#প্রেমের_মরা_জলে_ডুবে
#তানিয়া
পর্ব:১৬
বসার রুমে এসেও তিমির চোখ তুললো না।চোখের সামনে প্রিয় মানুষটা অন্যের হাতে রিং পরাবে এটা যেন তিমিরের গলায় ফাঁস দেওয়ার মতো।তিমির আর শুভা এগিয়ে এলেই একজন মহিলা এসে শুভাকে নিয়ে সোফায় বসেন।তখনি একজন বলে উঠে,
এটা আমাদের শুভ্রর বউ না,ওর চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেনো,কাঁদছিল নাকি?
তখনি উত্তর ভেসে আসে পেছন থেকে,
হ্যা কাদছিল কারণ আজ প্রিয় বান্ধবীর এনগেজমেন্ট হয়ে যাবে তারপর একদিন বিয়ে হলে সে চলে যাবে তাই ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে এখন থেকে কাঁদছে।
কথাটা শুনেই তিমির চকিত চোখ তুললো।চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিলো সামনের প্রতিটি মানুষকে।সব মানুষের মধ্যে নজর পড়লো পাঞ্জাবি পরা নীলের দিকে তারপর শুভার দিকে।নীল তিমির দুজনে মুচকি মুচকি হাসছে।তাদের হাসি দেখে হুট করে তিমির পেছনে ফিরে তাকালো।দেখলো শুভ্র তার দিকে তাকিয়ে দুই হাত পেছনে রেখে খুব স্ট্রিট স্টাইলে দাঁড়িয়ে আছে আর পুরো চেহারায় রয়েছে একটা দুষ্ট মির হাসি।তিমির একবার শুভার দিকে তাকায় তো একবার শুভ্রর দিকে।শুভ্র এগিয়ে এসে তিমিরের পাশে দাঁড়ালো,
কি হলো তিমির আর কতো কাঁদবে? এবার যাও অতিথিদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করো।তোমার সখীর হবু শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসেছে তাদের আপ্যায়ন করার দায়িত্ব তো তোমার তাই না?
তিমির কিছু বুঝলো না।ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে শুভ্রর দিকে আর শুভ্র তার হাসিটা প্রশস্ত করে মায়ের দিকে তাকালো।নিপাও হাসছে ছেলের সাথে। শান্তা এগিয়ে এসে তিমিরের মাথায় হাত বুলালো,
আহা আমার মেয়েটা না হয় বান্ধবীর জন্য কাঁদছিল তাই এমন করা লাগে নাকি।চল মা আমরা মেহমানের নাস্তার ব্যবস্থা করি।
শান্তা নিপা তিমির তিনজনি রান্নাঘরের দিকে গেলো যাওয়ার আগে তিমির একবার শুভ্র ্কে দেখে নিলো।শুভ্র একই ভঙ্গিতে চেয়ে আছে তিমিরকে।নাস্তা খাওয়ার পর্ব শেষ হতে শুভা আর নীলকে এনে তাদের শুভ কাজটা সমাধা করা হলো।তিমির তখনো বাকবিভূতি হয়ে রইলো।তবে এটা বুঝলো আজকে এরা ভাই বোন দুজনি তার সাথে একটা মনের খেলা খেলেছে যা তিমিরের হৃদকম্পন বন্ধ করতে যথেষ্ট ছিল।
রাতের খাওয়া শেষ করে নীলদের পরিবার চলে গেলে। তিমির শুভার রুমে গেলো।শুভা চুলের ক্লিপ খুলতে ব্যস্ত।আয়নায় তিমিরের রাগান্বিত রূপ দেখে সে সরে গিয়ে বারান্দায় চলে গেলো।তাড়াতাড়ি দরজা লাগিয়ে দিতে তিমির চিৎকার করে উঠলো।
শুভা দরজা খোল, তোকে আজ ছাড়বো না,এত নাটকবাজি কোত্থেকে শিখলি?শুভা দরজা ভেঙে ফেলার আগে দরজা খোল বলছি?
