প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr[ Mêhèr ]
Part: 17….
ঠিক তখনি রাজ কেবিনের সামনে আসে। রাজ এতক্ষনে ইশাদের জ্ঞান ফেরার খবর পেয়ে গেছে। কিন্তু রাজ এসে যা দেখল তাতে প্রস্তুত ছিল না। আরিয়া ইশাদের বুকে পরে কাদছে। যদিও এরকম কিছু হবে সেটা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু তবুও রাজ মেনে নিতে পারল না। আরিয়ার সাথে এভাবে কাউকে দেখে ওর মাথায় রক্ত উঠে গেল…..
রাজ কেবিনে ডুকতেই কেউ টান দিয়ে রাজকে কিছু ওইখান থেকে নিয়ে যায়। রাজ কিছু করার আগেই……
সাদ: কি করতে যাচ্ছিলেন??? এরপর যদি আপনি কিছু করলে কি হতে পারে ভাবতে পারছেন???
রাজ: আমার স্ত্রী আরেকজনের বুকে পরে কাদছে এটা আমাকে সহ্য করতে হবে😡😡😡
সাদ: এটা কি স্বাভাবিক নয় স্যার। ইশাদ মেমের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আর আরিয়া মেম যে সময়টা পার করেছেন তাতে এই রকম বিহেভ করাটা কি স্বাভাবিক নয় স্যার। যদি আরিয়া মেম এমনটা না করত তাহলে হয়তো আমার সন্দেহ হত।
রাজ: তাই বলে আমার ওয়াইফ হয়ে….
সাদ: স্যার রাগে জীদে আপনি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছেন। সহজ কথাও বুঝতে পারছেন না না চাইছেন না বুঝতে। ইশাদ কেবল কোমা থেকে উঠেছে। ও পুরো ঠিক না। এখন যদি এটা জানতে পারে আরিয়ার সাথে আপনার বিয়ে হয়েছে ও এতটা স্টেবল নয় যে এই ধাক্কাটা নিতে পারবে। এখন যদি ওর মাইন্ডে প্রেসার পরে কিছু একটা হয়ে যায় তাহলে মেম আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
রাজ:……
সাদ: এটা আপনি আমার চেয়েও খুব ভালো করেই জানেন আরিয়া এতকিছু হওয়ার পর নিজের কিছু করেনি একমাত্র ইশাদের কথা ভেবে। এখন যদি ইশাদের কিছু হয়ে যায় আপনার জন্য আরিয়া মেম নিজের ক্ষতি করতেও দ্বিধা করবে না। এই সামান্য কথাটা এখন আপনাকে আমার বুঝিয়ে বলতে হবে।
সাদের কথা শুনে রাজ থেমে গেল। কারন সাদ ঠিকি বলেছে। নিজের রাগে অন্ধ হয়ে এসব ভাবাই হয়নি…….
সাদ: সাদ প্লিজ ওদের ওদের মত আপাতত ছেড়ে দেন। আগে ইশাদকে সুস্থ হতে দেন বাকিটা পরে ভেবে দেখা যাবে।
রাজ আর কিছু না বলে দুর থেকে ওদের দেখে চলে গেল।
সাদ: যাক এবারের জন্য স্যারকে থামাতে আরলাম। কিন্তু এভাবে কতদিন?? স্যার যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে তাতে বেশিদিন আরিয়ার থেকে দুরে রাখা যাবে না। তাছাড়া জেদ করে ইশাদের কোন ক্ষতি না করে দেয়। ওনাকে তো আমি চিনি যখন কিছুর জেদ চাপে তখন দুনিয়া উলট পালট করে দেবে। মেম যত না ইগো তার চেয়েও স্যারের জেদটা যে অনেক বেশি………
তারপর সাদ কেবিনের বাইরে থেকে আরিয়া আর ইশাদকে দেখতে থাকে……
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এভাবে প্রায় সপ্তাহ কেটে যায়। ইশাদকে আজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে। ইশাদ এখনো কিছুই জানে না। আর রাজ তো এই সপ্তাহ পাগলের মত ছটফট করেছে। পাগল হয়ে গেছে আরিয়ার জন্য। ইশাদের সাথে আরিয়াকে দেখে সহ্য করতে লারেনি। কিন্তু চেয়েও আরিয়ার কাছে যেতে পারেনি। সাদ নানা কথা বলে ওকে আটকেছে।
সাদ: যেকরেই হোক আমাকে ওদের এখান থেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জানিনা এর পরে কি হবে বা হতে পারে……..
