#প্রণয়সন্ধি– ২৮ পর্ব [বোনাস পার্ট]
#তাসনিম_তামান্না
চারিদিকে নিকষ কালো আঁধারে ঢাকা তাতে কৃত্রিম রংবেরঙের আলো ঝলমল করে তুলেছে। শানায়া বারান্দায় ফ্লোরে বসে আছে। মৃদু শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে ওকে। অম্বরিতে মিটমিট করে জ্বলতে থাকা তারাগুলোর দিকে তাকিয়ে আনমনে কী জেনো ভাবছে। চোখে পানি নেই যেখানে ওর কেঁদে কেটে ভাসানোর কথা। সেখানে ওর বিন্দু মাত্র মন খারাপ হচ্ছে না। শুধু বাবার এই অবস্থার জন্য প্রথমে ঘাবড়ে গিয়ে কান্না পাচ্ছিল মন খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু এখন আগেরকার সব অন্যায়, কষ্টের কথা ভেবে এখন আর মন খারাপের ছিটেফোঁটা হচ্ছে না। জুবরান ওর পাশে এসে বসল। শানায়া ফিরেও তাকালো না।
–‘ কী ভাবছ?’
–‘ চাইলে বাবা-মায়ের সাথে চলে যেতে পারো। আমাকে পিছুটান হিসেবে রেখে আমাকে অপরাধী বানাবে না’
–‘ সিরিয়াসলি? তোমার মনে হয়… যেখানে আমার বউয়ের সম্মান নেই সেখানে যাবো?’
শানায়া একপলক তাকালো ওর দিকে স্বাভাবিক ভাবে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল
–‘ আমাদের বিয়ের আগে তুমি বলেছিলে। কাকে জানি ভালোবাসো, তাকে বিয়ে করে নিও তোমার ও শান্তি আমার ও শান্তি ‘
জুবরান শান্ত কণ্ঠে বলল
–‘ তোর কী মনে হয় সে এখন এতোগুলো বছর বিয়ে না করে বসে আছে?’
শানায়া হতাশ নিঃশ্বাস ছাড়ল কিছু বলল না। জুবরান ফের বলল
–‘ শুনবি না মেয়েটা কে?’
শানায়া জিজ্ঞাসাসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো জুবরান হেসে বলল
–‘ সে এখন আমার সাথেই থাকে। আমার বউ। অভিমান হয়েছিল নিজের স্বামীকে অন্যর বাচ্চার বাবা হিসাবে পরিচয় দিতে বলায় খুব আঘাত পেয়ে দূরে সরে গিয়েছিলাম। এখন তাকে ছাড়া আমি নিজেকে কল্পনা করতে পারি না। তাকে ছাড়া আমার চলবেই না। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর তার মুখটা আমার শান্তি।’
শানায়া চমকে জুবরানের দিকে তাকিয়ে রইলো। চোখ মুখে অবিশ্বাসের ছাপ। ছোট ছোট করে বলল
–‘ মন গড়া গল্প বানিও না। সব আমাকে আটকে রাখার জন্য তাই না?’
–‘ উহুম। তুই জানি আমি না চাইলে আমাকে কেউ তোর সাথে বিয়ে দিতে পারত না। তোকে ভালোবাসি বলেই তোকে বিয়ে করেছি। তোর জায়গায় অন্য মেয়ে হলে আমি পালিয়ে যেতাম কেউ পেত না আমাকে’
শানায়া শান্ত হলো। চুপ করে রইল। জুবরান শানায়াকে সময় দিল। কিছু শোনার আশায় কিন্তু শানায়া কিছু বলল না। উঠে দাড়িয়ে বলল
–‘ রান্নার কিছু জিনিস প্রয়োজন এনে দিন তো। রাতের রান্না বাকি এখনো এখনি লাগবে।’
কথাটা বলে আর দাঁড়ালো না দ্রুত পায়ে প্রস্থান করল। জুবরান হতাশ হয়ে বসে রইল কিছুক্ষণ। তারপর উঠে চলে গেলো। রান্নাঘরে গিয়ে দেখল শানায়া নিজের মতো কাজ করছে। কি কি লাগবে জিজ্ঞাসা করে চলে গেলো আনতে।
শানায়ার বাবা ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে। চাকা ঠেলতে ঠেলতে কিচেন সামনে আসল। শানায়া বাবাকে দেখে বলল
–‘ কিছু লাগবে?’
