#বস_বর (পর্ব- ৭ ও ৮)
পর্ব-৭
Writer : Eti Chowdhury
.
– যাবার সময় ডোরটা ভালোভাবে লক করে দিয়ে যেও।
ইতি আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করল না। দৌড়ে পালিয়ে গেলো রোদের সামনে থেকে। রোদ এভাবে অপমান করল মেয়েটাকে।
রোদের বলা প্রত্যেকটা কথা কানে বাজছে ইতির। চোখের পানি ধরে রাখতে পারল না মেয়েটা। ইতি রোদের সব কিছু মেনে নিতে পারলেও এই রূপটা মেনে নিতে পারছে না।
ইতিকে কথাগুলো বলে রোদের নিজেরও খারাপ লাগছে। তাই তো মেয়েটা বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সে নিজেও তার পিছন পিছন যায়। রোদ চুপ চাপ ইতির পিছনে দাড়িয়ে রইল। মনে মনে বলছে,
– পাগলীটা কান্না করছে। করবেই তো এসব কথা কি কেউ কাউকে বলে নাকি। উফ….এতো কান্না করছে কেনো মেয়েটা। আমি কি মরে গেছি নাকি।
হুট করেই ইতির মনে হলো তার পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে স্যার আবার পিছন পিছন আসেনি তো ভেবেই পিছনে ঘুড়ল ইতি কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না।
ইতিকে পিছন ঘুড়তে দেখেই রোদ সরে যায়৷ ভাগ্যিস একটুর জন্য নাহলে দেখে ফেলতো। রোদ আগেই খেয়াল করে ফেলেছিলো। সেখানে আর অপেক্ষা না করে রোদ চলে এলো নিজের কেবিনে।
ইতি চোখে-মুখে পানি দিয়ে কেবিনে চলে গেলো। চেয়ারে বসতে বসতেই রোদের দিকে চোখ পরল। রোদকে দেখে মনেই হয় না একটু আগে এই মানুষটা তার সাথে…. না আর ভাবতে পারছে না ইতি ওসব।
– তাহলে রিমি ঠিকি বলেছে।
আচমকা রাফসানের আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠে ইতি।
-কেহ ও তুমি
বলেই রাফসানের থেকে চোখ সরিয়ে নিলো ইতি।
রাফসান ইতির কাছাকাছি এসে বলে,
-আমার দিকে তাকাও তো।
ইতি মাথা নিচু করেই জিঙ্গেস করল,
-কেনো?
– তাকাও বলছি। ইতি প্লিজ…
ইতি মাথা উচু করে তাকাতেই রাফসান অবাজ হয়ে বলে,
– এসব কি? এইটুকু সময়ের মধ্যে কি হয়ে গেলো যে তোমার চোখ মুখের এই অবস্থা।
– কিছু হয় নি।
– বলবা না?
– বললাম তো কিছু না।
– ওকে ফাইন আমাকে না বলা পর্যন্ত তোমার সাথে কথা বলছি না বাই।
রাগ দেখিয়ে রাফসান বেরিয়ে গেলো।
রোদ বসে বসে সিসি ক্যামেরায় ইতির রুমের ফুটেজ টাই দেখছিলো। রাফসান বেরিয়ে যেতেই ইতিকে ইন্টারকমে ফোন দিয়ে তার কেবিনে যেতে বলে।
– আসবো?
ইতি ভিতরে ডুকতেই রোদ কিছু ফাইল দিয়ে বলে,
– এই ফালটা চেক করো তো।
– জ্বি,
ইতি ফাইল নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলো। রোদ বাধা দিয়ে বলে,
-কোথায় যাচ্ছো?
-কেবিনে।
– না, এখানে বসেই দেখো।
উফফ…..মনে মনে বিরক্তি প্রকাশ করে ইতি। যত রোদের থেকে দূরে থাকতে চাইছে সে ততোই ব্যর্থ হচ্ছে।
ইতি কাজ করছে আর রোদ তাকে দেখছে। অনেক কান্না করেছে মেয়েটা চোখ, মুখ লাল হয়ে গেছে। খায়ও তো নি আজ। সব আমার জন্য মনে মনে নিজেকে দোষ দিচ্ছে রোদ। রোদ ইচ্ছে করে কাজটা করেছে খুব দেখতে মন চাইছিলো তার ইতিকে কাছ থেকে। মন চাইছে একটু ছুয়ে দেই।
যতো যলদি সম্ভব কাজটা শেষ করে বেরিয়ে গেলো ইতি রোদের কেবিন থেকে। ভালো লাগছে না তার৷ অফিস থেকে বের হতে পারলে ভালো লাগতো কিন্তু বাসায় ও তো রোদ থাকব।
-উফফ… আর পারছি না।
বলে চেয়ার বসে পরল ইতি।
অফিস টাইম শেষ।
– চলো
রাফসানের কথায় মাথা তুলে তাকায় ইতি। জিজ্ঞেস করে,
– কোথায়?