কিন্তু তা আর হতে পারে না। ইশাদ রিলিজ হওয়ার পর আরিয়া ইশাদকে নিয়ে ওর ফ্লাটে আসে।
আরিয়া: অনেকদিন পর আজ আসলি। কি খাবি বল?? আমি আজ রান্না করব।
ইশাদ: তাহলে আমার খাওয়া হয়েছে😴😴
আরিয়া: ইশাদ…. 😡😡😡
ইশাদ: ওকে ওকে…. তোর যা ভালো লাগে বানা। আমার কিছু হলেই চলবে।
আরিয়ার ইশাদের বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে রাজ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। ঠিক সেদিন ও আরিয়ার বাড়ি যায়….. সাদ অনেক চেষ্টার পর রাজকে ধরে রাখতে পারে না।
রাজ এক নাগাড়ে কলিং বেল টিপেই যাচ্ছে।
ইশাদ: ধুর বাবা এই লোকদের সমস্যা কি এতবার কলিং বেল দেওয়া লাগে😡😡😡 ওই তুই রান্না কর আমি আসছি…..
উশাদ দরজা খুলতে বড় একটা ধাক্কা খায়। সামনে রাজ দাঁড়িয়ে আছে।
ইশাদ: আপনি এখানে….
রাজ ইশাদের কথার জবাব না দিয়ে ইশাদকে ধাক্কা দিয়ে আরিয়া বলে ডাকতে লাগল।
রাজ: আরিয়া …. আরিয়া…. কোথায় তুমি???
ইশাদ: আপনার সাহস কি করে হয় আমার বাড়িতে এসে এভাবে চেচানোর… 😡😡😡
রাজ: আমি তোমার সাথে কোনো কথা বলতে আসিনি। আমি এখানে আরিয়াকে নিয়ে যেতে এসেছি….. [ রেগে গিয়ে ]
ইশাদ: আরিয়াকে নিয়ে যেতে এসেছেন মানে…… [ বেশ অবাক হয়ে ] আপনি আরিয়াকে নিয়ে যাবেন মানে।
তখনি আরিয়া বেড়িয়ে আসে…… আর রাজ গিয়েই আরিয়ার হাত ধরে।
রাজ: চলো আমার সাথে। [ আরিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। ]
ইশাদ কিছুই বুঝতে পারছে না। কি হচ্ছে??? সবটা ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
আরিয়া: আমি যাব না….. [ নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে ]
রাজ: তোমাকেতো আজ এখান থেকে আমি নিয়েই যাব। অনেক ছাড় দিয়েছি। আর না। [ বলে আরিয়াকে নিয়ে বাইরে আসতে ধরে…. ঠিক তখনি ইশাদ ওর সামনে দাঁড়ায়।
ইশাদ: ওর হাতটা ছাড়ুন 😡😡😡 নাহলে আমি এবার সত্যি ভুলে যাব আপনি কে???
রাজ: আরিয়াকে আমি এখান থেকে নিয়ে যাব।
ইশাদ: আপনার কিভাবে ওকে নিয়ে যেতে পারেন আর ওই বা আপনার সাথে যাবে কেন😡😡😡
তখনি সাদ আসে..….. কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে।
রাজ: আমি তোমার ফ্রেন্ড আরিয়াকে নয় বরং নিজের বিয়ে করা বউকে নিয়ে যেতে এসেছে………
ইশাদ: বিয়ে করা বউ মানে…… [ বেশ অবাক হয়ে ] আরিয়া আপনার বউ কিভাবে…..
রাজ: সেদিন তুমি না আসার কারনে আরিয়ার সাথে আমার বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল। আমি আরিয়ার বাবার কথায় ওকে বিয়ে করি। আর তাই আরিয়াকে এখান থেকে নিয়ে যাবার সম্পুর্ন অধিকার আমার রয়েছে……..
ইশাদ যেন নির্বাক হয়ে গেঁছে। ইশাদ আরিয়ার দিকে তাকায় আরিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে কাদছে। আরিয়ার লুকানো চোখের কান্না দেখে ইশাদের আর বুঝতে বাকি রইল না যে রাজ সত্যি কথা বলছে। ইশাদের পুরো দুনিয়া কাপছে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে। ব্যালেন্স নিতে না পেরে ইশাদ পরে যেতে নিল। আরিয়া ইশাদকে ধরতে গেলে ইশাদ সরে যায়…..
ইশাদ: কেন করলি এটা…..
আরিয়া: ইশাদ আমার কথাটা শোন….[ কাদতে কাদতে ]
ইশাদ: তুই না চাইলে কেউ তোকে জোর করতে পারে না আরিয়া। তাহলে…..
আরিয়া: আমি ইচ্ছে করে….. [ কথা শেষ করতে না দিয়েই ]
রাজ: এখন যেহেতু সত্যিটা জেনে গেছ তাহলে শোন তুমি নিতে পারবে না। তাই আমি আরিয়াকে হাসপাতালে এলাও করেছি। কিন্তু এখন আর তার দরকার নেই। আর তাছাড়া কোন হাজবেন্ড চাইবে নিজের ওয়াইফকে আরেকজনের ঘরে রাখতে সে যেই হোক।
ইশাদ চেয়েও কিছু বলতে পারছে না। বার বার গলাটা আটকে যাচ্ছে ওর।
রাজ: তাহলে আজ আসি…..
