প্রেমাধিকার পর্ব ১৮

প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
[ 2nd capter ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr[ Mêhèr ]
Part: 18….

রাজ কনফারেন্স রুমে খুব জরুরি একটা মিটিং করছিল। সাদ তখন থেকে সবটা সামলে ক্লান্ত হয়ে গেছে। শুধু ক্লান্তি নেই রাজের। ক্লান্তি কি এখন আর কিছুতেই ক্লান্তি আসে না ওর। অনেকটা রোবট হয়ে গেছে। নিতান্তই একটা ইমোশনলেস মানুষ। রোবট বললে বেশি ভুল হবে না। যার সাংসারিক জীবন নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সারাদিন শুধু ছুটে চলেছে সময়ের সাথে আছে টাকার পিছনে…….

মিটিংয়ে সবাই খুব মন দিয়ে রাজের কথা শুনছে সেই সাথে রাজ কথা বলছে। ঠিক তখনি মিটিং রুমের দরজায় কেউ নক না করেই হুট করে ডুকে যায়। হঠাৎ এরকম কিছু হওয়াতে সবার ফোকাস ওদিকে। তার চেয়ে বড় কথা সবাই রাজের কথার মন না দিয়ে ওদিকে তাকিয়েছে যার জন্য রাজের কথার মাঝে বাধা পরেছে……

প্রচন্ড ক্ষেপে যায় ও। টেবিলে মধ্যে হাত দিয়ে দাতে দাত চেপে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও পারল না।

রাজ: সাদ…. সাদ…. [ খুব জোরে চিল্লিয়ে ]

সাদ আসার আগে কেউ রাজের সামনে এসে
দাঁড়ায়। সে সামনে এসে দাড়াতেই রাজের চোখগুলো বড় হয়ে যায়। রাজ যতটা টা না রিরক্ত তার চেয়েও বেশি অবাক হয়ে গেছে। যাকে বিগত ৫ বছর যাবত পাগলের মত খুজে বেড়িয়েছে রাজ। যাকে একবার দেখার জন্য ছটফট করেছে সে আজ নিজে থেকে তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। রাজ নিজের মধ্যে নেই হারিয়ে গেছে কোথাও। মুখ থেকে নিজে থেকেই বেড়িয়ে এলো……..

রাজ: আরিয়া…….

[ কি ভাবছেন কি হয়ে গেল। তাহলে চলুন একটু ফ্ল্যাশব্যাক কাহিনীতে ঘুরে আসা যাক]

৫ বছর আগে সেদিন যখন আরিয়াকে ইশাদের কাছে দিয়ে আসল তার পরে রাজ আরিয়ার অনেক খোজ করে কিন্তু পায়নি। ১মাস পর ইশাদ যখন চলে যায় তখন রাজের বুঝতে বাকি থাকে না আরিয়া ইশাদের সাথেই চলে গেছে। রাজ তা সহ্য করতে পারে না। তাই ও নিজে চলে যায় USA তে ওর বোন বিয়ে করে ওখানেই সেটেল আর রাজের মা ওখানেই থাকে ওর বোনের সাথে। আরিয়ার কথা ওখানের কেউ জানে না। রাজ কয়েকদিনের জন্য গেলেও ২ বছর পরে আসে….. কেন জানি দেশে ফিরতে ইচ্ছে করেনি। ততদিন এখানের সবকিছু সাদ একা হাতে সামলেছে কিন্তু একসময় অনেক বড় সমস্যা হয়ে যায়। সাদ বাধ্য হয়ে রাজকে ফিরতে বলে। রাজ অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ২ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখে। রাজ দেশে ফিরে আসলেই এবার নিজেকে একপ্রকার রোবট বানিয়ে নিয়ে এসেছে। আগে রাজ কঠোর এখন হার্টলেস বলা চলে। দেশে ফেরার ৩ বছর এভাবেই দেখতে দেখতে কেটে যায়। এমনটা নয় ওদের কোনো খোজ রাজ করেনি করেছে কিন্তু পায়নি। ইশাদ আর আরিয়া যেন উবে গেছে। একসময় খুজতে খুজতে ক্লান্ত হয়ে রাজ ওদের খোজা বন্ধ করে দেয়। ]