–‘ আমার আগের মেয়েকে লাগবে’
শানায়া হেসে বলল
–‘ এতোদিন মেয়ের খোঁজ না করে যেই মেয়েকে পেলেন সেই দরদ উতলে পড়ল? এতোদিন তো একটা বার খোঁজ করেন নি। আর একজন তো এসেই বলল ‘তুই বেঁচে আছিস’ কেনো আমি বেঁচে আছি দেখে আপনাদের সেটা সহ্য হচ্ছে না? আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিতে এসেছেন আপনারা? আপনারা চান আমি ম*রে যায়? আমি মরে গেলে খুশি হবেন? আচ্ছা, আমি ম*রলে যদি খুশি হন তাহলে সেই খুশিটা আপনাদের দিব’
ওদের কথার আওয়াজে সকলে রুম থেকে বেড়িয়ে আসল। জুবরানও জিনিসপত্র গুলো নিয়ে চলে এসেছে।
জুবরানের বাবা ধমকে উঠে বলল
–‘ শানায়া, কী যাতা বলছিস? মাথা ঠিক আছে তোর?’
শানায়া দমল না বলল
–‘ আমার মাথা ঠিকই আছে। কই এতোদিন তো খোঁজ করেন নি। বেঁচে আছি কি ম*রে গেছি। উল্টো হয়ত শান্তি পেয়েছেন আমি চলে আশায়। আপনাদের পথের কাটা দূর হয়েছে।’
নুবাহান বলল
–‘ তুই কিছু না জেনেই এসব বলছিস পাখি। বাবাই তোকে খুঁজতে গিয়ে এ-ক্সি*ডে-ন্ট করে নিজের পা হারিয়েছে। আর তার পরেই পুলিশ একটা ডে-ট ব-ডি নিয়ে খবর দেয় সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েটার মুখ থেঁ-ত-লে গেছে তোর মতো ড্রেস পড়ে আছে। সেটা দেখেই আমি তখন বলে ফেলেছি তুই বেঁচে আছিস। তখন ডিএনএ টেস্ট করার কথাও আমাদের মাথায় আসে নি। আমরা মেনে নিয়েছিলাম ওটা তুই এসব দেখে দাদুমণি স্ট্রোক করে বিছানা সোজায় বা হাত-পা নাড়াতে পাড়ে না। বাবাই কতটা ভেঙে পড়েছিল জানিস? সে তো বাবা নিজের সন্তানকে মা*রুক যা-ই করুক সন্তানের মৃত্যু দেখা বা শোনা তার পক্ষে কতটা কষ্ট দায়ক। সে তোকে নিজের হাতে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে।’
নুবাহান থামল। শানায়া স্তব্ধ হয়ে গেলো। ও বাড়ি ছেড়ে আসার পর এতো কিছু হয়ে গেলো! নুবাহান আরো বলল
–‘ মানছি ভুল করছে। মানুষ কী ভুল করে না? তোর বাবা ভুল করছে, আমার মা ভুল করছে ফুপির কথা মেনে নিয়ে কিন্তু তখন কী ওদের ঐ বিপদের সময় বিবেক দিয়ে ভাববার সময় ছিল? পরে ওদের যা বোঝানো হয়েছে তাই ওরা করেছে। আর যদি বলিস তোর বাবা আবার বিয়ে করেছে বলে তোর রাগ! ফুপি আর দাদুমণি মিলেই বাবাই চাপে ফেলে বিয়ে দিয়েছে। যাদি বাবাই ভুল করেছে অনেক বড় ভুল করেছে তার শাস্তিও পাচ্ছে’
শানায়ার চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
জিনিয়া বলল
–‘ নুবাহান থাম বাবা’
নুবাহান থামল না বলল
–‘ না আম্মু ওর ভুলটা ভাঙানো উচিৎ। ও কী এতোদিনে ভালোবাসা দেখল না? শুধু কয়দিনের খারাপ আর মার টাই ওর চোখে পড়ল? সবার মানসিক কন্ডিশন জানত না? বাড়ির ছেলে এভাবে রাগ করে চলে গেলো ওর ঐ সব এসএমএসের জন্য, বাড়ির বউ চলে গেলো। জুবরান চলে যাওয়াই কী ওর দোষ ছিল না? ও কেনো পাকনামি করে ম্যাসেজ গুলো করেছিল। শানায়া যে একেবারে সাধু ওর কোনো দোষ নাই এমনটা তো না! বাড়ি থেকে চলে আসল বাবা দুই বার গায়ে হাত তুলেছে বলে? বাবার ভালোবাসা দেখল না। বাবার মনের অবস্থাটা দেখল না? এই মেয়ের জন্য তোমরা প্রতিনিয়ত অনুতপ্ত হও’
#প্রণয়সন্ধি– ২৯ পর্ব
#তাসনিম_তামান্না
–‘বাহ! তোমরা নিজেরা সব সমাধান করে ফেললে? মা ম*রা মেয়েটার মেন্টাল কন্ডিশন কেমন ছিল তার মেন্টাল সাপোর্টের কতটা দরকার ছিল সেই সময় এতোটুকুও বিবেক কাজ করে নি তোমাদের? ঐ বয়সে এটুকু মেয়ের এতো কিছু সহ্য করেছে আমি তো ভাবতেই পারছি না তোমরা ওর সাথে এতো অন্যায় করছ! তোমাদের ভালোবাসা কী শুধুই লোক দেখানো ছিল? আমি তো জানতাম সকলের আদরের শানায়া আমি না থাকলেও ভালো থাকবে।’
শানায়া বলল
–‘ চুপ করুন জুবরান। আপনার ফ্যামেলির সকলে হয়ত ভাবতে পারে আমি আপনার ব্রেইন ওয়াশ করে নিজের দলে টানছি। তাই আমার হয়ে আপনার কথা বলার কোনো দরকার নাই’
নুবাহান বলল
–‘ তোদের মধ্যে তো সব ঠিকি আছে দেখছি সুখেই সংসার করছিস দু’জনে তাহলে আমরা কী দোষ করেছি? তোরা যে একসাথে আছিস এ খবরটা জানালি না?’
