বৃষ্টি_ভেজা_গোলাপ পর্ব ৪

#বৃষ্টি_ভেজা_গোলাপ
#পর্ব_৪
#নবনী_নীল

আরেকটু হলেই ব্যাথা পেতো রুহি, আহান হাত ধরে নিজের কাছে টেনে আনলো। আহান বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো,” হয়েছে এবার শান্তি? আমার ঘুম হারাম করে শান্তি পেয়েছো? নাকি নিজের মাথাটা ফাটাতে পারলে বেশি খুশি হতে?”
রুহি ঘন ঘন চোখের পাতা ফেললো। সে আহানের একদম কাছে আছে, আহানের চোখে চোখ পড়তেই বুকের ভিতরটা কেমন যেন করে উঠল। রুহি ঘটনাটায় কিছুক্ষনের জন্যে চুপ করে গেলো। তারপর আহান থেকে সরে এসে বিছানার এক প্রান্তে চুপ করে বসে রইল। কি একটা মারাত্মক লজ্জায় পড়লো সে? যদি ধপাস করে ফ্লোরে পড়ে যেতো মান সম্মানের হালুয়া হয়ে যেতো। এমনি ফালুদা হয়ে গেছে মান সম্মানের।

আহান নিজের চুলগুলো এলোমেলো করে যেই বিছানা থেকে নামতে গেলো পানি ভরা বালতিতে এক পা পড়লো। পানি মেঝের চারিপাশে ছড়িয়ে গেলো। রুহির ভিষণ হাসি পাচ্ছিল কিন্তু সে ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকে আছে আর এদিকে সেদিক তাকাচ্ছে। আহান চোখ বন্ধ করে রাগ সামলাচ্ছে। আর কতো কি সহ্য করতে হবে তাকে। রাগী চোখে রুহির দিকে তাকাতেই রুহি কিছু না দেখার ভান করে এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছে। এমন ভাব যেনো পানি কি জিনিস সে জানেই না।

আহানের একপায়ের ট্রাউজারটা পায়ের কাছের অংশ ভিজে গেছে। আহান রাগ সামলে উঠে দাড়ালো।
” দুদিনে যা শুরু করেছ তুমি। সাত মাস তোমার সাথে থাকলে আমি নিজেই মনে হয় ডিপ্রেসড হয়ে যাবো।”, রেগে বলল আহান তারপর ফ্রেশ হতে চলে গেল।
রুহি একগাল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। যাক কুম্ভকর্নটাকে জব্দ করা গেছে। এখন তার খুব আনন্দ হচ্ছে। তবে আজ আর এর সামনে পরা যাবে না আবার রেগে গেলে আমাকে না তুলে আছাড় মারে। তাকে তুলে আছাড় দেওয়া এর কাছে মোটেও কষ্টের কিছু না। সুন্দর মতো তুলবে তারপর ছুড়ে মারবে।
না রুহি না আর রাগানো যাবে না।

রুহি ঘর থেকে বেড়িয়ে নিচে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো কি শান্ত পরিবেশ সবাই হয়তো ঘুমাচ্ছে। কিন্তু সে কি করবে? আবার গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে সে? নাহ্ ধুর এটা কোনো কথা হলো নাকি?

রুহি কিচেনের দিকে এগিয়ে গেলো। রহিমা খালা নাস্তা তৈরি করছেন। হাবু কাকা কি নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। রুহির এখানে কেনো কাজ নেই কারণ সে রান্নার র পর্যন্তও পারে না।
সে রহিমা খালার একপাশে গিয়ে চুপটি করে দাড়িয়ে রইলো।
রুহিকে দেখে তিনি হেসে উঠে বললো,” আজ এতো সকালে উঠলেন যে? আজ সবার উঠতে দেরি হইবো নটা দশটা বাজবো।”

” খালা আমাকে আপনি করে বলবেন না তো।”, বিনয়ী করে বললো রুহি।

” আচ্ছা বলুমনা।”, হেসে উঠে বললো রহিমা খালা।

” এ বাড়িটা কেমন অদ্ভুত না? একদিন সবাই ভোর বেলায় উঠে আরেকদিন যে যার ইচ্ছে মতন। এটা কেনো হয় বলুন তো।”, আগ্রহ নিয়ে বললো রুহি।

“দাদাজান থাকলে এমন হয়। উনি রাগ করেন দেরিতে পর্যন্তও সকালে ঘুমাইয়া থাকলে। হেরা সবাই দাদাজানরে খুব মান্য করেন আর ডরায়ও।”, রহিমা খালার কথা রুহি মনোযোগ দিয়ে শুনছে।

এমন সময়ে সুহা কিচেনে ঢুকে রুহিকে দেখে বললো,” কি ব্যাপার কি রুহি? আজ তাহলে কি তোমার হাতের বানানো নাস্তা পাচ্ছি সকালে?”

