#বিষন্ন_রাত💖
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💖
#পর্বঃ__৬
রাত তখন নয়টা, ছাদে ঘুরে ঘুরে দেখছে আশ পাশটা দেখছে দুজন। আকাশটাও গুর গুর করে উঠছে মাঝে মাঝে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি বুঝি বর্ষন শুরু হয়ে যাবে। আকাশের অবস্থা দেখে রাত কয়েকবার নিচে চলে যেতে বললেও গেলোনা বৃষ্টি। এই বৃষ্টি পাগল মেয়েকে থামায় কে? মনটা যে ছটপট করছে বৃষ্টি ফোটাগুলো গায়ে মাখার জন্য।
একটু পরই শুরু হলো হালকা ভারি বর্ষন। হাত দুটি মেলে রেখে প্রতিটি ফোটার তালে তালে নেচে উঠছে বৃষ্টিও। বাচ্চামোতে মেতে উঠেছে সে। রাত মুগ্ধ নয়ন স্থির হয়ে আছে বাচ্চামোতে মেতে উঠা সেই বৃষ্টির দিকে।
বৃষ্টি হাত বাড়িয়ে ডাক দিলো রাতকে।
– দাড়িয়ে থেকোনা রাত। উপভোগ করো মুহুর্তটা। সার্থক করো আজকের এই প্রতিটি বৃষ্টি ফোটা। চলোনা আজ একটু একসাথে ভিজি। দুজনের জন্যই হয়ে উঠুক এটা একটা বৃষ্টি ভেজা রাত।
বলেই একটা প্রশারিত হাসি দিয়ে হাত মেলে ঘুরতে লাগলো সে। রাতও স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে সেখানে। অজানা এক ভালো লাগা কাজ করছে তার মাঝে। তার জীবনের প্রতিটা মুহুর্তেই যদি এমন তৃপ্তি মিশে থাকতো? কতোই না ভালো হতো।
কিছুক্ষন কেটে গেলো ওইভাবে। রাতের হটাৎ খেয়াল হলো সবে মাত্র বর্ষা কাল শুরু হচ্ছে। নতুন বৃষ্টি এগুলো। বেশিক্ষন ভিজলে নির্ঘাত জ্বর উঠবে।
রাত কয়েকবার ডাক দিলো বৃষ্টিকে,
– বৃষ্টি আর ভিজোনা। শরির খারাপ করবে পরে। চলে আসো।
– খারাপ করলে করুক তুমি আছো না?
রাত আবারও কয়েকবার ডাক দিলো বৃষ্টিকে। কিন্তু তার একটাই কথা সে নিচে যাবেনা। আজ এই বৃষ্টি ফোটার মাঝে হারিয়ে ফেলতে চায় নিজেকে।
রাত এবার আর কিছু না বলে, বৃষ্টির কাছে গিয়ে আচমকাই কোলে তুলে নিলো তাকে। রাতের হটাৎ এমন আচরণে অবাক হলো বৃষ্টি। পরে যাওয়ার ভয়ে রাতে গলাটা দু হাতে জড়িয়ে উরে আছে সে। চেয়ে আছে রাতের মুখের দিকে।
বৃষ্টিকে কোলে নিয়ে সোজা নিচে চলে এলো রাত।
ফ্রেশ হতে গেলেই খেয়াল করে, তার নিয়ে আশা জামা কাপর সব স্নিদ্ধার ব্যাগে। বয়ে বেড়ানোর অলসতায় নিজে কোনো ব্যাগ আনেনি। স্নিদ্ধার ব্যাগেই নিয়ে নিয়েছে। ফ্রেশ না হয়ে দাড়িয়ে আছে বৃষ্টি। রাতকে ডাক দিলো সে।
– বলছি কি, আমার জামা কাপর তো সব স্নিদ্ধার কাছে। আর ওরা তো চলে গেছে। এখন কি করবো?
– ভালোই হয়েছে। এখন এই ভেজা কাপর নিয়ে রাত পার করতে হবে। বার বার বলেছিলাম না ভিজতে। শুনলে না আমার কথা। এখন থাকো এই ভেজা কাপর গায়ে নিয়ে।
– প্লিজ কিছু একটা করো। এভাবে কি থাকা যায়?
– এই ভারি বৃষ্টিতে এখন বাইরে যাওয়াও সম্ভব না যে তোমার জন্য জামা কাপর কিনে আনবো। আর ধিরে ধিরে বর্ষন বেরেও চলছে।
– তাহলে কি এভাবেই থাকতে হবে?
– তো আর কি করবে?
ওখান থেকে চলে গেলো রাত। ঠোট ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে বৃষ্টি। ইশ্ কেনো যে ভিজার শখ উঠলো কে জানে?
