প্রতিশোধ পর্ব ১

রাত ১২ টার সময় আমার বউকে উলঙ্গ হয়ে শাওয়ারে গোসল করতে দেখে বেশ অবাক হলাম।শরীরে কাপড়ের কোনো ছিটেফোটাও নেই।কিন্তু হঠাৎ করে এত রাতে এভাবে গোসল করছে কেন?

–মারিয়া তুমি এত রাতে এভাবে গোসল করছো কেন?

ভেতর থেকে কোনো সাড়া এলোনা।মারিয়া শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে আছে।মুখটা আয়নার কাচের দিকে।আমার কথা তার কানে পৌছাছে কি বুঝতে পারলাম না।আমি দ্বিতীয়বার তাকে ডাক দিলাম।কিন্তু আবার কোনো সাড়া এলোনা।আমি বাথরুমের ভিতরে প্রবেশ করি।মারিয়ার কাধে হাত দিতেই মারিয়া চমকে উঠে।
–সাগর তুমি এখানে কি করছো?আর আমার কাপড় কোথায়?
–প্রশ্ন গুলো আমি তোমাকে করবো কিন্তু তার আগে তুমিই করে দিলে।
–মানে বুঝলাম না।
–মানে হলো তুমি এত রাতে বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল করছো কেন?আর কত ডাকছি সাড়া দিচ্ছোনা।
—কি বলছো এসব?আমি তো পানি খেতে উঠেছিলাম তারপর তুমি ঘাড়ে হাত দিলে মাঝখানে কি হয়েছে কিছু মনে নেই।

আমিও আর তখন মারিয়াকে আর কিছু জিগ্যেস করিনি।মারিয়া কাপড় পড়ে গিয়ে শুয়ে পড়ে।আমিও শুয়ে পড়ি।কিন্তু আজকে আমার আর ঘুম আসবেনা।আজকে আমাকে অনেক ভাবাচ্ছে।কয়দিন থেকে মারিয়া মধ্যে রাতে রুমে থাকছেনা।আমি ভাবছি বাথরুমে যায়।তাই এত খুজিনি।কিন্তু আজ যখন তাকে খুজতে উঠলাম ঠিক তখন দেখি মারিয়া উলঙ্গ হয়ে বাথরুমে গোসল করছে।

সকালে অফিস আছে তাই বেশি না ভেবে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।নয়তো অফিস মিস হয়ে যেতে পারে।সকালে ঘুম ভাঙে দেখি মারিয়া তখনো ঘুমাচ্ছে।এমনটা কখনো হয়না মারিয়ার আগে আমি কোনোদিন ঘুম থেকে উঠতে পারিনি।কিন্তু বেস কয়দিন থেকে আমি আগে উঠি।মারিয়া পরে।তার কাপড় সব এলো মেলো থাকে।কখনো কাপড় শরীরে থাকেইনা।কিন্তু যখন ঘুম ভাঙে সব সাভাবিক।

আমার তখন অনেকটা টেনশন হয়।প্রথম দিন এমন দেরি করে ঘুম থেকে উঠার জন্য অনেক বকা দেই।কিন্তু মারিয়া আমার কোনো কথার উত্তর দেয়নি চুপচাপ শুনেছে।পরেরদিন করাতে আবার বকেছি সেদিনো শুনেছে কোনো উত্তর দেয়নি।তাই তারপর থেকে আমি আর তাকে কিছু বলিনা।খাবার ফ্রিজে থাকে।সেখান থেকে বের করে গরম করে খেয়ে অফিসে চলে যাই।

আমি অফিস শেষে বাসায় ফিরার পথে মারিয়ার ফেবারিট হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি কিনি।সাথে রেশমি চুড়ি আর একটা গোলাপ ফুল।সেগুলো নিয়ে বাসায় আসি কলিংবেল চাপি কিন্তু ঘর খুলছেনা।আবার চাপ দেই।তাও কোনো সাড়া শব্দ নেই।এমন তো হয়না।আমি কলিং বেল দিলে মারিয়া সাথে সাথে দরজা খুলে দেয়।মনে হয় যেন আমারি অপেক্ষায় দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকে।কিন্তু আজ দরজা খুলছেনা।

আমি আবার কলিং বেল চাপ দেই।দরজা ধাক্কা দেই।
–মারিয়া দরজা খোলো।এত দেরি হচ্ছে কেন?কোথায় তুমি?
ঠিক তখনি ভেতরে কিছু পড়ার শব্দ হয়।ঝনঝন করে উঠে।আমি শব্দটা শুনে বারবার দরজা ধাক্কা দিতে থাকি ঠিক তখন মারিয়া দরজা খুলে দেয়।

