প্রণয় বর্ষণ পর্ব -১৭

#প্রণয়_বর্ষণ (১৭)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
________________

সামিরার এক্সপ্রেশন দেখে ভয় পেয়ে যায় স্পর্শী। বার বার সামিিরাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে ‘কি হয়ছে!’ কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই সামিরার। সে তখনো অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে ব্যস্ত। সাফিন, নাহিদ, নীরব ততক্ষণে রিক্সা নিয়ে চলে আসছে। ওদের দেখেই স্পর্শী জোড়ে বলে,

‘সাফিন দেখ সামিরা কি সব বলতেছে! তাড়াতাড়ি এদিকে আয়।’

সাফিন, নাহিদ, নীরব ৩ জনই তাড়াতাড়ি আসে। সাফিন ব্যস্ত গলায় বলে, ‘কি হয়ছে? সামিরা কি হয়ছে তোর? শরীর খারাপ লাগতেছে?’

সামিরা সবাইকে অবাক করে দিয়ে লাফিয়ে উঠে বলে, ‘শরীর খারাপ না রে আমার তো মন ডাই বাক বাকুম করতেছে। হায়! ভাইয়া রে তোর বোন হয়ে এতদিন কারো ওপর ক্রাশ খাইনি তাতে কি! আজ খেয়ে ফেলছি। আহা আহা!’

স্পর্শী, সাফিন, নাহিদ, নীরব সবাই হতাশ হয়। স্পর্শী আর সাফিন তো দুপাশ থেকে দু গালে দুটো থা’প্প’ড়ও বসিয়ে দেয়। সামিরা ধমক দিয়ে বলে, ‘ওই তোরা আমারে মা’রলি কেন?’

সাফিন দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘মা’রবো কেন? তোরে তো চুমু খাবো রে।’

‘ইয়াক সর। তুই ব্রাশ করিস না আমি জানি।’

সাফিন কটমট করে তাকায়। স্পর্শী বলে, ‘তুই কোন ছেলের ওপর ক্রাশ খেয়ে এতো নাটক করলি আমাগো একটু দেখাইয়া উদ্ধার কর বইন।’

সামিরা লজ্জায় লাল হয়ে হাত দিয়ে ঈশারা করে একটা ছেলের দিকে। এরপর মুখে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলে, ‘ওই যে ওই চাশমিশটার ওপর আমি ফিদা। আয় হায়!’,

‘বাহ বাহ।’

‘দোস্ত চাশমিশ তো চলে যাচ্ছে! সর সর আমি আগে গিয়ে কথা বলে আসি।’

কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সামিরা দৌড় লাগায়। কপাল চাপড়ায় তার বন্ধুদল।
সামিরা ছেলেটার কাছে দৌড়ে এসে হাঁপাতে থাকে। ছেলেটা চমকে তাকায়। সামিরা হাসি হাসি মুখ করে বলে,

‘হেই চাশমিশ! আপনার নাম কি?’

ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে তাকায়। বলে, ‘চাশমিশ আবার কি? ভালো ভাবে কথা বলুন।’

‘আচ্ছা ভালো ভাবে বলছি ‘আই লাভ ইউ’।’

ছেলেটা হতভম্ব। যেনো সে পৃথিবীতে না মঙ্গলগ্রহে ঢুকে পড়েছে। সামিরা লজ্জা লজ্জা মুখ করে বলে, ‘ভালো ভাবেই তো ‘আই লাভ ইউ’ বললাম। এবার ‘আই লাভ ইউ টু’ বলে দেন!’

ছেলেটা ধমকে উঠে বলে, ‘পা’গল নাকি? মাথার তা’র ছিঁ’ড়া? হুটহাট চিনেন না জানেন না একটা ছেলেকে প্রপোজ করে দিলেন!’

সামিরাা কিছু বলতে নিলে স্পর্শী মুখ চেপে ধরে। জোড় করে হেঁসে বলে, ‘সরি সরি ভাইয়া। ওর কথায় কিছু মনে করবেন না প্লিজ!’

এরপর আর কিছু না বলে জলদি সামিরাকে টেনে সামনে হাত ধরে হাঁটা দেয়। সামিরা পিছন ফিরে বলে, ‘হেই চাশমিশ আসলেই আইলেবু।’

ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে কিছু না বলে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দেয়। একবার সামিরার যাওয়ার পানে তাকিয়ে মুচকি হাসে। এমন পা’গল টাইপের মেয়ে এখনো তবে আছে!

