পর্ব ১৫+১৬
#বৈবাহিক_চুক্তি
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#পর্বঃ১৫
“এসকে এই ব্যাগগুলোতে কি আছে?” ব্রেকফাস্ট করতে করতে জিজ্ঞেস করলো রুহান,
“রুহান, হোয়াট এসকে?এন্ড খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা ব্যাড মেনার্স, বলেছিলাম না তোমাকে?”
” মাম্মা এসকে কে আংকেল বললে তার প্রেস্টিজে লাগে তাইতো এসকে বলেছি ”
” রুহান নো মোর ওয়ার্ডস ”
“ইটস ওকে! একটু কথাই তো বলেছে”
” আমার ছেলেকে আমি কি শিক্ষা দিবো তা আপনাকে বলবো না, আপনি কি না বললেই খুশি হবো ” রাগি চোখে তাকিয়ে বললো রুশি।
“দেখো ও আমারও… ” রুহানের দিকে তাকিয়ে বাকি কথাটা হজম করে নিলো, রুহানকে যতক্ষণ না ওর মাম্মা বুঝিয়ে বলবে ততক্ষণ ও বুঝবে না তাই রুশির বলাটাই বেটার যে রুহানের বাবা ও।
রুশি সায়ানের দিকে তাকিয়ে মিস্টি একটা স্মাইল দিলো “আগে নিজের ছেলেকেতো বলো তুমি ওর বাবা তারপর ভালো বাবা হয়ে দেখিও চান্দু, খুব শখ না জোর করে বাবা হওয়ার ” কথাটা মনে মনে আওড়াতে আওড়াতেই কাটা চামচ দিয়ে জোরে পাস্তায় আঘাত করলো, সায়ান নিজেকে ওই পাস্তার সাথে কল্পনা করতে করতে একবার রুশির দিকে তাকাচ্ছে তো একবার পাস্তার দিকে।
বেচারার গলা শুকিয়ে গেছে তাই গ্লাসের পানি একনিমিষে শেষ করে ফেললো।
সায়ান গলা ঝেড়ে বলে উঠলো ” আমি তোমাদের সাথে তোমাদের ফ্লাটে থাকতে যাচ্ছি ”
কথাটা শুনতেই রুশির খাবার গলায় আটকে গেলো, কাশতে কাশতে সায়ানের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো, ও ভেবেছিল এখান থেকে বেরুতে পারলেই এই লোকের থেকে ছুটকারা পেয়ে যাবে কিন্তু এই গলায় আটকে যাওয়া খাবারের মতো হয়ে গেছে, যা গিলতে পারছে না ফেলতে পারছে।
“ইয়েয়য়য়, এসকে আমাদের সাথে যাচ্ছে,রুহান ইজ সো হ্যাপি ”
রুশি রুহানের সামনে না করতে গিয়েও করলো না, এই প্রথম কাউকে নিয়ে রুহান এত এক্সাইটেড আর এতটা মিশতে দেখলো কারো সাথে।কিন্তু তাই বলে এভাবে নিজেদের ফ্লাটে ছেলেমানুষ নিয়ে যাওয়া যাবে না, আশেপাশের মানুষ কি বলবে!
রুহান আগেই একজন বডিগার্ড এর সাথে বেরিয়ে গেছে, রুশি বেরুতে নিয়েই ওর হাত চেপে ধরলো সায়ান।
“আমি চাই তুমি রুহানকে বলো আমি ওর বাবা, তুমি বললে ও যতোটা ভালো ভাবে বুঝবে অন্যকেউ বললে ওতোটা বুঝবে না ”
“তো এতে আমি কি করতে পারি? আমিতো এমনি চাইনা আমার ছেলে জানুক ওর বাবা আছে। আপনার ইচ্ছা হলে আপনি বলতে পারেন, গো এন্ড টেল হিম ইউ আর হিজ কাওয়ার্ড ফাদার হু লেফট হিজ মম ”
“রুশি ইটস নট আ জোক ওকে??”