আমি হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করি।
–কি ব্যপার সেই কখন থেকে কলিং বেল দিচ্ছি শুনতে পাচ্ছিলে না?
–সরি শুনতে পাইনি।

মারিয়ার কপাল ঘেমে আছে।শ্বাসপ্রশ্বাস অনেক দ্রুত হচ্ছে।তার শরীরে কাপড় ঠিক নেই।আমার দিকে কেমন ভয়াল চোখে তাকিয়ে আছে।

আমি আর মারিয়াকে কিছু বলিনা।দরজা আটকিয়ে দেই।তারপর মারিয়াকে তার ফেবারিট খাবার রেশমি চুড়ি আর গোলাপটা দেই।মারিয়া তখন অনেক খুশি হয়।আমাকে জোড়িয়ে ধরে।মারিয়া আগে যখন জোড়িয়ে ধরতো তখন যতটা নিজের মধ্যে ফিলিংক্স কাজ করতো আজকে তার কিছুই হয়নি।আমি মারিয়ার কপালে বিনা ফিলিংক্সে চুমো দেই।

রাতে খাওয়া শেষে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি।অফিসে অনেক কাজের চাপ ছিলো।শরীর ক্লান্ত তাই বিছানাতে গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়ি।পানির ঝিরঝির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়।বিছানার পাশে হাত দেই।মারিয়া নেই পাশে শব্দটা বাথরুম থেকেই আসছে।কিছুখন পরে মারিয়া বাথরুম থেকে বেরিয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়ে।

শরীরে অনেক সুগন্ধী দিয়েছে মনে হচ্ছে।আমাকে মারিয়ার কিছু কাজ অনেক ভাবাচ্ছে।মারিয়া এত রাতে কি করে?গোসল কেন করে এত রাতে প্রতিদিন?মারিয়া কি অন্য কোনো কাজ করে নাকি শুধু গোসল করে?কিন্তু কেন?বাড়িতে এসি লাগানো আছে।গরমো নেই যে সেজন্য গোসল করবে।আমার মাথায় তখন কিছু আসছিলোনা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আজ মারিয়া বিছানায় নেই।তার মানে আজ আগে ঘুম থেকে উঠেছে।আমি ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাই ফ্রেশ হতে।ফ্রেশ হয়ে বাহিরে যাই দেখি কিচেনে রান্নার শব্দ হচ্ছে।আমি মারিয়ার কাছে কিচেনে যাই।কিন্তু এমনটা দেখবো কখনে আশা করিনি।

মারিয়া পুরো উলঙ্গ হয়ে আছে।তার শরীরে কোনো কাপড় নেই।কাপড় মেঝেতে পড়ে আছে।আর উলঙ্গ অবস্থাতেই রান্না করছে।আমি মারিয়াকে অনেকবার ডাকি কিন্তু কোনো সাড়া দেয়না।এক ধ্যানে রান্না করতে থাকে।আমি মারিয়ার কাছে যাই আর আমার দিকে তার মুখ করি আর এক থাপ্পড় দেই।

মারিয়া চমকে উঠে দু হাত পিছে সরে যায়।আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে যাকে বিয়ের পর এখন পর্যন্ত গায়ে হাত তুলিনি আজ হঠাৎ তাকে থাপ্পর মারলাম।তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে।কিন্তু তখন আমার মনে কোনো দুর্বলতা কাজ করছেনা।
–তুমি উলঙ্গ হয়ে রান্না করছো কেন?
মারিয়া নিজের শরীরের দিকে তাকায়।তারপর তার কাপড় খুজার জন্য পাড়াপাড়ি করতে লাগে।মেঝে থেকে কাপড় নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পড়ার চেষ্টা করে।কিন্তু মানুষ যখন বেশি তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করতে যায় তখন সেটা হতে চায়না।

মারিয়া আমার দিকে ভয়ালো চোখে দেখছে আর কাপড় পড়ছে।বারবার কাপড় পড়তে গিয়ে ভুল করছে।মারিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে সে আগে কখনো কাপড় পড়েনি আজকে প্রথম কাপড় পড়ছে।

বাড়িতে আমরা দুজনেই থাকি।যদি আজ বাবা মা থাকতো তাহলে কি হতো?তাদের সামনে মুখ দেখাতাম কি করে?ভাগ্য ভালে যে বাবা মা গ্রামের বাড়িতে থাকে।আমি সেখান থেকে চলে আসি।অফিসের জন্য রেডি হই।মারিয়া টেবিলে খাবার দিয়ে আমাকে খেতে ডাকে।খাবার কোনো ইচ্ছা নাই আমার।তাই না খেয়েই অফিসে চলে আসি।আমি কেবিনে বসে আছি।কাজে মন বসছেনা

