#ভালোবাসা রং বদলায়
লেখক —- #মাহমুদ
পর্ব — ২৪
*
-“দরজা খুলো রূপা!”
ধ্রুবর কন্ঠ কানে পৌঁছাতেই ভ*য়ে কেঁপে উঠলো রূপা। ভয়ে তার চোখমুখ রোসগোল্লার মত হয়ে উঠেছে। ধ্রুব আবারও চেঁচিয়ে বললো,
-“কী বলেছি কানে যায়নি?”
রূপা এবারও ভয়ে কুঁ*কড়ে যেতে লাগলো। ধ্রুবর কন্ঠ শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে সে কতটা রেগে আছে। কেন যে সে তখন ধ্রুব ফেলে দিতে গেল? এখন নিজের উপরই রাগ হচ্ছে তার। ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে ধ্রুব আবারও গ*র্জিয়ে উঠলো। বললো,
-“দরজা খুলবে নাকি ভেঙে ফেলবো?”
রূপার চোখদুটো যেনো কটোর থেকে বের হতে চাইছে। ঢোক গিলতে লাগলো সে। এমতাবস্থায় এখন কী করা উচিত কিছুই মাথায় খেলছে না তার। এখন দরজা খুললেই বিপদ। এটা রূপা ১০০% সিওর। এখন তার করণীয়?
-“কী হলো কথা কান অবধি পৌঁ*ছায়নি?”
এবারও চুপ রূপা। সে আর যাইহোক দরজা খুলবে না। ধ্রুব বললো,
-“আমাকে রা*গিও না বলে দিলাম। এর ফল কিন্তু ভয়ানক হবে। দরজা খুলো বলছি।”
কথাটা একটু জোরেই বললো ধ্রুব। বরাবরই রূপা কেঁ*পে উঠলো। তবুও দরজা খুললো না সে। দরজার সাথে হেলান দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো রূপা। কয়েক মিনিট পর সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেল। ওপাশে ধ্রুবর কোনো সাড়াশব্দ নেই। তাহলে কী সে চলে গেছে? রূপা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কান পাতলো। নাহ্! কোনো সাড়াশব্দ নেই তো। তাহলে কী সে সত্যি সত্যি চলে গেছে?
রূপা তাও ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও কোনো টু শব্দ পেলো না সে। রূপা বুঝতে পারলো ধ্রুব ঘরে নেই। তাই দেরী না করে বাথরুমের দরজা হালকাভাবে খুললো সে। এদিকওদিক তাকিয়ে বাম পাশের দিকে তাকাতেই হঠাৎ ধ্রুবকে দেখতে পেলো রূপা। চোখ দুটো যেনো ছানার মতো বড় হয়ে গেল। তার মানে লোকটা বুদ্ধি করে এমনটা করেছে? রূপা দেরী না করে যেই বাথরুমের দরজা বন্ধ করতে যাবে তার আগে ধ্রুব এক হাত দিয়ে ধরে ফেললো। রূপা দরজা আটকানোর চেষ্টা করলেও ধ্রুবর সাথে পেরে উঠলো না। হস্তা*হস্তির একপর্যায়ে রূপার হাত ধরে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো ধ্রুব।
জানালা ভেদ করে বাতাস প্রবেশ করছে রুমে। বাতাসের গতিময়ে পর্দাগুলো দুলছে। সে সাথে এক অপরূপার চুলগুলোও বাতাসের গতিতে ধ্রুবর চোখমুখে হেলে পড়ছে। চুলের মাঝে এক মাদ*কাসক্ত গন্ধ পাচ্ছে সে। যা তাকে আরো মাতাল করতে বাধ্য। হৃদয়ের স্পন্দন গাঢ়ভাবে কান পেতে শুনছে রূপা। এই বুকে মাথা পাতলে কেন জানি নিজেকে সুখী সুখী মনে হয় তার। কতক্ষণ যে রূপা তার মাঝে ডুবে*ছিলো সে নিজেও জানে না। ধ্রুব যখন তাকে ছেড়ে দিলো তখনই ঘোর কেটে গেল তার। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুলেই গিয়েছিল ধ্রুব তার উপর রে*গে আছে। মনে পড়তেই ধ্রুবর হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড় দিতে গেলেই সে হাত ধরে ফেললো। রূপার জান যেনো আসে আর যায়। এখন নিশ্চিত ধ্রুব তাকে বকবে। হয়তো মারবেও। রূপা ভ*য়ে চোখদুটো বন্ধ করে নিলো। এই লোকটার হাত থেকে এখন কে বাঁচাবে তাকে?