– ঘুরতে যাবো আমরা আজ।
– আমি যাবো না প্লিজ।
– তোমার কোন কথা শুনছি না। তুমি যাবে।
ইতির এক হাত রাফসান ধরলো আরেক হাত রিমি ধরে টেনে তাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মনে মনে খুশি হলো ইতি। ভালোই হয়েছে বাসায় গেলে রোদকে ফেস করতে কষ্ট হতো তার এখন। এর চাইতে বাইরে থাকাই ভালো। রাফসান বলল,
– চলো আজ আমরা আমার পছন্দের জায়গায় ফুসকা খেতে যাবো।
– এজন্যই স্যার আপনি আমার আর মেম এর এতো পছন্দের।
– কেমন?
– এই যে আপনি ফুসকা পছন্দ করেন। অন্য ছেলেরা তো ফুসকার নাম ও পছন্দ করে না।
রাফসান বুঝতে পারে কোন কারণে ইতির মনটা অনেক খারাপ। ওদের কথা শুনে হাসতে হাসতে ইতি ভুলেই গেলো তার মন খারাপের কথা। এদিকে যে রাত হয়ে যাচ্ছে সে দিকে ওদের খেয়ালি নেই।
রাত হয়ে গেলো ইতি আসছে না দেখে রোদ ব্যস্ত হয়ে পরল।
– উফফ…..৯টা বাজে প্রায় মেয়েটা গেলো কোই। আসার নাম গন্ধ নাই। কি করি ওকে গোট ইট।
প্রায় ১০টা বাজে। ইতির ফোনটা বেজে উঠলো। ফোন হাতে নিতেই দেখে রোদের কল। ইতি রিসিভ করল না। রিমি বলল,
– মেম ফোন বাজছে?
তাও ইতি ফোন ধরছে না দেখে রাফসান বলল,
– কি হলো? কোন সমস্যা? কেউ ডিস্টার্ব করছে?
– আরে না না তুমি এতো সিরিয়াস হয়ে যাও কেন। কিছু হয় নি।
রোদ এ পর্যন্ত ৫ বার ফোন দিয়েছে। ৬ বারের মতো ফোন বাজছে। এবার রিসিভ করতেই হলো ইতিকে। ফোন রিসিভ করতেই রোদ বলল,
– বাইরে অপেক্ষা করছি অনেক রাত হয়ে গেছে।
বলেই ফোন রেখে দিলো রোদ। ইতিকে কিছু বলার সুযোগও দিলো না। ইতি বলল,
-অনেক রাত হয়ে গেছে এখন উঠি।
– চলো তোমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি।
– না না আমি যেতে পারবো তুমি বরংচ রিমিকে দিয়ে আসো। ও একা কিভাবে যাবে।
বলেই বেরিয়ে গেলো ইতি আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না কাউকে। তাছাড়া রোদ বাইরে অপেক্ষা করছে ওরা সাথে গেলে যদি দেখে ফেলে পরে হাজার প্রশ্ন করবে। চুপচাপ গাড়িতে বসে পরল ইতি রোদের দিকে তাকালোও না।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে বাথরুম থেকে বের হতেই আহ…. বলে চিৎকার দিলো ইতি। রোদ আচমকা ইতির হাত ঘুড়িয়ে পিছনে মুড়ে ধরল। ইতিকে দেয়ালের সাথে আটকে ধরল রোদ। ইতির গালের সাথে দেয়ালে চাপ লেগে ব্যথা লাগছে। না চাইতেও নিঃশব্দে কেঁদে দিলো মেয়েটা। রোদ বলল,
– খুব হাসি আসছিলো তাই না। অন্যদের সাথে গা ঘেষা ঘেষি করতে খুব ভালো লাগে তাই না। এখন কেমন লাগছে?