“ইটস মিস- আনাম ফর ইউ, আপনি আমার এতোটাও ক্লোজ না যে আমার নিকনেম বলবেন ”
“একটা মেয়ের জন্য তার হাজবেন্ড থেকে ক্লোজ কেউ হয়না ”
” আই ডোন্ট ইভেন রিকোগনাইজ ইউ এজ ফাদার অফ মাই সান লেট এলোন হাজবেন্ড ”
“মানবে মানবে একদিন নিজের ছেলের বাবাতো মানবেই সাথে হাজবেন্ড ও মানবে ”
” ইন ইউর ড্রিমস ”
” আমি ওই সপ্নই দেখি যা পূরণ করার ক্ষমতা আমার আছে ”
“চেলেঞ্জ করেছেন? ”
” নাহ শুধু জানিয়ে দিচ্ছি, নিজের মনকে সামলে রেখো নাহয় কখন আমার প্রেমে পড়ে যাবে বুঝতে পারবে না ”
“হাহ, আমার মন আমার অনুমতি ছাড়া তার দরজা খুলবে না কখনোই ”
“দেখা যাবে ”
সায়ান লাগেজ বের গাড়ির দিকে এগোচ্ছে, রুশি হঠাত সামনে দাঁড়িয়ে বললো
” আপনি সত্যি সত্যি আমাদের সাথে থাকতে যাচ্ছেন? ”
” তো কি মিথ্যে মিথ্যে যাবো? “ভ্রু কুচকে বললো।
“আমাদের ফ্লাটে মাত্র দুটো রুম, আপনার থাকার জায়গা নেই,একটাতে আমি রুহান থাকি, আরেকটাতে সুজি ”
” তো তুমি আর সুজি একটাতে থেক আর আমি আর রুহান একটাতে থাকবো ”
” আমি রুহানকে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা ”
” তাহলে ইউ আর অলসো ওয়েলকাম ইন দ্যাট রুম ”
বলেই রুশিকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে গাড়ির দিকে চলে গেলো
” মানে কি আমি এই লোকের সাথে ঘুমাবো! ইম্পসিবল”
গাড়িতে রুহান জেদ ধরে সামনের সিটে বসেছে তাই অগত্যা সায়ান রুশি একসাথে বসেছে। রুশি চুপচাপ বসে ছিলো তখন গানের গুনগুন আওয়াজ শুনলো,
কানখাড়া করে শুনার চেষ্টা করলো
“মনের দরজা খুলোনা ~~
ভালোবাসি বলোনা
তুমি দূরে দূরে আর থেকোনা ~~
রুশি রাগি চোখে সায়ানের দিকে তাকিয়ে কানে হেডফোন গুজে দিলো। সায়ান মুচকি হাসছে ওর কান্ড দেখে
🌸🌸🌸
“বস সায়ান জামিল খান এখন কলকাতায়, দুই সপ্তাহ ধরে সেখানেই আছে কিন্তু ঠিক কি করছে সে এখনো বুঝতে পারছিনা ”
“আচ্ছা ভালোভাবে খোজ লাগাও, আর ওই মেয়েটির খোজ পেয়েছো? ”
” না বস এখনো পায়নি তবে পেয়ে যাবো মনে হচ্ছে আর সায়ান জামিল খানও এখনো পায়নি মনে হচ্ছে ”
” তাড়াতাড়ি খোজ লাগাও ওর আগে আমার জানতে হবে ওই মেয়ে কোথায় আছে ”
তখনি ফোন বেজে উঠে লোকটির, ওইপাশ থেকে একটি তিক্ষ্ম মেয়েলি আওয়াজ ভেসে উঠলো
” হাউ আর ইউ জান? ”
” আম ফাইন, মিসিং ইউ অলরেডি ”
” অহহ আই মিসড ইউ ঠু, তোমার কি অবস্থা এখন? ”
” আগের থেকে বেটার বেবি, কবে আসছো তুমি?”
