ফিলোফোবিয়া পর্ব -৩০

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির )

৩০.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

অনেক বছর পর আবার সেই চিরচেনা পথ। কিছু কি বদলেছে এই পথে? হ্যাঁ, সবটাই বদলে গেছে। শুধু অনুভূতিটাই পুরানো রয়ে গেছে। জানালার দিক মাথা ঝুঁকে দিলো প্রিয়। মলিন বিকেল। সূর্যের নরম আলোয় ছড়াছড়ি চারিদিক। মৃদু বাতাস। চোখ বুঝে নিলো প্রিয়। বাতাসে যেন মিষ্টি অদ্ভুদ ঘ্রাণ। মুচড়ে উঠলো বুক। স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠল দুইহাজার এগারো’র সেই বিকেল। উদাস হাসলো প্রিয়।
আচমকা জোরে হর্ণ বাজলো। গাড়ি ইমান্দিপুর এসে চেয়ারম্যান বাড়ির গলিতে ঢুকছে। শত শত লোকের সমাগম। ভিড় ঠেলে ভিতরে যাচ্ছে। নতুন বউকে দেখতে উদ্রিক্ত সবাই। গাড়ির কাচের ধারে এসে ঝুকে পড়ছে। সজোরে বাজছে ব্যান্ড বাজনার আওয়াজ। কাচের বাহিরের মানুষ গুলো, ‘বড় সাহেব, ‘বড় সাহেব’ বলে চিল্লাচ্ছে। হতভম্ব প্রিয়। শতাব্দকে সবাই ‘বড় সাহেব’ বলছে কেন? এত বছরে কি বিরাট কিছু পরিবর্তন এসেছে ইমান্দিপুরে?
লোকজনের উদ্রিক্ত আচরণ দেখে, প্রিয় বরাবরই বিমূঢ়, হতভম্ব। একটা সময় এই সমাজের লোকজন তাকে হে*নস্তা করেছিল। ব্যা*শা বলতেও দ্বিধাবোধ করেনি। আজ এই সমাজের সেই মানুষ গুলোই ফুল হাতে নত মাথায় স্বাগতম করতে দাঁড়িয়ে। সময় কি আশ্চর্য! তাইনা?
প্রিয়’র দিক ঝুকে এলো শতাব্দ। কপালের অবাধ্য কেশ গুছিয়ে দিয়ে। কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলল,
‘একদিন যেই সমাজের মানুষ গুলো তোমার দিক আঙুল তুলেছিল, আজ সেই সমাজকে তোমার পদতলে এনে দিয়েছি প্রিয়।’
আশ্চর্যজনক চাহনিতে তাকাল প্রিয়। শতাব্দের দৃষ্টিতে অদ্ভুত এক চমক। গাড়ির দরজা খোলার আওয়াজে সামনে তাকালো। চেয়ারম্যান সকলে স্বাগতম করতে দাঁড়িয়ে। বুক ফুলিয়ে শ্বাস ফেলল। ঠোঁটের কোণে নিদারুণ রহস্যময় হাসি টেনে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াল। আশেপাশের লোকজন প্রিয়কে দেখে হতভম্ব। এত গানবাজনার মাঝেও ফিসফিস গুঞ্জন আওয়াজ। প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি সকলের।
ব্যাপারটা বেশ ভালোই উপভোগ করছে প্রিয়। কার জন্য, কি কারণে এই মানুষ গুলো তার সামনে নত তা গুরুত্বপূর্ণ না! গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যেই মানুষ গুলো একদিন তার উপর আঙুল তুলেছিল আজ নত মাথায় ঝুকে আছে তারা। এরচেয়ে প্রশান্তি’র কিছু আছে কি? ঠোঁট মেলে চমৎকার হাসলো।বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে সামনের দিক পা বাড়ালো।