স্পর্শী পুরো রাস্তা সামিরাকে বকা দিতে দিতে আসে। সামিরা গালে হাত দিয়ে তখনো তার চাশমিশকে নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত। স্পর্শী এক সময় ক্লান্ত হয়ে চুপ করে যাায়। তানিয়ার ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালে দরজা খুলে দেয় রেণু আপা। সবাই রেণু আপার সাথে কুশল বিনিময় করতে করতে ভেতরে যায়। তানিয়া তখন রুমে শুয়ে ছিলো। স্পর্শী আর সামিরা তানিয়ার রুমে গিয়ে তানিয়াকে টেনে তোলে। তানিয়ার চোখ মুখের অবস্থা দেখে দুজনেই আঁতকে ওঠে। তারপরও নিজেদের সামলে নেয়। তানিয়া হাসার চেষ্টাা করে বলে,

‘তোরা ভার্সিটি বাদ দিয়ে এখানে?’

‘তোকে দেখতে আসলাম। তোর নাকি শরীর খাারাপ! এখন কেমন আছিস?’

‘আলহামদুলিল্লাহ।’

এর মধ্যেই রুমে আসে সাফিন, নাহিদ, নীরব। একসাথে ৩ জনই বলে ওঠে, ‘আমরাও আছি।’

তানিয়া চোখ মুখ কুঁচকে বলে, ‘এই পে’টুককে কেন এনেছিস? আজ তো আমার বাড়ি খেতে খেতেই ফাঁকা করে দিবে।’

সাফিন কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে, ‘দেখছিস! দেখছিস তোরা! তোদের বলেছিলাম না এই কি’প্টা মহিলা আমাকে খেতে দেবে না।’

নাহিদ বলে, ‘হ্যাঁ এটা তো সাফিনের ওপর রীতিমতো অ’ন্যায়। তাই না দোস্ত?’

সাফিন মাথা নাড়ায়। সামিরা দাঁত বের করে বলে, ‘তাহলে এই অ’ন্যায় টাই ঠিক আছে রে। ‘ও’ বরং গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে পেট ভরে নিক।’

নীরব বলে, ‘তাহলে তুইও তোর চাশমিশ রে দিয়ে পেট ভরিয়ে নে!’

তানিয়া কপালে ভাজ ফেলে বলে, ‘ওয়েট ওয়েট! কিসের চাশমিশ?’

স্পর্শী ফোঁস করে শ্বাস নেয়। চাশমিশের কথা শুনেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকে সামিরা। সাফিন ব্যাঙ্গ করে বলে, ‘ঢঙ দেখ ওর! সরাসরি গিয়ে প্রপোজ করার সময় লজ্জা পায় না আর এখন উনার কথাা শুনে লজ্জা পাচ্ছে।’

সামিরা তেলে বেগুনে জ্ব’লে ওঠে। তানিয়া ধমক দিয়ে বলে, ‘ঝ’গড়া পরে করিস। আগে আমারে ক্লিয়ার করে সব বল।’

স্পর্শী ধীরে ধীরে সবটা বলে। সামিরার কাহিনী শুনে হাসতে হাসতে শুয়ে পড়ে তানিয়া। বলে, ‘হায় হায় দোস্ত তুই আমারে ছাড়াই প্রপোজ করি দিলি! আহারে আমি মিস করে গেলাম।’

সামিরা তানিয়াকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে, ‘তাই না! ওকে পরের বার চাশমিশকে পেলে অবশ্যই তোর সামনে আরো একবার প্রপোজ করে দিবো।’

স্পর্শী, সাফিন, নাহিদ, নীরব একসাথে ‘নাহহ’ বলে ওঠে। তানিয়া হাসতে হাসতে বিছানা থেকেই পড়ে যায়। রেণু আপা নাস্তা নিয়ে এসে সবার এই দশা দেখে মুখ চেপে হাসে। সাফিন তো সেই লেভেলের পে’টুক! তাই সে ২ প্লেট নিয়ে বসে যায়। তানিয়া বলে,

‘দেখেছিস! ২ প্লেট নিয়ে বসে গেছে। কি পরিমাণ পে’টুক এটা ভাবা যায়!’

সাফিন মুখে আপেলের টুকরো পু’ড়ে বলে, ‘তুই তো অসুস্থ খেতে পারবি না তাই তোরটাও খেয়ে নিচ্ছি।’

সবাই হাসে। স্পর্শী সবার কথার ফাঁকেই তানিয়াকে ধীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, ‘কি হয়ছে তোর?’

তানিয়া ঢোক গিলে বলে, ‘কই কিছু না তো। কি হবে!’