–‘ ফাস্ট ওফ অল তোমার ভাই আমাকে এখানে জোর করে তুলে আনছে ইমোশনাল ব্ল*কমেল করেছে আমি ও গলে গেছি বোকা কিনা। যা-ই হোক আর রইলো তোমাদের ক্ষমা করার কথা আমি কখনোই তোমাদের ক্ষমা করব না। তোমরা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নও। তোমরা যে সার্থের জন্য ক্ষমা চাইছ আর নাটক করছ এটা আমি খুব ভালো করেই জানি’
জিনিয়া অবাক হয়ে বলল
–‘ কী সব বলছিস? আমাদের এখানে কীসের সার্থকতা আছে?’
–‘ নাই বলছ? আমি কথাটা বলতে চাইছিলাম না কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি। ব্যপারটা খুব গোপনীয় কিন্তু আমি জেনে ফেলেছি নিজের অজান্তেই।’
নুবাহান বিরক্ত হয়ে বলল
–‘ হেয়ালি না করে বল’
শানায়া মুচকি হেসে বলল
–‘ পাপা, বাবাই জাননে ব্যাপারটা দাদু উইল করে রেখে গেছিল বাড়ির বউদের নামে। নিজের ছেলেদের ছুকছুকানির স্বভাব চরিত্র তিনি জানতেন বহুবার ধরাও খেয়েছে। তাই বউদের নামকে করে গিয়েছিল। বউ মারা গেলে বা চলে গেলে সম্পত্তি বাচ্চাদের যদি বাচ্চা না থাকে তাহলে দ্বিতীয় বউয়ের সন্তানরা পাবে। আর প্রথম স্ত্রীর সন্তান থাকার শর্তেও যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে তাহলে দ্বিতীয় বউয়ের সন্তানের কোনো সম্পত্তি পাবে না। যদি না প্রথম পক্ষের সন্তান দিচ্ছে। প্রথম পক্ষের সন্তানের বাচ্চার না হওয়ার আগে যদি তার মৃত্যু ঘটে তাহলে সে সম্পদ কোনো অসহায় পথপরিবারকে দান করা হবে। কেননা দাদু সেটাকে স্বাভাবিক মৃ*ত্যু ভাবছে না। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল প্রথমে। দাদু যে এতো ইনটেলিজেন্ট আগে জানতাম না। দেন আমি পালিয়ে আসার আগে শুনি দ্বিতীয় বউয়ের সন্তানের জন্য কাগজ তৈরি করছে আমার কাছ থেকে সই নিবে তাই। দ্বিতীয় বউয়ের সন্তান এতো তারাতাড়ি নেওয়ার কারণ এটাই। আমি জানতাম না স্টোররুমে কিছু কাগজ পাই সেটাতেই লেখা ছিল। তা-ও সেটা পাপার বিয়ের পর। পাপার চরিত্র নিয়ে আমার প্রথম সন্দেহ জাগে আম্মু মারা যাওয়ার পর পাপা আবার বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় ঐ কাগজের লেখাগুলো পড়ার পর সব পরিষ্কার হয়ে যায় আমার কাছে। আর আমাকে খুঁজে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসার কারণটাও এটাই ঐ যে সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ‘
জিনিয়া, জুবরান, নুবাহানের চোখ মুখে বিস্ময় উপচে পড়ছে। শানায়ার বাবা ঘামছে। জুবরানের বাবা স্বাভাবিক ভাবে আছে। জিনিয়া বলল
–‘ এসব কী বলছিস? কোথাও ভুল হচ্ছে? ‘
জুবরানের বাবা বলল
–‘ ও ঠিকি বলছে। আর আমি এসব কথা ভেবেই মায়ের সাথে জুবরান আর শানায়ার বিয়ের কথা বলি। শানায়া যেহেতু ওর বাবার একমাত্র মেয়ে সব সম্পত্তির ভাগ ওর একার…’
