#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-৫
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
বেতের আঘাতে আমার শরীর একেবারে নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে আমার। কিন্তু তাও আমার সামনে থাকা ব্যাক্তিটির কোনো মায়া হচ্ছে বলে মনে হয়না কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম–
প্লিয ছেড়ে দিন আমি আর এই ভুল করবো নাহ!!
অয়নঃ কেন? রিমিপরী তোমার তো খুব সাহস! এইটুকুতেই নাজেহাল অবস্হা?? হাহ(হিংস্র কন্ঠে)
রিমিঃ বললাম তো আমি আর করবো নাহ ছেড়ে দিন প্লিয( করুন কন্ঠে)
অয়নঃ তা তো হয়না রিমিপরী দোষ যখন করেছো শাস্তি পেতেই হবে
নীচ থেকে এই তামাশ দেখে যাচ্ছে রুশনি !! মিসেস কলি বাইরে একটু কাজের জন্য গিয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না
রুশনিঃ একদম ঠিক হয়েছে!!
শয়তান মেয়েটার সাথে
রুশানঃ দেখো নাহ রুশনি মেয়েটাকে কীভাবে মারছে আমাদের আটকানোর উচিৎ
রুশনিঃ এই একদম চুপ করো তুমি!! ও নিজের কর্মের ফল পাচ্ছে!! এখন আমরা গেলে উল্টো আমাদের উপর রাগ দেখাবে অয়ন সো চুপচাপ থাকো
সানা উপরে যাবে তার আগেই রুশনি খপ করে সানার হাত ধরে ফেলে
সানাঃ মা কি করছো আমাকে যেতে দাও প্লিয!! অয়ন ভাইয়া কীভাবে জুনিয়ার ভাবিকে মারছে আমাদের আটকানোর উচিৎ
রুশনিঃ এই একদম নাহ হুহ৷ কি দরদ!! অই মেয়েটাকে কে বলেছিলো পালাতে এখন মজা বুঝোক ওদের ব্যাপারে আমাদের ঢুকার দরকার নেই!!
সানাঃ প্লিয মা এইভাবে বলোনা জুনিয়ার ভাবির কস্ট হচ্ছে
ও তো ছোট অনেক!!
রুশনিঃ হুহ ছোট??
ছোট না ছাই অই মেয়েটা ডের সিয়ানা বুঝেছিস নাহলে কীভাবে অয়ন কে পটিয়ে ফেলল এখন আবার পালাতেও চায়!!
মরণ!!
সানাঃ এইভাবে বলো দেখোনা জুনিয়ার ভাবি কত কান্নাও করছে
রুশনিঃ দেখ একটু বেতের বাড়ি খেলে কেউ মরে যায়না
রুশনি সানার হাত ধরে নিয়ে যাবে তার আগেই মিসেস কলি চলে আসেন
কলিঃ এইখানে কি হচ্ছে
মিসেস কলিকে দেখে সানা তাড়াতাড়ি করে তার কাছে ছুটে যায়
সানাঃ দেখো না খালামনি অয়ন ভাইয়া জুনিয়ার ভাবিকে মারছে
মিসেস কলিঃ কি বল্লি?
রুশনিঃ নাহ আসলে অইটা নাহ অই মেয়ের ই সব দোষ ওই শুধু শুধু পালাতে গিয়েছিলো তাই অয়ন বাবার মাথাটা একটু গরম হয়ে গিয়েছে
মিসেস কলি আর কিছু না বলে হন্তদন্তু হয়ে উপরের দিকে ছুটলো
এদিকে আমার অবস্হা খারাপ
অয়নঃ তোমাকে আমি অনেকবার বলেছিলাম জান!!
আমার কথার খেলাফ করোনা এর ফল ভালো হবেনা কিন্তু তুমি তো আমার কথা শুনার মেয়েই নও!!
তখনি দরজা ঠেলে প্রবেশ করলেন মিসেস কলি
রিমিকে এই অবস্হায় দেখে তার মাথা গরম হয়ে গেছে সে তাড়াতাড়ি করে অয়নকে সরিয়ে রিমিকে বুকে টেনে নেয়
অয়নঃ মা তুমি!!