ঠিক তখনি অফিসের এমডি আমার কেবিনে
–স্যার আপনি আমার রুমে কেন?আমাকে ডাকলেই তো চলে যেতাম।
–সাগর তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম তুমি তো বসেই আছো।
–স্যরি স্যার।ভুলে গেছিলাম।
–কি হয়েছে সাগর তোমার?কিছুদিন ধরে মন মরা হয়ে বসে থাকো দেখছি।
–না স্যার তেমন কিছুনা।
–ঠিক আছে।শোনো আজকে একটা পার্টি আছে।তোমাকে কিন্তু থাকতে হবে।
–স্যার বাসায় আমার স্ত্রী একা আছে।তার শরীর খারাপ পার্টিতে আমার থাকা কি খুবি জরুরী?
–হ্যা।অনেক জরুরী।বিদেশী কোম্পানিকে নতুন প্রযেক্টটা তুমি তাদের দেখাবে।
–স্যার তাও যদি।
–না সাগর একদিনে কোনো সমস্যা হবেনা।তোমার থাকতে হবে।

অফিসের এমডির সাথে তো আর বেশি তর্ক করা যাবেনা।তাই রাজি হয়ে গেলাম।কিন্তু মনটা বাড়িতে চলে যায়।বাসায় ফিরতে দেরি হলে একা একা কি করবে তার কোনো ঠিক নেই।পুরাদিন অফিসের কাজে কেটে গেলো।সন্ধ্যার দিকে অফিসের সবাই মিলে পার্টিতে যাই।

সেখানে বিদেশী কোম্পানীকে আমাদেন প্রযেক্টের কথা বলি।তারা সবকিছু দেখে অনেক পছন্দ করে।আর আমাদের কোম্পানীর সাথে তারা চুক্তি করে।স্যার তো অনেক খুশি হয় তাতে।সবাই খুশিতে তখন ড্রিংক্স করছিলো আর ফুর্তি করছিলো।শুধু আমার মনটা বাড়িতে পার্টিতেও মন বসাতে পারছিনা।একটা বিষয়ে হঠাৎ খকটা লাগে মারিয়া আমাকে এখনে একবারো ফোন দেয়নি আমি কেন দেরি করছি।বাড়িতে এখনো যাইনি কেন।

পার্টি মাঝে আমি স্যারের কাছে যাই
–স্যার কাজ তো শেষ।আমি বাসায় যাই?
–আরে মাত্র তো পার্টি শুরু হলো এখনি বাসায় গিয়ে কি করবে?
–স্যার অনেক রাত হয়েছে পরে গাড়ি পাবানা বাসায় যেতে আজকে আমি গাড়ি নিয়ে আসিনি।
–তুমি এসব নিয়ে ভেবোনা আমার ড্রাইভারকে বলে দিবোনি সে তোমাকে বাসায় রেখে আসবে।
–স্যার বাসায় আমার বউ একা আছে।
–সাগর তুমি কি বউ পাগল বলোতো।এখানে কত মেয়ে আছে যাও ফুর্তি করো।
–না স্যার আমার এসব ভালো লাগেনা।
–আরে কি বলো এসব যুবক ছেলে তুমি এখন ইন্জয় করবেনা তো কখন করবে।আচ্ছা তুমি ঐ রুমে গিয়ে বসো।

আমার পার্টিতে মেয়েদের সাথে ফুর্তি করার কোনো ইচ্ছা নেই।এমডি সাহেব একটা মেয়েকে নিয়ে একটা রুমে ঢুকে গেলো।আর তার পিএকে কি যেন বললো।বড়লোক হলে যা হয় বাসায় বউ আছে দুইটা বাচ্চা আছে তাও এসব করে।

আমি পাসের রুমে গিয়ে বসে পড়ি।এমডি আমাকে বাসায় যেতে দিচ্ছেনা।এখানে আমার একটুকু মন টিকছেনা।কিছুখন পর দেখি রুপা রুমে প্রবেশ করে।আমাদের কোম্পানীতেই চাকরি করে।শুনেছি সে আমাকে পছন্দ করে।রুপা আমার পাশে বসে।
–কি ব্যাপার মিস রুপা আপনি এখানে কেন?
–এমডি স্যার আমাকে পাঠিয়েছে।তোমার নাকি মন খারাপ তাই মন চাঙ্গা করতে এসেছি।
–কি যাতা বলছেন আমি ঠিক আছি।