কিছুক্ষন পর রাত একটা টি-শার্ট আর ট্রাউজার এনে এগিয়ে দিলো বৃষ্টির দিকে। ঘুমানোর জন্য ট্রাউজারও টি-শার্ট সব সময় থাকে তার কাছে।
– এই নাও আপাততো এগুলো দিয়েই কাজ চালাও।
চট করেই রাতের হাত থেকে ওগুলো নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে পরে বৃষ্টি।
চেন্জ হয়ে রাতের সামনে এসে দাড়ায় সে।
– আমাকে কেমন লাগছে?
রাত তাকিয়ে আছে বৃষ্টির দিকে। সাদা টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজারে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছে বৃষ্টিকে।
বিরক্তি নিয়ে বৃষ্টি আবার বলে উঠে,
– বলো না কেমন লাগছে আমাকে?
– ভালো।
– শুধু কি ভালো? সুন্দর লাগছে না?
– হুম তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে, এবার হ্যপি?
– জানো, এই কথাটা আমি অনেকের মুখ থেকেও শুনেছি যে আমি অনেক সুন্দর। কিন্তু তোমার মুখ থেকে শুনার মাঝে যেই তৃপ্তি রয়েছে তা আমি আর কখনো পাইনি। কারো কথায় এমন অনুভুতি আমার মনকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তোমার মুখে শুনা প্রতিটি কথাই আমাকে হারিয়ে দেয় এক ভিন্ন অনুভুতিতে। যে অনুভুতির সাগরে আমি হাজারও বছর ভাসতে চাই।
রাত ভালোভাবেই বুঝতে পারছে বৃষ্টির কথার ধরণ। তবুও কিছু বললো না। খেয়াল করলো বৃষ্টির স্নিদ্ধ চুলের মাঝ থেকে একটু একটু করে পানি পরে টি-শার্ট টা শিরিলের সাথে মিশে যাচ্ছে তার।
রাত চোখ ফিরিয়ে নিলো। ব্যাগ থেকে একটা হালকা জ্যাকেট বের করে বৃষ্টির দিকে এগিয়ে ধরলো।
– এটা পরে নাও।
– কেনো? ঠিক আছি তো আমি।
– না ঠিক নেই, কিচ্ছু ঠিক নেই। পরে নাও এটা।
– আচ্ছা দাও যখন ঠান্ড লাগবে তখন পরে নিবো।
– ঠান্ডার জন্য দিচ্ছি না আমি।
– তো কি জন্য পরবো?
– তুমি বুঝতে পারছোনা?
– না।
– সত্যিই বুঝতে পারছোনা?
– আরে বাবা বললে তো বুঝতে পারবো।
– তুমি কি সত্যি বুঝতে পারছোনা নাকি আমার মুখ থেকে শুনতে চাইছে বুঝতেছিনা। কিন্তু আমি বললে তুমি লজ্জা পাবে।
বৃষ্টি এবার বুঝতে পারলেও একটু ঢং করে বলে উঠে,
– তুমি তো নিশ্চই আমার উপকারই করতে চাইছো তাই না? তো লজ্জা পাবো কেনো?
– কারণ তোমাকে অনেক হট লাগছে। এটা পড়ে নাও তাতে লজ্জা নিবারণের সাথে এই বৃষ্টির মাঝে ঠান্ডা ভাবটাও গায়ে লাগবে না।
লজ্জায় মাথাটা নিজু করে ফেললো বৃষ্টি। ছি, এভাবে কেও বলে? ধুর ভুলটা আমারই হয়েছে, কোনো যে ওর মুখে মুখে প্রশ্ন করতে গেলাম? ভাবতে ভাবতেই জ্যাকেট টা গায়ে নিয়ে নেয় বৃষ্টি।
রাত বলে উঠে,
– তুমি এখানেই থাকো। আমি ডিনারের ব্যবস্থা করছি।
মাথাটা নিচু করেই জবাব দেয় বৃষ্টি,
– আচ্ছা।
রাত চলে গেলো। বৃষ্টি বসে বসে অপেক্ষা করতে থাকে তার জন্য।
কিছুক্ষন পর ফিরে আসে রাত। বৃষ্টি খেয়াল করলো রাতের চুল থেকে পানি গড়িয়ে পরছে নিচের দিকে। রাতের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলে উঠে,
– সোজা হয়ে দাড়াও।
বলেই টাওয়াল দিয়ে রাতের মাথাটা মুছতে থাকে বৃষ্টি। রাত দাড়িয়ে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির দিকে। মনে হচ্ছে গভির একটা সম্পর্ক তাদের। আর বৃষ্টি অধিকার খাটাচ্ছে রাতের উপর।
খাবার খাচ্ছে দুজন। খাবার সামনে নিয়ে বসে আছে বৃষ্টি।
– আমি নিজের হাত দিয়ে খেতে পারিনা।
বৃষ্টির হটাৎ এমন কথায় ভ্রু কুচকে বৃষ্টির দিকে তামায় রাত। শান্ত ভাবে বলে উঠে,
– তাহলে দুপুরে খেলে কি করে?