স্পর্শী আর কিছু জিজ্ঞেস না করে উঠে যায়। রেণু আপার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আপা তানুর কি হয়ছে? ওর চোখ মুখের এই দশা কেন?’

‘আর কইয়ো না আপা। কাইল সইন্ধ্যা বেলা কই জানি গেছিলো। আমারে কইয়া গেছিলো কাছেই এক আত্মীয়র বাড়ি যায়তেছে। ওইখান থেইকা আসার পরই কেমন জানি চুপ হইয়া গেছে। সারাডা রাইত কাইন্দা চোখ মুখ খা’রাপ কইরা ফালাইছে।’

স্পর্শীর আর কিছু বুঝতে বাকি নেই। চুপচাপ ফ্রেন্ডদের মধ্যে চলে আসে। বুঝতে পারে যা করার তাদেরই করতে হবে।

_________
স্পর্শী, সামিরা, সাফিন, নাহিদ, নীরব সবাই মিলে ঠিক করেছে ফয়সালের বাড়ি যাবে। তানিয়ার বাড়ি থেকে বের হয়েই স্পর্শী সবাইকে সবটা বলেছে। এরপরই হাঁটা লাগিয়েছে ফয়সালের বাড়ির উদ্দেশ্যে। কাছে বাড়ি হওয়ায় তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। বাড়ির কলিং বেল দিতেই দরজা খুলে দেয় ফয়সাল। স্পর্শীদেরকে দেখে ভ্রু কুঁচকায়। স্পর্শী সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বলে,

‘আমাকে চিনেছেন ভাইয়া? আমি তানিয়ার ফ্রেন্ড। ওর সাথে এসেছিলাম এর আগে।’

ফয়সাল ইতস্তত করলেও সবাইকে বাড়ির ভেতর আসতে বলে। স্পর্শী বলে, ‘আমাদের কাছে বেশি টাইম নেই ভাইয়া। আপনার সাথে ইম্পর্ট্যান্ট কিছু কথা ছিলো!’

‘জ্বী। বলুন!’

স্পর্শী আমতা আমতা করে বলে, ‘কাল কি তানিয়া আপনার এখানে আসছিলো?’

ফয়সাল সহজ, স্বাভাবিক গলায় বলে, ‘জ্বী। কিন্তু কেন?’

স্পর্শী, সামিরা, সাফিন, নাহিদ, নীরব সবাই একে অপরের দিকে একবার তাকাায়। সামিরা কোনো রকম অস্বস্তি ছাড়াই বলে,

‘আপনি নিশ্চয় জানেন তানিয়া আপনাকে ভালোবাসে?’

ফয়সাল চমকে তাকায়। অবাক কন্ঠে বলে, ‘মানে?’

সাফিন বলে, ‘মানে বুঝেন না? আপনি একটা বাচ্চার বাবা এ স্বত্বেও একটা মেয়ে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। এমনি এমনি!’

ফয়সাল বলে, ‘আমি তো ভেবেছিলাম ফিহার কথা ভেবে তানিয়া এমন পাগলামো করছে। আমি চাইনি ওর ফিউচার ন’ষ্ট হোক তাই আমি ওকে ফিরিয়ে দিয়েছি।’

স্পর্শী বলে, ‘এই পাগলামো ওর গত ৩ বছরের বেশি ধরে চলছে ভাইয়া।’

ফয়সালের যেনো আজ অবাক হওয়ার পালা। কথার মানে বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করে, ‘ক্লিয়ার করে বলবেন প্লিজ!’

স্পর্শী দীর্ঘশ্বাস ফেলে পুরোটা বলে। ফয়সাল বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। মেয়েটা তাকে এতোদিন থেকে ভালোবাসে আর তা সে আজ জানছে! সামিরা হেঁসে বলে,

‘আমি জানতাম কোনো ছেলে বা মেয়ে অপরজনের ব্যবহার, তাকানো সবটা দেখেই বুঝতে পারে কে তাকে কোন চোখে দেখছে আর আপনিি এতোগুলো বছরেও বোঝেননি!’