-“স-সরি। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে প্লিজ….”
হঠাৎ রূপাকে অবাক করে দিয়ে ধ্রুব তার কপালে চু*মু খেলো। রূপা যেনো বাগরু*দ্ধ। ভেবেছিল ধ্রুব তাকে মা*রবে, বকবে। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে কেসটা উল্টো।
-“ভয় নেই মারবো না।”
রূপা অবাকের উপর অবাক হলো। ধ্রুবর নয়ন জোড়ার দিকে চোখ মেলে তাকালো সে। ধ্রুবও একই চাউনিতে তার দিকে তাকালো। এরপর কিছুটা ঝুকে রূপার পেটে হাত রেখে বললো,
-“শুধুমাত্র তোর জন্য তোর মাকে ক্ষ*মা করে দিয়েছি। তোর মাকে জানিয়ে দিস এবার তো শুধু শা*স্তিস্বরূপে তাকে কপালে চু*মু দিয়েছি। পরের বার কিন্তু ভয়ানক কিছু ঘটতে পারে। আর তোর মাকে এটাও বলে দিস আমাকে যেনো সে ক্ষ*মা করে দেয়। তোর মা আমাকে ক্ষমা না করলে আমিও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। জানিস মা? প্রতিনিয়ত তোর মায়ের সামনে গেলে নিজেকে কেনো জানি অপরাধী মনে হয়। জানি মা তোর মায়ের থেকে কখনো ক্ষমা পাবো না। কিন্তু আশাও ছাড়বো না কখনো।”
ধ্রুবর কথাগুলো শুনে নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে পানি পড়লো রূপার। মানুষটা তাকে এতো ভালোবাসে? আর সে কিনা জেনেশুনে তাকে কষ্ট দিচ্ছে! বুকের ভিতরটা চিন*চিন করে উঠলো রূপার। ব্যাথাটা যেনো আরো গাঢ় হতে লাগলো তার। রূপার খুব মন চাইছে তাকে বুক ফাঁ*টিয়ে বলতে,
-“আমি তো আপনাকে সে কবেই না ক্ষমা করে দিয়েছি। এভাবে আর আপনাকে কষ্ট দিতে পারছি না। ভালোবাসি আপনাকে। খুব খুব ভালোবাসি।”
কথাগুলো পেট অবধি এলেও মুখ অবধি আর বের হলো না তার। কোনো এক জড়তা কাজ করছে তার মাঝে। অপরদিকে রূপার আড়াল হয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল ধ্রুব। ধ্রুব যে কাঁ*দছে এটা রূপার চোখে এড়ালো না। ধুকরে কেঁ*দে দিলো সে।
-“সামনের মাসে তোর টেস্ট পরিক্ষা। না পরে ফোনে কি দেখছিস?”
-“কিছুনা তো।”
-“কিছুনা বললেই হলো নাকি? ফোন দে। দেখি কি করছিস?”