আরিয়া: ইশাদ তুই যেমনটা ভাবছিস তেমনটা না তুই……
রাজ: চলো আরিয়া….. [ হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে ইশাদ গিয়ে ওর হাতটা ধরে ]
ইশাদ: সে যাই হোক। আরিয়া নিজে না চাইলে ও কোথাও যাবে না। আরিয়া বল তুই কি বলতে চাস। [ আরিয়ার গাল ধরে। আরিয়া শুধু কাদছে। ] আমি জানি আমার আরিয়া কখনো আমার সাথে এমনটা করতে পারে না। তুই ওই লোকটাকে কেন বিয়ে করেছিস….??? ওই লোকটা তোকে ভয় দেখিয়েছে…. তোর উপর জোর করেছে বল আমাকে…. তুই যা বলবি মেনে নিব আমি…. খালি একবার বল। এই লোকটা তোকে নিয়ে যাওয়া তো দুরে থাক তোকে টাচ ও করতে পারবে না। কথা দিচ্ছি আমি…..
,
আরিয়া: আমি ইচ্ছে করে…. [ রাজের দিকে চোখ যেতেই। রাজ মাথা নাড়িয়ে না বলার জন্য বলে। আরিয়া করুন চোখে তাকিয়ে চোখের জল ফেলতে থাকে। ]
রাজ: প্রথমে ভুল করে করেছিলাম। কিন্তু এবার নিজের ইচ্ছায় করব। এবার আর কোনো স্কোপ রাখব না। এখন যদি আমি কিছু করি তার দায় তোমার হবে আমি জানিনা।
ইশাদ: কি বলতে চাচ্ছেন??? 😡😡😡
রাজ: এটাই যে আরিয়া আমার স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমি তোমার কথা ভেবে ওকে তোমার সাথে এলাও করেছি এবার আর করব না।
ইশাদ: আরিয়া তুই বলে দে যাবি না। [ আরিয়াকে ঝাকিয়ে ]
আরিয়ার বুকে পাথর জমে গেছে। একবার ইশাদকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে দেখেছে। ও যদি এখন থাকতে চায় তাহলে জবন দিয়ে আগলে রাখবে ইশাদ। কিন্তু রাজ … রাজ তো ইশাদকে ছাড়বে না। পারবে না আরিয়া ইশাদের কিছু হতে দেখতে। রাজের কথা মেনে নেওয়া ছাড়া এখন আর কোনো উপায় দেখতে পেল না।
আরিয়া: আমি যাব রাজের সাথে….. [ ইশাদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়া ]
ইশাদ: আরিয়া…… [ ইশাদের দুচোখে পানির বিন্দু গড়িয়ে পরছে ]
আরিয়া: হুমম। কারন বিয়ে আমার ওনার সাথে হয়েছে তাই……
ইশাদ: তুই বিয়েটা মেনে নিলি…. [ অবাক অশ্রুসিক্ত চোখে ]
আরিয়া: না মানার কি আছে….???
ইশাদ আরিয়াকে ছেড়ে দাঁড়ায়। কেপে কেপে পিছনে যেতে পরে যেতে ধরে। আরিয়া ইশাদকে ধরতে গেলে ইশাদ ওকে সরিয়ে দেয়।
ইশাদ: চলে যা তুই।
আরিয়া: ইশাদ…… [ আটকে আসা গলায় ]
ইশাদ ওর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এটা দেখে রাজ আরিয়াকে একরকম টেনে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় আরিয়া ইশাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ইশাদ একবারো ফেরেনি।
আরিয়া: আমার মুখের কথাই শুনলি মনের কথা বুঝলি না ইশাদ…… [ পাথর হয়ে গেছে ও ]
সাদ এতক্ষন দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটা দেখেছিল। কিন্তু কিছু করার ছিলনা ওর।
ইশাদ: আমি জানিনা কেন তুই এসব বললি কিন্তু আমি এটা জানি আমার আরিয়া কখনো আমাকে ধোকা দেবে না। তোর যা সমস্যা একবার আমাকে বলে দেখতি যেতে দিতাম না। কিন্তু তুই নিজেই তোর স্বামীর কাছে যেতে চাস আমি কি করব।
সাদ গিয়ে ইশাদের পিঠে হাত রাখে……
সাদ:.কিছু বলার নেই শুধু একটা কথাই বলব মুখের কথাই শেষ কথা না তাতে জানার বোঝার অনেক কিছু থাকে। [ ইশাদ কিছু বলার আগেই সাদ চলে যায়। ]
,
,
,
,
,
,
,
,
,রাজ আরিয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ছুড়ে মারে।
আরিয়া: আর কি চাই আপনার যা চেয়েছিলেন সবকিছুই তো পেয়েছেন। [ কাদতে কাদতে ]
রাজ: যদি তোমাকে কয়েক মুহুর্তের জন্য চাওয়ার হত তাহলে আর এত কাঠখড় পুরিয়ে বিয়ে করতাম না। ভালোবাসি তোমাকে।
আরিয়া: লজ্জা করে না নিজের জিদটাকে ভালোবাসা বলতে। এর মানে জানেন আপনি। আপনি খুব খারাপ জঘন্য একটা লোক।
রাজ: হ্যা হ্যা… আমি খুব বেশি খারাপ একটা লোক। আর এই লোকটার সাথে তোমাকে থাকতে হবে। কোনটা ভালোবাসা কোনটা কি আমি জানিনা। শুধু জানি I want you….. তোমাকে আমার চাই।
আরিয়া: আমি আপনাকে চাই না। আমি ই……
তখনি রাজ গিয়ে আরিয়ার মুখ চেপে ধরল।
রাজ: আরেকবার যদি ওই নামটা মুখে আসে তাহলে কি হবে তুমি ভাবতেও পারবে না। [ আরিয়ার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম তখন রাজ ওকে ছেড়ে দেয় ]
আরিয়া: মেরে ফেলুন আমাকে।নাহলে নিজেকে…..