আজ ৫ বছর পর রাজ আরিয়াকে দেখছে। যাকে খোজার জন্য এতকিছু আজ সে নিজে রাজের সামনে দাড়িয়েছে৷ কিন্তু বুঝতে পারছে না। কেন??? কেন ফিরে এসেছে যেখানে আরিয়া ভালো করেই জানে রাজ ওকে ছেড়ে দেবেনা।

ওখানের সবাই আরিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে…. আরিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাজ সাদকে ইশারা করে। সাদ সবাইকে বাইরে নিয়ে যায়। সবাই বাইরে চলে গেলে সাদ রুমে ঢুকে দরজা লক করে দেয়।

সাদ ও যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না আরিয়াকে দেখে। এতদিন পর কেন ফিরে এসেছে আরিয়া। তাও আবার রাজের কাছে এভাবে। কথা নেই বার্তা নেই পাগলের মত……

রাজ: তুমি…… তাও আবার এভাবে?

আরিয়া:…….

রাজ: তা এতদিন পর কি মনে করে??? তাও আবার কোনো কথা বার্তা নেই সরাসরি মিটিং রুমে ডুকে গেলে। কেবিনে ওয়েট করলে পারতে।

আরিয়া:…….

রাজ: তা কি মনে করে…. [ টেবিল থেকে পানির গ্লাস তুলে খেতে ধরল। কিন্তু আরিয়ার কথা শুনে তা গলায় আটকে গেল। ]

আরিয়া: আ… মা..। আম… আমার… [ কিছুটা সাহস সঞ্চয় করল ]

রাজ: কি হয়েছে…. [ ভ্রু কুচকে ] এভাবে আমতা আমতা করছ কেন???

আরিয়া: আমার কিছু টাকা লাগবে রাজ……

কথাটা শুনে রাজের গলায় পানি আটকে গেল। আর সাদ শুকনো গলায় বিষম খেল। দুইজন দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ী করল।

আরিয়া: হুমম আমার কিছু টাকা লাগবে। আর সেটা আজকেই। [ মাথাটা নিচু করে ]

রাজ এবার আরিয়ার দিকে তাকাল। ভালোভাবে ওকে দেখে নিল। একসময়কার টপ ডিজাইনার আজ খুব সাধারন একটা শাড়ি পরে আছে। দেখে কোনো মধ্যবিত্ত ঘরের ঘড়োনি মনে হচ্ছে। চেহারের মাঝে আগের মত না আছে সেই সৌন্দর্য আর না আছে সেই রুপ। আগের মত উজ্জ্বলতা নেই এই চেহারায়। দেখে সাধারন একজন মহিলা মনে হচ্ছে। সবসময় যে চোখে চোখ রেখে কথা বলত আজ সে নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। টাকা টা আরিয়া চাইছে তবে সেটা কতটা সংকোচে তা আরিয়াকে দেখে ভালোভাবেই টের পেয়েছে রাজ।

রাজ: তুমি টাকা চাইছ। তাও আমার কাছে [ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ]

আরিয়া: আমি বাবা মায়ের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই….

রাজ: আমার কাছে এসেছ তাইত। আর তোমার বাবা মাকে আমি এখান থেকে দুরে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওনার মেয়ে তো বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ফুর্তি করতে ব্যস্ত ছিল তাই ওনাদের দেখাশোনার ব্যবস্থা আমাকেই নিতে হল।

আরিয়া: আমার কিছু টাকা লাগবে।

রাজ: বাহহ! যে মেয়ে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে বাচাতে নিজের প্রোপার্টি বিক্রি করে সে আজ আমার থেকে টাকা চাইছে…..

আরিয়া: এখন পুরোনো কথা তুলে কি লাভ। প্লিজ টাকাটা আমার দরকার। [ আরিয়ার চোখের কোন থেকে পানি গড়িয়ে পরছে । যা ওর অসহায়ত্ব কথা জানান দিচ্ছে রাজের কাছে। ওর চোখে পানি দেখে রাজের বুকে একটা মোচর দিল। ]

রাজ: কত টাকা…..