– তখন খুব কষ্টে একটু খেয়েছিলাম। খেতে পারিনি তখন।
– তাহলে বাসায় ও কি কষ্ট করে একটু খানি খাও?
– তখন তো মা খাইয়ে দেয়।
– তাহলে আর কি করার, কষ্ট করে হলেও যতটুকু পরো খাও।
– খাইয়ে দাও না, খুব খুদা লেগেছে আমার।
রাত এবার বৃষ্টিকে খাইয়ে দিতে দিতে বললো,
– যে তোমার স্বামী হবে সে বেচারার কপাল পুরবে।
– কেনো?
– এই যে সারাক্ষন জ্বালিয়ে মারবা তাকে?
– সহ্য করতে পারবেনা?
– মানে?
– ইয়ে মানে বলতে চাইছি, সে কি সহ্য করতে পারবেনা এই জ্বালাতন।
– সেটা তখন তাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবো।
– দেখা যাবে।
খাওয়া শেষে কিছুক্ষন বারান্দায় দাড়িয়ে কাটিয়ে দিলো দু,জন। বাইরে বৃষ্টি ফোটার আওয়াজ ভালোভাবেই কানে আসছু দুজনের।
রাত বাইরে তাকিয়েই বলে উঠে,
– যাও ঘুমিয়ে পরো।
– আর তুমি?
– আমার এমনিতেও ৩ টার আগে ঘুম আসেনা। আর কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারবো সমস্যা নেই।
– আমি ঘুমিয়ে গেলে তুমি কি করবে?
– ফোনে ও গিটার নিয়েই কখনো কখনো নির্ঘুমে রাত্রি পার হয়ে যায়। তাছারা এখানে ভালোই লাগছে। তুমি যাও ঘুমাও। আর শুনো ভয় পেওনা আমি আছি।
গভির ঘুমে আচ্ছন্ন তখন বৃষ্টি। হারিয়ে আছে স্বপ্ন রাজ্যে।
চার দিকটা ফুলে ফুলে ভরা। সেই ফুলের মাতাল করা গ্রাণ। চারদিকটায় উড়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য রঙিন প্রজাপতি। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে লম্বা একটি পথ। যা কতো দুর তা খালি চোখে দেখা যাচ্ছেনা। মনে হয় শেষ হওয়ার মতো পথ নয় এটি। রাতের হাত ধরে বৃষ্টি যত সামনে এগুচ্ছে ততো সুন্দর্য বেরে যাচ্ছে। রাতের এক হাত জড়িয়ে সেই পথে হেটে বেড়াচ্ছে বৃষ্টি।
হটাৎ সমনে এসে দাড়ালো বৃষ্টির মামাতো ভাই সাজিদ। যে বৃষ্টিকে ছোট বেলা থেকেই পছন্দ করে। সাজিদের হাতে বড় একটা ধরালো ছুরি। সাজিদ কিছু না বলেই সেই ছুরি দিয়ে টানা কয়েকটা আঘাত করে ফেললো রাতকে। রাতের শরিলের রক্তে সেই জায়গাটা ভেষে যাচ্ছে। এক সময় সেই জায়গা টা নদী হয়ে গেলো রাতের রক্তে। তার উপর একটা নৌকা ভেষে বেড়াচ্ছে। সাজিদ বৃষ্টিকে নিয়ে সেই নৌকায় উঠে বসলো। সাজিদ সেই নৌকা নিয়ে বৃষ্টিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। রাত এক হাত বাড়িয়ে আছে বৃষ্টির দিকে। ধিরে ধিরে সে ও ডুবে গেলো সেই রক্তের সাগরে। রাত রাত বলে জোরে জোরে চিৎকার দিচ্ছে বৃষ্টি। কিন্তু সেই চিৎকারের আওয়াজ সাজিদের কান অব্দি পৌছাচ্ছেনা। এক সময় রাতকে আর দেখা যাচ্ছেনা। রক্তের নিচে ডুবে গেছে সে। আর সেই রক্তের উপর দিয়ে সাজিদ নৌকায় করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিকে।
হটাৎ রাত বলে চিৎকার দিয়ে বিছানায় বসে পরলো বৃষ্টি।
প্রায় ৩টা ছুই ছুই। রাত তখন বারান্দায় বসে বৃষ্টির দেওয়া সেই গিটার টা বাজাচ্ছিলো। যেখানেই যায় সেই গিটারটা সাথে থাকে তার।
হটাৎ বৃষ্টির এমন চিৎকার শুনে ছুটে এলো রাত। রাতকে দেখেই দৌরে তাকে জড়িয়ে দরলো বৃষ্টি।
– তোমার কিছু হয়নিতো রাত? তুমি ঠিক আছো তো? আমি তোমাকে হারাতে চাই না। বলো না আমায় রেখে কোনোদিক কোথাও যাবেনা তুমি। বলোনা।