ইতি কোন কথা বলছে না চুপচাপ চোখের পানি ফেলছে। রোদ ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে,
– কোন দিন আমার বউ হবার চেষ্টা করবা না একদম না।
বলেই রোদ ইতিকে ছেড়ে দেয়। রোদ ছেড়ে দিতেই ইতি ওখানেই বসে পরল। তাপর সেখান থেকে উঠে বাথরুমে চলে গেলো আবার। সাওয়ার ছেড়ে সাওয়ারের নিচে বসে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো মেয়েটা। অনেক কাঁদলো অনেক। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছে ইতি,
-কিন্তু আমি কেনো কাঁদছি। উনার কথায় কাজে কেনো এতো কষ্ট পাচ্ছি আমি।
কাঁদতে কাঁদতে সাওয়ারের নিচেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলল মেয়েটা।
রোদ এ নিয়ে তিনবার রুমে এলো। মেয়েটা এখন বের হয়নি। আবার মনে হয় কান্না করছে। রোদ নিজে নিজেই বলে,
– আচ্ছা মেয়েটা এতো কাঁদে কেনো? ওকি বুঝে না ও কাঁদলে আমার কষ্ট হয় তখন মন চায় ওকে বুকে টেনে নেই। কেনো বুঝে না মেয়েটা। সকালে আর একটু কান্না করলে হয়ত তখনি ওকে বুকে টেনে নিতাম। আমি তো ওর জন্যই করছি এসব। যেন পরে ওর কষ্ট না হয়।
না রোদ আর পারছে না। বাহির থেকে সাওয়ারের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে৷ এতো ভিজলে তো ঠান্ডা লেগে যাবে। দরজায় নক করল রোদ কিন্তু কোন শব্দ নেই। কয়েকবার নক করল সে এখন ভয় করছে তার। আর অপেক্ষা না করে দরজা ভেঙ্গে ফেলল,
-ইতুউউউউউউউ।
চিৎকার দিয়েই ভেতরে যায় রোদ৷ মেয়েটা সাওয়ারের নিচে পরে আছে ভিজে অবস্থা খারাপ। কোলে তুলে বাইরে নিয়ে এলো রোদ। ইসস…. এই কাপড় পরে থাকলে যে আরো বিপদ হবে এখন কি করবে রোদ। কিছু করার নেই তাই কোন উপায় না পেয়ে চোখ বন্ধ করে ইতিকে তুলে বসালো। রোদের হাত কাঁপছে। হাত আটকে যাচ্চে। রোদ কখনো কাউকে এতোরা কাছে থেকে ছুয়ে দেখেনি। কাপা কাপা হাতে ধীরে ধীরে ওর জামার চেনটা টেনে খুলল। ধীরে ধীরে ওর শরীর থেকে ভিজা কাপড় গুলো খুলে অন্য কাপড় পরিয়ে দিলো রোদ। চোখ খুলতে ভয় করছে রোদের ঠিক ভাবে আছে তো মেয়েটা। চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ইতির ঠোঁরগুলো একদম সাদা হয়ে গেছে। অনেক কাঁপছে ইতি। সেই সাথে রোদের ভয়টাও বেড়ে গেলো। তাই সে ডাক্তারকে ফোন দিলো। তিনটা কম্বল দিয়ে ইতিকে ঢাকল তাও ওর কাঁপানি কমছে না।
অল্প সময়ের মধ্যে ডাক্তার চলে এলো,
– এ অবস্থা কিভাবে হলো?
– জ্ঞান হারিয়ে সাওয়ারের নিচে পরে ছিলো।
– কি বলো। এতো একদম সাদা হয়ে গেছে।ইনজেকশন দেওয়া হলো ইতিকে। ডাক্তার বললেন,
– রোদ আমি তো ডাক্তার অনেক সময় রোগীর ভালোর জন্য আমাদের সরম-লজ্জা ভুলে অনেক কথাই বলতে হয়।
– এনিথিং সিরিয়াস?
– ও একদম ঠান্ডায় সাদা হয়ে গেছে। সি নিড হিট ওয়ার্ম। ওকে এখন তিনটা না পাঁচটা কম্বল দিলেও ওর শরীর গরম হবে না।
– তাহলে উপায় হাসপাতালে নিবো?
ডাক্তার হালকা একটা হাসি দিয়ে বললেন,
– না না তার প্রয়োজন নেই। ওর যেহুত তুমি আছো ওর হাসপাতালে যাওয়া লাগবে না।
– আমি?