রুহি নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে বললো,” সে চাইলে আমি নাস্তা বানিয়ে দিতেই পারি, খালি সেই নাস্তা আপনারা খেতে পারলেই হলো।”বলে ক্ষীণ একটা হাসি দিয়ে সুহার দিকে তাকালো।

” তুমি ভালোই মজা করে কথা বলো।”, হেসে উঠে বললো সুহা।

” সবাই নাকি আজ দেরিতে উঠবে আপনি এতো তাড়াতাড়ি উঠলেন যে?”, প্রশ্ন করলো রুহি।

” সুপ্রভার স্কুল আছে না। ওকে তৈরি করতেই উঠতে হয়েছে।”, বলে খালাকে উদ্দেশ্য করে বললো,”বাবুর টিফিনটা কি রেডি হয়েছে খালা?”

” হ , ড্রাইভাররে দিয়া আসছি।”, বলতে বলতে এমন সময় আহান নিচে নেমে এলো।
আহান নিজের মতো বের হয়ে যাচ্ছিলো এমন সময়ে সুহা আহানকে ডাকলো,” এইযে আহান সাহেব দাড়ান?”
আহান ফোন দেখতে দেখতে বের হচ্ছিলো সুহার কথায় থেমে গেলো। কিচেনের দিকে তাকালো।
রুহি মনে মনে বললো,” ঝামেলাটাকে আবার ডাকার কি দরকার ছিল। কি সুন্দর বেরিয়ে যাচ্ছিলো।”

” হ্যা ভাবি বলো।”, উত্তর দিলো আহান।
রুহি চিন্তামগ্ন থাকতেই সুহা বললো,” তা বউকে খুঁজতে বেরিয়েছো বুঝি?”
সঙ্গে সঙ্গে রুহির চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। আহান একটুও ইতস্তত বোধ না করেই বললো,” হুম্ । ”
কথাটা শোনার সাথে সাথে রুহি তীক্ষ্ণ চোখে আহানের দিকে তাকালো। লোকটা তাকে খুঁজছে কেনো? মতলবটা কি?
আহান রুহির দিকে তাকালো না। সুহা ঠোঁট চেপে হেসে বললো,” তা আমি কি জানতে পারি রুহিকে তোমার কেনো দরকার?”, বোলেই তিনি আড় চোখে রুহির দিকে তাকালো।
রুহি এমন ভান করছে সে কিছুই শুনে নি।
আহান কি বলবে উত্তরে নিজেও জানে না। কিছু একটা বলতে গিয়েও বললো না চুপ করে গেলো।

সুহা দুষ্টুমি করে বললো,” হুম্ বুঝেছি পার্সোনাল দরকার।”
আহান হা সূচক মাথা নেড়ে বললো,”হুম্।”
এই কথা শুনে রুহি মাথা নিচু করে শাড়ির আঁচলটা হাতে পেচাতে শুরু করলো। নিলজ্জ্ব বেহায়া লোক একটা। কোথায় কি বলতে হয় সেটাও দেখছি জানে না।

” আচ্ছা যাচ্ছি।”, বলে সুহা মুচকি হাসতে হাসতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল।
রুহি সরু চোখে আহানের দিকে তাকিয়ে রইলো। আহান রুহির দিকে এগিয়ে আসলো। রুহি সঙ্গে সঙ্গে দু পা পিছিয়ে গেলো। এনার আবার আমার সাথে কি পার্সোনাল দরকার!

আহান এগিয়ে এসে রুহির হাত ধরে নিজের ফোনটা রুহির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,” আমি হাঁটতে বের হলাম। আমার ফোনর চার্জ শেষ। চার্জ দিয়ে রাখবে।”

রুহি হা করে তাকিয়ে থেকে বললো,” এটা? মানে ফোনে চার্জ দিয়ে রাখো এইটা আপনার পার্সোনাল কাজ?”

