বস বর পর্ব ১+২

#বস_বর (পর্ব-১ ও ২)
Part-1
Writer : Eti Chowdhury
.
– চলো….

-কোথায়?

হুট করে যাওয়ার কথা বলায় ইতি অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে রইল। সকাল সকাল হলো কি লোকটার কে জানে।

ইতির কথার কোনো জবাব না দিয়ে রোদ বললেন,

– Just Come…..

বলেই ইতির হাত ধরে এক প্রকার টেনে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো। ইতিকে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। রোদের কর্ম-কান্ডের কোনো হুদিসই পাচ্ছে না ইতি। অবাক হয়ে হা করে থাকা ছাড়া আর কোনো কিছুই করার নেই যেনো ইতির। তবু কিছুটা নিজেকে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

– But Sir আমরা যাচ্ছি কোথায়?

রোদ ইতির কথার কোনো জবাবই দিলো না গাড়ি চালাতে শুরু করল।

রোদের থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ইতি বলল,

– একটু পরে আমার একটা মিটিং আছে। আর ডিলটা খুব Important আমাদের জন্য।

রোদ অফিসে ফোন দিলো রিমিকে,

-হ্যালো রিমি।

– জি Sir

– আজকের আমার আর ইতির যত Appointment আর মিটিং আছে সব Cancel করে দাও।

-But Sir ইতি ম্যামের আজকের মিটিং টা তো….

– আমি যা বলছি তাই করো।

– ওকে Sir.

– আর আমরা আজ অফিসে বেক করবো না।

ইতি অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকালো তর কথা শুনে। মনে মনে বলছে উনি কি বললো এগুলো। আর মুখে বলল,

– মানে কি Sir?

– তোমার এতো কিছু বুঝতে হবে না।

ইতি সারা রাস্তা বার বার জিঙ্গেস করল কোথায় যাচ্ছে তারা কিন্তু লোকটা ইত৭র কথার কোনো জবাবই দিলেন না।

কিছুক্ষণ পর গাড়ি থামলো। রোদ ইতির হাত ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ইতি হা করে আছে। রোদ ইতিকে একটা কাজি অফিসে নিয়ে এসেছে কিন্তু কেনো? ইতির হাত ধরে টেনে তাকে ভিতরে নিয়ে গেলো। অবাক হয়ে বিষ্ময় কাটিয়ে ইতি জিজ্ঞেস করল,

– আমরা এখানে কেনো?

কিন্তু রোদ ইতির কথার কোনো উত্তর না দিয়ে অন্য কিছু মানুষের কাছে এগিয়ে গেলো। কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে হয়ত রোদের বন্ধু। সাদ নামে একজন এগিয়ে এসে বললেন,

– আসলি এতক্ষণে?

– সব রেডি তো?

– হ্যাঁ সব রেডি শুধু তোদের অপেক্ষায় ছিলাম। চল।

– চলো।

রোদ ইতিকে চলো বলতেই ইতি রোদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। বলল,

– চলো মানে? কোথায়?

– উফফ……এতো প্রশ্ন করো কেনো?

রোদ আবার ইতির হাত ধরে ভিতরে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো। আর রোদ নিজে ইতির পাশের চেয়ারটায় বসে পরল। তাদের দুজনের সামনে কাজি। বিয়ে পড়ানো শুরু হলো। ইতি কিছু বুঝে উঠার আগেই সব হয়ে যাচ্ছে। ইতি চেচিয়ে উঠল,

– করছেন কি? এসব হচ্ছে কি?

খুব শান্ত গলায় উত্তর দেয় রোদ,

– বিয়ে।

-বিয়ে মানে কি? কোনো?

– বিয়ে মানে বিয়ে। আমি তোমাকে বিয়ে করছি তাই।

– আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।

সবাই হা হয়ে ইতির দিকে তাকিয়ে রইল।

রোদ কাজি সাহেবকে বললেন,

– ১০মিনিট বসেন আমরা আসছি এখনি।

বলেই রোদ ইতিকে টেনে রুমের বাইরে নিয়ে এলেন,

রুমের বাইরে নিয়ে এসে রোদ বলল,

– তুমি আমাকে বিয়ে করবে না?

– আপনার কি মাথা ঠিক আছে কি বলছেন এসব? আপনি আমার বস আর আমি জাস্ট একজন সাধারণ ইমপ্লই আপনার কোম্পানির। তাহলে কিভাবে আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?

– ওহ….. আমি তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম আমি তোমার বস। তাহলে বসের মতোই কথা বলি।

– মানে??

