ফিলোফোবিয়া পর্ব -৩৯

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির )

৩৯.

(কার্টেসী ছাড়া কপি নিষেধ )

জাফর ভাই,

কোথা থেকে শুরু করব, বুঝে উঠতে পারছিনা। আপনাকে আমার অন্ধকার জীবনের উজ্জ্বল আলো বললে ভুল হবেনা। গায়ের চামড়া কে*টে যদি আপনার পায়ের জুতা বানিয়ে দেই তবুও এই ঋণ শোধ করতে পারব না। আমার নিজের কোন ভাই নেই! থাকলে হয়তো আপনার মতই হতো। আমেনা আমি পিঠাপিঠি ছিলাম। ও যতটা আব্বার বাধ্য সন্তান ছিল, আমি ঠিক ততটাই অবাধ্য ছিলাম। বিয়ের ব্যাপারে আমেনাকে আপোষে রাজি করতে পারলেও, আমাকে বাধ্য করতে পারেনি। আমার চোখে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তাই আব্বা বাধ্য হয়ে প্রথমে আমেনাকেই বিয়ের পিড়িতে বসালো। বিয়ের পরপর-ই বড় ভাইয়ের মত আমার পাশে দাঁড়ালেন। আমার লেখাপড়ার স্বপ্ন, ঢাকায় থাকার ব্যাপারে আব্বাকে বুঝিয়ে বললেন। আপনার কারণেই আমার ঢাকায় যেয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু ঢাকায় এসে চারদিকের চাকচিক্যময় দুনিয়া দেখে, মোহের ঘোরে পড়লাম। শোয়েবের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গেলাম। বাবা মা, বোন সব রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করে শুধু তাকেই চাইলাম। দুজনে ঘর বাঁধলাম। সংসার সাজালাম। তখনো জানতাম না আমার এই একটা ভুল, কাল হয়ে দাঁড়াবে আমার। মন প্রাণ সবটা দিয়ে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু সে আমাকে ভালোবাসলো না। ঠকালো! গ্রামের যেয়ে ছবিকে বিয়ে করে নিলো। তখন আমি অন্ত: সত্ত্বা। গ্রামে গেলাম। ওর আর ওর মায়ের কাছে কত আহাজারি করলাম। মানলো না! সেদিন প্রচন্ড আঘা*ত পেয়েছিলাম। নিজের প্রতি, গর্ভের সন্তানের প্রতি প্রচন্ড ঘৃ*ণা জন্মায় আমার। আয়নায় নিজেকে দেখতাম আর ভাবতাম এই সন্তান ওই অমানুষ, বেই*মানটার চিহ্ন। ওর বেঁচে থাকার অধিকার নাই কোন। তাই গর্ভপা*ত করবো বলে ঠিক করলাম। ডাক্তার বারবার নিষেধ করল। বলল, এতে আমার প্রাণ যাওয়ার ঝুঁকি আছে। মানলাম না, হাসপাতালে গেলাম। যেই অপারেশন রুমে ঢুকব অমনি অভিলাষা, শাহরিয়ার সাহেব এলো। তিনি চেয়ারম্যান হয়নি তখনো।অভিলাষা হাজার বুঝাল। আমার গর্ভের বাচ্চার পুরো দায়িত্ব নিতে চাইল। যেই অধিকার আমি পাইনি। সেই অধিকার আমার সন্তানকে দিবে বলে প্রস্তাব রাখল।আমি মানলাম না। গর্ভপা*ত করাতে উঠেপড়ে লাগলাম। বড় ডাক্তার এলো। পুনরায় পরিক্ষা নীরিক্ষা হলো। সব রিপোর্ট দেখে বলল, এইসময় এসে গর্ভপা*ত করা সম্ভব না। তারা কোন প্রকার রিস্ক নিতে পারবেনা। বাধ্য হয়ে বাচ্চাকে আমার রাখতে হলো। অভিলাষা অনেক জোরাজোরি করে নিজের সাথে ঢাকার বাড়িতে নিয়ে গেল। ভাইয়ের পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ আমার আর গর্ভের সন্তানের খেয়াল রাখলো। সেই নয় মাস প্রতিটি মুহূর্ত আমি ঘৃণার আগুনে পু*ড়েছি। ওই বিশ্বাস ঘা*তকের চিহ্ন বয়ে ক্ষণে ক্ষণে ম*রেছি। এই সন্তান আমার জীবনের কালোরাতের অভি*শাপ!
বাচ্চা জন্ম হলো। কন্যসন্তানের মা হলাম। জন্মের পর তার মুখটা পর্যন্ত দেখলাম না। এতিমখানায় দিতে চাইলে, আপনি আমেনা এসে বাঁধ সাজলেন। তৃতীয় সন্তানের চেষ্টায় তখন সবে মিসক্যারেজ হয়েছিল আমেনার। ভেঙ্গে পড়েছিল আমার বোনটা। গর্ভের সন্তান হারিয়ে এক প্রকার পাগলের মত হয়ে গেছিল। হাসপাতালে দেখতে এসে নবজাতক কন্যাটাকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলল। করুন কন্ঠে আবদার করে বলল, এই বাচ্চাটাকে আমায় দিবে আপা? প্রথমে রাজি না হলেও। বোনের করুন কান্না দেখে রাজি হলাম। শর্ত জুড়ে দিলাম, এই মেয়ে যেন কোনদিন সামনে না আসে আমার। মেয়ের মুখ না দেখেই চলে গেলাম। পড়াশোনা শেষ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ইমান্দিপুরে ফিরে গেলাম। মাঝে পাঁচ বছর কে*টে গেল।