চেয়ারম্যান বাড়ির সদর দরজায় দাঁড়িয়ে আছে অভিলাষা। আবেগাপ্লুত অশ্রুভারাক্রান্ত চোখ। এই দিনটার জন্য কত বছর অপেক্ষা করেছে। দরজার সামনে আসতেই অভিলাষা বেগম বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রিয়’কে। দু’গাল ছুঁয়ে কপালে চুমু দিলেন। টলমল দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন,
‘ চোখের শান্তি! এই দৃশ্য দেখার জন্য কত বছর অপেক্ষা করেছি। অবশেষে পূর্নতা তা পেল।’
গহনার বাক্স থেকে সাতপাল্লার সিতা হারটা বের করে প্রিয়’র গলায় পড়িয়ে দিলো অভিলাষা। মাথায় হাত রেখে দোয়া করলেন। মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়।
প্রিয়’র আগমনে চেয়ারম্যান বাড়ির কারো কারো মুখ জ্যোত্স্নার মত হাস্যোজ্জ্বল, কারো আবার অন্ধকার আমাবস্যা কালো! যেমন, শাদ। ছোট থেকেই প্রিয়কে অপছন্দ। কখনো পছন্দ ছিলনা তার। প্রিয় ভাইয়ের বউ রূপে তো একদমই নয়।
আচমকাই একটা মেয়ে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো প্রিয়কে।চেহারা না দেখলেও অনুভূতিতে ঠিক চিনলো। মেয়েটা জুবাইদা। ছলছল করে উঠল প্রিয়’র চোখ। এতবছর এই মানুষটাকে খুব মনে করেছে সে।
জুবাইদা অভিযোগ করে বলল,
‘ তোকে অনেক মিস করেছি প্রিয়। অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। খুঁজে পাইনি কোথাও।’
চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়। কি উত্তর দিবে জুবাইদাকে? যে ইচ্ছে করে যোগাযোগের কোন পথ খোলা রাখেনি সে। ভার্চুয়ালে ব্লক করে রেখেছিল অতীতের সবাইকে!
চোখ মুছে জুবাইদা গদগদ করে বলল,
‘ ফাইনালি! সত্যি সত্যি তুই আমার ভাবি হয়ে গেছিস প্রিয়। শতাব্দ ভাই কথা রেখেছে, তোকে জয় করে নিয়েছে।’
শতাব্দের বিজয়ী মুখখানায়, গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকালো প্রিয়।

সবে সন্ধ্যা নামছে তখন। বিয়ের খবর কানে আসতেই, মেয়েকে নিয়ে ছুটে এসেছে ছবি বেগম। বাড়িতে এসেই চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করলেন। হাঁকডাক দিয়ে বললেন,
‘ আমি কি তোমাদের খুব পর হয়ে গেছি ভাবি। রাতারাতি দুই ছেলেকে বিয়ে করিয়ে আনলে, একবার জানানোরও প্রয়োজনবোধ করলে না!’
অভিলাষা জলখাবারের ব্যবস্থা করছিল। বাড়ি ভর্তি মেহমান। এমন সময় ছবি বেগমের এসেই চিৎকার, চেঁচামেচিতে বিরক্ত হলেন। কপালের বিরক্তির রেখা মিলিয়ে। হাতের কাজে মনযোগ দিলেন আবার। ছবি বেগম আরো ক্ষিপ্ত হলো যেন। ডাইনিং টেবিলের কাছে যেয়ে অভিলাষা বেগমের মুখোমুখি হয়ে বললেন,
‘ শতাব্দ, সমুদ্র আমার ভাতিজা। ওদের উপর আমারও অধিকার আছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে কি করে বিয়ে করিয়ে আনলে ভাবি?’
থালায় মিষ্টি তুলতে রাখতে রাখতে বেশ স্বাভাবিক স্বরে বললেন,
‘ বিয়েতে যেন কোন ঝা*মেলা না হয় তাই, শতাব্দ চায়নি কাউকে জানাতে। বিশেষ করে তোমাকে।’
ছবি বেগম হতভম্ব সুরে বললেন,
‘ আমি আমার ভাতিজাদের বিয়েতে ঝা*মেলা করবো ভাবি? আমার সম্পর্কে এই ধারণা শতাব্দে’র! মানছি লুবনার সাথে বিয়ে হচ্ছিলো। বিয়ের দিন আসেনি তোমার ছেলে।হাজার হাজার লোকের সামনে আমার নাক কান কা*টিয়েছে। তাই বলে কি প্রতি*শোধ নিবো? তোমার ছেলের বিয়ে ভাঙ্গবো।’
অভিলাষা শান্ত দৃষ্টিতে চুপচাপ তাকিয়ে। ছবিকে বেশ ভালো করে চিনে। মুখে মধু অন্তরে বিষ। বেশ কৌশল খাটিয়ে কথার জালে পেঁচিয়ে নিরবে হু*মকি দিচ্ছে। তার এসব হু*মকি ধ*মকি ধার ধারেনা শতাব্দ তা কি এখনো বুঝেনা সে!
অভিলাষা বেগম বেশ নরম স্বরে বললেন,
‘ এসেছ যখন থেকে যাও কয়েকদিন। দুইদিন পর ছেলেদের বৌভাত। আগামীকাল এমনিতেও তোমার ভাইজান দাওয়াত নিয়ে যেত তোমাদের বাড়ি।’
অভিলাষার কথায় তেলে বেগুনে জ্ব*লে উঠল ছবি। যেখানে তার মেয়ের থাকার কথা। সেখানে কোথাকার কোন মেয়ে এসে জুড়ে বসেছে। ঘটা আয়োজন করে তাকে নিয়ে আহ্লাদ করা হবে সেইসব দুচোখে দেখতে হবে। ভেবেই রাগে কিড়মিড়িয়ে উঠল ছবি। মুখ বাকিয়ে বলল,
‘ কোন বাড়ির মেয়ে বাপপরিচয়, বংশ-বিদ্যা দেখে এনেছ তো? বাপের টাকাপয়সা আছেনি। চেহারা সুরত সুন্দর আছে কিছু! যেখান থেকেই আনো না কেন! আমার লুবনার মত পাঁচেপদে কাউরে পাইবা না। তোমার ছেলে মারাত্*মক একটা ভুল করলো ভাবি। মারাত্*মক ভুল।’
অভিলাষা ঠোঁট মেলে মৃদু হাসলো। বলল,
‘ মেয়ে শতাব্দের পছন্দের। সম্মানিত পরিবারের। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে। পাশাপাশি দেশের বেশ পরিচিত শাড়ি ব্রেন্ডের ব্র্যান্ড প্রমোটর। রঙরূপে চোখ ধাধানো সুন্দরী।’
ছবি বেগম চুপসে গেল। কিন্তু দমলো না। গলা উঁচিয়ে বলল,
‘ তাই নাকি! তাহলে তো চমৎকারী মেয়েটাকে দেখতে হয় একবার।’