– মানে তুমি হয়ত ভুলে গেছো কিন্তু আমি ভুলিনি। তুমি কোম্পানি থেকে অনেক বড় একটা লোন নিয়েছো আর কোম্পানিটা আমার।

– Sir আপনি……

ইতি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। রোদ বলল,

– তুমি আমাকে বিয়ে করতে না চাইলে আমি তোমাকে Force করবো না কিন্তু….

– কিন্তু কি?

– এখন এই মুহূর্তে টাকাগুলো ফেরত দিতো হবে তোমায়।

ইতির মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছে না। বাবার অপারেশনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে ছিলো ইতি। যা এখন প্রতিমাসে কিছু কিছু করে দিয়ে দিচ্ছে কিন্তু ইতির বা তার পরিবারের পক্ষে একত্রে এতো গুলো টাকা দেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আর এই মুহুর্তে তো একদমই সম্ভব নয়।

ইতির ভাবনায় ছেদ করে রোদ বলে,

– আই হোপ এখন আর তোমার আমায় বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই। So Lets go….

ইতি আর কিছুই বলতে পারল না বিয়েটা হয়েই গেলো। ইতির কিছুই করার ছিলো না।

রোদের বন্ধু সাদ বলল,

– Congratulations দোস্ত…..

– Thank u দোস্ত তোরা না থাকলে এতো সব কিছু সম্ভব ছিলো না।

ইতি আর রোদের সাথে কোনো কথাই বলেনি। এই মানুষটার সাথে তার একদম কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। খুব বেশি রাগ হচ্ছে। কিন্তু রাগটা কার উপর হচ্ছে তা বুঝতে পারছে না। মনে মনে ভাবছে একটা মানুষ এতো খারাপ হতে পারে। কারো দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কারো সাথে এমনটা করতে পারে। ভাবতেই ইতির কান্না আসছে।

সাদ বলল,

– তোরা হানিমুনে কবে যাচ্ছিস??

– আগে বাসায় যাই।

বলেই ইতির দিকে তাকায় রোদ।

ইতি বাসায় যাবার কথা শুনে রোদের দিকে তাকালো। এখন কার বাসার যাবে সে? নিজের বাসায় নাকি তার বস রোদ চৌধুরীর বাসায়??
.
.
.
চলবে……..
.
.
.
#বস_বর
Part-2
Writer : Eti Chowdhury
.
.
.
ইতি বাসায় যাবার কথা শুনে রোদের দিকে তাকালো। এখন কার বাসার যাবে সে? নিজের বাসায় নাকি তার বস রোদ চৌধুরীর বাসায়??

এর পর কি হবে আল্লাহই জানে।

রোদ গাড়ি চালাচ্ছে। কোনো কথাই বলছে না। ইতির দমবন্ধ হয়ে আসছে ভয়ে। আর রোদ নিজের মতো করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। ইতির দিকে তাকানোর ভ্রুক্ষেপ নেই তার। রোদ ইতিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলো। এর আগে কখনও আসা হয়নি ইতির এই বাড়িতে। কেবল অফিসে সবার মুখে শুনেছে একি বাড়িতে আলাদা আলাদা ফ্লোরে থাকে সব ভাইয়েরা। দুটো বোন বিয়ে হয়েগেছে আমেরিকায় থাকে দুজনই। ভাইদের মধ্যে রোদই সবার ছোট। একা থাকেন আর আজ থেকে হয়ত ইতিও থাকবে তার সাথে।

কোন কথা না বলে রোদ ইতিকে সোজা নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলো। খুব সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো বাসা।

ইতি অনেক্ষন হলো বসে আছে। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তার। অনেকটা সময়পর রোদ এলো। এসে বলল,

– মেঝো ভাইয়া আসবেন। যা বলার আমি বলবো তোমার কিছু বলা লাগবে না। শুধু শুনবা কেমন।

ইতি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো।

কিছুক্ষন পরেই রোদের মেঝো ভাইয়া এলেন। ইতিকে দেখে বললেন,

– এসব কি রোদ?? তাহলে তো যা শুনছি তাই ঠিক মনে হচ্ছে।

– জ্বি, ভাইয়া।

– তা এসব এর মানেটা কি?

– তোমরাই তো বিয়ে বিয়ে করে পাগল করছিলে। আর বিয়ে যেহুত করতেই হবে তাই করে ফেললাম।

– তুমি বিয়ে করেছো এতে আমাদের আপত্তি নেই আর ইতিকে মেনে নিতেও আমাদের আপত্তি নেই তাই বলে এভাবে?

