্মা কেপে উঠল। কারণ.., সামনের ব্যক্তির চোখ অসম্ভব লাল হয়ে গেছে। অতিরিক্ত রাগের কারণে ব্যক্তিটির নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে। ব্যক্তি হাতে কাছে থাকা টি টেবিলে লাথি দিল। সঙ্গে সঙ্গে কাচের ফুলদানিটা পরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। সে রাগান্বিত কন্ঠে বলতে লাগল –
“তোদের কি আমি এমনি এমনি টাকা দিয়ে কাজে রাখছি। একদিন পার হয়ে গেল তার কোনো খোঁজ নেই আর তোরা এখন বলছিস আমাকে,”
বলেই তার গান বের করে সুট করল। সঙ্গে সঙ্গে গুলিটা গিয়ে লাগল রনির কপালে। ব্যক্তিটি সঙ্গে সঙ্গে হাক দিল। সাথে সাথে কিছু লোক এসে রনির বডিটাকে নিয়ে গেল।
লোকটি সাব্বির বলে ডাক দিল। সঙ্গে সঙ্গে একটি যুবক আসল। লোকটি ইশারা করতেই সাব্বির কি যেন বলল। সেই কথা শুনে লোকটি অট্টহাসি দিতে লাগল আর বলতে লাগল –
“আমার কবল থেকে বাঁচা এতো সহজ না। আমি আবার নতুন আর চমৎকার খেলা নিয়ে তোদের সামনে হাজির হবো জাস্ট ওয়েট এন্ড সি,বলে আবার হাসতে লাগল!”
——————
শুভ্রা বোরকা পরে নিচে গাড়ি সামনে গিয়ে দাড়ালো। আদিল গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে ফোন নিয়ে বিজি। শুভ্রা আদিলের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল –
“এই যে মিস্টার কি হলো?”
আদিল ফোন থেকে মাথা উঠিয়ে এক বার তাকাল শুভ্রার দিকে সে ফোন রেখে শুভ্রাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে লাগল। শুভ্রা তার নিকাব খুলে বাহিরের দিকে দৃষ্টি রাখল। সে সাজগোজ বলতে গেলে কিছুই করে নি। আদিল গাড়ি চালাচ্ছে আর মাঝে মাঝে আড় চোখে শুভ্রার দিকে তাকাচ্ছে। চোখে সানগ্লাস থাকায় শুভ্রা আদিলের তাকানো বুঝতে পারছে না। হঠাৎ,করেই শুভ্রা বলল –
“গাড়ি থামান”
আদিল শুভ্রার এই আকষ্মিক কথায় কিছুটা ভরকে গেল। সে যে আড়চোখে শুভ্রাকে দেখছিল সেটা কি সে বুঝে গেল। আর সেইজন্যই কি সে এরকম রিএক্ট করছে। এগুলো ভাবছিল শুভ্রার কন্ঠে তার ভাবনায় ছেদ পরল। সে তাড়াতাড়ি করে গাড়ি থামালো আর শুভ্রার দিকে তাকিয়ে হন্তদন্ত হয়ে জিঙ্গাসা করল.-
“কি হয়েছে কিছু কি সমস্যা হয়েছে? আমি কি কোনো ভুল করলাম!”শুভ্রা কিছুটা বিরক্তিমাখা মুখে বলল.-
“আমি কি বলেছি কিছু। এমন চুহার মতো লাফালাফি করছেন কেন শান্ত হয়ে বসেন বলছি। ”
আদিল যথাসম্ভব শান্ত হয়ে বসল। শুভ্রা গাড়ির জানালা দিয়ে হাত বের করে বাচ্চাদের মতো নখ দেখিয়ে ফুচকার স্টলটা আদিলকে দেখল। তারপর আদিলের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে বলল-
