প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব -১৪

#প্রমত্ত_অঙ্গনা
#লেখিকা_আরোহী_নুর
(১৪)

বেশ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে আঁখি আদৃত,কেউ কোনো কথা বলছে না,পিনপিন নিরবতা বজায় রয়েছে দু’জনের মধ্যে,অনেকটা অস্বাভাবিকতা গ্রাস করে আছে দু’জনকেই।মনে জমে গেছে যেন পাহাড় সমান বাক্য যা বলতে চায় দু’জন দুজনাকে, জমে আছে কতো মান অভীমান,জানাতে চায় যে একে ওপরকে তবুও ব্যর্থ দু’জন, খুব করে চেয়েও সেই অধিকারত্ব আর সাহস কোনোটাই জুটিয়ে উঠতে পারছে না তারা, অবশেষে নিরবতা কাঁটালো আদৃত।স্বাভাবিক ভাবে বলল।

″তা কেমন আছো?″

″খুব ভালো।″

″সত্যিই কি খুব ভালো?″

″ভালো না থাকার আলাদা কি কারণ থাকতে পারে?স্বাচ্ছন্দ্য বেঁচে থাকাটা কি যথেষ্ট না।″

″হুম,কথাটা ভুল না।″

″তা,বিয়ে করে নিয়েছেন তাই না?কেমন আছেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে?″

″হয়ত কাঙ্ক্ষিত সে অঙ্গনা জীবনে থাকলে অবশ্যই ভালোই থাকতাম তাকে আর নিজের ভালোবাসার অংশ কে নিয়ে।আফসোস না তো সে নেই আর না তো ভালোবাসার কোনো অংশ।″

আদৃতের কথায় কিছুই মিলিয়ে উঠতে পারল না আঁখি ডা.সানিয়াকে তো আঁখি সেদিন একটা শপিংমলে দেখেছিল,তবে আদৃত কেন বলছে ও তার কাঙ্ক্ষিত জনকে জীবনে পায় নি,কিন্তু আদৃত তো ডা.সানিয়াকে প্রচন্ড ভালোবাসত আর ডা.সানিয়াও তো আদৃতকে ভালোবাসত,দু’জন দু’জনাকে ছাঁড়া বাঁচবে না এমনই জানত আঁখি,যার ফলস্বরূপ আঁখিকে ছাড়তে হলো আদৃতকে,মেনে নিতে হলো হার সানিয়ার ভালোবাসার কাছে,পরাজিত হলো আঁখির একতরফা ভালোবাসা,আদৃতের সুখের জন্য ত্যাগ দিলো তাকেই,সীমাহীন পী*ড়া সহ্য করে নিল হাসিমুখে, তবে যার সুখের জন্য এতকিছু করল আঁখি সেই সুখী নয় বিষয়টা জানতে পেরে বুকের ভিতরটায় কেমন এক শুণ্যতায় ভরে গেল,আশ্চর্যও হলো সাথে প্রচুর,সানিয়া তো ভিক্ষে চেয়েছিল আদৃতকে আঁখির কাছে,নিজের প্রাণের চেয়েও প্রিয় দাবী করেছিল আদৃতকে তবে কেন সে আদৃতের সাথে নেই,কেন আদৃত নিঃস্ব, খুব কৌতুহল জাগল আঁখির মনে বিষয়টা জানার,আদৃতকে কি এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে তার?আঁখির ভাবনার মধ্যেই পুলিশ এসে পরল সেখানে।

অনেক বলার পরও আদ্রিশ না খেলে খাবার নিয়ে গিয়ে কিচেনে রেখে এলো রিদিকা,আদ্রিশ শুয়ে আছে বিছানায়,রিদিকা এগিয়ে এসে তার পাশে শোয়ে পরল,বুকের উপরের শার্টের বোতাম খোলে আদ্রিশের বুকে তার নখ দিয়ে হালকা করে আঁচড় কাটতে কাটতে বলল।

″কি হয়েছে তোমার?এই রুমে আমায় আসতে দাও না,আমার রুমে তো যাও ই না,এভাবে আমার থেকে দূরে থাকতে কষ্ট হয় না বুঝি তোমার?আমাকে যখন পর করেই রাখার ছিল তবে আপন করলে কেন?″

″দেখো রিদিকা তুমি যেমনটা ভাবছ তেমন কিছু না,আসলে আঁখি আবারও ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছে,ভেবে পাচ্ছি না কী করব,বিরক্ত লাগছে আমার সবকিছু, তুমি বরং রুমে যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো।″

″না আমি কোথাও যাব না,আমি তোমার পাশেই থাকব।″

″জেদ করো না রিদিকা,চলে যাও।″

কথাটা বলে আদ্রিশ রিদিকার হাত তার বুক থেকে সরাতে গেলে রিদিকা ব্যথায় কুকরে উঠে আহ বলে,আদ্রিশ রিদিকার জন্য বেশ অস্থির হয়ে উঠে বসে এবার।