– হ্যা তুমি। সরাসরি বলছি তোমার শরীরের গরমটাই ওর দরকার এখন। আজ না হয় বউকে একটু বেশি আদর করো। আমি আসি। আশা করি আর ডিটেইলস বলা লাগবে না। কি আদর দিবে তা তুমি ভাবো করেই বুঝ।
ডাক্তার চলে যেতেই রোদ ইতি পাশেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পরল। ডাক্তার এটা কি বলে গেলেন। যেখানে ওরা একসাথেই থাকবে না এখন কিভাবে রোদ ওকে কাছে টেনে নিবে। হঠ্যাৎ করেই রুমের লাইটটা অফ হয়ে গেলো বাইরে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়ে গেছে তাই কারেন্ট চলে গেছে। কিন্তু আইপিস তো অন হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না। বাইরের ঝড়ের সাথে সাথে রোদের ভিতরেও এক বিশাল ঝড় শুরু হয়ে গেছে। খুব বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। প্রকৃতিও মনে হয় চায় যা হচ্ছে তা হোক। উঠে শার্টটা খুলে গিয়ে রোদ ইতির পাশে শুয়ে পরল। ইতি রোদকে কাছে পেয়ে যেন রোদের কাছে ঘেষে এলো। রোদ ইতিকে ধরতে নিয়েও ধরছে না। ইতির নিঃস্বাস এসে রোদের বুকে লাগছে। রোদ যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছে। আচমকাই রোদ ইতিকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।
.
.
চলবে…….
.
.
.
#বস_বর
পর্ব-৮
Writer : Eti Chowdhury
.
বাইরের ঝড়ের সাথে সাথে রোদের ভিতরেও এক বিশাল ঝড় শুরু হয়ে গেছে। খুব বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। প্রকৃতিও মনে হয় চায় যা হচ্ছে তা হোক। উঠে শার্টটা খুলে গিয়ে রোদ ইতির পাশে শুয়ে পরল। ইতি রোদকে কাছে পেয়ে যেন রোদের কাছে ঘেষে এলো। রোদ ইতিকে ধরতে নিয়েও ধরছে না। ইতির নিঃস্বাস এসে রোদের বুকে লাগছে। রোদ যেনো পাগল হয়ে যাচ্ছে। আচমকাই রোদ ইতিকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।
রোদকে কাছে পেয়ে যেনো ইতি তার ভিতরে ডুকে যাচ্ছে। খামচে ধরলো ইতি রোদকে। ওর খামচি যেনো রোদকে পাগল করে দিচ্ছে। প্রতি মুহুর্তে রোদের নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসছে। আর কিছু ভাবতে পারছি না সে। নিজের সাথে আর পেরে উঠছে না কোনভাবেই। রোদ আচমকাই ইতিকে ছেড়ে উঠে গেলো। রোদ নিজের সাথে দ্বিধায় প্রে যায় মনে মনে ভাবে “কি করছি এটা আমি। যার সাথে থাকবোই না কিভাবে তার কাছে যাই কিভাবে। নাহ এটা অন্যায়”।
– উউউ….
রোদ পিছনে ফিরে দেখে পাগলীটা অনবরত কাঁপছে। এভাবে থাকলে যদি ও আরো অসুস্থ হয়ে পরে। কি কবে কিছুই মাথায় আসছে না তার। ডাক্তার তো বলল হাসপাতালেও নিতে হবে না। আচ্ছা ঝামেলায় পরে গেলো রোদ। রোদ গিয়ে ইতির পাশে গিয়ে বসল। ওর হাতটা ধরল নিজের হাতে নিয়ে নেয়। রোদের হাতটা পেয়ে ইতি আরো শক্ত করে আকড়ে ধরল। যেনো এই হাতটা শুধুই ওর। খামচে ধরল হাতটা। ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে। মেয়েটার কষ্ট সহ্য করতে পারছে না রোদ। ওর পাশে গিয়ে সামান্য দূরত্ব রেখে শুয়ে পরল রোদ। মেয়েটা গুটি সুটি মেরে শুয়ে আছে। আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে। রোদ পাশে থাকায় তার শরীরের গরম অনুভূতি পেয়ে ইতি তার কাছে ঘেষতে থাকে। ও ঘুমের ঘোরেই রোদের কাধে খামছি দিয়ে ধরে তার বুকে মুখ ঘুষলো। রোদ আবার কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। এক ওজানা সুখের অনুভূতি। ইতির জন্য হলেও আজ নিজেকে ওর কাছে সপে দিতে হবে। রোদের ভেত্রের একটা সত্ত্বা বলছে এটা ঠিক হবে না মাত্র তো ১ বছর এভাবে মেয়েটার কাছে যাওয়া ঠিক হবে না। অন্যদিকে আরেক সত্ত্বা বলছে তারি তো বউ সে কেন নিজের বউ থেকে দূরে থাকবে। এতো ভাবনা ভাবতে পারছে না রোদ। ইতি ক্রমশই রোদের সাথে একদম মিশে যাচ্ছে। রোদ আচমকাই ইতিকে বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরল। আলতো করে ওর কপালে একটা চুমু খেলো সে। ওর প্রতিটা নিঃশ্বাস এসে রোদের বুকে বারি খাচ্ছিল আর সেই সাথে রোদ ওর নেশায় উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে। ইতিকে নিজের করে কাছে পাওয়ার লোভ আর সামলে রাখতে পারল না রোড। ইতির গালে চুমু দিলো। এ লোভ যেন বেড়েই চলেছে। প্রবাহিত প্রতি মুহুর্তের সাথে ইতির আরো কাছে যাওয়ার লোভটা তার বেড়েই চলেটাছে। হুট করেই রোদ ইতির ঠোঁটটাকে আকড়ে ধরল। ইতি ঠোঁটটা আঁকড়ে ধরতেই ইতি ঘুমের ঘোড়েই রোদের ঠোঁট কামড়ে ধরল। ইতির প্রতিটা কামড় রোদকে পাগল করে দিচ্ছে। কি এক নেশায় ধরে ফেলল রোদকে। রোড পাগলের মতো চুষতে লাগলাম ইতির ঠোঁট। ইতিও যেন পালা দিয়ে রোদের সাথে তার ঠোঁট দুটো চুষতে লাগলো। যেনো কে কাকে বেশি আদর করতে পারে কমপিটিশন চলছে। রোদ ইতির আরো কাছে চলে এলো। আদর করতে করতে রোদ ইতির গলায় নেমে গেলো। পাগলের মতো চুমু খেতে লাগল রোদ ইতিকে। ইতিও যেন রোদের সাথে পাগলামীতে মেতেছে। রোদের সমস্ত শরীরে খামচি দিতে লাগলো মেয়েটা। ইতির প্রতিটা খামচি রোদকে আরো উন্মাদ করে দিচ্ছে। খামচি দিয়ে ইতি রোদেক তার আরো কাছে টানছে। নিজের ওজানতেই ওর পিঠে হাত চলে গেলো রোদের। জামার পিছনের হুকটা খুলে দিলো। ওর কাধের উপর থেকে কাপড় সরাচ্ছে আর ওর কাধে চুমু খাচ্ছে রোদ। উফফ…..রোদর মনে তুফান চলছে সে নিজে এই মুহুর্তে যতোটা সুখ অনুভব করছে ইতি নিজেও কি তাই অনুভব করছে। রোদ আর কোনভাবেই পারছি না। ওর মাঝে ডুব দিতে মন চাইছে। ওর পরনের জামাটা ছুড়ে যতো দূরে সম্ভব ফেলে দিলো রোড। আজ আর কোন বাধাকেই মাঝে আসতে দিবে না সে। নিজের হাতে মুষ্ঠি করে ওর দু হাত শক্ত করে চেপে ধরল রোদ। সে যে কি সুখের অনুভূতি তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। ইতি রোদকে পাগলের মতো খামচে যাচ্ছে। অন্য কেউ হলে হয়ত ব্যথা পেয়ে রাগে বকে দিতো রোদ কিন্তু তার বউটা যে তাকে সুখ দিতে খামচে আরো পাগল করে দিচ্ছে। ওর প্রতিটা খামচি যেনো ভালোবাসার কথা বলছে। সব চিন্তা বাদ দিয়ে আজ এক হয়ে গেলো তারা । সুখের সাগরে ডুব দিলো। ইতিকে নিয়ে সারারাত সুখের সাগরে সাতরে বেড়ালো রোদ।
সকালে-
রোদ চোখ খুলতেই দেখে তার বউটা তার হাতে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এখন অনেকটা স্বাভাবিক। কপালে একটা চুমু খেয়ে উঠে গেলো রোদ। এখন জর নেই ইতির।