‘হয়তো বুঝতে চাইনি। বা কখনো খেয়ালই করিনি। এক নারীতেই তৃপ্ত ছিলাম।’

সবাই চুপ করে যায়। সাফিন বলে, ‘এতকিছু হওয়ার পরও মেয়েটা যখন আপনাকে চায়, এতগুলো বছর এক পাক্ষিক ভালোবেসে যখন এখন পাওয়া স্বপ্ন দেখছে তখন ওকে একটা বার সুযোগ দিয়ে দেখতে পারেন। হয়তো ভালো কিছু হবে! আর পারলে ওর সাথে একবার দেখা করে নিবেন। ওর শরীর ভালো না।’

এরপর সবাই বিদায় নিয়ে চলে যায়। ফয়সাল ভাবতে থাকে। কি করবে আর কি করবে না তার মধ্যে ডুবে থাকে৷ মেইড এক কাপ কফি নিয়ে এসে বলে,

‘আপারে একবার সুযোগ দিয়ে দেখা উচিত স্যার।’

______
সারাদিন ঘুরাঘুরি করে বিকেলে বাড়ি ফিরে স্পর্শী। যদিও সে আগেই রুদ্রকে ফোন করে বলে দিয়েছিলো বিষয়টা। রুদ্র সব কথা শুনে শুধু এটুকুই বলেছে, ‘ফাঁ’কিবাজের পুরো দল।’ স্পর্শী বাড়ির মধ্যে ঢুকতেই চোখ পড়ে লিভিং রুমে বসে থাকা রুদ্র, নিতু, আর রাইমার দিকে৷ তিনজনই হাসছে। রুদ্রকে নিতুর পাশে দেখেই জ্ব’লে ওঠে সে। দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে রয়। রুদ্রর নজর স্পর্শীর দিকে পড়তেই হাাসি থেমে যায়। উঠে এসে বলে,

‘চলে এসেছিস! যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।’

স্পর্শী জবাব না দিয়ে গটগট করে সিড়ি দিয়ে চলে যায়। রাইমা রুদ্রর কানের কাছে এসে বলে, ‘ভাইয়াা আজ তো তুমি শেষ!’

স্পর্শী রুমে এসে ব্যাগ ঠা’স করে ফেলে দেয়। চুল টেনে দাঁতে দাঁত চেপে থাকে৷ রুমের মধ্যেই পায়চারী করতে থাকে। একটু পরই রুদ্র রুমে ঢোকে। নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,

‘ফ্রেশ হোসনি এখনো?’

স্পর্শী ঘুরে তাকায়। কটমট করতে করতে বলে, ‘নিতুর সাথে কি করছিলেন?’

‘কি আবার করবো! অনেকদিন পর এসেছে তাই আড্ডা দিচ্ছিলাম। কেন? কিছু হয়ছে?’

এমন ভাব যেনো কিছুই হয়নি। স্পর্শী মনে মনে রুদ্রর ১৪ গো’ষ্ঠী উদ্ধার করে দেয়। রুদ্র আগুনে ঘি ঢালার মতো করে বলে, ‘জানিস বেচারী না আমাকে অনেক ভালোবাসে! আহারে আগে জানলে তোর পিছনে ঘুরঘুর না করে ওকেই বিয়ে করে নিতাম।’

স্পর্শী তেলে বেগুনে জ্ব’লে ওঠে। রুদ্রর কাছে গিয়ে খপ করে কলার টেনে ধরে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘কি বললেন আপনি? ওকে বিয়ে করবেন? একদম ঠ্যাঙ ভে’ঙে হাতে ধরিয়ে দিবো।’

বলেই কলার ছেড়ে ফ্লোরে বসে। রাগে গিজগিজ করছে। রুদ্র ফাঁকা ঢোক গিলে স্পর্শীর পাশে বসতেই স্পর্শী বলে, ‘আমার বাচ্চা চাই।’

টাস্কি খায় রুদ্র। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। চোখ দুটো কপালে উঠে গোল গোল হয়ে গেছে। অবাক কন্ঠে বলে, ‘কি বললি?’

স্পর্শী ভ’য়ং’কর দৃষ্টিতে তাকায়। বলে, ‘একবার বললে আমার কথা বোঝেন না? নিতু বললে ঠিকই বুঝতেন।’

‘তুই মনে হয় পা’গল হয়ে গেছিস! চল তোকে ডক্টর দেখিয়ে আনি।’

‘পাা’গল হবো কেন হ্যাঁ?’

‘আজ আমাদের বিয়ের কেবল ৩ দিন আর তুই আমাকে বলছিস বাচ্চা চাই! সিরিয়াসলি? তোর বয়স কত রে?’

স্পর্শী জবাব দেয় না। চুপচাপ বসে থাকে। কিছুটা সময় পার হতেই বসে থাকা অবস্থাতেই হুট করে রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে। রুদ্র অবাক হয়ে তাকায়। স্পর্শী শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আওড়ায়,

‘আপনি শুধু আমার রুদ্র ভাই। শুধুমাত্র আমার। আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি। আমাকে ছেড়ে অন্য কারো কথা ভাবলে একদম মাথা ফা’টিয়ে দিবো।’

চলবে…
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here