মিসেস কলি আর কিছু না বলে ঠাসসস করে অয়নের গালে চর বসিয়ে দেয়
অয়নঃ মা হ!
কলিঃ খবরদার আমাকে মা বলে ডাকবেনা তুমি!!তুমি আর মানুষ নেই অয়ন তুমি পশু হয়ে গিয়েছো নাহলে এইটুকু একটা মেয়েকে এইভাবে কেউ মারে
এদিকে ব্যাথায় আমি কিছুই বলতে পারছিনা
অয়নঃ ও আমার থেকে দূরে সরতে গিয়েছিলো মা ওর সাহস কী করে হয় এই অয়ন চৌধুরীর জীবন থেকে দূরে সরে যাওয়ার??
(চিল্লিয়ে)
কলিঃ তাই বলে এইভাবে এইটুকু মেয়েকে মারবে? ছিহ আমি তোমাকে এই শিক্ষা দিয়েছি?
আমি তোমাকে শেখাইনি কীভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়?
অয়ন কিছু বলবে তার আগেই কলি বলে উঠে–
আসলে তুমি কোনোদিন রিমিকে ভালোই বাসোনি তুমি শুধু নিজের জেদ টাকে বজায় রেকেছো পায়েলকে দেখাতে চাও যে তুমিও হেপ্পি আছো তোমাদের দুজনের মাঝখানে থেকে কেন এই নিরহ মেয়েটা সাফার করবে
অয়নের চোখ টলমল করে উঠে
কি বলছে তার মা?সে শুধু পায়েল এর জন্য রিমিকে ব্যাবহার করছে
অয়ন আর কিছু না বলে বেড়িয়ে চলে যায়।।এদিকে,
আমি সব আবছা আবছা শুনতে পারছি যতটুকু শুনলাম ভালোমা কারো একটা নাম বললো কে সে??
।
মিসেস কলিঃ আমাকে তুই ক্ষমা কর মাহ
রিমিঃ প্লিয ভালোমা এইভাবে বলোনা আমার যে ভালো লাগেনা
এদিকে নিজের প্রাইভেট বারে একের পর এক ওয়াইনের বোতল খেয়ে যাচ্ছে অয়ন
আগে অয়ন ড্রিংক ছুয়েও দেখতো না কিন্তু আমরা এমন কিছু পরিস্হিতিতে পরে যায়
তখন এমন কিছু কাজ করি যা আমরা কল্পনা করতে পারতাম নাহ। পায়েল চলে যাওয়ার পর ওয়াইন হয়ে উঠেছিলো অয়নের সজ্ঞী!!
অয়ন আজ প্রচন্ড পরিমানে ড্রিংক করে যাচ্ছে
অয়নঃ মা কীভাবে বলতে পারলো আমি আমার রিমিপরীকে ভালোবাসি নাহ?কীভাবে হে??নাহ নাহ আমি ওকে অনেক ভালোবাসি অনেক কিন্তু কেউ তা বুঝেনা ও আচ্ছা আমি অনেক ওকে আজ মেরেছি তাই সবাই বলছে আমি অকে ভালোবাসিনা কিন্তু এইটা তো সত্যি না আমি ওকে অনেক ভালোবাসি অনেক। কিন্তু আমি যখন ওকে মেরেছি আমারোও শাস্তি পাওয়া উচিত এই বলে
অয়ন একটা ধারালো ব্লেড দিয়ে ইচ্ছামতো নিজের হাত কেটে যাচ্ছে এদিকে তার হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে তার খেয়াল নেই!!
আমাকে সুপ খায়িয়ে ওষুধ খায়িয়ে দিলো ভালোমা
ভালোমাঃ এখন কেমন লাগছে আমার বাচ্ছাটার?
রিমিঃ এখন অনেকটায় ভালো লাগছে ভালোমা!!