বোন,ভাবি বান্ধবী তোর পায়ে পড়ি,আজ সবে রিংটা পড়িয়ে দিয়েছে এখনো অনেক কিছু বাকি আছে রে।নীলকে নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন তুই এভাবে আমার স্বপ্ন ভাঙিস না।যা করেছে ভাই য়া করেছে তুই ভাই য়াকে জিজ্ঞেস কর আমি কিছু জানি না।
শুভার বাচ্চা আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।আমি আজ তোর নাজেহাল অবস্থা করবো।
ভাবি প্লিজ এমন করিস না তুই যা করার ভাই য়াকে কর প্লিজ?
ভাবি ডাকা হচ্ছে, আমার সাথে এত বড় খেলা খেলে এখন ভাবি ডাকছিস।ওকে আমি আগে তোর ভাই থেকে কৈফিয়ত নিবো তারপর তোকে মজা দেখাবো।
তিমির সর্বাঙ্গে রাগ নিয়ে শুভ্রর রুমে গেলো। শুভ্র ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে অপেক্ষা করছিল তিমিরের।তিমির থমথমে আর জ্বলজ্বল করা মুখ নিয়ে সামনে আসতে শুভ্র মিষ্টি করে হাসলো।শুভ্রর হাসি দেখে তিমির রাগে ফেটে পড়লো।
আপনি হাসছেন,লজ্জা করেনা এমন করতে? আপনি আমাকে মিথ্যা বললেন?
সত্যি টা জানতে চাও।
তিমির নিশ্চুপ।শুভ্র হেসে বললো,
দু কাপ কফি নিয়ে ছাদে এসো।রুমে গরম লাগছে।তাছাড়া সারাদিন অনেক ঝক্কিঝামেলা গেছে এখন ছাদে বসে তোমাকে সবটা বলবো।তুমি ছাদে আসো আমি অপেক্ষা করছি।
তিমির বাধ্য মেয়ের মতো কফির জন্য গেলো।যেতে যেতে ভাবলো নীল আর শুভার বিষয়টা নিয়ে।নিপা যেমন মানুষ কীভাবে এসব হলো কখন হলো,তিমির কিছুই জানলো না আর নিপা মানলো কীভাবে বা তাকে মানালো কে?
শুভ্র ছাদের কর্নিশে হেলান দিয়ে হাতে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে পূবদিকে চেয়ে আছে। তিমির কফি নিয়ে ছাদে যেতে শুভ্র তিমিরের দিকে চেয়ে স্মিথ হেসে দিলো।তিমির দেখলো শুভ্রকে কেমন জানি ক্লান্ত দেখাচ্ছে। হঠাৎ তিমিরের খারাপ লাগলো শুভ্রর জন্য তবে গোপন রাখলো কারণ আজ তার আত্ম নিয়ে যেভাবে টানাটানি করলো তাতে দরদ থাকলেও সেটাকে চাপা দিতে হবে।তিমির কফিটা এগিয়ে দিতে শুভ্র কফিতে ঠোঁট ছুয়ালো।
তিমির চলো দোলনায় গিয়ে বসি।দাঁড়িয়ে থাকতে ক্লান্ত লাগছে।
শুভ্র তিমিরের হাতটা এক হাতে নিয়ে দোলনায় গিয়ে বসলো।
তিমির আমি জানি আজ তুমি আমার ওপর ক্ষেপে আছো।কিন্তু আজকের এ কাজের জন্য আমি বিন্দু মাত্র অনুতপ্ত নই কারণ আমার মনে হয়েছে একজন মানুষকে সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া উচিত নাহলে সে বুঝবে না কিছু কিছু ঘটনা এক এক মানুষের জন্য কেমন সিচুয়েশন সৃষ্টি করে,তাকে কোন ধরনের ট্রমার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।আজ আমি যা করেছি তা শুধু তোমাকে বোঝানোর জন্য যে, বিয়ের দিন যখন তুরফার জায়গায় তোমাকে বিয়ে করেছিলাম তখন আমার কেমন লেগেছিল?