– দেখো ভাইয়া আমার নিজের একটা পছন্দ অপছন্দ আছে আর বিয়েটা আমায় করতে হবে তাই আমি আমার পছন্দ করা মানুষটাকেই আমার মতো করে নিজের করে নিলাম।

রোদের কথা শুনে ইতি অবাক হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবছে মানুষটা বলছে কি সে উনি আমাকে পছন্দ করেন? মনে মনে বলছে ইতি।

রোদ বলল,

– আর অনুষ্ঠানের কথা বলছো সেটা পরে বড় করে পার্টি দিয়ে দিলেই হবে।

– বড় ভাইয়া ফোন দিলে তুমি বুঝেনিও আমি এসব এর মধ্যে নেই আগেই বলে দিলাম।

– আগে ভাইয়া আসুক তারপর দেখা যাবে।

রোদের মেঝো ভাইয়া যাওয়ার আগে ইতির মাথায় হাত দিয়ে সুখী হও বলে দোয়া করে গেলেন। কিন্তু ইতির ঘোর যেনো কাটছেই না। রোদ তাকে পছন্দ করে অথচ সে কখনও বুঝতেই পারেনি ব্যাপারটা আর রোদও ইতিকে তা কখনো বুঝতে দেননি। ভাবতে ভাবতেই রোদের পিছু পিছু তার রুমে মানে আজ থেকে ওদের রুমে গেলো। রোদকে একবার জিঙ্গেস করা দরকার তাই ডাকতে নিবে তার আগেই রোদ পিছনে ঘুরে দাড়িয়ে বলল,

– খুশি হবার কিছু নেই।

– মানে?

– মানেটা খুব সিম্পল আমি তোমাকে পছন্দ টছন্দ করি না। ওই কথাটা জাস্ট বলেছি। কারণ ভাবি আমার জন্য মেয়ে দেখছিলেন আমি তোমাকে পছন্দ করি শুনলে কষ্ট পাবে না তাই বলেছি। আর ভাইয়া আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা তোমার বাসায় জানিয়ে দিবে তোমার চিন্তা করতে হবে না।

কথা গুলো বলেই রোদ বাথরুমে চলে গেলো। ইতি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইল। একটা মানুষের আর কতগুলো রূপ দেখবে ইতি আজ একসাথে আল্লাহই জানে।

রোদ বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে মেয়েটা মানে ইতি রুমে নেই। সেদিকে সে কোনো ভ্রুক্ষেপ করে না তাতে রোদের কি সে চলে গেলো কিচেনে রান্না করতে।

– উফফফ….

ভাবতে ভাবতে ইতির মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে আর ভাবতে পারছে না সে। ফ্রেস হয়ে রুম থেকে বের হলো ইতি। রোদকে কোথাও দেখছে না। রুম থেকে বেরিয়ে ডাইনিং স্পেসের কাছে যেতেই অবাক হয় ইতি। মনে মনে বলে ওমা উনি টেবিলে খাবার দিচ্ছেন উনার গেটাপ দেখে মনে হচ্ছে উনি নিজে রান্না করেছে। ইতিকে আসতে দেখে একটা চেয়ার টেনে দিয়ে রোদ বলে,

– বসো খেয়ে নেই।

রোদ নিজে ইতির জন্য চেয়ার টেনে দিলো। মানুষটাকে যত দেখছে ততোই অবাক হচ্ছে ইতি। সেই সাথে রাগও হচ্ছে অনেক ইতির রোদ এগুলো কেনো করছে কিছুই জানে না আর বলছেও না কিছু। রাগের জন্য ভেবেছিলো একবার বলবে খাবো না কিন্তু এতো ক্ষুদা লেগেছে যে চুপচাপ খেতে বসে পরল ইতি। সাথে রোদও খেতে বসল।

খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই রুমে চলে যায় ইতি। ইতির ফোন বাজছে। ফোনটা নিয়ে দেখে তার আম্মু ফোন করেছে। ভয়ে ভয়ে রিসিভ করল কলটা,

– হ্যালো মা

– আমরা কি তোর পর? আমাদের বললে কি আমরা বিয়েটা দিতাম না? আমরা তো চাইছিলাম তোর বিয়েটা দিয়ে দিত…

– মা প্লিজ…..

– তোর বাবা কতটা কষ্ট পেয়েছে জানিস?