আরিয়া: ১৫ লক্ষ টাকা…. সেটা আজকের মধ্যে……

রাজ: ১৫ লক্ষ টাকা…. আচ্ছা কিন্তু আমি তোমাকে এই টাকা গুলো কেন দিব??? নিশ্চয়ই আমি এখানে কোনো দানশালা খুলে বসিনি৷

আরিয়া এবার প্রায় কেদেই দেয়।

আরিয়া: আমি এই টাকাগুলো এমনি এমনি নিচ্ছি না। আমি তোমাকে টাকাটা ফেরত দিয়ে দেব ।

ফেরত দেওয়ার কথা শুনে রাজের মেজাজ গরম হয়ে যায়।ও সাদকে বেড়িয়ে যাওয়ার ইশারা করতেই ও বেড়িয়ে যায়। ও চলে যেতেই রাজ দরজা লক করে দেয়। সাদ ব্যাপারটা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে। যা হবে রাজ চায় না কেউ জানুক সাদ ও না।

রাজ: আগের মত কিছুই নেই তোর মাঝে তাও এত তেজ আসছে কোথা থেকে বলত??? টাকা ফেরত দিবি তাহলে আমার কাছে আসার দরকার কি ছিল ব্যাংক থেকে ঋন নিলেই পারতি।

রাজের কথায় আরিয়ার মরে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ও কিছু বলতে পারল না কারন ওর হাত যে বাধা। সময়ের স্রোত আজ উল্টো দিকে বইছে। যেখানে আজ ওর কিছু করার নেই।

আরিয়া: বাবা মা কোথায় আছে তা অন্তত বলে দিন প্লিজ…. [ মাথা নিচু করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে ]

রাজ: হাহাহা….how funny… আমি তোকে কি দিব তোর বাবা মায়ের ঠিকানা। Like seriously….. ৫ টা বছর আমি ভেবেছি আমার বিয়ে করা বউ অন্য কারো ফুর্তি করছে। এটা ভেবে কতটা মানসিক যন্ত্রণায় আমি ছিলাম তুই জানিস। তারপরেও তোর মনে হয় আমি তোকে কোনো হেল্প করব।

আরিয়া:……

রাজ: কেন তোর সেই আশিক কই। যার জন্য পাগল হয়ে তুই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলি। সে এখন কই সে কি এখন তোকে ছেড়ে দিয়েছে নাকি আগের রুপ নেই বলে……

আরিয়া আর কিছু বা বলে দরজার দিকে চলে যায়। দরজার লকটা খুলতে ধরলেই রাজ ওকে টান দিয়ে ফেলে দেয়। যার কারনে চেয়ারের সাথে বাড়ি খেয়ে ওর কপালের কিছুটা অংশ কেটে যায়। রাজ গিয়ে ওর চুলের মুটি ধরে দাড় করায়…. আর্তনাদ করে উঠে আরিয়া। তবুও নিজের ঠোঁট কামরে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে।

রাজ: যাওয়ার সময় বলেছিলাম না কোনোদিন আমার সামনে আসবি না। বলেছিলাম কিনা…. [ চুলগুলো ধরে চিল্লিয়ে ]

আরিয়া: আমার লাগছে ছাড়ুন প্লিজ……

রাজ: ছাড়ব। তোকে ছাড়ব। ছেড়েই তো দিয়েছিলাম। দিয়েছিলাম তো। চিরদিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাহলে আবার ফিরে এলি কেন??? কেন ফিরে এলি??? বলেছিলাম না আমার সামনে এলে মেরে ফেলব তাহলে কেন ফিরে এলি…… বল কেন ফিরে এলি টাকার জন্য…..

আরিয়া: প্লিজ ছাড়ুন। লাগছে আমার…..

কথাটা বলা মাত্রই আরিয়াকে দেয়ালের সাথে ছুড়ে দেয়ালের সাথে ওর গলাটা চেপে ধরে। ৫ বছরের রাগের ফল আরিয়া পাচ্ছে রাজের থেকে…….