তুমি তো তাও শুধু একটা ছোট নাটকে এমন করছো অথচ ছোট থেকে আমি যাকে ভালোবেসেছিলাম যাকে নিয়ে কল্পনার জগৎ তৈরি করেছিলাম তার পরিবর্তে যখন তোমাকে দেখলাম তখন আমার পুরো দুনিয়াটা পাল্টে গেলো।এটা সত্যি যে তুরফা তার স্বার্থে আমাদের ব্যবহার করেছে তবুও তো আমি তাকে ভালোবাসতাম।তখন তো আর সত্যিটা জানতাম না তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল কিন্তু সেটা নিয়ে আমি আমার মনের প্রতিক্রিয়া দেখায় নি।কেনো জানো,কারণ আমি আমার মনের কষ্টকে কখনো প্রকাশ করিনা , কখনো নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনা।এই যে তুমি আমাকে ভালোবাসো ভালোবাসো বলে বারবার নিজের অনুভূতি দেখাও সেটা আমি পারিনা আর পারি না বলেই হয়তো তুরফার ভাষ্যমতে আমি মাকাল ফল আর ঠান্ডা পুরুষ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছি।যাই হোক বিয়ে তো একদিনের আবেগ না সারাজীবনের একটা বন্ধন তাই তুরফা নিজের সুখের কথা ভেবে আমাকে ঠকিয়েছে।এর জন্য তুরফাকে আমি দোষ দিব না।আবার এমন না যে তুরফার শোকে আমি পাগল হয়ে গেছি,তাকে ছাড়া আর কাউকে ভাববো না?আমি মনে করে আমি যথেষ্ট একজন ম্যাচিউর পুরুষ তাই আমি সব পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিতে চেষ্টা করি।তুরফার ব্যবহারে কষ্ট পেলেও ওর জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেকে বুঝিয়েছি তুরফা ঠিক করেছে তবে ওর জায়গায় হলে হয়তো আমি এতটাও নিচু হতাম না।যাই হোক তুরফার বিষয়টা আমি সামলে নিয়েছি এখন ওকে নিয়ে আর আগের ফিলিংসটা পাই না তবে খারাপ লাগে মাঝে মাঝে এটাই শুধু! যতই হোক ভালোবাসা বস্তুটা ওর জন্য যতন করে রেখেছিলাম বলে হয়তো।কিন্তু তিমির আমি কখনো লুকোচুরি বিষয় পছন্দ করি না,অথবা তেল দিয়ে মিথ্যা গল্প ফাদি না। আমি যা করি তা হলো সরাসরি সবটা জেনে নেওয়া বা জানিয়ে দেওয়া।তুমি মনে করতে পারো,আমি নিষ্ঠুর নির্দয় বা কঠিন পুরুষ। এটা কিন্তু মিথ্যা নাও হতে পারে কারণ আমি যদি আবেগীয় হতাম বা নরম স্বভাবের হতাম তাহলে হয়তো আজ এতটা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না।স্বাভাবিক লাইফ লিড করতে পারতাম না,তুরফার শোক নিয়ে দেবদাস হয়ে থাকতে হতো।তাহলে বলো আমার মেন্টাল সাপোর্ট আমাকে কতটা স্ট্রং করেছে!তোমার মনে জমে থাকা অনুভূতি প্রেম তুমি আমাকে জানিয়েছো, আমি সবটা শুনেছি।এখন যদি আমি তোমাকে তুষ্ট করতে তোমার সাথে তাল মিলিয়ে বলি আমিও তোমাকে ভালেবাসি ব্লা ব্লা তাহলে কি ভালো হবে?তিমির যদি আমি এমনটা করতাম তাহলে হয়তো কখনো আমার মন খারাপ থাকলে তুমি ভাবতে আমি তুরফার জন্য এমন করছি,তখন না তুমি সুখে থাকতে আর না আমি তোমাকে বোঝাতে পারতাম বাস্তবতাটা?