ইতির ঘুম ভাংতেই নিজে অনেক দুর্বল লাগছে তার। চোখ খুলতেই কেমন যেনো নিজেকে হালকা হালকা লাগছে। উঠতে যাবে তখনি ইতির টনক নড়ল। একি গায়ের কম্বলটা ছাড়া তো গায়ে আর কিছুই নেই। তার এ অবস্থা হলো কিভাবে। মাথা ভো ভো করছে। চারেপাশে দেখতে লাগল সে কোথায় আছে। আশে পাশে চোখ বুলাতেই দেখতে পায় রুমের মধ্যে কাপড় এক একটা এক এক জায়গায় এলো মেলো হয়ে পরে আছে। কেবল ইতির না রোদের কাপড় সাথে দেখে যেনো ইতি আকাশ থেকে পরল। রাতের কথা মনে পরল ইতির। হুস ছিলো না ঠিকি কিন্তু সর্ম্পূণ বেহুসও ছিলাম না সে। উনি আমার সাথে। ছিঃ ছিঃ আর ভাবতে পারছে না ইতি। একটা চাদর গায়ে জরিয়ে উঠে গেলো ফ্রেস হতে যাবে। কিন্তু হাটতে কষ্ট হচ্ছে। শরীরটা অনেক দুর্বল। বাথরুমে ডুকতে যাবে তখনি রোদ বেরিয়ে এলো।
রোদ যেই গোসল সেরে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এলো দেখে তার বউটা উঠে গেছে।
“ঠাসসসসসসসসসস……… আচমকা রোদকে সামনে দেখে রাগে ইতি তার গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়।
রোদ রাগে ওর হাত মুড়ে পিছনে ধরল। ইতিকে আবার দেয়ালের সাথে চেপে ধরল,
-তোমার সাহস হয় কি করে।
-লজ্জা করলো না আপনার। আমাকে বলছেন বউয়ের অধিকার ফলাতে না। তাহলে কেনো আপনি আপনার পুরুষত্ব ফলালেন। নাকি আমার জ্ঞান ছিলো না বলে আপনার ভেতরের পশুটা বের হয়ে গিয়ে ছিলো। ছিঃ আপনি এতোটা……
ইতি কথা শেষ করার আগেই রোদ ইতির হাত ছেড়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে সরিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
রোদ রেডি হয়ে বাসা থেকেই বের হয়ে গেলো। ইতির মুখ আপাততো দেখতে তার ইচ্ছে করছে না। অনেক বেশি গতিতে ড্রাইভ করছি সে। কোন দিকেই কিছু খেয়াল করছে না। গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছে।
ইতি ফ্রেস হয়ে বের হয়ে দেখি রোদ নেই। ভালোই হয়েছে। রোদকে দেখতেও ইচ্ছে করছে না। অফিসের জন্য বেরিয়ে গেলো ইতি নিজেও। কিন্তু কি লাভ অফিস গিয়ে তো সেই আবার এই মানুষটার মুখই দেখা লাগবে।
অফিসে-
রিমি একটা ফাইল নিয়ে এসে ইতিকে দিয়ে বলে,
-মেম এই ফাইলটা একটু দেখে দিন না।
-রেখে যাও
-মেম একটু আর্জেন্ট ছিলো। আজকেই…….
-বললাম তো রেখে যাও।
চিৎকার দিয়ে বলল ইতি কথাটা। রিমি ভয় পেয়ে যায়।
-সরি ম্যাম।
রিমি বেরিয়ে যেতে ইতি নিজে নিজেই বলে,
-উফফ….কার রাগ কার উপর ঝারছি। মেয়েটাকে শুধু শুধু বকলাম। কিছুই ভালো লাগছে না।
– কি হলো শুধু শুধু ওকে বকলে কেনো?
পাশে ফিরে তাকাতেই দেখে রাফসান। ভিতরে আসতে আসতে রাফসান বলে,
-কি হয়েছে?
-কিছু হয়নি।
-লাভ বাইট দিলো কে গো?
ইতি চোখ বড় বড় করে তাকালো রাফসানের দিকে। ওড়না দিয়ে ডেকে নিজেকে। বলে,
-না কিছু না পরে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি।
-পরে গিয়ে লাভ বাইটও পায় মানুষ?
জিঙ্গাসু চোখে তাকালো রাফসান ইতির দিকে।
-বললাম তো কিছু না।
-তুমি বললেই তো হচ্ছে না। কিছু একটা হয়েছে এটা আমি সিওর তুমি না বললেও।
-প্লিজ আমি একটু একা থাতে চাই।
রাফসান কিছু না বলেই চলে গেলো।
সারাদিন চলে গেলো কোন কাজই ঠিক মতো করতে পারল না ইতি। কাজে মনই বসছে না। সারাক্ষণ মাথায় রাতের ঘটনাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে।
রিমি রাফসানের কাছে যায়,
-রাফসান স্যার
-কিছু বলবে রিমি?
-জি স্যার। আসলে আজ এমএম কোম্পানির সাথে মিটিং ছিলো এমডি স্যার এর কিন্তু উনি তো এলেন না। আর ফোন দিচ্ছি ধরছেন ও না। আর….
-আর কি?
