প্রেমময়নেশা 💙পর্ব ৭+৮

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-৭
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
অয়নঃ আমি অনেক খারাপ তাইনা রিমিপরী সাইকো আমি।আমার সাথে তোমার থাকতে ইচ্ছা করেনা ঠিক আছে চলে যাও তুমি পায়েলের মতো আমি আর বাঁধা দিবো নাহ!!আমি কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসি
আমি খানিক্টা নিচু হয়ে অয়নের কথা শুনার চেস্টা করছি জ্বরের ঘুরে কি যেন বিড়বিড় করে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা কিন্তু শেষের কথাটা কানে বড্ড বাজছে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি!! বলা হয় মানুষ নাকি জ্বরের ঘরে সত্যি কথা বলে!! কীভাবে জ্বরের মধ্যেও আমাকে নিয়ে বিড়বিড় করছে অজান্তেই মুচকি হেঁসে দিলাম!!
কিন্তু জ্বরটাও অনেক বেড়েছে এদিকে ভালোমা ও ঘুমিয়ে পড়েছে এখন ভালোমা কে ডাকা ঠিক হবেনা অনেক্ষন তো জেগে ছিলো!! তাই ভাবলাম আমিই জলপট্টি দিয়ে দেই। যতই হোক উনি মানুষ এই অবস্হায় চলে যাওয়া ঠিক হবেনা। যেই ভাবা সেই কাজ কিচেনে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে নিলাম সেই গুলো বাটিতে দিয়ে নিয়ে আসলাম বরফটা জ্বরের জন্য বেশ ভালো এতে তাড়াতাড়ি তাপমাত্রা খানিকটা স্বাভাবিক হবে!! সাদা কাপরের টুকরো দিয়ে উনার কপালে জলপট্টি দিতে শুরু করলাম.। খেয়াল করলাম উনি জ্বরের মধ্যে কেমন একটা কাঁপছে এম্নিতেই জানুয়ারি মাস বাইরে কিছুটা শীত পড়েছে আমি কম্বল টা উনার গাঁয়ে ভালো করে জড়িয়ে দিলাম। তাতেও যেন উনার কাঁপুনি কমছে না এখন কী করবো? এদিকে উনি কাঁপছেন জ্বরের মধ্যে আর কিছু না ভেবে উনাকে আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম উনি আমাকে জ্বরের মধ্যে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছেন মনে হচ্ছে আমাকে একটু ছেড়ে দিলেই আমি পালিয়ে যাবো।আমার হার্টব্রিট অনেক দ্রুত বিট করছে উনার এতো কাছে আসাতেই কি আমার হার্টব্রিট ফাস্ট হচ্ছে? কি জানি উনার বুকে মাথা রেখে আমি যেনো উনারোও বুকের হার্টব্রিট বুঝতে পারছি যেনো উনার সব হার্টব্রিট বলে দিচ্ছে এইখানে শুধু রিমিপরীর বাস!! আমার কি হলো কে জানে? আমি আবেশে চোখজোড়া বন্ধ করে নিলাম হার্টব্রিট গুলো অনুভব করতে লাগলাম।।

হঠাৎ মিসেস কলি ঘুম থেকে উঠে পড়েন রিমি ও অয়নকে এই অবস্হায় দেখে তার চোখ কপালে পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে আছে তারপর কলি খেয়াল করে টেবিল জলপট্টির বাটি রাখা কলির আর বুঝতে বাকি রইলো না কাজটা কার।
কলি ঃ তাহলে শুধু আমার ছেলেটাই না আমার রিমিটাও পাগলটাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে
আমার আর এখানে থাকার দরকার নেই!!( মনে মনে)
কলি মুঁচকি হেঁসে নিশব্দে বেড়িয়ে আসে
।।
।।
।।🌸
এদিকে,,
ফারহান আজ অনেক টায়ার্ড আজ তার সিলেট যাওয়া হলোই না কোনো একটা কারনে।। সে নিজের ফ্লাট এর চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখে তার বাবা এখনো উপন্যাস পড়ছেন!!

ফারহানঃ বাবা এতো রাত হলো এখনো তুমি ঘুমাওনি?

বাবাঃ নাহ রে আসলে ঘুম আসছিলো না

ফারহানঃ মা কোথায়?