সত্যি অর্থে আমার মন থেকে আমি সবকিছুকে সরিয়ে দিছি না সেখানে তুরফাকে রেখেছি আর না অন্য কাউকে।তাহলে কেনো শুধু শুধু তোমায় মিথ্যা আশ্বাস দিব?তুমি যেভাবে আমাকে সময় নিয়ে ভালোবেসেছো আমিও একিভাবে তুরফাকে সময় নিয়ে ভালোবেসেছিলাম।আফসোস সে আমার কপালে ছিল না তাই মনকে বুঝিয়েছি সে যেন ভেঙে না পড়ে।আজ সামান্য আমার এনগেজমেন্ট হওয়ার কথা শুনে তুমি নিজের কি হাল করেছো আর আমার তো বিয়েই হয়ে গেছিল যা চাইলেও ভাঙা যেত না।এসবের পরও তুমি যদি আশা করো আমি তোমাকে আর পাঁচ ্টা সাধারণ পুরুষের মতো ভালোবাসার গল্প ফাদবো তাহলে ভুল?আমি যেমন, ঠিক তেমন ভাবে তোমাকে মানতে হবে।তোমাকে নিয়ে আমার মনে কোনোদিন প্রেম ভালোবাসা এসব ছিল না তাই হুট করে ভাবতেও পারবো না।তবে আমি নিজেকে সময় দিব তোমাকে নিয়ে ভাবার,তোমার সাথে আমার পথ চলার পথটা আমি তৈরি করবো।তবে আমি তোমাকে ঘটা করে নিশ্চিয়তা দিতে পারবো না যে তোমাকে আমি ভালোবাসি।মন এমন এক অদৃশ্য জগৎ সেখানে যত তাড়াতাড়ি স্থান নেওয়া যায় চাইলে তত তাড়াতাড়ি স্থান থেকে বাদ দেওয়া যায়। এতমাস তোমার সাথে আমি সংসার করছি সে হিসেবে তোমাকে আমার কিছুটা ভালো লাগে কিছুটা মায়া লাগে কিন্তু ভালোবাসি কিনা বা ভালোবাসা আছে কিনা জানি না তবে আমি সত্যি কথা বলতে চাই একটা?সেটা হলো তোমার সঙ্গ আমার ভালো লাগে,তোমার অনুপস্থিতিতে আমি বিরক্ত হয়,আর আমার দৈনন্দিন জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তুমি একদম ভালোভাবে অভ্যাসে পরিণত হয়েছো।তাই তুমি চাইলে আমার জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারো তবে আগেও বলেছি এখনো বলছি আমি কখনো তোমার মতো করে তোমাকে বলতে পারবো না ভালোবাসি,কারণ ওসবে আমার মনটা ভেঙে গেছে তাই চট করে আমি আর কোনোকিছুতে জড়াতে চাই না।আর তুরফার বিষয়টা দেখে হঠাৎ করে শুভাকে নিয়ে আমি চিন্তায় ছিলাম।শুভা যতই শান্ত আর নম্র হোক একবার যখন প্রেমে পড়েছে সে যে তুরফার মতো কাজ করবে না এটার গ্যারান্টি কি?তাই আমি নিজ দায়িত্বে মাকে রাজি করিয়ে নীলকে সিলেট থেকে আনিয়ে তাদের এক হওয়ার প্রথম ধাপটা পূরণ করলাম।আশা করি এবার দুজনে সুন্দর জীবনের লোভে হলেও ভালো করে লেখাপড়ায় মন দিবে।আর হ্যাঁ তুমিও আমাকে নিয়ে ভেবো না।আমি এখন আর কাউকে নিয়ে ভাবার সময় পাবো না,তুমি তোমার মতো চলো আমি আমার মতো।তবে আমি প্রত্যাশা করবো এই যে মুখে ভালোবাসা বলা নিয়ে আমার প্রতি তোমার যে আক্ষেপ সেটা এখনের সব কথা শোনার পর তোমার আর থাকবে না।আর থাকলেও আমার কিছু করার নেই। সামনে পরীক্ষা ভালোমতো পড়াশোনা করো আর হ্যাঁ দুষ্টমির মাত্রাটা কমাও।যাও অনেক রাত হয়েছে, সারাদিন কাজ করেছো এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