একথা শুনে নিলু ম্যাসেঞ্জার থেকে সরে এসে চটজলদি গ্যালারিতে চলে গেল। গ্যালারির প্রথমেই বইয়ের কয়েকটা পৃষ্ঠার ছবি তোলা ছিলো। দেরী না করে সে প্রথম ছবিতে ক্লিক করতেই ফারজানা ছোঁ মেরে ফোন তার থেকে কেড়ে নিলেন। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলেন ইংরেজির ১ম পত্রের ১২৩ নম্বর পৃষ্ঠার ছবি তোলা। তার মানে নিলু মোবাইলে বইয়ের ছবি তুলে পড়ছিলো? এদিকে মায়ের হাব-ভাব দেখে নিলু মরে যায় যায় অবস্থা। মনে হচ্ছে বইয়ের ছবিতে ক্লিক করতে গিয়ে অন্য ছবিতে হাত লেগে গেছে। এখন উপায়? মা যদি ফোন কেড়ে নেয়? তাহলে শরৎ এর সাথে সে কিভাবে যোগাযোগ রাখবে?
নিলুকে অবাক করে দিয়ে ফারজানা বলে উঠলেন,
-“নে ধর। আগেই বললে হতো যে পড়ছিস।”
মায়ের কথা শুনে নিলু আনন্দে বাকবাকম করতে লাগলো। তার মানে তীর আসল জায়গায় গিয়ে লেগেছে। খুশিটা চাপিয়ে রেখে নিলু স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,
-“তুমি আর বলতে দিলে কই? বলার আগেই তো ফোনটা কেড়ে নিলে।”
-“নে হইছে এখন পড়।”
-“ওকে। মা যাওয়ার সময় দরজাটা বন্ধ করে যেও। বাইরের শব্দে আমার পড়তে অসুবিধা হচ্ছে।”
-“আচ্ছা।”
দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফারজানা চলে গেলেন। এখনই সুযোগ। এবার শরৎ এর সাথে চুটিয়ে প্রেম করা যাবে। শরৎ জানিয়েছে তাকে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নেবে সে। একথা শুনে প্রথমে খুশিতে বাকবাকম করতে লাগলো নিলু। স্বপ্ন তাহলে বাস্তবোচিত হতে চলেছে। সে দেরী না করে শরৎ এর নাম্বারে ডায়াল করলো। সঙ্গে সঙ্গে কল রিসিভ করলো শরৎ। তাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই নিলু বলে উঠলো,
-“এটা কী সত্যি?”
-“হুম বেবি।”
-“আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। কবে আসবে বিয়ের প্রস্তাব দিতে?”
-“খুব তাড়াতাড়ি।”
-“আমার যে আর তর সইছে না।”
-“আর তো মাত্র কিছুদিন। তারপর তুমি আমার হয়ে যাবে জানেমান।”
-“হু…..”
-“শোনো…..”
-“হ্যা বলো।”
-“আই লাভ ইউ।”
মুঁচকি হাঁসলো নিলু। বললো,
-“লাভ ইউ টু।”
রাতেরবেলায় সবাই একসাথে ডিনার করতে বসেছে। সবাই খাওয়া শুরু করলেও ধ্রুবর গালে যেনো ভাত উঠছেই না। শুধু ভাত নড়াচড়া করছে। ফারজানার চোখ গেল ধ্রুবর দিকে। কারণ সে আজকে তার পাশে বসেছে। তিনি অবাককৃত হয়ে বললেন,
-“কীরে ধ্রুব, ভাত না খেয়ে বসে আছিস কেন?”
ধ্রুব ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো,
-“কই, খাচ্ছি তো!”
-“কোথায় খাচ্ছিস? সেই কখন থেকেই দেখছি মনমরা হয়ে বসে আছিস। কী হয়েছে রে তোর?”
-“কিছুনা মা।”
-“কিছু তো একটা হয়েছে। আর তোর চোখ এমন ফোলা ফোলা লাগছে কেন?”
ধ্রুব এবার বিরক্ত হলো। বললো,
-“এত জেরা করছো কেন বলোতো? বলছি তো কিছু হয়নি।”
-“রে*গে যাচ্ছিস কেন? কি হয়েছে তোর?”