বাবাঃ তোর মা ঘুমিয়ে পড়েছে আসলে জানতো না তুই আজ আসবি তাহলে একটু অপেক্ষা করতো

ফারহানঃ ভালোই হয়েছে এম্নিতেও মায়ের প্রেশার আছে রাত জাগা মায়ের জন্য ঠিক না!!

বাবাঃ হুম!!

ফারহানঃ এখন তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো!!

বাবাঃ আরেক্টু পরে নেই!!

ফারহানঃ নাহ নাহ আর না এখন ঘুমাতে যাও

অগত্যা ফারহানের বাবার ঘুমাতে যেতে হলো!!

ফারহান ফ্রেশ হয়ে নিজের জন্য হাল্কা সেনেকক্স বানাতে লাগলো এতো রাতে ভারি খাবার খাওয়া ফারহান খেতে পছন্দ করেনা।

এদিকে,,
রিমির বাবা আনমনে খাচ্ছে
সবার মন আজকাল খারাপই থাকে!!

রিমির বাবাঃ এইভাবে আর কতদিন

সুমাইয়া ঃ বাবা আমরা তো পুলিশকে ইনফোর্ম করেছি কিন্তু লাভই হচ্ছেনা

রিমির বাবাঃ হবে কীভাবে আমাদের মেয়েই তো স্বীকার করেনা ওকে আটকানো হয়েছে বরং সে নাকি নিজের ইচ্ছায় সেখানে আছে এইটা বলছে

রিমির মাঃ আমার মনে হয় মনে হয় কি আমি সিউর অই ছেলেটাই কোনো একটা ভয় দেখিয়েছি

সুমাইয়া ঃ সেইটা তো আমরাও বুঝতে পারছি


।।
আমার কেন জানি উনার বুকে মাথা রেখে বেশ শান্তি লাগছে কেন লাগছে জানিনা কিন্তু অনেক লাগছে কীভাবে যেনো ঘুমিয়ে পড়ালাম,,

সকালে,
ভোরের আলো ঘরে প্রবেশ করতেই ঘুম ভেজ্ঞে যায় অয়নের!! বুকে ভারি কিছু অনুভব করতেই বিস্ময় নিয়ে তাঁকায় অয়ন।নিজের হাতে নিজেই চিপ্টি কাটে সে যা দেখছে সে সত্যি দেখছে তো??
তার রিমিপরী তাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে ভাবতেই শরীরে এক আলাদা শিহরন বয়ে যায় অয়নের!কিন্তু ঘুমন্ত রিমিকে দেখে তার চোখ অটোমেটিক আটকে যায় কি মায়াবী সেই চেহারা। এই চেহারাকে দেখেই সে হাজার হাজার বছর পার করে নিতে পারবে!!
তখনি মিসেস কলি আসে

কলিঃ ঘুম ভাজ্ঞলে তোর?

অয়নঃ মা আস্তে রিমিপরী ঘুমাচ্ছে

কলিঃ আচ্ছা(মুঁচকি হেঁসে)
এখন শরীর কেমন লাগছে

অয়নঃ মেডিসিন তো উনি(রিমিকে উদ্দেশ্য করে) দিয়েই রেখেছেন
এখন কীভাবে অসুস্হ থাকতে পারি?কিন্তু মা রিমিপরী এখানে কিভাবে?

কলিঃ আরে শুন আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন তো রিমিই তোকে জলপট্টি দিচ্ছিলো।আচ্চা তুই থাক আমি একটু আসছি
এই বলে মিসেস কলি চলে যায়

অয়ন অবাক হয়ে রিমির দিকে তাঁকিয়ে আছে এইভাবে সে রিমিকে এতো অত্যাচার করলো আর সেই রিমিই তাকে জলপট্টি দিচ্ছিলো তার মানে কি রিমিও তাকে এর উত্তর জানে না অয়ন

অনেক কথা কানে আসায় ঘুম ভেজ্ঞে যায় আমার চোখের সামনে অয়নকে দেখে ধরফরিয়ে উঠে পড়ি আমি।

রিমিঃ আপনি? এখানে কেন?

অয়নঃ আমি না আপনিই আমার রুমে আমার বিছানায় আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন(বাঁকা হেঁসে)

তখনি আমার রাতের কথা মনে পড়ে যায় ইসস কালকে রাতে অইভাবেই আমি ঘুমিয়ে ছিলাম!!