ইতি অনেক কষ্টে মাকে বুঝিয়ে ফোন রাখল। ফোন রেখে পিছনে ঘুরেই হা হয়ে গেলো ইতি।

– একি? আপনি এখানে?

রোদ বিছানায় শুয়ে আছে। রোদ বলল,

– মানে? আমার বাড়ি, আমার রুম, আমার খাট আমি থাকবো না তো কে থাকবে? আর তুমি কি অন্য কাইকে এক্সপেক্ট করছিলে?

ইতি রোদের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো। বলল,

– না আসলে তা বলতে চাইনি। আমি কোথায় ঘুমাবো?

রোদ খাটের একপাশে শুয়ে অন্যপাশে হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বলল,

– এখানে ঘুমাবে।

– আপনার পাশে?

– হ্যাঁ…..কেনো? কোন সমস্যা??

– নাহ…..

বলেই উল্টা দিকে ঘুরে বসে পরল ইতি। রোদের সাথে কথায় পারবে না সে। তাই মাঝে কোল বালিশ দিয়ে শুয়ে পরল।

সকালে,

রোদের ঘুম ভাঙ্গতেই মেয়েটার মানে ইতির দিকে চোখ পরল তার। হাকলা রোদের আলো পরেছে ইতির মুখে কি মায়াবি লাগছে দেখতে। সারারাত হয়ত মনে মনে অনেক কথা শুনিয়েছে রোদকে ভাবতেই মুখে হালকা একটা হাসি ফুটে উঠে রোদের। রোদ উঠে ফ্রেস হয়ে নেয় অফিস যেতে হবে তাকে।

ইতি আরমোরা ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠে বসে চোখ ডলছিলো। চোখ মেলে তাকাতেই,

– মাগোওওওওওওওওওওও

বলেই দিলো চিৎকার।

ইতির চিৎকার শুনে রোদ দৌড়ে এলো,

– কি হয়েছে??

বলেই ওর কাছে চলে গোলো রোদ।

ইতি হাত দিয়ে চোখ ধরে বলল,

– ছিঃ আপনার লজ্জা করে না।

বলতে বলতে অন্য দিকে ঘুড়ে বিছানা ছেড়ে দাড়িয়ে গেলো ইতি। রোদ বলল,

– মানে? কেনো?

– এভাবে একটা মেয়ের সামনে কাপড় ছাড়া চলে এলেন শুধু টাওয়াল পড়ে।

– ওহ……তুমিই তো প্রবলেম কোথায়?

– আমি তো মানে?

– কেনো তুমি কি চাও অন্য কারো সামনে যাই এভাবে?

– ছিঃ… আপনার আসলেই লজ্জা নেই।

বলেই বাথরুমে চলে গেলো ইতি। ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলো। রোদ নাস্তা রেডি করছে।

ইতিকে দেখে রোদ বলল,

– শুধু আজকের জন্য কাল থেকে আমি আর রান্না করছি না।

– তাহলে কে করবে?

– তুমি……

– আ…আমি??

রোদ আর কোনো কথা বলল না। দুজনে নাস্তা করে নিলো। নাস্তার শেষে ইতি বলল,

– একটা কথা ছিলো।

– হুম..

– আমি আজ অফিসের পর বাবার বাসায় যাবো।

– যদি না করি?

– না করলেও আমি শুনছি না। হুহ

– শুনো

রোদের ডাকে ইতি ঘুরে দাড়াল,

– জ্বি?

– অফিসে কিন্তু আমরা বলছিনা যে We R Married.

ইতি চোখ কুচকে তাকালো রোদের দিকে বলল,

– আমি যেন মরে যাচ্ছি সবাইকে বলার জন্য। হুহ

বলেই ইতি বেরিয়ে গেলো অফিসে যাওয়ার জন্য।

রোদ পিছন থেকে হর্ন দিয়েই যাচ্ছে মেয়েটা দেখছেই না। বুঝতে পারছে হয়ত ইচ্ছে করেই ইগনর করছে রোদকে। এসব ভেবে রোদের মাথা আরো বিগড়ে যাচ্ছে।

– উফফফ…. কে এতো হর্ন দিচ্ছে।

বিরক্তি নিয়ে পিছনে ঘুরতেই ইতি দেখে রোদ। ইতি পিছন ঘুড়তেই রোদ বলে,

– গাড়িতে উঠো।

– Thank u লাগবে না.

– উঠতে বলছি উঠো।

– বসের সাথে একত্রে যাওয়াটা সবাই ভালো চোখে দেখবে না।
.
.
.
.
চলবে…..

আগের লেখা ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। <3

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here