-আর ইতি মেম কে যে বলবো উনি আজ সকাল থেকে যে পরিমান রেগে আছে। উনার সামনে যেতেও ভয় করছে। যে যাচ্ছে তাকেই বকছেন।
-আচ্ছা আমি দেখছি।
রিমির সাথে কথা বলে রাফসান ইতির কেবিনে গেলো। ভিতরে ডুকতে ডুকতে বলে,
-মিটিংটা কি তুমি করছো?
ইতি রাফসানের কথায় ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে এলো,
-কিছু বললে?
-যতক্ষন না নিজে থেকে বলছো আমি আর জিঙ্গেস করছি না কিছুই তোমাকে কি হয়েছে তোমার। তা মিটিংটা করছো তুমি??
-কোন মিটিং?
-MM কোম্পানির সাথে আজ মিটিং ছিলো কিন্তু এমডি স্যার মিসিং।
ইতি ভাবলেসহীন ভাবে জিঙ্গেস করল,
-মিসিং মানে?
-কেন তুমি জানো না। স্যার তো আজ অফিসে আসেননি। রিমি অনেকবার ফোনও করেছেন কিন্তু স্যারকে পাওয়া যাচ্ছে না ফোনে আর মিটিংটাও খুব জ্রুরী।
-ওকে আমি করবো।
-ক্লাইন্টরা অপেক্ষা করছেন।
ইতি কনফারেন্স রুমে গিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে,
-Hello Gentle man’s. I am Eti Chowdhury. Our Managing Director Mr Rod Chowdhury is not available here today for the meet due to some Circumstance on behalf of him and Our company today I will Represent the Offers and Deal to MM Company. Hoping for your Cooperation Thank You.
বলেই ইতি মিটিং শুরু করল।
ভালোয় ভালোয় শেষ হলো। তাদের এতো ভালো লেগেছে অফার যে তারা আর স্যারের জন্য অপেক্ষা করল না। ডিলটা সাইন করে দিলেন।
!!
ওই কোম্পানির একজন ইতিকে বললেন,
-এক্সকিউজ মি ম্যাম।
-ইয়েস।
-আর ইউ মিসেস রোদ চৌধুরী?
ইতি আচমকা এমন কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো। এই লোক কিভাবে বুঝলো। তাও ইতি বুঝতে না দিয়ে বলল,
-নো নো ইটস নট লাইক দ্যাট। বাট হোয়াই?
-ইকচুয়ালি হি ইজ রোদ চৌধুরী এন্ড ইউ আর ইতি চৌধুরী সো আই থোট ইউ গাইজ আর হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফ।
ইতি হালকা একটা হাসি দিইয়ে বলল,
-নো ইটস ন্ট লাইক দ্যাট। উই আর জাস্ট বস এন্ড ইমপ্লই।
-ওহ!! আই এম সো সরি ফর সাচ এন স্টুপিড কোয়েশ্চেন। এন্ড কোংগ্রাচুলেশনস ফর দ্যা ডিল।
-থ্যাংকিউ।
বলে ইতি সেখান থেকে চলে আসলো।
অফিস টাইম শেষ,
ইতি রাস্তায় হাটছে। হুট করে ড্রাইভার ইতির সামনে চলে এলো। ইতিকরে বলে,
-বউমণি বাসায় যাবেন না? আপনি হেটে গেলে আমার চাকরি থাকবে না।
ইতি না চাইতেও গাড়িতে উঠে বসল। মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে খেলে কি মজা পায় মানুষটা। এতো নিকৃষ্ট মানুষ কিভাবে হয়। ইতি মনে মনে নিজেকে বলে, “আমারই ভুল ছিলো উনাকে মনে জায়গা দিতে গিয়ে ছিলাম। উনি কারো মনে জায়গা পাবার যোগ্য নন”।
-বউমণি ?
-হু…..
ড্রাইভার এর কথায় হুদিস ফিরলো ইতির,
-কিছু বলছেন?
-জি বাসায় চলে এসেছি। নামবেন না?
ইতি গাড়িতেই বসে আছে। ইতির মন চাইছে না উনার বাসায় যেতে। গিয়ে তো ঐ নিকৃষ্ট মানুষের মুখটাই দেখতে হবে।
-বউমণি??
-গাড়ি ঘুড়ান আমার বাবার বাসায় যাবো।
-জি, আচ্ছা।
ইতি আবার চিন্তার জগৎ এ ডুব দিলো। যতোই চাইছে ভাববে না ততোই মানুষতার কথা মাথায় আসছে তার। তার দেয়া কষ্টে ইতি এতো কষ্ট পাচ্ছি কেনো? সে তো কেউ না ইতির তাহলে কেনো? মন এতো জ্বলে কেনো ইতির তার জন্য আর ভালো লাগছে না। আবার ড্রাইভারের কথায় হুস ফিরলো ইতির,
-জি।
-বউমণি আপনি ঠিক আছেন তো?