ধ্রুব কিছু না বলেই রে&গে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলো। ফারজানা তার যাত্রাপথের দিকে তাকালেন। বললেন,
-“ছেলেটার যে হঠাৎ কী হলো আল্লাহ মালুম জানেন।”
এক মাস পর…
সূর্যোদয়ের সাথে এক পলশা সোনালী আলো জানালা ভেদ করে ঘরে আঁচড়ে পড়েছে। সূর্যের আলো যেনো ধ্রুবর মুখটিতে মেখে মুখরিত হয়েছে। ইশশ! মানুষটা কী অদ্ভুত সুন্দর দেখতে। যখনি তার আখি দুটো ধ্রুবর দিকে যায়, তখনি সবকিছু যেনো নিমিষে স্থীর হয়ে যায়। মানুষটাকে যে আর অবহেলা করতে পারছে না সে।
সূর্যের আলো চোখে পড়তেই নড়েচড়ে উঠলো ধ্রুব। রূপা আর এক মুহূর্ত দেরী না করে পর্দাটা টেনে দিলো। যেনো ধ্রুবর ঘুমের ডিস্টার্ব না হয়। রূপা ওর বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। হালকা ঝুকে ধ্রুবর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিলো রূপা। এরপর কিছুক্ষণ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো সে। বললো,
-“আমাকে মাফ করবেন। এই একমাসে আপনাকে আমি কম কষ্ট দেইনি। তবুও আপনি আপনার জায়গায় অটল ছিলেন কিভাবে আমার অভিমান ভাঙাবেন? কিন্তু আমিই বোকার মতো আপনাকে বুঝতে পারিনি। বারেবারে অজুহাত দেখিয়ে আপনার থেকে এড়িয়ে চলেছি। যার ফল*স্বরূপ আপনার এই অবস্থা।”
কথাগুলো বলতেই বলতেই রূপা ধ্রুবর ব্যা*ন্ডেজ করা হাতে চু*মু খেলো। বললো,
-“কেন কাল এত বাড়াবাড়ি করতে গেলেন? আমি জানি আপনি আমাকে কতটা ভালোবাসেন। তাই বলে এমনটা কিভাবে করতে পারলেন আপনি?”
চোখ গড়িয়ে এক ফোটা পানি পড়লো রূপার। কাল সত্যিই একটু বেশিই করে ফেলেছে সে। কাল যদি রূপা ওকে এড়িয়ে না চলতো তাহলে আজ তার এমন কাহিল অবস্থা হতো না। বড্ড অপ*রাধবোধ হচ্ছে রূপার।
কালরাতে ধ্রুব রূপাকে প্রপোজ করার জন্য কয়টা গোলাপফুল এনেছিলো। রূপার ভাবতেও অবাক লাগছে এত অবহেলার পড়েও মানুষটার তার প্রতি ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং ভালোবাসা তার প্রতি দ্বিগুণ বেড়েছে। বরাবরই কাল রাতেও যখন সে ধ্রুবকে এড়িয়ে গিয়েছিল তখন মানুষটা রাগে দুঃখে তার পাচ আঙুল টেবিলের উপর টান টান করে রেখে করে দেয়। ড্রয়ার থেকে ছু*রি বের করে আঙুলে জোরে*শোরে আ*ঘাত করতে থাকে সে। একপর্যায়ে আঙুলে আ*ঘাত করতে করতে বাম হাতটা ক্ষ*তবি*ক্ষত হতে থাকে। কাল যদি রূপা এক মিনিট মতো ঘরে আসতে দেরী করতো তাহলে হয়তো বড় ধরনের বি*পদ ঘটতে পারতো। আল্লাহ্ কাছে শুকরিয়া সে সময় মতো এসে পড়েছিলো। তবে আর যাইহোক সে আর নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না। মানুষটার সাথে কম অন্যায় করেনি সে। তাই রূপা ভেবে নিয়েছে ধ্রুবকে সে আজই আপন করে নেবে। আর দ্বিধা সং*কোচ করবে না সে। নিজের ইগোর জন্য অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে সে ধ্রুবকে। তবে আর নয়।