তখনি রাজ খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারে। ]
রাজ: হুমম নিজেকে তুমি কিছু করার চেষ্টা করলে তোমার পাওনা আমি ইশাদকে বুঝিয়ে দেব। ওকে দেব তোমার পাপ্য। mind it…… আর হ্যা এখন থেকে এখানেই তোমাকে থাকতে হবে। তোমার সো কল্ড হাসবেন্ড এর বাড়ি…. [ বলে দরজা লাগিয়ে চলে গেল। ]
,
,
,
,
,
,,
,
,
ওদিকে ইশাদ যেখানে ছিল সেখানেই এখনো বসে আছে। নিজের চাওয়া পাওয়ার হিসেব মিলাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এতদিন তার দরকার পরেনি। কিন্তু আজ খুব মিলাতে ইচ্ছে করছে ওর….. কারন এতদিন আরিয়া ছিল এখন আর কিছু নেই।
তখনি আঞ্জুম আসে।
আঞ্জুম: ইশাদ ভায়া বনু কই।
ইশাদ: চলে গেছে…..
আঞ্জুম: কোথায় গেছে…..
ইশাদ: রাজের কাছে…..
আঞ্জুম: তুমি যেতে দিলা…..
ইশাদ: আরেকজনের স্ত্রীকে কিভানে আটকে রাখতে পারি।
আঞ্জুম: তুমি ভুল ভাবছ ওই রাজ…… [ তারপর আঞ্জুম ইশাদকে বিয়ের থেকে শুরু করে সব কথা বলে। ]
ইশাদ: তারমানে আমি ঠিক ছিলাম। ওই রাজ আরিয়াকে বাধ্য করেছে……
আঞ্জুম: হ্যা…. প্লিজ তুমি বনুকে নিয়ে আসো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এভাবেই দেখতে দেখতে কেটে যায় ১মাস। এর মধ্যে ইশাদ বার বার ছুটে গিয়েছে আরিয়ার সাথে দেখা করতে কিন্তু রাজ কিছুতেই তা হতে দেয়নি। আরিয়া ইশাদের সাথে দেখা করতে চাইলে রাজ ওর গায়ে হাত তুলতেও দুবার ভাবেনি। রাজের কোনো বোধ শক্তি কাজ করছে না এখন।
আজও ইশাদ আরিয়ার সাথে চেষ্টা করেছে। কিন্তু আজ রাজের গার্ডরা ওকে তাড়িয়ে দেয়নি বরং মেরেছে। কিন্তু আরিয়া আজ কোনোরকম রিয়েক্ট করেনি। কারন ও বুঝে মানুষের মন মাঝে মাঝে পাথকেও হার মানায়।
আরিয়ার শরীর এই একমাসে পুরো কংকালসার হয়ে গেছে। রাগে কষ্টে আরিয়া নিজের খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ জোর করে যতটুকু পেরেছে খাইয়েছে কিন্তু একটা মানুষের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কতদিন বা এভাবে রাখা যায়। আরিয়া এখন আর নিজের শরীরের ভার বহন করতে পারে বা। তাই বিছানায় পরে শুয়ে আছে। আজকে ইশাদকে এভাবে দেখার পর আরো ভেঙে পরেছে। কিন্ত কিছু করার ছিল না আরিয়ার।
প্রায় অনেক রাতে বাড়ি ফেরে রাজ। রুমে গিয়ে দেখে আরিয়া শুয়ে আছে। চাদের আলো আরিয়ার মুখে পরছে। কয়দিনে কি হাল হয়েছে মেয়েটার ভাবতেই বুক কেপে উঠছে। রাজ গিয়ে আরিয়ার পাশে শুয়ে পরল।
হঠাৎ আরিয়া নিজের উপর কারো নিশ্বাস ফিল করতে পারল। ওর আর বুঝতে বাকি রইল না রাজ এসেছে। কিন্তু চোখ মেলে দেখার ইচ্ছে হলো না। ধীরে ধীরে নিজের উপর তীব্র নিশ্বাস ফিল করছে। রাজ আরিয়ার কপালে আলত করে কিস করতেই আরিয়া চোখ মেলে। দুজনের চোখাচোখি হয়। আরিয়া কিছুক্ষন রাজের দিকে তাকিয়ে আবার নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়। এটা দেখে বেশ অবাক হয় রাজ। রাজ আবার শুয়ে পরে তারপর বলে…
রাজ: কিহল প্রতিদিন তো সামনে আসলেও ঘৃনা হয় তোমার আজকে কি হল….. কাছে দেখেও কিছু বললে না।
এবার অনেক কষ্টে আরিয়া উঠে বসে। তারপর বলে……..