রাজ: আমারো লেগেছিল। কিন্তু তোর মত বলতে পারিনি। কারন আমার ক্ষতটা মনের মধ্যে ছিল……..

আরিয়া:…… [ আরিয়া কথা বলতে পারছে না। এতটাই জোরে ওর গলাটা রাজ ধরেছে। যখন দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা তখন রাজ ওকে ছেড়ে দেয়। আরিয়া কাশতে থাকে ]

রাজ: কিছু করার আগে চলে যা। আমি চাইনা তোর মৃত্যুর কারন হতে……..

আরিয়া: আমার বাবা মায়ের ঠিকানা দিন। ওনারা কোথায় থাকে।

এবার রাজ ভ্রু কুচকে আরিয়ার দিকে তাকায়।

রাজ: এতকিছু করার পরও তোর লজ্জা হলো না বেহায়ার মত আবার আমার থেকেই চাইছিস। ও চাইবি না কেন কারন তোর বাবা মা কোথায় তা তো শুধু আমি জানি….. হা.. হা.. হা.।। নিজে খুজে নে….

আরিয়া এবার হু হু করে কেদেই ফেলে…..

আরিয়া: প্লিজ আমার ভিষন প্রয়োজন। আমার উপর আপনার রাগ এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তবুও বলছি আমার বাবা মায়ের ঠিকানা অত্যন্ত দিন।

রাজ: যদি স্ত্রী হিসেবে আসতে তাহলে হয়ত ভেবে দেখতাম। বেশি না হলেও একটা রাত তো কাটিয়েছিলাম তোমার সাথে। কিন্তু তোমার পাপ্য কাবিনের টাকা তো দেওয়াই হয়নি। কিন্তু এসেছ তো ঋনগ্রহীতা হয়ে আর আমি কোনো ব্যাংক নই যে যাকে তাকে টাকা দেব। আর ওনাদের ঠিকানা তুমি কোনোদিন ও পাবেনা।

আরিয়া: রাজ..….

রাজ আবার ওর দিকে এগোতে থাকে। তারপর ওর খুব কাছে যায়। আরিয়ার ঠোঁটের দিকে যেতেই আরিয়া মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। আরো রাগ উঠে….. খুব জোরে আরিয়ার গাল চেপে ধরে…..

রাজ: মুখ ফিরিয়ে কেন নিচ্ছ। তোমার তো এটাই মনে হয়েছিল তোমার সৌন্দর্য দেখে রাজ তোমাকে পেতে চেয়েছে৷ তাহলে রাজের থেকে কিছু পেতে চাইলে তো তোমার রুপের কারনেই দেবে৷

আরিয়া:….. [ ঠোঁট কামরে ওর কথাগুলো শুনছে ]

রাজ: কিন্তু এখন তোমার মাঝে রুপের কোনো পাত্তাই দেখছি না তাহলে কেন যাব তোমার দিকে। আসলে বিশ্বাস করো কোনো ফিলিংস পাচ্ছি না তোমায় দেখে। তাই আমার কাছ থেকে হেল্প পাওয়ার আশা ভুলে যাও। আর রাজ ইউজ করা জিনিস ইউজ করে না। আর তুমি তো…….. Whatever,…

আরিয়া:……. [ আরিয়া বাধ্য হয়ে রাজের কাছে এসেছে। রাজ যে ওর সাথে রাগ দেখিয়ে এসব বলবে তা আরিয়া জানত কিন্তু সেটা এতটা যন্ত্রণাদায়ক সেটা আরিয়া জানত না। আরিয়া চলে যেতে নেয় ]

রাজ: আরিয়া…….

আরিয়া থমকে দাঁড়ায়…..

আরিয়া: আর যদি তোমার কিছু বলার থাকে তবে আমার শোনার শক্তি নেই।

রাজ: ইশাদ কই……

আরিয়া আর কোনো কথা বলে বাইরে বেড়িয়ে আসে চলে যায়। সাদ আরিয়াকে ডাক দেয় কিন্তু ও শুনতে পায় না। তাই সাদ ভিতরে যায়…….

