#প্রতারক
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ০৪
দুপুর একটায় কলেজ ছুটি হলো।সবাই তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছে।সাথে আমি আর তিথিও।হঠাৎ কে জানি আমাকে ধাক্কা দিলো আর আমি গিয়ে কারো সাথে গায়ের ওপর পড়েছি।তাড়াতাড়ি করে উঠে তাকিয়ে দেখি নীল স্যারের সাথে ধাক্কা খেয়েছি।
লজ্জায় আমি শেষ।
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম সরি স্যার।
নীল স্যার বললো ঠিক আছে।সাবধানে যাও।
,
,
————কলেজের রাস্তা দিয়ে আমি আর তিথি হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম।হঠাৎ আমি শুনতে পেলাম আহির আমাকে বললো আর্নিয়া দাঁড়াও।আমাকে রেখে ই তুমি চলে যাচ্ছো।।
———-আমি পেছনে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই।আর আমাদের থেকে অনেকটা দূরে ই মিমি আর আহিরকে দেখা যাচ্ছে।
———-আমাকে এইভাবে পেছনে তাকাতে দেখে তিথি বললো কী হয়েছে রে আর্নিয়া!!তুই এমনভাবে পেছনে তাকাচ্ছিস কেন??
———–তখন আমি বললাম না কিছু না।এমনি ই।রোজকার অভ্যাস তো!!
———–একটু হেসে তিথি বললো জানি!!কিন্তু তোকে যে আরও শক্ত হতে হবে।নিজের সব পুরানো অভ্যাস ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখতে হবে।।
——-তুই চিন্তা করিস না তিথি আমি সব চেষ্টা করছি।দোয়া করিস আমি যেনো সফল হই।।
———-আল্লাহ সহায় হোক।আমি জানি তুই ব্যর্থ হবি না।
———বিকেলে একটু হাঁটার জন্যে বের হইলাম।প্রতিদিন তো বাড়ির সামনের বাগানে পারীচারি করি।কিন্তু আজ ইচ্ছা করছিলো অন্যদিকে যাই।তাই বাড়ির বিপরীতে যে বাগানটা আছে ঐ দিকে হাঁটতে বের হইলাম।
———–কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমার মনে হলো কেউ আমাকে ফলো করছে।মনের ভেতর অজানা ভয় নিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই।হয়তো আমার মনের ভ্রম ছিলো।
———আবারও হাঁটতে শুরু করলাম।হঠাৎ আবারও মনে হচ্ছে কেউ আমার পেছন পেছন আসছে।।আমি কিছু বুঝে উঠার আগে ই কেউ আমার মুখে রুমাল চাপা দিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে দিলো।আমার আর কিছু মনে নেই।।
——–আমার যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি দেখলাম আমি একটা অন্ধকার রুমে আছি।হাত-পা বাঁধা অবস্থায়।আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি হাত-পায়ের বাঁধন খুলতে কিন্তু পারছি না।
———হঠাৎ করে কেউ রুমে আসলো আর লাইট অন করলো।আমি আস্তে আস্তে চোখ মেলছি।চারদিকটা কেমন জানি ঝাপসা ঝাপসা লাগছে।হঠাৎ করে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম নিরব আর তার বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে।।
———কী সুইটহার্ট তোমাকে বলেছিলাম না আমার প্রস্তাবে রাজি না হলে এর ফল ভালো হবে না।কথায় আছে না সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলটা বাঁকাতে হয়।।
———নিরব তুই কিন্তু ভুল করছিস।।এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।।এখনও সময় আছে আমাকে যেতে দে!!!
———আহঃ সুইটহার্ট!!এত অধৈর্য্য হচ্ছে কেনো??আমি তো আছি।।আর তোমাকে ও বাসায় নিয়ে যাবো!!তবে তোমার বাসায় না!!আমার সাথে আমার বাসায়!!
———নিরব!!তুই কিন্তু ভুল করছিস।।আরে আমি জীবনে ও তোর বাসায় যাবো না মনে রাখিস।।আর্নিয়া চৌধুরী অন্যায়ের কাছে কোনোদিন মাথা নত করে নি!!আর আজও করবে না!!
———-শোন আর্নিয়া আমি তোকে বিয়ে করতে চাই আর এই মূহূর্তে সেটা করবো!!
———–হাঃ হাঃ হাঃ সেইটা শুধু তোর স্বপ্ন ই থাকবে।আর তা কোনোদিন ও বাস্তবে পরিণত হবে না!!
———আমি জানি তোর মতো জেদি মেয়েকে কখনো আপস করা যাবে না।।শুধুমাত্র তোর জন্যে আহির আমার গায়ে একবার না চার চার বার হাত তুলেছে।।
———–আহির যা করেছে ঠিক করেছে।।তোর অন্যায়ের শাস্তি দিয়েছে আহির তোকে।।যা করেছে বেশ করেছে।।
————-কী বললি তুই।তুই সীমা ছাড়িয়ে গেছিস।অনেক হয়েছে আর না।এই বলে নিরব আমার,,,,,,,,,
.
.
চলবে…………