″কি হয়েছে রিদিকা?″

″কিছু না।″

অতঃপর আর কিছু না বলে রিদিকা তার হাতটা আদ্রিশের চোখের অগোচরে নিতে চাইলে আদ্রিশের চোখ চলে গেল তার হাতের উপর। দেখতে পেল নখের বেশ কটা আঁচড়ের দাগ রিদিকার হাতে,অনেকটা ফুলে গেছে জায়গাটা,লাল বর্ণ ধারণ করে আছে।রিদিকার হাতের এমন হাল দেখে অনেক খারাপ লাগল আদ্রিশের।অস্থির স্বরে জিঙ্গেস করল।

এটা কেমনে হলো রিদিকা?

রিদিকা আমতা করে বলল।

″কিছু না এমনিই।″

″কি হয়েছে রিদিকা বলো?″

″কিছু না,তুমি শুয়ে পরো আমি না হয় চলে যাই।″

রিদিকা চলে যেতে নিলে তার হাত পাকড়াও করল আদ্রিশ,এবার বেশ রেগে গিয়ে বলল।

বলো রিদিকা কি হয়েছে?

রিদিকা এবার কান্না করে দিয়ে বলল।

″আমি বললেও তুমি বিশ্বাস করবে না,যেতে দাও।″

″আগে বলবে তো কি হয়েছে?কে করেছে এসব?″

″শুভ্রতা আপু,আসলে আজকে আমি রিহানকে একবার ডেকেছিলাম আমার পাশে আসার জন্য,কিন্তু ও আসতে চায় না,তাই আমি ওর পাশে যাই,জানোই তো আমার বাচ্চাদের কতো পছন্দ তাই,কিন্তু যেই আমি রিহানকে কোলে নিতে যাব ঠিক তখন শুভ্রতা আপু এসে খামছি দিয়ে দেয় আমার হাতে,আমি জ্বা*লা*য় হাত সরিয়ে নিলে উনি রিহানকে কোলে নিয়ে আমায় বলতে লাগেন।উনার স্বামী বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে,আমি না কি কা*ল*না*গি*নী।

″এ কি বলছ তুমি?ভাবি এমনটা কখনও করতে পারে না।″

″বিশ্বাস হলো না তো,আমি জানতাম,তাই বলতে চাই নি।আসলে আমি কপালপোড়া, কখনও কারো মন পাই নি,না পেলাম মা বাবার মন,না পেলাম প্রথম স্বামীর মন,না পেলাম বেস্ট ফ্রেন্ড এর,না পেলাম তোমার আর তোমার পরিবারের, এমন জীবন পাওয়ার থেকে অকাল মৃ*ত্যুও ভালো হতো।আমি মরে কেন যাই না।″

আদ্রিশের অবিশ্বাসের ন্যায় বলা কথাটার উত্তরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উক্ত জবাব দিলো রিদিকা।রিদিকার কান্নায় আদ্রিশের মন এবার যেন মোমের মতো গলে গেল,আঁখির ব্যাথাভরা স্মৃতি এড়িয়ে রিদিকার চোখের জ্বলে মন ভোলে গেল আদ্রিশের।এবার আবারও অনেকটা রেগে বলল।

ভাবির সাহস হয় কেমনে তোমার সাথে এমন করার,আমি এখনই কথা বলছি উনার সাথে।
______

পুলিশ এসে ছি*ন*তা*ই*কা*রী গুলোকে নিয়ে গেল আঁখি আর আদৃতকে ধন্যবাদ দিয়ে।এবার আঁখি বলল।

″তা আপনি বাইক চালাবেন?″

″আজ না হয় তোমার পিছন বসি।″

হুম, বলে আঁখি বাইকে চড়ে গেলে আদৃত তার পিছন বসল।আজ এতো বছর পর আবারও একই বাইকে পাশাপাশি দু’জন বসে আছে,দু’জনের বুকের স্পন্দন যেন একই গতিতে চলছে, সেই পুরানো সুপ্ত অনুভুতি গুলো বুকের ভিতর কেমন জানি নতুন শিহরণ তৈরি করছে।

বাইক চলছে আপন গতিতে,প্রবল হাওয়া ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে দু’জনকে,হাওয়ার বেগে বাইক চালানো আঁখির পুরাতন অভ্যেস,আজও তার ব্যতীক্রম কিছু ঘটছে না,যার ফলস্বরূপ বাতাসের বেগ অত্যদিক হয়ে লাগছে তাদের গায়ে,সহসা বাতাসের একটা ঝপটে আঁখির মাথার হুডিটা সরে পরে যায়,আদ্রিশ পিছন থেকে আয়নায় অপলকে দেখে যাচ্ছে আঁখিকে,হুডিটা পরে যাওয়ার পর চুলের কাঁটাটাও কেমন খুলে যাচ্ছে বলে মনে হলো আদৃতের,সাথে সাথে আঁখি বলল।