আরিয়া: এতদিন আপনার বাড়িতে আছি। আপনি জোর করে কাছে আসার চেষ্টা করেননি। কিন্তু আজ হয়ত আপনার ইচ্ছে করছে। আর আপনি চাইলে তো আমি বাধা দিতে পারব না। কারন আমার এখন না আছে সেই অবস্থা আর না আছে কোনো অধিকার। আর তাছাড়া আপনি আমাকে এনেছেন তো আমাকে এই কারনে তাই না। তাই বাধা দিব কেন??? [ বেশ শান্ত ভাবেই বলল ]
রাজ:…….
আরিয়া: একটা কথা বলব….
রাজ: হুমম…..
আরিয়া: আমাকে মেরে ফেলুন প্লিজ। এভাবে মরে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। আর আমাকে মেরে তারপর না হয় ইশাদকেও মেরে ফেলবেন। কারন তাতেই হয়তো আমাদের দুজনের মুক্তি হবে। কারন আমি বুঝি গেছি হাজার চাইলেও আপনাকে হাজবেন্ড হিসেবে মানতে পারব না। সেই আপনাকে জোর করেই নিজের অধিকার বুঝতে হবে। হয়ত বাধা দিতে পারব না। কিন্তু যতদিন বেচে আছি এভাবে মৃত লাশ হয়ে থাকতে হবে। কারন আমি নিজের বিরুদ্ধে কোনোদিন কিছু করতে পারিনা।
রাজ আর কিছু বলল না। সোজা রুম থেকে বেড়িয়ে গেল। তারপর পাশের রুমে গিয়ে ড্রিংক করতে লাগল। কখন যে সকাল হয়ে গেল বুঝতেই পারল না। রাজ আবার রুমে যায়।
রুমে আরিয়াকে ডাক দেয়৷ কিন্তু আরিয়া কোনো রেসপন্স করল না। রাজ ভাবল হয়তো ও ঘুমোচ্ছে তাই আবার ডাক দিল কিন্তু এবারো রেজাল্ট সেইম। রাজ এবার কিছুটা ঘাবড়ে গেল।
ও দ্রুত আরিয়ার কপালে হাত রাখে। দেখে শীতল হয়ে আসছে৷ রাজ কি করবে বুঝতে না পেরে সাদকে কল দেয়। সাদ এসে আরিয়ার অবস্থা দেখে দ্রুত ডক্টরকে খবর দেয়।
কিছুক্ষন বাদেই ডক্টর আসে। আরিয়াকে দেখে ওনি বেশ রেগে যায়।
ডক্টর: আপনাদের কি কমন সেন্স বলতে কিছু নেই। একটা মানুষ এভাবে দিনের পর দিন না খেয়ে, ডিপ্রেশনে নিজের কি অবস্থা করেছে। আর আপনারা…. 😡😡😡 এভাবে আর কিছুদিন চললে ওনাকে বাচানো দুষ্কর হয়ে যাবে।
রাজ: আরিয়া ঠিক হয়ে যাবে তো।
ডক্টর: ওনাকে মানসিক শান্তি দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন। আমি স্যালাইন দিয়ে যাচ্ছি। আর এই মেডিসিন গুলো আনিয়ে নেবেন…. [ তারপর ডক্টর আরিয়াকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে চলে যায়। যাওয়ার আগে বলে ] আমি ওনার কিছু টেষ্ট করিয়ে আপনাদের ইনফর্ম করব। [ তারপর কিছু সেমপল নিয়ে চলে যায় ]
রাজ: সাদ আরিয়া……
সাদ এবার প্রচন্ড রেগে যায়।
সাদ: পাগল হয়ে গেছেন আপনি। কি অবস্থা করেছেন মেয়েটার। আপনি ওর স্বভাব জানেন ওনি কতটা অবাধ্য তারপরেও। আমি আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি আসলেই ওনার যোগ্য নন। বদ্ধ পাগল উন্মাদ হয়ে গেছেন আপনি। নিজের জেদটা আপনাকে কোথায় নামিয়েছেন বলতে পারলে। ভালোবাসতে হলে আগে তাকে বুঝতে হয়। এভাবে তাকে কষ্ট দিতে পারেন না।
রাজ:…….