সাদ: আরিয়া মেম কেন এসেছিল স্যার……

রাজ: কেমন মেয়ে ও… এতদিন পর ফিরে এসেছে??? হেল্প চাইতে অথচ একটা বারের জন্য আমার থেকে ক্ষমা চাওয়া তো দুরের কথা উল্টো বলল টাকা গুলো নাকি ফেরত দিয়ে দেবে…….

সাদ: মানে……

রাজ: হেল্প চাইতে এসেছিল।

সাদ: আর আপনি ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন??? স্যার আপনি ওনাকে ভালো করেই জানেন যেহেতু এতদিন পর ফিরে এসেছে তাই ওনার প্রয়োজন ছিল।

রাজ: I don’t care…… জাহান্নামে যাক।

সাদ: কিন্তু স্যার…৷

রাজ: ভুলে যেওনা You are my staff. সো নিজের সীমার মধ্যে থাক…..

সাদ: সরি স্যার….. [ চলে যায় ]

,
,
,
,

,
,
,

,
,
,
আরিয়া বেড়িয়ে যেতেই কারো সাথে ধাক্কা খায়। কিন্তু ও সেদিকে খেয়াল না করেই চোখ মুছতে মুছতে বেড়িয়ে আসে ।

অরন: What the….. এই…. এইটা সেই মেয়েটা না মানে রাজের এক্স ওয়াইফ। যার জন্য আমাকে রাজ মেরেছিল। কিন্তু ও এখানে কি করছে। তাও আবার এভাবে কাদছে কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে বলে মনে হলো……. ব্যপার টা কাফি ইন্টারেষ্টিং। যাক অনেকদিন পর একটা কিছু পাওয়া গেল……. 😇😇😇

,
,

,
,
,
,
,
,,আরিয়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাচ্ছে। আর ভাবছে। লাইফটা বড়ই অদ্ভুত। কখন যে কাকে কোন মোড়ে দাড় করায় কেউ জানেনা। যার থেকে দুরে যাওয়ার জন্য পাগল ছিল আজ তার দ্বারেই ফিরে আসতে হলো। আকাশের দিকে তাকাতেই চোখ গড়িয়ে দু ফোটা পানি পরে।

তখনি আরিয়ার সামনে একটা গাড়ি থামে….আরিয়া বেশ ভয় পায়। গাড়ি থেকে একটা লোক নেমে আরিয়ার হাতে একটা ছিড়কুট দেয়।

ছিড়কুটে লেখা…..
আমি জানি তুমি কেন এসেছ। আমি তোমার কথা মানতে রাজি তার জন্য আমার একটা কাজ তোমাকে করে দিতে হবে। যদি শর্তে রাজি থাক তাহলে চুপচাপ আমাদের লোকের সাথে গাড়িতে উঠে এসো। চিন্তা করো না কোন ক্ষতি করব না। Its a deal…

আরিয়া আর কিছু ভেবে পায় না। ও লোকটার সাথে গাড়িতে উঠে বসে….. লোকটা আরিয়াকে একটা গোডাউনে নিয়ে যায়।

আরিয়া: আমাকে এখানে কেন এনেছেন???

লোকটা: এত তাড়া কিসের মিসেস. আহমেদ সরি এক্স আহমেদ….. [ আরিয়া লোকটাকে দেখতে পাচ্ছে না। কারন লোকটা আড়াল থেকে কথা বলছে। ]

আরিয়া: মানে কি?? আর আপনি কে???

লোকটা: আমি যেই হই??? সেটা আপনি আমার কথা শোনার পর জানতে পারবেন।

আরিয়া: কি কথা….

লোকটা: আমি জানি আপনার এই মুহুর্তে টাকা দরকার। আর আমি আপনাকে সেই টাকা টা দিতে রাজি আছি।

আরিয়া: শুধু শুধু এতগুলো টাকা আপনি তো আমাকে এমনি এমনি দিবেন না।

লোকটা: আসলেই তুমি বুদ্ধিমতি। আজকাল পানি খেতেও টাকা দিতে হয়। সেখানে অবশ্যই আমি এমনি এমনি তোমাকে এতগুলো টাকা দিব না।

আরিয়া: তা কি করতে হবে…….