রাত দেখলো বৃষ্টির শরিলটা থর থর করে কাঁপছে। মুখেও ভয় স্পস্ট, গলায়ও ভয়ের আতঙ্ক। ভয়ে কথা বের হচ্ছেনা মুখ দিয়ে।
রাত বুঝতে পারলো বৃষ্টি হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন দেখেছে। তাই এভাবে ভায়ে কাপছে। বৃষ্টিকে শান্ত করার চেস্টা করছে রাত।
– এইতো আমার কিচ্ছু হয়নি। তুমি স্বপ্ন দেখছো। এইতো আমি চোখ খুলে তাকিয়ে দেখো।
বৃষ্টি কাপা কাপা গলায় বলে উঠে,
– না এটা স্বপ্ন নয়। বাবার অনেক ক্ষমতা, সে পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। সাজিদ ও খুব খারাপ। আমি চোখ খুলবো না। চোখ খুললেই তুমি হারিয়ে যাবে।
– চোখ খুলে একবার দেখোইনা আমি তোমার কাছেই আছি। হারিয়ে যাবোনা। ভয় পেওয়া চোখ খুলে দেখো একবার।
বৃষ্টি মিট মিট করে চোখ খুলে তাকালো রাতের দিকে। দেখে সে রাতের বুকে মুখ গুজে আছে।
রাত আস্তে করে বলে উঠে,
– রিলেক্স। তুমি যেই জন্যই ভয় পাওনা কেনো। এটা শুধুই স্বপ্ন ছারা আর কিছু নয়।
– তুমি বারান্দায় থেকোনা আমার পাশেই বসে থাকো। যেনো আমি বুঝতে পারি তুমি আমার পাশে আছো।
– ওকে ওকে এখন ঘুমাও, ভয় দুর করো। আমি তোমার পাশেই আছি।
বৃষ্টিকে শুইয়ে দিয়ে তার পাশেই বসে আছে রাত। শরির টা জমে ঠান্ডা হয়ে আছে বৃষ্টির। মাথায় হাত বুলিয়ে ভয় কাটানোর চেষ্টা করছে রাত। বৃষ্টির মাথায় হাত বুলাতে কখন যে নিজেও ঘুমিয়ে পরলো তা খেয়াল করেনি রাত।
সকালে ঘুম ভাঙতেই শরিরে কিছু উষ্ন তাপ অনুভব করলো রাত। কারো গরম নিশ্বাসটা বরাবরই তার বুকে এসে পরছে। ভালোভাবেই চোখ খুলতেই দেখে বৃষ্টি তাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে। এখনো ঘুম ভাঙেনি মেয়েটার। বুক থেকে আলতো করে সরিয়ে দিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেলো রাত। নিচে দাড়িয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো বৃষ্টির মুখের দিকে। গভির একটা মায়া কাজ করছে ওই মুখে। একধম বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে সে।
সকালের সূর্যটা উঠে কিরণ ছরিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে। বৃষ্টিতে ভেজা পাতাগুলো ঝিক ঝিক করছে সেই আলোয়। যেনো সব কিছু ধুয়ে মুছে হয়ে উঠলো একটি রঙিন সকাল।
ফ্রেশ হয়ে বৃষ্টির পাশে বসলো সে। বৃষ্টিকে কয়েকবার ডাক দিলো রাত।
বৃষ্টি ঘুমু ঘুমু চোখে বলে উঠে,
– যা তুই আমি আসছি। ডিস্টার্ব করিসনা একটু ঘুমুতে দে।
রাত মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠলো,
– আর ঘুমুতে হবেনা দিন হয়ে গেছে। এখন উঠো।
হটাৎ বৃষ্টির খেয়াল হলো এটাতো রাত। রিদ মনে করে তুই তুই করে বলে ফেললো সে।
বৃষ্টিও ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিলো দুজন। কাপর চোপর ঘুচাচ্ছে রাত। পাশ থেকে বৃষ্টি বলে উঠে,
– কোথায় যাচ্ছো?
– কেনো বাড়ি ফিরতে হবেনা?
– একটা অনুরুধ করি?
– কী?
– গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সময়টা আমার জীবনে বেষ্ট সময় ছিলো তুমি পাশে ছিলে বলে। আর বাসা থেকে দু,দিনের কথা বলে বেড়িয়েছি। আরো একদিন বাকি আছে। চলে গেলেই তো সব আগের মতো হয়ে যাবে। প্লিজ আজকের দিনটাও আমি তোমার সাথে কাটাতে চাই। না করো না। প্লিজ প্লিজ……….
To be continue…..