সাদ: আপনি চান তো ওনি আপনাকে ভালোবাসে। আমাকে খালি একটা উত্তর দিন তো আপনি এই কয়দিনে এমন কি করেছেন যাতে আপনার জন্য ওনার মনে কিছু ফিলিংস জন্ম নেবে। শুধু রাগ জেদ আর জোর ছাড়া কি দিয়েছেন মেয়েটাকে। একবারের জন্য শান্ত ভাবে কথা বলতে চেয়েছেন চাননি। শুধু নিজের মত ওর উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এটাই আপনার আর ইশাদের পার্থক্য যার কারনে। আর আরিয়া মেম কেন যেকোনো মেয়ে এটাই করবে। মেয়েরা এমন একটা মানুষ চায় যারা তার স্বপ্ন গুলোকে পুরন করতে পারুক বা না পারুক সেই স্বপ্ন গুলো পুরন করার জন্য তার পাশে থাকে…….. আপনি আরিয়াকে কিছুদিন ধরে চিনে ওনাকে ছেড়ে দিতে পারছেন না। তাহলে ওনার ছোট বেলার সম্পর্কটাকে আপনার তিক্ততা দিয়ে কিভাবে মুছবেন।
রাজ:……
সাদ: বাকিটা আপনার উপর……..[ সাদ চলে যায় ]
রাজ গিয়ে আরিয়ার মাথার পাশে বসে। সকালের মিষ্টি রোদে ওর মুখটা দেখতে থাকে। একসময়ের তেজি মুখটা এখন আর নেই। কেমন একটা নিস্তেজ হয়ে আছে। চোখের নিচে কালি পরে আছে। শুকিয়ে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এতকিছুর পর আরিয়ার মধ্যে রাজ দেখছে সেটা হচ্ছে তেজ আর জেদ। নিজেকে শেষ করে দিতে চাচ্ছে। এমনকি সাথে ইশাদকেও কিন্তু রাজের কাছে হার স্বীকার করল না আরিয়া।
কয়েকঘন্টা পর আরিয়ার জ্ঞান ফেরে। ও চোখ খুলে রাজকে নিজের পাশে পায়। রাজ ওর হাত কপালে ঠেকিয়ে বসে আসে। আরিয়া নিজের হাতটা রাজের থেকে ছুটিয়ে নিতে চায়। রাজ তা বুঝতে পারে। আরিয়াকে বসিয়ে দেয় তারপর ওর মুখের সামনে খাবার ধরে.
আরিয়া: খাব না।
রাজ: খেয়ে নেও।
আরিয়া: খাব না। না খেলে জোর করে খাওয়াবেন। ইশাদকে মারার কথা বলবেন। যা ইচ্ছে করতে পারেন……
রাজ: নাহহহহ….. [ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ] কিছুই করব না। তবে খেলে একটা উপহার দিব।
আরিয়া: মানে…..
রাজ: খেয়ে নেও। আজ রাতে তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে আসব।
অবাক হয়ে দেখছে আরিয়া রাজকে….
রাজ: এভাবে দেখার কিছু নাই। এতকিছুর পর যদি তোমাকে ফিরিয়ে না দেই তাহলে নিজেকে মানুষ ভাবতে কষ্ট হবে। তাছাড়া আমি বুঝে গেছি জোর করে মন দখল নেওয়া যায় না।
আরিয়া: সত্যি যেতে দেবেন…. [ জিজ্ঞাসুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে। আরিয়ার চোখটা চিকচিক করছে৷ জীবন ফিরে পেয়েছে ওর নিস্তেজ চোখ। যা রাজের চোখ এড়ালো না। ]
রাজ একটা মুচকি হাসি দিল……
রাজ: হুমম। কেন যদি রেখে দিতে চাই থাকবে……
আরিয়া:……
রাজ: রাতে নিয়ে যাব।আমি ইশাদকে বলে দিব ওখানে থাকতে…… তোমাকে এসে নিয়ে যাবে।
আরিয়ার চোখে পানি আসল। কিন্তু সেটা কান্নার নয়।
রাজ: এবার একটু খেয়ে নেয়। আচ্ছা আমি খাইয়ে দি….. ভেবনা আসলে চলে যাবে তো তাই একটু তোমাকে দেওয়া কষ্ট কম করতে চাইছি।
[ রাজ আরিয়াকে খাইয়ে দিতে চায়। এবার আর আরিয়া না করে না কারন ও এখন এতকিছু ভাবার মুডে নেই। অনেক দিন পর রাজের কথা শুনে ওর বুকের পাথর নেমে গেছে।
তারপর রাজ নিজের কাজে চলে যায়। আরিয়া টুকটাক ভাবে নিজেরকে ফ্রেস করে নেয়। অনেকটা ফ্রেশ লাগছে নিজেকে।
তখনি ল্যান্ড লাইনে একটা ফোন আসে….. আরিয়া গিয়ে ফোনটা ধরে…..