জিনিয়া ঘৃণার চোখে স্বামীর দিকে তাকালো। নিজের স্বামীর কখনো খারাপ কিছু দেখেনি তাই সবসময়ই তাকে সম্মানের চূড়ান্ত পর্যায়ে রাখত।
–‘ আমার ঘৃণা হচ্ছে তোমার ওপর। তোমরা দুইভাই মিলে আমাদের সবাইকে ঠকাচ্ছ? ছি! আর শাহাদাত তুমি আমার বোনকে না ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে সে সব কী মিথ্যা? ‘
শানায়ার বাবা মিয়িয়ে সবটা শিকার করতে বাধ্য হয়ে গেলো
–‘ আমার ওকে ভালো লেগেছিল। তখন আমি মেয়েদের শরীরে আসক্ত ছিলাম। ওকেও বিছানায় নিতে চাইতাম কিন্তু ও কখনো রাজি হয়নি সবসময় বলত বিয়ের পর যখন তোমার আর ভাইয়ের বিয়ে হলো বাবাকে বললাম আমাদের কথা বাবা প্রথমে অবাক হলেও রাজি হয়ে গেলো। শর্ত জুড়ে দিল ঐ উইল। মূলত উইলটা আমার জন্য যদে আমার দারা কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট না হয়। আমিও নিজেকে যথেষ্ট চেজ্ঞ করতে লাগলাম। কিন্তু জুলেখার মৃত্যুতে সব উল্টো পাল্টা হয়ে গেলো’
শানায়ার দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল
–‘ আপসোস আম্মু এসব দেখলে বা শুনলে হয়তো এখনি ম*রতে চাইত তাই এসব কষ্ট সহ্য করার আগেই চলে গেছে ভালোই হয়েছে। সত্য তো কখনো চাপা থাকে না।’
নুবাহান অপরাধ বোধ নাড়া দিয়ে উঠল এতোক্ষণ যাদেরকে নিয়ে কথা বলল তারা ভুল তাদের সবাইকে ঠকিয়ে গিয়েছে। নুবাহান বলল
–‘ সরি পাখি। ঠগবাজদের জন্য এতোক্ষণ লড়ছিলাম। এখন আমারই ঘৃণা হচ্ছে।’
জুবরান শানায়াকে যত দেখছে ততই অবাক না হয়ে পাড়ছে না ননিরপুতুল যাকে টোকা দিলেই চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ি মাথাই তুলে বসে থাকত। সে এতো সত্যি, এতো কষ্ট, অন্যায় সহ্য করে। একবুক হাহাকার নিয়েও দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে। নিজের মনের কথা গুলো আড়াল করতে শিখে গেছে।
জুবরানের বাবা বলল
–‘ সবারই কমবেশি দোষ আছে। আমি সব জেনেও চুপ করে ছিলাম। শানায়াকে আগলাতে চেয়েও পারি নি তার জন্য আমি ক্ষমা চাইলেও জানি ক্ষমা পাবো না। কি বলব বলত? মেরুদণ্ডহীন লাগছে নিজেকে ‘
শানায়া মলিন হেসে বলল
–‘ মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ তো শাহাদাত হোসেন। তার মতো আর কারোর স্বামী, বাবা, না হোক। কিন্তু হ্যাঁ চিন্তা করবেন না আপনাদের সম্পত্তির ওপরে আমার লোভ নাই পেপার রেডি রেখেন আমি সাইন করে দিব। না-কি পেপার রেডি করে নিয়ে এসেছেন? ‘
ওরা চুপ। তাদেখে শানায়া বলল
–‘ লজ্জা না করে পেপার বের করুন। আর হ্যাঁ আমি কখনো ও বাড়িতে ফিরছি না অযথা আমার ওপরে জোরজবরদস্তি করবেন না। আপনাদের আত্মসম্মানবোধ নাই থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে।’
চলবে ইনশাআল্লাহ
চলবে ইনশাআল্লাহ