দোতলার সিড়ি কোটার পাশে খালি জায়গাটায় নতুন বউদের বসানো হয়েছে। সেখানেই মুখ দেখার আয়োজন করেছে। আসার পর থেকে প্রিয় এখানে বসে। একজনের পর একজন। কেউ না কেউ আছে সদা। বসে থাকতে থাকতে কোমরের হাঁড় শিথিল হওয়ার উপক্রম। মনে মনে প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছে প্রিয়। এভাবে বসে থাকবে আর কতক্ষণ!
কিছু প্রশ্ন জেগেছে প্রিয়’র মনে। উত্তর শুধু শতাব্দ’ই জানে। যতক্ষণ না জানতে পারছে, ছটফট করবে সারাক্ষণ। মাঝে দুবার শতাব্দের সাথে চোখাচোখি হয়েছিল। আসার পর থেকে প্রচন্ড ব্যস্ত সে। নিরিবিলি কথা বলার মত সময় নেই তার।

শেষ সিড়িতে পা রাখতেই হতভম্ব ছবি বেগম। যেন আকাশ থেকে পড়লেন। যা দেখছে সত্যি! দুঃস্বপ্ন নয়তো কোন? আয়শার মেয়ে! ‘প্রিয়’? এতবছর পর আবার সেই মুখ!
প্রিয়’ই কি শতাব্দের বউ। হুবহু সেই চোখ, সেই মুখ। আয়শার মত তীর্*যক চাহনি তার।
মাথা আউলে গেল তার। রাগে কিড়মিড়িয়ে উঠল গা। মনে হলো, প্রচন্ড জোরে কেউ তার গালে থা*প্পড় মা*রলো। কিছু আঘা*তের শব্দ হয়না। ছাপ থাকে শুধু। প্রিয় সেই ছাপ। যতবার প্রিয়কে দেখবে ততবার এই আঘা*তটা অনুভব করবে। এই চেহারাটাকে প্রচন্ডরকম ঘৃ*ণা করে। তার সতীনের মেয়ে তারই বাপের বাড়িতে রাজত্ব করবে? পায়ের উপর পা তুলে রাজধানী হয়ে থাকবে! অতীত আবারো পুর্নাবৃত্তি হচ্ছে। আয়শা তার সাথে যা যা করেছে। এখন ওর মেয়ে লুবনার সাথে একই কাজ করছে। যা লুবনার হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রিয়’র রাজত্ব। আর যাইহোক প্রিয়’কে সহ্য করবেনা সে। হাজার হোক সতিনের মেয়ে।
কত কারসাজি করে শোয়েবকে হাসিল করেছে। এখন শতাব্দকে নিয়েও কি আবারো একই লড়াই ল*ড়তে হবে! প্রিয় কি আদৌ জানে সে আয়শা আর শোয়েবের মেয়ে।
অসহ্য, সেদিনই মে*রে ফেলত যদি পথের কা*টা হয়ে শতাব্দ না দাঁড়াত। এখন কিছু করা যাবেনা। ক্ষমতা এখন শতাব্দের হাতে। শাহরিয়ার সাহেব চেয়ারম্যান হলেও পেছন থেকে শতাব্দ সব কলকাঠি নাড়ে। হাতেকাছে ইলেকশন শতাব্দ’র সাহায্যের ভীষণ প্রয়োজন। এখন কিছু করে, বাড়া ভাতে পানি ঢালবে না সে।