এরই মাঝে একদিন জানতে পারলাম, আপনারা সেই মেয়েটির নাম রেখেছেন ‘প্রিয়’। দেখার প্রচন্ড ইচ্ছা জাগলো। মনের ভেতর মাতৃত্বের টান জন্মালো। নিজেকে অনেক বুঝাতে চেষ্টা করলাম, পারলাম না। একপ্রকার ছুটে এলাম ঢাকায়। পাঁচ বছরে, সেই প্রথমবার আমার প্রিয়’কে দেখলাম। ছোট ছোট হাত, পা মায়াভরা মুখ। হুবহু আমার প্রতিরূপ। আমারি ছায়া । বুকে জড়িয়ে নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে চাইলাম। অদ্ভুত ভাবে পারলাম না। চোখ ভিজলো না। কোন এক স্বত্বা ভেতর থেকে আটকালো। কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, ‘ ওর কাছে যেও না। ও তোমার না, ওই বিশ্বাসঘা*তক, অমানুষটার চিহ্ন ‘ আমি দূরদূর করে সামনে থেকে তাড়িয়ে দিলাম। নিজেকে নিয়ে ভয় হচ্ছিলো, মেয়েটাকে কাছে পেয়ে রাগের বসে, কোন ক্ষ*তি করে ফেলবো না তো? কোনরকম ছুটে আসি সেদিন। এরপর অনেক দিন আবারো মুখোমুখি হই। ওইবার আর প্রথমবারের মত রাগ হয়না তবে রুখা স্বভাব দেখিয়ে এড়িয়ে যাই। এমন ভাবে চলতে থাকে দিন। প্রিয়’র প্রতি মায়া জন্মালেও লুকিয়ে রাখতাম। যার জন্মের পর চেহারা পর্যন্ত দেখতে চাইনি, এতো বছর পর মায়া বাড়ানোর কি দরকার। থাকনা আপনাদের মেয়ে হয়ে মায়া দেখিয়ে কি লাভ! সবকিছু ঠিক চলছিল। অমনি প্রিতী আত্মহ*ত্যা করল। সেখান থেকে প্রিয় মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে, ভেঙ্গে পড়ল। নিজের মেয়ের এমন দুর্দশা দেখতে পারছিলাম না। প্রথমবার মাতৃত্বের অধিকার খাটালাম। নিজের সাথে ইমান্দিপুর নিয়ে আসলাম। ধীরেধীরে সন্তানের প্রতি মায়া ভালোবাসা অনুভব করলাম। ভেবেছিলাম সুন্দর একটা জীবন উপহার দিতে পারবো প্রিয়’কে। আমি ভুল ছিলাম! ইমান্দিপুর এসে প্রিয় আমার পথেই হাঁটল। ভালোবেসে ফেলল শতাব্দকে। শতাব্দ আমার অপছন্দ না, বেশ পছন্দের। কিন্তু আমি চাইনি প্রিয় সেই জ*ঘন্য অতীত, শোয়েবের মুখোমুখি হোক। অনেক বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, পারিনি। শতাব্দ-ই বোধহয় ছিল তার নিয়তি। অমনি একদিন আষাঢ়ের কালো মেঘ হয়ে শোয়েব ইমান্দিপুর এলো। অনেক বছর পর মুখোমুখি হয়ে ভ*য়ংঙ্ক কান্ড বাঁধালো। আমি কোনদিন চাইনি প্রিয়, শোয়েব দুজন দুজনের পরিচয় জানুক। অভিলাষা চেয়ারম্যান সাহেব কেউ এব্যাপারে কারো সামনে মুখ খুলেনি কোনদিন। কিন্তু শোয়েবের আগমনে সব এলোমেলো ঘটলো। সমাজের সামনে নিজের মেয়ের কলঙ্গ রটালো। আমি সবসময় চেয়েছি প্রিয়’র সুন্দর ভবিষ্যৎ হোক। আত্মনির্ভরশীল, আত্মসম্মানবাদী প্রিয় হোক। কিন্তু আমি পারিনি। পারিনি জাফর ভাই! ওই লোকটা এসে তোলপাড় করে দিয়েছে সব। আজ নিজের আত্মসম্মান, মানমর্যাদা হারিয়ে আমি নিঃস্ব। না পারলাম নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে। না পারলাম ভালো মা হতে। মেয়ের মুখে মা ডাক না শোনার আফসোস থাকবে। সেই সাথে শান্তি মিলবে, আমার মেয়েটা তোমাদের কাছে আছে। ভালো বাবা মা আর গোছানো একটা পরিবার পেয়েছে। আমি আপনার চিরকৃতজ্ঞ।চারদিকে এত মিথ্যা অ*পবাদ নিয়ে বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। এই মিছে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে, আমি একটু শান্তি চাই। আমার প্রিয়’র খেয়াল রাখবেন। প্রিয় যেন কখনো না জানতে পারে, সে এই অভাগী মায়ের মেয়ে।