আরিয়া: কে বলছেন???
………….
আরিয়া: হুমম…. কি হয়েছে???
………….
আরিয়া:……. [ চুপ হয়ে গেল ]
…………
আরিয়া: ঠিক আছে কিছু করতে হবে না। আমি বলে দেব।
…………
আরিয়া: কোনো দরকার নেই। আমি সবটা বুঝে নিব। ওকে…..
….……..
আরিয়া: ওকে। [ ফোনটা কেটে দিয়ে বিছানায় বসে পড়ল। ] আসলেই মানুষের জীবন অনেক অদ্ভুত। কখন কি হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। মুহুর্তেই জিবনের দিক পালটে যায়। যাই হোক আমাকে থামলে হবে না। আমি মেনে নিব না কিছু…….. [ বলে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় ]
,
,
,
,,
,
,
,
,
,
রাতে রাজ বাড়ি ফেরে। গিয়ে দেখে আরিয়া তৈরি হয়ে বসে আছে। কিন্তু একটু গম্ভীরভাবে। ওর মুডটা কেমন রাজ ঠিক বুবুঝতে পারে না। আরিয়া চুপচাপ খাটের উপর বসে আছে। যাওয়ার জন্য না আনন্দ দেখতে পাচ্ছে আর না এখন থেকে যাওয়ার জন্য কোন কষ্ট। তবে কিছু একটা ভাবছে ও।
রাজ ওর কাছে গিয়ে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে…… তারপর ওর হাত দুটো নিজের হাতের বন্ধনে আবদ্ধ করে ওর দিকে তাকায়…..
রাজ: একটা কথা বলবে আরিয়া…..
আরিয়া:…….
রাজ: তোমার কি একবারের জন্য মনে হয়নি আমাদের সম্পর্ককে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন…..
আরিয়া:…….
[আরিয়া রাজের চোখে একরাশ আশা দেখলেও। রাজ আরিয়ার চোখে কিছুই দেখতে পেল না। শুধু মনে হলো ও কিছু একটা ভাবছে। যা হয়ত বোঝার ক্ষমতা রাজের নেই।
রাজ: যাবার আগে একটাবার ভেবে দেখবে?
আরিয়া:…… [ পুর্বের ন্যায় রাজের দিকে স্থীর চাওনি দিল। যার মানে রাজ বুঝল না। ]
রাজ: ঠিক আছে…… আমি দেখি সাদ এসেছে কিনা। [ রাজ আরিয়ার থেকে চলে গেল। হয়ত নিজের চোখের পানি লুকাতে ]
আরিয়া আসলে কেমন মুডে আছে তা বোঝা দুষ্কত। ও উঠে টেবিল থেকে কিছু একটা নিয়ে দেখতে থাকে তখনি সাদ আসে……
সাদ জানে আরিয়া চলে যাবে….. কিন্তু ও চায় না আরিয়া চলে যাক। যত যাই করুক রাজ সাদ চায় ও রাজের সাথে সুখি হোক। কিন্তু ওর চাওয়ায় কি আসে…… কারন এখান থেকে চলে গেলে আরিয়া মুক্তি পাবে।
সাদ: আরিয়া মেম একটা বার কি স্যারের কথা ভেবে দেখবেন। আমি জানি ওনি অন্যায় করেছেন। কিন্তু সেটা আপনাকে ভালোবেসে যদিও সেটা একটু আলাদা ছিল। তাই একটা বার কি ভেবে দেখা যায় না।
আরিয়া কিছুক্ষন চুপ রইল… তারপর বলল….
আরিয়া: আমার জায়গায় তুমি থাকলে কি করতে সাদ মেনে নিতে……….
সাদ: ওকে আমি আমার উত্তর পেয়ে গেছি।
তারপর ও চলে যায়……
সাদ: যাওয়ার সময় হয়েছে চোখ মুছে নিন। [ রাজ নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করল পারল না। ]
রাজ: আমি আরিয়াকে নিয়ে আসছি…..
,
,
,
,
,,
,
,
,,,
,,
,
রাজ রুমে ঢুকতেই আরিয়া বলে উঠে…..
আরিয়া: আমার কথা ভুলে যাবেন প্লিজ…. আমি চাই না আমার জন্য কেউ কষ্ট পাক।
রাজ: ভয় পাচ্ছ যদি তোমাকে আবার চাই।
আরিয়া: আমি এমনটা….. [ আরিয়াকে থামিয়ে দিয়ে ]
রাজ: এমনটা করব না। আমি নিজের কথা রাখি। শুধু একটা কথাই বলব আমি তোমার লাইফে যাব না যদি না জিবনের কোনো মোড়ে তুমি আমার সামনে না পরো।
আরিয়া: চলুন।
রাজ কথা না বলে আরিয়াকে খুব জোরে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আরিয়া বেশ অবাক হয়। কিন্তু কিছু বলতে পারল না। বেশ জোরেই ধরেছে আরিয়াকে। কিছুক্ষন পর ওকে ছেড়ে দেয়। আরিয়ার কপালে গভীর একটা চুমো একে দেয়। তারপর কথা না বলেই চলে আসে আরিয়ার হাত ধরে। আরিয়া অবাক হয়ে রাজের দিকে তাকিয়ে থাকে…….
