#প্রতারক
#পর্বঃ০৩
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
কলেজের ভেতরে গিয়ে আমি আর তিথি দুজনে ই গল্প করছি।তিথি খুব বকবক করছে।কিন্তু আমার ভালো লাগছে না।হঠাৎ করে আহির আর মিমিকে কলেজ রুমের ভেতরে ডুকতে দেখে অবাক ই হয়ে গেলাম।মিমি আহিরের হাত ধরে আছে।দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে দুজনে বেশ খুশি।ওদের দুজনের এমন কান্ড দেখে আমার কেমন লাগছে তা কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না।মনে হচ্ছে কেউ আমার কলিজায় তীর মেরেছে।ইচ্ছা করছে চিৎকার করে কাঁদি।কিন্তু তাও পারবো না।মনের অজান্তে ই চোখ থেকে দু ফোটা পানি বের হয়ে গেছে।।
——–মিমি প্রতিদিন আমার আর তিথির সাথে বসতো।কিন্তু আজ মিমি আহিরের পাশে বসেছে।হঠাৎ করে তিথি আমার মাথায় হাত রাখলো।আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ওর ও চোখের কোণে পানি।আসলে তিথি আমাকে নিজের বোনের মতো ই ভালোবাসে।আমার কোনো কষ্ট ওর সহ্য হয় না।
——–আমি তিথির দিকে তাকিয়ে বললাম এই পাগলী তুই কেন কাঁদছিস??
———তিথি বললো ও কিছু না।আর্নিয়া দেখ না আহির আর মিমি কীসব যেনো বলছে!!
——-তিথির কথা শোনে আমি ওদের তাকাতে ই মিমি আমার দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দিলো।ওর হাসি দেখে মনে হচ্ছে ও যেনো জিতে গেছে আর আমি হেরে গেছি।।
———মিমির হাসি দেখে তিথি অনেক রেগে গেলো।তিথি আমাকে বললো ইচ্ছা করছে মিমিকে একটা কষে চড় মারতো!!ও একজন মেয়ে হয়ে কী করে অন্য একজন মেয়ের এমন সর্বনাশ করলো!!
——–শোন তিথি তার আর কোনো প্রয়োজন ই নাই।কারন যা হওয়ার ছিলো তা তো হয়ে ই গেছে।আল্লাহ ওদের পাপের শাস্তি ঠিক ওদের দিয়ে দিবে;;;;তুই দেখিস!!
———-আমরা অনেকক্ষণ দুজনে মিলে গল্প-গুজব করলাম।হঠাৎ করে কলেজের ঘন্টা বাজার শব্দ হলো।তখন বুঝতে পারলাম ক্লাস শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেছে।
———ক্লাসে একজন টিচার আসলো।টিচারকে দেখে সবাই অবাক।কারন আসলে উনি নতুন টিচার।
স্যার ক্লাসে এসে স্যার বললো আমার নাম নীল চৌধুরী।আমি তোমাদের নতুন ক্লাস টিচার।
——-স্যারের সাথে একে একে সবাই পরিচিত হলো।কিন্তু স্যার আমার সামনে এসে আমাকে বললো তুমি নিশ্চয়ই আর্নিয়া চৌধুরী।রাইট এম আই রাইট।।
———স্যারের কথা শোনে অবাক না হয়ে পারলাম না।কারন স্যার যে কীভাবে আমার নাম জানে!!!!!
——–আমার মুখের দিকে তাকিয়ে স্যার হেসে বললো আর্নিয়া তোমার অবাক হওয়ার দরকার নাই।তুমি এই কলেজের লিডার।আমি তোমার ব্যাপারে স্যারদের মুখে শোনেছি।
———আমি শুধু স্যারের কথা শোনে ই যাচ্ছি কিন্তু কিছু বলছি না।আসলে আমার কোনো কিছু ই ভালো লাগছে না।
———-স্যার ক্লাস শেষ করে চলে গেলেন।স্যার চলে যেতে নিরব আমার কাছে এসে বললো তুই তো অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছিস।শোন আর্নিয়া তোকে আবারও বলছি তুই আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা!!!
———তুই কী ভাবছিস নিরব তোর মতো একটা বখাটে ছেলের প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাবো।দেখ আর্নিয়া চৌধুরী এতো পাগল ও না।।
———-দেখ আর্নিয়া তুই কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছিস।এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।কথাটা মাথায় রাখিস।আর তোর কলিজার বয়ফ্রেন্ড দেখ মিমির সাথে কেমন করে আছে।তোকে আহির আর কোনোদিন স্থান দিবে বলে তোর মনে হয়।।
———আরে নিরব এই আহিরের কাছে আমি কোনো দিন যাবো এইটা তুই কী করে ভাবছিস।শোন আমি ভাগ্যকে মানতে শিখেছি।আরে আমি তো পারতাম আহিরকে জোর করে বিয়ে করে ওর বৌ হতে।কিন্তু তা আমি করি নি।কারন আমি নিজের ভাগ্যকে মানতে শিখেছি।আশা করি তোর আর কিছু বলার নাই।।
———আমার কথা শোনে নিরব চলে গেলো।যাওয়ার আগে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিলো।
তখন তিথি বললো একদম ঠিক করেছিস।
আমার দিকে ক্লাসের অন্য ছেলে মেয়েরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
———দুপুর একটায় কলেজ ছুটি হলো।সবাই তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছে।সাথে আমি আর তিথিও।হঠাৎ কে জানি আমাকে ধাক্কা দিলো আর আমি,,,,,,,,,,,,,
চলবে
দুইদিন গল্প দিতে পারবো না।আমার ফুফুর বিয়ে।তাই একটু বেশি ই ব্যস্ত থাকবো।।
হ