পুরো ঘরটিতে মোমবাতি দিয়ে জ্বালানো হয়েছে। ধ্রুব বাথরুমে গেছে লম্বা শাওয়ার নিতে। এই ফাঁকে রূপা রুমটাকে মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে। বেডের মাঝখানেই লাল গোলাপ দিয়ে বড় লাভ করা। নিচে মেঝেতেও গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো। এক কথায় ঘরটাকে সুন্দর করে তুলতে কোনো অংশে কমতি রাখেনি রূপা। যতটুকু পেরেছে সাজিয়েছে।
হঠাৎ দরজার শব্দ শুনে রূপা নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না। তার আগেই ধ্রুব তাকে দেখে ফেলেছে। তাই রূপা সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। ধ্রুবর উপস্থিতে খুব ল*জ্জা লাগছে তার। অপরদিকে ধ্রুব বাগ*রুদ্ধ হয়ে রুমের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। পুরো ঘর অন্ধকার। মোমবাতির মৃদু আলোয় সবকিছু আলোকিত হয়ে উঠেছে। ধ্রুব আড় চোখে রূপাকে দেখছে। মেয়েটা ল*জ্জায় লাল হয়ে গেছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ধ্রুব আস্তে আস্তে রূপার খানিকটা কাছে এসে দাঁড়ালো। এদিকে রূপার হার্টবিট বেড়ে গিয়েছে ক্রমাগত। তবুও সে বাইরের দিক দিয়ে প্রকাশ করলো না। পিছন থেকে স্বাভাবিক ভাবে গোলাপ ফুলটা হাতে নিলো সে। আর একমুহূর্ত দেরী না করে ফুলগুলো ধ্রুবর সামনে এগিয়ে দিয়ে চোখ বুজে কাঙ্ক্ষিত কথাটি বলে ফেললো সে।
-“আই লাভ ইউ। খুব খুব ভালোবাসি আপনাকে।”
একথা শুনে ধ্রুব বাগরু*দ্ধ। কিছুই বলছে না সে। রূপা এবার চোখ খুলতে বাধ্য হলো। বললো,
-“কিছু তো বলুন।”
ধ্রুব চুপ। রূপা বললো,
-“প্লিজ বলুন না!”
এবারও চুপ ধ্রুব। রূপার চোখ দুটো ছলছলে হয়ে উঠলো। সে পেটে হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো,
-“দেখেছিস মা, তোর বাবা এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। হ্যা তুই ঠিক বলেছিস মা। তোর বাবা আমাকে একদমই ভালোবাসে না। দেখ দেখ কিভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। যেনো আমি তার চির*জীবনের শ*ত্রু।”
ধ্রুব একথা শুনে রূপাকে একটান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। সমান তালে সেও বললো,
-“বুঝলি মা তোর মা পা*গল টা*গল হয়ে গেছে। নাহলে এমন ধরনের কথা তার মাথায় কিভাবে আসলো?”
-“তোর মা না তোর বাবা ম*স্ত বড় একটা পা*গল। কী সুন্দর করে প্রপোজ করলাম। কিন্তু লাট সাহেব যেনো ভাবের জ্বা*লায় বাঁচেন না।”
-“ও আচ্ছা। এতোদিন তাহলে কে ভাব নিচ্ছিলো শুনি?”
রূপা ইনিয়ে বিনিয়ে বললো,
-“কেউ নাতো।”
ধ্রুব হাঁসলো। বললো,
-“আমি কিন্তু এক্স*সেপ্ট করেছি।”
-“কী?”
ধ্রুব রূপার গা*লে চু*মু খেয়ে ফিস*ফিসানি সুরে বললো,
-“লাভ ইউ টু।”
একথা শুনে রূপা ধ্রুবকে আ*ষ্টে পৃ*ষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো। আজ তাহলে সবকিছুর অবসান ঘটলো। দুজনই চাই ভালোবাসা যেনো তাদের মাঝে এভাবেই অটুট থাকুক।
চলবে,,,,,,,,,,,,,
লেখকের অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষিদ্ধ