রিমিঃ আসলে হয়েছে কি( আমতা আমতা করে)

অয়নঃ কি হলো হট ছেলেকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারোনি বুঝি রিমিপরী(বাঁকা হেঁসে)


।#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-৮
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
অয়নঃকি হলো হট ছেলেকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারোনি বুঝি রিমিপরী। আমার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে এডভান্টেজ নিয়েই নিলে (বাঁকা হেঁসে)আমি বুঝেছি আমার মতো চকলেট বয়কে দেখে কি আর কন্ট্রোল করা যায়?
আমি জাস্ট হা হয়ে লোকটার কথা শুনছি কি বলছে কি লোকটা? উনার জন্য আমি উনাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম যাতে উনার কাপুনি একটু কমে আর ব্যাটা উল্টো আমাকেই কথা শুনিয়ে দিচ্ছে!???

রিমিঃ ছিহ ছিহ নাউজুবিল্লাহ!!
এইসব কিছুরই ইন্টেনশন আমার ছিলো নাহ আমি তো জাস্ট একটু

অয়নঃ তুমি জাস্ট একটু আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে তারপর আমার বুকেই ঘুমিয়ে গেলে!!

রিমিঃ নাহ মানে আসলে!!

অয়নঃ কিহ আসলে নকলে করছো রিমিপরী? সবকিছু আমার কাছে পরিষ্কার বুঝেছো ডার্লিং এখন যখন আমার কাছেই এসেই পড়েছো তোমাকে ছাড়ছিনা(মুচকি হেঁসে)

উনার কথা শুনে ভয়ে আমি ঢুক গিললাম কি বলছে কি? সাইকো টা কি করবে আবার

রিমিঃ মানে?

অয়নঃ সেইটা আমি করেই দেখাই

এই বলে অয়ন নিজের মুখটা রিমির কাছে আনে

এদিকে আমার ভয়ে নাজেহাল অবস্হা!!আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি

অয়ন রিমিকে কিস করতে যাবে
তার আগেই দরজায় নক পড়ে,,

এতে অয়ন অনেক বিরক্ত ফিল করে৷ তার রোমান্টিক মুড টাই নস্ট হয়ে গেলো

এদিকে আমার তো খুশিতে লুজ্ঞি ড্যান্স দিতে মন চাচ্ছে
অন্তত এই লুচু সাইকোর থেকে তো বাঁচলাম

অয়নঃ কে এসেছে?(রাগান্বিত কন্ঠে)

তখনি অইপাশ থেকে কেউ বলে উঠে–

স্যার আমি সার্ভেন্ট আপনার ব্লাক কফি নিয়ে এসেছি!!

অয়ন কিছু বলবে তার আগেই আমি বলে উঠি -(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

হ্যা হ্যা নিয়ে আসুন প্লিয

অয়নঃ ওহ আচ্ছা আমিও দেখবো মিস রিমিপরী আপনি কতদিন আমার থেকে দূরে থাকতেন আপনি নিজেই আমার কাছে ধরা দিবেন(মনে মনে)

সার্ভেন্ট ঢুকার সাথেই সাথেই আমি বের হয়ে আসি এম্নিতেও অনেক লজ্জা পেয়েছি বাবা!!




।🌸
সানা কম্পিউটার এ মনোযোগ দিয়ে একটা আর্টিকেল পড়ছে তখনি তার মা রুশনি এসে বলা শুরু করে!!

ঢং দেখে আর বাঁচি না বাবু!!

সানাঃ আবার কি হয়েছে মা?

রুশনিঃ কি হয়েছে???
তুই জানিস না বাড়িতে যা নিত্যদিনের কান্ড হচ্ছে আমার আর ভালো লাগেনা বাপু

সানাঃ উফফ মা তুমিও না সবসময় এমন করো!!

রুশনিঃ হুম সবসময় আমি কেন এমন করি তুই বুঝিস না কিছু?

সানাঃ মানে

রুশনিঃ আমি তোর জন্যই

পুরোটা বলতে পারলো না রুশনি
তখনি রুশান আসে

রুশনি!!

রুশনিঃ হুম বলো

রুশানঃ তোমার সাথে ইম্পোর্টেন্ট কথা আছে

রুশনিঃ ওকে

এই বলে রুশনি রুশান এর সাথে চলে যায়,,

সানাঃ উফফ এদের নিয়েও পারিনা!!

।।।🌸🌸
সুমাইয়া অনেক্ষন ধরে বাস এর জন্য অপেক্ষা করছে বাট পাচ্ছেনা এতে সে প্রচন্ড বিরক্ত।

সুমাইয়া ঃ উফফফ আজকে আমি নিশ্চিত ক্লাস মিস করবো

তখনি একটা গাড়ি এসে থামে সুমাইয়ার সামনে!!