ছবি বেগমকে হতভম্ব দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, উঠে দাঁড়ালো প্রিয়। তির্যক ধা*রালো চাহনি তার। ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিত রহস্যময় হাসি। যেন আয়শার প্রতিবিম্ব। এগিয়ে এলো প্রিয়, ছবি বেগমকে জড়িয়ে ধরল। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ ভাগ্যের লেখা যায়না খন্ডন। বলেছিলাম, জ্বালিয়ে দিবো। আপনার অহং*কার দ*ম্ভ মাটিতে মিলিয়ে দিবো। কথার খেলাফ করি না আমি। অপেক্ষা করুন, দেখুন।’
ছবি বেগম ফুলেফেঁপে উঠলেন। প্রত্যুত্তরে প্রিয় মিষ্টি হাসলো।

‘ তোমার সবসময় ওই মেয়েটাকেই পছন্দ ছিল তাই না শতাব্দ ভাই? এই মেয়েটার জন্যই আমাদের বিয়ের দিন আসোনি তুমি। আমার সাথে কেন এমন করলে? কেন?’
গিজগিজ অন্ধকারে লুবনার রাগী গর্জন। ক্রো*ধে উসখুস করছে সে। শতাব্দ শান্ত, স্বাভাবিক। শতাব্দের এমন স্বাভাবিক আচরণ তার রাগ বাড়াচ্ছে আরো। চেঁচিয়ে উঠল সে। বলল,
‘ এই মেয়েটার জন্য হাজার হাজার মানুষের সামনে অপমান হয়েছি। তুমি কি ভাবছ, ছেড়ে দিবো মেয়েটাকে। উহু, খু*ন করে ফেলবো ওকে। আমার ক্রি*মিনাল রেকর্ড তো তোমার জানাই আছে।’
খপ করে লুবনার গলা চেপে ধরলো শতাব্দ। চোখেমুখে ভয়া*নক রাগ। ভ*স্ম করা চাহনি। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
‘ ডোন্ট ডেয়ার। ওর দিক চোখ তুলে তাকালে, আমি কি করতে পারি নিশ্চিত জানা আছে তোর? এতবছর এই দিনটার অপেক্ষা ছিলাম। তাই কোন ঝামেলা চাইছিনা আপাতত। ঊষ্ণচড় রওনা হবি আগামীকাল সকাল সকাল।’
লুবনা কেঁদে ফেলল। বলল,
‘ সেই ছোট থেকে তোমায় ভালোবাসি। আমার সাথে কেন করলে এমন?’
‘ উত্তরটা তোর সত্যিই অজানা?’
লুবনা পিটপিট দৃষ্টিতে তাকালো। শতাব্দ লুবনার গলা ছেড়ে দিলো। রেলিং-এর পাশ ঘেঁষে সিগারেট জ্বা*লিয়ে বাঁকা হেসে বলল,
‘ রি*ভেঞ্জ অফ নেচার! অপমা*নের বদলে অপ*মান। তোর মা আর তোর জন্য দরকার ছিল তা। প্রিয় শুধু আমার। জন্ম থেকে লিখিত। আমাদের সম্পর্ক ঠিক কত বছর পুরানো তা কল্পনাও করতে পারনেনা কেউ।’
মাথা নেড়ে উঠলো লুবনা। চট করে শতাব্দের হাত চেপে ধরলো। বলল,
‘ ওর থেকে কি কমতি আছে আমার? আমাকে ভালোবাসলে না কেন? ‘
‘ ওর সাথে অন্যকারো তুলনা হয়না। অতুলনীয়! আমার প্রাণপ্রিয়।’

আচমকাই ঘরের দরজা খুলল। শতাব্দের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে লুবনা। হাত ঝাড়ি দিয়ে ছাড়িয়ে নিলো শতাব্দ। প্রিয় বেশ স্বাভাবিক। লাগেজ থেকে ফোনের চার্জ বের করতে করতে ব্যস্ত স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
‘ দরজা নক করার দরকার ছিল, সরি! চার্জার নিতে এসেছিলাম। ইউ গাইছ ক্যারি অন।’
ঘর থেকে বেরিয়ে গেল প্রিয়। হতাশ শ্বাস ফেলল শতাব্দ। প্রিয়’র পেছনে গেল। হাত টেনে থামালো। অস্থির সে। ব্যস্ত স্বরে বলল,
‘ তুমি যেমন ভাবছ, এমন কিছুনা। আসলে..
থামিয়ে দিলো প্রিয়। বেশ স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
‘ যেমনই হোক। আই ডোন্ট কেয়ার। অনেস্টলি, আপনি কার সাথে কি করলেন এতে আমার কিছু আসে যায়না। আমার উদ্দেশ্য আপনি নন!’
হাত ছাড়িয়ে চলে গেল প্রিয়। নিমিষ দৃষ্টিতে প্রিয়’র যাওয়ার দিক চেয়ে রইল শতাব্দ।

চলবে…….

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি: Maksuda Ratna আপু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here