” মেইবি নেক্সট মান্থ ”
” অকেহ, কাম সুন বাই”
ফোনটা রেখে মুচকি হাসি দিলো লোকটি, এই মেয়ের মধ্যে কিছু একটা আছে যা বাকি মেয়েদের মধ্যে খুজে পায়নি। নাহয় এত মেয়ের সাথে মিলামেশা তার তবে কাউকে নিজের স্ত্রী বানানোর ইচ্ছে জাগে নি তার। বেড পার্টনার অনেকেই হয়েছে তবে এই মেয়েই প্রথম যাকে দেখে মনে হলো এই পবিত্র চেহারার হাসিই দেখাই তার জন্য অনেক তাইতো আজ পর্যন্ত হাত পর্যন্ত ছুয়ে দেখেনি তার। পৃথিবীতে এমন কিছু মেয়ে আছে যারা শুধু ওয়াইফ মেটারিয়াল হয় আর তার মধ্যে ও একজন।
সায়ান নিজের জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখছিলো তখনি রুহান এসে জড়িয়ে ধরলো ওকে আর বললো
“বাবাই ”
এই ছোট্ট শব্দটি যেন ওর ছুঁয়ে গিয়েছে, রুহানকে কোলে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ও। বাবা হওয়ার সুখ ঠিক কতটুকু তা একজন বাবার থেকে ভালো আর কেউ জানে না।
#লিখাঃ Liza Bhuiyan
#পর্বঃ১৬
রুহানকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে সায়ান, নিজের সন্তানকে সন্তানের পরিচয়ে বুকে জড়িয়ে ধরায় এক অদ্ভুত প্রশান্তি কাজ করছে। মনে হচ্ছে বুকের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলুক তাকে তবে কারো আচড় লাগতে দিবে না। বাহির থেকে এই মোহনীয় দৃশ্য দেখছে রুশি, কিছুক্ষণ আগেও ভেবেছিল রুহানকে বলবেনা যে এই লোকটি ওর বাবা কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বলে ঠিকই করেছে। রুহানের সত্যিই বাবার প্রয়োজন ছিলো, যাক অন্তত ওর ছেলেটিতো খুশি নিজের বাবাকে পেয়ে।
কিছুক্ষণ আগে~~
আজকে সানডে তাই অফিস নেই রেস্টুরেন্টে যেতে হবে তিনটায়। রুশি রান্নাঘরে রান্না বসাচ্ছিল, হাজবেন্ড না মানুক এটলিস্ট গেস্ট এসেছে বাসায় ভালোমন্দ কিছু তো রাঁধতেই হবে, চুলোয় গরুর মাংস কশাতেই সুজি ঢুকলো রান্নাঘরে। কতক্ষণ যাবৎ উসকো খুসকো করছে মনে হচ্ছে কিছু বলবে, কড়াইয়ে পানি দিয়ে চুলোর আচ কমিয়ে ঘুরে তাকালো সুজির দিকে তাকালো
“যা গলায় আটকে রেখেছ তা বের করে ফেলো ”
” না মানে ওই লোকটিকি সত্যিই তোর বর?”না জানার ভান করে বললো সুজি
“নাহ রুহানের বাবা আগেই তো বললাম, আমি এই বিয়ে মানিনা তাছাড়া আমাদের লিগালি বিয়ে হয়নি ”
” তোমার না মানা না মানাতে সত্য কি বদলে যাবে এন?”