ডা.আদৃত আমার কাঁটাটা পরতে দিবেন না।

বলতে না বলতেই কাঁটাটা পরে গেল খুলে,আঁখির ঘন চুলগুলো খোলে বাতাসে দুলতে শুরু হয়েছে।আঁখি এবার কর্কশ গলায় বলল।

ইশ বলেছিলাম কাঁটাটা ধরতে পারলেন না তো।

আদৃতের বেশ মজা লাগল,এতবছর পর আজ আবারও আঁখির অধিকার খাটিয়ে আদৃতকে বকে দেওয়া,তাছাড়া ওর খোলা চুলের পরশ যেন আদৃতের জন্য সোনায় সোহাগা,ইচ্ছে করেই আঁখির কাঁটা ধরে নি আদৃত তার চুলের ঘ্রাণ নিবে বলে।কথাটা ভেবে মুচকি হাসল আদৃত।

সময়ের সাথে রাস্তা ফুরচ্ছে,সাথে কল্পনায় বিমোহিত হচ্ছে আদৃত,আঁখির উড়ন্ত চুলের শোভনীয় ছোঁয়া মন দোলাচ্ছে আদৃতের,নিয়ে যাচ্ছে তাকে সুদূর অতীতে।আদৃত তখন বাইক চালাতে খুব পছন্দ করত,আর আঁখি প্রায় আসত সে সুযোগ উঠাতে।

″এই যে ডা.আদৃত কোথায় রওয়ানা হলেন?″

″কাজ আছে।″

″আমাকেও সাথে নিন,আমাকে আমার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে তারপর আবার কাজে চলে যাবেন।″

″বাড়িতে গাড়ি আছে তো, যেকেনো ড্রাইবার ছেড়ে দিবে তোমায়।″

″আপনার মতো হ্যান্ডসাম ড্রাইবার থাকতে অন্যের সাথে গাড়িতে কেন চড়ব?″

ও হ্যালো আমি হ্যান্ডসাম হই বা না হই আমি তোমার কোনো ড্রাইবার না ওকে,সো নাও গো টু হেল।

রেগেমেখে কথাগুলো বলে আদৃত বাইক ছাড়তে যাবে তখনি আঁখি গিয়ে এক ছোটে তার পিছনে চেঁপে বসল।

″এই এই কি করছ?নামো নামো।″

″নামব না,আপনি আমার কেনা ড্রাইবার না হলেও মনের ড্রাইবার ঠিকই,আর আপনার জীবনের গাড়িতে আমি যাত্রীর তালিকায় একমাত্র থাকব আজীবন।″

″দেখো আঁখি তুমি কিন্তু আমার ভদ্রতার বাঁধ ভেঙে ফেলছ।রাগিয়ো না আমায়।″

″রাগলে কি হবে শুনি?কি হবে? কি হবে?কি হবে?″

অতঃপর দুষ্টুমি করে আঁখি আদৃতের বাইক ঝাঁকানি দিতে শুরু করলে দু’জনই উল্টে পরে যায় বাইক থেকে,আদৃত রেগে আ*গু*ন রূপে ঝটফট উঠে পরে নিচ থেকে,আঁখি হাসতে হাসতে শেষ।

ইউ আর জাস্ট এনোয়িং।

কথাটা বলে আদৃত ঘরের ভিতর চলে যেতে শুরু করল।আঁখি পিছন থেকে হাসতে হাসতে বলতে লাগল।

আমি এনোয়িং হই বা কিউট,যেরকমই হই না কেন আমি তো শুধু আপনারই,বুঝলেন ডা.সাহেব।

হঠাৎ বাইকটা থেমে গেলে অতীত থেকে ফিরে আসে আদৃত। আঁখি বলে উঠে তাকে।

এই যে ডা.সাহেব নামেন, আপনার বাড়ি চলে এসেছি।

আদৃত আর কিছু না বলে নেমে যায় বাইক থেকে।আঁখি চলে যাচ্ছে এমতাবস্তায় পিছু ডাক দেয় আদৃত।

আঁখি…

আদৃতের ডাকে চলে যেতে নিলেও পিছু মুড়ে দেখে আঁখি,স্বাভাবিক ভাবেই বলে।

কিছু বলবেন ডা.আদৃত?