“আমার না খুব ফুচকা খেতে মন চাচ্ছে। একটু কিনে দেবেন। ”
আদিল শুভ্রার কান্ড দেখে কিছু সময় শুভ্রার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে রইল। তারপর অট্টহাসিতে ফেটে পরল। আদিল হাসতে হাসতে লুটুপুটি খাচ্ছে। শুভ্রার কেদেঁ দেওয়ার মতো অবস্থা তার ফুচকা খাওয়ার কথা শুনে কি লোকটা পাগল হয়ে গেল। আর যতই হক লোকটা তার বর। লোকটা যদি পাগল হয়ে যায় তাহলে মানুষ তাকে পাগলের বউ বলবে তা তো মানা যায় না কিছুতেই না। শুভ্রা আদিলের হাত ধরে ঝাকিয়ে বলল –
“কি হলো আপনার আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন। আল্লাহ্ গো আপনি পাগল হয়ে গেলে তো আমাকে সবাই পাগলের বউ করে বলবে গো। এই পাগলের সঙ্গে সংসার করবো কি করে গোওও।”
শুভ্রার এমন কথা শুনে অটোমেটিক আদিলে হাসি থেমে গেল। সে একটু হেসেছে তাই তাকে পাগল বানিয়ে দিল। শুভ্রা নাক টেনে ইনিয়ে বিনিয়ে কান্না করছিল। আদিল দিল এক ধমক। আর বলল-
“ওই ওই, কে বলছে আমি পাগল হয়ে গেছি আর পাগলের বউ ওয়াট দা!”
শুভ্রা আদিলের ধমকে আবার ভে ভে করতে লাগল !আদিল বলল –
“আচ্ছা বাবা আনছি ফুচকা তুমি গাড়িতেই থাক।”
আদিলের কথা শুনে শুভ্রার চোখ চিকচিক করে উঠল। সে লাফিয়ে উঠে বলল সত্যি আপনি এনে দিবেন।আদিল চোখ ছোট ছোট করে বলল –
“তোমার কি মনে হয় আমি মিথ্যা বলি। ”
শুভ্রা মুখ বাকিয়ে বাহিরে তাকাল। আদিল মুচকি হেসে গাড়ি থেকে নেমে ফুচকার দোকানের দিকে যেতে লাগল। আদিলকে ফুচকার দোকানের দিকে যেতে লাগল। আদিলকে যেতে দেখে শুভ্রার মুখেও হাসি ফুটে উঠল।
আদিল ফুচকার প্লেট এনে শুভ্রার হাতে দিল। শুভ্রা প্লেট নিয়ে টপাটপ খেতে লাগল। আদিল বুঝতে পারে না শুভ্রার যখন এতোই ক্ষুধা লাগছিল তাহলে তো বাসা থেকেই ভালো মতো খেয়ে আসতে পারত। শুভ্রার চোখ দিয়ে পানি পরছে। নাক ঠোঁট লাল বর্ণ ধারন করেছে। আদিল শুভ্রার দিকে তাকিয়ে বলল –
“কি হয়েছে ফুচকায় কি ঝাল বেশি?”
শুভ্রা এতোসময় চুপ করে ছিল। আদিলে কথা শুনে আদিলের দিকে তাকাল। তারপর বলতে লাগল-
“পানি পানি দেন,ঝালে শেষ হয়ে গেলাম বাবা গো!”
আদিলে গাড়িতে পানির বোতল খুজলো কিন্তু পেলও না এইদিকে ঝালে শুভ্রার নাজেহাল অবস্থা। আদিলের মাথায় কিছু আসছে না। হঠাৎ,করে আদিল একটা রুমাল বের করে শুভ্রার চোখ বেধেঁ দিল। শুভ্রার রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠল –
“ওই আপনি আমার চোখ বেধেঁ দিলেন কেন। আপনি কি পাগল চোখ বেধেঁ দিলে কি কারো ঝাল কমে নাকি। বাবা গো কোন উগন্ডা থেকে এই বর আমার জন্য নিয়ে আসলে গো!”