লোকটা: তেমন কিছুই না। আমার একজনের উপর অনেক রাগ। আমি তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চাই।

আরিয়া: তাতে আমি কি করতে পারি???

লোকটা: তুমি তাতে আমাকে হেল্প করতে পারো। কারন তাকে তুমি নিজেও ঘৃনা করো।

আরিয়া: মানে….

লোকটা: তুমি ঠিকি ভেবেছ সে অন্য কেউ নয় রাজ……. আমি তাকে অপমান করতে চাই। আর তাতে হেল্প করবে তুমি। আর তাতে আমি তোমার যাবতীয় প্রয়োজন পুরন করে দেব।

আরিয়া: হুমম বুঝলাম….. [ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ]

লোকটা: তোমাকে বেশি কিছু না কয়দিনের জন্য আমার……. আর ওর কাছে এর চেয়ে বেশি অসন্মানের কি হতে পারে যে ওর এক্স ওয়াইফ, যার কারনে বেচারা এখনো সিংগেল সে আরেকজনের……..

আরিয়া: Mistress হয়ে আছে….. এটাই বলতে চান।

লোকটা: আমি এমনটা বলতে চাইনি। কিন্তু তুমি…..

আরিয়া: কিন্তু প্রস্তাব আপনি এটারি দিয়েছেন। আপনি যেই হোন। আর যেই কারনে এরকম একটা প্রস্তাব আমাকে দিয়ে থাকেন না কেন একটা কথা মনে রাখবেন রাজ সেই ব্যাক্তি যাকে আমি আমার জিবনের সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করি। ও আমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে। তবে তার মাঝে একটা ভালো দিক আমি পেয়েছি। আর সেটা হলো ও আমাকে অপমান করেছে ঠিকি কিন্তু সেটা ওর আর আমার মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। দুনিয়ার সামনে আমাকে কোনোদিন অপমান করেনি চাইলে করতেই পারত। আজ এত বছর পরও আমাকে মানুষের সামনে অপমান করেনি।

লোকটা: বাবাহ এত প্রেয়ার……. রাজকে ইনস্টাল করলে বুঝি কষ্ট হবে।

আরিয়া: [ একটা তাচ্ছিল্যের হাশি দেয় ] আমাকে কি আপনার বোকা মনে হচ্ছে। আপনি যে অফার আমাকে দিয়েছেন সেটা রাজকে কতটুকু অপমান করবে জানিনা। কিন্তু সেটা যে সম্পুর্ন আমাকে অসন্মান করবে তা আমি জানি। সো এরকম টা ভুলে যান।

লোকটা বেশ রেগেই গেল।

লোকটা: এমনি এমনি তো বলিনি। এর জন্য তুমি যতটাকা চাও তত দেওয়া হবে।

আরিয়া: আপনি যেই হোন না কেন?? এটা মনে রাখবেন টাকাটা আমার লোভ নয় আমার প্রয়োজন। আরিয়া আর যাই হোক লোভী নয়।

লোকটা: এই মুহুর্তে এত গুলো টাকা তোমাকে কে দিবে???

আরিয়া: বলছি না আল্লাহ এসে দিয়ে যাবে কিন্তু আমি সৎ হলে আল্লাহ আমার প্রয়োজন ঠিকি পুরন করবে। আর সেই প্রয়োজন পুরন করার জন্য যদি নিজের শরীরের অংশ বিক্রি করতে হয় তবে তাই করব। কিন্তু এই আরিয়া নিজেকে আর নিজের অসন্মানকে কখনো বিক্রি করবে না।

কথাগুলো বলে আরিয়া আর অপেক্ষা করে না চলে আসতে নেয়। ঠিক তখনি লোকটা ওকে বলে…….

লোকটা: আরেকবার ভেবে দেখ….

আরিয়া: আমার যা বলার বলেছি……

লোকটা: Ok as your wish……. [ বাকা হেশে ]
,
,

,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here