শুভ্র ছোট ছোট পা ফেলে চলে গেলো তবে সিড়ির কাছে গিয়ে একবার পেছনে তাকালো দেখলো তিমির চোখ মুছছে।শুভ্র একটা নিঃশ্বাস ফেলে নেমে গেলো।
তিমির রুমে আসতেই দেখলো শুভা শুয়ে পড়েছে।তিমির বিছানায় শুয়ে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে রইলো। আজ শুভ্র যা বলেছে তার সবগুলো তিতা সত্য।আসলেই তো শুভ্রর জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ তিমিরের মনে হলো ভালোবাসার মানুষ হঠাৎ অন্য কারো হয়ে যাওয়া বা তাদের কাছ থেকে ঠকিয়ে যাওয়ার মতো বড় কষ্ট আর নেই। তিমিরের সাথে হালকা একটু ঘটনা হওয়াতে সে নিজের ভেতর যে কষ্ট পেলো তাহলে শুভ্র তো তারচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছে।এভাবে তার কাছে নিজের চাওয়াটা বলা মানেই মানসিক ভাবে তাকে প্রেশার দেওয়া।তিমিরের চোখ থেকে জল পড়ছে।সে নিজের মনকে বোঝালো, আজকের পর থেকে সে শুভ্রকে আর বিরক্ত করবে না,শুভ্রকে তার মতো করে থাকতে দিবে,কখনো জোর করবে না ভালোবাসার কথা বলতে।তিমির নিজেকে গুটিয়ে নিবে।মানুষ ্টা মনের কষ্টকে চেপে রেখে যে তাকে বারবার সুযোগ দিচ্ছে সেটাও বেশি।বিয়ের পর থেকে শুভ্র তাকে কতভাবে সুযোগ দিলো কিন্তু তিমির সামান্য শুভ্রর একটা বিষয়ে তাকে কতটা কঠিন কঠিন কথা শুনালো?তিমির শুভার দিকে তাকাতে দেখলো, ঘুমের মাঝেও শুভা হাসছে।তিমির চুলে হাত বুলিয়ে দিলো।আসলে ভালোবাসার মানুষ ্কে নিজের করে পাওয়াতেও সুখ সেটা তিমির বুঝে গেছে। না বলুক শুভ্র তাকে ভালেবাসে,না জাগুক শুভ্রর মনে প্রেম তবুও তিমির তাকে ভালোবাসবে,এক পাক্ষিক ভালোবাসা নিয়ে কি সংসার চলে না?তাহলে শত শত মানুষ যারা প্রেম বিসর্জন দিয়ে অন্যজনের সাথে সংসার করে তারা কীভাবে চলে?এত হিসাব নিয়ে চললে তো তিমিরকে বাধ্য হয়ে শুভ্রকে ছাড়তে হবে কিন্তু তিমির সেটা করবে না?শুভ্রকে বড্ড ভালোবাসে তবে চেষ্টা করবে শুভ্রর মনে তার জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করার যদি সম্ভব না হয় তবে সে একাই ভালোবাসবে।তবে এটা তো সত্যি শুভ্রর মনে তুরফা বা তিমির কেউ নেই তাই সেখানে তিমিরকে বসতে হলে বিপরীত চরিত্র ্টা বেচে নিতে হবে তিমিরের।এতদিন সে শুভ্রর সাথে নিজের দুষ্টমির চরিত্র ্টা দেখিয়েছে এখন দেখাবে নিজের রূঢ় ব্যবহার ্টা।এবং গায়ে পড়াটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে যদিও শুভ্রর থেকে দূরত্ব সে নিতে পারবে না তবুও এ পুরুষের মনে জায়গা নিতে তাকে এবার পন্থা পরিবর্তন করতে হবে।
,
,
,
চলবে……….
)