শুভ্রাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আদিল ওর ঠোঁট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিল। আদিলে এই কান্ডে শুভ্রা হতবিহ্বল হয়ে পরল। সে কল্পনাও করে নি যে আদিল এমন করবে। সে আদিলকে ধাক্কা নিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু সে পারল না। আদিল নিজেই কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিল। শুভ্রা তাড়াতাড়ি করে চোখ থেকে রুমাল সরিয়ে ফেলল কিন্তু আফসোস আদিল মাক্স পরে নিয়েছে। সে ফুসছে আর বলছে –
“এই যে আপনি কি পর্দা করছে। সারাক্ষণ মাক্স পরে আছেন। না কি চেহারা দেখালে আমি উগন্ডা থেকে ভেটকাইয়া উস্টা খাইয়া মঙ্গল গ্রহে পরবো যতোসব।”
শুভ্রার কথা শুনে আদিল হাসল।
————–
পড়ন্ত বিকেলে ছাদের এক কিনারে কফি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে শুভ্রা। আর আদিলের কথা ভাবছে। সে যতো তার কথা ভুলে যেতে চাচ্ছে। আরো যেন তার ভাবনা গুলো তার মাথায় এসে ঘুরাঘুরি করছে। শুভ্রা নিজের ভাবনায় ব্যস্ত আর তার দীর্ঘ কেশ নিজেদের খেলায় মগ্ন। দূর থেকে এক ব্যক্তি তার দীর্ঘ কেশের খেলা মন দিয়ে দেখছে যা তার অজানা। পিছন থেকে মায়াভরা কন্ঠের ডাকে শুভ্রার ভাবনায় ছেদ পরল। সে পিছনে না ঘুরেই বলল-
“কোনো কিছু দরকার নাকি?”শুভ্রার আলিয়া বেগম শুভ্রা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললেন –
“মা রেগে আছিস আমাদের উপর!”
শুভ্রা এককথায় আরষ্ঠ কন্ঠে জবাব দিল- “না”।
মেয়ের আচরণে আলিয়া বেগমের বুকটা ছেত করে উঠল। সে তার মেয়েকে বুকে জরিয়ে ধরে হু হু করে কেদেঁ দিল। সে কান্না জরানো কন্ঠে বললেন মা পারলে আমাদের ক্ষমা করে দিস। বলেই আলিয়া বেগম চলে যেতে নিবেন তখনই শুভ্রা পিছন থেকে তার মায়ের হাত শক্ত করে নিজের মুষ্ঠবদ্ধ করে নিল। আলিয়া বেগম পিছে তাকিয়ে দেখলেন পানিপূর্ণ চোখে তাকিয়ে আছে শুভ্রা তার দিকে। শুভ্রা তার মাকে জরিয়ে ধরে নিজেও কেদেঁ দিল। আলিয়া বেগম মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ পর শুভ্রা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বলল –
“মা তুমি আর কখনো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে না। আর কোনো অপরাধ করোনি যে তার জন্য ক্ষমা চাইবে। ”
শুভ্রার কথা শুনে আলিয়া বেগমের মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠল। সে শুভ্রার চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলল –
“চল নিচে চল, আযান দিয়েছে নামাজ পরে আমরা বরং গল্পের আসর নিয়ে বসবো।”
শুভ্রাও আলিয়া বেগমের কথায় সম্মতি জানিয়ে নিজের রুমে গেল।
———————–
কেটে গেছে পনেরো দিন…, শুভ্রা এখন
আগের মতো চলাফেরা করছে। তার যে বিয়ে হয়েছিল তা প্রায় সে ভুলতে বসেছে। কারণ ওইদিনের পর আদিলেয আর কোনো খোঁজ নেই। রাত এগারোটা ছুই ছুই শুভ্রা বারান্দায় বসে কফি খাচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে। আচ্ছা লোকটার কোনো খবর নেই কেন। কিছু কি ঘাবলা হলো। এগুলোই ভাবছিল সে। পিছনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সে পিছনে ফিরে তাকালো…
(চলবে)
[ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]