ইতি,
আপনার ছোটবোন আয়শা

চিঠি পড়ে হতভম্ব প্রিয়। চোখজোড়া থেকে অশ্রু ঝরছে টপটপ। এতবছর জেনে আসা এই পরিচয়, অস্তিত্ব মিথ্যা সব! সে তার বাবা মায়ের না, শোয়েব হক আর খালার সন্তান! মাথা চক্কর দিলো। থম করে মাটিতে বসে পড়লো। পৃথিবীতে যেই মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃ*ণা করে, সেই মানুষটা তার বাবা! তার জন্মদাত্রী মা তাকে দুনিয়াতে আনতে চায়নি। জন্মের পর মুখটা পর্যন্ত দেখেনি। এতটা ঘৃ*ণা করত! এতটা। সে তার মায়ের জন্য অভিশাপ ছিল চিরকাল। মাথা কাজ করছেনা প্রিয়’র পাথর বনে মাটিতে বসে রইল।

রহিমা খালার ফোন পেয়ে, হাসপাতাল থেকে একপ্রকার ছুটে আসলো শতাব্দ। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বসে আছে প্রিয়। অনেক ডাকাডাকির পরও খুলছেনা। দুয়ারে কয়েকবার করাঘাত করল। ভেতর থেকে আওয়াজ এলো না কোন। এবার ভয় করতে শুরু করল শতাব্দের।
হন্যহন্য হয়ে ঘরের চাবি খুঁজতে শুরু করল। পেল না। সব চাবি একত্রে বন্ধ ঘরের ভেতরে রাখা। দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতে, হতভম্ব শতাব্দ। বিছানার পাশে পড়ে আছে রক্*তাক্ত প্রিয়। পাশেই ধারালো ছু*রিটা পড়ে। হাতের কব্জি থেকে গলগল করে র*ক্ত ঝরছে। সেই র*ক্তে ফ্লোর ভিজে। র*ক্তিম মেঝেতে চিঠিটা ভিজে লেপ্টে আছে। কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল সে। কি ঘটেছে বুঝতে বাকি রইল না। দ্রুত পায়ে ছুটে গেল প্রিয়’র কাছে। কাঁপাকাঁপি হাতে ধরতে চাইল। পারছেনা। ভয় হচ্ছে, সে কাঁপছে থরথর। এতএত মানুষকে রক্*তাক্ত দেখেছে। এমন ভ*য়ংকর অনুভূতি হয়নি কখনো। আজ কেন হচ্ছে! তার সবচেয়ে কাছের মানুষটা র*ক্তাক্ত বলে?
সাহস করে খাবলে ধরল, বুকে জড়িয়ে নিলো প্রিয়’কে। তখনো মৃদু শ্বাস চলছে প্রিয়’র। ঘুটঘুটে অন্ধকারে যেন নিভুনিভু দ্বীপ জ্বলে উঠল। গলা হাঁকিয়ে ড্রাইভারকে ডাকল। দ্রুত গাড়ি বের করতে বলে। প্রিয়’কে পাজকোলে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল।