রুশিকে মুখ শক্ত করতে দেখে সুজি প্রসঙ্গ পাল্টালো
“তাহলে রুহানকে তার বাবার কথা বলছো না কেন? তুমি মানো আর না মানো সেটা তোমার ব্যাপার কিন্তু রুহান তো তার বাবাকে ডিজার্ভ করে ”
” সুজি আমি.. ”
রু্শিকে কিছু না বলতে দিয়ে ওর হাত চেপে ধরে বললো
“স্টিভ ম্যারাবোলির একটা উক্তি আছে ~~
যতক্ষণ না তুমি অতীতকে ভুলে যাচ্ছ, যতক্ষণ না তুমি
ক্ষমা করতে পারছো, যতক্ষণ না তুমি মেনে নিচ্ছো অতীত চলে গেছে —ততক্ষণ তুমি নিজের এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছো না
তাই অতীত ধরে রেখে লাভ নেই এটা কষ্ট ছাড়া কিছুই দেয়না, মুভ অন করতে জানতে হয়।তুই নাহয় ক্ষমা করতে পারবি না কিন্তু রুহানকে তো তার বাবা থেকে আলাদা করিস না। বাই দ্যা ওয়ে জো মাফ কার দেতা হেয় উসকা দিল বহত বাড়া হোতা হ্যায়”
“ওকে ওকে আর ডায়লগ দিতে হবে না, আমি ভেবে দেখবো ”
“ইটস নট মাই ডায়লগ, এটা এসআরকে এর ডায়লগ ”
বলেই না দাঁড়িয়ে চলে গেলো বিড়বিড় করতে করতে
“জিজ আই ট্রাইড মাই বেস্ট, বাকিটা তোমার হাতে ”
রুশি রান্না শেষ করে সুজির রুমে ফিরে আসলো, রুহানকে খেলতে দেখে কাছে ডাকলো
“বেবি, আমি যদি বলি তোমার বাবা আমাদের সাথে দেখা করতে আসছে তাহলে তুমি কি করবে? ”
” আমি দেখা করবো না, আমি বাবাই এর উপর রাগ করেছি ”
“বাচ্চাটা শুনো, বাবাই তো ইচ্ছে করে এমন করে নি, তুমি জানো বাবাই এর যে বস সে বাবাকে একটা ইম্পর্টেন্ট মিশনে পাঠিয়েছে, তুমি সুপার কপ্স দেখো না? ওই সুপার কপ্স এর মতো তোমার বাবাই ও সুপার কপ্স, তাইতো এতদিন ছিলো না এইখানে। এখন চলে আসছে”
” তাহলে আবার চলে যাবে?”গাল ফুলিয়ে বললো।
“নাহ আর যাবে না, এখন থেকে আমাদের সাথেই থাকবে, মিশন শেষ হয়ে গিয়েছে না?”
“তাহলে এখনো আসেনি কেন?”
” এসেছে তো আমাদের সাথে, দেখোনি তুমি?”
” এসকে আমার বাবাই! ইয়ে আমার বাবাই সবার থেকে হ্যান্ডসাম, কিন্তু তাহলে বলেনি কেন সে আমার বাবাই ”
“রুহান রাগ করেছে না তাই আগে রাগ ভাংগিয়ে তারপর বলতো কিন্তু মাম্মা সিক্রেট বলে দিয়েছে ”
” না রুহান আর রাগ করে নেই আমি কথা বলে আসছি বাবাই এর সাথে ”
“গো এন্ড বাবাইকে গিয়েই হাগ করবে ওকে?”
“ওকে”
রুশি সেখান থেকে চলে আসলো, ছোট থেকেই কোন বাবার সাথে সন্তানের খুনসুটি দেখলে ওর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে, কারণ ওর বাবার সাথে এই খুনসুটি করার সৌভাগ্য ছিলো না ওর, মাঝেমাঝে মাকে বড্ড মিস করে ও। হয়তো সে থাকলে বাবার ভালোবাসাও কপালে জুটতো।
“বাবাই, তুমি আবার আমাকে ছেড়ে ইম্পর্টেন্ট মিশনে চলে যাবে?”
“ইম্পর্টেন্ট মিশন!”
“হুম মাম্মা বললো তো, ইম্পর্টেন্ট মিশনে থাকার কারণে এতদিন আমার কাছে আসতে পারো নি ”
” মাম্মা বলেছে?”
“হুম, আবার যাবে?”