সুমাইয়া ভ্রু কুচয়ে তাঁকায়

গাড়ি থেক নেমে আসে এক সুদর্শন ছেলে তাকে দেখে সুমাইয়া ভয়ে ঢুক গিলল

সুমাইয়া ঃ আপনি( খানিক্টা তোতলিয়ে)

ফারহানঃ বাহ আমার লাক টা সত্যি অনেক ভালো নাহলে আপনার সাথে দেখা হয়।
আপনি তো অমাবস্যা চাঁদের মতো

সুমাইয়া ঃ দেখুন আপনার সাথে কথা বলার টাইম আমার নেই!! এইটা রাস্তা মানুষ দেখলে খারাপ বলবে

ফারহানঃ আমি অন্তত মানুষের ধার ধারিনা
মানুষ তো অনেক কিছুই বলে সেসব নিয়ে মাথা ঘামালে তো আর হবেনা!!

সুমাইয়া ঃ আপনার অই সো ক্লড লেকচার আপনার কাছে রাখুন আমার অনেক কাজ আছে


ফারহানঃ বাট আমার যে অনেক কথা আছে

সুমাইয়া ঃ আমার কোনো কথা নেই!!

ফারহানঃ দেখো চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসো নাহলে(গম্ভির কন্ঠে)

সুমাইয়াঃ নাহলে কি?

ফারহানঃ আমি কত বড় সিনক্রিয়েট করতে পারি বুঝবে
🌸🌸
আমি আজ ভেবেছি ভালোমা এর জন্য এক কাপ চা বানাবো যা ভাবা তাই!! ভালোমা এখন একটু ঘুমিয়েছি এই সুযোগ নাহলে ভালোমা আমাকে কাজ করতেই দেয়না

আমি এক কাঁপ চা বানাতে শুরু করলাম

আজ অয়ন বাসায় কেননা তার মা তাকে যেতে দেইনি

অয়ন বসে বসে ল্যাপটপ এ কাজ করছে!!

অয়নঃ আচ্ছা আমার রিমিপরী টা কোথায়?
ওকে না দেখে তো আর থাকতে পারছিনা

এই বলে অয়ন বেড়িয়ে দেখে
রিমি কিচেনে কিছু করছে,,

অয়নঃ কি করছে?ও

অয়ন কিচেনে যেতে লাগলো কিচেনের দিকে,,

এদিকে আমি চা টা নিয়ে বাইরে গেলাম কিন্তু কিছুতে পা বেজে আমি পড়তে যাবো তার আগেই কেউ আমাকে ধরে ফেলে আমি সরাসরি তাকে নিয়েই নিচে পড়ে যাই

অয়ন কিচেনের দিকে যাচ্ছিলো
রিমিকে এইভাবে পড়ে যেতে দেখে সে ধরতে যায় কিন্তু ঠাসস করে রিমিকে নিয়ে পড়ে যায়

আমি অয়নের উপর পড়ে আছি

কিন্তু অয়নের সেদিকে কোনো হুসস নেই তিনি তো আমাতে দেখাতে ব্যাস্ত আমিও যেনো তার চোখে হারিয়ে যাচ্ছি

(হুম তোমরা নিচে গড়াগড়ি খেলো🥱🥱ঢং দেখলে বাঁচিনা
আপ্নারা তো আবার জানেন মিজ্ঞেল দের দেখলে আমার সহ্য হয়না—লেখিকা)


।।।।।।
।,🌸

রুশনিঃ কি হচ্ছে কি এইভাবে নিয়ে এসেছো কেন??

রুশানঃ ও আসছে রুশনি

রুশনিঃ মানে কি বলছো এসব?

রুশানঃ হুম

রুশনিঃ এখন কী হবে?




।।
।#প্রথম_অধ্যায়
বাকিটা আগামী পর্বে 🌸
চলবে৷ কি?
( গল্প নতুন টুয়িস্ট আসছে)
#

#প্রথম_অধ্যায়
।বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে কি?
(আজ আমার মামাতো ভাইয়ের জন্মদিন তাই অনেক বিজি ছিলাম তাই একটু দেরি হয়েছে
আর অনেকে আমাকে বলেছে স্কুল বন্ধ ক্লাস কীভাবে করে আরে ভাই অনলাইন ক্লাস করি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here