আদৃত যে আঁখিকে বলতে চায় অনেক কিছুই তবে চাইলেও যেন এই মুহুর্তে মুখে কোনো প্রত্যাশিত বাক্য ফুটিয়ে তুলতে পেরে উঠল না,হালকা স্বরে শুধু বলল।

গুড নাইট।

গুড নাইট,বলেই আঁখি বাইক ছেড়ে চলে আসলো।পুরনো কিছু স্মৃতি যে খুব বাজেভাবে আঁখিকেও আঁকড়ে ধরেছিল তখন, হয়ত তা আদৃতের কাছে প্রকাশ্যে না বেড়োয় সেই ভয়েই তাড়াহুড়োয় চলে আসলো।
____

আদ্রিশ উঠে শুভ্রতার কাছে আসতে নিলে রিদিকা তাকে আটকে নিল।

″প্লিজ তুমি যেও না,আমি চাই না আমার কারণে ঘরে অশান্তি আসুক।″

″কিন্তু রিদিকা ভাবি এমন কিছু তোমার সাথে কিভাবে করতে পারে!আমার তো গা জ্বলছে।″

″থাকুক না,আঁখির চলে যাওয়া তো কেউ মেনে নিতে পারছে না,সবাই তো আমাকেই দোষী ভাবে,আর তুমিও হয়ত তাই ভাবো,কিন্তু আমি চাই না কারো মনে কষ্ট দিতে,সবাই ভালো থাকুক এটাই চাই,তুমি প্লিজ আমার জন্য হলেও এ বিষয়ে ভাবির সাথে কোনো কথা বলো না।প্লিজ। প্লিজ আমার এই কথাটা রাখো।″

″ওকে ওকে বলব না এখন তুমি প্লিজ কেঁদো না।তুমি এতো ভালো দেখেই তো সবাই তোমার উপর চড়ে বসে।আসলে তোমার এই সরলতা,এই শান্ত স্বভাবই আমায় তোমার প্রতি আ*স*ক্ত করে বার বার।আর আঁখি চলে যাওয়া নিয়ে আর কেউ হলেও আমি কখনও তোমায় দোষী মনে করি না,ওর সমস্যা আমার সাথে,তাই তুমি নিজেকে দোষী মনে করবে না কখনও।আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি রিদু পাখি।সবাই তোমাকে অবহেলা করলেও আমি কখনও করব না।″

আঁখির মা একটু আগেই আঁখির কথা বলে কান্না করতে করতে শুয়ে পরেছেন।প্রায়ই উনি এমনটা করেন,মেয়ের শোকে কাতর হয়ে পরা উনার নিত্যদিনের কাজ,উপর থেকে মেয়ের এমন দূরাবস্থা সম্পর্কে জানার পর কোন মায়েরই বুকে শান্তি থাকে।

আজ মেয়ের কথা মন থেকেই সরছে না ডা.আশরাফ খানের,কলিজার টুকরোকে তিন বছর পর দেখতে পেয়ে এবার মন আর শান্ত করে রাখতে পারছেন না সেই বাবা।বার বার তাকে দেখতে মন চাইছে।কিন্তু দম্যের উপর অনুভুতিকে জায়গা দিতে পারছেন না উনি।অবশেষে মস্তিষ্কে খেলিয়ে গেল যুক্তিযুক্ত ভাবনা।পার্সোনাল সম্পর্ক আঁখির সাথে রাখা না গেলেও প্রফেশনাল তো রাখতেই পারবেন ডা.আশরাফ খান।যাতে মেয়েকে নিয়ে উনার সেই লুকিয়ে রাখা অনুভুতি বেড়িয়ে আসার কোনো সুযোগ থাকবে না।
অবশেষে আঁখিকেও নিজের হাসপাতালে জয়েন হওয়ার প্রস্তাব দিবেন ঠিক করে নিলেন ডা.আশরাফ খান।

রিদিকার হাতে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো আদ্রিশ।রিদিকা বলল।

তুমি ঘুমোয় আমি না হয় আসি।আমাকে তো আর পাশে চাই না তোমার।

রিদিকা চলে যাবে তার আগেই তাকে টান দিয়ে নিজের বুকের উপর ফেলে দিলো আদ্রিশ।

″একা কেনো যাবে?তোমাকে তোমার রুম অব্দি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার প্রেমিক পুরুষ আছে না।বিয়ের পর বউ থেকে বেশি দূরে থাকা ঠিক হয় না,তাই না।″

রসিকতার স্বরে কথাটা বলে পাজকোলে নিয়ে নিল আদ্রিশ রিদিকাকে,তারপর তাকে তার কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।

রিদিকাতে মত্ত হয়ে আঁখির দেওয়া দুঃশ্চিতা থেকে অল্প দূরে থাকার ছোট্ট প্রচেষ্ঠা করতে লাগল আদ্রিশ।পারি দিল সুখময় ক্ষণে।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here