“নাহ যাবোনা, কক্ষনো না ”
” দেন রুহান লাভস বাবাই এত্তোগুলা”
“বাবাই অলসো লাভস রুহান, দাঁড়াও আমি ফোনটা ধরি হ্যা?”
“ওকে, আমি বাইরে থেকে খেলে আসছি ”
ফোন ধরেই দেখে সামু ফোন করেছে, কতদিন কথা হয়না ওর সাথে।
“কিরে কেমন আছিস? ”
“ভালোই ভাইয়া, তুমি কেমন আছো?জানো তোমাকে কত মিস করেছি? কোথায় তুমি এখন? দেখা করতে কবে আসছো,দাদাজি তোমাকে দেখতে চাচ্ছে”
“তোর একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন করার অভ্যাস গেলো তাইনা!আমি একটু দেশের বাইরে আছি দেশে ফিরলে যাবো ওইখানে ”
“কবে বিয়ে করবি তুই? ”
“এত বউ বউ করছিস তো তাই এবার বউ নিয়েই ফিরবো যা”
” মজা করছিস তাই না! ”
” মজা কেন করবো? সিরিয়াসলি বলছি ”
“হাহা রাখি, মনে করে নিয়ে আশিস ভাবিকে, আবার এয়ারপোর্ট এ ফেলে আশিস না”
বলেই ফোন কেটে দিলো, “যাহ বাবা, সত্য বললাম বিশ্বাসই করলো না?”
সায়ান রুহানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে, রুশি রেস্টুরেন্টে গিয়েছে। রুহান হাটতে হাটতে এক জায়াগায় দাঁড়িয়ে পড়ে, সায়ান লক্ষ্য করে বলে
” গাড়িটি পছন্দ? ”
“এখানে অন্য কালারেরটা ছিলো, কিন্তু এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমি ওইটা কিনতে চেয়েছিলাম ”
“তাহলে কিনোনি কেন?”
“মাম্মার কাছেতো এত টাকা নেই, তাই বলিনি ”
সায়ান তাকিয়ে আছে ছেলের দিকে, এত ছোট বয়সে এত কিছু বুঝে যে মায়ের কাছে এত টাকা নেই। সায়ান গাড়িটি কিনে দিলো ওকে লাকিলি যেই কালার চেয়েছিলো সেটা শোরুমে ছিলো। রুহানতো গাড়িটি পেয়ে খুব খুশি।
এভাবেই কিছুদিন চলে গেছে, সায়ান আর রুহানের সম্পর্ক যতটা গভীর, রুশি আর সায়ানের সম্পর্কে ঠিক ততটাই দূরত্ব। সায়ান রুশিকে স্পেস দিচ্ছে, কোন প্রেশার দিতে চাচ্ছে না এই সম্পর্ক নিয়ে। এমনিতে ভালোই আছে ও কারণ তার বউটাতো তার কাছেই আছে। একদিন এই দূরত্বও শেষ হয়ে যাবে।
“আপনি প্যাকিং করেছেন কেন? কোথাও চলে যাচ্ছেন আবার ”
“হুম যাচ্ছি তবে আমি একা না তোমরাও যাচ্ছ ”
“মানে কি, আমরা যাচ্ছি মানে?আপনার মনে হয় আপনি বলবেন আর আমি ঢ্যং ঢ্যং করে চলে যাবো ”
” দেখো এটা আরগু করার মুমেন্ট না, আমরা কেউ এখানে সেফ না তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে যেতে হবে, সব প্যাকিং করে নাও আমরা আজই বাংলাদেশে ফিরছি, আর তুমি যদি ফিরতে না চাও তাহলে আমি রুহানকে নিয়ে চলে যাবো”
“আপনি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছেন! ”
“যদি মনে করো তাহলে তাই, আই হ্যাভ নো আদার অপশন, তাছাড়া চুক্তির কাগজ এখনো আছে আমার কাছে ”
#চলবে