” হুম।”, বলে মাথা নাড়িয়ে আহান বেরিয়ে গেলো।
রুহি ফোন হাতে দাড়িয়ে থেকে রেগে গিয়ে বললো,” এই লোকটা দেখছি আমাকে বদনাম কোরে ছাড়বে।’

রুহি আশে পাশে তাকালো, রহিমা খালা কিচেন থেকে অনেক আগেই বেড়িয়ে গেছেন তবুও একবার দেখে নেওয়া ভালো। নাহ আশে পাশে কেউ নেই রুহি সিড়ি বেয়ে রূমে গেলো। রুমে যেতে যেতে আহানের ফোন পুরো বন্ধ হয়ে গেলো।
রুহি ঘরে চার্জার খুজতে লাগলো। বিছানার পিছনের পাশটায় চার্জার খুঁজে পাওয়া গেলো। ফোন চার্জে রেখে যেই উঠতে যাবে রুহি দেখলো সামনে দিদা দাড়িয়ে। দিদাকে দেখলেই তার ভয় করে যদি উল্টা পাল্টা কিছু মুখ ফস্কে বেড়িয়ে যায় তার। রুহি হাসি মুখ করে এগিয়ে দিদার কাছে গেলো ।

” কি করছিলে রুহি?”, দিদা কাছে ডেকে প্রশ্ন করলো।

” ফোনে চার্জ দিচ্ছিলাম। আপনার শরীর এখন কেমন আছে?”, রুহি দিদার হাত ধরে বিছনায় বসিয়ে বললো।

” শরীর যা আছে থাকুক। এই নিয়ে আমি ভাবতে চাই না। ও সব ভাবনার কোনো মুল্য নেই। তুমি বলো তোমার এ বাড়িতে কেমন লাগছে?”, রুহির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন দিদা।

” এ বাড়িতে? খুব ভালো লাগছে। আপনারা সবাই একসাথে কি সুন্দর থাকেন। আমাদের বাড়িতে শুধু আমি নানু আর ছোটো মামা। ছোটো মামা বিয়েও করেনি যে একটা মামী পাবো। সারাদিন কবিতার বই নিয়ে বসে থাকে।”

” হুঁ, সবাইকে একসাথে দেখে আনন্দ হচ্ছে না বোলো? কিন্তু এ বাড়ী সারাবছর এমন থাকে না। আমার ছেলে আর ছেলের বউ এখনো দেশের বাহিরে। ওদের কথা না হয় বাদই দিলাম। আবিরটা আমারদের সাথে থাকে সুপ্রভা হওয়ার পর থেকে যেতে দেই নি কোথাও কিন্তু আহানটাকে নিয়ে পারি না। একা একা থাকতো নিজের ফ্ল্যাটে। আমি অসুস্থ বলে এখানে থাকছে।”

” কেনো? সবাইকে ছেড়ে একা একা কেনো থাকতেন?”, প্রশ্ন করে বসলো রুহি।

” সে অনেক কথা। আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে। এই নাও এইটা তোমার জন্যে এনেছি।”, বলে রুহির হাতে একটা গয়নার বক্স তুলে দিলেন।
রুহি বক্স খুলে এতো গয়না দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো। এইগুলা দিয়ে সে করবেটা কি? গয়না পরা কতো যে বিরক্তির কাজ তার কাছে। হাতে রেশমি চুরি পড়া বাদে কোনো গয়নাই তার ভালো লাগে না। এখানে এতো ভারী ভারী গয়না। এগুলো পড়ে বসে থাকতে না বললেই হলো।
রুহি গয়নার বাক্স একপাশে রেখে বললো,” এগুলো দিয়ে আমি কি করবো? আমারতো গয়না পরতে একদম ভালো লাগে না।”

” ভালো লাগে না বললেই হবে নাকি। বিয়ের পর হাতে আর কানে পড়তে হয় তো, দেখতে সুন্দর লাগে।”, বলে গয়নার বক্সটা হাতে নিলেন দিদা।

” সবাইকে পরতে হয়?”

” হ্যা প্রথম প্রথম পরতে হয়। এইযে নাও এই কানের দুলে জোড়া পড়বে, এগুলো ছোটো অসস্তি হবে না। আর হাতে? সে তোমার ইচ্ছা।”

রুহি করুণাময়ী দৃষ্টিতে দুলজোড়ার দিকে তাকিয়ে আছে। দিদা উঠে দাড়িয়ে বললো,” আহান কোথায়?”

” হাঁটতে বেরিয়েছে।”, উঠে দাড়িয়ে বললো রুহি।

” আচ্ছা। তুমি এইগুলো পড়বে কিন্তু। আমি আসি।”, বলে যেই চলে যাবেন দিদার নজর পড়লো মেঝের একপাশে রুহির ব্যাগের দিকে।

” এটা কার ব্যাগ রুহি? তোমার ব্যাগ?”, দিদার প্রশ্নে রুহি কিছু না বুঝেই হা সূচক মাথা নাড়ল। কারণ ব্যাগটা তো তারই।

” তোমার জামা কাপড় কাবাডে রাখোনি নি কেনো? এভাবে ব্যাগে ভরে রেখেছো কেনো?”