-হুম….
গাড়ি থেকে নেমে ইতি দাড়িয়ে রইল। এক পা আগাতেই মনে হলো বাবা-মার কথা। উনারা ইতিকে দেখলেই বুঝে যাবে কিছু একটা হয়েছে। চাইলেও তাদের থেকে লুকাতে পারবে না ইতি কিছু। কিন্তু এসব বলা যাবে না তাদের। বললে সব বলতে হবে। আর সব জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবেন তারা। ফিরে গিয়ে গাড়িতে বসল ইতি।
-কি হলো বউমণি? যাবেন না?
-না, কিছু না বাসায় চলেন। আজ যাবো না।
বাসায় চলে এলো ইতি। ফ্ল্যাটে না ডুকে সোজা ছাঁদে চলে গেলো। বাসায় গিয়ে ঐ মানুষটার মুখ দেখতে মন চাইছে না। রাত হয়ে গেলো ছাঁদে বসে থাকতে থাকতে। কিন্তু এখানে তো আর সারারাত থাকা যাবে না তাই বাধ্য হয়ে বাসায় চলে গেলো। দরজায় ধাক্কা দিতে গিয়ে থেমে গেলো ইতি। দরজায় ধাক্কা দিলে না বেল দিলে ঐ মানুষটা এসে খুলবে এর চাইতে ইতির কাছে একটা এক্সট্রা চাবি দিয়ে ছিলো রোদ ঐটা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে চলে গেলো সে। ভিতরে যেতেই দেখে সকালে যেভাবে সব রেখে বেরিয়ে ছিলো সব সেভাবেই আছে তার মানে কি রোদ আসেননি।
-হুম….
একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিলো ইতি। ফ্রেস হয়ে বারান্দায় গিয়ে রকিং চেয়ারটায় হেলান দিইয়ে বসল। মানুষের মনে কষ্টে থাকলে হয়ত মানুষ বেশি ক্লান্ত হয়ে যায় তাই ইতির এখন অনেক ক্লান্ত লাগছে। চোখ বুঝতেই ঘুমে তলিয়ে গেলো সে। ওভাবেই সারারাত ঘুমালো।
সকালে,
ইতির সকালে ঘুম ভাংতেই দেখে ওভাবেই ঘুমিয়ে আছে বারান্দায়। রুমে এসে দেখে রোদ নেই। কি ব্যাপার তাহলে কি সারারাত সে আসেনি। ইতি ফ্রেস হতে চলে গেলো। মিররের সামনে দাড়াতেই নিজের শরীরে রোদের ছুয়ে দেয়া দাগ গুলো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ইতি। অনেক সুখের স্বাক্ষী এই দাগ গুলো। নিজের অজানতেই চোখ দিয়ে এক ফোঁটা পানি পরে গেলো। ফ্রেস হয়ে বেরতেই ইতি ভাবল রোদকে দেখতে পাবে কিন্তু না ইতিকে অবাক করে দিয়ে হলেও রোদ রুমে নেই। বেলকনি গেলো ইতি, রোদ সেখানেও নেই। আবার বাথরুমে গেলো, সেখানেও নেই। এখন যেনো কৌতুহলটা ক্রমশ বাড়েছে ইতির। মানুষটা গেলো কোথায়। কিচেনে নেই, রিডিং রুমেও নেই, ডাইনিং রুম, ড্রইং রুম, গেস্ট রুম, অফিস রুম, হল রুম কোথাও নেই। ইতি বুঝতে পারছে না তাহলে কি কাল রাতে আসেনি সে নাকি এসে আবার ইতি উঠার আগেই চলে গেলো। ইতি রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলো। ইতি মনে মনে ভাবছে ড্রাইভারকে জিঙ্গেস করবে কি না। অনেক সংকোচ নিয়েই জিঙ্গেস করল।
-আপনার Sir কি খুব সকালেই বেরিয়ে গেছেন?
-নাহ তো বউমণি।
-হয়ত আপনি আসার আগেই চলে গেছেন।
– না বউমণি আমি তো এখানেই ছিলাম স্যার কাল রাতে ফেরেনি বলেই তো আমি যাই নি।
“উনি রাতে ফেরেনি” মনে মনে ভাবছে ইতি।
-কিছু ভাবছেন বউমণি?
.
.
চলবে…….
আগের লেখা ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। <3