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রাজ আরিয়াকে নিয়ে একটা জায়গায় আসে।৷ পুরোটা সময় আরিয়া গাড়িতে কিছু একটা ভেবে যাচ্ছিল। আরিয়া গাড়ির বাইরে তাকাতেই ইশাদকে দেখতে পায়। । ইশাদ ওদের গাড়ি থেকে অনেকটা দুরে দাড়িয়ে আছে।
আরিয়া: এখানে কেন থামালেন??
রাজ গাড়ি থেকে নেমে আরিয়াকে নামিয়ে দেয় তারপর বলে…..
রাজ: বাকিটা পথ একাই যেতে হবে তোমাকে। ওর হাতে তুলে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই তুমি একাই যাবে।
আরিয়া:….. [ মাথা নিচু করে কিছু একটা ভেবেই যাচ্ছে। তারপর আরিয়া নিজের পা বাড়াতেই রাজ আবার ওকে টেনে নেয় তারপর বলে…. ]
রাজ: আরেকটা কথা কোনোদিন আমার সামনে পরো না আরিয়া। তাহলে আমি কি করব আমি নিজেই জানিনা। এবার তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু বিশ্বাস করো এর পর যদি আমি তোমাকে পাই তাহলে হয় তোমাকে সারাজিবনের জন্য আটকে রাখব নয়ত মেরে ফেলব। তাই বলছি আজ যেন তোমার সাথে আমার শেষ দেখা হয়……
[ তারপর রাজ নিজের গাড়িতে বসে পরে আর আরিয়া ইশাদের দিকে যায়। ইশাদ এখনো আরিয়াকে দেখেনি। রাজ আরিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু আরিয়া একবার ও পিছু ফিরলনা। আর না ইশাদের দিকে তাকাল। ও নিচের দিকে তাকিয়ে হেটে যাচ্ছে৷ ]
রাজ: এখান থেকে চলো সাদ। আমার পক্ষে আর সম্ভব না।
সাদ আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যায়।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এর ১ মাস পরে…………..
রাজ: ওদের কোনো খবর পেলে সাদ… [ ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে ]
সাদ: না স্যার….. সেদিনের পর থেকে আরিয়া মেমের খবর পায়নি। আর ইশাদ ও বিগত এক সপ্তাহ ধরে গায়েব। আচ্ছা যেতে দিয়েছেন তাহলে খবর নিচ্ছেন কেন???
রাজ: মন মানছে না। যাই হোক ওদেরকে নিজেদের মত থাকতে দেও। আর আমার জন্য USA এর টিকিট বুক করো। আমি কিছুদিন মা আর আপুর কাছে যেতে চাই। হয়ত ওদের সাথে থাকলে ভালো থাকব কিছুটা। [ চোখ বন্ধ করে ]
সাদ: আচ্ছা স্যার৷….
রাজ: একটা কথার উওর দেবে সাদ। আমি কি আরিয়াকে ভালো রাখতে পারতাম না। ভালো তো বাসতাম খালি হয়ত বোঝাতে পারিনি। অন্যায়টা বেশি হয়ে গিয়েছিল। ও একটা সুযোগ কি দিতে পারত না।
সাদ: একটা কথা জানেন কি স্যার। মেয়েরা প্রথম যাকে মন দেয় হাজার চাইলেও তাকে ভুলতে পারে না। যদি লাইফে অন্য কেউ আসে তবুও মনের কোনে সে রয়েই যায়।
রাজ: হয়তোবা…..
সাদ: আর সবচেয়ে মজার কথা হলো মেয়েরা যদি কাউকে মন থেকে চায় তখন তার জন্য দাসী হয়ে থাকতে রাজি কিন্তু যাকে চায় না তার কাছে রাজরানী হয়েও থাকতে পছন্দ করে না। কিন্তু তারমানে এই নয় যে নতুন কাউকে মেনে নিতে পারেনা। পরে ঠিকি মায়া জন্মে। কিন্তু আরিয়া মেমের মায়াটা কেন জন্মনিল না জানিনা। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না যাওয়ার সময় না ওনাকে খুশি দেখলাম আর না আফসেট। শুধু একটা জিনিস ওনি কিছু নিয়ে ভাবছিল………..
,
,
,
,
,
,
,
,
,[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]
আমি জানি আজকের পার্টে আরিয়াকে নিয়ে অনেক নেগেটিভ কমেন্ট হবে। যাই হোক আমার মত আমি লিখব।
খালি বলছি গল্পটা এখনো বাকি…. 😇😇😇