সঙ্গে সঙ্গে রুহির চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। এই রে ! সন্দেহ করে ফেলেনি তো দিদা। রুহি কি বলবে কিছুই খুজে পাচ্ছে না। রুহি শুধু একটা ঢোক গিললো তারপর আমতা আমতা করে বলল,” কাবাডে না মানে। কাবাডে জায়গায় নেই তাই আপাদত রেখেছি আর কি।”

রুহি কি বলেছে সে নিজেও জানে না। মাথায় যা এসেছে তাই বলে ফেলেছে।

দীদা কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থাকলো তারপর হাবু হাবু করে ডাকতে লাগলো। রুহির ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে এসেছে।
ডাকার সাথে সাথে হাবু কাকা এসে হাজির। দিদা হাবুদাকে কাবাড খুলতে বললো। রুহির কথা আংশিক মিলে গেছে কাবাডে তেমন বেশী জায়গা নেই। আহানের ব্লেজার, টাই আর শার্টস দিয়ে ভরা প্রায় অর্ধেকের বেশি। দিদা হাবুদাকে বললেন আহানের জামা কাপড় গুলো চাপিয়ে রেখে জায়গা করে দিতে। এই কথা শুনে রুহির বুকের ভিতরটা ধক করে উঠলো। কুম্ভকর্ণ এসে যদি এসব জানে তাকে কি করবে কে জানে। রুহি তোর কপালে কি যে আছে? আজ আর তোর রক্ষা নেই।

কাবাডের জায়গা খালি করে দিদা বললেন,” জামা কাপড় এখন থেকে এইখানে রাখবে বুঝলে? আমি যাচ্ছি। একটু পর নাস্তা করতে নিচে এসো।”
রুহি মলিন চেহারায় হা সূচক মাথা নাড়ল। দিদা চলে যাবার পর রহিমা খালা এসে রুহির জামা কাপড় কাবাডে রেখে গেলেন। ওনাকে দিদাই পাঠিয়েছে। ঐ লোকটা কাবাড দেখে আবার কি করে? এমনেই সকালে রুহি যা করেছে। মা গো মা। আজ আর তোর রক্ষা নেই রুহি।

চিন্তায় রুহি গা হেলিয়ে দিয়ে বিছনায় শুয়ে পড়লো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর আহানের ফোন বাজতে লাগলো। একবার বাজবে, দুইবার বাজবে তিনবারের সময় না ধরলে ফোন রেখে দিবি না মনে হচ্ছে এই লোকটা প্রধানমন্ত্রী দেশ তলিয়ে যাচ্ছে তাই ফোনের উপর ফোন দিয়েই যাচ্ছে। রুহি প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে ফোনটা হাতে নিলো নাম উঠে আছে সামিরা। মেয়ের নাম দেখেই রুহি এটাকে আবিরের গার্লফ্রেন্ড ভেবে বসে আছে। মেয়েটা ফোন দিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছে। শেষে রুহি ফোন ধরে বললো,

” আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটি এই মুহুর্তে বেস্ত আছে। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।”, এতটুকু বলেই কল কেটে দিয়ে ফোনটা রাগে বিছনায় ছুড়ে মারলো।

পিছন থেকে আহানের গম্ভীর কণ্ঠের রুহি ডাক শুনে রুহির চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। বাহ্ বাহ্ সব কুকর্ম তোকে আজই করতে হলো রুহি। এবার তোকে কে বাঁচাবে। রুহি ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকাতেই দেখলো আহান ওর একদম কাছে দাঁড়িয়ে আছে। রুহি একটা ঢোক গিলে যেই পিছাতে গেলো ওমনি স্লিপ খেয়ে পরে যেতে নিলো এমন সময়ে রুহি পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে আহানের শার্টের কলার ধরলো। রুহি পরে যাবার আগেই আহান রুহির কোমড় জড়িয়ে ধরলো। আবার আহানের চোখে চোখ পড়লো রুহির। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেলো তার। অদ্ভুত এক অনুভুতি কাজ করছে।

” পড়ে যাওয়াটা কি তোমার বাই বর্ন ট্যালেন্ট?”, ঠাট্টা করে বললো আহান। রুহি এই অদ্ভুত অনুভূতি থেকে বেড়িয়ে আসতে চোখ বন্ধ করে না সূচক মাথা নাড়তে লাগলো।

[ চলবে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here