ইমার্জেন্সি রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দ। সারা শরীর র*ক্তে মেখে। চোখেমুখে ভয় আ*তঙ্ক। অধৈর্য হাতপা। ছেলেকে দেখে আঁতকে উঠলেন অভিলাষা। খবর পেয়ে, মেজো ছেলে, ছেলের বউয়ের সাথে ছুটে এসেছে কোনরকম।
শক্তপোক্ত মুখ করে পাথর বনে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দ। ভেজা চোখ। ধীর পায়ে ছেলের পাশে যেয়ে দাঁড়ালো অভিলাষা। উষ্কখুষ্ক, অগোছালো চুল। মলিন মুখ। চোখ ভিজে অশ্রু ঝরছে টপটপ। শতাব্দ কাঁদছে!
ছোট থেকেই শতাব্দ খুব বুঝদার। ভীষণ আলাদা রকম ব্যক্তিত্ব! জীবনের অনেক রকম বাজে পরিস্থীতির সম্মুখীন হতে দেখেছে শতাব্দকে। এর আগে অভিলাষা ছেলেকে এমন ভেঙ্গে পড়তে দেখেনি কখনো। এ কি হাল হয়েছে তার মজবুত, অত্যুগ্র ছেলেটার!
ছেলের কাঁধে হাত রাখল। মায়ের স্পর্শে নড়েচড়ে উঠল শতাব্দ। অস্থির হয়ে পড়ল। চোখমুখ অন্যরকম, দিশাহীন পাগলের মত। বিলাপ সুরে বিড়বিড় করে বলল,
‘ মা, আমার প্রিয়, আমার প্রিয়!’
অঝোরে অশ্রু ঝরছে। অভিলাষা ছেলের চোখ মুছে দিলো। শান্ত করার চেষ্টা করল। বুঝানোর স্বরে বলতে লাগল,
‘ সামান্য চোট, ঠিক..
কথা কাটল শতাব্দ। গলা উঁচিয়ে, গর্জন করে বলল,
‘ সামান্য? কত খানি কেটেছে। কত র*ক্ত ঝরেছে। প্রিয় সামান্য কেউ না। ও আমার কাছে অসামান্য। ওকে ছাড়া আমার চলবেনা। ম*রে যাবো মা।’
বুঝদার ছেলেটার এমন অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গেল অভিলাষা। হতভম্ব, বিমূঢ় চেয়ে রইল। প্রিয় শতাব্দের দুর্বলতা মানতো।তবে, প্রাণভোমরা যে তা জানতো না! প্রিয়’র কিছু হলে বাঁচবেনা শতাব্দ। ম*রে যাবে তার ছেলেটা।

দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ‘আপা’ ডেকে হাউমাউ করে কাঁদছে প্রভা। বুকে জড়িয়ে সামলাতে চেষ্টা করল সমুদ্র।
আমেনা বেগম এক কোনায় বসে। স্রষ্টার কাছে হাত তুলে অঝোরে বিলাপ করছে। ভিক্ষা চাইছে মেয়ের জীবন। জাফর সাহেব শক্ত দাঁড়িয়ে ঠাঁই। মনে মনে নিজেকে নিজে বারেবারে প্রশ্ন করছে,
‘ বেঁচে যাবে তো আমার মেয়েটা!’

গভীর রাত। বাহিরে সবাই। প্রিয়’কে আইসিইউতে শিফট করেছে। শরীর থেকে অনেক র*ক্ত ক্ষয় হওয়ায় অবস্থা জটিল। জ্ঞান ফেরার আগ অবধি ডাক্তাররা ঠিকঠাক বলতে পারছেনা কিছু। অঘটন ঘটার আশংকা আছে এখনো। রুমের সামনে থম মেরে বসে আছে শতাব্দ। শুকনো চোখ মুখ। মোবাইল বেজে চলছে অনবরত। ধ্যান ভাঙলো শতাব্দের। ফোন রিসিভ করে কানে ধরল। অপর পাশ থেকে কিছু বলল। শতাব্দ চুপ। উত্তর দিলো না। অপর পাশ হতে অস্থির, উৎকণ্ঠা আওয়াজ। খানিক নীরব থেকে। শতাব্দ নিষ্প্রাণ কন্ঠে বলল,
‘ আমি পরাজিত। রক্ষা করতে পারিনি তাকে। আমার খামখেয়ালিতে, আমার প্রিয় মৃ*ত্যুর সাথে লড়াই করছে।’
প্রচন্ড আওয়াজ হয়ে ফোনটা সংযোগ বিছিন্ন হলো। ফোনের অপর প্রান্তে টুট, টুট আওয়াজ ভাসছে।

চলবে………..

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

টাইপোগ্রাফি : মুগ্ধ তা আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here