কলিঃ ব্যাথা করছেনা তো
রিমিঃ একটু করছে আজ রাতে একটু রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবো
কলিঃ ঠিক আছে তুই থাক আমি একটু আসছি
রিমিঃ আচ্ছা
ভালোমা চলে গেলো ভালেমাকে আর জিজ্ঞাসাই করতে পারলাম না ভালোমা কার কথা বলছিলো
অইসময় ঠিকমতো কিছু শুনতেই পেলাম নাহ!!
সুমাইয়া গরম চা এর সাথে বিস্কুট টা মুখে পুড়ে নিলো সাথে সাথেই তার মুখ পুরো লাল হয়ে গেলো
সুমাইয়াঃ ওমাগো আল্লাহতো কি চা টা দিলো এতো গরম চা কেউ দেয় নাকি? এই চাওয়ালা এইসব কি চা
চাওয়ালাঃ দেখুন আপা আপনার কথামতো যথেস্ট ঠান্ডা চা দিয়েছি এর থেকেও বেশি ঠান্ডা হলে অইটা চা না শরবত হবে
সুমাইয়া আর কিছু বললো আস্তে আস্তে ফু দিয়ে চা খাওয়া শুরু করলো কী আর করার?
ছোটবেলা থেকেই সে গরম জিনিস খেতে একদম পছন্দ করেনা একটু মুখে দিলেই মনে হয় পুরো মুখ জ্বলে যাচ্ছে!!
কিন্তু আজ হঠাৎ তার চায়ের৷ কথা মনে পড়ে গেলো
তার বোন কত সযত্নে চা বানাতো সেই চায়ের কোনো তুলনা হয়না!!
।
।
ফারহান গাড়িতে বসে আছে ঘন্টাখানিক হলো!!
ফারহানঃ উফফ আর ভালো লাগেনা এই ঢাকার জেম ও হলো আরেক! আজ মনে হয় আমার আর সিলেট যাওয়া হলো এমনিই সন্ধ্যা হলো বলে
ফারহান একজন সফটোয়ার ইঞ্জিনিয়ার!! সিলেট এ তার প্রায় কিছু প্রযেক্ট এর জন্য যেতে হয়!!
।
।।।
।।।।
সানা বারের সামনে দিয়েই যাচ্ছিলো হঠাৎ তার চোখ সাম্নের দিকে আটকে যায় অয়ন এর হাত থেকে
গড়গর করে রক্ত বইয়ে যাচ্ছে
ফ্লোর ই রক্তের ছড়াছড়ি!! অয়ন খানিক্টা হেলেদুলে বসে আছে
সানা তাড়াতাড়ি করে মিসেস কলিকে ডাকতে থাকে
মিসেস কলিঃ কি হয়েছে কি?
সানা মিসেস কলিকে তাড়াতাড়ি বারে নিয়ে যায়
নিজের ছেলেকে এই অবস্হায় দেখে মিসেস কলি সবকিছু ভুলে তাড়াতাড়ি নিজের ছেলের কাছে চলে যায়
মিসেসঃ অয়ন কি হয়েছে তোর?
অয়ন এইবার পুরোপুরি মিসেস কলির বুকে হেলে পড়ে যায়
মিসেস কলি অয়নের কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বরে পুরো শরীর পুড়ে যাচ্ছে
।
।
।
।
।
।।বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে?
#প্রথম_অধ্যায়
এখন মেইবি বড় হয়েছে😒
(অনেকেই আমাকে নিয়ে অভিযোগ আছে আমি অনেক ছোট পার্ট দেই তাদের বলছি আমি ক্লাস নাইনে উঠলাম ক্লাস নাইনে এই প্রথম আমি সাইন্স পেয়েছি সো যেহুতু আমি সাইন্স এর স্টুডেন্ট তাই আমার পড়ার অনেক চাপ সারাদিজ ক্লাস তারপর কোচিং তারপর আবার প্রাইভেট তারপর আবার৷ নিজেকে পড়তে হয় সবমিলিয়ে অনেক বিজি আছি হাতে যেই সময়টুকু পাই সেইটুকু দিয়ে গল্প লেখি তাই সরি ছোট পার্ট এর জন্য🥺)
(আজ একটু চেস্টা করবো রাতে একটা
বোনাস পার্ট দেওয়ার যদি আপ্নারা চান)