রুপা আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়।তারপর তার বুকের কাপড় ফেলে দেয়।আমি তখন অনেকটা ভয় পেয়েগেছি।রুপা যথেষ্ট সুন্দরী যেকোনো ছেলের মধ্যে ফিলিংস জাগবে।কিন্তু আমি তাদের থেকে একটু আলাদা।রুপা তার শাড়ি খুলে ফেলে দেয়।আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমি বিছানা থেকে উঠে পড়ি।রুপা আমার কাছে আসে আমি তাকে একটা থাপ্পর মারি।

রুপা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।সে এমনটা আশা করেনি।তার রুপ যৌবন আমাকে বিলিয়ে দিতে চাচ্ছে কিন্তু আমি তা না নিয় তাকে থাপ্পর মারলাম।এমনটা হয়তো সে আশা করেনি।তার ভাবনার বাহিরে ছিলো।রুপা কিছু বলতে যাচ্ছিলো আমি তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসি।

কিছুখন পর অফিসের বস বেরিয়ে আসে।আমাকে বাহিরে দেখে অবাক হয়।হয়তো সেও এটা আশা করেনি।মানুষ যা সব সময় আশা করে তা সব সময় হয়না।কিছু সময় তার উল্টোটাও হয়।তাই কোনো কিছু নিয়ে বেশি আশা করা উচিত না।
–কি ব্যাপার সাগর তুমি এখন এখানে বসে আছো?
–ভালো লাগছিলোনা স্যার তাই এখানে বসে আছি।
–রুপা কোথায়?সে তোমার তাছে যায়নি?
–যাবেনা কেন গেছিলো আমি সেখান থেকে চলে এসেছি।আমাকে বাসায় পাঠিয়ে দিন প্লিজ।
–ঠিক আছে।তুমিই একটা মানুষ যাকে ভাঙা গেলোনা
বলেই হাসতে থাকে বস।আমার তখন বসের হাসি বিষের মতো লাগছিলো।

বস তার ড্রাইভারকে বললেন আমাকে যেন বাসায় দিয়ে আসে।যাবার পথে ড্রাইভারের সাথে কোনো কথা হয়নি।যখন গাড়ি থেকে নেমেছি শুধু তখন বললো
–স্যার এটাই আপনার ফ্লাট?
–হ্যা এটাই আমার কিন্তু কেন?
–না স্যার এমনি।
বলে গাড়ি ঘুরিয়ে চলেগেলো।

আমিও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলাম।অনেক রাত হয়েগেছে।একবারো ফোন করা হয়নি।না যানি মারিয়া খেয়েছে কি না খেয়েই ঘুমিয়েছে।আমি কলিং বেল বাজালাম।দরজা খুললনা।বেশ কয়েকবার বাজালাম একি রেজাল্ট।দরজা ধাক্কা দিলাম কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ নেই।মারিয়া ঘরের মধ্যে আছে তো?যদি ঘরের মধ্যে না থাকে তাহলে দরজা ভেতর থেকে আটকানো কা করে?তার মানে ঘরের মধ্যই আছে।

আমি আরো বেশ কয়েক মিনিট কলিং বেল বাজালাম দরজা ধাক্কা দিলাম কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা ভেতর থেকে।যদি মারিয়া ঘুমের মধ্যেও থাকে তাহলেও এতখনে শুনতে পাওয়ার কথা।রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১টা।আমার তখন অনেক টেনশন হচ্ছিলো।মারিয়ার কিছু হয়নি তো?

আমি তখন কি করবো বুঝতে পারছিনা।আমার কাছে দ্বিতীয় চাবিও নেই।কি করবো বুঝতে পারছিনা।ঠিক তখন মনে পড়ে বাহিরে একটা বড় হাতুড়ি আছে।সেদিন কি কাজে যেন রেখেছিলাম পরে আর ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়নি।আমি হাতুড়ি টা খুজে বারবার করলাম।তারপর সেটা দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলি।পুরো বাড়ি অন্ধকার।কোনো আলো নেই ঘরের মাঝে।

তখন আমার কানে আশে কোনো মেয়ের মৃদু চিৎকার তা কোনো আত্মচিৎকার ছিলোনা।চিৎকারটা অন্য রকম ছিলো।কি হচ্ছে ঘরের মধ্যে?

আমি এক এক করে সব লাইট জ্বেলে দেই।তারপর আমার ঘরে যাই।সেখানে দেখি আমার বিছানায় কোনো চাদর নেই নিচে পড়ে আছে।মারিয়া ফ্লোরে উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে।পুরো ঘর এলোমেলো।কোন জিনিস তার জায়গা মতো নেই।কেমন ঘুটঘুটে একটা গন্ধ বের হচ্ছে ঘর থেকে।

চলবে……………….

প্রতিশোধ
প্রথম_পর্ব
sagor_islam_raj

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here